দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের একটি গুরুত্ব পূর্ণ অধ্যায়"ভারতবর্ষ", সেই অধ্যয় থেকে কিছু বাছাই করা প্রশ্ন উত্তর দেওয়া হলে এই পোস্টটিতে।
১. বাজারে চায়ের দোকান ছিল—
ক. একটা
খ. দুটো
গ. তিনটে
ঘ. চারটে
২. বাজারের উত্তরদিকে ছিল-
ক. গ্রাম
খ. ইটভাটা
গ. বাঁশবন
ঘ. মাঠ
৩. বাজারে জমাটিভাব থাকে-
ক. সন্ধ্যা সাতটা অবধি
খ. রাত আটটা অবধি
গ. রাত নটা অবধি
ঘ. রাত দশটা অবধি
৪. শীতের বৃষ্টিকে ভদ্রলােকে বলে-
ক. ডাওর
খ. ডাক
গ. ফাপি
ঘ. পউষে বাদলা
৫ . “ এমনিতেই খুব জাঁকানাে ” —যার কথা বলা হয়েছে—
ক. রাঢ়বাংলার গরম
খ. রাঢ়বাংলার বর্ষা
গ. রাঢ়বাংলার শীত
ঘ. রাঢ়বাংলার কুয়াশা
৬. রাঢ় বাংলার শীতে ধারালাে বৃষ্টিপাতকে ছােটোলােকে বলে–
ক. শীতবৃষ্টি
খ. ডাওর
গ. বৃষ্টির ধারাপাত
ঘ. পউষে বাদলা
৭ “ ... বৃষ্টির সঙ্গে বাতাস জোরালাে হলে তারা বলে ”-
ক. পউষে বাদলা
খ. ডাওর
গ. ফাপি
ঘ. ঝড়বৃষ্টি
৮. থুথুড়ে বুড়ির গায়ে জড়ানাে ছিল —
ক. কাপড়
খ. কথা
গ. তুলাের কম্বল
ঘ. কাশ্মীরি শাল ।
৯.চাষাভুষাে মানুষ চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দিতে প্রতীক্ষা করছিল—
ক. গরম চায়ের
খ. রােদ ঝলমল একটা দিনের
গ. নীল উর্দিপরা চৌকিদারের
ঘ. শহরে যাওয়ার বাসের
১০. চায়ের দোকানের আড্ডাবাজরা বুড়ির সঙ্গে তুলনা করেছিল-
ক. ঘােড়ার
খ. টাটুর
গ. হরিণের
ঘ. খরগােশের
১১. ডাস্ত্রে মতে পৌষমাসে শনিবার বৃষ্টি শুরু হলে তা থাকবে ।
ক. একদিন
খ. তিনদিন
গ. পাঁচদিন
ঘ. সাতদিন
১২. ডাকপুরুষের বচন অনুযায়ী পৌষমাসে মঙ্গলবার বৃষ্টি শুরু হলে থাকবে—
ক. একদিন
খ. তিনদিন
গ. পাঁচদিন
ঘ. সাতদিন
১৩. ডাক তার বচনে বলেছেন যে , পৌষমাসে বুধবার বৃষ্টি শুরু হলে থাকবে —
ক. একদিন
খ. তিনদিন
গ. পাঁচদিন
ঘ. সাতদিন
১৪. ডাক তার বচনে বলেছেন যে , পৌষমাসে বৃহস্পতিবার বৃষ্টি শুরু হলে থাকবে-
ক. একদিন
খ. তিনদিন
গ. পাঁচদিন
ঘ. সাতদিন
১৫. ভারতবর্ষ গল্পে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল —
ক. সােমবার
খ. মঙ্গলবার
গ. বুধবার
ঘ. বৃহস্পতিবার
১৬. ভারতবর্য গল্পের বৃক্ষবাসিনী বুড়ি কোথায় আশ্রয় নিলে ভালাে করত বলে কয়েকজন গ্রামবাসী মনে করেছিল ?
ক. বটতলায়
খ. চায়ের দোকানে
গ. বারােয়ারিতলায়
ঘ. আড়তে
১৭. চায়ের দোকানে হঠাৎ আসা বুড়ির হাতে ছিল-
ক. মােটা লাঠি
খ. বেঁটে লাঠি
গ. ন্যাকড়ার থলে
ঘ. তুলাের কম্বল
১৮. বাজারে মুদিখানার সংখ্যা-
ক. এক
খ. দুই
গ. তিন
ঘ. চার
১৯. , বাজারে স্কিং মেশিনের পিছনে কী ছিল ?
ক. মন্দির
খ. ইটভাটা
গ. জলের কল
ঘ. স্কুল
২০. , রাঢ়বাংলা ' বলতে বােঝায়—
ক. গার পূর্ববর্তী অঞ্চল
খ. গঙ্গার পশ্চিম তীরবর্তী অশল
গ. দামােদরের দক্ষিণ অঞ্চল
ঘ. অজয় নদের উত্তর
২১. আমেদাবাদ শহরটি যে রাজ্যে অবস্থিত
ক. পশ্চিমবঞ্চণ
খ. গুজরাট |
গ. রাজস্থান
ঘ. মহারাষ্ট্র ।
২২. , ... শনিতে সাত , মঙ্গলে পাঁচ , বুধে তিন — বাকি সব দিন দিন । " — এটি হল
ক. একটি বচন
খ. গান
গ. উক্তি
ঘ. ছড়া
২৩ , ‘ ভারতবর্ষ ' গল্পের লেখক সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ যুক্ত ছিলেন— ক. তরজার সঙ্গে
খ. আলকাপের সঙ্গে
গ. রামযাত্রার সঙ্কেণ
ঘ. থিয়েটারের সঙ্গে ।
২৪. , যে গ্রন্থটি সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের লেখা নয়—
ক. অলীক মানুষ
খ. রণভূমি
গ. উত্তর জাহ্নবী
ঘ. চোখের বালি ।
২৫. হাস্কিং মেশিন থেকে কী বের হয় ?
ক. তেল
খ. রস
গ. চাল
ঘ. গম
২৬. , সাবেককাল ’ বলতে বােঝায় —
ক. আদ্যিকাল
খ. মধ্যকাল
গ. আধুনিক কাল
ঘ. অতি আধুনিক কাল
২৭. , ভারতবর্ষ ' গল্পটি যে ঋতুর পটভূমিতে রচিত , তা হল—
ক. গ্রীষ
খ. বসন্ত
গ. হেমন্ত
ঘ. শীত
২৮. “ .. একঘেয়েমি দূর করতেই নানান কথা আসে । ” — তাদের মধ্যে একটি হল—
ক. বলিউডের অভিনেতা - অভিনেত্রী
খ. টলিউডের অভিনেতা অভিনেত্রী ।
গ. কলকাতার অভিনেতা - অভিনেত্রী
ঘ. বােম্বাইয়ের অভিনেতা - অভিনেত্রী
২৯.“ .. সেখানেই গড়ে উঠেছে একটা ছােট্ট বাজার । ” — বাজারটি গড়ে উঠেছে —
ক. পিচের রাস্তা যেখানে শেষ হয়েছে
খ. বড়াে সড়কটি যেখানে একটি ছােটো সড়কের সঙ্গে মিশেছে
গ. পিচের সড়ক বাঁক নিয়েছে যেখানে
ঘ. ইটপাতা রাস্তার ধারে
৩০ , “ মাঝে - মাঝে বিমর্ষ সভ্যতার মুখ চোখে পড়ে ...। ” — কারণ —
ক. গ্রামটিতে ভাঙা মন্দিরের ছড়াছড়ি
খ. গ্রামে বিদ্যুৎ নেই
গ. গ্রামের চারপাশে ছড়িয়ে আছে ভাঙা ইটের স্তুপ
ঘ. গ্রামে সভ্য মানুষের বসবাস খুবই কম ।
৩১. “ চারপাশের গ্রাম থেকে লােকেরা আসে । ” –লােকেরা আসে—
ক. তাই রাত নটা অবধি জোর জমাটিভাব থাকে
খ. তাই জায়গাটিতে মেলা বসে যায়
গ. তাই লােকেরা সবাই সবাইকে চেনে
ঘ. তাই বাজারে বেচাকেনা হয় খুব
৩২. , “ আবার সব চুপচাপ । ” — সেই স্তব্ধতার অন্তর্গত—
ক. শেয়ালের ডাক ।
খ. প্যাচার ডাক
গ. শকুনের ডাক
ঘ. ঝিঝির ডাক
৩৩. , “ ... লােকের মেজাজ গেল বিগড়ে । ” — লােকের মেজাজ বিগড়ে যাওয়ার কারণ-
ক. অকালবর্ষণে বাড়িঘর ডুবে যাবে
খ. প্রচণ্ড শীতে ছেলেপিলেরা ঠান্ডায় কাঁপবে
গ. অকাল দুর্যোগে ধানের প্রচণ্ড ক্ষতি হবে
ঘ. গরমের দাবদাহে চাষের খেত ফুটিফাটা হবে
৩৪ , “ ... মুণ্ডুপাত করতে থাকল আল্লা - ভগবানের । ” — আল্লা - ভগবানের মুণ্ডুপাত করতে থাকার কারণ —
ক. পউষে বাদলা হয়েছিল
খ. অকাল দুর্যোগের ফলে ধানের প্রচণ্ড ক্ষতি হবে
গ. কৃষকরা ফাপির কবলে পড়েছিল
ঘ. ( খ ) ও গ ) দুটিই ঠিক
৩৫. “ ... মাথার ওপর আর কোনাে শালা নেই রে — কেউ নাই । ” — কথাটি বলেছিল-
ক. গ্রামের কোনাে যুবক চাষি
খ. গ্রামের মােড়লেরা
গ. ভবঘুরে
ঘ. গ্রামের এক গণ্যমান্য চাষি
৩৬. “ ... তখন যা খুশি করা যায় । ” — যা খুশি করা যায় , তখন , যখন কিনা —
ক. মাথার ঠিক থাকে না
খ. মাথার যখন ব্যথা থাকে না
গ. মাথা ঘামানাের কিছু থাকে না
ঘ. মাথার উপর কেউ থাকে না
৩৭. “ সবাই চলে আসে ” —সবাই আসে , কারণ—
ক. একলা ঘরে বসে থাকার জো নেই
খ. গ্রামের ঘরে বসে কারও সময় কাটে না
গ. সবাইকেই এখানে আমন্ত্রণ জানানাে হয়
ঘ. বাজারে ভালােমন্দ খাবার পাওয়া যায় ।
৩৮ , “ ..ধারের অঙ্ক বেড়ে চলে । ” — কেননা—
ক. লােকের হাতে পয়সা নেই
খ. অকাল দুর্যোগে সব ধান নষ্ট হয়ে গেছে
গ. আজ না - হােক , কাল পয়সা পাবেই
ঘ. চাওয়ালা খুব দিলদরিয়া লােক ছিল
৩৯ , “ ... সেটাই সবাইকে অবাক করেছিল । ” — সবাই অবাক হল কারণ —
ক. এই প্রবল ঝড়ে চায়ের দোকানটা কীভাবে টিকে রইল
খ. এই শুখা মরশুমে বাউরিরা নতুন বাড়ি বানাল কী করে
গ. এই দুর্যোগে কীভাবে ভিখিরি বুড়িটা হেঁটে চায়ের দোকানে এল
ঘ. এই অকালবর্ষণে জমির ধানগুলাে অক্ষত রইল কীভাবে
৪০ , “ সেকথায় তােমাদের কাজ কী বাছারা ? ” — কথাটি হল —
ক. সে কোথা থেকে এসেছে
খ. সে কোথায় যাবে
গ. তার সঙ্গে আর কে আছে
ঘ. সে কেন এখানে এসেছে
৪১ , “ মরবে রে , নির্ঘাত মরবে বুড়িটা ! ” — লােকেদের এমন কথা বলে চিৎকার করে ওঠার কারণ —
ক. হঠাৎ একটা ট্রাক এসে পড়েছিল
খ. বুড়িটা হাত পা সেঁকার জন্য আগুনের খুব কাছে চলে গিয়েছিল
গ. তাড়াহুড়ােয় চা খেতে গিয়ে বুড়িটির বিষম লেগেছিল
ঘ. দুর্যোগের মধ্যে বুড়ি আবার রাস্তায় । গিয়ে নেমেছিল
৪২• বুড়ির এ অভিজ্ঞতা প্রচুর আছে । ” — এখানে বুড়ির যে অভিজ্ঞতার কথা বলা হয়েছে , তা হল —
ক . লােকের টিটকিরি সহ্য করা
খ. না খেয়ে থাকা
গ. গাছতলায় থাকা
ঘ. ফুটপাথে থাকা
৪৩. “ কেউ কেউ বলল ...। ” — কেউ কেউ কী বলল ?
ক. বৃষ্টির মধ্যে বুড়ির রাস্তায় নামা উচিত হয়নি
খ. বুড়ি বারােয়ারিতলায় গেলেই ভালাে করত
গ. বুড়ির নিশ্চয় কোনাে কুমতলব আছে
ঘ. বুড়ির পুঁটলিতে অনেক টাকাপয়সা আছে ।
৪৪. , “ আবার জমে গেল ...। ” — এক্ষেত্রে আড়া আবার জমে যাওয়ার কারণ-
ক. বৃষ্টি থেমে গেল
খ. বাজারে নতুন নতুন লােক এল
গ. বুড়ির প্রসঙ্গে |
ঘ. বাউরিবাড়ির মেয়েটির প্রসঙ্গ এল
৪৫. “ অন্যদিনে লাগলে একদিনের ব্যাপার । ” — পউষে বাদলা ' প্রসঙ্গে ডাকপুরুষের বচনে না থাকা দিনগুলি হল —
ক. শনি , মঙ্গল , বুধ , বৃহস্পতি
খ. সােম , মঙ্গল , শুক্র , শনি
গ. রবি , সােম , বুধ , শনি
ঘ. রবি , সােম , বৃহস্পতি , শুক্র
৪৬. “ ..সবাই আবিষ্কার করল ..। ” — সবার করা আবিষ্কারটি হল —
ক. রাস্তায় বুড়িটি অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে
খ. বুড়িটি বটতলায় নিঃসাড়ে পড়ে আছে
গ. বটতলায় একজন সন্ন্যাসী বাবা এসেছেন
ঘ. বুড়িটিকে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ।
৪৭. , বৃষ্টির সঙ্গে বাতাস জোরালাে হলে বলা হয় —
ক. পউষে বাদলা
খ. ডাওর
গ. কালবৈশাখী
ঘ. কপি
৪৮. , “ পিচের সড়ক বাঁক নিয়েছে যেখানে , সেখানেই গড়ে উঠেছে ” এক
ক. একটি মিষ্টির দোকান
খ. একটি ছােট্ট বাজার
গ. একটি শনি মন্দির ।
ঘ. চায়ের দোকান
৪১. থুথুড়ে ভিখিরি বুড়ির গায়ে জড়ানাে-
ক. চিটচিটে তুলাের কম্বল
খ. ছেড়া কাপড়
গ. নােংরা চাদর
ঘ. দামি শাল
৫০ , “ এইটুকুই যা সুখ তখন । ” — সুখটা হল—
ক. কম্বল মুড়ি দেওয়া
খ. উনুনের ধারে বসা
গ. সভ্যতার উনুনে হাত - পা সেঁকা
ঘ. লেপ মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকা
৫১. “ তাকে দেখে সবাই তর্ক থামাল । ” কাকে দেখে ?
ক. চৌকিদারসাহেব
খ. ভটচাজমশাই
গ. মােগ্লাসাহেব
ঘ. থুথুড়ে বুড়ি
৫২. চায়ের দোকানে বসে থাকা লােকটি বুড়িকে বলেছিল —
ক. ভারি তেজি
খ. খুব মেজাজি
গ. বদরাগি
ঘ. বড়াে মুখা
৫৩. বৃষ্টি সম্বন্ধে ডাকপুরুষের পুরােনাে বচন হল —
ক. শনিতে সাত , মঙ্গলে পাঁচ , বুধে তিন বাকি সব দিন - দিন
খ. শনিতে পাঁচ , মঙ্গলে সাত , শুহে তিনবাকি সব দিন - দিন
গ. শনিতে পাঁচ , মঙ্গলে সাত , বুধে তিন বাকি সব দিন দিন
ঘ. বুধে সাত , মঙ্গলে পাঁচ , শনিতে তিনবাকি সব দিন দিন
৫৪. , ফাপি হল—
ক. প্রবল বৃষ্টি
খ. মেঘলা আকাশ
গ. জোরালাে বাতাস ও বৃষ্টি
ঘ. প্রবল ঝড় - বৃষ্টি
৫৫. “ ..কাচা রাস্তা ধরে সবুজ ঝােপের ফঁাকে এগিয়ে আসে কোনাে যুবক বা যুবতী ; ...। ” — তাদের পােশাক তৈরি-
ক. আমেদাবাদে
খ. জয়পুর
গ. সুরাটে
ঘ. বােম্বাইয়ে
৫৬. ‘ বৃষ্টিতে তা হল ধারালাে । ” বৃষ্টিতে যা ধারালাে হল —
ক. লােকের মেজাজ
খ. রাঢ়বাংলার শীত
গ. বাতাসের গতি
ঘ. নদীর স্রোত
৫৭.“ ..আজ না - হােক , কাল পয়সা পাবেই ...। ” — কারণ —
ক. গ্রামের লােকজন সৎ
খ. গ্রামের লােকের অবস্থা ভালাে
গ. ধানের মরশুম চলছে
ঘ. পয়সা না দিয়ে যাবে কোথায়
৫৮. , “ ও বুড়ি , তুমি থাকো কোথায় ... ” বুড়ির উত্তর কী ছিল ?
ক. তােমাদের মাথায়
খ. তােমাদের চুলােয়
গ. তােমাদের দুয়ারে
ঘ. জাহান্নামে
৫৯. , কোথা থেকে পয়সা নিয়ে ভারতবর্ষ গল্পের বুড়ি চায়ের দাম মেটায় ?
ক. পয়সার ব্যাগ থেকে
খ. কম্বলের ভিতরে রাখা ন্যাকড়া থেকে থেকে
গ. বাক্স থেকে
ঘ. পেটের কাপড় থেকে
৬০. , “ মরবে রে , নির্ঘাত মরবে বুড়িটা ! ” — এ কথার উত্তরে বুড়ি বলেছিল
ক. তােদের বাপ - মা মরুক
খ. তােদের ছেলেপিলে মরুক
গ. তােদের শতগুটি মরুক
ঘ. তােরা মর
৬১. , বুড়ি চায়ের দোকান থেকে চা খেয়ে কোথায় গিয়েছিল ?
ক. বাকের মুখের বটগাছতলায়
খ. নদীর চড়ায়
গ. পাশের জঙ্গলে
ঘ. পাশের মাঠে
উত্তরঃ
১.গ ২.ঘ ৩.গ ৪.ঘ ৫.গ ৬.খ ৭.গ ৮.গ ৯.খ ১০.খ ১১.ঘ ১২.গ ১৩.খ ১৪.ক ১৫.খ ১৬.গ ১৭.খ ১৮.খ ১৯.খ ২০.খ ২১.খ ২২.ক ২৩.খ ২৪.ঘ ২৫.গ ২৬.ক ২৭.ঘ ২৮.ঘ ২৯.গ ৩০.খ ৩১.ক ৩২.খ ৩৩.গ ৩৪.ঘ ৩৫.ক ৩৬.ঘ ৩৭.খ ৩৮.গ ৩৯.গ ৪০.ক ৪১.ঘ ৪২.গ ৪৩.খ ৪৪.গ ৪৫.ঘ ৪৬.খ ২৭.ঘ ৪৮.খ ৪৯.ক ৫০.গ ৫১.ঘ ৫২.ক ৫৩.ক ৫৪.গ ৫৫.ক ৫৬.খ ৫৭.গ ৫৮.ক ৫৯.ক ৬০.গ ৬১
১. ভারতবর্ষ ' গল্পে বাজারটির পিছনে কী কী ছিল ?
উত্তরঃ ‘ ভারতবর্ষ’গল্পে বাজারটির পিছনে ছিল ঘন বাঁশবনে ঢাকা একটি গ্রাম এবং ইটভাটা ।
২. বাজারটিতে রাতের বেলায় কী কী দেখা যেত ?
উত্তরঃ বাজারটিতে রাত্রিবেলায় দূরে শহরের দিকে চলে যাওয়া দু - একটা চলমান ট্রাক এবং নেড়িকুত্তাকে দেখা যেত ।
৩ , বাজারটিতে রাত্রিবেলায় কী শােনা যেত ?
উত্তরঃ নিস্তব্ধ বাজারটিতে রাত্রিবেলায় মাঝে মাঝে শহরের দিকে যাওয়া চলমান ট্রাকের শব্দ এবং বটগাছে পেঁচার ডাক শােনা যেত ।
৪. বাজার - পার্শ্ববর্তী গ্রামটির বৈশিষ্ট্য কী ছিল ?
উত্তরঃ বাজার - পার্শ্ববর্তী গ্রামটি ছিল ঘন বাঁশবনে ঢাকা এবং সেই গ্রামে বিদ্যুৎ সংযােগ ছিল না ।
৫. বাজারটি কোথায় গড়ে উঠেছিল ?
উত্তরঃ পিচের সড়ক আদ্যিকালের একটি বটগাছের পাশে যেখানে বাঁক নিয়েছিল , সেখানেই বাজারটি গড়ে উঠেছিল ।
৬. বাজারে কোন্ কোন্ দোকান ছিল ?
উত্তরঃ বাজারটিতে তিনটি চায়ের দোকান , দুটো সন্দেশের দোকান , তিনটে পােশাকের দোকান , একটা মনােহারির দোকান এবং দুটি মুদিখানা ছিল ।
৭. ভারতবর্ষ ' গল্পে কোন্ বাংলা মাস এবং কোন্ বাংলা ঋতুর কাহিনি বর্ণনা করা হয়েছে ?
উত্তরঃ গল্পটিতে পৌষ মাস এবং ঋতু হিসেবে শীতকালের কাহিনি বর্ণনা করা হয়েছে ।
৮ , রাঢ়বাংলার শীতের চরিত্র কেমন ?
উত্তরঃ রাঢ়বাংলার শীত খুব জাঁকালাে প্রকৃতির , বৃষ্টি হলে তা হয় ধারালাে ।
৯ “ তাই লােকের মেজাজ গেল বিগড়ে । ” — লােকের মেজাজ বিগড়ে গিয়েছিল কেন ?
উত্তরঃ শীতে বৃষ্টির সঙ্গে জোরালাে বাতাস বইতে শুরু করায় ধানের প্রচণ্ড ক্ষতি হয়ে যাবে বলে লােকের মেজাজ বিগড়ে গিয়েছিল ।
১০ , “ চাষাভুষাে মানুষ চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দিতে ” —কীসের প্রতীক্ষা করছিল ?
উত্তরঃ চাষাভুসাে মানুষ চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দিতে রােদ ঝলমলে দিনের প্রতীক্ষা করছিল ।
১১ , “ চাষাভুষাে মানুষ চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দিতে ” —কার মুণ্ডুপাত করছিল ?
উত্তরঃ চাষাভুসাে মানুষ চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দিতে আল্লা তথা ভগবানের মুণ্ডুপাত করছিল ।
১২ , শীতের অকাল বৃষ্টিতে রাঢ়বাংলায় কীসের ক্ষতি হয় ?
উত্তরঃ শীতের অকাল বৃষ্টিতে রাঢ়বাংলায় ধানের ক্ষতি হয় ।
১৩. পৌষমাসের বৃষ্টি গ্রামবাংলায় কী কী নামে পরিচিত ?
উত্তরঃ পৌষমাসের বৃষ্টি গ্রামবাংলায় ভদ্রলােকের কাছে পউষে বাদলা অভিধায় । এবং ছােটোললাকের কাছে ‘ ডাওর ’ নামে পরিচিত ।
১৪ , ফাপিকাকে বলে ?
উত্তরঃ শীতকালে বৃষ্টির সঙ্গে জোরালাে বাতাস বইলে রাঢ়বাংলার গ্রাম্য , তথাকথিত ‘ ছােটোলােকের ’ ভাষায় সেই আবহাওয়াকে ‘ ফাপি ’ বলে ।
১৫. চায়ের দোকানের আড্ডায় কোন্ কোন্ বিষয়ে গল্পগুজব চলছিল ?
উত্তরঃ চায়ের দোকানের আড্ডায় ‘ বােমবাইয়ের অভিনেতা - অভিনেত্রী , গায়ক , ইন্দিরা গান্ধি , মুখ্যমন্ত্রী , বিধায়ক থেকে শুরু করে স্থানীয় লােকজনকে নিয়েও গল্পগুজব চলছিল ।
১৬. “ এইটুকুই যা সুখ তখন । ” — কোন্ সুখের কথা বলা হয়েছে ? উত্তরঃ পৌষমাসের অকাল - দুর্যোগে ঘরে বসে গ্রামের মানুষদের সময় না কাটায় বাজারে এসে সেখানকার সভ্যতার ছােট্ট উনােনের পাশে হাত - পা সেঁকে নেওয়াই ছিল তাদের সুখ ।
১৭. ভারতবর্ষ ' গল্পের বুড়ির চেহারা কেমন ছিল ?
উত্তরঃ ‘ ভারতবর্ষ ' গল্পের বুড়িটি ছিল রাক্ষুসী চেহারার , কুঁজো এক সাদাচুলের থুথুড়ে বুড়ি । তার ক্ষয়ে যাওয়া , ছােট্ট মুখমণ্ডলের বলিরেখাগুলি স্পষ্টভাবে তার দীর্ঘ আয়ু প্রকাশ করছিল ।
১৮ , বৃদ্ধার পরনে কী ছিল ?
উত্তরঃ বৃদ্ধ নােংরা একটা কাপড় পরেছিল এবং তার গায়ে জড়ানাে ছিল তুলাের চিটচিটে একটা কম্বল ।
১৯ , বৃদ্ধর হাতে কী ছিল ?
উত্তরঃ বৃদ্ধার হাতে ছিল বেঁটে একটা লাঠি ।
২০ , বৃদ্ধার মুখমণ্ডল কেমন ছিল ?
উত্তরঃ বৃদ্ধার মুখমণ্ডল ছিল ছােটো , ক্ষয়টে এবং স্পষ্ট বলিরেখাযুক্ত ।
২১ . সেটাই সবাইকে অবাক করেছিল । ” কী সবাইকে অবাক করেছিল ?
অথবা ,
“ সেটাই সবাইকে অবাক করেছিল । ” — সবাই অবাক হয়েছিল কেন ?
উত্তরঃ থুথ-থুড়ে কুঁজো বৃদ্ধা পৌষমাসের তুমুল বৃষ্টির মধ্যে কীভাবে বেঁচেবর্তে চায়ের দোকানে থেকে হেঁটে হেঁটে আসতে পারল — সেই ভাবনাই সবাইকে অবাক করেছিল ।
২২ , চায়ের দোকানে ঢুকে চা খাওয়ার ঠিক পরপরই বৃদ্ধ কী করেছিল ?
উত্তরঃ চায়ের দোকানে ঢুকে চা খাওয়ার ঠিক পরপরই বৃদ্ধ কোনাে কথা না বলে দোকানে বসে থাকা সবার মুখের দিকে তাকিয়েছিল ।
২৩ , “ তখন একজন তাকে জিজ্ঞেস করল ” কী জিজ্ঞাসা করেছিল ?
উত্তরঃ ‘ ভারতবর্ষ গল্পে চায়ের দোকানে বসে - থাকা গ্রামবাসীদের একজন সেইসময় বুড়িকে জিজ্ঞাসা করেছিল যে , সে কোথা থেকে এসেছে । ...
২৪ , “ তখন একজন তাকে জিজ্ঞেস করল ... ”- কখন ?
উত্তরঃ চায়ের দোকানে চা খেয়ে বৃদ্ধটি কোনাে কথা না বলে বসে থাকা সবার মুখের দিকে তাকালে একজন তাকে প্রশ্ন করেছিল ।
২৫. “ ওরা হেসে উঠল ...। ” — ওদের হেসে ওঠার কারণ কী ?
উত্তরঃ চায়ের দোকানে আসা বৃথাকে সে কোথা থেকে এসেছে জানতে চাওয়ায় তার মেজাজি পালটা প্রশ্ন ছিল যে , তাতে তাদের কাজ কী ? বুড়ির এই অস্বাভাবিক আচরণে সবাই হেসে উঠেছিল ।
২৬. “ বুড়ি খেপে গেল । ” — কোন্ কথা শুনে বুড়ি খেপে গিয়েছিল ?
উত্তরঃ চায়ের দোকানে একজন বুড়িকে বলেছিল “ ভারি তেজি দেখছি ! এইবাদলায় । তেজি ' টাটুর মতন বেরিয়ে পড়েছে । ” এই কথা শুনে বুড়ি খেপে গিয়েছিল ।
২৭. “ একজন ঠান্ডা মাথায় বলল ... ” — কী বলেছিল ?
উত্তরঃ একজন ঠান্ডা মাথায় বুড়িকে বলেছিল যে , বুড়ি কোথায় থাকে , তারা জিজ্ঞাসা করছে ।
২৮. বুড়ি চায়ের দোকানে চা খেয়ে কীভাবে চায়ের দাম দিয়েছিল ?
উত্তরঃ বুড়ি চা খেয়ে তার কম্বলের ভেতর থেকে একটা ন্যাকড়া বের করে তার মধ্যে বাঁধা পয়সা বের করে চায়ের দাম দিয়েছিল ।
২১. “ লােকেরা চেঁচিয়ে উঠল ... ” — চেঁচিয়ে উঠল কী বলে ?
উত্তরঃ “ মরবে রে , নির্ঘাত মরবে বুড়িটা ! ” — এ কথা বলেই লােকেরা চেঁচিয়ে উঠেছিল ।
৩০. “ লােকেরা চেঁচিয়ে উঠল ... ” কখন লােকেরা চেঁচিয়ে উঠেছিল ?
উত্তরঃ বুড়ি চায়ের দোকানে ঢুকে চা খেয়ে , তার দাম মিটিয়ে যখন ভরা বর্ষার মধ্যে রাস্তায় আবার নেমেছিল — তখনই লােকেরা চেঁচিয়ে উঠেছিল ।
৩১. “ বুড়ি ঘুরে বলল ... ” কী বলেছিল ?
উত্তরঃ ভারতবর্ষ ’ গল্পের বুড়িটা ঘুরে দাঁড়িয়ে চায়ের দোকানে বসে থাকা লােকদের বলেছিল , “ তােরা মর , তােদের শতগুষ্টি মরুক । ”
৩২. ভারতবর্ষ ' গল্পে বুড়ি যে বটতলায় গিয়েছিল , সেই বটতলাটা সে সময়ে কেমন ছিল ?
উত্তরঃ ‘ ভারতবর্ষ ’ গল্পে উল্লিখিত বটতলাটা সেইসময় জনহীন ছিল এবং সেখানকার মাটি ভিজে কাদা কাদা হয়ে গিয়েছিল ।
৩৩. “ বােঝা গেল , বুড়ির এ অভিজ্ঞতা প্রচুর আছে । ” বুড়ির কী অভিজ্ঞতা ছিল ?
উত্তরঃ বটগাছতলায় বটের গুড়ির কাছে থাকা একটি শিকড়ের ওপর বসে পেছনের গুড়ির কোটরে পিঠ ঠেকিয়ে পা ছড়িয়ে বসার অভিজ্ঞতার কথা এখানে বলা হয়েছে ।
৩৪ , “ কেউ কেউ বলল ” —কেউ কেউ কী বলল ?
উত্তরঃ কেউ কেউ বলেছিল যে , বটগাছতলায় না গিয়ে গ্রামের বারােয়ারিতলায় গেলেই বুড়ি ভালাে করত । দুর্যোগে বটগাছতলায় সে নির্ঘাত মারা পড়বে ।
৩৫. বুড়িকে যখন ভালােভাবে তার নিবাস কোথায় তা জিজ্ঞাসা করা হয় , তখন চা - দোকানের লােকদের বুড়ি কী উত্তর দিয়েছিল ?
উত্তরঃ চা - দোকানের লােকদের প্রশ্নের উত্তরে বুড়ি তাদের বলেছিল যে , তার । নিবাস তাদের মাথায় ।
৩৬. বুড়ি কোথায় পয়সা রেখেছিল ?
উত্তরঃ কম্বলের ভেতরে একটি ন্যাকড়ার মধ্যে বুড়ি পয়সা বেঁধে রেখেছিল ।
৩৭. ভারতবর্ষ ' গল্পের গল্পকথক বুড়ির স্বভাবচরিত্র সম্বন্ধে কোন্ কোন্ বিশেষণ প্রত্যক্ষ ও পরােক্ষভাবে ব্যবহার করেছেন ?
উত্তরঃ ‘ ভারতবর্য ’ গল্পের গল্পকথক বুড়ির স্বভাবচরিত্র সম্বন্ধে বড়ো মেজাজি ’ এবং ‘ ভারি তেজি ’ - এই দুটি বিশেষণ ব্যবহার করেছেন ।
৩৮. ডাকের মতে পৌযের বৃষ্টি সপ্তাহের কোন্ কোন্ বারে শুরু হলে সেইদিনই থেমে যায় ?
উত্তরঃ ডাকের মতে পৌষের বৃষ্টি রবিবার , সােমবার , বৃহস্পতিবার বা শুক্রবার শুরু হলে সেইদিনই থেমে যায় ।
৩৯. ‘ ডাকপুরুষের ’ পুরােনাে বচন ’ - এ পৌষের বৃষ্টি সম্বন্ধেকী বলা আছে ?
উত্তরঃ ডাকপুরুষের ’ পুরােনাে বচন ’ - এ পৌষের বৃষ্টি সম্বন্ধে বলা আছে যে , শনিবার শুরু হলে সাত দিন , মঙ্গলবার হলে পাঁচ দিন এবং বুধবার হলে তিন দিন বৃষ্টি চলবে । অন্যবারে শুরু হলে বৃষ্টি সেদিনই থামবে ।
৪০. “ অন্যদিনে লাগলে একদিনের ব্যাপার । ” — অন্যদিন বলতে কোন কোন্ দিনের কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ অন্যদিন বলতে রবি , সােম , বৃহস্পতি ও শুক্র — এই চার দিনের কথা বলা । হয়েছে । .
৪১. কিন্তু যেদিন ছাড়ল , সেদিন .. ” — কী ছাড়ার কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ ‘ ভারতবর্ষ ’ গল্পে পৌষমাসের এক মঙ্গলবার যে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল , সেই বৃষ্টি ছাড়ার অর্থাৎ থেমে যাওয়ার কথা এখানে বলা হয়েছে ।
৪২ , " “ .. কিন্তু যেদিন ছাড়ল , সেদিন .. ” কী দেখা গেল ?
উত্তরঃ পৌষের বৃষ্টি যেদিন ছাড়ল সেদিন আকাশ পরিষ্কার হয়ে সূর্যের উজ্জ্বল মুখ দেখা গেল ।
৪৩ , “ ... সবাই আবিষ্কার করল ... ” — কখন সবাই আবিষ্কার করল ?
উত্তরঃ পৌষের বৃষ্টি থেমে গেলে যেদিন পরিষ্কার আকাশে সূর্যের উজ্জ্বল মুখ দেখা গেল , সেদিনই সবাই আবিষ্কার করল ।
৪৪ , “ ... সবাই আবিষ্কার করল ... —কী আবিষ্কার করল ?
উত্তরঃ সবাই আবিষ্কার করল যে , বটগাছের গুঁড়ির কোটরে পিঠ রেখে বুড়ি চিৎ হয়ে অসাড়ভাবে পড়ে রয়েছে ।
৪৫. ভারতবর্ষ ' গল্পের বিশাল মাঠটি কোথায় ছিল ?
উত্তরঃ ‘ ভারতবর্ষ ’ গল্পের বিশাল মাঠটি ছিল বাজারের উত্তরদিকে ।
৪৬. ডাওর ’ কাকে বলে ?
উত্তরঃ রাঢ়বাংলার শীতকালে বৃষ্টি হলে সেই শীত আরও বেড়ে যায় । গ্রাম বাংলার তথাকথিত ছােটোলােকদের ভাষায় সেই অবস্থাকে বলে ‘ ডাওর ।
৪৭ , “ রাঢ়বাংলার শীত এমনিতেই খুব জাঁকালাে । ” — ‘ রাঢ়বাংলা ' বলতে কোন্ স্থানকে বােঝানাে হয়েছে ?
উত্তরঃ রাঢ়বাংলা ’ বলতে এককথায় গঙ্গার পশ্চিম তীরবর্তী স্থানকে বােঝায় ।
৪৮ , কোথায় গড়ে উঠেছে একটা ছােট্ট বাজার ’ ?
উত্তরঃ পিচের সড়ক আদ্যিকালের একটি বটগাছের পাশে যেখানে বাঁক নিয়েছে , সেখানেই ‘ ছােট্ট বাজারটি গড়ে উঠেছে । 1
৪৯ , “ ধানের মরশুম — আজ না - হােক , কাল পয়সা পাবেই ... ” –ধানের । মরশুম ’ বলতে কোন্ সময়কালকে বােঝানাে হয়েছে ?
উত্তরঃ ধানের মরশুম বলতে এই গল্পে ধান কাটার সময়কে অর্থাৎ শীতকালকে বােঝানাে হয়েছে ।
৫০. “ .মাঝে - মাঝে বিমর্ষ সভ্যতার মুখ চোখে পড়ে .. ” কখন ?
উত্তরঃ যখন গ্রামের কাচা রাস্তায় সবুজ ঝােপের ফাক দিয়ে বাজারের দিকে এগিয়ে আসে গ্রাম্য কোনাে যুবক বা যুবতী , তখনই বিমর্ষ সভ্যতার মুখ চোখে পড়ে ।
৫১. “ ... এগিয়ে আসে কোনাে যুবক বা যুবতী ; ” — এই যুবক বা যুবতী কোন্ পােশাকে সজ্জিত থাকে ?
উত্তরঃ প্রশ্নোক্ত যুবক বা যুবতী আমেদাবাদের মিলে তৈরি সস্তা পােশাকে সজ্জিত থাকে ।
৫২. “ কিন্তু বাজারে বিদ্যুৎ আছে । ” — লেখক ‘ কিন্তু অব্যয়টি ব্যবহার করেছেন কেন ?
উত্তরঃ বাজারের চারপাশের গ্রামগুলিতে যেহেতু বিদ্যুৎ সংযােগ ছিল না , সে কারণেই লেখক কিন্তু অব্যয় ব্যবহার করে বুঝিয়েছেন যে , বাজারে বিদ্যুৎ
৫৩. “ ... বটগাছে পেঁচার ডাকও শুদ্ধতার অন্তর্গত মনে হয় । ” বটগাছটি কোথায় অবস্থিত ছিল ?
উত্তরঃ ভারতবর্ষ ’ গল্পে আমরা দেখি যে , পিচের সড়ক যেখানে বাঁক নিয়েছে , সেই বাঁকের মুখেই বাজার - পার্শ্ববর্তী বটগাছটি অবস্থিত ছিল ।
৫৪ , “ .বটগাছে পেঁচার ডাকও স্তন্ধতার অন্তর্গত মনে হয় । ” কখন ?
উত্তরঃ ভারতবর্ষ ’ গল্পের বটগাছ - পার্শ্বস্থ বাজারটি রাত নটার পর যখন অত্যন্ত নিস্তব্ধ হয়ে যেত , তখন বটগাছে পেঁচার ডাকও স্তব্ধতার অন্তর্গত মনে হত ।
৫৫. “ বৃষ্টিতে তা হল ধারালাে ৷ ” — কী ধারালাে হল বৃষ্টিতে ?
উত্তরঃ রাঢ়বাংলার প্রবল জাঁকালাে শীত বৃষ্টিতে ধারালাে হয়েছিল ।
৫৬. ‘ পউষে বাদলা ’ কাকে বলে ?
উত্তরঃ পৌষমাসের বৃষ্টিকেই গ্রামবাংলার ভদ্রলােকে ‘ পউষে বাদলা ’ বলে ।
৫৭ , কেন “ সবাই চলে আসে সভ্যতার ছােট্ট উনােনের পাশে হাত - পা সেঁকে নিতে ” ?
উত্তরঃ প্রচণ্ড শীতের প্রাকৃতিক দুর্যোগে গ্রামবাসীদের ঘরে বসে দিন কাটতে চায় বলেই তারা বাজার রূপ উনােনের কাছে চলে আসে ।
৫৮. “ ... সে - সবই এসে পড়ে । ” — কো - সব এসে পড়ে ?
উত্তরঃ বােম্বাইয়ের নায়ক - নায়িকা অথবা গায়ক , বিধায়ক , মুখ্যমন্ত্রী , প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি ইত্যাদি নেতা - নেত্রী থেকে শুরু করে গ্রামের সাধারণ মানুষের কথা — সবই আডডায় এসে পড়ে ।
৫৯ , “ সবাই চলে আসে সভ্যতার ছােট্ট উনােনের পাশে হাত - পা সেঁকে । নিতে । ” — কাকে ‘ সভ্যতার ছােট্ট উনােন ’ বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ ভারতবর্ষ ’ গল্পে উল্লিখিত গ্রামীণ বাজারটিকেই সভ্যতার ছােট্ট উনােন ’ বলা হয়েছে ।
৬০. , ..আজ না - হােক , কাল পয়সা পাবেই ” —এমন নিশ্চয়তার কারণ কী ?
উত্তরঃ সেইসময় ধান কাটার মরশুম চলছিল বলে গ্রামের মানুষদের হাতে যেহেতু টাকার জোগান ছিল , তাই চাওয়ালা টাকা পাওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত ছিল ।
৬১. “ সেই সময় এল এক বুড়ি । ” — কোথায় , কীভাবে এসেছিল সেই বুড়ি ?
উত্তরঃ পিচের রাস্তা দিয়ে ভিজতে ভিজতে একই গতিতে হাঁটতে হাঁটতে চায়ের দোকানে এসে ঢুকেছিল বুড়ি ।
৬৪. “ তাকে দেখে সবাই তর্ক থামাল । ” — কাকে দেখে ?
উত্তরঃ এক থুথুরে , কুঁজো বুড়িকে চায়ের দোকানে ঢুকতে দেখে আড্ডা দেওয়া । চাষাভুসাে মানুষরা তাদের তর্ক থামিয়েছিল ।
৬৩. “ মরবে রে , নির্ঘাত মরবে বুড়িটা ! ” —এমন আশঙ্কার কারণ কী ?
উত্তরঃ প্রবল শীতের অকালবর্ষণে অপ্রতুল পােশাকে অশীতিপর বৃদ্ধটি বাইরে বেরিয়ে বৃষ্টিতে ভিজছিল বলেই এমন আশঙ্কা করা হয়েছে ।
৬৪. “ অর্থাৎ সে বৃক্ষবাসিনী । ”- -কেন তাকে বৃক্ষবাসিনী’বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ শীতের অকালবৃষ্টিতে ভেজা বুড়িটা বটগাছের নীচে গিয়ে খুঁড়ির পাশের একটা শিকড়ের ওপর বসে খুঁড়ির কোটরে পিঠ ঠেকিয়েছিল । বুড়ি সেখানে থাকতে অভ্যস্ত ছিল বলেই তাকে বৃক্ষবাসিনী ’ বলা হয়েছে ।
৬৫ , “ ..গ্রামের ‘ ডাকপুরুষের ’ পুরােনাে বচন’আছে । ” — কী সম্বন্ধে ?
উত্তরঃ পৌষের বৃষ্টি সম্বন্ধে গ্রামের ডাকপুরুষের ’ পুরােনাে ‘ বচন আছে ।
৬৬. “ ..গ্রামের ডাকপুরুষের ’ পুরােনাে বচন আছে । ” — ডাকপুরুষ কে ?
উত্তরঃ গ্রামবাংলায় ‘ ডাক ’ নামক যে প্রখ্যাত গােপালক জ্ঞানীপুরুষ ছিলেন , তিনিই ‘ ডাকপুরুষ ’ নামে অভিহিত হন ।
৬৭ , পউষে বাদলা সম্পর্কে গ্রামের ডাকপুরুষের ’ পুরােনাে বচনে কী বলা আছে ?
উত্তরঃ পউষে বাদলা সম্পর্কে গ্রামের ডাকপুরুষের ’ পুরােনাে বচনে বলা আছে— “ শনিতে সাত , মঙ্গলে পাঁচ , বুধে তিনবাকি সব দিন - দিন । ”
No comments:
Post a Comment