দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত একটি গুরুত্ব পূর্ণ অধ্যায় হলো কে বাঁচায় কে বাঁচে।সেই বিষয় থেকে কিছু গুরুত্ব পূর্ণ প্রশ্ন উত্তর দেওয়া হল ।(The Board of West Bengal)
দ্বাদশ শ্রেণির যে-কোনো বিষয়ের গুরুত্ব পূর্ণ প্রশ্ন উত্তর পেতে আমাদের ওয়েবসাইট অনুসরণ করতে পারো।
১. " ... আজ চোখে পড়ল প্রথম । ” —— আজ মৃত্যুঞ্জয়ের প্রথম চোখে পড়ল —
( ক ) তার চাকর বাজার করছে
( খ )তার এলাকায় ফুটপাথ বেশি নেই
( গ ) খবরের কাগজে মন্বন্তরের রিপাের্ট ছাপা হয়েছে
( ঘ ) অনাহারের ফলে মৃত একজন মানুষ
২. "বাড়িটাও তার শহরের.." । মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ি শহরের -
( ক ) কেন্দ্রস্থলে
( খ ) একপ্রান্তে
( গ ) বাইরে
( ঘ ) এক নিরিবিলি অঞ্চলে
৩.“ ... চলতে থাকে শারীরিক কষ্টবােধ । ” — মৃত্যুঞ্জয়ের শরীরে কষ্ট বােধ হওয়ার কারণ —
( ক ) সে আঘাত পেয়েছে
( খ )তার খাওয়া হয়নি
( গ ) তার মনে আঘাত লেগেছে
( ঘ ) তার খাওয়া বেশি হয়ে গেছে ।
৪.‘ কে বাঁচায় , কে বাঁচে গল্পের প্রেক্ষাপট হল —
( ক ) ১৯৪৩ - এর মন্বন্তর
( খ) ভারত ছাড়াে আন্দোলন
( গ ) ৭৬ - এর মন্বন্তর
( ঘ ) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ
৫.“ সংসারে তার নাকি মন নেই । ” — এখানে যার কথা বলা হয়েছে , সে হল —
( ক ) মৃত্যুঞ্জয়
( খ ) নিখিলের স্ত্রী
( গ ) নিখিল
( ঘ ) মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রী
৬. “ অন্য সকলের মতাে মৃত্যুঞ্জয়কে সেও খুব পছন্দ করে । ” — মৃত্যুঞ্জয়কে নিখিলের পছন্দ করার কারণ —
( ক ) মৃত্যুঞ্জয় অত্যন্ত বন্ধুবৎসল
( খ ) মৃত্যুঞ্জয় অত্যন্ত নিরীহ ও ভালােমানুষ
( গ) মৃত্যুঞ্জয় আদর্শবাদের কল্পনা - তাপস
( ঘ ) মৃত্যুঞ্জয় অন্যের বিপদে পাশে দাঁড়াতে জানে
৭.“ মৃদু ঈর্ষার সঙ্গেই সে তখন ভাবে যে নিখিল না হয়ে মৃত্যুঞ্জয় হলে মন্দ ছিল না । ” — নিখিল এমনটি ভাবে , যখন —
( ক ) মৃত্যুঞ্জয় আপন শক্তিপ্রয়ােগে তৎপর হয়ে ওঠে
( খ ) মৃত্যুঞ্জয়ের কাছে সে কাবু হয়ে পড়ে ।
( গ ) সকলে মৃত্যুঞ্জয়ের প্রশংসা করে
( ঘ ) সে দেখে , মৃত্যুঞ্জয়ের প্রতি অফিসের সকলে নির্ভর করে ।
৮.“ মৃত্যুঞ্জয়ের রকম দেখেই নিখিল অনুমান করতে পারল ...। ” — নিখিল অনুমান করল-
( ক ) তার শরীর ভালাে নেই
( খ ) বড়াে একটা সমস্যার সঙ্গে তার সংঘর্ষ হয়েছে
( গ ) তার মন ভালাে নেই
( ঘ ) তার উপর সে রাগ করে আছে ।
৯.“ আনমনে অর্ধ - ভাষণে যেন আর্তনাদ করে উঠল মৃত্যুঞ্জয় । ” — তার এই আর্তনাদের কারণ —
( ক ) সে মৃত মানুষকে দেখে ভয় পেয়েছে
( খ ) সে অনাহারে মৃত মানুষটিকে দেখে দুঃখ পেয়েছে
( গ ) সে মৃত মানুষটিকে দেখে চিনতে পেরেছে
( ঘ ) মানুষটির মৃত্যু তাকে অন্য কোনাে বিপদের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে ।
১০.মৃত্যুঞ্জয়ের ভিতরটা সে পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছে । ” — নিখিলের এ কথা মনে হল , যখন —
( ক ) মৃত্যুঞ্জয় তার কোনাে কথারই ঠিক উত্তর দিল না
( খ ) মৃত্যুঞ্জয়কে সেকয়েকটি প্রশ্ন করে যথাযথ উত্তর পেলনা
( গ ) মৃত্যুদৃশ্য দেখে মৃত্যুঞ্জয় অত্যন্ত মর্মাহত হয়ে পড়েছিল
( ঘ ) মৃত্যুঞ্জয় আর্তনাদ করে উঠল
১১.“ সেটা আশ্চর্য নয় । ” — এখানে যে বিষয়টিকে নিখিলের আশ্চর্য বলে মনে হয়নি , তা হল—
( ক ) অনাহারে মানুষের মারা যাওয়া
( খ ) অনাহারে মৃত মানুষকে পথের পাশে পড়ে থাকতে দেখা
( গ ) মৃত মানুষকে দেখে বিমর্ষ হয়ে পড়া
( ঘ ) সমাজের দুর্দশা নিয়ে ভাবিত হয়ে পড়া
১২.এ অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত কী ? ” বক্তা এখানে অপরাধ মনে করেন —
( ক ) নিজের বেঁচে থাকাকে
( খ ) নিজের চারবেলা করে ভাত খাওয়াকে
( গ ) যথাযথ রিলিফ ওয়ার্ক না হওয়াকে
( ঘ ) নিজের উদাসীন থাকাকে
১৩. মৃত্যুঞ্জয় নিখিলের থেকে মাইনে বেশি পায় —
( ক ) ৩০ টাকা
( খ ) ৪০ টাকা
( গ ) ৫০ টাকা
( ঘ ) ৬০ টাকা
১৪. নিখিল দেখেছিল যে মৃত্যুঞ্জয় শার্সিতে আটকানাে মৌমাছির মতাে —
( ক ) উড়ে বেড়াচ্ছে ।
( খ ) মধু খাচ্ছে
( গ ) গুনগুন করছে
( ঘ ) মাথা খুঁড়ছে
১৫.মৃত্যুঞ্জয় অফিসে যায় —
( ক ) ট্রেনে
( খ ) ট্রামে
( গ ) বাসে
( ঘ ) হেঁটে
১৬.“ কী হল হে তােমার ? ” — মৃত্যুঞ্জয়কে এই প্রশ্ন করেছিল—
( ক ) অফিসের বস
( খ ) নিখিল
( গ ) লঙ্গরখানার মালিক
( ঘ ) নিখিলের দাদা
১৭..- শার্সিতে আটকানাে মতাে সে মাথা খুঁড়ছে , ..। ”
( ক ) মশার
( খ ) পতঙ্গের
( গ ) পাখির
( ঘ ) মৌমাছির
১৮.“ নিখিল সন্তর্পণে প্রশ্ন করল । ” — প্রশ্নটি ছিল —
( ক ) তােমার কী হল ?
( খ ) কী হল তােমার ?
( গ ) কী হল হে তােমার ?
( ঘ ) কী হয়েছে তােমার ? ‘
১৯.'কে বাঁচায় , কে বাঁচে ’ গল্পটি প্রকাশিত হয়েছিল —
( ক ) আনন্দবাজার পত্রিকায়
( খ ) বঙ্গদর্শন পত্রিকায়
( গ ) কল্লোল পত্রিকায়
( ঘ ) ভৈরব পত্রিকায়
২০.“ নিখিল রােগা , তীক্ষ্ণবুদ্ধি এবং একটু .। ”
( ক ) আলসে প্রকৃতির লােক
( খ ) সাহসী প্রকৃতির লােক
( গ ) ভীরু প্রকৃতির লােক
( ঘ ) চালাক প্রকৃতির লােক ল ]
২১.“ ফুটপাথে হাঁটা তার বেশি প্রয়ােজন হয় না । ” — কার প্রয়ােজন হয় না
( ক ) নিখিলের
( খ ) টুনুর মার
( গ ) মৃত্যুঞ্জয়ের
( ঘ ) টুনুর |
২২. “ কয়েক মিনিটে মৃত্যুঞ্জয়ের সুস্থ শরীরটা অসুস্থ হয়ে গেল । ” কারণ—
( ক ) অফিসে কাজের প্রবল চাপ ছিল
( খ ) প্রচণ্ড গরমের মধ্যে হেটে সে অফিসে গিয়েছিল
( গ ) প্রথমবার অনাহারে মৃত্যু দেখে সে প্রবল আঘাত পেয়েছিল
( ঘ ) বেশি খাবার খেয়ে ফেলায় তার বমি হচ্ছিল
২৩., মৃত্যুঞ্জয় অনাহারে মৃত্যু দেখেছিল সময়-
( ক ) অফিস থেকে ফেরার পথে
( খ ) অফিস যাওয়ার পথে
( গ ) সকালে প্রাতঃভ্রমণে
( ঘ ) বাজার করতে যাওয়ার
২৪.মৃত্যুঞ্জয় ও নিখিলের দাম্পত্যজীবন যথাক্রমে-
( ক ) ছয় ও আট বছরের
( খ ) চার ও পাঁচ বছরের
( গ ) আট ও নয় বছরের
( ঘ ) ছয় ও সাত বছরের
২৫.বাড়ি থেকে কতটা হেঁটে মৃত্যুঞ্জয় ট্রামে চড়ত ?
( ক ) ১০০ মিটার
( খ ) ১০০ গজ
( গ ) দু - পা
( ঘ ) ১০০ পা
২৬.“ একটু বসেই তাই উঠে গেল কলঘরে । ” — মৃত্যুঞ্জয় কলঘরে গিয়েছিল-
( ক ) জল খাওয়ার জন্য
( খ ) চোখে - মুখে জল দেওয়ার জন্য
( গ ) বমি করার জন্য
( ঘ ) বাথরুম করার জন্য
২৭. “ পাশের কুঠরি থেকে নিখিল যখন খবর নিতে এল , ” — মৃত্যুঞ্জয় তখন-
( ক ) বমি করছিল
( খ ) টিফিন খাচ্ছিল
( গ ) জল খাচ্ছিল
( ঘ ) চুপ করে বসেছিল
২৮. মৃত্যুঞ্জয় নিখিলের থেকে পঞ্চাশ টাকা বেশি মাইনে পেত । কারণ-
( ক ) মৃত্যুঞ্জয়ের চাকরি বেশিদিনের
(খ ) মৃত্যুঞ্জয় ওপরওয়ালার প্রিয়পাত্র ছিল
( গ ) মৃত্যুঞ্জয় অফিসে বাড়তি দায়িত্ব পালন করত
( ঘ ) মৃত্যুঞ্জয়ের বয়স বেশি ছিল ।
২৯.“ অন্য সকলের মতাে মৃত্যুঞ্জয়কে সেও খুব পছন্দ করে । ” — ‘ সে ’ কে ?
( ক ) তার অফিসের বস
( খ ) নিখিল
( গ ) টুনুর মা
( ঘ ) টুনু
৩০. “ আনমনে অর্ধ - ভাষণে যেন আর্তনাদ করে উঠল মৃত্যুঞ্জয় । ” — কী কথা বলে ?
( ক ) সব কিছু ধ্বংস হয়ে গেল
( খ ) কেউ কথা রাখল না
( গ ) মরে গেল ! খেয়ে মরে গেল !
( ঘ ) কী স্বার্থপর
৩১.আমি মৃত্যুঞ্জয়ের সংসারের বাজার ও কেনাকাটা করে-
( ক ) সে নিজে
( খ ) চাকর
( গ ) ছােটোভাই
( ঘ ) চাকর ও ছােটোভাই
৩২.মনে আঘাত পেলে মৃত্যুঞ্জয়ের —
( ক ) বমি হয়
( খ ) ঘুম পায়
( গ ) রাগ হয়
( ঘ ) শরীরে তার প্রতিক্রিয়া হয়
৩৩.আপিস যাবার পথে মৃত্যুঞ্জয় প্রথম কী দেখল ?
( ক ) ফুটপাথে মৃত্যু
( খ ) অনাহারে মৃত্যু
( গ ) বস্তিবাসীর মৃত্যু
( ঘ ) পাগলের মৃত্যু
৩৪. নিখিল জীবনটা কীভাবে কাটাতে চায় ?
( ক ) বই পড়ে আর একটা চিন্তার জগৎ গড়ে তুলে
( খ ) সংসারধর্ম পালন করে
( গ ) সামাজিক কাজকর্ম করে
( ঘ ) অসুস্থ স্ত্রীর সেবাযত্ন করে
৩৫. “ যথেষ্ট রিলিফ ওয়ার্ক ” না হওয়ার কারণ-
( ক ) টাকার অভাব
( খ ) লােকের অভাব
( গ ) সদিচ্ছার অভাব
( ঘ ) পরিকল্পনার অভাব
SAQ Type....…................................................................1/2
১. , “ নইলে দর্শনটা অনেক আগেই ঘটে যেত সন্দেহ নেই । ” — কীসের দর্শন ?
উত্তরঃ উদ্ধৃত অংশে ফুটপাথের উপর দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের অনাহারে মৃত্যু হয়েছে , এমন একটি দৃশ্য দর্শনের কথা বলা হয়েছে ।
২. , মৃত্যুঞ্জয় কোথায় প্রথম অনাহারে মৃত্যু দেখেছিল ?
উত্তরঃ কে বাঁচায় , কে বাঁচে’গল্পের মৃত্যুঞ্জয় একদিন বাড়ি থেকে অফিস যাওয়ার পথে প্রথম অনাহারে মৃত্যু দেখেছিল ।
৩. “ ফুটপাথে হাঁটা তার বেশি প্রয়ােজন হয় না । ” -কেন ?
উত্তরঃ বাড়ি থেকে অল্প হাঁটলেই মৃত্যুঞ্জয় অফিসের ট্রাম পায় । নামেও অফিসের সামনে । তার পাড়ায় ফুটপাথ কম ; তাকে বাজারহাটেও যেতে হয় না । তাই ফুটপাথে হাঁটা তার বেশি প্রয়ােজন হয় না ।
৪. মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির বাজার ও কেনাকাটা কে করত ?
উত্তরঃ বাড়ির বাজার ও কেনাকাটার কাজ মৃত্যুঞ্জয় নিজে কখনও করত না । সেই কাজ করত বাড়ির চাকর ও তার ছােটোভাই ।
৫. , “ একটু বসেই তাই উঠে গেল কলঘরে । ” — কলঘরে যাওয়ার কারণ কী ?
উত্তরঃ মৃত্যুঞ্জয় কলঘরে উঠে যায় সকালে বাড়ি থেকে খেয়ে - আসা ভাজা , ডাল , তরকারি , মাছি , দই , ভাত সব খাবার বমি করে দেওয়ার জন্য ।
৬. “ ... নিখিল যখন খবর নিতে এল ...। ” — তখন মৃত্যুঞ্জয় কী করছিল ?
উত্তরঃ নিখিল যখন মৃত্যুঞ্জয়ের খবর নিতে এল তখন মৃত্যুঞ্জয় কলঘর থেকে বমি করে ফিরে কাচের গ্লাসে জল খাচ্ছিল ।
৭. , “ নিখিল যখন খবর নিতে এল ...। ” — নিখিল কোথা থেকে , কার খ নিতে এসেছিল ?
উত্তরঃ মৃত্যুঞ্জয়ের সহকর্মী বন্ধু নিখিল পাশের কুঠুরি থেকে মৃত্যুঞ্জয়ের খবর নিতে এসেছিল ।
৮. “ গ্লাসটা খালি করে নামিয়ে রেখে ” —মৃত্যুঞ্জয় কী করছিল ?
উত্তরঃ গ্লাসটা খালি করে নামিয়ে রেখে মৃত্যুঞ্জয় শূন্যদৃষ্টিতে দেয়ালের দিকে তাকিয়ে ছিল ।
৯. “ হয়তাে মৃদু একটু অবজ্ঞার সঙ্গে ভালােও বাসে । ” — কে , কাকে ভালােবাসে ?
উত্তরঃ মৃত্যুঞ্জয়ের অফিসের সহকর্মী বন্ধু নিখিল তাকে পছন্দও করে এবং মৃদু অবজ্ঞার সঙ্গে ভালােও বাসে ।
১০. মৃত্যুঞ্জয় নিখিলকে কখন বলেছিল “ মরে গেল ! না খেয়ে মরে গেল ! ” ?
উত্তরঃ মৃত্যুঞ্জয়ের অস্বাভাবিক অবস্থা দেখে যখন নিখিল তাকে জিজ্ঞাসা করে , যে তার কী হয়েছে , তখনই সে কথাগুলি বলেছিল ।
১১. “ ফুটপাথে অনাহারে মৃত্যুর মতাে সাধারণ সহজবােধ্য ব্যাপারটা ” — ফুটপাথের অনাহারে মৃত্যুকে সাধারণ , সহজবােধ্য বলা হয়েছে কেন ?
উত্তরঃ ‘ কে বাঁচায় , কে বাঁচে ’ গল্পটি পঞ্চাশের দশকে মন্বন্তরের পটভূমিকায় রচিত হয়েছে বলেই লেখক ফুটপাথের অনাহার মৃত্যুর ঘটনাকে সাধারণ , সহজবােধ্য বলেছেন ।
১২. “ আনমনে অর্ধ - ভাষণে যেন আর্তনাদ করে উঠল মৃত্যুঞ্জয় । ” আর্তনাদটা কী ছিল ?
উত্তরঃ নিখিল যখন সতর্কভাবে মৃত্যুঞ্জয়কে প্রশ্ন করল যে তার কী হয়েছে , তখন সে “ মরে গেল ! না খেয়ে মনে গেল ! ” বলে আর্তনাদ করে উঠেছিল ।
১৩. “ ... মৃত্যুঞ্জয়ের সুস্থ শরীরটা অসুস্থ হয়ে গেল । ” — মৃত্যুঞ্জয়ের অসুস্থতার কারণ কী ?
উত্তরঃ মৃত্যুঞ্জয় একদিন অফিস যাওয়ার পথে ফুটপাথে অনাহার - মৃত্যুর মতাে এক বীভৎস দৃশ্য দেখে ফেলে । সেটাই তার অসুস্থতার কারণ ছিল ।
১৪. “ অথচ নিখিল প্রশ্ন করলে সে জবাবে বলল অন্য কথা । ” — কোন্ কথা ?
উত্তরঃ নিখিল প্রশ্ন করলে মৃত্যুঞ্জয় উত্তরে পালটা প্রশ্ন করে যে , সে বেঁচে থাকতে লােকটা যে না খেয়ে মরে গেল , তার সেই অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত কী ।
১৫. নিজের চোখে অনাহারে মৃত্যু দেখার আগে মৃত্যুওয়ায় সেই ব্যাপারে কীভাবে জেনেছিল ?
উত্তরঃ নিজের চোখে অনাহারে মৃত্যু দেখার আগে মৃত্যুঞ্জয় শুধু খবরের কাগজ পড়ে আর লােকের মুখে শুনেই সেই ব্যাপারে জেনেছিল ।
১৬. মৃত্যুঞ্জয়দের বাড়ি কেমন জায়গায় অবস্থিত ছিল ?
উত্তরঃ মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ি ছিল শহরের এক নিরিবিলি পাড়ায় , যেখানে ফুটপাথও বেশি ছিল না ।
১৭. মৃত্যুঞ্জয় বাড়ি থেকে কীভাবে অফিসে যেত ?
উত্তরঃ মৃত্যুঞ্জয় বাড়ি থেকে বেরিয়ে দু - পা হেঁটে রাস্তায় গিয়ে ট্রামে উঠত এবং ট্রাম থেকে প্রায় অফিসের দরজায় নামত ।
১৮. , মনে আঘাত পেলে মৃত্যুঞ্জয়ের শরীরে মনে কী হয় ?
উত্তরঃ মনে আঘাত পেলে মৃত্যুঞ্জয়ের মানসিক বেদনাবােধের সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক কষ্টবােধও চলতে থাকে ।
১৯. , অনাহারে মৃত্যু দেখার দিন অফিসে পৌঁছে মৃত্যুঞ্জয় কী করেছিল ?
উত্তরঃ অনাহারে মৃত্যু দেখার দিন শারীরিক ও মানসিকভাবে বিদ্ধস্ত
মৃত্যুঞ্জয় অফিসে পৌছে বাড়ি থেকে খেয়ে আসা খাবারের সমস্তটাই
বমি করে দিয়েছিল ।
২০. “ তখন সে রীতিমতাে কাবু হয়ে পড়েছে । ” — উদ্দিষ্ট ব্যক্তির কাবু হয়ে পড়ার কারণ কী ?
উত্তরঃ ‘ কে বাঁচায় , কে বাঁচে ’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র মৃত্যুঞ্জয় ফুটপাথে একদিন । অনাহার - মৃত্যু দেখার পর অফিসে গিয়ে রীতিমতাে কাবু হয়ে পড়েছিল ।
২১. নিখিল অবসরজীবনটা কীভাবে কাটাতে চায় ?
উত্তরঃ নিখিল বই পড়ে এবং নিজস্ব একটা চিন্তাজগৎ গড়ে তুলে তার অবসরজীবনটা কাটাতে চায় ।
২২. নিখিলের সমপদস্থ মৃত্যুঞ্জয় নিখিলের থেকে কত টাকা বেশি মাইনে পায় এবং কেন ?
উত্তরঃ নিখিলের সমপদস্থ মৃত্যুঞ্জয় একটি বাড়তি দায়িত্ব পালনের জন্য নিখিলের থেকে পঞ্চাশ টাকা বেশি মাইনে পায় ।
২৩. নিখিলের চেহারা এবং প্রকৃতি কেমন ছিল ?
উত্তরঃ নিখিলের চেহারা ছিল রােগা । প্রকৃতিগত দিক থেকে সে ছিল তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন এবং একটু অলস ।
২৪. , “ সংসারে তার নাকি মন নেই । ” —তার মন কীসে ছিল ?
উত্তরঃ নিখিল মৃত্যুঞ্জয়ের দুবছর আগে বিয়ে করলেও সংসারে তার মন ছিল না বরং তার মন বইপত্র এবং চিন্তাজগতেই ডুবে থাকত ।
২৫. মৃত্যুঞ্জয়ের প্রতি নিখিলের ব্যবহার কেমন ছিল ?
উত্তরঃ আদর্শবাদী মৃত্যুঞ্জয়কে নিখিল পছন্দ করত । মৃদু অবজ্ঞার সঙ্গে তাকে ভালােও বাসত । মৃত্যুঞ্জয়ের প্রতি নিখিল ছিল সম্পূর্ণ সহানুভূতিশীল ।
২৬. মৃত্যুঞ্জয় দুর্বলচিত্ত ভাবপ্রবণ আদর্শবাদী হলেও কীভাবে সে নিখিলের কাছে ‘ অবজ্ঞেয় ’ হত ?
উত্তরঃ দুটো খোঁচা দিয়ে তাকে উত্ত্যক্ত করলেই মৃত্যুঞ্জয়ের মনের ভেতরকার সব অন্ধকার বেরিয়ে আসত এবং সে নিখিলের কাছে অবজ্ঞেয় হত ।
২৭. বাড়ি থেকে বেরিয়ে কত পা হেঁটে মৃত্যুঞ্জয়কে ট্রামে উঠতে হত ?
উত্তরঃ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ' কে বাঁচায় , কে বাঁচে ’ গল্পে মৃত্যুঞ্জয়কে বাড়ি থেকে বেরিয়ে দু - পা হেঁটে ট্রামে উঠতে হত ।
২৮. মৃত্যুঞ্জয় বাড়ি থেকে কী কী খেয়ে এসেছিল ?
উত্তরঃ মৃত্যুঞ্জয় বাড়ি থেকে ভাজা , ডাল , তরকারি , মাছ , দই আর ভাত খেয়ে এসেছিল ।
২৯. , মৃত্যুঞ্জয়ের মানসিক ক্রিয়া - প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল ?
উত্তরঃ মৃত্যুঞ্জয়ের মানসিক ক্রিয়া - প্রতিক্রিয়া মােটেও শ্লথ বা নিস্তেজ ছিল না , শক্তির একটা উৎস ছিল তার মধ্যে ।
৩০ , “ ... এ অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত কী ? ” — অপরাধটি কী ছিল ?
উত্তরঃ মৃত্যুঞ্জয় পেটভরে খেয়ে বেঁচে আছে , আর একটা লােক না খেতে পেয়ে মরে গেল । এই ভাবনা মৃত্যুঞ্জয়ের মনে অপরাধবােধ জাগিয়ে তুলেছে বলেই সে এমন উক্তি করেছে ।
৩১. “ ... আজ চোখে পড়ল প্রথম । ” কার চোখে কী প্রথম ধরা পড়ল ? ‘
উত্তরঃ কে বাঁচায় , কে বাঁচে গল্পে মৃত্যুঞ্জয়ের চোখে প্রথম ফুটপাথে অনাহারে মৃত্যুর দৃশ্য ব্রা পড়ল ।
৩২. , “ কী হল হে তােমার ? ” — কে , কাকে এ কথা বলেছিল ?
উত্তরঃ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ‘ কে বাঁচায় , কে বাঁচে ’ গল্পে মৃত্যুঞ্জয়ের বমি করা ও শরীর খারাপ দেখে সহকর্মী নিখিল তাকে এ কথা বলেছিল ।
৩৩. “ শত ধিক্ আমাকে । ” — কেন এমন কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ মৃত্যুঞ্জয় নিজেকে ধিক্কার দিয়েছিল কারণ দেশের লােকের অনাহারজনিত মৃত্যুর কথা জেনেশুনেও সে চারবেলা পেটপুরে খেয়েছে ।
৩৪. , ‘ কে বাঁচায় , কে বাঁচে ' গল্পটি প্রথম কোথায় প্রকাশিত হয় ?
উত্তরঃ ‘ কে বাঁচায় , কে বাঁচে ’ গল্পটি ১৩৫০ বঙ্গাব্দে প্রথম সারদাকুমার দাস সম্পাদিত ভৈরব পত্রিকার প্রথম শারদসংখ্যায় প্রকাশিত হয় ।
৩৫. “ এতদিন শুধু শুনে আর পড়ে এসেছিল ...। ” কার কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ এখানে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ কে বাঁচায় , কে বাঁচে ’ গল্পের মৃত্যুঞ্জয়ের কথা বলা হয়েছে ।
৩৬. “ বাড়ি থেকে বেরিয়ে দু’পা হেঁটেই সে ট্রামে ওঠে , ” — যার কথা বলা হয়েছে সে ট্রাম থেকে কোথায় নামে ?
উত্তরঃ প্রশ্নে উদ্ধৃত অংশে উদ্দিষ্ট মৃত্যুঞ্জয় ট্রাম থেকে অফিসের দরজার কাছে গিয়ে নামে ।
৩৭. , “ বাড়িটাও তার শহরের এমন এক নিরিবিলি অঞ্চলে যে ...। ” — এর ফলে তার কী সুবিধা বা অসুবিধা হয়েছিল ?
উত্তরঃ ‘ কে বাঁচায় , কে বাঁচে ' গল্পের মুখ্য চরিত্র মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িটা শহরের নিরিবিলি এবং ফুটপাথহীন অঞ্চলে হওয়ায় এর আগে ফুটপাথের অনাহার মৃত্যু তার চোখে পড়েনি ।
৩৮. “ মৃদু ঈর্ষার সঙ্গেই সে তখন ভাবে যে ...। " — কখন ভাবে ?
উত্তরঃ নিখিল মাঝেমধ্যে যখন মৃত্যুঞ্জয়ের মানসিক শক্তির কাছে কাবু হয়ে পড়ে , তখনই সে মৃদু ঈর্ষার সঙ্গে ভাবে ।
৩৯. “ মৃদু ঈর্ষার সঙ্গেই সে তখন ভাবে যে ...। ” — কী ভাবে ?
উত্তরঃ মৃদু ঈর্ষার সঙ্গে তখন নিখিল ভাবে যে , সে যদি নিখিল না হয়ে মৃত্যুঞ্জয় ইত , তাহলে খারাপ হত না ।
৪০. “ মৃত্যুঞ্জয়ের রকম দেখেই নিখিল অনুমান করতে পারল ...। ” — নিখিল কী অনুমান করতে পারল ?
উত্তরঃ নিখিল অনুমান করতে পারল যে , মৃত্যুঞ্জয় বড়াে একটা সংকটের মুখােমুখি হয়েছে এবং সেই সংকটের অর্থহীন কঠোরতায় সে শার্সিতে আটকে - পড়া মৌমাছির মতাে মাথা খুঁড়ছে ।
৪১. , “ মরে গেল ! না খেয়ে মরে গেল ! ” এই কথাটা মৃত্যুঞ্জয় নিখিলকে কীভাবে বলেছিল ?
উত্তরঃ প্রশ্নোধৃত কথাটি মৃত্যুঞ্জয় অন্যমনস্কভাবে , অস্ফুটবাক্যে আর্তনাদের মতাে করে নিখিলকে বলেছিল ।
৪২. “ আরও কয়েকটা প্রশ্ন করে নিখিলের মনে হল ...। ” কী মনে হয়েছিল নিখিলের ?
উত্তরঃ মৃত্যুঞ্জয়কে আরও কয়েকটি প্রশ্ন করে নিখিলের মনে হয়েছিল যে , মৃত্যুঞ্জয়ের মনের ভেতরটা যেন সে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে ।
৪৩. , “ সেটা আশ্চর্য নয় । কোনটা আশ্চর্য নয় ?
উত্তরঃ ফুটপাথের অনাহার - মৃত্যুর মতাে সাধারণ এবং সহজবােধ্য ব্যাপারটা যে মৃত্যুঞ্জয় ধারণায় আনতে পারছে না , নিখিলের কাছে তা আশ্চর্য নয় ।
৪৪. , নিখিল মৃত্যুঞ্জয়ের প্রতি কোন্ কোন্ নেতিবাচক মনােভাব মৃদুভাবে পােষণ করত ?
উত্তরঃ নিখিল মৃত্যুঞ্জয়ের প্রতি অবজ্ঞা এবং ঈর্ষা — এই দুই নেতিবাচক মনােভাব মৃদুভাবে পােষণ করত ।
৪৫. ‘ আদর্শবাদ ’ - এর বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে ‘ কে বাঁচায় , কে বাঁচে ' গল্পে কী বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ ‘ আদর্শবাদ ' হল মানবসভ্যতার সবচেয়ে পুরােনাে এবং সবচেয়ে পচা ঐতিহ্য — গল্পটিতে আদর্শবাদ সম্বন্ধে এমন কথাই বলা হয়েছে ।
৪৬. কে বাঁচায় , কে বাঁচে ’ গল্পে লেখক কীসের সম্বন্ধে বলেছেন যে , তা ‘ শ্লথ , নিস্তেজ নয় ’ ?
উত্তরঃ ‘ কে বাঁচায় , কে বাঁচে ’ গল্পে লেখক মৃত্যুঞ্জয়ের মানসিক ক্রিয়া - প্রতিক্রিয়া সম্বন্ধে বলেছেন যে , তা শ্লথ , নিস্তেজ নয় ।
৪৭. “ মৃত্যুঞ্জয়কে সেও খুব পছন্দ করে ” —মৃত্যুঞ্জয়কে পছন্দ করার কারণ কী ছিল ?
অথবা
নিখিল কেন মৃত্যুঞ্জয়কে ' হয়তাে মৃদু একটু অবজ্ঞার সঙ্গে ভালােও বাসে ?
উত্তরঃ মৃত্যুঞ্জয় নিরীহ , শান্ত , সহজসরল এবং সৎ হওয়ার পাশাপাশি মানবসভ্যতার প্রাচীনতম পচা ঐতিহ্য আদর্শর্বাদের কল্পনা - তাপস বলে নিখিল মৃত্যুঞ্জয়কে পছন্দ করত ।
উত্তরগুলো দিলে ভালো হতো
ReplyDelete