প্রশ্ন উত্তর আলাপ, পূর্ণেন্দু পত্রী || অষ্টম শ্রেণী বাংলা || সারসংক্ষেপ, নামকরণ, সহায়িকা || Alap questions and answers class 8th - Psycho Principal

Fresh Topics

Saturday, 25 June 2022

প্রশ্ন উত্তর আলাপ, পূর্ণেন্দু পত্রী || অষ্টম শ্রেণী বাংলা || সারসংক্ষেপ, নামকরণ, সহায়িকা || Alap questions and answers class 8th

 


আলাপ
পূর্ণেন্দু পত্রী 



লেখক - পরিচিতিঃ 

পূর্ণেন্দু পত্রী একাধারে সাহিত্যিক এবং চিত্র পরিচালক কবি ও ঔপন্যাসিক । ১৯৩৩ সালে ২ ফেব্রুয়ারি তিনি হাওড়ায় জন্মগ্রহণ করেন । তিনি তাঁর ছোটো গল্প এবং সমালোচনার জন্য বিখ্যাত । তাঁর বিখ্যাত ছোটোগল্পের সংকলন হলো ‘ স্টালিনের রাত । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপর তাঁর লেখা " আমার রবীন্দ্রনাথ ” রচনাটি প্রশংসার দাবি রাখে । তাঁর বিখ্যাত লেখাগুলি হলো “ একমুঠো রোদ ” ( ১৯৫১ ) , শব্দের বিছানা ( ১৯৭২ ) , কবিতার সংকলন “ কথোপকথন ” , বিখ্যাত । তিনি ক্ষীরের পুতুল ( ১৯৮২ ) , গীতগোবিন্দম ( ১৯৮১ ) , কালিঘাট ( ১৯৮১ ) , ছেঁড়া তমসুক ( ১৯৭৪ ) , স্ত্রীর পত্র ( ১৯৭২ ) প্রভৃতি বিখ্যাত চলচ্চিত্রগুলি পরিচালনা করেছেন । ১৯৯৭ সালে তিনি প্রয়াত হন । 


সারসংক্ষেপঃ

২১ ডিসেম্বর , সকাল সাড়ে ছটা । দিল্লির পালাম বিমানবন্দর । কুয়াশার কারণে নির্ধারিত সময়ে প্লেন ছাড়ছে না । সেই সময়ে সেখানকার কফি কর্ণারে কফির পেয়ালা হাতে দুই বিশ্ববিখ্যাত ব্যক্তি আলাপরত । দুজনেই দুটি ভিন্ন প্লেনে কলকাতার যাত্রী । একজন কলকাতায় ফিরছেন রাজস্থানে সিনেমার লোকেশন দেখে । আরেকজন আসছেন কলকাতায় সংগীত সম্মেলনে যোগ দিতে । দীর্ঘ পনেরো বছর পর দুজনের দেখা , তাঁরা দুজনেই খুশি । যিনি রাজস্থান থেকে ফিরছেন তিনি জিজ্ঞাসা করলেন অপরজনকে , যে বাজানোর সময় তিনি আলাপের অংশটাকে হেঁটে দেন কিনা । উত্তরে ভদ্রলোক তার কালো ওভারকোটের আড়াল থেকে একটি টিনের বাক্স বের করে একমুখ ধোঁয়া ছেড়ে বললেন যে , না একেবারেই নয় । বিশেষ করে বললেন জার্মানি বা ফ্রান্সের শ্রোতারা খুবই সচেতন । তিনি একঘন্টা পনেরো মিনিট থেকে নিয়ে দেড়ঘন্টা পর্যন্ত আলাপ করে বুঝেছেন যে আরও কিছুক্ষণ বাজালেও দর্শক তা শুনবে । তাল , রাগ , বোল , মীড়ের কাজ ইত্যাদি নিয়ে তারা খুবই সচেতন । যেমন ইউনিভারসিটির ছাত্ররা একটা লেকচার ডেকে তাতে প্রশ্ন করে বসল “ এই যে বাজাতে বাজাতে “ ইমপ্রোভাইজ ” করেন তা কী করে সম্ভব । 

এরপর আলাপ গড়াতে গড়াতে গেল রাজস্থানে । ওখানকার ফোক টিউন , ফোক ইনস্ট্রুমেন্ট নিয়ে । একটা বিষয় ওনারা দুজনেই একমত হলেন যে ওখানকার প্রত্যেকটি সাধারণ মানুষ এক একজন ওস্তাদ বাজিয়ে । এমন সব গানবাজনা ওখানকার ঘরে ঘরে বাজে , যার গভীরতা অতুলনীয় । 

একজন দিল্লি প্রবাসী বাঙালি খাঁ সাহেবকে প্রশ্ন করে যে , তিনি দিল্লিতে বাজান না কেন ? মুখে প্রসন্ন হাসির সাথে ঈষৎ বিদ্রূপ মিশিয়ে খাঁ সাহেব বলেন যে দিল্লির মানুষ গানবাজনা বোঝেনা । কলকাতার ওপর দিয়ে অনেক রাজনৈতিক ঝড় , গণ্ডগোল গেলেও কলকাতার মানুষ গানবাজনা ভোলেনি । এরপর তিনি মোরাদাবাদের একজন গুণী শিল্পীর কথা বললেন , যিনি কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন । তিনি বলে বসেন যে কলকাতার মানুষরা বে - রস । এরপর তিনি সেই ভদ্রলোককে কলকাতার জনৈক ঘোষ সাহেবের বাজনা শুনিয়ে এবং ঘোষ সাহেবকে “ ছোটো খাটো ” , “ ক্ষুদ্র শিল্পী ” বলায় মোরাদাবাদের ভদ্রলোক লজ্জায় পড়েন । এরপর কথার মধ্যে আসে যানবাহনের সমস্যার কথা । সেই কথার মধ্যেই হঠাৎ ধূসর রোদের ঝলকে বিমানবন্দর রুপোলি হয়ে উঠল । মাইক ঘোষণা করল প্লেন ছাড়বে তবে বিলম্বে । দুজনে নিজেেেদর বিশ্রাম আসনের দিকে এগিয়ে গেলেন । এই দুই বিশ্ববিখ্যাত যাত্রী হলেন সত্যজিৎ রায় এবং ওস্তাদ বিলায়েত্ খাঁ । 


নামকরণঃ

“ আলাপ ” অর্থাৎ পরিচয় , কথোপকথন । আবার বিভিন্ন রাগ বাজানোর আগে আলাপ করা হয় । আলাপ যদি ভালো হয় তাহলে বাকি রাগও ভালো হবে । গল্পের মধ্যে আমরা দুই ধরনের আলাপের কথাই পাচ্ছি । প্রথমত বিমানবন্দরে এই দুই কিংবদন্তির মধ্যে আলাপ । আর দ্বিতীয়ত রাগের আলাপ । এই দুই বিশ্ববিখ্যাত ব্যক্তির মধ্যেকার আলাপচারিতার একটি বড়ো অংশে রয়েছে রাগের আলাপের কথা । আলাপ কীভাবে করা হয় , কতক্ষণ ধরে করা হয় , দর্শকরা সেই আলাপ কী ভাবে শোনে , সেই আলাপ সম্পর্কে দর্শকদের কী মতামত হয় , তাদের কী প্রশ্ন জাগে ইত্যাদি বিষয় দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়েছে । আবার গল্পের শেষে আমাদের সাথে আলাপ হয়েছে এই দুই কিংবদন্তি সত্যজিৎ রায় এবং ওস্তাদ বিলায়েৎ খাঁর । গল্পটি প্রতিমুহূর্তে নতুন কোনো কিছুর সাথে আমাদের পরিচয় করিয়েছে । গল্পের মূল বিষয়বস্তু জুড়ে রয়েছে রাগের আলাপের কথা । তাই এই গল্পটির নামকরণ ' আলাপ ' একেবারে সঠিক হয়েছে ।


অতি - সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর 

১. পূর্ণেন্দু পত্রীর ছোটোগল্প সংকলনের নাম কী ? 

উঃ পুর্ণেন্দু পত্রীর ছোটোগল্প সংকলনের নাম “ স্টালিনের রা ” । 


২. পূর্ণেন্দু পত্রীর লেখা একটি বইয়ের নাম লেখো । 

উঃ পুর্ণেন্দু পত্রীর লেখা একটি বই হলো “ পুরোনো কলকাতার কথাচিত্র ” । 


৩. পূর্ণেন্দু পত্রীর কবিতা সংকলনের নাম লেখো । 

উঃ পুর্ণেন্দু পত্রীর কবিতা সংকলনের নাম “ কথোপকথন ” । 


৪. দুই বিশ্ববিখ্যাত ব্যক্তিরা কোন্ প্লেনের যাত্রী ছিলেন ? 

উঃ দুই বিশ্ববিখ্যাত ব্যক্তির একজন ছিলেন ৪০১ প্লেনের যাত্রী ও অপরজন ৪০১ / এ’র যাত্রী । 


৫. কোথায় বসে দুই বিশ্ববিখ্যাত ব্যক্তি কথা বলছিলেন ? 

উঃ দুজনে দিল্লির পালাম বিমান বন্দরের কফি - কর্ণারে বসে কথা বলছিলেন । 


৬. এই দুই বিশ্ববিখ্যাত ব্যক্তি কে কে ? 

উঃ এই দুই বিশ্ববিখ্যাত ব্যক্তি হলেন সত্যজিৎ রায় এবং ওস্তাদ বিলায়েৎ খাঁ ।


৭. কে কোথা থেকে কলকাতা ফিরছেন ? তিনি সেখানে কেন গিয়েছিলেন ? 

উঃ সত্যজিৎ রায় রাজস্থান থেকে কলকাতা ফিরছেন । তিনি রাজস্থানে পরবর্তী ছবির লেকেশন দেখে ফিরছিলেন । 


৮. ' আমার একটা বদ অভ্যাস আছে — কার কী বদ অভ্যাস আছে । 

উঃ ওস্তাদ বিলায়েৎ খাঁ সাহেবের একটা বদ অভ্যাস আছে । তিনি গ্রিনরুমে কথা বলেন , না । স্টেজে উঠে কথা বলেন । 


৯. যিনি বাজান তাঁর মতে কোন শ্রোতারা সচেতন ?

 উঃ তাঁর মতে বিদেশি শ্রোতারা অনেক বেশি সচেতন । 


১০. কোথাকার ফোক টিউন নিয়ে কথা হচ্ছিল ? 

উঃ রাজস্থানের ফোক টিউন নিয়ে কথা হচ্ছিল । 


১১. জনৈক দিল্লি প্রবাসী বাঙালি কী প্রশ্ন করেছিলেন ? 

উঃ তিনি খাঁ সাহেবকে প্রশ্ন করেছিলেন কেন তিনি দিল্লিতে বাজান না । 


১২. কোথাকার লোক গানবাজনার সত্যিকারের সমঝদার ? 

উঃ কলকাতার লোক গান বাজনার সত্যিকারের সমঝদার । 


১৩. মোরাদাবাদের শিল্পী কোথায় এসেছিলেন ? 

উঃ মোরাদাবাদের শিল্পী কলকাতায় এসেছিলেন । 


১৪. রচনাংশটিতে কোন্ বিমানবন্দরের কথা বলা হয়েছে ? 

উঃ রচনাংশটিতে দিল্লির পালাম বিমানবন্দরের কথা বলা হয়েছে ।


১৫. কফি কর্নার থেকে হাত সাতেক দূরে কী পড়ে আছে ? 

উঃ কফি কর্ণার থেকে হাত সাতেক দূরে বাকসো বন্দি হয়ে পড়ে আছে একটা লম্বা সেতার । 


১৬. দুই বিশ্ববিখ্যাত ব্যক্তির কতদিন পর দেখা হলো ?

 উঃ দীর্ঘ পনেরো বছর পর তাঁদের মুখোমুখি দেখা হলো । 


সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর 

১. সকালবেলার বিমানবন্দরের পরিবেশ বর্ণনা করো । 

উঃ সকালবেলা বিমানবন্দরের বাইরে ঘোর কুয়াশা । ভেতরে উদ্বিগ্ন যাত্রীদের ভিড় । একটু আগে মাইকে ঘোষণা করা হয়েছে যে কুয়াশার কারণে নির্ধারিত সময়ে বিমান ছাড়বে না । কখন ছাড়বে তা নির্ভর করছে কখন সূর্য উঠবে তার উপরে । W COFEE SHOP 


২. বিমানবন্দরে যে দুজনের কথা হচ্ছিল তাঁরা কারা ? তাঁরা কেন কলকাতায় আসছিলেন?

উঃ তাঁরা হলেন ওস্তাদ বিলায়েত্ খাঁ ও সত্যজিৎ রায় । বিমানবন্দরে যে দুজনের কথা হচ্ছিল তাঁদের একজন কলকাতায় ফিরছিলেন । সত্যজিৎ রায় রাজস্থানে গিয়েছিলেন তাঁর পরবর্তী ছবির লোকেশন দেখতে । আর একজন বিলায়েত্ খাঁ কলকাতায় আসছিলেন ওস্তাদ আলি খাঁ সংগীত সম্মেলনে যোগ দিতে । 


৩. যিনি সেতার বাজান তিনি কোথাকার দর্শকের এবং কী কারণে প্রংশসা করেছেন ?

 উঃ  ওস্তাদ বিলায়েৎ খাঁ জার্মানি এবং ফ্রান্সের দর্শকদের প্রশংসা করেছেন । তিনি সেতার বাজাতে গিয়ে দেখেছেন এইসব স্থানের শ্রোতারা অনেক বেশি সচেতন । কোন রাগ কেমন , তাল , বোল , মীড়ের কাজ এসব তাঁরা ভালোই বোঝেন । 


৪. ' আজকাল বিদেশি শ্রোতারা অনেক বেশি সচেতন । ' । বক্তা কীভাবে বুঝেছেন বিদেশি শ্রোতারা অনেক বেশি সচেতন ? 

উঃ যিনি সেতার বাজান অর্থাৎ বক্তা ওস্তাদ বিলায়েৎ খাঁ - এর মতে কলকাতার লোকেরা গান - বাজনা ভালোবাসে । তারা গান বাজনার সত্যিকারের সমঝদার । অনেক রাজনীতির ঝড় , গন্ডগোল ঘটে গেছে , তবু কলকাতার মানুষ গান বাজনাকে ভালোবাসতে ভোলেনি । * 


৫. মোরাদাবাদের শিল্পী কীভাবে লজ্জায় পড়েছিলেন লেখো ?

উঃ মোরাদাবাদের শিল্পী বলেছিলেন যে কলকাতার লোকেরা বে - রসিক । এরপর সেতার বাজিয়ে ভদ্রলোক তাঁকে হাত ধরে স্টেজে তুলে নিয়ে গিয়ে জনৈক ঘোষ সাহেবকে তবলা বাজাতে বলেন এবং ঘোষ সাহেবের পরিচয় দেন “ ছোটোখাটো ” এবং “ ক্ষুদ্রশিল্পী ” বলে । সেই ঘোষ সাহেবের বাজনা শুনে সেই মোরাদাবাদের শিল্পী লজ্জায় পড়ে যান ।


 ৬. ' গান থেকে আলোচনা ফিরে এল যানবাহনের সমস্যায় ' — যানবাহন নিয়ে কী আলোচনা হয়েছিল ? 

উঃ যিনি রাজস্থান থেকে ফিরছেন তিনি যানবাহন সমস্যার প্রসঙ্গ ধরে বললেন যে এভাবে চললে কিছুদিনের মধ্যে সব থেমে যাবে । এর রেশ ধরে সেতারী বললেন যে ঠিকই বলেছেন । দেরাদুন থেকে দিল্লি গাড়িতে আসার পেট্রোল খরচ চার গুণ বেশি পড়ল ।


৭. সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই কানে এল দুই শিল্পীর কথোপকথন ' — তাদের মধ্যে সংগীতের আলাপ নিয়ে কী কথা হয়েছিল তার বিবরণ দাও । 

উঃ রাজস্থান থেকে ফেরা শিল্পী প্রশ্ন করলেন সেতারী শিল্পীকে যে , তিনি যখন বাইরে গিয়ে বাজান তখন কী আলাপের অংশটাকে একটু ছোটো করেন । উত্তরে প্রসন্ন হাসিতে মুখ ভরিয়ে সেতারী শিল্পী জানালেন , না একেবারেই না । বিশেষ করে জার্মান বা ফ্রান্সে এক ঘণ্টা পনেরো মিনিট থেকে দেড় ঘণ্টাও আলাপ তিনি করেছেন এবং এও বুঝতে পেরেছেন যে এই আলাপ যদি আরো কুড়ি মিনিট বাড়িয়ে দেওয়া যায় তাও দর্শক মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনবে । তাছাড়া বিদেশি শ্রোতারা আজকাল অনেক বেশি সচেতন । কারণ কোন রাগ কেমন হবে , তাল , বোল মীড়ের কাজ তারা বেশ ভালোই বোঝেন । 


৮. ' কী রকম সব প্রশ্ন করে জানেন ? ’ — কারা কীরকম প্রশ্ন করে ? কে এই কথা বলছেন ? কী প্রশ্ন তারা করে লেখো । 

উঃ বিদেশের ইউনিভারসিটির ছাত্ররা প্রশ্ন করে । এই কথা বলছেন বিশ্ববিখ্যাত সেতারী ওস্তাদ বিলায়েৎ খাঁ । বিদেশের ছাত্ররা এক ঘণ্টার জন্য শিল্পীকে লেকচার দিতে যখন ডাকে , তখন তারা বেশ জটিল এক একটি প্রশ্ন করে । একবার এক ছাত্র শিল্পীকে প্রশ্ন করেছিল যে বাজাতে বাজাতে ‘ ইমপ্রোভাইজ ’ তিনি কীভাবে করেন এবং এটা কীভাবে সম্ভব হয় ?


 ৯. রাজস্থানের সংগীত নিয়ে শিল্পীদের মধ্যে কী আলাপ হয়েছিল ? 

উঃ দুই বিশ্ববিখ্যাত শিল্পী ওস্তাদ বিলায়েৎ খাঁ ও সত্যজিৎ রায় রাজস্থানের সংগীত নিয়ে আলোচনা করছিলেন । তাঁরা বলছিলেন ওখানকার ফোক টিউন ও ফোক ইনস্ট্রুমেন্ট সম্বন্ধে । তাঁরা দুজনেই একমত যে ওখানকার প্রতিটি সাধারণ মানুষও এক একজন ওস্তাদ বাজিয়ে । ওখানকার ঘরে ঘরে বাজা সাধারণ বাজনার যে গভীরতা রয়েছে তা ভোলা যায় না । 


১০. মোরাদাবাদের শিল্পী কীসের জন্য বিখ্যাত ছিলেন ? তিনি কী মন্তব্য করেছিলেন ?

 উঃ মোরাদাবাদের শিল্পী ছিলেন তবলায় একজন গুণী মানুষ । তিনি কলকাতার এক ঘরোয়া অনুষ্ঠানে হঠাৎ মন্তব্য করে বলেছিলেন যে কলকাতার মানুষজন বড়ো বে - রসিক । এখানে গানবাজনার তালিম পাওয়া লোকজনের সংখ্যা বড়োই কম । 


১১. খাঁ সাহেব দিল্লিতে বাজান না কেন ?

 উঃ খাঁ সাহেব দিল্লিতে বাজাতে চান না , কারণ দিল্লিতে বাজনা শোনার সমঝদার লোকের অভাব । তবু দিল্লি থেকে তাঁর ডাক আসে না তা নয় , কিন্তু শিল্পীমন থেকে তিনি দিল্লি শহরে বাজাতে সাড়া পান না ।

No comments:

Post a Comment