পঞ্চম অধ্যায়
মেঘ - বৃষ্টি
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :
1. সবথেকে উচ্চতম মেঘের উচ্চতা কত ?
উঃ । 20,000 ফুট ।
2. সিরাস মেঘ কীরুপ দেখতে ?
উঃ । সিরাস মেঘ স্বচ্ছ ও সাদা রঙের এবং দেখতে অনেকটা হালকা পালকের মতো ।
3. ‘ ম্যাকারেল আকাশ ' কাকে বলে ?
উঃ । পেঁজা তুলোর মতো দেখতে সিরোকিউমুলাস মেঘে আকাশ ছেয়ে গেলে তাকে ‘ ম্যাকারেল , আকাশ ’ বলে ।
4. অল্টোস্ট্যাটাস মেঘ কীসের পূর্বাভাস দেয় ?
উঃ । অল্টোস্ট্রাটাস মেঘ একটানা বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেয় ।
5. নিম্ন উচ্চতার মেঘের গড় উচ্চতা কত ?
উঃ । 6500 ফুট ।
6. স্ট্র্যাটোকিউমুলাস মেঘের অপর নাম কী ?
উঃ । Bumpy cloud ( বাম্পি ক্লাউড ) ।
7. কোন্ মেঘের জন্য বজ্রপাতসহ বৃষ্টিপাত হয় ? এই মেঘের অপর নাম কী ?
উঃ । কিউমুলোনিম্বাস মেঘের জন্য বজ্রপাতসহ বৃষ্টি হয় । এই মেঘের অপর নাম Thunder cloud ‘ থান্ডার ক্লাউড ' ।
৪. মেঘ কীভাবে সৃষ্টি হয় এককথায় লেখো ।
উঃ । সূর্যের তাপে সমুদ্র , নদী , পুকুরের জল উত্তপ্ত হয়ে বাষ্পে পরিণত হয়ে বায়ুতে মিশে ধূলিকণা অবলম্বন করে মেঘ সৃষ্টি হয় ।
9. বায়ুর কোন্ স্তরে মেঘ সৃষ্টি হয় ?
উঃ । বায়ুর টুপোস্ফিয়ার স্তরে মেঘ সৃষ্টি হয় ।
10. বাষ্পীভবন কী ?
উঃ । জল যখন বাষ্পে পরিণত হয় তাকে বাষ্পীভবন বলে ।
11. সম্পৃক্ত বায়ু কাকে বলে ?
উঃ । কোনো নির্দিষ্ট উন্নতায় নির্দিষ্ট পরিমাণ বায়ু যতটা পরিমাণ জলীয় বাষ্প ধারণ করতে পারে সেই পরিমাণ জলীয় বাষ্প থাকলে ওই বায়ুকে সম্পৃক্ত বায়ু বলে ।
12. সাধারণ মেঘের জলকণাগুলোর ব্যাস কত ?
উঃ । সাধারণ মেঘের জলকণাগুলির ব্যাস 0.02 মিমি ।
13. বৃষ্টিপাত কয়প্রকার ও কী কী ?
উঃ । বৃষ্টিপাত তিনপ্রকার , যথা- ( 1 ) পরিচলন , ( 2 ) শৈলোৎক্ষেপ , ( 3 ) ঘূর্ণবাত ।
14. প্রতিবাত ঢাল কাকে বলে ?
উঃ । পর্বতের যে ঢাল বরাবর বায়ু উপরের দিকে ওঠে ও বৃষ্টিপাত ঘটায় সেই ঢালই হল পর্বতের প্রতিবাত ঢাল ।
15. অনুবাত ঢাল কাকে বলে ?
উঃ । যে ঢাল বরাবর বায়ু নীচে নামে তাকে পর্বতের অনুবাত ঢাল বলে ।
16. চেরাপুঞ্জি ও শিলং -এর মধ্যে দূরত্ব কত ?
উঃ । চেরাপুঞ্জি ও শিলং এর মধ্যে দূরত্ব 56 কিমি ।
17. চেরাপুঞ্জিতে গড় বৃষ্টিপাত কত হয় ?
উঃ । 11,777 মিমি । 18. শিলং -এর বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত কত ? উঃ 2,207 মিমি ।
19. পর্বতের কোন্ ঢালে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি ঘটে ?
উঃ । পর্বতের প্রতিবাত ঢালে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি ঘটে ।
20. 2009 - 2013 সালে কোন্ কোন্ ঘূর্ণবাত , দেখা দিয়েছিল ? এর প্রভাবে কী হয়েছিল ?
উঃ । 2009 সালে আয়লা ও 2013 সালে ফাইলিন ঘুর্ণবাত দেখা দিয়েছিল । এর প্রভাবে ভারতের পূর্ব উপকূল তথা বাংলাদেশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল ।
21. বঙ্গোপসাগরে যে ঘূর্ণবাত দেখা যায় তার নাম কী ?
উঃ । সাইক্লোন ।
22. হ্যারিকেন ঘূর্ণবাত কোন্ অঞ্চলে দেখা যায় ?
উঃ । ক্যারিবিয়ান সাগর অঞ্চলে ।
23. গ্লিট কী ?
উঃ । জলকণা ও তুষারকণার আংশিক মিশ্রিত রূপকে গ্লিট বলে ।
24. কোন্ সময় শিলাবৃষ্টি ঘটে ?
উঃ । পশ্চিমবঙ্গে বসন্তকালে ও গ্রীষ্মকালে শিলাবৃষ্টি ঘটে ।
25. বৃষ্টিপাতের পরিমাণ মাপা হয় কোন যন্ত্রের সাহায্যে ?
উঃ । রেনগজ যন্ত্রের সাহায্যে বৃষ্টিপাত পরিমাণ মাপা হয় ।
26. শিশিরাঙ্ক কাকে বলে ?
উঃ । যে তাপমাত্রায় বায়ু সম্পৃক্ত হয় তাই হল ওই বায়ুর শিশিরাঙ্ক ।
27. ঘনীভবন কী ?
উঃ । জলীয়বাষ্পের জলকণায় পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়া হল ঘনীভবন ।
28. ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত বিভিন্ন জায়গায় কী কী নামে পরিচিত ?
উঃ । বঙ্গোপসাগরে সাইক্লোন , ক্যারিবিয়ান সাগরে হ্যারিকেন আবার চিন সাগরে টাইফুন নামে পরিচিত ।
29. গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ( Drizzle ) কাকে বলে ?
উঃ । 0.5 মিমি এর কম ব্যাসযুক্ত খুব ছোটো ছোটো জলকণা ভূপৃষ্ঠে ঝরে পড়লে তাকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি বলে ।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :
1. অধঃক্ষেপণ কাকে বলে ?
উঃ । পৃথিবীর অভিকর্ষের টানে বায়ুমণ্ডল থেকে জলকণা বা বরফকণা ভূপৃষ্ঠে নেমে এলে তাকে অধঃক্ষেপণ বলে । আমাদের সবচেয়ে পরিচিত অধঃক্ষেপণ হল বৃষ্টিপাত ।
2. ‘ ঘূর্ণবাতের চোখ ’ কী ?
উঃ । ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাতের উৎপত্তি হয় দুই গোলার্ধের 5 ° -20 ° অক্ষাংশের মধ্যবর্তী অঞ্চলে । এই ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে বায়ুর চাপ সব থেকে কম থাকে । তাই এই অংশের নাম ‘ ঘূর্ণবাতের চোখ ' । এখানে আকাশ পরিষ্কার ও মেঘমুক্ত থাকে ।
3. তুষারপাত কাকে বলে ?
উঃ । শীতপ্রধান দেশে এবং উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে জলীয়বাষ্পযুক্ত বায়ু হিমাঙ্কের থেকে কম উন্নতায় ঘনীভূত হলে জলকণার বদলে সরাসরি বরফকণায় পরিণত হয় । এই বরফকণাগুলো পরস্পর যুক্ত হয়ে ছোটো ছোটো বরফ খন্ডে পরিণত হয় , একেই বলে তুষার । এই তুষার মাধ্যাকর্ষণের টানে ভূপৃষ্ঠে ঝরে পড়লে তাকে তুষারপাত বলে ।
4. পরিচলন বৃষ্টি প্রভাবিত অঞ্চলগুলির বর্ণনা দাও ।
উঃ । নিরক্ষীয় অঞ্চলে সারাবছর সূর্যরশ্মি লম্বভাবে পড়ায় এবং জলভাগের বিস্তার বেশি হওয়ায় বায়ুমন্ডলে জলীয় বাষ্পের পরিমান বৃদ্ধি পায় । জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ু ওপরে উঠে শীতল ও ঘনীভূত হয়ে পরিচলন বৃষ্টিপাত ঘটায় । ( ii ) নাতিশীতোয়মন্ডলে গরমকালের শুরুতে এই বৃষ্টিপাত হয় । ( ii ) ক্রান্তীয়মন্ডলে মৌসুমি বায়ু অধ্যুষিত দেশগুলো যেমন — ভারত , বাংলাদেশ , ভিয়েতনাম , মায়ানমারে সাধারণত মৌসুমি বায়ু আসার আগে এবং শরৎকালে পরিচলন বৃষ্টিপাত হয় ।
5. কিউমুলোনিম্বাস ' মেঘের বর্ণনা দাও ।
উঃ । এই মেঘ দেখতে অনেকটা গম্বুজের মতো । সাদা , ধূসর ও কালো রঙের হয় । সাধারণ ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ুস্তর থেকে নাম 12000 ফুট পর্যন্ত এই মেঘের উল্লম্ব বিস্তার । এই মেঘের ওপরদিক চ্যাপ্টা ও তলদেশ প্রায় সমতল । কিউমুলোনিশ্বাস | মেঘে বজ্রপাতসহ ঋড় হয় বলে এর আরেক নাম বজ্রমেঘ । অনেক সময় এই মেঘ থেকে শিলাবৃষ্টি হতেও দেখা যায় ।
6. Bumpy Cloud কাকে বলে এবং কেন ?
উ: । স্ট্যাটোকিউমুলাস মেঘকে Bumpy Cloud বলে । কারণ এই মেঘ দেখতে অনেকটা স্তূপের মতো ও স্তরে স্তরে জানো থাকে । অনেক সময় দেখে মনে হয় স্তরগুলো যেন গড়িয়ে চলছে ।
7. শিশিরাঙ্ক কাকে বলে ?
উঃ ! যে অবস্থায় বায়ু আর জলীয় বাষ্প ধারণ করতে পারে না এবং অতিরিক্ত জলীয়বাষ্প শিশির আকারে নামতে থাকে , তাকে শিশিরাঙ্ক বলে । শিশিরাঙ্কে বায়ুর আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বাধিক 100 % হয় ।
৪. পরিচলন বৃষ্টি কাকে বলে ?
উঃ । যে সমস্ত অঞ্চলে সূর্যরশ্মি সারাবছর লম্বভাবে কিরণ দেয় এবং জলভাগের বিস্তার বেশি সেখানে বাষ্পীভবনের পরিমাণ বেশি হয় । এই জলীয় বাষ্পগুলি ঘনীভবন প্রক্রিয়ায় ছোটো ছোটো জলীয় কণায় পরিণত হয় এবং এই জলকনাগুলি ধূলিকণাকে আশ্রয় করে যে বৃষ্টিপাত ঘটায় তাকে পরিচলন বৃষ্টিপাত বলে । এই বৃষ্টিপাত অল্প জায়গায় মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে ।
9. শৈলোংক্ষেপ বৃষ্টিপাত কাকে বলে ?
উঃ । সমুদ্রের আর্দ্র জলীয় বাষ্পযুক্ত বায়ু পর্বত বা উচ্চভূমিতে বাধা পেয়ে ওপরে উঠে যায় এবং ওই বায়ু ক্রমশ প্রসারিত হয়ে ঠান্ডা হতে থাকে । আরও ওপরে উঠলে এই বায়ু সম্পৃক্ত হয়ে পড়ে এবং ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায় , একে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত বলে ।
10. বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল কাকে বলে ?
উঃ । পর্বতের প্রতিবাত ঢালে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হয় এবং এই বৃষ্টি হওয়ার পর বায়ু পর্বতের অনুবাত ঢালে আসে তখন জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে যায় এবং বায়ু যত নীচে নামতে থাকে তার উন্নতা তত বাড়তে থাকে এবং বায়ুর জলীয় বাষ্প বহু ধারণের ক্ষমতা বাড়তে থাকে , ফলে বায়ু অসম্পৃক্ত হয়ে যায় । এইজন্য অনুবাত ঢালে বৃষ্টিপাত কম হয় এবং এই ঢালকে বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল বলে ।
11. শিশির কাকে বলে ?
উঃ । শরৎ , হেমন্ত ও শীত ঋতুতে মেঘমুক্ত আকাশে রাতে যখন বায়ুর মধ্যে থাকা জলীয় বাষ্প শীতল ভূপৃষ্ঠের সংস্পর্শে দ্রুত ঘনীভূত হয়ে ছোটো ছোটো জলকণায় পরিণত হয় , তখন তাকে শিশির বলে ।
12. শিলাবৃষ্টি কাকে বলে ?
উঃ । ঊর্ধ্বমুখী বায়ুর প্রভাবে অনেক সময় জলকণাগুলি উঁচুতে উঠে যায় , সেখানে জলকণাগুলি ঠান্ডা হয়ে বরফের টুকরোতে পরিণত হয় এবং এই বরফের টুকরোগুলি জলকণার সাথে যুক্ত হয়ে আয়তনে বেড়ে যায় এবং বৃষ্টির সাথে ঝরে পড়ে , একে শিলাবৃষ্টি বলে ।
13. কুয়াশা কাকে বলে ?
উঃ । ভূ - পৃষ্ঠের কাছাকাছি জলীয় বাষ্পযুক্ত বায়ু ধূলিকণাকে আশ্রয় করে ঘনীভূত হয়ে ছোটো ছোটো জলকণায় পরিণত হয় । এই জলকণাগুলি বায়ুর স্তরে অনেকটা ধোঁয়ার মত ভাসতে থাকে , তাকে কুয়াশা বলে ।
14. ঘূর্ণবৃষ্টি কীভাবে ঘটে ?
উঃ । স্বল্পপরিসর কোনো স্থানের উন্নতা বেড়ে গেলে সেখানকার বায়ু উত্তপ্ত হয়ে উপরের দিকে উঠে যায় ফলে সেখানে বায়ুর চাপ কমে গিয়ে গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের সৃষ্টি হয় । এই নিম্নচাপের চারিদিকে বায়ুর চাপ বেশি থাকে এবং বায়ু শীতল হয় । উচ্চচাপের এই বায়ু প্রবলগতিতে নিম্নচাপের দিকে ছুটে আসায় ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয় এবং ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত তৈরি হয় । কেন্দ্রে প্রবেশের পর এই বায়ু উন্ন হয়ে ঘুরতে ঘুরতে ওপরের দিকে ওঠে এবং উর্ধ্বগামী এই বায়ু শীতল ও ঘনীভূত হয়ে বজ্রবিদ্যুৎসহ মুষলধারে বৃষ্টিপাত ঘটায় । একে ঘূর্ণবৃষ্টি বলে ।
15. নিরক্ষীয় অঞ্চলে চিরহরিৎ গাছের সৃষ্টি হয়েছে কেন ?
উ: । নিরক্ষীয় অঞ্চলে চিরহরিৎ গাছের অরণ্য সৃষ্টি হয়েছে কারণ এই অঞ্চলে সূর্যরশ্মি সারাবছর লম্বভাবে পড়ে ফলে এখানে গড়ে প্রায় 27 ° C উন্নতা বিরাজ করে । এখানে জলভাগের বিস্তার বেশি এর ফলে বায়ুমণ্ডলেও জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি হয় ফলে নিরক্ষীয় অঞ্চলে সারাবছর বৃষ্টিপাতের পরিমাণও বেশি । ভূমিভাগ সারাবছর আর্দ্র থাকার ফলে বৃক্ষের প্রয়োজনীয় জলের অভাব হয় না । তাই এখানে চিরহরিৎ গাছের অরণ্য সৃষ্টি হয়েছে ।
অধ্যায় -৬ জলবায়ু অঞ্চল প্রশ্ন উত্তর পড়তে ক্লিক করো
👉 ( অধ্যায় -৬ জলবায়ু অঞ্চল প্রশ্ন উত্তর )
রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর :
1. মেঘের সৃষ্টি হয় কীভাবে ?
উঃ । সূর্যের তাপে সমুদ্র , নদী , পুকুরের জল উত্তপ্ত হয়ে বাষ্পে পরিণত হয়ে বায়ুতে মেশে । এছাড়াও গাছপালার প্রস্বেদন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জলীয়বাষ্প বাতাসে যুক্ত হয় । এই জলীয়বাষ্পযুক্ত বায়ু সাধারণ বায়ু অপেক্ষা হালকা হয় এবং সহজে ওপরের দিকে উঠে যায় । ওপরে বায়ুর চাপ কম হওয়ায় জলীয়বাষ্পযুক্ত বায়ু প্রসারিত হয় । ওপরের শীতল বায়ুর সংস্পর্শে এসে জলীয় বাষ্পপূর্ণবায়ু তাড়াতাড়ি শীতল হয় ।
বায়ু যত শীতল হয় জলীয় বাষ্প ধরে রাখার ক্ষমতা তত কমে যায় । ধীরে ধীরে ওই আর্দ্র বায়ুর তাপমাত্রা শিশিরাঙ্কে এসে পৌঁছায় এবং বায়ু সম্পৃক্ত হয়ে পড়ে । এই সম্পৃক্ত বায়ু আরো শীতল হয়ে ঘনীভূত হয় এবং ছোটো ছোটো জলকণায় পরিণত হয় । এই জলকণা বায়ুতে ভাসমান ধূলিকণা , লবণকণাও নানাধরণের কঠিন কণিকাকে অবলম্বন করে মেঘ সৃষ্টি করে ।
2. ঘূর্ণবৃষ্টি কীভাবে ঘটে ?
উঃ । স্বল্পপরিসর কোনো স্থানের উন্নতা বেড়ে গেলে সেখানকার বায়ু উত্তপ্ত হয়ে উপরের দিকে উঠে যায় ফলে সেখানে বায়ুর চাপ কমে গিয়ে গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের সৃষ্টি হয় । এই নিম্নচাপের চারিদিকে বায়ুর চাপ বেশি থাকে এবং বায়ু শীতল হয় । উচ্চচাপের এই বায়ু প্রবলগতিতে নিম্নচাপের দিকে ছুটে আসায় ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয় এবং ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত তৈরি হয় । কেন্দ্রে প্রবেশের পর এই বায়ু উন্ন হয়ে ঘুরতে ঘুরতে ওপরের দিকে ওঠে এবং উর্ধ্বগামী এই বায়ু শীতল ও ঘনীভূত হয়ে বজ্রবিদ্যুৎসহ মুষলধারে বৃষ্টিপাত ঘটায় । একে ঘূর্ণবৃষ্টি বলে ।
Thank you
ReplyDeleteBappa ray
ReplyDeleteWrong
ReplyDeleteÆbdullaj
ReplyDelete