বাংলা
প্রশ্ন উত্তর
◾নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর দাও :
১ ড্রইং শিখতে লাগল খোকন'— খোকন কোথায় ড্রইং শিখত ? আর প্রথমদিকে কী কী আঁকত ?
উত্তর । → খোকন স্কুলে ড্রইং শিখত ।
◾খোকন প্রথম দিকে টুল , টেবিল , চেয়ার , কলশি , কাপ এবং গোরু আঁকত ।
২ ‘ একদিন তো মেঘের ছবি আঁকতে গিয়ে বেকুব হয়ে গেল খোকন'— ‘ বেকুব ’ শব্দটির অর্থ কী ? মেঘের ছবি আঁকতে গিয়ে খোকন বেকুব হয়ে গিয়েছিল কেন ?
উত্তর।‘বেকুব ’ ” শব্দের অর্থ হল বোকা বনে যাওয়া ।
◾ মেঘের ছবি আঁকতে গিয়ে খোকন বেকুব হয়েছিল তার কারণ হল— মেঘকে প্রথমে দেখতে ছিল হাতির মতো । আবার আঁকা শেষ হলে ওই হাতি যেন কুমির হয়ে গেছিল ।
৩ ‘ এগুলো সব নকল করা ছবি ।'— কে কাকে একথা বলেছেন ? ‘ নকল করা ছবি ’ বলতে তিনি কী বুঝিয়েছেন ?
উত্তর । → খোকনের বাবার বন্ধু বিখ্যাত চিত্রকর এই কথা খোকনকে বলেছেন ।
→ ‘ নকল করা ছবি ’ বলতে তিনি বলেছেন প্রকৃতিতে যা আছে হুবহু তাকে ছবিতে আঁকা হল নকল করা ছবি ।
◾নীচের প্রতিটি বাক্যকে দুটি বাক্যে ভেঙে লেখো :
১ সে যখন খুব ছোটো কাগজের উপর রঙিন পেনসিল দিয়ে হিজিবিজি কাটত ।
উত্তর । সে খুব ছোটো ছিল । ◾কাগজের উপর রঙিন পেনসিল দিয়ে হিজিবিজি কাটত ।
২ পুলের ছবিটা দেখেও খুব প্রশংসা করলেন মাস্টারমশাই ।
উত্তর । পুলের ছবিটা দেখলেন । ◾মাস্টারমশাই খুব প্রশংসা করলেন । তো সূর্যের মতো নয় ।
৩ সূর্যের যে ছবিটা এঁকেছে সেটা তো সূর্যের মত নয় ।
উত্তর । সে সূর্যের ছবিটা এঁকেছে । ◾ ছবিটা সূর্যের মতো নয় ।
৪ একদিন তো মেঘের ছবিটা আঁকতে গিয়ে বেকুব হয়ে গেল খোকন ।
উত্তর । একদিন মেঘের ছবিটা আঁকতে গেল । ◾মেঘের ছবিটা আঁকতে গিয়ে খোকন বেকুব হল ।
৫ খোকন একদিন নিজের ঘরে চোখ বুজে বসে রইল ।
উত্তর খোকন নিজের ঘরে রইল । ◾ খোকন চোখ বুজে বসে রইল ।
◾নীচের আলাদা আলাদা বাক্যগুলি জুড়ে একটি বাক্য তৈরি করো :
১ খোকন বড়ো হয়েছে । ক্লাস টেন - এ পড়ে ।
উত্তর :খোকন বড়ো হয়ে ক্লাস টেন - এ পড়ে ।
২ খোকনের বাবার একজন বন্ধু বিখ্যাত চিত্রকর । তিনি লক্ষ্ণৌ শহরে থাকেন ।
উত্তর । খোকনের বাবার একজন বন্ধু বিখ্যাত চিত্রকর লক্ষ্ণৌ শহরে থাকেন ।
৩ নিজের আঁকা ছবি ? তা কী করে আঁকব ?
উত্তর । নিজের আঁকা ছবি কী করে আঁকব ?
৪ চোখ বুজে বসে কল্পনা করো । কল্পনায় যা দেখবে সেটাই এঁকে ফেলো ।
উত্তর । চোখ বুজে বসে কল্পনায় যা দেখবে সেটাই এঁকে ফেলো ।
৫ তারপর হঠাৎ দেখতে পেল ওই কালোর ভেতরেই একটা মুখ রয়েছে । চোখও আছে ।
উত্তর । তারপর হঠাৎ দেখতে পেল ওই কালোর ভেতরেই একটা মুখ ও চোখ রয়েছে ।
৭ গল্পে রয়েছে এমন দশটি ইংরাজি শব্দ খুঁজে নিয়ে লেখো ।
উত্তর । ক . ক্লাস টেন । খ . পেনসিল । গ . স্কুল । ঘ . ড্রইং । ঙ . টেবিল চ . চেয়ার । ছ . কাপ । জ . বুক । ঝ , মাস্টার । ঞ . ফটো ।
৮. ' খোকন জিজ্ঞেস করলে— প্রকৃতি থেকে ? ' — প্রশ্ন পরিহার করো ।
উত্তর । প্রকৃতি থেকে কি না তা খোকন জিজ্ঞেস করলে ।
৯. লক্ষ্ণৌ শহরটি কোথায় ? সেখানকার একটি বিখ্যাত স্থাপত্যের নাম লেখো ।
উত্তর । লক্ষ্ণৌ শহরটি উত্তর প্রদেশে অবস্থিত । নবাবের প্রাসাদ হল সেখানকার বিখ্যাত স্থাপত্য ।
১০. খোকনের ' ড্রইংয়ের মাস্টারমশাই ' কীভাবে খোকনকে প্রকৃতি দেখতে শিখিয়েছিলেন ?
উত্তর । প্রকৃতিতে অনেক ছবি ছড়িয়ে আছে । সেগুলোকে দেখে দেখে আঁকবার উৎসাহ দিয়েছিলেন । বাড়ির সামনে বড়ো গাছকে দেখিয়ে তিনি খোকনকে আঁকতে শিখিয়েছিলেন ।
১১. প্রকৃতির দৃশ্যের যে বদল তাহরহ হয় তা খোকন কীভাবে বুঝলা ?
উত্তর । খোকন একদিন মেঘ দেখে ছবি আঁকছিল । মেঘটা দেখতে অনেকটা হাতির মতো । ছবি আঁকা শেষ হলে খোকন দেখে যে মেঘটা এখন কুমিরের মতো হয়ে গেছে । এই দৃশ্য দেখে খোকন বুঝতে পারে যে প্রাকৃতিক দৃশ্যের অহরহ বদল হয় ।
১২. ' খোকন অবাক হয়ে গেল , অবাক হয়ে চেয়ে রইল খোকন ' — এই দুই ক্ষেত্রে খোকনের ‘ অবাক হওয়ার । আর কারণ বিশ্লেষণ করো ।
উত্তর । খোকনের বাবার বন্ধু বিখ্যাত চিত্রকর যখন খোকনের আঁকা ছবি দেখতে চাইলেন তখন খোকন সব ছবি দেখায় । চিত্রকর বলেন — ' তোমার ছবি কই ? এ সবই তো কপি করেছ । এগুলো সব নকল করা ছবি । তোমার নিজের আঁকা ছবি কই ? ” এই কথা শুনে , খোকন অবাক হয়ে গেল ।
→→ খোকন নিজের ছবি আঁকতে চেষ্টা করল । অন্ধকার ছাড়া আর কিছু দেখতে পেল না । কালো রং আর তুলি নিয়ে আঁকতে চেষ্টা করল । খাতার পাতা কালো রঙে ভরে গেলো । হঠাৎ খোকন কালো রঙের ভিতর মুখ দেখতে পেল । চোখও দেখল । আর দেখল সে চোখে অদ্ভুত হাসি । নিজের প্রথম সৃষ্টির দিকে তাকিয়ে খোকন অবাক হয়ে চেয়ে রইল ।
১৩. ' চিত্রকর চলে গেলেন'— এই চিত্রকরের পরিচয় দাও । চলে যাওয়ার আগে তিনি খোকনকে কী বলে গেলেন ?
উত্তর । চিত্রকর হলেন খোকনের বাবার বন্ধু । তিনি লক্ষ্ণৌ শহরে থাকেন । তিনি প্রকৃতির কপি বা নকল করা ছবির থেকে নিজের মনে ছবি আঁকতে বেশি পছন্দ করেন । সেই কথা খোকনকেও বলে যান ।
১৪. ‘ এই অন্ধকারেরই ছবি আঁকবে'— কখন খোকন এমন সিদ্ধান্ত নিল ? অন্ধকারের সেই ছবির দিকে তাকিয়ে খোকন কী দেখতে পেল ?
উত্তর । — খোকন যখন নিজের ছবি আঁকার কথা ভাবল এবং চোখ বন্ধ করে নিজেকে দেখতে গিয়ে অন্ধকারকেই দেখতে পেল তখন সে সিদ্ধান্ত নেয় এই অন্ধকারের ছবি আঁকবে ।
→→ অন্ধকারের সেই ছবির দিকে তাকিয়ে খোকন দেখল একটা মুখের ছবি । চোখও দেখতে পেল এবং চোখে অদ্ভুত হাসি ।
৫. গল্পে ‘ খোকনের প্রথম ছবি ' হিসেবে তুমি কোন ছবিটিকে স্বীকৃতি দেবে এবং কেন তা বুঝিয়ে লেখো ।
উত্তর । নিজের আঁকা অন্ধকারের ছবি , যেখানে ধরা পড়েছে একটি মুখ , চোখ এবং অদ্ভুত হাসি । ওই ছবিটিকে প্রথম ছবি হিসেবে আমি স্বীকৃতি দেব তার কারণ , ওই ছবি খোকনের নিজের কল্পনা ও অনুভূতি মিশিয়ে করা । তার আগে আঁকা যাবতীয় ছবি হল নকল করা ছবি । সেখানে নিজের ভাবনা - চিন্তা ছিল না । তাই ওই ছবিটিকেই আমি প্রথম ছবি হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চাই ।
১৭. তুমি যদি বড়ো হয়ে সাহিত্যিক হও , কোন্ ছদ্মনাম তুমি ব্যবহার করবে এবং কেন— তা লেখো ।
উত্তর । প্রত্যেকে নিজের নিজের ভাবনা লেখো ।
১৮. খোকনের ড্রইংয়ের মাস্টারমশাই আর তার বাবার এক বন্ধু যে যে ভাবে তাকে ছবি আঁকতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন , তা লেখো । কোন্ রীতিটিকে তোমার পছন্দ হল এবং কেন তা যুক্তিসহ লেখো ।
উত্তর । খোকনের ড্রইং মাস্টারমশাই প্রকৃতির ছবি দেখে খোকনকে আঁকতে বলতেন । কিন্তু খোকনের বাবার এক বন্ধু নিজের কল্পনা দিয়ে ছবি আঁকতে বললেন ।
→→ এই দুটি রীতির মধ্যে আমার পছন্দ দ্বিতীয় রীতিটি । তার কারণ হল এই দ্বিতীয় রীতিতে প্রকৃতি থেকে নকলের কোনো ব্যাপার নেই । নিজের মনের মধ্যে কল্পনা ও অনুভূতি দিয়ে ছবিটি আঁকলে সেটা নিজের সৃষ্টি হয় ।
Very helpful thank you
ReplyDelete