তৃতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর পড়তে নিচের লিঙ্ক এ ক্লিক করো
👉 ( তৃতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর )
◾একটি বাক্যে উত্তর দাও:
1. ইতিহাস কী?
উত্তর: এককথায় ইতিহাস হল মানুষ ও তার কাজকর্মের ধারাবাহিক পরিবর্তনের কাহিনি ।
12. আদিম মানুষের পরিবার কী নামে পরিচিত?
উত্তর: আদিম মানুষের পরিবার হোমিনিড নামে পরিচিত।
3. এপ কাদের বলা হয়?
উত্তর: লেজহীন বড়ো বাঁদরদের এপ বলা হয় ।
4. কীসের সন্ধানে এপের দল গভীর জঙ্গলের খোঁজে বেরিয়ে পড়ল?
উত্তর: ফলমূলের সন্ধানে এপের দল গভীর জঙ্গলের খোঁজে বেরিয়ে পড়ল।
5. আজ থেকে কত বছর আগে এপদের থেকে হোমিনিডরা আলাদা হয়ে যায় ?
উত্তর: আজ থেকে প্রায় তিরিশ-চল্লিশ লক্ষ বছর আগে এপদের থেকে হোমিনিডরা আলাদা হয়ে যায় ।
6. ভারতীয় উপমহাদেশের সব থেকে পুরোনো পাথরের অস্ত্র কোথায় পাওয়া গেছে?
উত্তর: ভারতীয় উপমহাদেশের সব থেকে পুরোনো পাথরের অস্ত্র পাওয়া গেছে কাশ্মীরের সোয়ান উপত্যকায় ।
7. দাবানল কাকে বলে ?
উত্তর: বনে লাগা আগুনকে দাবানল বলে |
৪. আট হাজার বছরের পুরোনো বন্যপশুর হাড় কোথায় পাওয়া গেছে?
উত্তর: আট হাজার বছরের পুরোনো বন্যপশুর হাড় নর্মদা উপত্যকার আদমগড়ে পাওয়া গেছে ।
9. কত বছর আগে পুরোনো পাথরের যুগ শুরু হয়েছিল ?
উত্তর: আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ২০ লক্ষ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ১০ হাজার বছর আগে পুরোনো পাথরের যুগ শুরু হয়েছিল।
10. পুরোনো পাথরের যুগে মানুষ কোথায় বাস করত?
উত্তর: পুরোনো পাথরের যুগে মানুষ খোলা আকাশের নীচে বা গুহায় বাস করত ।
11. আদিম মানুষ হাতিয়ার ব্যবহার করত কেন?
উত্তর: আদিম মানুষ হিংস্র জন্তু-জানোয়ারের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য এবং খাদ্যসংগ্রহ করার জন্য হাতিয়ার ব্যবহার করত।
12. নতুন পাথরের যুগে মানুষ কোথায় বাস করত?
উত্তর: নতুন পাথরের যুগে মানুষ জমির কাছে বা জমিতে বা জলাশয়ের কাছে কুটির বা বাড়ি তৈরি করে স্থায়ীভাবে বাস করত।
13. কোন্ যুগে মানুষ ছোটো ছোটো বসতি বানাতে শুরু করে ?
উত্তর: মাঝের পাথরের যুগে মানুষ ছোটো ছোটো বসতি বানাতে শুরু করে।
14. মাটির পাত্র বানানো কোন্ যুগে শুরু হয় ?
উত্তর: নতুন পাথরের যুগে মাটির পাত্র বানানো শুরু হয়।
15. লুসির কঙ্কাল কত বছরের পুরোনো?
উত্তর: লুসির কঙ্কাল ৩২ লক্ষ বছরের পুরোনো ।
16. কত খ্রিস্টাব্দে ভীমবেটকা গুহার খোঁজ পাওয়া যায়?
উত্তর: ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে ভীমবেটকা গুহার খোঁজ পাওয়া যায়।
17. বাগোড়ের মানুষ কীসের গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিল?
উত্তর: বাগোড়ের মানুষ গৃহপালিত পশুর গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিল।
18. নতুন পাথরের যুগে মেয়েরা কী করত?
উত্তর: নতুন পাথরের যুগে মেয়েরা গৃহস্থালির কাজ ও শস্য উৎপাদনের কাজ করত।
19. জাঁতার মতো যন্ত্র কোথায় পাওয়া গেছে ?
উত্তর: জাঁতার মতো যন্ত্র পাওয়া গেছে উত্তরপ্রদেশের সরাই নহর রাইতে।
20. ঠান্ডা থেকে বাঁচার জন্য মানুষ কীসের সাহায্য নিয়েছিল?
উত্তর: ঠান্ডা থেকে বাঁচার জন্য মানুষ আগুনের উত্তাপ এবং পোশাক হিসেবে পশুর চামড়া ও গাছের ছাল ব্যবহার করত।
21. কোন যুগে মানুষ গোষ্ঠীবদ্ধ হয়েছিল?
উত্তর: নতুন পাথরের যুগে মানুষ গোষ্ঠীবদ্ধ হয়েছিল।
22. মানুষ কোন্ কারণে যে-কোনো পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে ?
উত্তর: মানুষ তার সংস্কৃতির জন্যই যে-কোনো পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে।
◾দু/তিনটি বাক্যে উত্তর দাও
1. এপদের গাছে ঘুরে বেড়ানো কঠিন হয়ে গেল কেন?
উত্তর: অনেকদিন ধরে ধীরে ধীরে আবহাওয়া পালটাতে থাকল| বিভিন্ন কারণে গাছপালাও আগের থেকে কমতে শুরু করে। তাই এপদের গাছে ঘুরে বেড়ানো কঠিন হয়ে গেল।
2. এপ থেকে হোমিনিড পরিবার কীভাবে আলাদা হয়ে গেল ?
উত্তর: আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং গাছপালার সংখ্যা কমে যাওয়ার ফলে এপদের গাছে বেড়ানো মুশকিল হয়ে পড়ল । ফলমূলেরও অভাব দেখা দিল। তখন এপদের একদল মাটিতে নেমে এল খাবারের খোঁজে। ক্রমে তারা দু-পায়ে দাঁড়াতে শিখল। এইভাবে ধীরে ধীরে এপ থেকে আলাদা হয়ে গেল হোমিনিড পরিবার ।
3. কোন্ কোন্ এলাকায় আদিম মানুষের সন্ধান পাওয়া গেছে ?
উত্তর: আফ্রিকা, চিন ও জাভায় আদিম মানুষের কঙ্কাল ও হাড়ের সন্ধান পাওয়া গেছে। সম্ভবত আফ্রিকা থেকে আদিম মানুষ ভারতীয় উপমহাদেশে এসেছিল। তাই উপমহাদেশে আদিম মানুষের নমুনা পাওয়া গেলেও তার পরিমাণ অল্প |
4. কারা আদিম মানুষ নামে পরিচিত?
উত্তর: আদিম কথার অর্থ হল খুব পুরোনো বা শুরুর দিকের। তাই খুব পুরোনো সময়ের মানুষদের আদিম মানুষ বলা হয় ।
5. লুসি কী ?
উত্তর: ১৯৭৪ সালে আফ্রিকা মহাদেশের ইথিওপিয়ার হাদার নামক জায়গায় অস্ট্রালোপিথেকাস মানুষের একটি কঙ্কালের কিছুটা অংশ পাওয়া গেছে। ৩২ লক্ষ বছর আগের এই কঙ্কালটি আসলে একটি ছোটো মেয়ের, যার নাম রাখা হয় লুসি। সেই থেকে প্রত্নতত্ত্বের ইতিহাসে লুসি অত্যন্ত পরিচিত নাম হয়ে ওঠে।
6. নতুন পাথরের যুগে মানুষের হাতিয়ার কেমন ছিল ?
উত্তর: নতুন পাথরের যুগে মানুষ মসৃণ, ধারালো এবং হালকা পাথরের হাতিয়ার ব্যবহার করত। এইসব হাতিয়ার আগের যুগের তুলনায় যথেষ্ট উন্নত ছিল ।
7. হুন্সগি কীজন্য বিখ্যাত ?
উত্তর: হুন্সগি কর্ণাটকের গুলবর্গা জেলার একটি প্রত্নস্থল। এখানে পুরোনো পাথরের যুগের নানা ধরনের হাতিয়ার পাওয়া গেছে। যেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল হাতকুড়ল, ছোরা, চাঁচুনি প্রভৃতি ।
8. ভীমবেটকা সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো ।
উত্তর: ভীমবেটকা হল মধ্যপ্রদেশের একটি প্রত্নস্থল। এখানে ১৯৫৭ সালে বেশ কয়েকটি গুহার সন্ধান পাওয়া যায়। এই গুহাগুলির দেয়ালে পুরোনো পাথরের যুগের আদিম মানুষের হাতে আঁকা নানা ছবি পাওয়া গেছে। গুগুলির প্রায় সবই হল শিকারের দৃশ্য |
9. ভীমবেটকা গুহার ছবি সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো ।
উত্তর: ভীমবেটকা গুহায় আদিম মানুষের আঁকা নানা জীবজন্তু ও শিকারের ছবি পাওয়া গেছে। জীবজন্তুর ছবির মধ্যে পাখি, মাছ, কাঠবেড়ালি প্রভৃতি বিশেষ উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া কতকগুলো ছবিতে মানুষের সঙ্গে কুকুরকেও দেখা যায়। ছবিগুলিতে সবুজ ও হলুদ রং ব্যবহার করা হলেও, সাদা ও লাল রং বেশি দেখা যায়।
◾ সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর
চার/পাঁচটি বাক্যে উত্তর দাও, প্রতিটা প্রশ্নের মান: 3
1. মানুষের বৈশিষ্ট্যগুলি সংক্ষেপে লেখো।
উত্তর: কতকগুলি বিশেষ বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে মানুষকে অন্যান্য প্রাণী থেকে আলাদা করা যায়। যেমন— [a] দু পায়ে হাঁটার ক্ষমতা, [b] হাতের সাবলীল ব্যবহার, [c] লম্বা মেরুদণ্ড, [d] বড়ো মস্তিষ্ক প্রভৃতি। এ ছাড়া মানুষই একমাত্র প্রাণী যে বুড়ো আঙুলকে অন্য কিছু ধরার কাজে ব্যবহার শ করতে পারে।
2. এপদের সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো।
উত্তর: পরিচয়: লক্ষ লক্ষ বছর আগে আফ্রিকা মহাদেশের পূর্বাংশে ছিল এক ধরনের বড়ো বানর। তাদের লেজ ছিল না। এই বানররা এপ নামে পরিচিত।
বৈশিষ্ট্য: এরা গভীর জঙ্গলে গাছে গাছে ঘুরে বেড়াত। খাদ্য হিসেবে এরা গাছের ফলমূল খেত।
3. আদিম মানুষের ভাগগুলি কী কী ?
উত্তর: এখনও পর্যন্ত সবথেকে পুরোনো আদিম মানুষের সন্ধান পাওয়া গেছে পূর্ব আফ্রিকায়। মস্তিষ্কের আকারের ভিত্তিতে এইসব মানুষদের কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়। এদের মধ্যে সবচেয়ে পুরোনো ছিল অস্ট্রালোপিথেকাস বা গ্রুপ থেকে মানুষ। অন্যান্য ভাগ হল হোমো হাবিলিস বা দক্ষ মানুষ, হোমো ইরেকটাস বা সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারা মানুষ এবং হোমো স্যাপিয়েন্স বা বুদ্ধিমান মানুষ ।
4. অস্ট্রালোপিথেকাস মানুষদের সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো।
উত্তর: সাধারণভাবে অস্ট্রালোপিথেকাস মানুষ হল এপ থেকে হওয়া মানুষ। আনুমানিক ৪০ লক্ষ থেকে ৩০ লক্ষ বছর আগে এই শ্রেণির মানুষের অস্তিত্ব ছিল। এরা দু-পায়ে ভর দিয়ে কোনোরকমে দাঁড়াতে পারত। এদের চোয়াল শক্ত ও সুগঠিত থাকায় শক্ত বাদাম, শুকনো ফল প্রভৃতি চিবিয়ে খেতে পারত। এরা গাছে ডাল দিয়ে ধাক্কা মারত এবং পাথর ছুঁড়তে পারত।
5. হোমো স্যাপিয়েন্স বা বুদ্ধিমান মানুষদের সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো ।
উত্তর: আজ থেকে প্রায় ২ লক্ষ ৩০ হাজার বছর আগে হোমো স্যাপিয়েন্স বা বুদ্ধিমান মানুষের আবির্ভাব ঘটেছিল । এই শ্রেণির মানুষ দলবেঁধে নানা পশু শিকার করত এবং প্রয়োজনে আগুন ব্যবহার করত। এরা পশুর মাংস পুড়িয়ে খেত। এই শ্রেণির মানুষরা পোশাকরূপে পশুর চামড়া পরত। এরা ছোটো, কিন্তু তীক্ষ্ণ ও ধারালো পাথরের অস্ত্র তৈরি করতে শিখেছিল। এদের সবচেয়ে বড়ো কৃতিত্ব হল যে, এরা বর্ণাজাতীয় পাথরের অস্ত্র বানাতে পারত ।
6. নতুন পাথরের যুগে মানুষের জীবনযাত্রার ক্ষেত্রে কী কী পরিবর্তন এল?
উত্তর: আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৮ হাজার থেকে খ্রিস্টপূর্ব ৪ হাজার বছর আগে নতুন পাথরের যুগের সূচনা হয়। এসময় মানুষ হালকা ও ধারালো হাতিয়ার বানানো শুরু করে। এই যুগেই মানুষ প্রথম কৃষিকাজ শেখে এবং নিজেরাই খাদ্য উৎপাদনে সক্ষম হয়।
কৃষিকাজ শুরু হওয়ার ফলে যাযাবর মানুষের স্থায়ী জীবনযাত্রার সূচনা হয়। শিকার ও পশুপালন থেকে যা পাওয়া যেত তা গোষ্ঠীবদ্ধ মানুষের সকলেই সমানভাবে ভাগ করে নিত। এই যুগের সমাজে নানা কারিগর শ্রেণির উদ্ভব ঘটে, যার ফলে সমাজ ও সভ্যতা উন্নত হয়ে ওঠে।
7. হুন্সগি উপত্যকা থেকে কী ধরনের হাতিয়ার পাওয়া গেছে ?
উত্তর: কর্ণাটকের গুলবর্গা জেলার উত্তর-পশ্চিমে হুন্সগি উপত্যকা অবস্থিত। ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে মাটি খুঁড়ে সেখানে পুরোনো পাথরের যুগের হাতকুডুল, ছোরা বা ছুরি এবং চাছুনি জাতীয় হাতিয়ার পাওয়া গেছে। অনুমান করা হয় যে, এইসব হাতিয়ার তৈরি হয়েছিল আজ থেকে পাঁচ-ছয় লক্ষ বছর আগে। অনেকে মনে করেন যে, হুন্সগিতে পাথরের হাতিয়ার তৈরি করা হত। নানা ধরনের বন্যপশু, গাছপালা ও খালের জল থাকার কারণেই সম্ভবত এই জায়গাটা আদিম মানুষরা বেছে ছিল।
৪. বাগোড় এলাকার সংস্কৃতি সম্পর্কে লেখো ।
উত্তর: রাজস্থানের বাগোড় অঞ্চল একটি বিশিষ্ট প্রত্নক্ষেত্র। এখানে আদিম মানুষের বসতির চিহ্ন এবং পশুর হাড় পাওয়া গেছে, যা থেকে বোঝা যায় যে বাগোড়ের বাসিন্দারা পশুপালন করত। পরে অবশ্য গৃহপালিত পশুর সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি শিকার করা পশুর সংখ্যা ক্রমশ কমতে থাকে। তাই মনে করা হয় বাগোড়ের অধিবাসীরা গৃহপালিত পশুর গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিল। তারা একদিকে শিকার এবং অন্যদিকে পশুপালন উভয়েই অভ্যস্থ ছিল।
9. নতুন পাথরের যুগে মানুষের কৃষিকাজ শেখার ফলে কী হয়েছিল ?
উত্তর: নতুন পাথরের যুগে কৃষিকাজ শেখার ফলে মানুষের জীবনযাত্রায় নানান পরিবর্তন দেখা দেয়। এগুলি হল— [a] কৃষি অঞ্চলেই মানুষ স্থায়ী বসতি বানিয়ে থাকতে শুরু করে। ফলে তাদের যাযাবর জীবন শেষ হয়ে যায়। [b] তাদের খাবার নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা থাকে না। কেননা কৃষিকাজ খাদ্য উৎপাদন সুনিশ্চিত করে। [c] পশুপালনও সহজ হয়ে গেল। কারণ গবাদিপশুর খাবার জন্য অঢেল খড়, বিচালি প্রভৃতি পাওয়া সহজ হল । [d] খাদ্য ও বাসস্থান সুনিশ্চিত হওয়ার ফলে তারা জোট বেঁধে থাকতে শুরু করে যা পরে সমাজের জন্ম দেয় ।
10. নতুন পাথরের যুগকে 'নতুন' বলা হয় কেন ?
উত্তর: মানবসভ্যতার অগ্রগতির ক্ষেত্রে নতুন পাথরের যুগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কেননা এসময় মানবসভ্যতার ক্ষেত্রে কতকগুলি বিশেষ পরিবর্তন এসেছিল। যেমন—[a] আগের তুলনায় মানুষের হাতিয়ার বানানোর কৌশল আরও উন্নত হয়েছিল। [b] এসময় মানুষ কৃষিকাজ শেখার ফলে খাদ্য উৎপাদন করতে শিখেছিল। [c] মানুষ স্থায়ী বসতি নির্মাণ করতে শিখেছিল। এইসব কারণের জন্যই নতুন পাথরের যুগকে 'নতুন' বলা হয় |
11. উত্তরপ্রদেশের সরাইনহর রাইতে যে ধরনের হাতিয়ার ও যন্ত্রপাতি পাওয়া গেছে তার উদাহরণ দাও ।
উত্তর: উত্তরপ্রদেশের সরাইনহর রাইতে নানা ধরনের হাতিয়ার ও যন্ত্রপাতি পাওয়া গিয়েছিল। এখানে পাওয়া হাতিয়ারগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল—দু-দিকে ধারওয়ালা ছুরি, হাড়ের তৈরি তিরের ফলা প্রভৃতি | এখানে জাঁতার মতো যন্ত্র পাওয়া গেছে। এইসব জাঁতা সম্ভবত দানাশস্য পেষাই করার কাজে ব্যবহার করা হত।
12. সংস্কৃতি' কী?
উত্তর: সাধারণভাবে সংস্কৃতি কথাটির মাধ্যমে নাচ-গান, শিল্প-সাহিত্য, পোশাক-পরিচ্ছদ, মানুষের খাওয়া-দাওয়া, রুচি, অবসরবিনোদন সহ নানা কাজকর্মকে বোঝায়। সুপ্রাচীনকাল থেকে বর্তমান যুগ পর্যন্ত মানবসভ্যতার অগ্রগতির অন্যতম অঙ্গ হল এই সংস্কৃতি। মানুষের সংস্কৃতিই তার পরিচয় |
◾দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর
আট/দশটি বাক্যে উত্তর দাও
1. এপরা কীভাবে নানা অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ল ?
উত্তর: ভূমিকা: একসময় আফ্রিকা মহাদেশের পূর্বাঞ্চলে ছিল ঘন জঙ্গল। সেই জঙ্গলে ছিল বিশাল আকারের ভয়ানক সব প্রাণী | আর ছিল লেজহীন বানর, যাদের বলা হত এপ।এপদের ছড়িয়ে পড়া; ধীরে ধীরে আবহাওয়া বদলাতে থাকে এবং গাছের সংখ্যাও কমে যায়। ফলে এপদের গাছে গাছে ঘুরে বেড়ানো কঠিন হয়ে পড়ে। খাদ্যের জন্য ফলমূলেরও অভাব দেখা দেয় । তখন এপদের একদল গভীর জঙ্গলের খোঁজে বেরিয়ে পড়ল । এদের অন্যদলটি আবার খাবারের সন্ধানে গাছ থেকে মাটিতে নেমে এল। তারা দু-পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করল, খুঁজতে থাকল খাবার। ধীরে ধীরে এপ থেকে আলাদা হয়ে গেল মানুষ পরিবার বা হোমিনিড |
2. হোমো হাবিলিস মানুষ সম্পর্কে কী জান লেখো ।
উত্তর: পুরোনো বা মানবসভ্যতার গোড়ার দিকের মানুষকে বলা হয় আদিম মানুষ মস্তিষ্কের আকারের বিচারে আদিম মানুষকে নানাভাবে ভাগ করা হয়।
এই ভাগের একটি অন্যতম হল হোমো হাবিলিস । এই শ্রেণির মানুষ মানবসভ্যতার ইতিহাসে দক্ষ মানুষ নামে পরিচিত। আনুমানিক ২৬ লক্ষ থেকে ১৭ লক্ষ বছর আগে এই শ্রেণির মানুষের আবির্ভাব ঘটেছিল | এরা দলবদ্ধভাবে বাস করত । সাবলীলভাবে হাঁটতে পারত। এদের খাদ্য ছিল ফলমূল ও কাঁচা মাংস |
এরাই প্রথম পাথরকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে। এরা একটা পাথরের সাহায্যে অন্য পাথরকে জোরে আঘাত করে পাথরের অস্ত্র বানাতে শুরু করে ।
3. মানবসভ্যতার ক্ষেত্রে আগুনের ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি বিষয় কেন?
উত্তর: ভূমিকা: পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীদের মধ্যে একমাত্র মানুষই আগুন জ্বালাতে ও ব্যবহার করতে পারে। নানা কারণে মানবসভ্যতার ক্ষেত্রে আগুনের ব্যবহার ছিল একটি অত্যন্ত জরুরি বিষয়। যেমন—
[a] ঠান্ডার হাত থেকে রেহাই: আদিম মানুষ প্রথমদিকে খোলা আকাশের নীচে বা গুহায় বসবাস করত । তাই ঠান্ডার সময় তাদের প্রচণ্ড কষ্ট হত। আগুন জ্বালাতে শেখার পরে তারা আগুনের উত্তাপের সাহায্যে প্রচণ্ড ঠান্ডা থেকে রেহাই পেল।
[b] হিংস্র বন্যপশু থেকে আত্মরক্ষা: আগুনের ব্যবহার মানুষকে হিংস্র বন্যপশুর আক্রমণ থেকে বাঁচতে আলাদা শক্তি জোগায় | বন্যপশুরা আগুনকে ভয় পেত, তাই খুব সহজেই আগুন ব্যবহার করে মানুষ এই পশুদের আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পেরেছিল।
[c] খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন: দাবানলের সময় মৃত পশুদের পোড়া মাংস খেয়ে মানুষ তার আলাদা স্বাদ বুঝতে পারে । তাই পরে আগুনের ব্যবহার শেখার ফলে তারা মাংস পুড়িয়ে খেতে শুরু করে।
[d] শারীরিক গঠনের পরিবর্তন: আগুনে ঝলসানো মাংস খাওয়ার ফলে মানুষের চোয়াল ও দাঁতের জোর কম লাগত। তাই ধীরে ধীরে চোয়াল সরু হয়ে এল এবং সামনের ধারালো উঁচু দাঁতও ছোটো হয়ে গেল | তাই সার্বিকভাবে বলা যায়, আগুনের ব্যবহারের ফলে মানুষ উন্নতির দিকে আরও একধাপ এগিয়ে যায় |
So much thank you
ReplyDeleteTnq
ReplyDeleteYou have also to give the index answer
ReplyDelete