ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর নবম অধ্যায় ষষ্ঠ শ্রেণী সহায়িকা || Class 6th History Questions And Answers Chapter -9 - Psycho Principal

Fresh Topics

Friday, 16 September 2022

ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর নবম অধ্যায় ষষ্ঠ শ্রেণী সহায়িকা || Class 6th History Questions And Answers Chapter -9

 

ইতিহাস 
প্রশ্ন উত্তর



একটি বাক্যে উত্তর দাও:

 1. কোন্ ঐতিহাসিক বলেছিলেন যে ইন্দুস বা ইন্ডিয়া ছিল পারসিক সাম্রাজ্যের একটি প্রদেশ বা স্যাট্রাপি ?

 উত্তর: গ্রিক ঐতিহাসিক হেরোডোটাস বলেছিলেন যে ইন্দুস বা ইন্ডিয়া ছিল পারসিক সাম্রাজ্যের একটি প্রদেশ বা স্যাট্রাপি |


 2. সুমেরের লোকেরা কোন্ কোন্ বিষয়ে জ্ঞানচর্চা করত ?

 উত্তর : : সুমেরের লোকেরা গণিত, জ্যোতির্বিজ্ঞান ও নানারকম জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা করত।


 3. মিশরীয় সভ্যতায় কাদের মৃতদেহ রাখার জন্য পিরামিড তৈরি করা হত ? 

 উত্তর: মিশরীয় সভ্যতায় মিশরের শাসক ফ্যারাওদের মৃতদেহ রাখার জন্য পিরামিড তৈরি করা হত |


 4. শক ও কুষাণদের সময়ে স্যাট্রাপদের নাম পরিবর্তিত হয়ে কী হয়েছিল ? 

উত্তর: শক ও কুষাণদের সময়ে স্যাট্রাপদের নাম পরিবর্তিত হয়েহয়েছিল ক্ষত্রপ।


 5. পারস্য সম্রাট প্রথম দরায়ুসের কথা কোন্ উপাদান থেকে পাওয়া যায় ?

 উত্তর: পারস্য সম্রাট প্রথম দরায়ুসের কথা ‘নকস-ই-রুস্তম' লেখ থেকে পাওয়া যায়।


 6. মৌর্য সম্রাট অশোক তাঁর সাম্রাজ্যে কীভাবে নিজের বক্তব্য প্রচার করতেন?

 উত্তর: মৌর্য সম্রাট অশোক তাঁর সাম্রাজ্যে লেখের মাধ্যমে নিজের বক্তব্য প্রচার করতেন।


 7. স্কাইথীয়রা উপমহাদেশে কী নামে পরিচিত ছিল ?

 উত্তর: স্কাইথীয়রা উপমহাদেশে সেক বা শক নামে পরিচিত ছিল।


 ৪. মিশররাজ টলেমি প্রেরিত দূতের নাম কী ?

 উত্তর: মিশররাজ টলেমি প্রেরিত দূতের নাম ডায়োনিসিয়াস ।


 9. গুপ্তবংশের কোন্ সম্রাট হুন আক্রমণ প্রতিহত করেছিলেন?

 উত্তর : গুপ্ত সম্রাট স্কন্দগুপ্ত হুন আক্রমণ প্রতিহত করেছিলেন। 


10. সেন্ট থমাস কী উদ্দেশ্যে ভারতীয় উপমহাদেশে এসেছিলেন?

 উত্তর: সেন্ট থমাস খ্রিস্টধর্ম প্রচারের জন্য ভারতীয় উপমহাদেশে এসেছিলেন।


11. কারা প্রথম উপমহাদেশে সোনার মুদ্রা চালু করেন? 

উত্তর: ইন্দো-গ্রিক শাসকরা প্রথম উপমহাদেশে সোনার মুদ্রা চালু করেন।


 12. কোন্ শাসক নিজের মুদ্রায় রাজাতিরাজ উপাধি ব্যবহার করেছিলেন ? 

উত্তর: শক শাসক যোগ নিজের মুদ্রায় রাজাতিরাজ উপাধি ব্যবহার করেছিলেন। 


13. উপমহাদেশে ঘোড়ার লাগাম ও জিনের ব্যবহার কারা শুরু করেছিল?

উত্তর:শক-পত্নবরা উপমহাদেশে ঘোড়ার লাগাম ও জিনের ব্যবহার শুরু করেছিল।


 14. সুয়ান জাং কার কাছে বৌদ্ধধর্মের শিক্ষা নেন?

 উত্তর: সুয়ান জাং পণ্ডিত শীলভদ্রের কাছে বৌদ্ধধর্মের শিক্ষালাভ করেন ।


 সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর

 দুতিনটি বাক্যে উত্তর দাও :


 1. হায়ারোগ্লিফিক লিপি কাকে বলে ? 

উত্তর: প্রাচীন মিশরে বর্ণ ও ছবি মিলিয়ে একধরনের লিপি প্রচলিত ছিল। এই ধরনের লিপিকে বলা হয় হায়ারোগ্লিফিক লিপি |


 2. দরায়বৌষ ইন্দুস বা ইন্ডিয়া জয় করেন কেন ?

 উত্তর: গ্রিক ঐতিহাসিক হেরোডোটাসের লেখা থেকে জানা যায় যে, ‘ইন্দুস’ বা ‘ইন্ডিয়া' ছিল পারসিক সাম্রাজ্যের একটি প্রদেশ বা স্যাট্রাপি  দরায়বৌষ চেয়েছিলেন নিম্নসিন্ধু এলাকায় দখল কায়েম করতে। সে কারণেই তিনি ইন্দুস বা ইন্ডিয়া জয় করেছিলেন।


 3. স্যাট্রাপ বা ক্ষত্রপ কাদের বলা হয়? 

উত্তর: পারসিক বা হখামনীষীয় শাসকরা প্রদেশ শাসনের কাজে একধরনের কর্মচারী নিয়োগ করতেন। এদেরই বলা হত স্যাট্রাপ বা ক্ষত্ৰপ | শক ও কুষাণ শাস্করা এই ব্যবস্থা চালু রেখেছিলেন |


 4. মৌর্য শাসনের শেষদিকে ভারতীয় উপমহাদেশে কী কী বদল এসেছিল? 

উত্তর: মৌর্য শাসনের শেষদিকে ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে নানা বদল এসেছিল। উপমহাদেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম অংশে গ্রিক এবং শক-পহ্লবদের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। এসময় ব্যাকট্রিয়ার গ্রিকরা উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত অঞ্চল এবং গান্ধারের তক্ষশিলা পর্যন্ত নিজেদের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিল।


5. পহুর কাদের বলা হত ?

 উত্তর: খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতকের শুরুর দিকে ইরান থেকে পার্থীয়রা ভারতীয় উপমহাদেশে চলে আসে | এই পার্থীয়রাই এদেশে পহ্লব নামে পরিচিত। এদের বিখ্যাত শাসক ছিলেন গন্ডোফারনেস।


 6. দূত বিনিময় বলতে কী বোঝ ? 

উত্তর: প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশ ও বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ছিল দূতের আদানপ্রদান, যা দূত বিনিময় নামে পরিচিত। মূলত মৌর্য আমলেই এই দূত বিনিময় শুরু হয়েছিল। এইসব দূতের অনেকেই তাঁদের অভিজ্ঞতা লিখে রেখেছিলেন।


7. ইরিথ্রিয়ান সাগর কী?

 উত্তর: প্রাচীন গ্রিক ও রোমান ভূগোলে ভারত মহাসাগর, লোহিত সাগর ও পারস্য উপসাগরকে ইরিথ্রিয়ান সাগর বলা হত | এই সাগরে যাতায়াত ও বাণিজ্যের ব্যাপারে একটি বই লেখা হয়েছিল, যা 'পেরিপ্লাস অব দ্য ইরিথ্রিয়ান সী' নামে পরিচিত।


 ৪. ইন্দো-পারসিক স্থাপত্য কী?

 উত্তর: আলেকজান্ডার পারসিক সাম্রাজ্যের পার্সিপোলিস নগরী ধ্বংস করে দিলে পারসিক শিল্পীদের অনেকেই ভারতীয় উপমহাদেশে চলে আসতে বাধ্য হন। এরাই ভারতে যে স্থাপত্যশিল্প সৃষ্টি করেন তা ইন্দো-পারসিক স্থাপত্য নামে পরিচিত।


 9. শক-পহ্লব ও কুষাণদের জীবনযাপনের নানা উপাদান উপমহাদেশের জীবনযাপনে কী ছাপ ফেলেছিল ?

 উত্তর: শক-পহ্লব ও কুষাণদের জীবনযাপনের নানা উপাদান ভারতীয় সভ্যতা-সংস্কৃতিকে যথেষ্ট প্রভাবিত করেছিল। আবার তারাও এদেশের সমাজ-সংস্কৃতি ও ধর্ম থেকে অনেক কিছু নিয়েছিল। সেকালের যুদ্ধরীতি, পোশাক-পরিচ্ছদ, ঘরবাড়ি ও সংস্কৃতির নানা ক্ষেত্রে এর প্রমাণ পাওয়া যায় |


 10. ভারতীয় নাটকের ওপর কীভাবে গ্রিক প্রভাব পড়েছিল ?

 উত্তর: ভারতীয় উপমহাদেশের নাটকের চর্চার ওপরও গ্রিক প্রভাব পড়েছিল, যা দেখা যায় নাট্যমঞ্চ তৈরি, পর্দার ব্যবহার প্রভৃতি ক্ষেত্রে | নাটকের পর্দাকে সংস্কৃতে বলা হয় ‘যরনিকা’। গ্রিকরাই এই পর্দা ব্যবহার চালু করেছিল। গ্রিকদের ‘যবন' নাম থেকেই ‘যবনিকা' শব্দের উদ্ভব।


সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর

 চার পাঁচটি বাক্যে উত্তর দাও:


 1. প্রাচীন ভারতীয় গিরিপথগুলির কী গুরুত্ব ছিল? 

উত্তর: প্রাচীনকালে ভারতীয় উপমহাদেশের সঙ্গে বহির্বিশ্বের যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ছিল গিরিপথ।গিরিপথগুলির গুরুত্ব: ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর পশ্চিমের গিরিপথগুলির মাধ্যমেই পশ্চিম ও মধ্য এশিয়ার সঙ্গে ভারতীয় উপমহাদেশের যোগাযোগ হত। অন্যদিকে হিমালয় পর্বতমালার গিরিপথ দিয়ে চিন ও তিব্বতের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় ছিল। তবে উত্তর-পশ্চিমের গিরিপথ দিয়েই বিভিন্ন বিদেশি রাজনৈতিক শক্তি উপমহাদেশে এসে ক্ষমতা কায়েম করেছিল। তাদের মধ্যে সাংস্কৃতিক আদানপ্রদানও হয়েছে।


 2. ভারতীয় উপমহাদেশ ও পারস্যের মধ্যে যোগাযোগ কেমন ছিল ?

 উত্তর: ভৌগোলিক কারণে ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর পশ্চিম অংশের স্থলপথ দিয়েই বেশিরভাগ বিদেশি জাতি এই দেশে এসেছিল, যার মধ্যে অন্যতম ছিল পারসিকরা। যোগাযোগের কেন্দ্র: ভারতীয় উপমহাদেশে গান্ধার এবং নিম্নসিন্ধু—এই দুটি অঞ্চলের সঙ্গে পারস্যের যোগাযোগ হয়েছিল।

 ঐতিহাসিক হেরোডোটাসের অভিমত: গ্রিক ঐতিহাসিক হেরোডোটাসের লেখা থেকে জানা যায় যে, ‘ইন্দুস’ বা ‘ইন্ডিয়া' ছিল পারসিক সাম্রাজ্যের একটি প্রদেশ। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, পারসিক সাম্রাজ্যের একটা অংশ দীর্ঘদিন ধরেই ভারতীয় উপমহাদেশের অন্তর্গত ছিল।


 3. লিপি এবং স্থাপত্যশিল্প কীভাবে ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের যোগাযোগ স্থাপন করেছিল?

 উত্তর: প্রাচীন ভারতীয় নানা লিপি এবং স্থাপত্যশিল্প ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের যোগাযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করেছিল।

 লিপির ভূমিকা: এসময় উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিম অংশে অর্থাৎ পারসিক সাম্রাজ্যের অধীন এলাকাগুলিতে আরামীয় ভাষা ও লিপির ব্যবহার চলত। পরবর্তীকালে সম্রাট অশোকও এই অঞ্চলে আরামীয় ভাষা ও লিপি ব্যবহার করেন। আরামীয় ও খরোষ্ঠী দুটি লিপিই ডানদিক থেকে বাঁদিকে লেখা হত এবং অনুমান করা হয় আরামীয় লিপি থেকেই খরোষ্ঠী লিপি তৈরি হয়েছে ।

স্থাপত্যের ভূমিকা: মৌর্য শাসকদের উঁচু পাথরের স্তম্ভ বানানোর ক্ষেত্রে পারসিক শাসকদের চিন্তাভাবনার প্রভাব পড়েছিল। আবার পারসিক শিল্পীদের অনেকে উপমহাদেশে চলে আসায় তাদের হাতে তৈরি হয়েছিল ইন্দো-পারসিক স্থাপত্য শিল্প ।


 4. গান্ধার শিল্প এবং বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো।

 উত্তর: খ্রিস্টীয় প্রথম-দ্বিতীয় শতকে বৌদ্ধধর্মকে কেন্দ্র করে ভারতীয় উপমহাদেশে গান্ধার শিল্পের বিকাশ ঘটে। বৌদ্ধধর্ম ও গান্ধার শিল্প: গান্ধার প্রদেশে নানা কারণে বিভিন্ন জাতির মেলামেশার সুযোগ ছিল, যার প্রভাব পড়েছিল ওই অঞ্চলের শিল্পে। আগে বুদ্ধের মূর্তি বানানো ও পুজো নিষিদ্ধ ছিল, কিন্তু গান্ধার শিল্পীরা এক নতুন ধরনের বুদ্ধ মূর্তি তৈরি করেন। এইসব মূর্তির ছিল নাক টিকোলো, টানা ভুরু ও আধবোজা চোখ এবং মূর্তিগুলির পায়ের জুতো ছিল রোমান জুতোর মতো। এগুলিতে আবার সোনালি রঙের ব্যবহারও দেখা যায়।


 5. বৌদ্ধধর্ম কীভাবে ভারতীয় উপমহাদেশের সঙ্গে বাইরের দেশের যোগাযোগের মাধ্যম হয়ে উঠেছিল? 

উত্তর: নানাভাবে বৌদ্ধধর্ম ভারতীয় উপমহাদেশের সঙ্গে বাইরের দেশের যোগাযোগের মাধ্যম হয়ে উঠেছিল। যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে বৌদ্ধধর্ম : বহু বৌদ্ধ পণ্ডিত তথা শিক্ষক ভারত থেকে বিদেশে যেতেন। তাঁরা সেখানে বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কে নানা শিক্ষা দিতেন। এ ছাড়া বিদেশ থেকে বহু শিক্ষার্থী এদেশে বৌদ্ধধর্ম ও শিক্ষার চর্চা করতে আসতেন। চিনদেশে বৌদ্ধধর্ম ও শিক্ষার চর্চা সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল।


 6. ফাসিয়ানের পর কারা কেন ভারতীয় উপমহাদেশে এসেছিলেন?

 উত্তর: ফাসিয়ান ভারতে আসার পর থেকে এদেশের সঙ্গে চিনের যোগাযোগ আরও সুদৃঢ় হয়। ফাসিয়ানের পরবর্তীকালে আগতরা: ফাসিয়ানের পর আরও অনেক পণ্ডিতই চিন থেকে ভারতীয় উপমহাদেশে পড়াশোনার জন্য এসেছিলেন। তাঁরা অনেকেই নালন্দা মহাবিহারে থেকে পড়াশোনা করতেন। বৌদ্ধধর্ম ও সাহিত্যের পাশাপাশি ব্রাহ্মণ্য ধর্ম বিষয়েও পড়াশোনা করতেন। তা ছাড়া বিজ্ঞান ও চিকিৎসা বিষয়েও তাঁরা শিক্ষা নিতেন।


 7. প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশের বন্দরগুলির পরিচয়দাও।

 উত্তর: প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশে সমুদ্রপথে বাণিজ্যের একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল এর বন্দরগুলির। প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশের বন্দর: উপমহাদেশের দুই উপকূলের বন্দরগুলি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। পশ্চিম উপকূলের বন্দরগুলির মধ্যে বিখ্যাত ছিল কল্যাণ বন্দর। মালাবার উপকূলের বন্দরগুলি দিয়ে গোলমরিচ ও অন্যান্য মশলার বাণিজ্য চলত। এ ছাড়া কাবেরী বদ্বীপ এলাকায় বিখ্যাত বন্দর ছিল কাবেরীপট্টিনাম | অন্ধ্র উপকূলেও এই সময়ের বন্দরগুলির সঙ্গে রোমের বাণিজ্য চলত। পশ্চিম উপকূলের সেরা বন্দর ছিল নর্মদা নদীর মোহানায় অবস্থিত ভৃগুকচ্ছ কয়েকটি বন্দরের কথা জানা যায় ।


৪. ভারতীয় উপমহাদেশ ও গ্রিসের মধ্যে যোগাযোগ কেমন ছিল ?

 উত্তর: প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশের সঙ্গে গ্রিসের উল্লেখযোগ্য যোগাযোগ গড়ে ওঠে। আলেকজান্ডারের ভারত অভিযান: গ্রিক শাসক আলেকজান্ডারের ভারত অভিযানের ফলে উপমহাদ গ্রিসের সংস্পর্শে আসে । গ্রিক নগর স্থাপন: আলেকজান্ডার ভারতীয় উপমহাদেশে কয়েকটি নগর তৈরি করেছিলেন। এই নগরগুলি মৌর্য সাম্রাজ্যের সময়ও ছিল। সেগুলিতে গ্রিকরা থাকত। জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতি; এই নগরগুলির গ্রিকরা ধীরে ধীরে ভারতীয় উপমহাদেশের জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে যায়। তারা বৌদ্ধধর্মের চর্চাও করে। অন্যদিকে গ্রিকদের থেকে নতুন ধরনের মুদ্রা তৈরি করতে শিখেছিল উপমহাদেশের মানুষ | গ্রিক ও ভারতীয় শিল্পরীতির সমন্বয়ে এই সময় ভারতে গান্ধার শিল্পরীতির উদ্ভব হয় ।

3 comments: