ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর তৃতীয় অধ্যায় ষষ্ঠ শ্রেণী সহায়িকা || Class 6th History Questions And Answers Chapter-3 ( A-Z ) - Psycho Principal

Fresh Topics

Thursday, 8 September 2022

ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর তৃতীয় অধ্যায় ষষ্ঠ শ্রেণী সহায়িকা || Class 6th History Questions And Answers Chapter-3 ( A-Z )

 

ইতিহাস 
প্রশ্ন উত্তর



চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর পড়তে নিচের লিঙ্ক এ ক্লিক করো
👉 ( চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর )


◾একটি বাক্যে উত্তর দাও:

 1. পাথরের যুগের শেষদিকে মানুষের জীবনযাত্রায় কী কী পরিবর্তন এল ?

 উত্তর: পাথরের যুগের শেষদিকে স্থায়ী বসতবাড়ি, কৃষিকাজ এবং পশুপালনের ভিত্তিতে মানুষের জীবনযাত্রা গড়ে উঠেছিল।


 2. সভ্যতা কীসের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে ? 

উত্তর: সভ্যতা গড়ে ওঠে গ্রাম ও নগরকে কেন্দ্র করে।


 3. মানুষ পাথরের বদলে কীসের ব্যবহার শিখল ?

 উত্তর: মানুষ পাথরের বদলে ধাতুর ব্যবহার শিখল। 


4. আদিম গোষ্ঠী সমাজে কীসের ভিত্তিতে মানুষ জোট বাঁধত ?

 উত্তর: আদিম গোষ্ঠী সমাজে মানুষ রক্তের সম্পর্ক এবং আত্মীয়তার ভিত্তিতে জোট বাঁধত।


 5. মেহেরগড় সভ্যতার পুরোনো পর্যায়কালটি লেখো । 

উত্তর: মেহেরগড় সভ্যতার পুরোনো পর্যায়কাল ছিল খ্রিস্টপূর্ব ৭০০০-খ্রিস্টপূর্ব ৫০০০ অব্দ পর্যন্ত ।


 6. মেহেরগড় কোথায় অবস্থিত?

 উত্তর: বর্তমান পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের বোলান গিরিপথের ধারে ঝোব নদীর তীরে কাচ্ছি সমভূমিতে মেহেরগড় অবস্থিত।


 7. মেহেরগড় সভ্যতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য কী ছিল? 

উত্তর: মেহেরগড় সভ্যতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল তার সমাধিপ্ৰথা ।


 ৪. মেহেরগড় সভ্যতার কোন্ পর্বে কাস্তের ব্যবহার শুরু হয় ?

 উত্তর: মেহেরগড় সভ্যতার দ্বিতীয় পর্বে কাস্তের ব্যবহার শুঅবস্থিত।


 12. হরপ্পা সভ্যতায় জাহাজঘাটার কোথায় অস্তিত্ব পাওয়া গেছে?

 উত্তর: হরপ্পা সভ্যতার লোখালে জাহাজঘাটার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।


 13. 'লোথাল' কথাটির অর্থ কী?

 উত্তর: 'লোখাল' কথাটির অর্থ মৃতের স্থান।


 14. হরপ্পা সভ্যতার নীচু এলাকায় কী ছিল ?

 উত্তর: হরপ্পা সভ্যতার নীচু এলাকায় ছিল মূল বসতি ।


 15. হরপ্পা সভ্যতার নগরজীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি কীকী ?

 উত্তর: হরপ্পা সভ্যতার নগরজীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি হল উন্নত প্রয়ঃপ্রণালী ও বাণিজ্য-ব্যবস্থা। 


16. লোথাল কোথায় অবস্থিত?

 উত্তর: গুজরাটের ভোগাবোর নদীর তীরে লোথাল অবস্থিত।


 17. হরপ্পা সভ্যতার কারিগরি উন্নতির নজির কীসেরমধ্যে খুঁজে পাওয়া যায় ? 

উত্তর: হরপ্পা সভ্যতার কারিগরি উন্নতির নজির খুঁজে পাওয়া যায় তার নানারকম মাটির পাত্রের মধ্যে।


 18. হরপ্পা সভ্যতার কোন্ প্রত্নস্থলে লাঙলের হদিসপাওয়া যায়?

 উত্তর: হরপ্পা সভ্যতার কালিবঙ্গানে লাঙলের হদিস পাওয়া যায়।


 19. হরপ্পার অধিবাসীরা কোন্ পশুর ব্যবহার জানত?

উত্তর: হরপ্পার অধিবাসীরা ঘোড়ার ব্যবহার জানত না।


 20. হরপ্পা সভ্যতার মানুষ কীসের পুজো করত ?

 উত্তর: হরপ্পা সভ্যতার মানুষ জীবজন্তু ও গাছপালার পুজো করত।


 21. কবে নাগাদ হরপ্পার সঙ্গে মেসোপটেমিয়ার বাণিজ্যে ভাটা পড়ে ?

 উত্তর: খ্রিস্টপূর্ব ১৯০০ অব্দের পর থেকে হরপ্পার সঙ্গে মেসোপটেমিয়ার বাণিজ্যে ভাটা পড়ে।


 22. ঋগবেদের ভাষায় কোন্ ভাষার প্রভাব দেখা যায়?

 উত্তর: ঋগবেদের ভাষায় দ্রাবিড় ভাষার প্রভাব দেখা যায়।


◾দু/তিনটি বাক্যে উত্তর দাও

 1. কালে কালে মানুষের জীবনযাপনের নানা দিক কীভাবে বদলে গেল ?

 উত্তর: একসময় মানুষ খাবারের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াত। পরে তারা স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শিখল। ধীরে ধীরে তারা কৃষিকাজ এবং পশুপালনও শিখল। এভাবেই মানুষের জীবনযাত্রা নানাভাবে বদলে গেল।


 2. জোট বেঁধে বাস করতে থাকা মানুষদের মধ্যে মতের অমিল দেখা দেওয়ায় তার ফল কী হল ?

 উত্তর: জোট বেঁধে বাস করতে থাকা মানুষদের মধ্যে একসময় মতের অমিল দেখা দিল। তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে তাদের বিবাদ মিটিয়ে নিল এবং ঠিক করল যে, সবাই মিলে তারা নিয়মের শাসন মেনে চলবে। এভাবেই নিয়মের শাসন চালু হল । 


3. সভ্যতার বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী ?

 উত্তর: একটি সভ্যতায় গ্রাম ও নগর থাকতে হবে। নির্দিষ্ট শাসনব্যবস্থা এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে শিল্প ও স্থাপত্য থাকতে হবে। এ ছাড়াও থাকতে হবে মানুষের নিজস্ব বর্ণমালা বা লিপি |


 4. আদিম যুগে মানুষ কীভাবে জোট বাঁধত ?

উত্তর: আদিম যুগে মানুষ রক্তের সম্পর্কে ও আত্মীয়তার ভিত্তিতে জোট বাঁধত। আবার কোনো কোনো সময় পারস্পরিক সুযোগসুবিধা পেতেও তারা জোট বাঁধত।


 5. মেহেরগড়ে কী ধরনের শিল্প নিদর্শন পাওয়া গেছে? 

উত্তর: মেহেরগড় সভ্যতার নানা পর্বে বিভিন্ন ধরনের শিল্প নিদর্শন পাওয়া গেছে। যেমন—নানা ধরনের মৃৎপাত্র, তৈজসপত্র, পুতি, আংটি, ছুরি, ছুঁচ, বড়শিজাতীয় জিনিস, পশুর লোম, উলের কাপড় প্রভৃতি ।


 6. মেহেরগড় সভ্যতার দ্বিতীয় পর্বে কী কী কৃষিজ ফসলের নিদর্শন পাওয়া গেছে?

 উত্তর: মেহেরগড় সভ্যতার দ্বিতীয় পর্বটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পর্বে কৃষিজ ফসলের মধ্যে গম, যব ও কার্পাসের নিদর্শন পাওয়া গেছে। পণ্ডিতদের অনুমান পৃথিবীতে সর্বপ্রথম কার্পাস চাষের নমুনা মেহেরগড়েই পাওয়া গেছে।


 7. মেহেরগড় সভ্যতায় মৃতদেহকে কীভাবে সমাধি দেওয়া হত ?

 উত্তর: মেহেরগড় সভ্যতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল তার সমাধিক্ষেত্র। এসময় মৃতদেহকে সমাধি দেওয়া হত।

সমাধিতে মৃতদেহ সোজাসুজি বা কাত করে শুইয়ে দেওয়া হত এবং তার সঙ্গে দেওয়া হত নানা জিনিসপত্র, যেমন শাঁখ বা পাথরের গয়না ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। এমনকি মৃতের সঙ্গে গৃহপালিত পশু ও মূল্যবান পাথরের অলংকারও সমাধি দেওয়া হত। 


৪. মেহেরগড়বাসীরা কী কী জীবিকা গ্রহণ করেছিল?

 উত্তর: মেহেরগড় থেকে পাওয়া বিভিন্ন প্রত্ননিদর্শন থেকে  এখানকার অধিবাসীদের জীবিকা সম্বন্ধে একটি ধারণা পাওয়া যায়। কৃষি ছিল মেহেরগড় বাসীদের প্রধান জীবিকা। তার পাশাপাশি ছিল পশুপালন, গয়না তৈরি, মাটির পাত্র তৈরি প্রভৃতি জীবিকাও । 


9. হরপ্পা সভ্যতাকে কেন তামা-ব্রোঞ্জ যুগের সভ্যতা বলাহয় ?

 উত্তর: বিভিন্ন প্রত্নবস্তুর ওপর ভিত্তি করে জানা যায় যে, হরপ্পা সভ্যতার মানুষ তামা ও ব্রোঞ্জ উভয় ধাতুরই ব্যবহার জানত। যেহেতু তারা তামা ও ব্রোঞ্জ ব্যবহার করত, সেই কারণে এই সভ্যতাকে তামা-ব্রোঞ্জ যুগের সভ্যতা বলা হয়। 


10. হরপ্পা সভ্যতার স্নানাগারের পরিচয় দাও ।

 উত্তর: হরপ্পা সভ্যতার অন্যতম কেন্দ্র মহেনজোদাড়োয় একটি স্নানাগারের নিদর্শন পাওয়া গেছে। এই স্নানাগারটি ছিল দৈর্ঘ্যে ১৮০ ফুট ও প্রস্থে ১০৮ ফুট । এই স্নানাগারের চারিদিকে রয়েছে ৮ ফুট উঁচু ইটের দেয়াল। এর মাঝখানে ছিল একটি জলাশয়। আবার এই স্নানাগারে অতিরিক্ত ও অপরিশুদ্ধ জল বার করে দেওয়ার ব্যবস্থাও ছিল। 


11. লাল-কালো মাটির পাত্র কী ?

 উত্তর: হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীরা মাটির পাত্রের গায়ে চকচকে লাল পালিশ করে, তার ওপর উজ্জ্বল কালো রঙের নকশা আঁকতেন। ইতিহাসচর্চার ক্ষেত্রে এই পাত্রগুলি লাল-কালো মাটির পাত্র নামে পরিচিত।


 12. হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীদের বৃক্ষপূজার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও ।

 উত্তর: হরপ্পা সভ্যতার বিভিন্ন সিলমোহর ও মাটির পাত্রে অশ্বত্থ গাছ ও পাতার ছবি দেখা যায়। তা থেকে অনুমান করা যায় যে, হরপ্পায় জীবজন্তু ও মাতৃপুজোর পাশাপাশি বৃক্ষপূজাও করা হত। এইসময় সম্ভবত অশ্বত্থ গাছকে দেবতা হিসেবে পুজো করা হত। 


13. মেহেরগড় সভ্যতার ঘরবাড়ি কেমন ছিল ?

 উত্তর: মেহেরগড়ের বাড়িগুলি ছিল ইট এবং মাটি দিয়ে তৈরি। বাড়িগুলির একের বেশি ঘর থাকত। কয়েকটি ইমারত সাধারণ বাড়ির থেকে অনেক বড়ো ছিল। প্রত্নতাত্ত্বিকরা এগুলিকে শস্য মজুত রাখার বাড়ি বলে মনে করেছেন।


14. হরপ্পা সভ্যতার লিপির বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী ?

 উত্তর: হরপ্পা সভ্যতায় প্রাপ্ত সিলমোহরে উৎকীর্ণ লিপি পাওয়া গেলেও, সেগুলি এখনও পড়া যায়নি। এই লিপিগুলি সাংকেতিক। এগুলিতে ৩৭৫ থেকে ৪০০টি চিহ্ন পাওয়া গেছে। এইসব লিপি সম্ভবত ডান দিক থেকে বাম দিকে লেখা হত।


 15. সিন্ধু সভ্যতাকে হরপ্পা সভ্যতা বলা হয় কেন?

 উত্তর: সিন্ধু সভ্যতাকে হরপ্পা সভ্যতা বলা হয়, কারণ—

 [a] এই সভ্যতার প্রধান দুটি কেন্দ্র হরপ্পা ও মহেনজোদাড়ো সিন্ধু উপত্যকায় অবস্থিত হলেও, সিন্ধু উপত্যকার বাইরেও এই সভ্যতার অনেক কেন্দ্রের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। [b] হরপ্পাতেই এই সভ্যতার প্রথম কেন্দ্রটি আবিষ্কৃত হয়েছিল। [c] হরপ্পাই হল এই সভ্যতার সবচেয়ে বড়ো কেন্দ্র।


 16. হরপ্পা সভ্যতাকে প্রায়-ঐতিহাসিক যুগের সভ্যতা বলা হয় কেন ?

 উত্তর: ইতিহাসে প্রায়-ঐতিহাসিক যুগ বলতে সেই সময়কে বোঝায়, যে সময় ইতিহাসের লিখিত উপাদান পাওয়া গেলেও তা আজও পড়া যায়নি। হরপ্পা সভ্যতাও প্রায় ঐতিহাসিক যুগের একটি সভ্যতা কেন-না এখনও হরপ্পার লিপি পড়া সম্ভব হয়নি 


◾সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর

 চার/পাঁচটি বাক্যে উত্তর দাও 


17.মেহেরগড় সভ্যতার আবিষ্কার সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো।

 উত্তর: ভারতের একটি প্রাচীনতম সভ্যতা হল মেহেরগড়। ঐতিহাসিকদের অনুমান মেহেরগড় সভ্যতা হরপ্পা সভ্যতার ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছিল।

 আবিষ্কার: ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে ফরাসি প্রত্নতত্ত্ববিদ জাঁ ফ্রাঁসোয়া জারিজ রিচার্ড মেডোকে সঙ্গে নিয়ে বালুচিস্তান ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে খননকার্য চালান। তাঁদের চেষ্টায় বোলান গিরিপথের ধারে কাচ্ছি সমভূমিতে মেহেরগড় সভ্যতা আবিষ্কৃত হয় |


 2. মেহেরগড় সভ্যতার সবচেয়ে প্রাচীন পর্যায় বলতে কীবোঝ ?

 উত্তর: মেহেরগড় সভ্যতার যে পর্যায়টি সবচেয়ে প্রাচীন রূপে

 চিহ্নিত, তার সময়কাল হল খ্রিস্টপূর্ব ৭০০০ অব্দ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ৫০০০ অব্দ। এই পর্যায়ের মানুষ কৃষিকাজ জানত এবং তারা গম ও যব উৎপাদন করত। তারা পশুপালনও

করত। ছাগল, ভেড়া, কুঁজযুক্ত ষাঁড় ছিল তাদের গৃহপালিত পশু। এসময়ের মানুষ জাঁতা, শস্য পেষাই যন্ত্র, পাথরের ছুরি ও পশুর হাড়ের নানা যন্ত্রপাতি বানাতে পারত।


3. মেহেরগড়বাসীর শিল্পকীর্তির পরিচয় দাও ।

উত্তর: মেহেরগড়ের অধিবাসীরা নানা শিল্পে বিশেষ পারদর্শী ছিল। এই শিল্পগুলির মধ্যে মৃৎশিল্প, ধাতুশিল্প, অলংকার শিল্প ও বয়নশিল্প ছিল প্রধান |

মেহেরগড় সভ্যতার দ্বিতীয় পর্ব থেকে মাটির নানা ধরনের জিনিসপত্র তৈরি করা হতে থাকে।এই সভ্যতার প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বে তামা গলিয়ে পুতি, আংটি,ছুরি, ছুঁচ ও বড়শিজাতীয় জিনিস তৈরি করা হয়।

মেহেরগড়বাসীরা পাথর ও শাঁখের অলংকার তৈরি করত। এখানকার সমাধিগুলি থেকে এর প্রমাণ পাওয়া যায়। এ ছাড়া মেহেরগড় সভ্যতায় পশুর লোম ও উলের কাপড়ও বোনা হত । 


4. হরপ্পা সভ্যতার আবিষ্কার বিষয়ে কী জান লেখো 

 উত্তর: ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে প্রত্নতাত্ত্বিক দয়ারাম সাহানি হরপ্পায় খোঁড়াখুড়ি করে হরপ্পা সভ্যতার নিদর্শন খুঁজে পান। পরের বছর রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় মহেনজোদাড়োতেও খোঁড়াখুড়ি করে এই সভ্যতার নিদর্শন পান। ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের অধিকর্তা জন মার্শাল হরপ্পা ও মহেনজোদাড়ো বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ পেশ করেন । এভাবেই খ্রিস্টের জন্মের তিন/আড়াই হাজার বছর আগের সভ্যতা আবিষ্কৃত হয় । 


5. হরপ্পা সভ্যতার শস্যাগারের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।

উত্তর: হরপ্পা সভ্যতায় মহেনজোদাড়ো ও হরপ্পা উভয় স্থানেই শস্যাগার পাওয়া গেছে। হরপ্পার শস্যাগারটি রাভিনদীর প্রাচীন খাতের কাছে অবস্থিত ছিল। 

গঠন: শস্যাগারটির ভেতরে দুই সারি মঞ্চ রয়েছে। এর দক্ষিণ দিকে রয়েছে একটি বড়ো মঞ্চ, যাতে কতকগুলি গোলাকার গর্তের দাগ পাওয়া গেছে ।

বৈশিষ্ট্য: শস্যাগারে সংরক্ষিত শস্য সতেজ রাখার জন্য ঘুলঘুলির মাধ্যমে হাওয়া চলাচলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল এবং শস্যাগারে শস্য ঝাড়াইবাছাইয়েরও ব্যবস্থা ছিল। 


6. হরপ্পা সভ্যতার বাড়িঘর থেকে সেসময়ের সমাজ সম্পর্কে কী কী তথ্য পাওয়া যায়?

উত্তর: হরপ্পা সভ্যতায় যেমন দুই কামরাবিশিষ্ট বাড়ি পাওয়া গেছে, তেমনই পাওয়া গেছে তিরিশ কামরাবিশিষ্ট প্রাসাদের মতো বড়ো বাড়ির নিদর্শন। বড়ো বাড়িগুলি ছিল এক, দুই বা তিনতলাবিশিষ্ট। মনে হয় সমাজের উঁচুতলার ধনী ও অভিজাতরাই এই সমস্ত বাড়িতে বাস করত। ছোটো বসতবাড়িতে বাস করত গরিব মানুষরা। এর থেকে হরপ্পার নগরজীবনে ধনী-গরিব ভেদাভেদ ছিল বলে অনুমান করা হয়। এ ছাড়া বেশ কয়েকটা বসতবাড়িতে প্রচুর ঘর থাকা সত্ত্বেও একটি রান্নাঘরের অস্তিত্ব দেখে অনুমান করা যায় যে, হরপ্পা সভ্যতায় যৌথ পরিবার ছিল ।


 7. হরপ্পা সভ্যতার যোগাযোগ-ব্যবস্থা কেমন ছিল? 

উত্তর: হরপ্পা সভ্যতা সম্পর্কে স্যার মর্টিমার হুইলার মনে করেন যে, হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীরা পরিবহণের মাধ্যম হিসেবে উট, গাধা ও ঘোড়ার ব্যবহার করত। খেলনাগাড়ির নিদর্শন থেকে বোঝা যায় যে, এখানে দু-চাকাওয়ালা ঠেলাগাড়ি এবং গোরু, ষাঁড় ও গাধায় টানা গাড়ি চলত | এই সভ্যতায় প্রাপ্ত নিদর্শনগুলির মধ্যে সিলমোহরে নৌকা, মাঝি, মাস্তুল ও জাহাজের প্রতিকৃতি পাওয়া যায়। এর ফলে স্থল ও জলপথে হরপ্পা সভ্যতার বাণিজ্যিক রূপটিও আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। 


৪. হরপ্পা সভ্যতায় বাণিজ্য কেমন ছিল?

 উত্তর: হরপ্পা সভ্যতায় দেশের মধ্যে এবং বাইরে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাণিজ্য চলত।দেশের মধ্যে বাণিজ্য: হরপ্পা সভ্যতায় লোথাল, রোপার,

 কোটডিজি প্রভৃতি এলাকার মধ্যে বাণিজ্য চলত। দেশের বাইরে বাণিজ্য: হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীদের সঙ্গে পশ্চিম এশিয়া, বালুচিস্তান, মেসোপটেমিয়া, মিশর, পারস্য ও আফগানিস্তানের বাণিজ্যিক যোগাযোগ গড়ে উঠেছিল।

আমদানি-রপ্তানি দ্রব্য : হরপ্পা সভ্যতায় সোনা, রুপো, তামা,দামি পাথর, হাতির দাঁতের অলংকার প্রভৃতি আমদানি করা হত এবং রপ্তানি করা হত যব, ময়দা, তেল ও পশমজাত দ্রব্য প্রভৃতি।

 বাণিজ্য পথ: হরপ্পা সভ্যতায় সমুদ্রপথে বাণিজ্য চলত। স্থলপথে বাণিজ্য চলত মহীশূর, গুজরাট, কাশ্মীর ও নীলগিরি পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চল ধরে।


 9. সুমের-মেসোপটেমীয় সভ্যতার সঙ্গে হরপ্পা সভ্যতার কীরকম যোগাযোগ ছিল ?

 উত্তর: সুমের-মেসোপটেমীয় সভ্যতার সঙ্গে হরপ্পা সভ্যতার বাণিজ্যিক যোগাযোগ ছিল। কেন-না হরপ্পা সভ্যতার সিলমোহর মেসোপটেমিয়ার উর অঞ্চলে আবিষ্কৃত হয়েছে। জানা গেছে যে, স্থলপথে বালুচিস্তান দিয়ে আর জলপথে পারস্য উপসাগরের পথ ধরে হরপ্পা সভ্যতার সঙ্গে সুমেরের সম্পর্ক তৈরি হয়। হরপ্পা সভ্যতার অন্তত ২৩টি সিলমোহর পাওয়া গেছে মেসোপটেমিয়ায় যা উভয় এলাকার বাণিজ্যিক কাজকর্মের পরিচায়ক।


◾আট/দশটি বাক্যে উত্তর দাও

 1. মেহেরগড় সভ্যতার অবস্থান ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কেলেখো।

 উত্তর: ভূমিকা: ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীনতম সভ্যতা হল মেহেরগড় সভ্যতা। ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে ফরাসি প্রত্নতাত্ত্বিক জাঁ ফ্রাঁসোয়া জারিজ এই সভ্যতা আবিষ্কার করেন। এই ব্যাপারে তাঁকে সাহায্য করেন রিচার্ড মেডো। 

[a] অবস্থান: বর্তমান পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের বোলান গিরিপথের ধারে কাচ্ছি সমভূমিতে এই সভ্যতার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

 [b] বৈশিষ্ট্য: "[i] এই সভ্যতা নতুন পাথরের যুগের সভ্যতা। [ii] এই সভ্যতা প্রাক্-ইতিহাস যুগের সভ্যতা। কেন না মেহেরগড়ে কোনো লিখিত উপাদানের নিদর্শন পাওয়া যায় না। [iii] এই সভ্যতার সূচনাকাল আনুমানিক, খ্রিস্টপূর্ব ৭০০০ অব্দ] , [iv] এই সভ্যতা হরপ্পা অব্দ সভ্যতার ভিত্তিভূমি নির্মাণ করেছিল। [v] এই সভ্যতা তামা পাথরের যুগের সভ্যতা। [vi] এটি মূলত একটি কৃষিনির্ভর সভ্যতা । vii] এই সভ্যতার একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল এখানকার সমাধিপ্রথা।


 2. মেহেরগড় সভ্যতার নানা পর্বের কী ধরনের নিদর্শন পাওয়া গেছে? 

উত্তর: ভূমিকা: মেহেরগড় সভ্যতা ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীনতম সভ্যতা।

 [a] প্রাচীনতম পর্ব: এই সভ্যতার প্রাচীনতম পর্বের কাল ধরা হয় খ্রিস্টপূর্ব ৭০০০ অব্দ-খ্রিস্টপূর্ব ৫০০০ অব্দ। এই পর্বের গম ও যবজাতীয় শস্য এবং ছাগল, ভেড়া, কুঁজওয়ালা ষাঁড় প্রভৃতি গৃহপালিত পশু ও পাথরের জাঁতা ও শষ্য পেষার যন্ত্র প্রভৃতির নিদর্শন পাওয়া গেছে।

 [b] দ্বিতীয় পর্ব: মেহেরগড় সভ্যতার দ্বিতীয় পর্বের কালসীমা হল খ্রিস্টপূর্ব ৫০০০ অব্দ-খ্রিস্টপূর্ব ৪০০০অব্দ পর্যন্ত। এই পর্বের গম, যব এবং কার্পাস চাষের নিদর্শন পাওয়া গেছে। এ ছাড়া কাস্তে ও নানা মৃৎপাত্র, পাথর ও শাঁখা দিয়ে তৈরি অলংকার প্রভৃতিও পাওয়া গেছে।

 [c] তৃতীয় পর্ব: মেহেরগড় সভ্যতার তৃতীয় পর্ব ধরা হয় খ্রিস্টপূর্ব ৪৩০০ অব্দ-খ্রিস্টপূর্ব ৩৮০০ অব্দ পর্যন্ত সময়কে। এসময় নানা ধরনের গম ও যব চাষ করা হত। এই পর্বে কুমোরের চাকার সাহায্যে মৃৎপাত্র তৈরি করার এবং তামা ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে | এই পর্বে বিশেষভাবে হরপ্পা সভ্যতার ভিত্তিভূমি নির্মিত হয়েছিল।


 3. হরপ্পা সভ্যতার নগর-পরিকল্পনা সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো।

 উত্তর: ভূমিকা: হরপ্পা সভ্যতার উন্নত নগর-পরিকল্পনার বৈশিষ্ট্যগুলি পাওয়া যায় এর বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, উন্নত জলনিকাশি ব্যবস্থা, স্নানাগার এবং শস্যাগারের নিদর্শন থেকে।

 [a] বাড়িঘর: হরপ্পা সভ্যতায় বাড়িগুলি তৈরি করা হত পোড়ানো ইট কিংবা রোদে শুকানো ইট দিয়ে | বড়ো রাস্তা বা গলিপথের ধারে বাড়িগুলি তৈরি করা হয়েছিল। বাড়িগুলি তৈরি করা হত একতলা বা দোতলা রূপে এবং প্রতিটি বাড়িতে রান্নাঘর, শোবার ঘর, স্নানঘর, আঙিনা, কুয়ো প্রভৃতি থাকত ।

 [b] রাস্তাঘাট: হরপ্পা সভ্যতার রাস্তাঘাট সাধারণত উত্তর দক্ষিণ বরাবর ছিল। বড়ো রাস্তা থেকে অনেক সরু গলি পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত ছিল । রাস্তার ধারে ছিল খোলা নর্দমা এবং রাস্তাগুলিতে আলোরও ব্যবস্থা ছিল।

 [c] জলনিকাশি ব্যবস্থা বা পয়ঃপ্রণালী: হরপ্পা সভ্যতায় প্রতিটি বাড়ির নর্দমার সঙ্গে প্রধান নর্দমা যুক্ত ছিল। এ ছাড়া কুয়োর সাহায্যে মেটানো হত পানীয় জলের সমস্যা। স্নানাগার: হরপ্পা সভ্যতার অন্যতম কেন্দ্র

 [d] মহেনজোদাড়োতে স্নানাগারের নিদর্শন পাওয়া গেছে। এর আয়তন ১৮০ ফুট × ১০৮ ফুট। এর মাঝামাঝি X অংশে একটি বড়ো জলাশয় ছিল। জলাশয় থেকে অতিরিক্ত জল বার করার এবং জল ঢোকানোর ব্যবস্থা ছিল ।

 [e] স্যাগার: হরপ্পা সভ্যতার বিভিন্ন নগরে শস্যাগারের নিদর্শন পাওয়া গেছে। হরপ্পার শস্যাগারটির ভেতরে ছিল দুই সারিতে ভাগ করা মোট বারোটা বড়ো তাক । সেখানে হাওয়া চলাচলের জন্য ঘুলঘলিও ছিল। তাই সেখানে খাদ্যশস্য শুকনো ও তাজা রাখা সম্ভব হত । 


4. হরপ্পাবাসীদের অর্থনৈতিক জীবন কেমন ছিল?

 উত্তর: ভূমিকা: হরপ্পাবাসীদের অর্থনৈতিক জীবন ছিল বহুমুখী। তারা কৃষি, পশুপালন, ব্যাবসা ও নানা শিল্পের কাজ করত। [a] কৃষিকাজ: হরপ্পার অধিবাসীরা মূলত কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তারা গম, যব, তুলো, তিল, নানা ধরনের ডাল, জোয়ার বাজরা, সরষে, খেজুর, বাদাম প্রভৃতি ফসলের চাষ করত। সাধারণভাবে খাদ্যশস্যের জন্য শহরের অধিবাসীদের গ্রামের ওপর নির্ভর করতে হত।

 [b] পশুপালন: হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীরা পশুপালনে অভ্যস্ত ছিল। তারা ষাঁড়, ভেড়া, ছাগল প্রভৃতি পালন করত। কিন্তু হরপ্পাবাসীরা ঘোড়ার ব্যবহার জানত না ।

 [c] ব্যাবসাবাণিজ্য: হরপ্পার অধিবাসীরা মেসোপটেমিয়া ও পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের সঙ্গে বাণিজ্য করত। সম্ভবত বিদেশ থেকে সোনা, রুপো, তামা, দামি পাথর, হাতির দাঁতের তৈরি চিরুনি, পাখির মূর্তি প্রভৃতি আমদানি করা হত ও রপ্তানি করা হত বার্লি, ময়দা, তেল, পশমজাত দ্রব্য প্রভৃতি। বাণিজ্য চলত স্থলপথে ও জলপথে।

 [d] জীবিকা: হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীরা বস্ত্রবয়ন শিল্প; সোনা, রুপো, তামা ও ব্রোঞ্জ শিল্প; মৃৎশিল্প; ইটশিল্প ও কাষ্ঠশিল্পের কাজকে জীবিকা হিসেবে গ্রহণ করেছিল।


 5. হরপ্পাবাসীর ধর্মীয় জীবনের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও ।

 উত্তর: ভূমিকা: হরপ্পা সভ্যতার ধর্মীয় জীবন ছিল বৈচিত্র্যপূর্ণ। এই সভ্যতায় প্রাপ্ত নিদর্শন থেকে হরপ্পাবাসীর ধর্মীয় জীবনের একটা পরিপূর্ণ চিত্র পাওয়া যায় |

 [a] মূর্তিপুজো: হরপ্পার নানা কেন্দ্র থেকে পোড়ামাটির নারীমূর্তি পাওয়া গেছে। এ ছাড়া মহেনজোদাড়োতে প্রাপ্ত একটি সিলমোহরের গায়ে যোগীর মূর্তি খোদাই করা আছে, যাকে শিবের আদিম রূপ পশুপতি বলে অনুমান করা হয়। এ থেকে মনে হয় যে, হরপ্পা সভ্যতায় মাতৃপুজো ও শিবপুজোর প্রচলন ছিল।

 [b] জীবজন্তু ও গাছপালার পুজো: হরপ্পা সভ্যতায় একশিংওয়ালা কাল্পনিক পশুমূর্তির পুজো হত সবচেয়ে বেশি। হরপ্পা সভ্যতার সিলমোহরে ষাঁড়ের মূর্তি দেখে মনে হয় যে, এই সমাজে বৃষ বা ষাঁড়ের পুজোর প্রচলন ছিল। তা ছাড়া একটি পাত্রে ও সিলমোহরে অশ্বত্থ গাছ ও পাতার প্রতীক পাওয়া যায়, যা থেকে মনে হয় এই সমাজে বৃক্ষপুজোর প্রচলন ছিল। [c] জলের ব্যবহার: হরপ্পাবাসীদের ধর্মীয় জীবনে জলের বিশেষ গুরুত্ব ছিল। হয়তো মহেনজোদাড়োর জলাশয়টি ধর্মীয় কাজে ব্যবহার করা হত।

 [d] সমাধিপ্রথা: হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীরা মৃতদেহ সমাধি দিতেন | সমাধিতে মৃতদেহকে উত্তর দিক করে শুইয়ে রাখা হত এবং মৃতের সঙ্গে দেওয়া হত মাটির পাত্র ও অলংকার।


 6. হরপ্পা সভ্যতার অবনতির কারণ কী ছিল ? 

উত্তর: ভূমিকা: খ্রিস্টপূর্ব ১৭৫০ অব্দের পরে হরপ্পা সভ্যতার অস্তিত্ব ক্রমশ লোপ পেতে থাকে। বেশ কিছু ঘটনার কারণে হরপ্পা সভ্যতার অবনতি হয়েছিল। এগুলি হল—

 [a] বন্যা: মহেনজোদাড়ো নগরের পাঁচিলটিতে একই জায়গায় অনেকবার মেরামতির ছাপ দেখা যায়। এ ছাড়া পাঁচিলে কাদার চিহ্নও পাওয়া গেছে। ওই জমে থাকা কাদা সম্ভবত বন্যার ফলে এসেছিল। তাই সিন্ধুনদের বন্যায় এই অঞ্চলের ক্ষতি হয়েছিল বলে মনে করা হয়।

 [b] আবহাওয়ার পরিবর্তন: খ্রিস্টপূর্ব ২২০০ অব্দ থেকে এশিয়া মহাদেশের অনেক জায়গাতেই বৃষ্টিপাত কমতে থাকে। যার ফলে শুষ্ক জলবায়ু দেখা দেয়। সে কারণে কৃষিকাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হরপ্পা সভ্যতার কৃষিকাজও এই সমস্যা থেকে রেহাই পায়নি বলে অনুমান করা হয়। অন্যদিকে এই সভ্যতায় ইট পোড়ানোর জন্য চুল্লির জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার করা হত, যার জোগান আসত গাছ থেকে। তাই ব্যাপকভাবে গাছ কাটার ফলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যায়।

 [c] বহির্বাণিজ্যে ভাটা: আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১৯০০ অব্দের পরে মেসোপটেমিয়ার সঙ্গে হরপ্পার বাণিজ্যে ভাটা পড়ে । ফলে হরপ্পার অর্থনীতি ক্রমশ সমস্যার মুখে পড়ে।ওপরের কারণগুলি ছাড়া হরপ্পার দুর্বল নগর শাসন ব্যবস্থা এই সভ্যতার অবনতির একটা অন্যতম কারণ ছিল।


1 comment:

  1. হরপ্পা সভ্যতা যোগে মানুষের মৃতদেহকে কিভাবে সমাধি দেওয়া হতো?

    ReplyDelete