রূপনারানের কুলে প্রশ্ন উত্তর পড়তে নিচের লিঙ্ক এ ক্লিক করো
১. ভারতবর্ষ ' গল্পে বাজারটির পিছনে কী কী ছিল ?
উত্তরঃ ‘ ভারতবর্ষ’গল্পে বাজারটির পিছনে ছিল ঘন বাঁশবনে ঢাকা একটি গ্রাম এবং ইটভাটা ।
২. বাজারটিতে রাতের বেলায় কী কী দেখা যেত ?
উত্তরঃ বাজারটিতে রাত্রিবেলায় দূরে শহরের দিকে চলে যাওয়া দু - একটা চলমান ট্রাক এবং নেড়িকুত্তাকে দেখা যেত ।
৩ , বাজারটিতে রাত্রিবেলায় কী শােনা যেত ?
উত্তরঃ নিস্তব্ধ বাজারটিতে রাত্রিবেলায় মাঝে মাঝে শহরের দিকে যাওয়া চলমান ট্রাকের শব্দ এবং বটগাছে পেঁচার ডাক শােনা যেত ।
৪. বাজার - পার্শ্ববর্তী গ্রামটির বৈশিষ্ট্য কী ছিল ?
উত্তরঃ বাজার - পার্শ্ববর্তী গ্রামটি ছিল ঘন বাঁশবনে ঢাকা এবং সেই গ্রামে বিদ্যুৎ সংযােগ ছিল না ।
৫. বাজারটি কোথায় গড়ে উঠেছিল ?
উত্তরঃ পিচের সড়ক আদ্যিকালের একটি বটগাছের পাশে যেখানে বাঁক নিয়েছিল , সেখানেই বাজারটি গড়ে উঠেছিল ।
৬. বাজারে কোন্ কোন্ দোকান ছিল ?
উত্তরঃ বাজারটিতে তিনটি চায়ের দোকান , দুটো সন্দেশের দোকান , তিনটে পােশাকের দোকান , একটা মনােহারির দোকান এবং দুটি মুদিখানা ছিল ।
৭. ভারতবর্ষ ' গল্পে কোন্ বাংলা মাস এবং কোন্ বাংলা ঋতুর কাহিনি বর্ণনা করা হয়েছে ?
উত্তরঃ গল্পটিতে পৌষ মাস এবং ঋতু হিসেবে শীতকালের কাহিনি বর্ণনা করা হয়েছে ।
৮ , রাঢ়বাংলার শীতের চরিত্র কেমন ?
উত্তরঃ রাঢ়বাংলার শীত খুব জাঁকালাে প্রকৃতির , বৃষ্টি হলে তা হয় ধারালাে ।
৯ “ তাই লােকের মেজাজ গেল বিগড়ে । ” — লােকের মেজাজ বিগড়ে গিয়েছিল কেন ?
উত্তরঃ শীতে বৃষ্টির সঙ্গে জোরালাে বাতাস বইতে শুরু করায় ধানের প্রচণ্ড ক্ষতি হয়ে যাবে বলে লােকের মেজাজ বিগড়ে গিয়েছিল ।
১০ , “ চাষাভুষাে মানুষ চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দিতে ” —কীসের প্রতীক্ষা করছিল ?
উত্তরঃ চাষাভুসাে মানুষ চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দিতে রােদ ঝলমলে দিনের প্রতীক্ষা করছিল ।
১১“ চাষাভুষাে মানুষ চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দিতে ” —কার মুণ্ডুপাত করছিল ?
উত্তরঃ চাষাভুসাে মানুষ চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দিতে আল্লা তথা ভগবানের মুণ্ডুপাত করছিল ।
১২ , শীতের অকাল বৃষ্টিতে রাঢ়বাংলায় কীসের ক্ষতি হয় ?
উত্তরঃ শীতের অকাল বৃষ্টিতে রাঢ়বাংলায় ধানের ক্ষতি হয় ।
১৩. পৌষমাসের বৃষ্টি গ্রামবাংলায় কী কী নামে পরিচিত ?
উত্তরঃ পৌষমাসের বৃষ্টি গ্রামবাংলায় ভদ্রলােকের কাছে পউষে বাদলা অভিধায় । এবং ছােটোললাকের কাছে ‘ ডাওর ’ নামে পরিচিত ।
১৪ , ফাপিকাকে বলে ?
উত্তরঃ শীতকালে বৃষ্টির সঙ্গে জোরালাে বাতাস বইলে রাঢ়বাংলার গ্রাম্য , তথাকথিত ‘ ছােটোলােকের ’ ভাষায় সেই আবহাওয়াকে ‘ ফাপি ’ বলে ।
১৫. চায়ের দোকানের আড্ডায় কোন্ কোন্ বিষয়ে গল্পগুজব চলছিল ?
উত্তরঃ চায়ের দোকানের আড্ডায় ‘ বােমবাইয়ের অভিনেতা - অভিনেত্রী , গায়ক , ইন্দিরা গান্ধি , মুখ্যমন্ত্রী , বিধায়ক থেকে শুরু করে স্থানীয় লােকজনকে নিয়েও গল্পগুজব চলছিল ।
১৬. “ এইটুকুই যা সুখ তখন । ” — কোন্ সুখের কথা বলা হয়েছে ? উত্তরঃ পৌষমাসের অকাল - দুর্যোগে ঘরে বসে গ্রামের মানুষদের সময় না কাটায় বাজারে এসে সেখানকার সভ্যতার ছােট্ট উনােনের পাশে হাত - পা সেঁকে নেওয়াই ছিল তাদের সুখ ।
১৭. ভারতবর্ষ ' গল্পের বুড়ির চেহারা কেমন ছিল ?
উত্তরঃ ‘ ভারতবর্ষ ' গল্পের বুড়িটি ছিল রাক্ষুসী চেহারার , কুঁজো এক সাদাচুলের থুথুড়ে বুড়ি । তার ক্ষয়ে যাওয়া , ছােট্ট মুখমণ্ডলের বলিরেখাগুলি স্পষ্টভাবে তার দীর্ঘ আয়ু প্রকাশ করছিল ।
১৮ , বৃদ্ধার পরনে কী ছিল ?
উত্তরঃ বৃদ্ধ নােংরা একটা কাপড় পরেছিল এবং তার গায়ে জড়ানাে ছিল তুলাের চিটচিটে একটা কম্বল ।
১৯ , বৃদ্ধর হাতে কী ছিল ?
উত্তরঃ বৃদ্ধার হাতে ছিল বেঁটে একটা লাঠি ।
২০ , বৃদ্ধার মুখমণ্ডল কেমন ছিল ?
উত্তরঃ বৃদ্ধার মুখমণ্ডল ছিল ছােটো , ক্ষয়টে এবং স্পষ্ট বলিরেখাযুক্ত ।
২১ . সেটাই সবাইকে অবাক করেছিল । ” কী সবাইকে অবাক করেছিল ?
অথবা ,
“ সেটাই সবাইকে অবাক করেছিল । ” — সবাই অবাক হয়েছিল কেন ?
উত্তরঃ থুথ-থুড়ে কুঁজো বৃদ্ধা পৌষমাসের তুমুল বৃষ্টির মধ্যে কীভাবে বেঁচেবর্তে চায়ের দোকানে থেকে হেঁটে হেঁটে আসতে পারল — সেই ভাবনাই সবাইকে অবাক করেছিল ।
২২ , চায়ের দোকানে ঢুকে চা খাওয়ার ঠিক পরপরই বৃদ্ধ কী করেছিল ?
উত্তরঃ চায়ের দোকানে ঢুকে চা খাওয়ার ঠিক পরপরই বৃদ্ধ কোনাে কথা না বলে দোকানে বসে থাকা সবার মুখের দিকে তাকিয়েছিল ।
২৩ , “ তখন একজন তাকে জিজ্ঞেস করল ” কী জিজ্ঞাসা করেছিল ?
উত্তরঃ ‘ ভারতবর্ষ গল্পে চায়ের দোকানে বসে - থাকা গ্রামবাসীদের একজন সেইসময় বুড়িকে জিজ্ঞাসা করেছিল যে , সে কোথা থেকে এসেছে ।
২৪ , “ তখন একজন তাকে জিজ্ঞেস করল ... ”- কখন ?
উত্তরঃ চায়ের দোকানে চা খেয়ে বৃদ্ধটি কোনাে কথা না বলে বসে থাকা সবার মুখের দিকে তাকালে একজন তাকে প্রশ্ন করেছিল ।
২৫. “ ওরা হেসে উঠল ...। ” — ওদের হেসে ওঠার কারণ কী ?
উত্তরঃ চায়ের দোকানে আসা বৃথাকে সে কোথা থেকে এসেছে জানতে চাওয়ায় তার মেজাজি পালটা প্রশ্ন ছিল যে , তাতে তাদের কাজ কী ? বুড়ির এই অস্বাভাবিক আচরণে সবাই হেসে উঠেছিল ।
২৬. “ বুড়ি খেপে গেল । ” — কোন্ কথা শুনে বুড়ি খেপে গিয়েছিল ?
উত্তরঃ চায়ের দোকানে একজন বুড়িকে বলেছিল “ ভারি তেজি দেখছি ! এইবাদলায় । তেজি ' টাটুর মতন বেরিয়ে পড়েছে । ” এই কথা শুনে বুড়ি খেপে গিয়েছিল ।
২৭. “ একজন ঠান্ডা মাথায় বলল ... ” — কী বলেছিল ?
উত্তরঃ একজন ঠান্ডা মাথায় বুড়িকে বলেছিল যে , বুড়ি কোথায় থাকে , তারা জিজ্ঞাসা করছে ।
২৮. বুড়ি চায়ের দোকানে চা খেয়ে কীভাবে চায়ের দাম দিয়েছিল ?
উত্তরঃ বুড়ি চা খেয়ে তার কম্বলের ভেতর থেকে একটা ন্যাকড়া বের করে তার মধ্যে বাঁধা পয়সা বের করে চায়ের দাম দিয়েছিল ।
২১. “ লােকেরা চেঁচিয়ে উঠল ... ” — চেঁচিয়ে উঠল কী বলে ?
উত্তরঃ “ মরবে রে , নির্ঘাত মরবে বুড়িটা ! ” — এ কথা বলেই লােকেরা চেঁচিয়ে উঠেছিল ।
৩০. “ লােকেরা চেঁচিয়ে উঠল ... ” কখন লােকেরা চেঁচিয়ে উঠেছিল ?
উত্তরঃ বুড়ি চায়ের দোকানে ঢুকে চা খেয়ে , তার দাম মিটিয়ে যখন ভরা বর্ষার মধ্যে রাস্তায় আবার নেমেছিল — তখনই লােকেরা চেঁচিয়ে উঠেছিল ।
৩১. “ বুড়ি ঘুরে বলল ... ” কী বলেছিল ?
উত্তরঃ ভারতবর্ষ ’ গল্পের বুড়িটা ঘুরে দাঁড়িয়ে চায়ের দোকানে বসে থাকা লােকদের বলেছিল , “ তােরা মর , তােদের শতগুষ্টি মরুক । ”
৩২. ভারতবর্ষ ' গল্পে বুড়ি যে বটতলায় গিয়েছিল , সেই বটতলাটা সে সময়ে কেমন ছিল ?
উত্তরঃ ‘ ভারতবর্ষ ’ গল্পে উল্লিখিত বটতলাটা সেইসময় জনহীন ছিল এবং সেখানকার মাটি ভিজে কাদা কাদা হয়ে গিয়েছিল ।
৩৩. “ বােঝা গেল , বুড়ির এ অভিজ্ঞতা প্রচুর আছে । ” বুড়ির কী অভিজ্ঞতা ছিল ?
উত্তরঃ বটগাছতলায় বটের গুড়ির কাছে থাকা একটি শিকড়ের ওপর বসে পেছনের গুড়ির কোটরে পিঠ ঠেকিয়ে পা ছড়িয়ে বসার অভিজ্ঞতার কথা এখানে বলা হয়েছে ।
৩৪ , “ কেউ কেউ বলল ” —কেউ কেউ কী বলল ?
উত্তরঃ কেউ কেউ বলেছিল যে , বটগাছতলায় না গিয়ে গ্রামের বারােয়ারিতলায় গেলেই বুড়ি ভালাে করত । দুর্যোগে বটগাছতলায় সে নির্ঘাত মারা পড়বে ।
৩৫. বুড়িকে যখন ভালােভাবে তার নিবাস কোথায় তা জিজ্ঞাসা করা হয় , তখন চা - দোকানের লােকদের বুড়ি কী উত্তর দিয়েছিল ?
উত্তরঃ চা - দোকানের লােকদের প্রশ্নের উত্তরে বুড়ি তাদের বলেছিল যে , তার । নিবাস তাদের মাথায় ।
৩৬. বুড়ি কোথায় পয়সা রেখেছিল ?
উত্তরঃ কম্বলের ভেতরে একটি ন্যাকড়ার মধ্যে বুড়ি পয়সা বেঁধে রেখেছিল ।
৩৭. ভারতবর্ষ ' গল্পের গল্পকথক বুড়ির স্বভাবচরিত্র সম্বন্ধে কোন্ কোন্ বিশেষণ প্রত্যক্ষ ও পরােক্ষভাবে ব্যবহার করেছেন ?
উত্তরঃ ‘ ভারতবর্য ’ গল্পের গল্পকথক বুড়ির স্বভাবচরিত্র সম্বন্ধে বড়ো মেজাজি ’ এবং ‘ ভারি তেজি ’ - এই দুটি বিশেষণ ব্যবহার করেছেন ।
৩৮. ডাকের মতে পৌযের বৃষ্টি সপ্তাহের কোন্ কোন্ বারে শুরু হলে সেইদিনই থেমে যায় ?
উত্তরঃ ডাকের মতে পৌষের বৃষ্টি রবিবার , সােমবার , বৃহস্পতিবার বা শুক্রবার শুরু হলে সেইদিনই থেমে যায় ।
৩৯. ‘ ডাকপুরুষের ’ পুরােনাে বচন ’ - এ পৌষের বৃষ্টি সম্বন্ধেকী বলা আছে ?
উত্তরঃ ডাকপুরুষের ’ পুরােনাে বচন ’ - এ পৌষের বৃষ্টি সম্বন্ধে বলা আছে যে , শনিবার শুরু হলে সাত দিন , মঙ্গলবার হলে পাঁচ দিন এবং বুধবার হলে তিন দিন বৃষ্টি চলবে । অন্যবারে শুরু হলে বৃষ্টি সেদিনই থামবে ।
৪০. “ অন্যদিনে লাগলে একদিনের ব্যাপার । ” — অন্যদিন বলতে কোন কোন্ দিনের কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ অন্যদিন বলতে রবি , সােম , বৃহস্পতি ও শুক্র — এই চার দিনের কথা বলা । হয়েছে ।
৪১. কিন্তু যেদিন ছাড়ল , সেদিন .. ” — কী ছাড়ার কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ ‘ ভারতবর্ষ ’ গল্পে পৌষমাসের এক মঙ্গলবার যে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল , সেই বৃষ্টি ছাড়ার অর্থাৎ থেমে যাওয়ার কথা এখানে বলা হয়েছে ।
৪২ , " “ .. কিন্তু যেদিন ছাড়ল , সেদিন .. ” কী দেখা গেল ?
উত্তরঃ পৌষের বৃষ্টি যেদিন ছাড়ল সেদিন আকাশ পরিষ্কার হয়ে সূর্যের উজ্জ্বল মুখ দেখা গেল ।
৪৩ , “ ... সবাই আবিষ্কার করল ... ” — কখন সবাই আবিষ্কার করল ?
উত্তরঃ পৌষের বৃষ্টি থেমে গেলে যেদিন পরিষ্কার আকাশে সূর্যের উজ্জ্বল মুখ দেখা গেল , সেদিনই সবাই আবিষ্কার করল ।
৪৪ , “ ... সবাই আবিষ্কার করল ... —কী আবিষ্কার করল ?
উত্তরঃ সবাই আবিষ্কার করল যে , বটগাছের গুঁড়ির কোটরে পিঠ রেখে বুড়ি চিৎ হয়ে অসাড়ভাবে পড়ে রয়েছে ।
৪৫. ভারতবর্ষ ' গল্পের বিশাল মাঠটি কোথায় ছিল ?
উত্তরঃ ‘ ভারতবর্ষ ’ গল্পের বিশাল মাঠটি ছিল বাজারের উত্তরদিকে ।
৪৬. ডাওর ’ কাকে বলে ?
উত্তরঃ রাঢ়বাংলার শীতকালে বৃষ্টি হলে সেই শীত আরও বেড়ে যায় । গ্রাম বাংলার তথাকথিত ছােটোলােকদের ভাষায় সেই অবস্থাকে বলে ‘ ডাওর ।
৪৭ , “ রাঢ়বাংলার শীত এমনিতেই খুব জাঁকালাে । ” — ‘ রাঢ়বাংলা ' বলতে কোন্ স্থানকে বােঝানাে হয়েছে ?
উত্তরঃ রাঢ়বাংলা ’ বলতে এককথায় গঙ্গার পশ্চিম তীরবর্তী স্থানকে বােঝায় ।
৪৮ , কোথায় গড়ে উঠেছে একটা ছােট্ট বাজার ’ ?
উত্তরঃ পিচের সড়ক আদ্যিকালের একটি বটগাছের পাশে যেখানে বাঁক নিয়েছে , সেখানেই ‘ ছােট্ট বাজারটি গড়ে উঠেছে ।
৪৯ , “ ধানের মরশুম — আজ না - হােক , কাল পয়সা পাবেই ... ” –ধানের । মরশুম ’ বলতে কোন্ সময়কালকে বােঝানাে হয়েছে ?
উত্তরঃ ধানের মরশুম বলতে এই গল্পে ধান কাটার সময়কে অর্থাৎ শীতকালকে বােঝানাে হয়েছে ।
৫০. “ .মাঝে - মাঝে বিমর্ষ সভ্যতার মুখ চোখে পড়ে .. ” কখন ?
উত্তরঃ যখন গ্রামের কাচা রাস্তায় সবুজ ঝােপের ফাক দিয়ে বাজারের দিকে এগিয়ে আসে গ্রাম্য কোনাে যুবক বা যুবতী , তখনই বিমর্ষ সভ্যতার মুখ চোখে পড়ে ।
৫১. “ ... এগিয়ে আসে কোনাে যুবক বা যুবতী ; ” — এই যুবক বা যুবতী কোন্ পােশাকে সজ্জিত থাকে ?
উত্তরঃ প্রশ্নোক্ত যুবক বা যুবতী আমেদাবাদের মিলে তৈরি সস্তা পােশাকে সজ্জিত থাকে ।
৫২. “ কিন্তু বাজারে বিদ্যুৎ আছে । ” — লেখক ‘ কিন্তু অব্যয়টি ব্যবহার করেছেন কেন ?
উত্তরঃ বাজারের চারপাশের গ্রামগুলিতে যেহেতু বিদ্যুৎ সংযােগ ছিল না , সে কারণেই লেখক কিন্তু অব্যয় ব্যবহার করে বুঝিয়েছেন যে , বাজারে বিদ্যুৎ
৫৩. “ ... বটগাছে পেঁচার ডাকও শুদ্ধতার অন্তর্গত মনে হয় । ” বটগাছটি কোথায় অবস্থিত ছিল ?
উত্তরঃ ভারতবর্ষ ’ গল্পে আমরা দেখি যে , পিচের সড়ক যেখানে বাঁক নিয়েছে , সেই বাঁকের মুখেই বাজার - পার্শ্ববর্তী বটগাছটি অবস্থিত ছিল ।
৫৪ , “ .বটগাছে পেঁচার ডাকও স্তন্ধতার অন্তর্গত মনে হয় । ” কখন ?
উত্তরঃ ভারতবর্ষ ’ গল্পের বটগাছ - পার্শ্বস্থ বাজারটি রাত নটার পর যখন অত্যন্ত নিস্তব্ধ হয়ে যেত , তখন বটগাছে পেঁচার ডাকও স্তব্ধতার অন্তর্গত মনে হত ।
৫৫. “ বৃষ্টিতে তা হল ধারালাে ৷ ” — কী ধারালাে হল বৃষ্টিতে ?
উত্তরঃ রাঢ়বাংলার প্রবল জাঁকালাে শীত বৃষ্টিতে ধারালাে হয়েছিল ।
৫৬. ‘ পউষে বাদলা ’ কাকে বলে ?
উত্তরঃ পৌষমাসের বৃষ্টিকেই গ্রামবাংলার ভদ্রলােকে ‘ পউষে বাদলা ’ বলে ।
৫৭ , কেন “ সবাই চলে আসে সভ্যতার ছােট্ট উনােনের পাশে হাত - পা সেঁকে নিতে ” ?
উত্তরঃ প্রচণ্ড শীতের প্রাকৃতিক দুর্যোগে গ্রামবাসীদের ঘরে বসে দিন কাটতে চায় বলেই তারা বাজার রূপ উনােনের কাছে চলে আসে ।
৫৮. “ ... সে - সবই এসে পড়ে । ” — কো - সব এসে পড়ে ?
উত্তরঃ বােম্বাইয়ের নায়ক - নায়িকা অথবা গায়ক , বিধায়ক , মুখ্যমন্ত্রী , প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি ইত্যাদি নেতা - নেত্রী থেকে শুরু করে গ্রামের সাধারণ মানুষের কথা — সবই আডডায় এসে পড়ে ।
৫৯ , “ সবাই চলে আসে সভ্যতার ছােট্ট উনােনের পাশে হাত - পা সেঁকে । নিতে । ” — কাকে ‘ সভ্যতার ছােট্ট উনােন ’ বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ ভারতবর্ষ ’ গল্পে উল্লিখিত গ্রামীণ বাজারটিকেই সভ্যতার ছােট্ট উনােন ’ বলা হয়েছে ।
৬০. , ..আজ না - হােক , কাল পয়সা পাবেই ” —এমন নিশ্চয়তার কারণ কী ?
উত্তরঃ সেইসময় ধান কাটার মরশুম চলছিল বলে গ্রামের মানুষদের হাতে যেহেতু টাকার জোগান ছিল , তাই চাওয়ালা টাকা পাওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত ছিল ।
৬১. “ সেই সময় এল এক বুড়ি । ” — কোথায় , কীভাবে এসেছিল সেই বুড়ি ?
উত্তরঃ পিচের রাস্তা দিয়ে ভিজতে ভিজতে একই গতিতে হাঁটতে হাঁটতে চায়ের দোকানে এসে ঢুকেছিল বুড়ি ।
৬৪. “ তাকে দেখে সবাই তর্ক থামাল । ” — কাকে দেখে ?
উত্তরঃ এক থুথুরে , কুঁজো বুড়িকে চায়ের দোকানে ঢুকতে দেখে আড্ডা দেওয়া । চাষাভুসাে মানুষরা তাদের তর্ক থামিয়েছিল ।
৬৩. “ মরবে রে , নির্ঘাত মরবে বুড়িটা ! ” —এমন আশঙ্কার কারণ কী ?
উত্তরঃ প্রবল শীতের অকালবর্ষণে অপ্রতুল পােশাকে অশীতিপর বৃদ্ধটি বাইরে বেরিয়ে বৃষ্টিতে ভিজছিল বলেই এমন আশঙ্কা করা হয়েছে ।
৬৪. “ অর্থাৎ সে বৃক্ষবাসিনী । ”- -কেন তাকে বৃক্ষবাসিনী’বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ শীতের অকালবৃষ্টিতে ভেজা বুড়িটা বটগাছের নীচে গিয়ে খুঁড়ির পাশের একটা শিকড়ের ওপর বসে খুঁড়ির কোটরে পিঠ ঠেকিয়েছিল । বুড়ি সেখানে থাকতে অভ্যস্ত ছিল বলেই তাকে বৃক্ষবাসিনী ’ বলা হয়েছে ।
৬৫ , “ ..গ্রামের ‘ ডাকপুরুষের ’ পুরােনাে বচন’আছে । ” — কী সম্বন্ধে ?
উত্তরঃ পৌষের বৃষ্টি সম্বন্ধে গ্রামের ডাকপুরুষের ’ পুরােনাে ‘ বচন আছে ।
৬৬. “ ..গ্রামের ডাকপুরুষের ’ পুরােনাে বচন আছে । ” — ডাকপুরুষ কে ?
উত্তরঃ গ্রামবাংলায় ‘ ডাক ’ নামক যে প্রখ্যাত গােপালক জ্ঞানীপুরুষ ছিলেন , তিনিই ‘ ডাকপুরুষ ’ নামে অভিহিত হন ।
৬৭ , পউষে বাদলা সম্পর্কে গ্রামের ডাকপুরুষের ’ পুরােনাে বচনে কী বলা আছে ?
উত্তরঃ পউষে বাদলা সম্পর্কে গ্রামের ডাকপুরুষের ’ পুরােনাে বচনে বলা আছে— “ শনিতে সাত , মঙ্গলে পাঁচ , বুধে তিনবাকি সব দিন - দিন । ”
No comments:
Post a Comment