শিকার কবিতার প্রশ্ন উত্তর পড়তে নিচের লিঙ্ক এ ক্লিক করো
১. রূপনারানের কূলে ’ কবিতাটি কোন্ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ?
উত্তরঃ ‘ রূপনারানের কূলে ’ কবিতাটি শেষ লেখাকাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ।
২. রূপনারানের কূলে ’ কবিতাটির রচনাকাল ও স্থান উল্লেখ করাে ।
উত্তরঃ শান্তিনিকেতনের উদয়নে অবস্থানকালে ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ১৩ মে এবং ১৪ মে এই দু - দিন ধরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘ রূপনারানের কূলে ’ কবিতাটি রচনা করেন ।
৩. “ জেগে উঠিলাম ” —কে , কোথায় জেগে উঠলেন ?
উত্তরঃ রূপনারানের কূলে কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বয়ং রূপনারানের তীরে জেগে উঠলেন ।
৪ , “ জেগে উঠিলাম ” —জেগে উঠে কবি কী উপলব্ধি করেছিলেন ?
উত্তরঃ বক্তা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রূপনারানের কূলে জেগে উঠে উপলদ্ধি করলেন যে , ‘ এ জগৎ স্বপ্ন নয় ।
৫. “ জানিলাম এ জগৎ / স্বপ্ন নয় । ” — কখন কবি এ কথা জেনেছিলেন ?
উত্তরঃ কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবন - সায়াহ্নে যখন রূপনারানের কূলে জেগে উঠেছিলেন , তখনই জেনেছিলেন যে এ জগৎ স্বপ্ন নয় ।
৬. রূপনারানের কূলে জেগে উঠে কবি কী জানলেন ?
উত্তরঃ রূপনারানের কূলে জেগে উঠে কবি জানলেন যে , এ জগৎ স্বপ্ন নয় ।
৭. “ জানিলাম এ জগৎ / স্বপ্ন নয় । ” — কবির চোখে এ জগৎ কেমন ?
উত্তরঃ কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘ রূপনারানের কুলে ’ জেগে উঠে জেনেছিলেন , যে জগতে তিনি ছিলেন তা স্বপ্ন নয় , তা আঘাত - সংঘাতে ভরা কঠিন বাস্তব ।
৮. “ দেখিলাম আপনার রূপ , ” — কবি কীভাবে এই রূপ দেখলেন ?
উত্তরঃ ‘ রূপনারানের কূলে কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রক্তের অক্ষরে নিজের এই রূপ দেখলেন ।
৯. “ রক্তের অক্ষরে দেখিলাম ” বলতে কীভাবে দেখার কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ ‘ রূপনারানের কূলে কবিতায় রক্তের অক্ষরে দেখিলাম ’ বলতে কবি যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট মৃত্যুর অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন ।
১০ , “ চিনিলাম আপনারে ” —কে আপনারে চিনেছিলেন ?
উত্তরঃ ‘ রূপনারানের কূলে কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বয়ং আপনারে’অর্থাৎ নিজেকে চিনেছিলেন ।
১১. “ চিনিলাম আপনারে ” —এই চেনার স্বরূপ কী ?
উত্তরঃ ‘ রূপনারানের কূলে কবিতায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নিজেকে চেনার অর্থ আসলে সত্যের কঠিন অথচ যথাযথ স্বরূপকে চিনতে বা বুঝতে পারা ।
১২. “ চিনিলাম আপনারে ” —কবি কীভাবে নিজেকে চিনলেন ?
উত্তরঃ দ্বন্দ্ব - সংঘাতমুখর এই বাস্তব পৃথিবীতে কবি আঘাতে আঘাতে , বেদনায় বেদনায় নিজেকে চিনলেন ।
১৩. “ সত্য যে কঠিন ” —কবি সত্যকে কঠিন বলেছেন কেন ?
অথবা
রূপনারানের কূলে ' কবিতার কবি সত্যকে কঠিন বলেছেন কেন ?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘ রূপনারানের কূলে কবিতায় সত্য কঠিন বলতে বুঝিয়েছেন যে , সত্য সব সময় কাঙ্ক্ষিত নাও হতে পারে ।
১৪. “ সত্য যে কঠিন ” —এ কথা বলেও সত্য সম্পর্কে কবির প্রতিক্রিয়া কী ?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার রূপনারানের কূলে ' কবিতায় সত্যকে কঠিন জেনেও তাকে ভালোবেসেছেন ।
১৫. “ সত্য যে কঠিন ” —তবু কবি সত্যকে ভালােবাসেন কেন ?
উত্তরঃ সত্য কঠিন জেনেও কবি সত্যকে ভালােবাসেন , কারণ সত্য কখনও বনা করে না ।
১৬. রূপনারানের কূলে ' কবিতায় কবি সত্যকে কোন্ বিশেষণে ভূষিত করেন ?
উত্তরঃ ‘ রূপনারানের কূলে ' কবিতায় কবি সত্যকে ‘ কঠিন বিশেষণে ভূষিত করেছেন ।
১৭. “ সত্য যে কঠিন ” বক্তা সত্যের সঙ্গে কেমন আচরণ করেছেন ?
উত্তরঃ বক্তা কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সত্যকে কঠিন জেনেও তাকে ভালােবেসেছেন ।
১৮. “ কঠিনেরে ভালােবাসিলাম ” কবি কেন কঠিন ’ - কে ভালােবাসলেন ?
অথবা
“ কঠিনেরে ভালােবাসিলাম ” কঠিনকে ভালােবাসার কারণ কী ?
উত্তরঃ ‘ রূপনারানের কূলে ’ কবিতায় কবি ‘ কঠিন ’ - কে ভালােবেসেছিলেন কারণ কঠিনই হল সত্যের স্বরূপ এবং সে কখনও কাউকে বনা করে না ।
১১ , “ সে কখনাে করে না বঞ্চনা । ” বক্তা কে ?
উত্তরঃ রূপনারানের কূলে ’ কবিতায় উল্লিখিত পঙক্তিটির বক্তা কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বয়ং ।
২০. “ সে কখনাে করে না বওনা । ” — এরূপ বলার কারণ কী ?
উত্তরঃ সত্য যেহেতু মায়া বা স্বপ্ন নয় , তা কঠোর ও কঠিন বাস্তব , তাই তা কাউকে । মােহাবিষ্ট বা স্বপ্নবিষ্ট করে প্রবঞ্চনা করে না ।
২১. “ সে কখনাে করে না বঞ্চনা । ”- -কে কখনও করে না বঞ্চনা ?
উত্তরঃ রূপনারানের কূলে ’ কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জানিয়েছেন যে , কঠিন । সত্য কখনও কবি তথা মানুষকে বর্ণনা করে না ।
২২. “ আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা এ জীবন ” কবি জীবনকে দুঃখের তপস্যা ’ মনে করেছেন কেন ?
অথবা ,
কবি জীবনকে দুঃখের তপস্যা বলেছেন কেন ?
উত্তরঃ জীবনধারণ করতে গিয়ে প্রতিটি মানুষকেই প্রতিনিয়ত ব্যথা - বেদনা আঘাত দুঃখ - দুর্দশাকে বরণ করতে হয় বলেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘ রূপনারানের কুলে ’ কবিতায় জীবনকে দুঃখের তপস্যা বলেছেন ।
২৩. , রূপনারানের কুলে ’ কবিতায় মৃত্যুতে সকল দেনা’কীভাবে শশাধ করা সম্ভব বলে কবি মনে করেছিলেন ?
অথবা
, “ মৃত্যুতে সকল দেনা শােধ করে দিতে । ” — মৃত্যুতে সকল দেনা ’ কীভাবে শােধ করা সম্ভব বলে কবি মনে করেছেন ?
উত্তরঃ ‘ রূপনারানের কূলে ' কবিতায় আমৃত্যু দুঃখের তপস্যার মধ্য দিয়েই ‘ মৃত্যুতে সকল দেনা শােধ করা সম্ভব হবে বলে কবি মনে করেছেন ।
২৪. , রূপনারানের কূলে ’ কবিতায় কবি কীসের মূল্য লাভ করতে চেয়েছেন ?
উত্তরঃ ‘ রূপনারানের কুলে ' কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সত্যের দারুণ মূল্য লাভ করতে চেয়েছেন ।
২৫... সকল দেনা শােধ করে দিতে । ” — “ সকল দেনা ’ বলতে কী বােঝ ?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার রূপনারানের কূলে কবিতায় সকল দেনা বলতে কোনাে মানুষ তার সারা জীবনে যা যা অর্জন করে , সেসবের কথা বলেছেন ।
২৬. “ সত্যের দারুণ মূল্য লাভ করিবারে ” —সত্যের দারুণ মূল্য ’ বলতে কী বােঝ ?
উত্তরঃ সত্যের দারুণ মূল্য বলতে কবি অপ্রিয় ও কঠিন সত্যকে স্বীকার করার জন্য যে মনােবল ও নিরাসক্ত মনােভাবের প্রয়ােজন , তার কথা বলেছেন ।
২৭. সত্যের দারুণ মূল্য লাভ করিবারে ’ কী ঘটেছে কবিজীবনে ?
উত্তরঃসত্যের দারুণ মূল্য লাভ করবার জন্য সারাজীবন ধরে দুঃখের তপস্যা করতে হয়েছে কবিকে ।
২৮. সত্যের দারুণ মূল্য লাভ করার জন্য কী করতে হয় ?
উত্তরঃ সত্যের দারুণ মূল্য ’ অর্থাৎ প্রকৃত মূল্য লাভ করার জন্য আমৃত্যু দুঃখের তপস্যা করতে হয় ।
২৯. কবি মৃত্যুতে সকল দেনা শােধ করে দিতে চান কেন ?
উত্তরঃ নিশ্চিন্তে মৃত্যুর কাছে নিজেকে সমর্পণ করতে চান বলেই কবি প্রকৃতি ও মানবসমাজের সকল দেনা শােধ করে দিতে চান ।
No comments:
Post a Comment