Class 9th History Chapter -2 Questions and Answers Part-3 | নবম শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় বিল্পবী আদর্শ নেপোলিয়নীয় সাম্রাজ্য ও জাতীয়তাবাদ প্রশ্ন উত্তর পার্ট -৩ - Psycho Principal

Fresh Topics

Monday, 29 May 2023

Class 9th History Chapter -2 Questions and Answers Part-3 | নবম শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় বিল্পবী আদর্শ নেপোলিয়নীয় সাম্রাজ্য ও জাতীয়তাবাদ প্রশ্ন উত্তর পার্ট -৩

 

দ্বিতীয় অধ্যায়
বিল্পবী আদর্শ নেপোলিয়নীয় সাম্রাজ্য ও জাতীয়তাবাদ




পার্ট -৩

⬛অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান -1

1. কে, কাদের ‘দোকানদারের জাত' বলে বিদ্রুপ করতেন ? 

উঃ  নেপোলিয়ন বোনাপার্ট, ইংরেজদের ‘দোকানদারের জাত’ বলে বিদ্রুপ করতেন।


2. ইউরোপে 'সমুদ্রের রানি' কোন্ দেশ ?

উঃ  ইংল্যান্ডকে ইউরোপের সমুদ্রের রানি বলা হয়।


3. কে নেপোলিয়নকে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধের প্রস্তাব দেন?

উঃ নেপোলিয়নের সেনাপতি মন্টজেলার্ড নেপোলিয়ানকে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধের প্রস্তাব দেন।


4. প্রথমে কোন্ কোন্ দেশ নেপোলিয়নের বার্লিন ডিক্রি মেনে নিতে রাজি হয়?

উঃ প্রথমে রাশিয়া, অস্ট্রিয়া, স্পেন ও পোর্তুগাল নেপোলিয়নের বার্লিন ডিক্রি মেনে নিতে রাজি হয়।


5. কে, কবে ও কার বিরুদ্ধে বার্লিন ডিক্রি জারি করেন ?

উঃ  ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন ১৮০৬ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বার্লিন ডিক্রি জারি করেন ।


6. মহাদেশীয় ব্যবস্থা কে প্রবর্তন করেন ?

উঃ মহাদেশীয় ব্যবস্থা ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট প্রবর্তন করেন।


7. কে, কবে, কার বিরুদ্ধে মিলান ডিক্রি জারি করেন?

উঃ ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন ১৮০৭ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মিলান ডিক্রি জারি করেন ।


6. চিলসিটের সন্ধি কত খ্রিস্টাব্দে হয়?

উঃ  টিলসিটের সন্ধি হয় ১৮০৭ খ্রিস্টাব্দে।


7. টিলসিটের সন্ধি কাদের মধ্যে হয়েছিল ? 

উঃ  ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন এবং রাশিয়ার জার প্রথম আলেকজান্ডারের মধ্যে ১৮০৭ খ্রিস্টাব্দে টিলসিটের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়। পরবর্তীতে অস্ট্রিয়া ও প্রাশিয়া এই সন্ধিতে যোগদান করে।


৪. সিজালপাইন প্রজাতন্ত্রের ভিত্তিভূমি কী ছিল ?

উঃ নেপোলিয়ন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত সিজালপাইন প্রজাতন্ত্রের ভিত্তিভূমি ছিল ইটালি।


9. সিজালপাইন প্রজাতন্ত্রের পরের নাম কী ?

উঃ সিজালপাইন প্রজাতন্ত্রের পরের নাম হল ইটালি প্রজাতন্ত্র।


10. ইতালীয় প্রজাতন্ত্র কাকে বলে ?

উঃ  ডাইরেক্টরি শাসনকালে ইটালিতে সিজালপাইন প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা হয়। এটিই ১৮০৫ খ্রিস্টাব্দে ইটালীয় প্রজাতন্ত্র নামে পরিচিত হয়। 


11. নেপোলিয়ন ইউরোপের কোন্ কোন্ দেশ অধিকার করেন?

উঃ নেপোলিয়ন ইউরোপের জার্মানির বৃহদংশ, ইটালির বৃহদংশ, স্পেন, হল্যান্ড, মিশর, বেলজিয়াম, অস্ট্রিয়া, পোল্যান্ড প্রভৃতি দেশ অধিকার করেন।


12. ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্য কে গঠন করেন ?

উঃ নেপোলিয়ন বোনাপার্ট হ্যানোভার, স্যাক্সনি, ব্যান্সউইক, হেসে কেসেল প্রভৃতি রাজ্যাংশ নিয়ে ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্য গঠন করেন।


13. নেপোলিয়ন কোন কোন রাজ্যাংশ নিয়ে কিংডম অব ওয়েস্টফেলিয়া' গঠন করেন ? 

উঃ নেপোলিয়ন এলবা নদীর পশ্চিম তীরবর্তী হ্যানোভার, স্যাক্সনি প্রভৃতি জার্মান রাজ্যগুলি দখল করে সেগুলিকে নিয়ে 'কিংডম অব ওয়েস্টফেলিয়া' রাজ্য গঠন করেন।


14. নেপোলিয়নের কোন দুই ভাই জার্মানি ও নেদারল্যান্ড্স-এ শাসন ক্ষমতায় বসেন ?

উঃ  নেপোলিয়নের ভাই জেরোম বোনাপার্ট জার্মানির ও লুই নেপোলিয়ন নেদারল্যান্ড্স-এর শাসন ক্ষমতায় বসেন।


15. কত খ্রিস্টাব্দে নেপোলিয়ন কনফেডারেশন অব দ্য রাইন গঠন করেন ?

উঃ  ১৮০৬ খ্রিস্টাব্দে নেপোলিয়ন জার্মানির উটেমবার্গ, বেডেন, হেসবার্গ প্রভৃতি ছোটো ছোটো রাজ্য দখল করে কনফেডারেশন অব দ্য রাইন' গঠন করেন।


16. হোহেনলিন্ডেনের যুদ্ধ কবে, কাদের মধ্যে হয়েছিল ? 

উঃ ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্স ও অস্ট্রিয়ার মধ্যে হোহেনলিন্ডেনের যুদ্ধ হয়েছিল।


17. কবে, কাদের মধ্যে লুনভিলের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়?

উঃ ১৮০১ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্স ও অস্ট্রিয়ার মধ্যে লুনভিলের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়।


18. উমের যুদ্ধ কবে, কাদের মধ্যে হয়েছিল? 

উঃ  ১৮০৫ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্স ও অস্ট্রিয়ার মধ্যে উল্‌মের যুদ্ধ হয়েছিল।


19. ম্যারেঙ্গোর যুদ্ধ কবে, কাদের মধ্যে হয়েছিল? 

উঃ ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্স ও অস্ট্রিয়ার মধ্যে ম্যারেঙ্গোর যুদ্ধ হয়েছিল।


20. ট্রাফালগারের যুদ্ধে ফ্রান্স কার কাছে পরাজিত হয় ?

উঃ ট্রাফালগারের যুদ্ধে ফ্রান্স ইংল্যান্ডের কাছে পরাজিত হয়। 


21. ট্রাফালগারের নৌযুদ্ধে ইংরেজ সেনাপতি কে ছিলেন?

উঃ  ট্রাফালগারের নৌযুদ্ধে ইংরেজ সেনাপতি ছিলেন নেলসন।


22. ট্রাফালগারের নৌযুদ্ধে কে কাকে পরাজিত করেন ?

উঃ ট্রাফালগারের নৌযুদ্ধে ইংল্যান্ডের সেনাপতি নেলসন ফরাসি সেনাপতি ভিলেনেউভকে পরাজিত করেন।


23. 'গ্র্যান্ড ডাচি অব ওয়ারশ' কোথায় গঠন করা হয়?

উঃ নেপোলিয়ন প্রাশিয়ার অধীনস্থ পোল্যান্ড এবং রাশিয়ার কিছু অংশ নিয়ে ‘গ্র্যান্ড ডাচি অব ওয়ারশ' গঠন করেন।


24. ‘ফতেব্লু চুক্তি' কত সালে হয় ?

 উঃ ১৮১৪ খ্রিস্টাব্দে ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন ও চতুর্থ শক্তিজোটের মধ্যে ‘ফঁতের চুক্তি' স্বাক্ষরিত হয়। এই সন্ধির দ্বারা নেপোলিয়ন ফ্রান্সের সিংহাসন ত্যাগ করে এলবা দ্বীপে নির্বাসিত হন।


25. পেনিনসুলার যুদ্ধ কাদের মধ্যে হয়েছিল?

 উঃ স্পেন ও পোর্তুগালের সম্মিলিত বাহিনীর সঙ্গে ফ্রান্সের পেনিনসুলার যুদ্ধ (১৮০৮ খ্রি.-১৮১৪ খ্রি.) হয়েছিল। এই যুদ্ধে স্পেনের আবেদনে ইংল্যান্ড প্রচুর সেনাবাহিনী ও সামরিক সাহায্য পাঠান।



⬛ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান -2/3

1.  টিলসিটের সন্ধি' থেকে রাশিয়া সরে দাঁড়িয়েছিল কেন?

 উঃ রাশিয়া ও ফ্রান্সের মধ্যে টিলসিটের সন্ধি (১৮০৭ খ্রি.) স্বাক্ষরিত হয়। এই সন্ধি থেকে রাশিয়ার সরে দাঁড়ানোর কারণ ছিল—[1] সন্ধিতে সম্ভাব্য রুশ-তুরস্ক যুদ্ধে নেপোলিয়ন রাশিয়াকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিলেও তিনি পরে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন। [2] নেপোলিয়ন সুইডেনের বিরুদ্ধেও জার প্রথম আলেকজান্ডারকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রক্ষা করেননি।


2.  কনফেডারেশন অব দ্য রাইন' কী? এর প্রতিষ্ঠাতা কে?

 উঃ ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন জার্মানির উটেমবার্গ, বেডেন, হেসবার্গ প্রভৃতি ছোটো ছোটো রাজ্য দখল করে এদের নিয়ে কনফেডারেশন বা রাষ্ট্র-সমবায় গঠন করেন। এটি কনফেডারেশন অব দ্য রাইন' নামে পরিচিত। এর প্রতিষ্ঠাতা হলেন ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন।


3.  কনফেডারেশন অব দ্য রাইন কোন্ কোন্ রাজ্য নিয়ে গঠিত হয় ?

উঃ নেপোলিয়ন জার্মানির উটেমবার্গ, ব্যাভেরিয়া, ব্যাডেন, হেসবার্গ, স্যাক্সনি-সহ ক্ষুদ্র রাজ্যগুলি নিয়ে কনফেডারেশন অব রাইন' গঠন করেন।


4. ‘কিংডম অব ওয়েস্টফেলিয়া' সম্পর্কে কী জান?

উঃ নেপোলিয়ন এলবা নদীর পশ্চিম তীরবর্তী হ্যানোভার, স্যাক্সনি প্রভৃতি জার্মান রাজ্যগুলি দখল করে সেগুলিকে নিয়ে একটি রাষ্ট্র-সমবায় গড়ে তোলেন যা 'কিংডম অব ওয়েস্টফেলিয়া' নামে পরিচিত। নেপোলিয়নের ছোটো ভাই জেরোম বোনাপার্ট এখানকার রাজা হন।



5.  ট্রাফালগারের যুদ্ধ কবে কাদের মধ্যে হয়?

উঃ [1] ১৮০৫ খ্রিস্টাব্দে ট্রাফালগারের নৌযুদ্ধ সংঘটিত হয়। [2] ফ্রান্স ও ইংল্যান্ডের মধ্যে ট্রাফালগারের নৌযুদ্ধ সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধে ইংরেজ নৌ-সেনাপতি নেলসন ফরাসি নৌ-সেনাপতি ভিলনেউভ-কে শোচনীয়ভাবে পরাজিত করেন।



6. ট্রাফালগারের নৌযুদ্ধের গুরুত্ব কী ?

উঃ ট্রাফালগারের নৌযুদ্ধ (২১ অক্টোবর, ১৮০৫ খ্রি.) ছিল নেপোলিয়নের পতনের প্রথম ধাপ। এই যুদ্ধে পরাজয়ের ফলে ইউরোপে নেপোলিয়নের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয় এবং ফরাসি নৌবহর সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়।


7. ডাইরেক্টরির আমলে ইটালিতে নেপোলিয়নের সাফল্য ব্যক্ত করো।

উঃ ডাইরেক্টরির শাসনকালে (১৭৯৫-৯৯ খ্রি.) নেপোলিয়ন— [1] ইটালির সার্ডিনিয়াকে পরাজিত করে স্যাভয় ও নিস দখল করেন। [2] ইটালির পার্মা, মডেনা ও নেপল্স-এর শাসকরা নেপোলিয়নের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। [3] অস্ট্রিয়াকে পরাজিত করে লম্বার্ডি, ভেনিস ও মিলান দখল করেন।


8.  'গ্র্যান্ড ডাচি অব ওয়ারশ' কী ?

উঃ নেপোলিয়ন প্রাশিয়ার অধীনস্থ পোল্যান্ড এবং রাশিয়ার কিছু অংশ নিয়ে একটি রাষ্ট্র-সমবায় গড়ে তোলেন যা 'গ্র্যান্ড ডাচি অব ওয়ারশ' নামে পরিচিত। স্যাক্সনির রাজা এখানকার শাসন পরিচালনার দায়িত্ব পান।


9. প্রেম মহাদেশীয় ব্যবস্থা বলতে কী বোঝ ?

উঃ ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বার্লিন, মিলান, ওয়ারশ, ফতেন প্রভৃতি ডিক্রির মাধ্যমে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ ঘোষণা করে বলেন যে, ইংল্যান্ডের কোনো জাহাজ ইউরোপের কোনো বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে না এবং ইউরোপের কোনো রাষ্ট্র ইংল্যান্ড থেকে পণ্য আমদানি করতে পারবে না। এই নীতি ‘মহাদেশীয় ব্যবস্থা' বা “মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থা' বা 'কন্টিনেন্টাল সিস্টেম' নামে পরিচিত।


10.  নেপোলিয়ন কী উদ্দেশ্যে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মহাদেশীয় অবরোধ ঘোষণা করেন?

 উঃ নেপোলিয়ন প্রধানত দুটি উদ্দেশ্যে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মহাদেশীয় অবরোধ ঘোষণা করেন। যথা—–[1] মহাদেশীয় ভূখণ্ডে শিল্পোন্নত ইংল্যান্ডের পণ্য বিক্রি করে দিয়ে ইংল্যান্ডের অর্থনীতি পঙ্গু করা এবং [2] ইউরোপে ব্রিটিশ পণ্যের অনুপস্থিতির সুযোগে ফ্রান্সে দ্রুত শিল্পায়ন ঘটিয়ে ব্রিটিশ পণ্যের শূন্যস্থান দখল করা।


11. 'বার্লিন ডিক্রি' কী ?

 উঃ নেপোলিয়ন “মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থা' কার্যকর করার উদ্দেশ্যে যেসব হুকুমনামা জারি করেন, সেগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল বার্লিন ডিক্রি (১৮০৬ খ্রি.)। এতে বলা হয়—[1] ইংল্যান্ড বা তার উপনিবেশগুলির কোনো জাহাজ ফ্রান্স এবং ফ্রান্সের মিত্র বা নিরপেক্ষ কোনো দেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না। [2] এসব দেশে কোনো জাহাজে করে ব্রিটিশ পণ্য ঢুকলে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে।


12.  বার্লিন ডিক্রিতে কী বলা হয় ?

উঃ ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন ১৮০৬ খ্রিস্টাব্দে (১১ নভেম্বর) বার্লিনে এক হুকুমনামা বা ঘোষণা জারি করে বলেন যে—[1] ইংল্যান্ড বা তার উপনিবেশগুলির কোনো জাহাজ ফ্রান্স এবং ফ্রান্সের মিত্র বা নিরপেক্ষ কোনো দেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না। [2] এসব দেশে কোনো ব্রিটিশ পণ্য ঢুকতে দেওয়া হবে না। [3] এসব দেশে কোনো জাহাজে করে ব্রিটিশ পণ্য ঢুকলে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে। এই ঘোষণা বার্লিন ডিক্রি নামে পরিচিত।


13. অর্ডার্স-ইন-কাউন্সিলে কী বলা হয় ?

 উঃ ইংল্যান্ড কর্তৃক ঘোষিত ‘অর্ডার্স-ইন-কাউন্সিল'-এর ঘোষণায় বলা হয় যে–[1] ফ্রান্স ও তার মিত্র দেশগুলির বন্দরে অন্য কোনো দেশের জাহাজ ঢুকতে পারবে না। ঢুকলে সেই জাহাজ ও তার মালপত্র বাজেয়াপ্ত করা হবে।[2] কোনো নিরপেক্ষ দেশ ফ্রান্স ও তার মিত্র কোনো দেশের বন্দরে একান্তই জাহাজ পাঠাতে চাইলে সেই জাহাজকে যথার্থ কি দিয়ে ইংল্যান্ডের কাছ থেকে লাইসেন্স বা আগাম অনুমতি নিতে হবে।


14. ফঁতেনব্লু-এর গোপন সন্ধি (১৮০৭ খ্রি.) সম্পর্কে কী জান ?

 উঃ পোর্তুগাল মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থা মানতে অস্বীকার করলে নেপোলিয়ন স্পেনের সঙ্গে ফঁতেনব্লু-এর গোপন সন্ধি (১৮০৭ খ্রি.) স্বাক্ষর করেন। এই সন্ধির দ্বারা স্থির হয় যে [1] ফ্রান্স ও স্পেনের যৌথ বাহিনী পোর্তুগাল আক্রমণ করবে। [2] যুদ্ধে জয়লাভের পর পোর্তুগাল ও তার উপনিবেশগুলি ফ্রান্স ও স্পেন ভাগ করে নেবে।


15. মিলান ডিক্রি ?

উঃ  ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন ১৮০৭ খ্রিস্টাব্দে মিলান শহর থেকে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ ঘোষণা করে বলেন যে [1] কোনো নিরপেক্ষ বা মিত্র দেশ অবরুদ্ধ বন্দরে জাহাজ পাঠালে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে। [2] কোনো নিরপেক্ষ দেশের জাহাজ ইংল্যান্ডে প্রবেশ করলে তা শত্রুদেশের জাহাজ বলে গণ্য হবে। এই ঘোষণা মিলান ডিক্রি নামে পরিচিত।


16. মহাদেশীয় অবরোধ প্রথা কার্যকর করতে গিয়ে নেপোলিয়ন রোম ও হল্যান্ডে কী পদক্ষেপ নেন?

উঃ নেপোলিয়ন মহাদেশীয় অবরোধ প্রথা কার্যকর করতে গিয়ে রোম ও হল্যান্ডের প্রতি কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। [1] ব্রোমের পোপ নেপোলিয়নের মহাদেশীয় অবরোধ মানতে অস্বীকার করেন। ফলে নেপোলিয়ন পোপকে বন্দি করেন। [2] হল্যান্ডের শাসক লুই (নেপোলিয়নের ভাই) মহাদেশীয় অবরোধ মানতে অস্বীকার করলে নেপোলিয়ন তাঁকে সিংহাসনচ্যুত করে হল্যান্ড দখল করেন।


17. ফঁতেনর সন্ধি কত সালে, কাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়?

উঃ ফঁতেব্রু সন্ধি ১৮১৪ খ্রিস্টাব্দে ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন ও বিজরী চতুর্থ শক্তিজোটের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়।


18. মহাদেশীয় ব্যবস্থা কেন ব্যর্থ হয়েছিল?

উঃ নেপোলিয়নের মহাদেশীয় ব্যবস্থা ব্যর্থ হয়েছিল কারণ [1] নেপোলিয়ন মহাদেশীয় অবরোধ ঘোষণা করলেও শক্তিশালী নৌবাহিনীর অভাবে তা বাস্তবায়িত করতে পারেননি। [2] ফ্রাজ্যে বিরুদ্ধে ইংল্যান্ড অর্ডার্স -ইন-কাউন্সিল' নামে পালটা অবরোধ ঘোষণা করে তা নৌশক্তির জোরে বাস্তবায়িত করেন। [3] ফ্রান্সের পণ্যসামগ্রী গুণগত মান ব্রিটিশ পণ্যের সমতুল্য ছিল না বলে মহাদেশীয় ভূখণ্ডের রাষ্ট্রগুলি ব্রিটিশ পণ্যই কিনতে চাইত।


19.  ফ্রান্স-বিরোধী প্রথম শক্তিজোট সম্পর্কে কী জান?

 উঃ ফ্রান্সের বিপ্লবী আইনসভা রাজা ষোড়শ লুই-এর প্রাণদণ্ড দিলে ইউরোপের রাজতন্ত্রগুলি এর বিরোধিতা করে। বিপ্লবী ফ্রান্সকে শায়েস্তা করার উদ্দেশ্যে ইংল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, প্রাশিয়া, স্পেন, পোর্তুগাল, সুইডেন প্রভৃতি দেশ ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে প্রথম শক্তিজোট গড়ে তোলে।

No comments:

Post a Comment