Class 9th History Chapter -3 Questions and Answers Part-2 | নবম শ্রেণীর ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় ঊনবিংশ শতকের ইউরোপ প্রশ্ন উত্তর পার্ট -২ - Psycho Principal

Fresh Topics

Sunday, 11 June 2023

Class 9th History Chapter -3 Questions and Answers Part-2 | নবম শ্রেণীর ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় ঊনবিংশ শতকের ইউরোপ প্রশ্ন উত্তর পার্ট -২

 

তৃতীয় অধ্যায়
ঊনবিংশ শতকের ইউরোপ 







পার্ট -

⬛অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান -1

1. ইটালি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আগে পিডমন্ট-সার্ডিনিয়ার রাজা কে ছিলেন?

উঃ  ইটালি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আগে পিডমন্ট-সার্ডিনিয়ার রাজা ছিলেন স্যাভয় বংশীয় চার্লস অ্যালবার্ট।


2. ইটালি ছিল—'একটি ভৌগোলিক সংজ্ঞামাত্র'-এই কথাটি কে বলেছেন ? 

উঃ অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর মেটারনিখ বলতেন ইটালি একটি ভৌগোলিক সংজ্ঞামাত্র (a geographical expression)'।


 3. ঐক্যের দাবিতে ইটালির পুনর্জাগরণ আন্দোলন কী নামে পরিচিত?

উঃ ঐক্যের দাবিতে ইটালির পুনর্জাগরণ আন্দোলন “রিসর্জিমেন্টো' নামে পরিচিত।


4. রিসর্জিমেন্টো আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন বুদ্ধিজীবীর নাম লেখো।

উঃ  রিসর্জিমেন্টো আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন বুদ্ধিজীবী ছিলেন কানটু, ত্রোয়া, ক্যাপ্পানি, মাসিমো ডাজেগলিয়ো, গুয়েরাজি প্রমুখ। 


5. ইটালির ঐক্য আন্দোলনের প্রধান নেতা কারা ছিলেন ?

 উঃ ইটালির ঐক্য আন্দোলনের প্রধান নেতা ছিলেন ম্যাৎসিনি, ক্যাভুর ও গ্যারিবল্ডি।


6. কে, কবে, কোথায় ইয়ং ইটালি বা নব্য ইটালি নামে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন ?

উঃ  জোসেফ ম্যাৎসিনি, ১৮৩২ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্সের মার্সাই শহরে ইয়ং ইটালি বা নব্য ইটালি নামক সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন ।


7. ইটালির ঐক্য আন্দোলনের উদ্দেশ্যে গড়ে ওঠা কয়েকটি গুপ্ত সমিতির নাম লেখো।

উঃ ইটালির ঐক্য আন্দোলনের উদ্দেশ্যে গড়ে ওঠা কয়েকটি গুপ্ত সমিতি ছিল লম্বার্ডির গুয়েলফি ও অ্যাডেলফি, পিডমন্টের ফেডারিটি ও কার্বোনারি।


8. ম্যাৎসিনি প্রথম ইটালির কোন্ গুপ্ত বিপ্লবী দলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন ?

উঃ ম্যাৎসিনি প্রথমে ইটালির কার্বোনারি নামে গুপ্ত বিপ্লবী দলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।


9. ম্যাৎসিনি কোন্ সমিতির সদস্য ছিলেন ?

উঃ জোসেফ ম্যাৎসিনি প্রথম জীবনে কার্বোনারি দলের সদস্য ছিলেন এবং পরবর্তীকালে তিনি 'ইয়ং ইটালি' (১৮৩২ খ্রি.) নামে একটি যুব সংগঠন করেন।


10. ইটালির মুক্তি আন্দোলনের ‘দার্শনিক ও আত্মা' কাকে বলা হয় ?

উঃ জোসেফ ম্যাৎসিনিকে ইটালির দার্শনিক ও আত্মা বলা হয়।


11. ইটালির ঐক্য আন্দোলনের মস্তিষ্ক কে ?

উঃ অধ্যাপক গ্রেনভিল কাউন্ট ক্যাভুরকে ইটালির  ঐক্য আন্দোলনের মস্তিষ্ক বলে অভিহিত করেছেন।


12. ভিন্নাফ্রাঙ্কার সন্ধি কবে, কাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় ? 

উঃ ভিল্লাফ্রাঙ্কার সন্ধি ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে অস্ট্রিয়া ও ফ্রান্সের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়।


13. ম্যাজেন্টা ও সলফেরিনোর যুদ্ধ কবে, কাদের মধ্যে হয়েছিল? 

উঃ ম্যাজেন্টা ও সলফেরিনোর যুদ্ধ ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে পিডমন্ট- সার্ডিনিয়া ও ফরাসি জোট এবং অস্ট্রিয়ার মধ্যে হয়েছিল।


14. ক্যাভুরের চিন্তাধারার কথা কোন্ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ?

উঃ ক্যাভুরের চিন্তাধারার কথা তাঁর সম্পাদিত ‘রিসর্জিমেন্টো’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ।


15. ভিল্লাফ্রাঙ্কার সন্ধি কবে হয় ?

উঃ ভিল্লাফ্রাঙ্কার সন্ধি ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে হয়।


16. ভিন্নাফ্রাঙ্কার চুক্তি কাদের মধ্যে হয়েছিল?

উঃ ভিল্লাফ্রাঙ্কার চুক্তি (১৮৫৯ খ্রি.) অস্ট্রিয়া ও ফ্রান্সের মধ্যে হয়েছিল।


17. ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দে ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের সময় ইটালির কোথায় প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়?

উঃ ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দে ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের সময় ইটালির ভেনিস, রোম এবং টাস্কানিতে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।


18. 'ভিলনিয়াস বিশ্ববিদ্যালয়' ইউরোপের কোন্ দেশের শিক্ষা- প্রতিষ্ঠান ?

উঃ 'ভিলনিয়াস বিশ্ববিদ্যালয়' ইটালির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।


19. ফরাসি বিপ্লবের সময় জার্মানি কাদের অধীনে ছিল? 

 উঃ ফরাসি বিপ্লবের সময় জার্মানি অস্ট্রিয়ার হ্যাপসবার্গ বংশীয় শাসকদের অধীনে ছিল।


20. কূটনীতির জাদুকর বলা হয় কাকে ? 

 উঃ কূটনীতির জাদুকর বলা হয় অটো ভন বিসমার্ক-কে।


21. কবে, কাদের মধ্যে বিয়ারিংসের গোপন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ? 

উঃ ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে প্রাশিয়া ও ফ্রান্সের মধ্যে বিয়ারিৎসের গোপন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।


22. স্যাডোয়ার যুদ্ধ কত খ্রিস্টাব্দে সংঘটিত হয়েছিল ?

উঃ ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে অস্ট্রিয়া ও প্রাশিয়ার মধ্যে স্যাডোয়ার যুদ্ধ সংঘটিত হয়।


23. সেডানের যুদ্ধ কবে, কাদের মধ্যে হয়েছিল?

উঃ  ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে প্রাশিয়া ও ফ্রান্সের মধ্যে সেডানের যুদ্ধ হয়েছিল।


24. কবে, কাদের মধ্যে ফ্রাঙ্কফার্টের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়? 

উঃ ১৮৭১ খ্রিস্টাব্দে প্রাশিয়া ও ফ্রান্সের মধ্যে ফ্রাঙ্কফার্টের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়।


25. 'ভিল্লাফ্রাংকার' সন্ধি কার কার মধ্যে হয় ? অথবা, ভিল্লাফ্রাংকার চুক্তি কাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় ?

উঃ ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে ফরাসি সম্রাট তৃতীয় নেপোলিয়ন ও অস্ট্রিয়ার মধ্যে ভিল্লাফ্রাঙ্কার সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়।


26. ফ্রাঙ্কফার্ট পার্লামেন্ট কাকে জার্মানির রাজমুকুট গ্রহণের আবেদন জানায় ?

উঃ  ফ্রাঙ্কফার্ট পার্লামেন্ট প্রাশিয়ার রাজা চতুর্থ ফ্রেডরিখ উইলিয়ামকে জার্মানির রাজমুকুট গ্রহণের আবেদন জানায়।


27. “ফ্রাঙ্কফার্ট' পার্লামেন্ট বিপ্লবী জাতীয়তাবাদের প্রস্ফুটিত পুষ্প”—এই কথাটি কে বলেন ?

 উঃ ঐতিহাসিক কেটেলবি ফ্রাঙ্কফার্ট পার্লামেন্টকে “বিপ্লবী জাতীয়তাবাদের প্রস্ফুটিত পুষ্প (Flower of Revolutionary Patriotism)” বলে অভিহিত করেছেন।


28. ১৮৭১ খ্রিস্টাব্দে কোন্ সন্ধির দ্বারা, কার সঙ্গে দক্ষিণ জার্মানি যুক্ত হয় ?

 উঃ ১৮৭১ খ্রিস্টাব্দে ফ্রাঙ্কফার্টের সন্ধির দ্বারা প্রাশিয়ার সঙ্গে দক্ষিণ জার্মানি যুক্ত হয়।


29. আলেকজান্ডার ইপসিল্যান্টি কে ছিলেন?

উঃ  আলেকজান্ডার ইপসিল্যান্টি ছিলেন গ্রিক জাতীয়তাবাদী নেতা।


30. গ্যোটে কে ছিলেন? 

 উঃ গ্যোটে ছিলেন ঊনবিংশ শতকের প্রথমার্ধে জার্মানির খ্যাতনামা একজন কবি ও সাহিত্যিক।


31. কার উদ্যোগে জোলভেরাইন গড়ে ওঠে ?

উঃ জার্মানির বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ম্যাজেন-এর উদ্যোগে ও প্রাশিয়ার নেতৃত্বে জার্মানিতে জোলভেরাইন গঠিত হয়।


32. জোলভেরাইন কবে গড়ে ওঠে ?

উঃ   ১৮১৯ খ্রিস্টাব্দে জার্মানির বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ম্যাজেন-এর উদ্যোগে ও প্রাশিয়ার নেতৃত্বে জার্মানিতে জোলভেরাইন গঠিত হয়।


33. কত খ্রিস্টাব্দে বিসমার্ক প্রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী পদ গ্রহণ করেছিলেন?

উঃ ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে বিসমার্ক প্রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী পদ গ্রহণ করেছিলেন।


34. 'কনফেডারেশন অব দ্য রাইন' কোথায় গঠিত হয় ?

উঃ  'কনফেডারেশন অব দ্য রাইন' গঠিত হয় জার্মানিতে।


35. 'কনফেডারেশন অব দ্য রাইন' কী ?

 উঃ ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন জার্মানির পূর্বতন ৩০০টি রাজ্যের অস্তিত্ব লুপ্ত করে তিনটি নতুন রাজ্যমণ্ডল গড়ে তোলেন যার অন্যতম ছিল 'কনফেডারেশন অব দ্য রাইন'।


36. কত খ্রিস্টাব্দে 'কনফেডারেশন অব দ্য রাইন' গঠিত হয় ?

উঃ  ১৮০৬ খ্রিস্টাব্দে 'কনফেডারেশন অব দ্য রাইন' গঠিত হয়। 


37. কে ঐক্যবদ্ধ জার্মানির সম্রাট ছিলেন?

উঃ  কাইজার প্রথম উইলিয়াম ঐক্যবদ্ধ জার্মানির সম্রাট ছিলেন। 


38. কোন যুদ্ধের পর জার্মানি ঐক্যবদ্ধ হয়?

উঃ  ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্স ও প্রাশিয়ার মধ্যে সংঘটিত সেডানের যুদ্ধের পর জার্মানির ঐক্য সম্পূর্ণ হয়।


39. গ্যাস্টিনের সন্ধি কবে স্বাক্ষরিত হয়?

উঃ  গ্যাস্টিনের সন্ধি ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে স্বাক্ষরিত হয়।


40. গ্যাস্টিনের সন্ধি দ্বারা কোন্ দুটি ডাচি অস্ট্রিয়া ও প্রাশিয়ার মধ্যে ভাগাভাগি হয়েছিল ?

 উঃ গ্যাস্টিনের সন্ধির (১৮৬৫ খ্রি.) দ্বারা শ্রেজউইগ পেয়েছিল প্রাশিয়া এবং হলস্টেন পেয়েছিল অস্ট্রিয়া। 


41. কাউন্ট বেনেদিতি কে ছিলেন?

 উঃ ফরাসি সম্রাট তৃতীয় নেপোলিয়নের রাষ্ট্রদূত ছিলেন কাউন্ট বেনোদিত।



⬛ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান -2/3


1. নেপোলিয়ন কীভাবে প্রায় সমগ্র জার্মানি দখল এবং জার্মানির পুনর্গঠন করেন?

উঃ [1] ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন অস্টারলিজের যুদ্ধে (১৮০৫ খ্রি.) অস্ট্রো-রুশ বাহিনীকে এবং জেনা ও আওয়ারস্টার্ট-এর যুদ্ধে (১৮০৬ খ্রি.) প্রাশিয়াকে পরাজিত করে প্রায় সমগ্র জার্মানি দখল করেন। [2] নেপোলিয়ন প্রায় ৩০০টি জার্মান রাজ্য ভেঙে সেগুলিকে সংগঠিত করে ৩৯টি রাজ্যে পরিণত করেন এবং এই রাজ্যগুলিকে নিয়ে ‘কনফেডারেশন অব দ্য রাইন' বা ‘রাইন রাষ্ট্রসংঘ' গঠন করেন।


2. “কনফেডারেশন অব দ্য রাইন' কী?

উঃ ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন প্রায় সমগ্র জার্মানি দখল করে জার্মানির ৩০০টি রাজ্য ভেঙে ৩৯টি রাজ্যে পরিণত করেন। এই রাজ্যগুলিকে নিয়ে তিনি একটি রাষ্ট্র সমবায় গঠন করেন যার নাম দেওয়া হয় ‘কনফেডারেশন অব দ্য রাইন'।


3. জার্মানির ঐক্যের পথে প্রধান দুটি বাধার উল্লেখ করো।

উঃ  জার্মানির ঐক্যের পথে প্রধান দুটি বাধা ছিল—[1] জার্মান রাষ্ট্র- সমবায়ের সভাপতি অস্ট্রিয়া জার্মানির ঐক্য প্রতিষ্ঠার বিরোধী ছিল। [2] উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের জার্মান রাজ্যগুলির মধ্যে ভাবগত ঐক্য ছিল না।


4. 'জোলভেরাইন'-এর রাজনৈতিক গুরুত্ব কী ছিল?

উঃ   রাজনৈতিক ইতিহাসে জোলভেরাইন-এর গুরুত্ব ছিল— [1] জোলভেরাইনের মাধ্যমে জার্মানিতে দ্রুত অর্থনৈতিক বিকাশের ফলে জার্মানির শক্তি বৃদ্ধি পায়। [2] জার্মান রাজ্যগুলির মধ্যে যোগাযোগ ও ভাবের আদানপ্রদান বৃদ্ধি পায়। [3] জোলভেরাইন পরিচালনায় নেতৃত্বদানের মাধ্যমে প্রাশিয়া জার্মানির রাজনৈতিক আন্দোলনের নেতৃত্ব গ্রহণ করে।


5. ফ্রাঙ্কফার্ট পার্লামেন্টের উদ্দেশ্য কী ছিল ?

উঃ  ফ্রাঙ্কফার্ট পার্লামেন্টের উদ্দেশ্য ছিল—[1] জার্মানিকে ঐক্যবদ্ধ করা এবং [2] ঐক্যবদ্ধ জার্মানিতে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা চালু করা।


6. বিসমার্ক কে ছিলেন ?

উঃ  বিসমার্ক ছিলেন প্রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী। তিনি রক্ত ও লৌহ নীতি’ গ্রহণ করে জার্মানির বিভিন্ন রাজ্যগুলিকে প্রাশিয়ার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ করেন। এই উদ্দেশ্যে তাঁকে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধে অংশ নিতে হয়— [1] ডেনমার্কের বিরুদ্ধে (১৮৬৪ খ্রি.), [2] অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে (১৮৬৬ খ্রি.) এবং [3] ফ্রান্সের বিরুদ্ধে (১৮৭০ খ্রি.)।


7.  রক্ত ও লৌহ নীতি' কাকে বলে ?

উঃ  প্রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বিসমার্ক প্রাশিয়ার নেতৃত্বে জার্মানির বিভিন্ন রাজ্যগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষেত্রে যে কঠোর যুদ্ধ বা সামরিক অভিযানের নীতি গ্রহণ করেন তা ‘রক্ত ও লৌহ নীতি' নামে পরিচিত।


8. বিসমার্ক কোন্ কোন্ যুদ্ধের দ্বারা জার্মানিকে ঐক্যবদ্ধ করেন?

উঃ  বিসমার্ক ৬ বছরের মধ্যে তিনটি যুদ্ধের দ্বারা জার্মানিকে ঐক্যবদ্ধ করেন যথা—[1] ডেনমার্কের বিরুদ্ধে যুদ্ধ (১৮৬৪ খ্রি.), [2] অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ (১৮৬৬ খ্রি.) ও [3] ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধ (১৮৭০ খ্রি.)।


9. স্যাডোয়ার যুদ্ধ সম্পর্কে কী জান?

উঃ  প্রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বিসমার্ক ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। স্যাডোয়া বা কোনিগ্রাৎস-এর যুদ্ধে অস্ট্রীয় বাহিনী শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়। প্রাগের সন্ধির দ্বারা যুদ্ধের অবসান ঘটে।


10. প্রাণের সন্ধি করে, কাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় ?

উঃ  স্যাডোয়ার যুদ্ধে প্রাশিয়ার কাছে অস্ট্রিয়া পরাজিত হওয়ার পর ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে (২৩ আগস্ট) প্রাশিয়া ও অস্ট্রিয়ার মধ্যে প্রাণের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়।


11.  প্রাগের সন্ধির (১৮৬৬ খ্রি.) প্রধান শর্তগুলি কী ছিল ? অথবা, প্রাণের সন্ধির গুরুত্ব কী ছিল?

উঃ  প্রাগের সন্ধির দ্বারা (1) জার্মান রাষ্ট্রসংঘের বিলুপ্তি ঘটে। [2] প্রাশিয়া হ্যানোভার, হেসি, ক্যাসেল, শ্লেজউইগ, হলস্টেইন প্রভৃতি স্থান লাভ করে। [3] ইটালি ভিনিশা লাভ করে।


12. স্যাডোয়ার যুদ্ধের দুটি গুরুত্ব উল্লেখ করো।

উঃ   স্যাডোয়ার যুদ্ধের (১৮৬৬ খ্রি.) দুটি প্রধান গুরুত্ব ছিল— [1] এই যুদ্ধে অস্ট্রিয়ার পরাজয়ের ফলে জার্মানিতে অস্ট্রিয়ার আধিপত্য ধ্বংস হয়। [2] যুদ্ধে প্রাশিয়া জয়লাভের ফলে তার নেতৃত্বে জার্মানির ঐক্যের পথ প্রস্তুত হয়।


13. ফ্রাঙ্কফার্টের সন্ধির প্রধান শর্তগুলি কী ছিল ?

উঃ  [3] ফ্রান্স প্রাশিয়াকে ৫০০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয়।

ফ্রাঙ্কফার্টের সন্ধির দ্বারা—[1] দক্ষিণ জার্মানি প্রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়। [2] ফ্রান্স আলসাস, লোরেইন ও মেজ প্রাশিয়াকে ছেড়ে দেয়। [4] প্রাশিয়ার রাজা প্রথম উইলিয়াম ঐক্যবদ্ধ জার্মানির রাজা হন।[5] রোম থেকে ফরাসি সেনা প্রত্যাহার করা হলে রোম ইটালির সঙ্গে যুক্ত হয়।


14.  সেডানের যুদ্ধের ফলাফল উল্লেখ করো।

উঃ  সেডানের যুদ্ধের ফলে — [1] ভিয়েনা বন্দোবস্ত (১৮১৫ খ্রি.) বাতিল হয়ে যায়। [2] জার্মানির ঐক্য সম্পূর্ণ হয়। [3] প্রাশিয়ার রাজা প্রথম উইলিয়াম ঐক্যবদ্ধ জার্মানির সম্রাট হন। [4] ফ্রান্সের দ্বিতীয় সাম্রাজ্যের পতন ঘটে এবং ফ্রান্সে তৃতীয় প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।


15. শ্লেজউইগ-হলস্টেইন সমস্যা কী ?

উঃ  শ্লেজউইগ ও হলস্টেইন ছিল জার্মান জাতি অধ্যুষিত দুটি ডাচি বা প্রদেশ। প্রদেশ দুটি ডেনমার্কের অধীনে স্বায়ত্তশাসন ভোগ করলেও এখানকার জনগণ জার্মানির সঙ্গে যুক্ত হতে চাইত। ডেনমার্ক ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে প্রদেশ দুটি দখল করে নিলে প্রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বিসমার্ক ডেনমার্কের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন।


16.  কুলটুর কাম্ফ' কী ?

উঃ  প্রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বিসমার্ক ক্যাথোলিক খ্রিস্টানদের জার্মান ঐক্যের বিরোধী বলে মনে করতেন। এজন্য তিনি ক্যাথোলিকদের দমন করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন আইন জারি করেন। ফলে জার্মান রাষ্ট্র ও চার্চের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এই দ্বন্দ্ব ‘কুলটুর কাম্ফ' বা ‘সভ্যতার সংগ্রাম' নামে পরিচিত।


17. কোন্ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ডেনমার্কের সঙ্গে প্রাশিয়ার যুদ্ধ (১৮৬৪ খ্রি.) হয় ?

উঃ ডেন-জাতি অধ্যুষিত শ্লেজউইগ ও জার্মানজাতি অধ্যুষিত হলস্টাইন নামক দুটি প্রদেশ ডেনমার্কের রাজার ব্যক্তিগত অধিকারে ছিল। তা সত্ত্বেও প্রদেশ দুটি ডেনমার্কের অন্তর্ভুক্ত ছিল না। স্থান দুটি স্বায়ত্তশাসন ভোগ করত । ডেন-রাজ নবম খ্রিস্টিয়ান ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে স্থান দুটি দখল করতে চাইলে প্রাশিয়া তার প্রতিবাদে ডেনমার্ক আক্রমণ করে।


18.  জোলভেরাইন কী? কীভাবে এটি জার্মানির ঐক্যের ক্ষেত্রে সাহায্য করেছিল ?

উঃ  জার্মান রাজ্যগুলির অভ্যন্তরীণ শুল্ক-বৈষম্য ও বাণিজ্যের বাধাগুলি দূর করার উদ্দেশ্যে জার্মান অর্থনীতিবিদ ম্যাজেন-এর উদ্যোগে এবং প্রাশিয়ার নেতৃত্বে বিভিন্ন জার্মান রাজ্যকে নিয়ে ১৮১৯ খ্রিস্টাব্দে একটি শুল্কসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয় যা ‘জোলভেরাইন' নামে পরিচিত।

১৮১৯ খ্রিস্টাব্দে জোলভেরাইন নামে জার্মান শুল্কসংঘ প্রতিষ্ঠার পর থেকে এর মাধ্যমে জার্মান রাজ্যগুলির মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি পায় । জোলভেরাইন পরিচালনায় নেতৃত্বদানের মাধ্যমে প্রাশিয়া জার্মানির রাজনৈতিক আন্দোলনের নেতৃত্ব গ্রহণ করে।


19. সর্ব জার্মানবাদ বা প্যানজার্মানিজম কী ?

উঃ  জার্মানির ছাত্র, অধ্যাপক, সাহিত্যিক, শিল্পী, দার্শনিক, ঐতিহাসিক প্রমুখ জার্মান ভাষাভাষী সমস্ত মানুষকে নিয়ে একটি অখণ্ড জার্মান জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখে। এই বৃহত্তম জার্মান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মতাদর্শ সর্বজার্মানবাদ বা প্যানজার্মানবাদ নামে পরিচিত।


20. “ইয়ং ইটালি দলের মূল লক্ষ্য কী ছিল ?

উঃ ১৮৩২ খ্রিস্টাব্দে ইটালির জোসেফ ম্যাৎসিনি প্রতিষ্ঠিত 'ইয়ং ইটালি' দলের মূল লক্ষ্য ছিল – (1) শিক্ষার প্রসার, [2] আত্মত্যাগ এবং [3] জনসাধারণের মনে জাতীয়তাবাদের জাগরণ ঘটানো।


21. ইটালির ঐক্যের ক্ষেত্রে নেপোলিয়নের ভূমিকা কী ছিল ?

উঃ   ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন ইটালির বিভিন্ন রাজ্যে অভিযান চালিয়ে সেখানকার—[1] বিদেশি হ্যাসবার্গ ও বুরবোঁ রাজবংশকে বিতাড়িত করেন, [2] পোপকে বন্দি করেন, [3] সমগ্ৰ ইটালিতে ‘কোড নেপোলিয়ন'-এর মাধ্যমে একই ধরনের আইনকানুন চালু করেন। এর ফলে ইটালিবাসী সর্বপ্রথম ঐক্যের স্বাদ পায়।


22. ভিয়েনা বন্দোবস্তের দ্বারা ইটালিতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয় ?

উঃ  ভিয়েনা বন্দোবস্তের দ্বারা [1] উত্তর ইটালির লম্বার্ডি ও ভিনিশা অস্ট্রিয়ার অন্তর্ভুক্ত হয়। [2] মধ্য ইটালির পার্মা, মডেনা, টাস্কানি, লুক্কা প্রভৃতি স্থানে অস্ট্রিয়ার হ্যাপ্‌সবার্গ বংশের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়। [3] দক্ষিণ ইটালির নেপল্স ও সিসিলিতে অস্ট্রিয়ার মিত্র বুরবোঁ বংশীয় প্রথম ফার্দিনান্দের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়।


23. ‘রিসর্জিমেন্টো' কী ?

উঃ   ইটালি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আগে ইতালীয়দের মনে জাতীয় চেতনার সঞ্চার ঘটে। তারা ইটালিতে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলেন যা ‘রিসর্জিমেন্টো' বা পুনর্জাগরণ নামে পরিচিত।


24. কার্বোনারি আন্দোলন কী ?

উঃ  ভিয়েনা বন্দোবস্তের দ্বারা ইটালিকে বিচ্ছিন্ন রাখার চেষ্টা করা হলে ইটালিতে বিভিন্ন গুপ্ত সমিতি গড়ে ওঠে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল কার্বোনারি সমিতি। এই সমিতির পরিচালনায় ইটালির ঐক্যের দাবিতে যে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে তা কার্বোনারি আন্দোলন নামে পরিচিত।


25.  কার্বোনারি কী? এরূপ নামের কারণ কী?

উঃ   [1] উনিশ শতকের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দশকে ইটালিকে সশস্ত্র পথে ঐক্যবদ্ধ করার উদ্দেশ্যে যে সকল গুপ্ত সমিতি গড়ে ওঠে তাদের মধ্যে অন্যতম ছিল কার্বোনারি দল। [2] ইংরেজি 'কার্বন' কথাটি থেকে কার্বোনারি কথাটির উৎপত্তি। এই দলের সদস্যরা যে-কোনো ধর্মীয় উৎসবে কাঠ-কয়লা পোড়াতেন, তাই এই দলের এরূপ নামকরণ হয়েছে।


26. কার্বোনারি আন্দোলনের দুটি গুরুত্ব উল্লেখ করো।

উঃ  কার্বোনারি আন্দোলনের দুটি অন্যতম গুরুত্ব ছিল— [1] ইটালির ঐক্যের বিষয়ে কার্বোনারি আন্দোলনের ত্রুটিগুলি দ্বিতীয় পর্যায়ের আন্দোলনে দূর করার সুযোগ ঘটে। [2] এই আন্দোলন অস্ট্রিয়াকে ইটালির ঐক্যের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড়ো বাধা বলে চিহ্নিত করে।


27.  ম্যাৎসিনি কে ছিলেন ?

উঃ  ম্যাৎসিনি ছিলেন ইটালির ঐক্য আন্দোলনের প্রাণপুরুষ। তিনি ইয়ং ইটালি (১৮৩২ খ্রি.) নামে একটি যুব সংগঠন তৈরি করে ইটালির ঐক্য আন্দোলনকে জোরদার করেন। তাঁর লক্ষ্য ছিল বিদেশি শক্তির সাহায্য ছাড়া ইটালির যুবকদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে ইটালিকে ঐক্যবদ্ধ করা। কিন্তু তিনি এ কাজে ব্যর্থ হন।


28. ইটালির ঐক্য আন্দোলনে ম্যাৎসিনির দুটি উল্লেখযোগ্য অবদান উল্লেখ করো।

উঃ  ইটালির ঐক্য আন্দোলনে ম্যাৎসিনির দুটি উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল— [1] আঞ্চলিকতাবাদে আচ্ছন্ন ইটালিবাসীকে তিনিই সর্বপ্রথম । জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেন। [2] তিনি তাঁর আন্দোলনে = ইটালির যুবকদের ব্যাপক সংখ্যায় শামিল করতে সক্ষম হন।


29. কাউন্ট ক্যাভুর কে ছিলেন?

উঃ  কাউন্ট ক্যামিলো দ্য ক্যাভুর ছিলেন ইতালীয় রাজ্য পিডমন্ট- সার্ডিনিয়ার প্রধানমন্ত্রী এবং ইটালির ঐক্য আন্দোলনের অন্যতম নেতা। তাঁর বাস্তববাদী নীতির ফলে ইটালির ঐক্য সহজ হয়।


30. ইটালির ঐক্য আন্দোলনে গ্যারিবল্ডি যে মহৎ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন তার পরিচয় দাও।

উঃ  ইটালির ঐক্য আন্দোলনে জোসেফ গ্যারিবল্ডির নাম বিশেষ উল্লেখযোগ্য। তিনি ছিলেন একাধারে ম্যাৎসিনির শিষ্য ও ‘সিংহহৃদয়’ জাতীয়তাবাদী বীর, দেশপ্রেমিক এবং গেরিলা যুদ্ধের নায়ক। তিনি দক্ষিণ ইটালিকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য সিসলি ও নেপলস্-এর অধিবাসীকে নিয়ে লালকোর্তা বাহিনী গঠন করেন। তাঁরই নেতৃত্বে দক্ষিণ ইটালিতে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।


31. কবে কাদের মধ্যে প্রোমবিয়ার্সের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়? 

 উঃ  ফরাসি সম্রাট তৃতীয় নেপোলিয়ন ও ইটালির পিডমন্ট-সার্ডিনিয়ার প্রধানমন্ত্রী কাউন্ট ক্যাভুরের মধ্যে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে প্রোমবিয়ার্সের চুক্তি । স্বাক্ষরিত হয়।


32.  প্লোমবিয়ের্সের চুক্তির দুটি শর্ত লেখো।

উঃ  প্লোমবিয়ের্সের চুক্তির প্রধান শর্তগুলি ছিল— [1] ফ্রান্স ইটালির ঐক্য আন্দোলনে অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে পিডমন্টকে সাহায্য করবে। [2] এই সাহায্যের বিনিময়ে ইটালির কাছ থেকে ফ্রান্স স্যাভয় ও নিস লাভ করবে।


33.  পিডমন্ট-সার্ডিনিয়া কবে, কীভাবে লম্বার্ডি ও মিলান উদ্ধার করে ?

উঃ  ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে পিডমন্ট-সার্ডিনিয়া ও অস্ট্রিয়ার মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে পিডমন্টের পক্ষে ফ্রান্স যোগ দেয়। ম্যাজেন্টা ও সলফেরিনোর যুদ্ধে (১৮৫৯ খ্রি.) অস্ট্রিয়া পরাজিত হয় এবং পিডমন্ট অস্ট্রিয়ার কাছ থেকে লম্বার্ডি ও মিলান উদ্ধার করে।


34. মধ্য ইটালি কবে, কীভাবে পিডমন্টের সঙ্গে যুক্ত হয় ?

উঃ  পিডমন্টের প্রধানমন্ত্রী ক্যাভুর ফরাসি সম্রাট তৃতীয় নেপোলিয়নের সঙ্গে এক মীমাংসার দ্বারা ঠিক করেন যে— [1] ফ্রান্স মধ্য ইটালির পার্মা, মডেনা, টাস্কানি, রোমানা প্রভৃতি রাজ্যগুলি পিডমন্টের সঙ্গে সংযুক্তির বিষয়ে আপত্তি করবে না। [2] বিনিময়ে ফ্রান্স স্যাভয় ও নিস লাভ করবে। এর ফলে উক্ত রাজ্যগুলি গণভোটের মাধ্যমে (১৮৬০ খ্রি.) পিডমন্টের সঙ্গে যুক্ত হয় ।


35. ইটালির ঐক্য আন্দোলনে ক্যাভুরের প্রধান কর্মপন্থাগুলি কী ছিল ?

উঃ   ইটালির ঐক্য আন্দোলনে ক্যাভুরের প্রধান কর্মপন্থাগুলি ছিল— [1] ইটালির ঐক্যের প্রয়োজনে বিদেশি সাহায্য গ্রহণ করা, [2] ইটালি থেকে অস্ট্রিয়াকে বিতাড়িত করা, [3] পিডমন্ট-সার্ডিনিয়ার নেতৃত্বে ইটালির ঐক্য আন্দোলন পরিচালনা করা, [4] ঐক্যবদ্ধ ইটালিতে নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।


36. কী উদ্দেশ্যে ইটালিতে কার্বোনারি আন্দোলন শুরু হয়েছিল ?

উঃ  ইটালি থেকে বিদেশি শক্তিকে বিতাড়িত করে ইটালিকে ঐক্যবদ্ধ করা এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে ইটালিতে কার্বোনারি আন্দোলন শুরু হয়েছিল।


37. ইয়ং ইটালি কী ?

উঃ  ইয়ং ইটালি হল ইটালির ঐক্য আন্দোলনের নেতা জোসেফ ম্যাৎসিনি কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত (১৮৩২ খ্রিস্টাব্দ) একটি যুব সংগঠন। চল্লিশ বছর বয়স পর্যন্ত সকলেই এর সদস্য হতে পারত।


38. ইয়ং ইটালি দলের আদর্শ কী কী ছিল ?

উঃ ইয়ং ইটালি দলের আদর্শ ছিল কোনো বিদেশি শক্তির সহায়তা ছাড়া, যুবকদের আত্মত্যাগের দ্বারা ইটালি থেকে অস্ট্রিয়াকে বিতাড়িত করা এবং ইটালির মুক্তির পর সেখানে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।


39.  ম্যাৎসিনির আন্দোলনের দুটি সীমাবদ্ধতা উল্লেখ করো।

উঃ  ম্যাৎসিনির আন্দোলনের দুটি সীমাবদ্ধতা ছিল—[1] তিনি কোনো বিদেশি শক্তির সাহায্য ছাড়া ইটালির মুক্তির যে স্বপ্ন দেখতেন তা ছিল অবাস্তব। [2] পরাধীন ইটালির ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবাদের প্রয়োজন থাকলেও ম্যাৎসিনি তা থেকে দূরে থাকতেন।


40. কার্বোনারি ও ইয়ং ইটালি এই দুই সংগঠনের প্রধান পার্থক্য লেখো।

উঃ  কার্বোনারি ও ইয়ং ইটালির মধ্যে প্রধান পার্থক্য ছিল— [1] কার্বোনারি আন্দোলনের প্রতি জনসমর্থন ছিল কম, ইয়ং ইটালি সংগঠনের প্রতি জনসমর্থন ছিল বেশি। [2] কার্বোনারির বিপ্লবীরা কেবলমাত্র সন্ত্রাসবাদের দ্বারা ইটালির মুক্তির স্বপ্ন দেখত, ইয়ং ইটালির সদস্যরা জনজাগরণের দ্বারা ইটালির মুক্তির চিন্তা করত।


41.  ক্রিমিয়ার যুদ্ধ ইটালির ঐক্য আন্দোলনকে কীভাবে প্রভাবিত হয়েছিল ? 

উঃ  ইটালির ঐক্যের পথে প্রধান বাধা ছিল ইটালিতে অস্ট্রিয়ার উপস্থিতি। অস্ট্রিয়াকে ইটালি থেকে বিতাড়িত করার উদ্দেশ্যে ইঙ্গ-ফরাসি শক্তি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ক্রিমিয়ার যুদ্ধের (১৮৫৫-৫৬ খ্রি.) সময় ইটালির পিডমন্ট-সার্ডিনিয়া ইঙ্গ-ফরাসি পক্ষে যোগ দিয়ে তাদের সহানুভূতি আদায় করে। যুদ্ধের পর প্যারিসের শান্তি সম্মেলনে (১৮৫৬ খ্রি.) যোগ দিয়ে ইটালি ঐক্যের বিষয়টি আন্তর্জাতিক সমস্যায় পরিণত করে।


No comments:

Post a Comment