নবম শ্রেণীর ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় পার্ট -২ "দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও তারপর" প্রশ্ন উত্তর | ক্লাস নাইন ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় পার্ট -২ প্রশ্ন উত্তর | Class 9th History Chapter -6 Part-2 Questions And Answers - Psycho Principal

Fresh Topics

Saturday, 8 July 2023

নবম শ্রেণীর ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় পার্ট -২ "দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও তারপর" প্রশ্ন উত্তর | ক্লাস নাইন ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় পার্ট -২ প্রশ্ন উত্তর | Class 9th History Chapter -6 Part-2 Questions And Answers

 

ষষ্ঠ অধ্যায়
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও তারপর



ষষ্ঠ অধ্যায় "দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও তারপর" প্রশ্ন উত্তর পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করো

👉 ( ষষ্ঠ অধ্যায় পার্ট -৩ প্রশ্ন উত্তর )


পার্ট -

⬛অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান -1

1. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কবে শুরু হয় এবং কবে শেষ হয় ?

উঃদ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের ৩ সেপ্টেম্বর এবং শেষ হয় ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দের ২ সেপ্টেম্বর।


2. কোন্ যুদ্ধ 'দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মহড়া' নামে পরিচিত ?

উঃস্পেনের গৃহযুদ্ধ ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মহড়া' নামে পরিচিত।


3. জার্মানি কোন্ পথে রাশিয়ার অভ্যন্তরে আক্রমণ শুরু করে ? 

 উঃ জার্মানি রাশিয়ার উত্তরে লেনিনগ্রাড, মধ্যে মস্কো, দক্ষিণে স্ট্যালিনগ্র্যাড—এই তিনটি পথে রাশিয়ার অভ্যন্তরে আক্রমণ শুরু করে।


4. কোন্ চুক্তি ভঙ্গ করে হিটলার রাশিয়া আক্রমণ করেন ? 

উঃ রুশ-জার্মান অনাক্রমণ চুক্তি (১৯৩৯ খ্রি.) ভঙ্গ করে হিটলার রাশিয়া আক্রমণ (১৯৪১ খ্রি.) করেন।


5. যুদ্ধের ক্ষেত্রে পোড়ামাটির নীতি কোন্ দেশ গ্রহণ করত ?

উঃ যুদ্ধের ক্ষেত্রে পোড়ামাটির নীতি গ্রহণ করত রাশিয়া।


6. কোন যুদ্ধজাহাজের মধ্যে আটলান্টিক সনদ স্বাক্ষরিত হয়েছিল ?

উঃ 'প্রিন্স অব ওয়েলস' নামক যুদ্ধজাহাজে মার্কিন রাষ্ট্রপতি রুজভেল্ট ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের মধ্যে ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ৯ আগস্ট আটলান্টিক সনদ স্বাক্ষরিত হয়েছিল।


7. কোন্ দেশকে 'গণতন্ত্রের ব্যূহ' বলা হয়?

উঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেকে ‘গণতন্ত্রের রক্ষাকারী' বা 'গণতন্ত্রের ব্যূহ” বলা হয়।


৪. আমেরিকা কোন্ আইনের দ্বারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির বিরুদ্ধে রাশিয়াকে সামরিক সাহায্য দেয় ?

উঃ  মার্কিন রাষ্ট্রপতি রুজভেল্ট ১৯৪১ সালের মার্চ মাসে মার্কিন সেনেটে ‘লেন্ড-লিজ আইন' পাসের দ্বারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির বিরুদ্ধে রাশিয়াকে সামরিক সাহায্য দেয়।


9. পার্ল হারবার আক্রমণ জাপান কবে করেছিল?

উঃ জাপানের নৌ-বাহিনী ও বিমানবাহিনী সম্মিলিতভাবে ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ৭ ডিসেম্বর মার্কিন নৌ-ঘাঁটি পার্ল বারহার আক্রমণ করেছিল।


10. কবে, কাদের মধ্যে 'গ্র্যান্ড অ্যালায়েন্স' স্বাক্ষরিত হয়? 

 উঃ ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে আমেরিকা, সোভিয়েত রাশিয়া, ফ্রান্স ও ইংল্যান্ডের মধ্যে 'গ্র্যান্ড অ্যালায়েন্স' স্বাক্ষরিত হয়।


11. আমেরিকা কোন্ আইনের দ্বারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির বিরুদ্ধে রাশিয়াকে সামরিক সাহায্য দেয় ?

উঃ  আমেরিকা 'লেন্ড-লিজ আইন' দ্বারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির বিরুদ্ধে রাশিয়াকে সামরিক সাহায্য দেয়।


12. আমেরিকা কোন্ পরিস্থিতিতে 'দেখামাত্র গুলি' করার নির্দেশ দেয় ? 

উঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান সাবমেরিন আমেরিকার জাহাজগুলি বারবার আক্রমণ করলে ক্ষুব্ধ আমেরিকা জার্মান সাবমেরিন ও যুদ্ধজাহাজগুলিকে 'দেখামাত্র গুলি' করার নির্দেশ দেয়।


13. কোন্ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমেরিকা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যোগ দেয় ? 

উঃ  জাপানের সামরিক বাহিনী ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ৭ ডিসেম্বর মার্কিন নৌঘাঁটি পার্ল হারবার ধ্বংস করলে আমেরিকা ৮ ডিসেম্বর জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার মাধ্যমে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যোগ দেয়।


14. এল-আলামিনের যুদ্ধ কবে, কাদের মধ্যে হয়েছিল ?

উঃ এল-আলামিনের যুদ্ধ ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে (জুন মাসে) উত্তর আফ্রিকায় ইটালি ও জার্মান যৌথ বাহিনী ও ব্রিটিশ বাহিনীর মধ্যে হয়েছিল।


15. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অক্ষশক্তির বিরুদ্ধে কোথায় মিত্রশক্তির দ্বিতীয় রণাঙ্গনটি খোলা হয় ?

উঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অক্ষশক্তির বিরুদ্ধে ফ্রান্সের নর্মান্ডি উপকূলে মিত্রশক্তির দ্বিতীয় রণাঙ্গনটি খোলা হয়।


16. কোন্ দিনটি 'ডি-ডে' নামে পরিচিত?

উঃ ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দের ৬ জুন দিনটি ‘ডি-ডে’বা ‘মুক্তি দিবস' নামে পরিচিত । 


17. ফ্রান্স পুনরুদ্ধারে মিত্রবাহিনীর অভিযান কী নামে পরিচিত ?

উঃ ফ্রান্স পুনরুদ্ধারে মিত্রবাহিনীর অভিযান 'অপারেশন ওভারলর্ড' নামে পরিচিত।


18. রুশ লালফৌজ কবে জার্মানির রাজধানী বার্লিন দখল করে ? 

উঃ রুশ লালফৌজ ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দের ২ মে জার্মানির রাজধানী বার্লিন দখল করে।


19. কারা, কবে প্রথম পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ করে ? 

উঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আমেরিকা ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দের ৬ আগস্ট জাপানের হিরোশিমা শহরে প্রথম পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ করে।


20. কোন্ মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিরোশিমায় পরমাণু বোমা ফেলার নির্দেশ দেন ? 

উঃ মার্কিন রাষ্ট্রপতি হ্যারি ট্রুম্যান হিরোশিমায় পরমাণু বোমা ফেলার নির্দেশ দেন।


21. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পারমাণবিক বোমা তৈরির গবেষণার উদ্দেশ্যে আমেরিকা কী প্রকল্প গ্রহণ করে ?

উঃ  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পারমাণবিক বোমা তৈরির গবেষণার উদ্দেশ্যে আমেরিকা 'ম্যানহ্যাটান প্রকল্প' গ্রহণ করে।


22. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাপানের কোন দুটি শহরের ওপর পরমাণু বোমা নিক্ষেপ করে ?

উঃ  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের হিরোসিমা ও নাগাসাকি শহরের ওপর পরমাণু বোমা নিক্ষেপ করেছিল।


23. কবে হিরোশিমায় পরমাণু বোমা ফেলা হয়েছিল ? 

উঃ ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দের ৬ আগস্ট জাপানের হিরোসিমা শহরে পরমাণু বোমা ফেলা হয়েছিল।


24. নাগাসাকিতে কোন্ তারিখে পরমাণু বোমা নিক্ষিপ্ত হয়েছিল ? 

উঃ জাপানের নাগাসাকি শহরে ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দের ৯ আগস্ট পরমাণু বোমা নিক্ষিপ্ত হয়েছিল।


25. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন কোন্ দুটি দেশ মিত্রপক্ষে যোগ দেয় ?

উঃ  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সোভিয়েত রাশিয়া ও আমেরিকা মিত্রপক্ষে যোগ দেয়।


26. স্ট্যালিনগ্রাডের যুদ্ধ কাদের মধ্যে হয়েছিল ?

উঃ  স্ট্যালিনগ্রাডের যুদ্ধ জার্মান নেতৃত্বাধীন জোট (রোমেনিয়া, ইটালি, হাঙ্গেরি ও ক্রোয়েশিয়া) ও রাশিয়ার মধ্যে হয়েছিল।


27. স্ট্যালিনগ্রাডের যুদ্ধে রুশ ও জার্মান সেনাপতি কারা ছিলেন?

উঃ  স্ট্যালিনগ্রাডের যুদ্ধে রুশ সেনাপতি ছিলেন মার্শাল ঝুকভ এবং জার্মান সেনাপতি ছিলেন ভন পাউলাস ।


28. রাশিয়ায় রুশ-জার্মান যুদ্ধে দুটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্রের নাম লেখো।

উঃ রাশিয়ায় রুশ-জার্মান যুদ্ধে দুটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্র ছিল— [1] লেনিনগ্রাড ও [2] স্ট্যালিনগ্রাড।


29. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় 'গণতন্ত্রের অস্ত্রাগার' বলা হত কোন্দে শকে?

উঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর 'গণতন্ত্রের অস্ত্রাগার' বলা হত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে।


30. 'Cash and Carry' নীতি কোন্ দেশ গ্রহণ করেছিল?

উঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আমেরিকা 'Cash and Carry' নীতি গ্রহণ করেছিল।


31. পার্ল হারবার ঘটনাকালে জাপানের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?

উঃ  পার্ল হারবার ঘটনাকালে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন হিদেকি তোজো।


32. লেনিনগ্র্যাডের যুদ্ধে রাশিয়ার সেনাপতি কে ছিলেন?

উঃ  লেনিনগ্রাডের যুদ্ধে রাশিয়ার সেনাপতি ছিলেন জেনারেল গভোরভ।


33. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?

 উঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মলোটভ।


34. মার্শাল ঝুকভ কোন্ দেশের সেনাপতি ছিলেন ?

উঃ মার্শাল ঝুকভ ছিলেন একজন দক্ষ রুশ সেনাপতি। তিনি স্ট্যালিনগ্রাডের যুদ্ধে জার্মান বাহিনীকে পর্যুদস্ত করেন।


35. কোন্ দেশের বিরুদ্ধে বারবারোসা অভিযান শুরু হয়েছিল ?

উঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রাশিয়ার বিরুদ্ধে বারবারোসা অভিযান শুরু হয়েছিল।


⬛ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান -2/3

1.“রাশিয়া কেন জার্মানির সঙ্গে 'রুশ-জার্মান অনাক্রমণ চুক্তি' (১৯৩৯ খ্রি.) স্বাক্ষরে আগ্রহী হয় ?

উঃ  রাশিয়ার জার্মানির সঙ্গে অনাক্রমণ চুক্তি স্বাক্ষরে আগ্রহী হওয়ার কারণগুলি ছিল—[1] ইঙ্গ-ফরাসি শক্তির সঙ্গে রাশিয়ার মিত্রতা স্থাপনে ব্যর্থতা, [2] রাশিয়ায় সম্ভাব্য জার্মান আক্রমণ প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে নিজ শক্তি বাড়ানোর প্রয়োজনীয় সময় বের করা, [3] রাশিয়ায় সম্ভাব্য জাপানি আক্রমণের বিরুদ্ধে জার্মানির সঙ্গে মিত্রতা স্থাপন করা প্রভৃতি।


2. হিটলার কীভাবে অস্ট্রিয়া দখল করেন ?

উঃ জার্মান শাসক হিটলারের একগুচ্ছ চরম দাবির বিষয়ে অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর সুশনিগ গণভোটের আয়োজন করেন। কিন্তু তিনি হিটলারের চাপে ভোট বাতিল করে নিজে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এরপর নাৎসি নেতা সিইয়েস ইনকার্ট অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর নিযুক্ত হলে তাঁর আহবানে হিটলার সসৈন্যে অস্ট্রিয়ায় প্রবেশ করেন এবং ভুয়ো গণভোটের (১০ এপ্রিল, ১৯৩৮ খ্রি.) দ্বারা অস্ট্রিয়াকে জার্মানির সঙ্গে যুক্ত করেন।


3. ‘আশ্চর্যজনক নিষ্কৃতি' কী ?

উঃ  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্রবাহিনীর প্রায় ৩ লক্ষ ৩০ হাজার সেনা বিশাল জার্মান বাহিনীর আক্রমণে ফ্রান্সের ডানকার্ক বন্দরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় অবরুদ্ধ বাহিনী প্রবল ঝুঁকি নিয়ে ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করে ইংল্যান্ডে ফিরে আসে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চার্চিল এই ঘটনাকে ‘আশ্চর্যজনক নিষ্কৃতি' বলে অভিহিত করেছেন।


4. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রথমদিকে আমেরিকার কী ভূমিকা ছিল ?

উঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রথম ২৬ মাস আমেরিকা নিরপেক্ষতা নীতি নিয়ে বিশ্বযুদ্ধে যোগদানে বিরত থাকে। তবে এই সময়—[1] মিত্রপক্ষীয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলির প্রতি আমেরিকার সমর্থন ছিল। [2] আমেরিকা মিত্রপক্ষীয় রাষ্ট্রগুলিকে অস্ত্র ও যুদ্ধের অন্যান্য সরঞ্জাম বিক্রি করে।


5. “ক্যাশ অ্যান্ড ক্যারি' নীতি কী ?

উঃ  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রথমদিকে আমেরিকা সক্রিয়ভাবে যুদ্ধে যোগ না দিলেও মিত্রপক্ষীয় দেশগুলির কাছে অস্ত্রশস্ত্র ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করে। অর্থের বিনিময়ে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির এই নীতি 'ক্যাশ অ্যান্ড ক্যারি' নামে পরিচিত।


6. 'লেড-লিজ আইন' কী ?

উঃ ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি রুজভেল্ট মার্কিন সেনেটে 'লেন্ড-লিজ আইন' আইনটি পাস করেন। এতে বলা হয়েছিল যে, আমেরিকা মিত্রপক্ষভুক্ত দেশগুলিকে সবরকম যুদ্ধাস্ত্র এবং যুদ্ধবিমান দিয়ে সাহায্য করবে।


7. আমেরিকা কখন, কীভাবে 'গণতন্ত্রের অস্ত্রাগার'-এ পরিণত হয়?

উঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন রাষ্ট্রপতি রুজভেল্টের উদ্যোগে ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে মার্কিন সেনেট 'লেন্ড-লিজ আইন' পাস করে। আমেরিকা এই আইনের দ্বারা মিত্রপক্ষীয় গণতান্ত্রিক দেশগুলিকে বিভিন্ন যুদ্ধ-সরঞ্জাম সাহায্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এর ফলে আমেরিকা ‘গণতন্ত্রের অস্ত্রাগারে' পরিণত হয়।


8. উত্তর আফ্রিকায় মিত্রশক্তির বিরুদ্ধে ইটালির যুদ্ধ উল্লেখ করো।

উঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইউরোপে আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় জার্মানির ব্যস্ততার সময় তার মিত্র ইটালি উত্তর আফ্রিকায় মিত্রশক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালায়। ইটালি সোমালিল্যান্ড ও লিবিয়া দখল করে এবং মিশর আক্রমণ করে। তবে ইটালির আক্রমণ ব্রিটিশ বাহিনী ব্যর্থ করে দেয়। কিছুদিনের মধ্যেই ইঙ্গ-মার্কিনশক্তি উক্ত স্থানগুলি সহ ইরিত্রিয়া, অ্যাবিসিনিয়া, পূর্ব ইতালীয় আফ্রিকা সাম্রাজ্য প্রভৃতি দখল করে নেয়।


9. রোমেল কে ছিলেন?

উঃ রোমেল ছিলেন একজন জার্মান সেনাপতি। তিনি উত্তর আফ্রিকায় মিত্রশক্তির বিরুদ্ধে ইটালিকে সহায়তা করতে গিয়ে এল-আলামিনের যুদ্ধে (১৯৪২ খ্রি.) পরাজিত হন।


10. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কবে, কী উদ্দেশ্যে দ্বিতীয় রণাঙ্গন খোলা হয় ?

উঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দের তেহরান সম্মেলনের সিদ্ধান্ত অনুসারে মিত্রশক্তি জার্মানির বিরুদ্ধে ফ্রান্সে দ্বিতীয় রণাঙ্গন খোলে।

 ফরাসি ভূখণ্ডে অক্ষশক্তিকে আক্রমণ চালিয়ে ফ্রান্সকে মুক্ত করা এবং রাশিয়ার ওপর অক্ষশক্তির চাপ কমানো দ্বিতীয় রণাঙ্গন খোলার উদ্দেশ্য ছিল।


11. D-Day কী ?

উঃ  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪৪ সালের ৬ জুন মিত্রবাহিনীর এক লক্ষ ৫৬ হাজার সেনা ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করে জার্মানির বিরুদ্ধে ফ্রান্সের নর্মান্ডি উপকূলে নামে। এই দিনটি 'ডি-ডে' ('D-Day' or 'Deliver- ance Day') বা মুক্তি দিবস নামে পরিচিত।


12. V Day কী ?

 উঃ জার্মানির পতন আসন্ন হলে ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দের ৩০ এপ্রিল হিটলার সপরিবারে আত্মহত্যা করেন। ২ মে রুশ বাহিনী বার্লিন দখল করে এবং ৭ মে জার্মানি আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করে। এর পরের দিন (৮ মে) ইউরোপ জুড়ে ‘বিজয় দিবস' পালিত হয় যা V-Day (Victory in Europe Day) নামে পরিচিত।


13. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কোথায় পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ হয় ?

উঃ  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্রশক্তিভুক্ত আমেরিকা [1] ১৯৪৫খ্রিস্টাব্দের ৬ আগস্ট অক্ষশক্তিভুক্ত জাপানের হিরোশিমা শহরে এবং [2] ৯ আগস্ট নাগাসাকি শহরে পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। 


14. আমেরিকা কবে এবং কেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যোগদান করে ?

উঃ জাপান ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ৭ ডিসেম্বর হাওয়াই দ্বীপে মার্কিন নৌ-ঘাঁটি পার্ল হারবার আক্রমণ করে ধ্বংস করে দেয়। এই ঘটনার পরের দিন ৮ ডিসেম্বর আমেরিকা জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে বিশ্বযুদ্ধে যোগ দেয়।


15. নাগাসাকিতে যে বোমা ফেলা হয়েছিল তার নাম কী ? এটি কী থেকে তৈরি হয়েছিল ?

উঃ  নাগাসাকিতে যে বোমা ফেলা হয়েছিল তার নাম 'ফ্যাট ম্যান'। O এটি প্লুটোনিয়াম থেকে তৈরি হয়েছিল।


16. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অক্ষশক্তির পরাজয়ের কয়েকটি কারণ উল্লেখ করো।

 উঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অক্ষশক্তির পরাজয়ের কয়েকটি কারণ ছিল— [1] জার্মানি ছাড়া অক্ষশক্তির অন্যান্য দেশগুলির সামরিক দুর্বলতা, [2] বিশ্বব্যাপী অক্ষশক্তির বিরোধিতা, [3] অক্ষশক্তির বিরুদ্ধে বিপুল শক্তিধর আমেরিকার যোগদান, [4] রুশ অভিযানে জার্মানির ব্যর্থতা প্রভৃতি।


17. "দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রথমদিকে ইটালি কেন জার্মানির পক্ষে যুদ্ধে যোগ দেয়নি ?

উঃ  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রথমদিকে জার্মানির পক্ষে ইটালি যুদ্ধে যোগ দেয়নি, কারণ এই সময় — [1] ইটালির অর্থনীতি খুবই দুর্বল ছিল। [2] ইটালির সামরিক শক্তিও দুর্বল ছিল। [3] জার্মানি যুদ্ধে জয় লাভ করবে বলে ইটালি নিশ্চিত হতে পারেনি প্রভৃতি।


18. "হিটলার কেন রাশিয়া আক্রমণ করেন ?

 উঃ হিটলার রাশিয়ার সঙ্গে অনাক্রমণ চুক্তি (১৯৩৯ খ্রি.) স্বাক্ষর করলেও পরে রাশিয়া আক্রমণ করেন। কারণ — [1] সাম্যবাদের চরম শত্রু হিটলার রাশিয়ার সাম্যবাদ ধ্বংস করার উদ্যোগ নেন। [2] ইংল্যান্ডকে পর্যুদস্ত করতে ব্যর্থ হয়ে হিটলার জার্মানির সামরিক সাফল্য তুলে ধরতে রাশিয়ায় আক্রমণ চালান।


19. অপারেশন বারবারোসা কী?

উঃ  হিটলার ব্রিটেনের যুদ্ধে ব্যর্থ হয়ে কোনোরকম যুদ্ধ ঘোষণা না করেই ৪০ লক্ষ সেনা, ৫৫০০ ফাইটার প্লেন, ৩৩০০টি ট্যাংক নিয়ে ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ২২ জুন হঠাৎ রাশিয়া আক্রমণ করেন। হিটলার কর্তৃক এই রুশ অভিযানের সাংকেতিক নাম ছিল 'অপারেশন বারবারোসা'।


20. 'অপারেশন টাইফুন' কী ?

 উঃ হিটলার 'অপারেশন বারবারোসা' নামে রুশ অভিযানে আশাতীত সাফল্য পাওয়ার পর মস্কো দখলের উদ্দেশ্যে জার্মানি ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ২ অক্টোবর অভিযান শুরু করে। জার্মানি কর্তৃক মস্কো অভিযানটি ‘অপারেশন টাইফুন' নামে পরিচিত।


21. রুশ অভিযানে হিটলারের ব্যর্থতার দুটি কারণ লেখো।

উঃ  রুশ অভিযানে হিটলারের ব্যর্থতার দুটি কারণ— [1] রুশ লালফৌজ “পোড়ামাটি নীতি' গ্রহণ করলে নাৎসি বাহিনী দখলিকৃত অঞ্চল থেকে প্রয়োজনীয় রসদ সংগ্রহে ব্যর্থ হয়। [2] প্রচণ্ড শীত ও রুশী লালফৌজের গেরিলা রণকৌশলের সামনে হিটলারের নাৎসি বাহিনী বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।


22. কী কারণে জাপান পার্ল হারবারে আক্রমণ চালিয়েছিল ?

উঃ এশীয় অঞ্চলে একচ্ছত্র শক্তি হয়ে ওঠার পথে মার্কিন নৌঘাঁটি পার্ল হারবারের অবস্থান ও মিত্রপক্ষের ঘনিষ্ঠ আমেরিকার হস্তক্ষেপ বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এই বাধা দূর করতে জাপান মার্কিন নৌঘাঁটি পার্ল হারবারে আক্রমণ চালায়।


23. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আমেরিকার সঙ্গে জার্মানির বিরোধের কারণ কী ছিল?

উঃ  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আমেরিকার সঙ্গে জার্মানির বিরোধের কারণ হল— [1] যুদ্ধের সময় আমেরিকা অর্থের বিনিময়ে জার্মানির শত্রু মিত্রপক্ষের দেশগুলিকে অস্ত্র সরবরাহ করলে জার্মানি ক্ষুদ্ধ হয়। [2] জার্মান সাবমেরিনগুলি আমেরিকার বাণিজ্য জাহাজগুলিতে ক্রমাগত আক্রমণ চালালে আমেরিকা জার্মান যুদ্ধজাহাজ সাবমেরিনগুলিকে 'দেখামাত্র গুলি' করার নির্দেশ দেয়।



No comments:

Post a Comment