Class 9th History Chapter -6 Part-3 Questions And Answers | নবম শ্রেণীর ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় পার্ট -৩ "দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও তারপর" প্রশ্ন উত্তর | ক্লাস নাইন ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় পার্ট -৩ প্রশ্ন উত্তর - Psycho Principal

Fresh Topics

Monday, 10 July 2023

Class 9th History Chapter -6 Part-3 Questions And Answers | নবম শ্রেণীর ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় পার্ট -৩ "দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও তারপর" প্রশ্ন উত্তর | ক্লাস নাইন ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় পার্ট -৩ প্রশ্ন উত্তর

 

ষষ্ঠ অধ্যায়
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও তারপর



সপ্তম অধ্যায় পার্ট -১ "জাতিসংঘ ও সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ" প্রশ্ন উত্তর পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করো

👉 ( সপ্তম অধ্যায় পার্ট -১  প্রশ্ন উত্তর )


পার্ট -৩

⬛অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান -1

1. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকার নেতৃত্বাধীন জোটের বিরুদ্ধে রাশিয়ার নেতৃত্বে কোন্ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ?

উঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকার নেতৃত্বাধীন জোটের বিরুদ্ধে রাশিয়ার নেতৃত্বে তার অনুগামীদের নিয়ে ‘ওয়ারশ চুক্তি' (১৯৫৫ খ্রি.) স্বাক্ষরিত হয়।


2. কার্ল ডনিস দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে কোন্ দেশের নৌ-সেনাধ্যক্ষ ছিলেন?

উঃ কার্ল ডনিস দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে জার্মানির নৌ-সেনাধ্যক্ষ ছিলেন।


3. হিরোশিমা শহরে বর্ষিত পারমাণবিক বোমাটির নাম কী ?

উঃ হিরোশিমা শহরে বর্ষিত পারমাণবিক বোমাটির নাম হল ‘লিটল বয়’।


4. ‘তৃতীয় বিশ্ব’ কথাটি সর্বপ্রথম কে ব্যবহার করেন ?

উঃ ‘তৃতীয় বিশ্ব’ কথাটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন আলফ্রেড সভি।


5. V-2 কী? দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে কোন্ কোন্ দেশ দূরপাল্লার রকেট ব্যবহার করেছিল?

উঃ V-2 হল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহার করা দূরপাল্লার রকেট। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে দূরপাল্লার রকেট ব্যবহার করেছিল জার্মানি 


6. হিরোশিমা ও নাগাসাকি দিবস কবে? 

উঃ হিরোশিমা দিবস ৬ আগস্ট এবং নাগাসাকি দিবস ৯ আগস্ট।


7. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে কারা প্রথম দূরপাল্লার রকেট ব্যবহার করেছিল ?

উঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানি প্রথম V-2 নামে দূরপাল্লার রকেট ব্যবহার করেছিল।


৪. কে, কার বিরুদ্ধে V-2 রকেট পাঠিয়েছিল?

উঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে জার্মানি প্রথম ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে V- 2 রকেট পাঠিয়েছিল।


9. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কোন্ আন্তর্জাতিক সংস্থা স্থাপিত হয় ?

উঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দের ২৪ অক্টোবর ‘সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ' বা 'United Nations Organization' (UNO) স্থাপিত হয়।


10. NATO-র পুরো নাম কী ?

উঃ NATO-র পুরো অর্থ হল ‘উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা' (North Atlantic Treaty Organization)।


11. ‘শ্বেতাঙ্গদের বোঝা' (The White Man's Burden) কবিতাটি কার লেখা ?

উঃ ‘শ্বেতাঙ্গদের বোঝা’ কবিতাটি রুডইয়ার্ড কিপলিং-এর লেখা।


12. জার্মানির কয়েকজন উগ্র জাতীয়তাবাদের প্রচারকের নাম লেখো।

উঃ জার্মানির কয়েকজন উল্লেখযোগ্য উগ্র জাতীয়তাবাদের প্রচারক ছিলেন হেনরিখ ভন ট্রাইস্কা, বার্নহার্ডি, হেগেল প্রমুখ।


13. কয়েকজন ইঙ্গ-ফরাসি উগ্র জাতীয়তাবাদী আদর্শের সমর্থকের নাম লেখো।

 উঃ কয়েকজন উল্লেখযোগ্য ইঙ্গ-ফরাসি উগ্র জাতীয়তাবাদী আদর্শের সমর্থক ছিলেন ইংল্যান্ডের হোমার লি, ফ্রান্সের ক্লেমাঁসু ও পঁয়েকারি প্রমুখ।


14. রবীন্দ্রনাথ তাঁর কোন্ প্রবন্ধে উগ্র জাতীয়তাবাদের সমালোচনা করেছেন?

 উঃ রবীন্দ্রনাথ তাঁর ‘সভ্যতার সংকট' প্রবন্ধে উগ্র জাতীয়তাবাদের সমালোচনা করেছেন।


⬛ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান -2/3


1. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত কয়েকটি সমরাস্ত্রের নাম লেখো।

উঃ  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সমরাস্ত্র ছিল হ্যান্ডগান, অত্যাধুনিক রাইফেল, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, মেশিনগান, জঙ্গি বিমান, ট্যাংক ও বিমান বিধ্বংসী অস্ত্র, গ্রেনেড, গ্রেনেড লঞ্চার, মাইন, মর্টার, অত্যাধুনিক কামান, অত্যাধুনিক ট্যাংক, সাবমেরিন, জেট ইঞ্জিন চালিত যুদ্ধ বিমান, চুম্বক মাইন প্রভৃতি।


2. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানি কাদের দখলে যায় ?

উঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির পতনের পরবর্তীকালে জার্মান ভূখণ্ড আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও সোভিয়েত রাশিয়ার মধ্যে চার ভাগে বিভক্ত করা হয়। জার্মানির রাজধানী সমগ্র বার্লিন শহরটি রাশিয়ার অধিকৃত জার্মান ভূখণ্ডের মধ্যে অবস্থিত হলেও এই শহর উক্ত চারটি রাষ্ট্রের মধ্যে বিভক্ত করে দেওয়া হয়।


3. পোটসডাম সম্মেলনের প্রধান নেতৃবৃন্দ কারা ছিলেন?

 উঃ পোটসডাম সম্মেলনের (১৭ জুলাই - ২ আগস্ট, ১৯৪৫ খ্রি.) প্রধান নেতৃবৃন্দ ছিলেন রাশিয়ার স্ট্যালিন, আমেরিকার ট্রুম্যান, ব্রিটেনের এটলি প্রমুখ।


4. পোর্ট্রসডাম সম্মেলনে কী কী বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ?

উঃ পোটসডাম সম্মেলনের সিদ্ধান্ত অনুসারে—[1] জার্মানি থেকে নাৎসি প্রভাব দূর করা, [2] আন্তর্জাতিক আদালতে জার্মান যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, [3] জার্মানির সামরিক উপকরণগুলি কেড়ে নিয়ে তাকে নিরস্ত্র করা প্রভৃতি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।


5.  আনরা' কী?

উঃ  যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলির মৃতপ্রায় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার উদ্দেশ্যে আমেরিকার নেতৃত্বে জাতিপুঞ্জ ত্রাণ ও পুনর্বাসন প্রশাসন' (United Nations Relief and Rehabilitation Administration) একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে, যা সংক্ষেপে 'আনরা' (UNRRA) নামে পরিচিত।


6. মার্শাল পরিকল্পনা কী?

উঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের পর পশ্চিম ইউরোপে রুশ প্রভাব প্রতিরোধ, মার্কিন অনুগত একটি রাষ্ট্রজোট গঠন, সেখানে মার্কিন বাণিজ্যের প্রসার ঘটানো প্রভৃতি উদ্দেশ্যে মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব জর্জ সি মার্শাল ইউরোপীয় পুনরুজ্জীবন পরিকল্পনা' (European Recovery Programme বা ERP) ঘোষণা করেন। এটি 'মার্শাল পরিকল্পনা' নামে পরিচিত।


7. 'ট্রুম্যান নীতি' কী ?

উঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের পর কমিউনিস্ট রাশিয়ার আধিপত্য প্রতিরোধ করার উদ্দেশ্যে মার্কিন রাষ্ট্রপতি হ্যারি ট্রুম্যান মার্কিন কংগ্রেসে এক বক্তৃতায় (১২ মার্চ, ১৯৪৭ খ্রি.) ঘোষণা করেন যে, বিশ্বের যে-কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র সশস্ত্র সংখ্যালঘু গোষ্ঠী (সমাজতান্ত্রিক গোষ্ঠী) বা বিদেশি রাষ্ট্র (সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র) দ্বারা আক্রান্ত হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আক্রান্ত রাষ্ট্রকে সব রকম সাহায্য করবে। এই ঘোষণা 'ট্রুম্যান নীতি' নামে পরিচিত।


৪. 'ন্যাটো' কী?

উঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে আমেরিকার নেতৃত্বে তার অনুগামী রাষ্ট্রগুলিকে নিয়ে ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে (৪ এপ্রিল) এক সামরিক জোট গড়ে ওঠে যা উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা' (North Atlantic Treaty Organization) বা 'ন্যাটো' (NATO) নামে পরিচিত।


9. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকার নেতৃত্বে গড়ে ওঠা কয়েকটি জোটের উল্লেখ করো।

উঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকার নেতৃত্বে গড়ে ওঠা উল্লেখযোগ্য কয়েকটি জোট ছিল — [1] ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে (৪ এপ্রিল) উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা' বা 'ন্যাটো' (NATO), [2] ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে 'দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া চুক্তি সংস্থা' বা 'সিয়াটো' (SEATO), [3] ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে ‘মধ্য এশিয়া চুক্তি সংস্থা' বা 'সেনটো' (CENTO) প্রভৃতি ।


10. ঠান্ডা লড়াই কী

উঃ  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে বিশ্বের প্রধান দুই শক্তিধর রাষ্ট্র, আমেরিকা ও রাশিয়ার নেতৃত্বে পরস্পর-বিরোধী কয়েকটি শক্তিজোট গড়ে ওঠে। এই শক্তিজোটের মধ্যে প্রকাশ্য যুদ্ধ না হলেও উভয় পক্ষের মধ্যে সর্বদা একটি যুদ্ধের পরিবেশ বজায় থাকে। আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্ষেত্রে এই বিষয়টি ঠান্ডা লড়াই' নামে পরিচিত।


 11. ‘ফুলটন বক্তৃতা' কী?

উঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের পর পূর্ব ইউরোপে রাশিয়ার নেতৃত্বে সমাজতন্ত্রের প্রসার ইঙ্গ-মার্কিন শক্তিকে চিন্তায় ফেলে দেয়। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চার্চিল ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের মার্চমাসে আমেরিকার ফুলটন শহরে এক বক্তৃতায় পূর্ব ইউরোপে রুশ প্রভাব বিস্তারের সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে আমেরিকাবাসীকে সচেতন করেন। এটি ‘ফুলটন বক্তৃতা' নামে পরিচিত।


12. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত দুটি মারণাস্ত্রের নাম লেখো।

উঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত দুটি উল্লেখযোগ্য মারণাস্ত্র ছিল পারমাণবিক বোমা এবং MG 15 মেশিনগান।


13. তৃতীয় বিশ্ব কাকে বলে ?

উঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে ইউরোপের অধিকাংশ রাষ্ট্র আমেরিকার নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোট অথবা রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন ওয়ারশ জোটে যুক্ত হয়ে পড়ে। এর বাইরে এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার সদ্য স্বাধীন বহু দেশ উক্ত জোট দুটির বাইরে থেকে জোটনিরপেক্ষ রাজনীতি গ্রহণ করে। এই দেশগুলি সাধারণভাবে ‘তৃতীয় বিশ্ব' নামে পরিচিত।


14. জাতীয়তাবাদ কাকে বলে ?

উঃ  জাতি, ধর্ম, ভাষা, সংস্কৃতি প্রভৃতি এক বা একাধিক কারণে যখন কোনো জনগোষ্ঠীর মনে গভীর একাত্মবোধ জেগে ওঠে এবং সেই একাত্মবোধের ফলে সেই জনগোষ্ঠীর মানুষ সুখ-দুঃখ, ন্যায়-অন্যায়ের সমান অংশীদার বলে নিজেদেরকে মনে করে তখন সেই জনগোষ্ঠীর মধ্যে জাতীয়তাবোধের সৃষ্টি হয়। এই জাতীয়তাবোধের সঙ্গে দেশপ্রেম যুক্ত হয়ে যে রাষ্ট্রনৈতিক আদর্শ গড়ে ওঠে তাকে জাতীয়তাবাদ বলে।


15. উগ্র জাতীয়তাবাদ কাকে বলে ?

 উঃ যে জাতীয়তাবাদ বিভিন্ন জাতির মধ্যে সম্প্রীতি ও সহযোগিতার সম্পর্ক ধ্বংস করে জাতি বিদ্বেষ প্রচার করে এবং সাম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশবাদ প্রভৃতি শোষণমূলক ধারণাকে সমর্থন করে তাকে উগ্র জাতীয়তাবাদ বলে।

No comments:

Post a Comment