👉( কীভাবে ঠান্ডা লড়াইয়ের অবসান হয়? ঠাণ্ডা লড়াইয়ের ফলাফল বিশ্লেষণ করো। )
প্রশ্ন: উনিশ শতকে সমাজসংস্কার ও শিক্ষাসংস্কার আন্দোলনে বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা করো। অথবা, উনিশ শতকের সমাজসংস্কার ও শিক্ষার প্রসারে বিদ্যাসাগরের ভূমিকা কী ছিল? 4+4 অথবা, উনিশ শতকের সমাজসংস্কার আন্দোলনে বিদ্যাসাগরের ভূমিকা আলোচনা করো। 8
উত্তর :
» ভূমিকা: উনিশ শতকের বাংলার নবজাগরণের উজ্জ্বল প্রতিমূর্তি ছিলেন সমাজ সচেতন, মানবতাবাদী, করুণাসাগর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। রক্ষণশীল হিন্দু ব্রাক্ষ্মণ পরিবারে জন্ম হলেও এই সংস্কৃত পণ্ডিতের মধ্যে ছিল পাশ্চাত্যের যুক্তিবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা ও গভীর মানবতাবোধ।
❐ সমাজসংস্কার : সমাজসংস্কার আন্দোলনে বিদ্যাসাগরের ভূমিকা বিশেষ স্মরণীয়।
➢ বিধবাবিবাহের প্রচার: সমাজসংস্কারক হিসেবে বিদ্যাসাগরের জীবনে সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ কীর্তি হল বিধবাবিবাহ প্রবর্তন। সেই সময় হিন্দু সমাজে গৌরীদান প্রথার প্রচলন থাকার ফলে বাল্যকালেই মেয়েদের বিবাহ হত। তা ছাড়া পুরুষদের বহুবিবাহ ও কৌলিন্য প্রথার প্রচলন থাকার ফলে অনেক অল্পবয়সী মেয়ের সঙ্গে বৃদ্ধেরও বিবাহ হত। এর ফলে অনেক মেয়ে অল্প বয়সেই বিধবা হত। হিন্দু সমাজে এই বিধবাদের অতি দুঃখ-কষ্টের মধ্যে দিন যাপন করতে হত। হিন্দু বিধবাদের এই যন্ত্রণাময় জীবন বিদ্যাসাগরকে ব্যথিত করে। তিনি এই হিন্দু বিধবাদের পুনর্বিবাহের জন্য জনমত গড়ে তুলতে সচেষ্ট হন।
❐ বিধবাবিবাহের পক্ষে উদ্যোগ:
i. ধর্মশাস্ত্র থেকে প্রমাণ: তিনি 'পরাশর সংহিতা' থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে প্রমাণ করেন যে, হিন্দুধর্মে বিধবাদের বিবাহ শাস্ত্রসম্মত, সেখানে বিধবাবিবাহে নিষেধ নেই। তিনি ব্রাত্মসমাজের মুখপত্র তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় বিধবাবিবাহের সমর্থনে একটি বিরাট প্রবন্ধ রচনা করেন। (১২৬৩ বঙ্গাব্দ, ২৩ অগ্রহায়ণ; ইং 7 ডিসেম্বর, 1856)।
ii. পুস্তক-পুস্তিকা প্রকাশ : 1855 খ্রিস্টাব্দে তিনি বিধবাবিবাহ প্রচলিত হওয়া উচিত কিনা' এই বিষয়ে দুটি পুস্তিকা রচনা করেন। 1856 খ্রিস্টাব্দে পুস্তিকা দুটির ইংরেজি অনুবা প্রকাশ করেন।
iii. আইনসভার সদস্যদের কাছে আবেদন ও আইন পাশ: বিধবাবিবাহকে আইনসিদ্ধ করার জন্য তিনি এক হাজার লোকের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি আবেদনপত্র 1855 খ্রিস্টাব্দে 4 অক্টোবর আইনসভার সদস্যদের কাছে পাঠান। এই আবেদনপত্রে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন অক্ষয়কুমার দত্ত, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, রাজনারায়ণ বসু, দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। বিদ্যাসাগরের প্রচেষ্টায় লর্ড ডালহৌসি 140 নং রেগুলেশন দ্বারা বিধবাবিবাহ আইন পাশ করেন এবং বিধবাবিবাহ আইনসম্মত হয় (1856 খ্রিস্টাব্দ)।
iv. বিধবাবিবাহের আয়োজন : বিধবাবিবাহ বাস্তবে রূপায়িত করার জন্য তিনি বহু অর্থ ব্যয় করেন। তাঁর উদ্যোগে প্রথম বিধবাবিবাহ হয় সংস্কৃত কলেজের অধ্যাপক শ্রীশচন্দ্র বিদ্যারত্নের সঙ্গে বর্ধমান জেলার পলাশডাঙ্গার ব্রহ্মানন্দ মুখার্জীর দশ বছরের কন্যা কালীমতি দেবীর। (১২৭৭ বঙ্গাব্দ, ২৭ শ্রাবণ)। এমনকি তিনি নিজ পুত্র নারায়ণচন্দ্রের সঙ্গে ভবসুন্দরী নামক বিধবার বিবাহ দেন। তিনি 82 হাজার টাকা ব্যয় করে 60 জন বিধবার বিবাহ দেন।
v. বহুবিবাহের বিরোধিতা: বহুবিবাহ বন্ধ করার জন্যও বিদ্যাসাগর সচেষ্ট হন। এইজন্য তিনি 1871 খ্রিস্টাব্দে দুটি পুস্তিকা প্রকাশ করেন। এই প্রথা বন্ধ করার জন্য বর্ধমানের রাজা তেজচন্দ্রের সহায়তায় 50 হাজার লোকের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি আবেদনপত্র সরকারের কাছে পাঠান। কিন্তু মহাবিদ্রোহের পর ব্রিটিশ সরকার ধর্মীয় ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে দ্বিধা করলে তাঁর উদ্যোগ ব্যর্থ হয়।
vi. বাল্যবিবাহ রোধ: বাল্যবিবাহ ছিল হিন্দু সমাজের একটি অভিশাপ। বিদ্যাসাগর এই প্রথা দূর করার জন্য 1850 খ্রিস্টাব্দে ‘শুভঙ্করী সভা' প্রতিষ্ঠা করেন। এই সভার মুখপত্র ‘শুভঙ্করী’ পত্রিকাতে ‘বাল্যবিবাহের দোষ' নামক একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেন। সরকারকে মেয়েদের বিবাহের বয়স সর্বনিম্ন 10 বছর করার জন্য অনুরোধ করেন।
vii. অন্যান্য সংস্কার: হিন্দু সমাজে প্রচলিত বেশ কিছু সংস্কার দূর করার জন্য বিদ্যাসাগর সচেষ্ট হন। যেমন—গঙ্গাসাগরে সন্তান বিসর্জন, কুষ্ঠরোগীকে হত্যা, জাতিভেদ প্রথা, অস্পৃশ্যতা, কৌলিন্য প্রথা প্রভৃতি। কিন্তু রক্ষণশীলদের বিরোধিতার জন্য তিনি ব্যর্থ হন।
❐ শিক্ষাসংস্কার: 1851 খ্রিস্টাব্দে সংস্কৃত কলেজে অধ্যক্ষ নিযুক্ত হওয়ার পর বিদ্যাসাগর শিক্ষাসংস্কারের কাজে হাত দেন। এগুলি হল—
i. সংস্কৃত কলেজে ভরতির বৈষম্য দূর করা: সংস্কৃত কলেজে কেবল ব্রাক্ষ্মণ ও বৈদ্য পরিবারের সন্তানগণ শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পেত। বিদ্যাসাগর এই প্রথার অবসান ঘটিয়ে সংস্কৃত কলেজের দরজা সকল বর্ণের হিন্দু ছাত্রদের কাছে মুক্ত করে দেন।
ii. শিক্ষকদের জন্য নিয়ম: কলেজে শিক্ষকদের যাওয়া আসার নির্দিষ্ট নিয়ম প্রচলন করেন।
iii. ছুটির তালিকা: হিন্দুধর্মের তিথি ও শুভদিনের পরিবর্তে প্রতি রবিবার ছুটি দেওয়ার প্রথা প্রচলন করেন।
iv. পাঠ্যক্রমের পরিবর্তন: তিনি হিন্দু কলেজের পাঠ্যক্রমে ইংরেজি শেখা বাধ্যতামূলক করেন। ‘সাংখ্য’ ও ‘বেদান্ত’ দর্শনবাদ দিয়ে মিলের তর্কশাস্ত্র পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করেন। লীলাবতী ও বীজগণিতকে বাদ দিয়ে ইংরেজি গণিত পাঠ্যক্রমে যুক্ত করেন। বাংলা মাধ্যমে সহজে সংস্কৃত শিক্ষার জন্য ‘সংস্কৃত ব্যাকরণের উপক্রমণিকা' ও ‘ব্যাকরণ কৌমুদী’ চালু করেন। তিনি প্রাচ্য শিক্ষার পাশাপাশি পাশ্চাত্য শিক্ষাদানেরও ব্যবস্থা করেন।
❐ শিক্ষাপ্রসার: বিদ্যাসাগর শিক্ষাবিস্তারের জন্যও বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেন :
i. বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা : তিনি লর্ড হার্ডিঞ্জের সহযোগিতায় বাংলার বহুস্থানে এমনকি প্রত্যন্ত গ্রামাঞলেও অনেকগুলি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এই বিদ্যালয়গুলির মধ্যে 33টি স্থায়ী হয়।
ii. মডেল স্কুল: বিদ্যাসাগর নিজ ব্যয়ে বাংলার বিভিন্ন জেলায় 20টি মডেল স্কুল স্থাপন করেন।
iii. স্ত্রী শিক্ষার বিস্তার: নারী শিক্ষার বিস্তার করার জন্য বিদ্যাসাগর বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেন। লর্ড ডালহৌসির আইনসচিব বেথুনের পৃষ্ঠপোষকতায় 1849 খ্রিস্টাব্দে কলকাতাতে হিন্দু বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেন। তাঁর উদ্যোগে বাংলার বিভিন্ন স্থানে 35টি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। এই বিদ্যালয়গুলিতে 1300 জন ছাত্রী পড়াশোনা করত।
iv. মেট্রোপলিটান ইন্সটিটিউশন : শিক্ষাবিস্তারে বিদ্যাসাগরের উল্লেখযোগ্য কীর্তি হল মেট্রোপলিটান ইন্সটিটিউশন প্রতিষ্ঠা। দেশীয় অধ্যাপকদের নিয়ে গড়া এই প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষাদানে ইংরেজদের সমকক্ষ ছিল।
v. পুস্তক রচনা: বিদ্যালয় স্থাপন করা ছাড়াও শিক্ষার প্রসারের জন্য তিনি বেশ কিছু পাঠ্যপুস্তক রচনা করেন। এইগুলির মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য বর্ণবোধ, বর্ণপরিচয়, কথামালা প্রভৃতি।
❐ মূল্যায়ন : বাংলার নবজাগরণের ইতিহাসে বিদ্যাসাগরের অবদান অবিস্মরণীয়। তাঁর আধুনিক চিন্তাচেতনার জন্য ড. অমলেশ ত্রিপাঠি তাঁকে 'a traditional moderniser' বলেছেন।
প্রশ্ন: ইয়ং বেঙ্গল কাদের বলা হয়? উনিশ শতকে বাংলার জাগরণে তাঁদের ভূমিকা লেখো। অথবা, নব্যবঙ্গ কাদের বলা হয়? ডিরোজিও-র নেতৃত্বে নব্যবঙ্গ আন্দোলনের বিবরণ দাও। 3+5
উত্তর :
» ভূমিকা : উনিশ শতকের প্রথমভাগে হিন্দু কলেজের তরুণ অধ্যাপক হেনরী লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও (1809-1831খ্রि.) এর নেতৃত্বে একদল ছাত্র হিন্দুধর্ম ও সমাজের প্রচলিত কুসংস্কারের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলে পাশ্চাত্যের অন্ধ অনুকরণে এক নতুন সমাজ গঠনের জন্য যে আন্দোলন শুরু করে, তা ‘নব্যবঙ্গ' আন্দোলন নামে পরিচিত। আর এই আন্দোলনকারী তরুণরাই ‘নব্যবঙ্গ' বা ‘ইয়ং বেঙ্গল' নামে পরিচিত হয়। ডিরোজিও ছিলেন এই আন্দোলনের প্রবক্তা ও প্রাণপুরুষ। তাঁর অনুগামীরা হলেন— রামতনু লাহিড়ি, রামগোপাল ঘোষ প্রমুখ।
❐ নব্যবঙ্গ আন্দোলন : ভারতীয় সমাজের কুসংস্কারগুলিকে দূর করার জন্য ডিরোজিও নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেন—
i. অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন: 1828 খ্রিস্টাব্দে কলকাতাতে ছাত্রদের মধ্যে যুক্তিবাদের প্রসারের জন্য অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি বিতর্ক সভা প্রতিষ্ঠা করেন। এখানে ডিরোজিও ও তাঁর অনুগামী ছাত্ররা প্রচলিত ধর্মীয় ও সামাজিক কুসংস্কার, অর্থনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় নীতির বিরুদ্ধে স্বাধীন মতামত প্রকাশ করত। প্রচলিত হিন্দুধর্ম, সতীদাহ প্রথা, জাতিভেদ প্রথা, মূর্তিপূজা, অস্পৃশ্যতা তাঁদের আক্রমণের মূল লক্ষ্য ছিল।
ii. পত্রপত্রিকা প্রকাশ : ‘এথেনিয়াম' ছিল অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন-এর মুখপত্র। ডিরোজিও ও তাঁর অনুগামী ছাত্ররা 1830 খ্রিস্টাব্দে 'পার্থেনন' নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করেন। এই পত্রিকাতে স্ত্রী শিক্ষা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বিষয়ে প্রবন্ধ প্রকাশিত হত। এ ছাড়াও ডিরোজিও ‘ক্যালেইডোস্কোপ', ‘হেসপেরাস', ও 'ক্যালকাটা লিটারারি গেজেট' নামে পত্রিকাগুলি সম্পাদনা করতেন। এই পত্রিকাগুলিতে তিনি ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হন।
iii. উগ্র সংস্কার আন্দোলন: ডিরোজিও-র অনুগামীরা রক্ষণশীল হিন্দুধর্ম ও তার কুসংস্কারগুলিকে তীব্র আঘাত হানে। তারা উপবীত ছিঁড়ে ফেলত, নিষিদ্ধ গো-মাংস ভক্ষণ করত। ব্রাহ্মণদের দেখলে চিৎকার করে বলত 'আমরা গরু খাই গো, আমরা গরু খাই গো'। তারা যাতায়াতের পথে বৌদ্ধদ্বারের অ্যান্টনি ফিরিঙ্গির কালি মন্দিরের সামনে গিয়ে মা কালির উদ্দেশ্যে বলত ‘গুড মর্নিং ম্যাডাম!' গঙ্গা জলের পবিত্রতা তারা স্বীকার করত না।
iv. দেশপ্রেম: ডিরোজিও ছিলেন একজন রোমান্টিক কবি। জন্মভূমি ভারতবর্ষের প্রতি ডিরোজিওর গভীর দেশপ্রেম ছিল। এই দেশপ্রেমের পরিচয় পাওয়া যায় 'To India My Native Land' এবং 'ফকির অফ জঙ্গিরা' নামক তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ দুটি থেকে।
v. হিন্দু কলেজ থেকে পদচ্যূতি: ডিরোজিও ও তাঁর অনুগামী ছাত্রদের আন্দোলন ও হিন্দুধর্ম বিরোধী কার্যকলাপ হিন্দু সমাজে আলোড়ন সৃষ্টি করে। রাধাকান্ত দেব প্রমুখ রক্ষণশীলদের চাপে হিন্দু কলেজ তাঁকে পদচ্যুত করে। এর অল্পকাল পরে 1831 খ্রিস্টাব্দে মাত্র 22 বছর বয়সে তাঁর মৃত্যু হয়।
❐ মূল্যায়ন : ইয়ং বেঙ্গল আন্দোলনের মূল্যায়ন নিয়ে পরস্পর বিরোধী মতবাদ প্রচলিত আছে। অনেকে তাঁদেরকে ‘উচ্ছৃঙ্খল’, ‘কালাপাহাড়’, ‘সমাজবিচ্ছিন্ন’ বুদ্ধিজীবী বলেছেন। ডেভিড কফ তাঁদের ‘ভ্রান্ত পুঁথিপড়া বুদ্ধিজীবী' বলেছেন।
সুমিত সরকার বলেন, “সামান্য বুদ্ধিজীবী অংশ ছাড়া বাঙালি সমাজের বৃহত্তর অংশের ওপর এঁদের প্রভাব শূন্যের কোঠায়।”
ওপরের সমালোচনা ও নিন্দাসূচক মন্তব্য সত্ত্বেও জাতীয় জাগরণে ইয়ং বেঙ্গলদের ভূমিকা অস্বীকার করা যায় না। তাঁদের কার্যাবলিকে আপাতদৃষ্টিতে ধ্বংসাত্মক বলে মনে হলেও বাংলার নবজাগরণে এদের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। এজন্য সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের 'বাংলার আধুনিক সভ্যতার প্রবর্তক' বলে উল্লেখ করেছেন।
No comments:
Post a Comment