ক্লাস 7th ভূগোল সহায়িকা | সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল পঞ্চম অধ্যায় "নদী " সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর | Class 7th Geography Chapter -5 Part-5 Questions And Answers | নদীর মোহানা (River Mouth) কাকে বলে? জলবিভাজিকা (Watershed) কাকে বলে? দোয়াব কাকে বলে? - Psycho Principal

Fresh Topics

Saturday, 28 September 2024

ক্লাস 7th ভূগোল সহায়িকা | সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল পঞ্চম অধ্যায় "নদী " সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর | Class 7th Geography Chapter -5 Part-5 Questions And Answers | নদীর মোহানা (River Mouth) কাকে বলে? জলবিভাজিকা (Watershed) কাকে বলে? দোয়াব কাকে বলে?


সপ্তম শ্রেণীর 
ভূগোল



👉 (Class 7th Geography Chapter -7 Part-1  Questions And Answers)


 প্রশ্ন:নদী (River) কাকে বলে?

🢖🢖উত্তর: নদী হল স্বাভাবিক প্রবহমান জলধারা, যা অভিকর্ষের টানে, ভূমির ঢাল অনুসারে উৎস থেকে মোহানার দিকে বয়ে চলে। যেমন- গঙ্গা, হোয়াংহো ইত্যাদি।


প্রশ্ন: নদীর উৎস (Source of River) কাকে বলে?

🢖🢖উত্তরনদী যেখানে সৃষ্টি হয় বা উৎপত্তি লাভ করে, তাকেই নদীর উৎস বলে। সাধারণত পাহাড়-পর্বত বা মালভূমির মতো কোনো উঁচু জায়গায় নদীর উৎপত্তি বা সৃষ্টি হয়। যেমন-গঙ্গোত্রী হিমবাহের 'গোমুখ' গুহা থেকে ভারতের প্রধান নদী গঙ্গার উৎপত্তি হয়েছে।


প্রশ্ন: নদীর মোহানা (River Mouth) কাকে বলে?

🢖🢖উত্তর: যেখানে গিয়ে নদী শেষ হয় অর্থাৎ, কোনো সাগর-উপসাগর, হ্রদ বা জলাশয় বা অন্য কোনো নদীতে মেশে, সেই জায়গাকে নদীর মোহানা বলে। যেমন-নীলনদের মোহানা হল ভূমধ্যসাগর।


প্রশ্নধারণ অববাহিকা (Catchment Basin) কাকে বলে?

🢖🢖উত্তরপর্বতের বরফগলা জল বা বৃষ্টির জল অসংখ্য ছোটো ছোটো জলধারার মাধ্যমে বয়ে বড়ো নদী তৈরি করে। এই জলধারা- সহ মূল নদীটি যে বিরাট অঞ্চলের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়, সেই অঞ্চলটিকে নদীর ধারণ অববাহিকা বলে।


প্রশ্ন: জলবিভাজিকা (Watershed) কাকে বলে?

🢖🢖উত্তর: কোনো উচ্চভূমি দুটি নদীকে পৃথক করলে, তাকে জলবিভাজিকা বলে। জলবিভাজিকার বিভিন্ন দিকে বয়ে যাওয়া জল একাধিক ছোটো ছোটো জলধারার মধ্যে দিয়ে বয়ে গিয়ে মিলিত হয়ে মূলনদী তৈরি করে।


প্রশ্ন: উপনদী (Tributary) কাকে বলে?

🢖🢖উত্তর: উৎস থেকে সৃষ্টি হয়ে কোনো নদী যখন অন্য কোনো নদীতে এসে মেশে, তখন তাকে প্রধান নদীর উপনদী বলা হয়।

যেমন-যমুনা, গোমতী, ঘর্ঘরা প্রভৃতি গঙ্গার উপনদী।


প্রশ্ন: শাখানদী (Distributary) কাকে বলে?

🢖🢖উত্তর: মূলনদী থেকে যে-সমস্ত নদী শাখার মতো বেরিয়ে গিয়ে অন্য কোনো নদীতে মেশে, তাদেরকে শাখানদী বলে। যেমন-ভাগীরথী-হুগলি হল গঙ্গার প্রধান শাখানদী।


প্রশ্ন: নদী উপত্যকা (River valley) বলতে কী বোঝো?

🢖🢖উত্তরউৎস থেকে মোহানা পর্যন্ত যে খাতের মধ্যে দিয়ে নদী প্রবাহিত হয়, তাকে নদী উপত্যকা বলে।


প্রশ্ন:নদী অববাহিকা (River Basin) কাকে বলে?

🢖🢖উত্তর: নদী তার উপনদী ও শাখানদীসহ উৎস থেকে মোহানা পর্যন্ত যে অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়, সেই বিস্তীর্ণ ভূমিভাগকে নদী অববাহিকা বলে। আমাজন নদীর অববাহিকা পৃথিবীর বৃহত্তম নদী অববাহিকা।


প্রশ্ন: দোয়াব কাকে বলে?

🢖🢖উত্তর: পার্শি শব্দ 'দোয়াব' 'দো' কথার অর্থ 'দুই' এবং 'আব' কথার অর্থ 'জল' বা 'নদী'। পাশাপাশি প্রবাহিত দুটি নদীর মধ্যবর্তী স্থানকে দোয়াৰ বলে। যেমন-ভারতের গঙ্গা ও যমুনার মধ্যবর্তী অংশকে গঙ্গা-যমুনার 'দোয়াব' বলে।


প্রশ্ন: অন্তর্বাহিনী (Inland River) নদী কাকে বলে?

🢖🢖উত্তর:  যে নদী কোনো দেশের মধ্যে উৎপন্ন হয়ে সেই দেশের মধ্যেই কোনো হ্রদ বা জলাশয়ে গিয়ে মেশে তাকে অন্তর্বাহিনী নদী বলে। যেমন- ভারতের লুনি একটি অন্তর্বাহিনী নদী।


প্রশ্ন আন্তর্জাতিক নদী (International River) কাকে বলে?

🢖🢖উত্তর:  যে নদী একাধিক দেশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়, তাকে আন্তর্জাতিক নদী বলে। যেমন-সিন্ধু, ব্রহ্মপুত্র আন্তর্জাতিক নদী।


প্রশ্ন: নিত্যবহ নদী (Perennial River) কাকে বলে?

🢖🢖উত্তর:  যেসব নদী উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে সৃষ্টি হয় এবং তার জলের উৎস প্রায়শই বরফগলা জল। এই নদীগুলিতে সারাবছর জল থাকে, এদের নিত্যবহ নদী বলে। যেমন- গঙ্গানদী। 


প্রশ্ন:অনিত্যবহ নদী (Non-Perennial River) কাকে বলে?

🢖🢖উত্তর: মালভূমি বা অন্য কোনো কম উঁচু জায়গায় সৃষ্টি হওয়া নদীগুলির জলের উৎস সাধারণত বৃষ্টির জল। শুধুমাত্র বর্ষাকাল ছাড়া সারাবছর এই নদীগুলিতে জল প্রায় থাকে না, এদেরকে অনিত্যবহ নদী বলে। যেমন-ময়ূরাক্ষী নদী।


 প্রশ্ন: নদীর ষষ্ঠঘাতের সূত্র কী

🢖🢖উত্তর:  নদীর বহনক্ষমতা তার জলের পরিমাণ ও গতিবেগের ওপর নির্ভর করে। আবার নদীর গতিবেগ নদীর প্রত্যক্ষ ঢালের পরিমাণের ওপর নির্ভরশীল। যদি নদীর গতিবেগ দ্বিগুণ হয়, তবে তার বহনক্ষমতাও সেই অনুপাতে 64 গুণ (26) বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ, নদীর বহনক্ষমতা তার গতিবেগের ষষ্ঠঘাতে বৃদ্ধি পায়। একেই নদীর ষষ্ঠঘাতের সূত্র বলে।


প্রশ্ন: উচ্চগতিতে নদী প্রধানত ক্ষয়কাজ করে কেন?

🢖🢖উত্তর: পার্বত্য অঞ্চলে বা উচ্চগতিতে ভূমির ঢাল বেশি এবং ভূমি খুব বন্ধুর হওয়ায় নদীর শক্তি থাকে প্রবল। তাই নদী উচ্চগতিতে প্রধানত ক্ষয়কাজ করে।


প্রশ্নকাসকেড ও প্রপাতকূপ কী?

🢖🢖উত্তর: পার্বত্য অঞ্চলে নদী বন্ধুর ভূপ্রকৃতির ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় বলে এই সময় ছোটো ছোটো অনেকগুলি খরস্রোত বা জলপ্রপাতের সৃষ্টি হয়। একেই কাসকেড বলে। একটি জলপ্রপাতের জল যখন উচ্চস্থান থেকে নীচে পতিত হয়, তখন জলের আঘাতে নীচে একটি গর্তের সৃষ্টি হয়। একেই প্রপাতকূপ বলে।


>প্রশ্ন: নদীর মধ্যপ্রবাহ কাকে বলে?

🢖🢖উত্তর: নদী পর্বত বা পাহাড় থেকে মালভূমি বা সমভূমিতে এসে পড়লে ভূমির ঢাল কমে যাওয়ায় নদীর শক্তিও কমে যায়। নদী তখন ধীর ও শান্ত হয়ে যায়। এটি নদীর মধ্যগতি বা মধ্যপ্রবাহ।


প্রশ্ন: নিম্নগতিতে নদীর প্রধান কাজ কী?

🢖🢖উত্তর:  নিম্নগতিতে নদীর গতি এবং শক্তি খুবই কমে যাওয়ায় নদী আর ক্ষয়কাজ করতে পারে না। এই সময় নদীর মূল কাজ হল সঞ্চয়।


প্রশ্ন:বদ্বীপ (Delta) কাকে বলে?

🢖🢖উত্তর:  নদীর মোহানার কাছে নদীর বহন করে আনা পলি, বালি, কাঁকর জমে চড়ার সৃষ্টি করে। নদীর স্রোত তখন ভাগ হয়ে চড়ার দু-দিক দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। ফলে প্রায় ত্রিভুজের মতো যেভূমি তৈরি হয়, তাকে বদ্বীপ বলে।


প্রশ্ন: বদ্বীপের শ্রেণিবিভাগ করো।

🢖🢖উত্তর:  বদ্বীপ তিন প্রকারের হয়। যথা- 

হ্রদ - বদ্বী:  কোনো নদী বড়ো কোনো হ্রদে পতিত হলে ও সেখানে বদ্বীপ সৃষ্টি করলে তাকে হ্রদ - বদ্বীপ বলে। যেমন- আমুদরিয়া ও সিরদরিয়ার বদ্বীপ। 

➢ নদী বদ্বীপ: কোনো নদী বড়ো কোনো নদীতে এসে পতিত হলে এবং সেই স্থানে বদ্বীপ সৃষ্টি হলে তাকে নদী বদ্বীপ বলে। যেমন-ব্রহ্মপুত্রের মাজুলি।

  ➢সমুদ্র বদ্বীপ:  কোনো নদী সমুদ্র মোহানায় বদ্বীপ সৃষ্টি করলে তাকে সমুদ্র বদ্বীপ বলে। যেমন- গঙ্গানদীর বদ্বীপ। 


প্রশ্ন: খাঁড়ি (Estuary) কাকে বলে?

🢖🢖উত্তর:  কিছু নদীর মোহানায় জোয়ারের সময় নোনাজল নদীতে প্রবেশ করে ফানেল আকৃতির চওড়া মোহানা তৈরি করে। একে খাঁড়ি বলে। যেমন- পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন অঞ্চলের প্রচুর নদীতে এরকম খাঁড়ি দেখা যায়।

No comments:

Post a Comment