Class 7th Geography Chapter -5 Part-4 Questions And Answers | ক্লাস 7th ভূগোল সহায়িকা | সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল পঞ্চম অধ্যায় "নদী " সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর | প্লাঞ্জ পুল (Plunge Pool) কাকে বলে? ক্যাটারাক্ট (Cataract) কাকে বলে? - Psycho Principal

Fresh Topics

Saturday, 21 September 2024

Class 7th Geography Chapter -5 Part-4 Questions And Answers | ক্লাস 7th ভূগোল সহায়িকা | সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল পঞ্চম অধ্যায় "নদী " সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর | প্লাঞ্জ পুল (Plunge Pool) কাকে বলে? ক্যাটারাক্ট (Cataract) কাকে বলে?

সপ্তম শ্রেণীর 
ভূগোল



👉(  সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল পঞ্চম অধ্যায় "নদী " সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর Part-5 )


প্রশ্ন:  প্লাঞ্জ পুল (Plunge Pool) কাকে বলে?

🢖🢖উত্তর: কোনো জলপ্রপাতের পাদদেশে জল এবং পতিত প্রস্তরখণ্ডের আঘাতে একটি বড়ো গর্তের সৃষ্টি হলে, সেই গর্তকে প্লাঞ্জ পুল বলে। প্লাঞ্জ পুলের গভীরতা ও আয়তন নির্ভর করে জলপ্রপাতটির উচ্চতা, জলের পরিমাণ এবং বাহিত প্রস্তরখণ্ডের ওপর, একে প্রপাতকূপও বলে।


প্রশ্ন:  ক্যাটারাক্ট (Cataract) কাকে বলে?

🢖🢖উত্তর: জলপ্রপাতে বিপুল জলরাশি যখন প্রবল গতিতে ফুলে ফেঁপে প্রবাহিত হয়, তখন তাকে ক্যাটারাক্ট বলে।

উদাহরণ : আফ্রিকার নিলনদের গতিপথে খার্তুম থেকে আসোয়ান পর্যন্ত 6 টি ক্যাটারাক্ট লক্ষ করা যায়।


প্রশ্ন:  নদীর সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।

🢖🢖উত্তর: নদীর সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলি হল- প্রকৃতিসৃষ্ট জলধারা (বরফগলা বা বৃষ্টির জলে পুষ্ট) নদী, হ্রদ, সাগর, মহাসাগরে গিয়ে পতিত হয়। নদী তার গতিপথে ক্ষয়, বহন ও সঞ্চয় কাজের দ্বারা নদী ভূমির ঢাল বরাবর নির্দিষ্ট খাতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। বিভিন্ন ভূমিরূপ গঠন করে। নদীতে অনেক জলধারা এসে মিলিত হয় (উপনদী) আবার, অনেক জলধারা নদী থেকে বেরিয়ে যায় (শাখানদী)।


প্রশ্ন:  জলপ্রপাত উচ্চ প্রবাহে কেন সৃষ্টি হয়?

🢖🢖উত্তর: সাধারণত উচ্চপ্রবাহে বা পার্বত্য গতিতে নদীর গতিপথ বরাবর কঠিন এবং কোমল শিলাস্তর আড়াআড়ি উপর-নীচ বরাবর অবস্থান করে। এই অবস্থায় ভূমি ঢালের আধিক্যের জন্য নদী যখন প্রবলবেগে ওই কঠিন ও কোমল অনুভূমিক শিলার উপর দিয়ে বয়ে চলে, তখন কঠিন শিলার ক্ষয় কম হয় এবং কোমল শিলার ক্ষয় অধিক হয়। এর ফলে উচ্চপ্রবাহে নদীর গতিপথ বরাবর যে খাড়া ঢালের সৃষ্টি হয় তার জন্যই নদীর জল উপর থেকে প্রবলবেগে নীচের দিকে প্রক্ষিপ্ত হয় এবং জলপ্রপাত সৃষ্টি করে।


প্রশ্ন:  নদীর উচ্চগতির বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।

🢖🢖উত্তর: নদীর উচ্চগতির বৈশিষ্ট্যগুলি হল- উচ্চগতিতে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে নদী পার্শ্বক্ষয় অপেক্ষা নিম্নক্ষয় বা নদীর তলদেশ ক্ষয় বেশি হয়। উচ্চগতিতে নদীতে বোঝা কম থাকে এবং নদী ক্ষয়িত পদার্থ বহনও করে। উচ্চগতিতে নদীগুলি খরস্রোতা বলে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে সহায়ক হলেও নৌপরিবহণের পক্ষে অনুপযুক্ত।


প্রশ্ন:  নদীর মধ্যগতির বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।

🢖🢖উত্তর: নদীর মধ্যগতির বৈশিষ্ট্যগুলি হল নদী সমভূমিতে নেমে আসে বলে ভূমির ঢাল হঠাৎ করে অনেকটা কমে যায়, ফলে নদীর গতিবেগ হ্রাস পায়। এই সময় নদী নিম্নক্ষয় অপেক্ষা পার্শ্বক্ষয় বেশি করে, তবে এই গতিতে নদীর প্রধান কাজ বহন। মধ্যগতিতে প্রধান নদীতে অনেক উপনদী এসে মিলিত হয় বলে জলের পরিমাণ ও নদীবাহিত বোঝার পরিমাণ দুই-ই বৃদ্ধি পায়। নদী এসময় জলসেচ ও নৌপরিবহণে সাহায্য করে থাকে।


প্রশ্ন:  নদীর নিম্নগতির বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।

🢖🢖উত্তর: নদীর নিম্নগতির বৈশিষ্ট্যগুলি হল এই পর্যায়ে ভূমির ঢাল প্রায় থাকে না বলে নদী খুবই ধীরগতি সম্পন্ন হয়। নদী এই সময় শুধু বহন করে তবে বোঝার পরিমাণ খুব বেশি থাকে বলে প্রধান কাজ সঞ্চয় বা অধঃক্ষেপণ। নদী সূক্ষ্ম পলি, বালি, কাদা সঞ্চয় করে নদীমধ্যস্থ চরা বা বদ্বীপ গঠন করে। নদীখাত খুবই অগভীর ও চওড়া হয়ে কখনো-কখনো খাঁড়ির আকার ধারণ করে। নদী এসময় জলসেচ ও নৌপরিবহণে সহায়ক হয়।


প্রশ্ন:  নদীর উচ্চগতি বা পার্বত্য প্রবাহ বলতে কী বোঝো?

🢖🢖উত্তর: নদীর উৎসস্থল থেকে পাহাড় বা পর্বতের মধ্যে সীমাবন্ধ গতিপথ অর্থাৎ, সমভূমিতে নেমে আসার আগে পর্যন্ত নদীর গতিপথকে নদীর উচ্চগতি বা পার্বত্য প্রবাহ বলে। পার্বত্য প্রবাহে ভূমির ঢাল খুব বেশি থাকে বলে নদী প্রবল বেগে প্রবাহিত হয়। তাই পার্বত্য প্রবাহকে উচ্চগতিও বলা হয়। এই গতিতে নদীর প্রধান কাজ নিম্নক্ষয় ও সামান্য পার্শ্বক্ষয় এবং ক্ষয়িত পদার্থের বহন। পার্বত্য প্রবাহে নদীর ক্ষয়জাত ভূমিরূপগুলি হল – উপত্যকা, জলপ্রপাত, মন্থকূপ ইত্যাদি।


প্রশ্ন:  উচ্চগতিতে নদী প্রধানত ক্ষয়কাজ করে কেন?

🢖🢖উত্তর: উচ্চগতি বলতে নদীর পার্বত্য গতিকেই বোঝায়। এই পর্যায়ে নদীর ঢাল অত্যন্ত বেশি থাকে। ফলে নদী খুব দ্রুত নীচের দিকে নামতে থাকে। এতে নদীর তলদেশে ক্ষয় বৃদ্ধি পায়। এ ছাড়া নদীর জলের সঙ্গে বাহিত নুড়ি, পাথর নদীর তলদেশকে অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় দ্রুত ক্ষয় করতে থাকে। অর্থাৎ, পার্বত্য অঞ্চলের ভূমি বন্ধুর এবং ভূমির ঢাল বেশি বলে এবং নদী ক্ষয়প্রাপ্ত নুড়ি পাথরকে বহন করে বলে নদী উপত্যকা দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।


প্রশ্ন:  নদীর মধ্যগতি বলতে কী বোঝো?

🢖🢖উত্তর: পার্বত্য অঞ্চল ছেড়ে নদী যখন সমভূমির ওপর দিয়ে বয়ে যায়, তখন তাকে নদীর মধ্যগতি বা সমভূমি প্রবাহ বলে। সমভূমিতে ভূমির ঢাল কম বলে নদীর জলস্রোতের বেগও কমে যায়। এ কারণে নদীর ক্ষয়কার্য কমে এবং এর পরিবর্তে পার্বত্য অঞ্চল থেকে বয়ে আনা নুড়ি, কাঁকর, বালি, পলি ইত্যাদি বহন করে নীচের দিকে নিয়ে চলে। সুতরাং, মধ্যগতিতে নদীর প্রধান কাজ বহন এবং সেই সঙ্গে অল্প সঞ্চয়। বহন ও সঞ্চয়কার্যের ফলে নদীর এই গতিতে মিয়েন্ডার, নদী-দ্বীপ, অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ প্রভৃতি ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়।


প্রশ্ন:  উপনদী ও শাখানদীর সঙ্গে প্রধান নদীর সম্পর্ক কী?

🢖🢖উত্তর: প্রধান নদী তার উপনদী ও শাখানদীকে সঙ্গে নিয়ে উৎস থেকে মোহানা পর্যন্ত বিস্তীর্ণ ভূভাগে নিজের অববাহিকা গড়ে তোলে। এই অববাহিকার মধ্যে উপনদীগুলি প্রধান নদীতে ক্রমাগত জল ও পলির জোগান দিয়ে যায়। অপর দিকে শাখানদীগুলি প্রধান নদী থেকে জল ও পলির বোঝা ভাগ করে নিয়ে সমুদ্র, হ্রদ বা জলাশয়ে পৌঁছে দেয়। এই ভাবে প্রধান নদী তার উপনদী ও শাখা নদীকে সঙ্গে নিয়ে সারাবছর নিজ অববাহিকার জল পরিবহণ করে থাকে।

No comments:

Post a Comment