ক্লাস 7th ভূগোল সহায়িকা | সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল সপ্তম অধ্যায় "জলদূষণ " সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর | Class 7th Geography Chapter -7 Part-1 Questions And Answers | জলদূষণ (Water Pollution) কাকে বলে? জলদূষণের ফলে কী কী রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়? - Psycho Principal

Fresh Topics

Wednesday, 2 October 2024

ক্লাস 7th ভূগোল সহায়িকা | সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল সপ্তম অধ্যায় "জলদূষণ " সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর | Class 7th Geography Chapter -7 Part-1 Questions And Answers | জলদূষণ (Water Pollution) কাকে বলে? জলদূষণের ফলে কী কী রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়?

 


সপ্তম শ্রেণীর 
ভূগোল



👉 (সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল ষষ্ঠ অধ্যায় "শিলা ও মাটি" সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর Part-1)


প্রশ্ন: পৃথিবীর মোট জলের হিসাব দাও।

🢖🢖উত্তর: পৃথিবীর মোট 100 ভাগ জলের 97 ভাগই সমুদ্রের নোনা জল। বাকি 3 ভাগ স্বাদুজলের এবং 2 ভাগ হিমবাহের বরফ হিসেবে রয়েছে। বাকি । ভাগ হল নদী, হ্রদ, অন্যান্য জলাশয় ও ভূগর্ভের জল।


প্রশ্ন: জলদূষণ (Water Pollution) কাকে বলে?

🢖🢖উত্তর: মানুষের নিত্যদিনের ক্রিয়াকলাপের ফলে এবং প্রাকৃতিক কারণে জলের ভৌত বা রাসায়নিক ও জৈব উপাদানগুলির গুণমান নষ্ট হয়ে যাওয়া ও জল ব্যবহারের অনুপযুক্ত হয়ে পড়াকে জলদূষণ বলা হয়।


প্রশ্ন: জলদূষক পদার্থের নাম লেখো।

🢖🢖উত্তর: জৈব, অজৈব পদার্থ ও জীবাণু প্রভৃতি দ্বারা জল দূষিত হয়। জলদূষক পদার্থগুলি নিম্নরূপ:

i. জীবাণু-ব্যাকটেরিয়া, প্রোটোজোয়া প্রভৃতি।

ii. জৈবদূষক কচুরিপানা, কৃষিক্ষেত্রের আবর্জনা প্রভৃতি। 

iii. অজৈব দূষক-ডিটারজেন্ট, তেজস্ক্রিয় পদার্থ, কীটনাশক প্রভৃতি।


প্রশ্ন: জলদূষণের বিভিন্ন উৎসগুলি কী কী? 

🢖🢖উত্তর: জলদূষণের বিভিন্ন উৎসগুলি হল-

i. শিল্পকারখানা থেকে জলদূষণ। ii. গৃহস্থালি থেকে জলদূষণ।

iii. কৃষিক্ষেত্র থেকে জলদূষণ।


>প্রশ্ন: জলদূষণের ফলে কী কী রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়?

🢖🢖উত্তরজলদূষণের ফলে কলেরা, আমাশয়, আন্ত্রিক, জন্ডিস, টাইফয়েড, পোলিয়ো ইত্যাদি রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়।


প্রশ্ন: পৃথিবী জুড়ে জলসংকটের কারণ কী?

🢖🢖উত্তর: জলের অতিরিক্ত ব্যবহার ও জলদূষণই হল পৃথিবী জুড়ে জলসংকটের প্রধান কারণ।


প্রশ্ন: পৃথিবীর কোন্ কোন্ দেশে চরম জলসংকট দেখা গেছে?

🢖🢖উত্তর: আফ্রিকা, পশ্চিম এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আমেরিকার কিছু অঞ্চলে চরম জলসংকট দেখা গেছে।


>প্রশ্ন: জলসংকটপূর্ণ রাজ্যগুলির নাম লেখো।

🢖🢖উত্তর: রাজস্থান, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু হল জলসংকটপূর্ণ রাজ্য।


প্রশ্ন: কৃষিক্ষেত্র থেকে জলদূষণ কীভাবে ঘটে?

🢖🢖উত্তর: চাষের খেতে বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক সার, কীটনাশক, আগাছানাশক ব্যবহার করা হয়। বৃষ্টির জলে ধুয়ে এই সমস্ত বিষাক্ত রাসায়নিক ভূগর্ভের জলে, জলাশয়ে, নদীতে মিশে জল দূষিত করে।


প্রশ্ন: তেজস্ক্রিয় পদার্থ থেকে জলদূষণ কীভাবে ঘটে?

🢖🢖উত্তর: পারমাণবিক চুল্লি, চিকিৎসাকেন্দ্র বা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষাগারে ব্যবহৃত তেজস্ক্রিয় পদার্থগুলি ব্যবহারের পর সমুদ্রে বা নদীতে ফেলা হয়। এ ছাড়া পারমাণবিক বিস্ফোরণের পর তেজস্ক্রিয় পদার্থ জলে মিশে জলদূষণ ঘটায়।


>প্রশ্নখনিজ তেল থেকে কীভাবে জলদূষণ ঘটে?

🢖🢖উত্তর: তেলবাহী জাহাজে কোনো দুর্ঘটনার ফলে অথবা সমুদ্রে অবস্থিত তেলের খনি থেকে নির্গত তেল সমুদ্রে মিশে যাওয়ায় জল দূষিত হয়।


প্রশ্ন: তাপীয় দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব কী?

🢖🢖উত্তর: তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, কারখানায় ব্যবহৃত উয় দূষিত বর্জ্যপদার্থ সরাসরি জলাশয়ে, নদীতে মিশে জলে অক্সিজেনের পরিমাণ কমিয়ে দেয়।


প্রশ্ন: বায়ুদূষণ কি জলদূষণের কারণ?

🢖🢖উত্তর: হ্যাঁ, কলকারখানা এবং যানবাহনের ধোঁয়ার মাধ্যমে বাতাসে সালফার ডাইঅক্সাইড (SO₂), নাইট্রোজেন অক্সাইড (NO), নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড (NO₂), কার্বন মনোক্সাইড (CO) ইত্যাদি জমা হয়। বায়ুমণ্ডল থেকে পতিত বৃষ্টির জলের সঙ্গে এই দূষিত গ্যাসগুলি মিশে ভূপৃষ্ঠের ও ভূগর্ভের জলকে দূষিত করে।


প্রশ্ন: লেকঘাতক কাকে বলে?

🢖🢖উত্তর: অ্যাসিড বৃষ্টি বা অম্লবৃষ্টিকে লেকঘাতক বলা হয়। কারণ অ্যাসিড বৃষ্টি লেক বা জলাশয়ের জলের অম্লত্ব বৃদ্ধি করে।


প্রশ্ন: অ্যাসিড বৃষ্টির ফলে জলের কোন কোন জীবের মৃত্যু ঘটে?

🢖🢖উত্তর: অ্যাসিড বৃষ্টির ফলে জলের ফাইটোপ্ল্যাংকটন (জলের উপরিতলে ভাসমান ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র উদ্ভিদকণা, উদাহরণ- ক্ল্যামাইডোমোনাস, ভলভক্স), জুপ্ল্যাংকটন (জলের উপরিতলে ভাসমান আণুবীক্ষণিক প্রাণীকণা, উদাহরণ-সাইক্লপ্স, ড্যাফনিয়া), শামুকজাতীয় কম্বোজ, চারামাছ ইত্যাদির মৃত্যু ঘটে।


প্রশ্ন: 'জৈব সঞ্চয়' কী?

🢖🢖উত্তর: যে পদ্ধতিতে উদ্ভিদ ও প্রাণীকোশে অপরিবর্তনশীল বিষাক্ত পদার্থ এবং ভারী ধাতু জমা হয়, তাকে জৈব সঞ্চয় বলে।


>প্রশ্ন: ভারতের কোথায় কোথায় কীটনাশকের দরুন প্রচুর মাছ মারা গেছে?

🢖🢖উত্তর: কেরলের কুট্টানারে, ওড়িশার চিলকায়, অন্ধ্রপ্রদেশের কোলেরুতে কীটনাশকের দরুন প্রচুর মাছ মারা গেছে।


প্রশ্নআর্সেনিকোসিস কাকে বলে?

🢖🢖উত্তর: আর্সেনিক মেশা জল খেলে মানুষের হাতে-পায়ে কালো পচা ঘা হয়-এই রোগলক্ষণকে আর্সেনিকোসিস বলে।


প্রশ্ন: ফুয়োরোসিস কী?

🢖🢖উত্তর: ফ্লুয়োরোইড দূষণ থেকে মানুষের দাঁত ও হাড়ের ক্ষয় দেখা দেয়, তাকে ফ্লুয়োরোসিস বলে।


প্রশ্ন: ফুয়োরোসিস রোগের দুটি লক্ষণ উল্লেখ করো।

🢖🢖উত্তর: ফ্লুয়োরোসিস রোগের দুটি লক্ষণ হল-এ ফ্লুয়োরোসিস রোগে দাঁতে কালো ও বাদামি রঙের ছোপছোপ দাগ পড়ে এবং দাঁতের এনামেল স্তর ক্ষয়ে যায়। স্কেলিটাল ফ্লুয়োরোসিসে অস্থি ও অস্থিসন্ধিতে ক্ষয় হয় এবং অসহ্য যন্ত্রণা অনুভূত হয়।


>প্রশ্ন: মিনামাটা রোগের লক্ষণগুলি লেখো।

🢖🢖উত্তর: মিনামাটা রোগে পেশি ও স্নায়ুর ক্ষতি হয়। আক্রান্ত মানুষ দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন। বধিরতা, স্মৃতিবিভ্রম ইত্যাদি দেখা দেয়। এই রোগে আক্রান্ত হলে মানুষ পঙ্গু হয়ে যায়।


প্রশ্ন: ইটাই ইটাই রোগের লক্ষণগুলি লেখো।

🢖🢖উত্তর: ইটাই ইটাই রোগের লক্ষণগুলি হল- ফুসফুস ও বৃক্কের ক্ষতি হয়, দেহে বিষক্রিয়া দেখা দেয়। এ ছাড়া বমিভাব, পাতলা পায়খানা ও দৈহিক দুর্বলতা দেখা দেয়।


প্রশ্ন: ব্ল‍্যাকফুট ব্যাধি কী?

🢖🢖উত্তর: বেশিমাত্রায় আর্সেনিকযুক্ত পানীয় জল খেলে মানুষের পায়ের ত্বকে যে কালো কালো ক্ষত সৃষ্টি হয় তাকে ব্ল‍্যাকফুট ব্যাধি বলে।


>প্রশ্ন: ব্ল‍্যাকফুট ব্যাধি ছাড়া জলদূষণের ফলে মানুষের আর কী কী রোগ হয়?

🢖🢖উত্তর: ব্ল্যাকফুট ব্যাধি ছাড়া জলদূষণের ফলে মানুষের চর্মরোগ, রক্তাল্পতা, যকৃৎ, ফুসফুস ও ত্বকের ক্যানসার ইত্যাদি রোগ হয়।


প্রশ্ন: কী কী বিষয় মেনে চললে জলবাহিত সংক্রমণ আটকানো যায়?

🢖🢖উত্তর: জলবাহিত সংক্রমণ আটকানোর উপায় হল- বিশুদ্ধ পানীয় জল খাওয়া। সাধারণ কিছু পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা মেনে চলা- (যেমন সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, পরিষ্কার পাত্রে জল রাখা ইত্যাদি)। শৌচাগারের ব্যবহার করা এবং নোংরা আবর্জনা সঠিকভাবে ফেলা। এই তিনটি বিষয় মেনে চললে জলবাহিত সংক্রমণ আটকানো যায়।


প্রশ্ন: জল বিশুদ্ধ করার উপায়গুলি লেখো।

🢖🢖উত্তর: জল বিশুদ্ধ করার সহজ ও কার্যকারী উপায়টি হল সূর্যের আলোর মাধ্যমে জল শুদ্ধ করা। পাতলা প্লাস্টিকের স্বচ্ছ বোতলে জল ভরে রোদে ছ-সাত ঘণ্টা রেখে দিলে প্রায় ফোটানো জলের মতোই তা বিশুদ্ধ হয়ে যায়।


প্রশ্ন: পানীয় জল পরিশোধনের জন্য কোন্ কোন্ রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়?

🢖🢖উত্তরপানীয় জল পরিশোধনের জন্য ক্লোরিন, ব্লিচিং পাউডার, জিয়োলিন ইত্যাদি রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়।


প্রশ্ন: বর্তমানে গঙ্গানদীর দূষিত হওয়ার কারণ কী?

🢖🢖উত্তর: গত কয়েক দশকে গঙ্গানদীর দুই তীরে অসংখ্য কলকারখানা, শহর, নগর ও জনবসতি গড়ে ওঠার ফলে প্রচুর বিষাক্ত আবর্জনা গঙ্গানদীর জলে মিশে জলকে দূষিত করে তুলেছে।

No comments:

Post a Comment