👉(সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল সপ্তম অধ্যায় "জলদূষণ " সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর)
প্রশ্ন: স্তরীভূত শিলা কাকে বলে?
🢖🢖উত্তর: ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগ বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির ঘাতপ্রতিঘাতে চূর্ণ-বিচূর্ণ ও ক্ষয়ীভূত হয়ে ভূপৃষ্ঠের কোনো অবনমিত অঞ্চলের (অগভীর নদী, হ্রদ, সমুদ্র বা জলাশয়) তলদেশে ক্রমশ স্তরে স্তরে সঞ্চিত হতে থাকে। কালক্রমে ওই সঞ্চিত পললরাশি ভূগর্ভের তাপ, ওপরের জলরাশি ও শিলাস্তরের প্রবল চাপে কঠিন হয়ে পাললিক শিলায় পরিণত হয়। এই শিলা স্তরে স্তরে পলি সঞ্চিত বা সজ্জিত হয়ে গঠিত হয় বলে, একে স্তরীভূত শিলা বলে। এই শিলার মধ্যে একটি স্তর অন্য একটি স্তরের সঙ্গে যে তলে যুক্ত থাকে, তাকে স্তরায়ণ তল বলে।
প্রশ্ন: স্তরায়ণ তল (Bedding Plane) কাকে বলে?
🢖🢖উত্তর: সমুদ্র, হ্রদ বা নদীর তলদেশে পলি স্তরে স্তরে সঞ্চিত হয়ে পাললিক শিলা সৃষ্টি হয় বলে একে স্তরীভূত শিলা বলে। পাললিক শিলার এই স্তরগুলি একটি অপরটির সঙ্গে যে তলে মিলিত হয় সেই সংযোগ তলকে স্তরায়ণ তল বলে। স্তরায়ণ তলে জীবাশ্ম দেখা যায়।
প্রশ্ন: জীবন্ত জীবাশ্ম (Living Fossil) কাকে বলে?
🢖🢖উত্তর: অতীতে উৎপত্তি লাভ করলেও পরিবেশ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের অভিযোজন অর্থাৎ, পরিবর্তন ঘটিয়ে কিছু কিছু জীব আজও পৃথিবীতে বেঁচে আছে কিন্তু তাদের সমসাময়িক জীবদের অবলুপ্তি ঘটেছে, এদের জীবন্ত জীবাশ্ম বলে। যেমন- উত্তর আমেরিকার পূর্ব উপকূলের রাজ কাঁকড়া, নিউজিল্যান্ডের মেরুদন্ডী প্রাণী তুয়াতারা ইত্যাদি।
প্রশ্ন: শিলা খনিজ দ্বারা গঠিত। বলো তো খনিজ কী দ্বারা গঠিত?
🢖🢖উত্তর: খনিজ একটি নির্দিষ্ট মৌলিক পদার্থ হতে পারে (যেমন- হিরে), আবার অনেক মৌল পদার্থ দিয়ে গঠিত যৌগিক পদার্থও হতে পারে। প্রকৃতির বেশিরভাগ খনিজ সিলিকন, অক্সিজেন, লোহা, অ্যালুমিনিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম, সোডিয়াম ও পটাশিয়াম- এই আটটি মৌল দিয়ে গঠিত।
প্রশ্ন: অস্তরীভূত শিলা কাকে বলে?
🢖🢖উত্তর: পলি, বালি, নুড়ি স্তরে স্তরে সঞ্চিত না হয়ে প্রবল অগ্ন্যুৎপাত বা প্রবল চাপ ও তাপে শিলার রূপান্তরণের দ্বারা যে শিলাসমূহ সৃষ্টি হয়, তাদের অস্তরীভূত শিলা বলে। সাধারণত এই জাতীয় শিলায় স্তরায়ণ দেখা যায় না বলে এরূপ নামকরণ করা হয়।
উদাহরণ: আগ্নেয় শিলা ও রূপান্তরিত শিলা।
প্রশ্ন: পাললিক শিলার অপর নাম স্তরীভূত শিলা কেন?
🢖🢖উত্তর: ভূত্বকের বিভিন্ন শিলা নদী, হিমবাহ, বায়ু প্রভৃতি দ্বারা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে পলি, নুড়ি, বালি সৃষ্টি করে। এরা প্রাকৃতিক শক্তি দ্বারা বাহিত হয়ে নদী, হ্রদ বা সমুদ্রের তলদেশে স্তরে স্তরে সঞ্চিত হয়ে পাললিক শিলা সৃষ্টি করে। পলিকণার রং, আয়তন, গ্রথন এবং বেধ দ্বারা স্তরগুলিকে পৃথক করা যায়। স্তরে স্তরে পলি সঞ্চিত হয়ে পাললিক শিলার উদ্ভব হওয়ায় একে স্তরীভূত শিলাও বলে।
প্রশ্ন: পলিমাটি স্তরবিহীন হওয়ার কারণ কী?
🢖🢖উত্তর: পলিমাটি স্তরবিহীন হওয়ার কারণ: পলিমাটি বয়সে নবীন। এর গঠনও অপরিণত। এই মাটির গঠন প্রক্রিয়া সক্রিয় নয়। • বন্যার সময় পলি একস্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হয় ও নতুন পলিস্তর সৃষ্টি হয়। পলিস্তর স্তরীভূত হওয়ার মতো যথেষ্ট সময় পায় না, তার আগেই ওই স্তর ভেঙে যায় বা তাতে নতুন পলি সঞ্চয় ঘটে।
প্রশ্ন: সংসক্তি বল (Cohesion force) কাকে বলে?
🢖🢖উত্তর: সংসন্তি বল (Cohesion force): মাটির কাদা কণার একে অপরকে ধরে রাখার ক্ষমতা বা প্রবণতাকে মাটির সংসক্তি বল বলে। এঁটেল মাটির সংসন্তি বল সর্বাধিক, দোআঁশ মাটির সংসক্তি বল মাঝারি এবং বেলে মাটির সংসক্তি বল সবচেয়ে কম। তাই এঁটেল মাটি সহজে কাদায় পরিণত হয় ও এর জলধারণ ক্ষমতা অন্য মাটির তুলনায় বেশি।
প্রশ্ন: রেগোলিথ (Regolith) কীভাবে তৈরি হয়?
🢖🢖উত্তর: বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তি যেমন- সূর্যের তাপ, বৃষ্টিপাত, বায়ুপ্রবাহ, নদীর স্রোত ইত্যাদি দ্বারা শিলা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণায় পরিণত হয়। ওই শিলাচূর্ণ কখনও ওই স্থানে অবস্থান করতে পারে বা অন্যত্র চলে যেতে পারে (জলস্রোত বা বাতাস দ্বারা)। ক্রমাগত ক্ষয়প্রাপ্ত এই শিলাচূর্ণ যখন ভূমির ওপর এক শিথিল আস্তরণ বা স্তরের সৃষ্টি করে, তখন তাকে রেগোলিথ বলে। রেগোলিথ হল মাটি সৃষ্টির প্রাথমিক অবস্থা।
প্রশ্ন: মাটি (Soil) কাকে বলে?
🢖🢖উত্তর: দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন প্রাকৃতিক পরিবেশে ভৌত, রাসায়নিক ও জৈবিক প্রক্রিয়ার দ্বারা আদি বা জনক শিলার পরিবর্তন ঘটে ভূপৃষ্ঠের সমান্তরালে জৈব ও অজৈব পদার্থ সমৃদ্ধ যে পাতলা বা পুরু ভঙ্গুর আবরণী বা স্তরের সৃষ্টি হয়, যা উদ্ভিদ জন্মানোর পক্ষে আদর্শ, তাকে মাটি বা মৃত্তিকা (Soil) বলে। যেমন- মাটি ইত্যাদি। পলিমাটি, ল্যাটেরাইট
প্রশ্ন: মাটির উপাদান কী কী? অথবা, মাটিতে কী থাকে?
🢖🢖উত্তর:মাটির প্রধান উপাদান খনিজ পদার্থ। মাটিতে 45% খনিজ পদার্থ, 25% বাতাস, 25% জল এবং বাকি 5%-এ অন্যান্য পদার্থ বর্তমান থাকে। ওই 5% অন্যান্য পদার্থের মধ্যে প্রায় ৪০% উদ্ভিদ ও প্রাণীর পচাগলা অংশ বা হিউমাস থাকে, 10% থাকে উদ্ভিদের পাতা ও শিকড় এবং বাকি 10%-এ থাকে অণুজীব।
প্রশ্ন: হিউমাস (Humus) কাকে বলে?
🢖🢖উত্তর: মাটি মধ্যস্থ জীবাণু দ্বারা মৃত উদ্ভিদ বা প্রাণীর দেহাবশেষ পচন ক্রিয়ার দ্বারা ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়ে যে কালো বর্ণের জটিল কলয়েড পদার্থ সৃষ্টি হয়, তাকে হিউমাস বলে। পরবর্তী সময়ে হিউমাস খনিজ পদার্থে রূপান্তরিত হয়ে মাটিতে মিশে যায়। যে মাটিতে হিউমাস বেশি থাকে, সেই মাটি খুব উর্বর হয় এবং এর জলধারণ ক্ষমতাও বেশি থাকে।
প্রশ্ন: কোন্ জলবায়ুতে মাটি দ্রুত গঠিত হয় এবং কেন, তা ব্যাখ্যা করো।
🢖🢖উত্তর: সাধারণত, উন্ন-আর্দ্র জলবায়ুতে মাটি গঠন দ্রুত প্রক্রিয়ায় হয়। কারণ- এই জলবায়ুতে রাসায়নিক আবহবিকার বেশি হয় বলে শিলা দ্রুত বিয়োজিত ও পরিবর্তিত হয়, এই জলবায়ুতে প্রচুর উদ্ভিদ জন্মায় বলে হিউমাস সৃষ্টি হয়, জীবাণুর সংখ্যা অধিক বলে মৃত উদ্ভিদ ও জীবের দেহ দ্রুত পচে গিয়ে মাটি গঠন ত্বরান্বিত হয়।
প্রশ্ন: কাদামাটি বা এঁটেল মাটির জলধারণ ক্ষমতা বেশি হয় কেন?
🢖🢖উত্তর: মাটির জলধারণ ক্ষমতা নির্ভর করে মাটির প্রবেশ্যতা বা সচ্ছিদ্রতার ওপর। মাটিতে সচ্ছিদ্রতা বেশি হলে, মাটিতে জলের প্রবেশ্যতা অধিক হয় বলে জলধারণ ক্ষমতা কম হয়। অন্যদিকে মাটির সচ্ছিদ্রতা কম হলে মাটি অপ্রবেশ্য হয়ে যায় ও মাটির জলধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কাদামাটির কণাগুলি অতি সূক্ষ্ম এবং গায়ে গায়ে লেগে খুব দৃঢ়ভাবে সংযুক্ত থাকে। ফলে মাটিতে ছিদ্রপথ বেশি থাকে না। তাই জল মাটির নীচে চলে যেতে পারে না। ফলে কাদামাটি বা এঁটেল মাটির জলধারণ ক্ষমতা খুব বেশি হয়।
প্রশ্ন: খনিজ কাকে বলে?
🢖🢖উত্তর: শিলার মধ্যে অবস্থিত নির্দিষ্ট রাসায়নিক সংযুক্তিবিশিষ্ট, নির্দিষ্ট পারমাণবিক গঠনযুক্ত, কেলাসিত মৌলিক বা যৌগিক পদার্থকে খনিজ বলে। উদাহরণ- মৌলিক খনিজ হিরে, যৌগিক খনিজ অর্থোক্লেজ, ফেল্ডসপার।
প্রশ্ন: আগ্নেয় শিলায় স্তরভেদ থাকে না কেন?
🢖🢖উত্তর: আগ্নেয় শিলায় স্তরভেদ না থাকার কারণগুলি হল- উত্তপ্ত তরল অবস্থা থেকে শীতল ও কঠিন হওয়ার সময় একসঙ্গে জমাটবদ্ধ হয় বলে আগ্নেয় শিলায় স্তরভেদ থাকে না। কেলাসিত ও স্ফটিকযুক্ত হওয়ায় আগ্নেয় শিলা স্তর গঠনের সময় পায় না। আগ্নেয় পদার্থ ভূত্বকের ওপরে প্রথম জমাটবদ্ধ হয়ে এই শিলার বহির্ভাগ সৃষ্টি করে বলে স্তর গঠিত হয় না।
প্রশ্ন: বেলেমাটির বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।
🢖🢖উত্তর: বেলেমাটির বৈশিষ্ট্যগুলি হল :- i. বেলেমাটির দানা মোটা। ii. দানাগুলির মধ্যে ফাঁক বেরিয়ে থাকে। iii.জল ঢাললে বেলেমাটি তাড়াতাড়ি টেনে নেয় অর্থাৎ, এই মাটির জলধারণ ক্ষমতা কম। iv. এই মাটিতে বায়ু চলাচল ভালো হয়। v. বেলে মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ কম থাকে। vi. এই মাটির কণাগুলি ঝুরঝুরে প্রকৃতির হয়। vii. এই মাটিতে কৃষিকাজ ভালো হয় না।
প্রশ্ন: বেলে মাটিকে ক্ষুধার্ত বা তৃষ্ণার্ত মাটি (Hungry soil) বলে কেন?
🢖🢖উত্তর: বেলে মাটিতে 80% - 90% বালিকণা থাকে। বালিকণাগুলি বড়ো বড়ো হওয়ায় কণাগুলির মধ্যে অসংখ্য ফাঁক বা ছিদ্র থাকে। এই ছিদ্রপথ দিয়ে সহজেই জল মাটির নীচে চলে যায়। এক কথায় বেলেমাটিতে যতই জল দেওয়া হয় মাটি ততই তা শোষণ করে নেয়। একারণে বেলেমাটিকে ক্ষুধার্ত মাটি বা তৃষ্ণার্ত মাটি (Hungry soil) বলে।
প্রশ্ন: অণুছিদ্র স্থান (Pore Space) বা সচ্ছিদ্রতা কী?
🢖🢖উত্তর: মাটি পলি, বালি, কাদা প্রভৃতি ছোটো-বড়ো কণা দ্বারা গঠিত। মাটির এই কণাগুলির মধ্যে কিছু পরিমাণ ফাঁকা জায়গা থাকে। এগুলিকে বলা হয় অণুছিদ্র স্থান বা সচ্ছিদ্রতা। বায়ু ও জল মাটির এই স্থানগুলি দখল করে থাকে। মাটির উর্বরতা ও গুণাগুণ বিচারে অণুছিদ্র স্থান গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: উর্বর মাটি বলতে কী বোঝো? উদাহরণ দাও।
🢖🢖উত্তর: যে মাটিতে উদ্ভিদ ও কৃষিজ ফসলের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান নির্দিষ্ট মাত্রায় থাকে, সেই মাটিকে উর্বর মাটি বলে। উদাহরণ- দোআঁশ মাটি। প্র
প্রশ্ন: খনিজ সম্পদ সৃষ্টিতে আগ্নেয় শিলার ভূমিকা আলোচনা করো।
🢖🢖উত্তর: বিভিন্ন মূল্যবান খনিজ যেমন- সোনা, রুপো, সিসা, তামা, লোহা, টিন ইত্যাদি পৃথিবীর অভ্যন্তরে ম্যাগমা স্তরে অবস্থান করে। ভু-আলোড়নের ফলে ভূত্বকের ফাটলের মধ্য দিয়ে ওই ম্যাগমা = ভূপৃষ্ঠে উঠে এসে শীতল ও কঠিন হয়ে আগ্নেয় শিলার সৃষ্টি করে। ফলে ম্যাগমাস্থিত খনিজগুলির উপস্থিতি আগ্নেয় শিলায় দেখা যায়। পরবর্তী কালে আমরা সেগুলি আহরণ করি।
প্রশ্ন: পলিমাটি কাকে বলে?
🢖🢖উত্তর: নদীবাহিত পলি, বালি, কাদা সঞ্চিত হয়ে পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ফসফরাস প্রভৃতি পুষ্টি মৌল সমৃদ্ধ এবং অধিক জলধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন যে উর্বর মাটির সৃষ্টি হয় তাকে পলিমাটি বলে। এই মাটি ফসল চাষের পক্ষে অত্যন্ত উপযোগী। নিম্ন গঙ্গা সমভূমিতে পলিমাটি দেখা যায়।
প্রশ্ন: শারীরবৃত্তীয় শুষ্ক মৃত্তিকা কাকে বলে? এর বৈশিষ্ট্য লেখো।
🢖🢖উত্তর: যে মৃত্তিকায় লবণের পরিমাণ বেশি থাকার জন্য পর্যাপ্ত জল থাকা সত্ত্বেও উদ্ভিদ তা গ্রহণ করতে পারে না, সেই মৃত্তিকাকে শারীরবৃত্তীয় শুষ্ক মৃত্তিকা বলে।
বৈশিষ্ট্য: এই মৃত্তিকা অত্যধিক লবণাক্ত। এই মৃত্তিকাতে অক্সিজেনের পরিমাণ কম থাকে। সুন্দরী, গরান, গেওয়া, হোগলা প্রভৃতি ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ এই মাটিতে ভালো জন্মায়।
উদাহরণ: সুন্দরবনের লবণাক্ত মৃত্তিকা।
প্রশ্ন: কোন্ শিলা থেকে খনিজ পদার্থ সংগ্রহ করতে সুবিধা হয় এবং কেন?
🢖🢖উত্তর: প্রচণ্ড চাপে, তাপে বা রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে আগ্নেয় ও পাললিক শিলা রূপান্তরিত হয়। রূপান্তরের ফলে শিলার ভিতরের খনিজ অবস্থানের পরিবর্তন ঘটে। তখন একই ধর্মবিশিষ্ট খনিজ পদার্থগুলির পুনর্বিন্যাস ঘটে একদিকে কাছাকাছি চলে আসে। ফলে বু পান্তরিত শিলা থেকে বাণিজ্যিকভাবে খনিজ পদার্থ সংগ্রহ করতে সুবিধা হয়।
প্রশ্ন: রেললাইনের মাঝে থাকা শিলার নাম কী? কেন এই ধরনের শিলা এখানে রাখা হয়?
🢖🢖উত্তর: রেললাইনে ব্যাসল্ট শিলা রাখা হয়। ব্যাসল্ট হল এক ধরনের আগ্নেয় শিলা। পাইরক্সিন, কোয়ার্টজ, ফেল্ডসপার, লোহা, অলিভিন ইত্যাদি খনিজের সমন্বয়ে গঠিত হওয়ায় খুব শক্ত প্রকৃতির হয়। খুব ভারী ও ক্ষয় প্রতিরোধী এই শিলা রেললাইনের মাঝে থাকায় লাইনগুলি ট্রেন যাওয়ার পরেও স্থানচ্যুত হয় না এবং রেল, বৃষ্টির জল, বায়ু দ্বারা সহজে ক্ষয়প্রাপ্তও হয় না।
প্রশ্ন: পৃথিবীর প্রাচীনতম শিলা কোন্ মহাদেশে পাওয়া গেছে?
🢖🢖উত্তর: রেডিওমেট্রিক পদ্ধতিতে শিলার বয়স গণনা করে জানা গেছে যে, পৃথিবীর প্রাচীনতম শিলা অ্যাকাস্টানিস্। এর বয়স 390 কোটি বছর। এটি উত্তর আমেরিকা মহাদেশের কানাডায় পাওয়া গেছে।
No comments:
Post a Comment