পঞ্চম অধ্যায় "মানুষের খাদ্য" প্রশ্ন উত্তর পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করো
👉 ( মানুষের খাদ্য প্রশ্ন উত্তর )
সপ্তম শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞান বিষয়ের একটি বিশেষ গুরুত্ব পূর্ণ অধ্যায় হলো, "পরিবেশ গঠনে পদার্থের ভূমিকা" পার্ট -2 এই অধ্যায়ের কিছু বিশেষ বিশেষ প্রশ্ন উত্তর করা হয়েছে এই পোস্টটিতে ।
⬛অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান -1
1. উদ্ভিজ উৎস থেকে পাওয়া খাদ্যগুলি কোন্ প্রকৃতির ?
উঃ । ক্ষারীয় প্রকৃতির, যেমন ফল ও নানা ধরনের শাকসবজি।
2. প্রাণীজ উৎস থেকে পাওয়া খাদ্যগুলি কোন্ প্রকৃতির ?
উঃ। প্রধানত অ্যাসিডিক।
3. কেলাসকার পদার্থ কাকে বলে?
উঃ। যে সমস্ত দানাগুলিতে আলো প্রতিফলিত হয় সেই ধরনের নির্দিষ্ট আকারের দানাবিশিষ্ট পদার্থকে কেলাসাকার পদার্থ বলে।
4. প্রাচীনকালে মানুষ কোথা থেকে নূন সংগ্রহ করত ?
উঃ । প্রাচীনকালে সামুদ্রিক লবনই ছিল খাবার নুনের প্রধান উৎস। আবার বিভিন্ন পাথরের খাঁজে জমে থাকা নুনও মানুষ সংগ্রহ করত।
5. রক্তের মধ্যে Nacl আয়নিত হয়ে কী কী আয়ন তৈরি করে?
উঃ । Na+ (আয়ন) ও CH (আয়ন)।
6. মানুষের দেহে রক্তের 100 মিলিলিটারে Nacl-এর পরিমাণ কত?
উঃ । 0.9 গ্রাম।
7. আমাদের শরীরের আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগের মাধ্যম কী ?
উঃ । আমাদের স্নায়ু ব্যবস্থা।
8. স্নায়ুর কাজ কী?
উঃ । স্নায়ুর কাজ হল মস্তিষ্ক বা সুষুম্নাকান্ড ও দেহের বিভিন্ন অংশের মধ্যে সংবেদন আদানপ্রদান করা।
9. সিমেন্টের এত ব্যাপক ব্যবহারের কারণ কী ?
উঃ । সিমেন্ট সহজলভ্য, এর আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা এবং সিমেন্টের তৈরি জিনিসের স্থায়িত্ব বেশি হওয়ার ফলে এর ব্যবহার এত ব্যাপক।
10. শ্বেতকণিকার কাজ কী?
উঃ। রক্তের মধ্যে থাকা রোগজীবাণু ধ্বংস করা।
11. আমাদের শরীরের বেশির ভাগ ক্যালশিয়াম কোথায় আছে?
উঃ। শতকরা 99 ভাগ আছে হাড়ের মধ্যে।
12. আমাদের শরীরের অস্থির ভেতরটা কেমন?
উঃ । ফাঁপা যা জলীয় তরল ও রক্তে পরিপূর্ণ।
13. খাবার নুনের মধ্যে উপস্থিত অন্য ধাতব আয়নটি কী ?
উঃ । ম্যাগনেশিয়াম।
14. Organic Sea Salt কী ?
উঃ। দূষণমুক্ত সমুদ্র উৎস থেকে বিশেষভাবে এক ধরনের নুন তৈরি করা হয় তাকে OSS বলে। এরমধ্যে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে ম্যাগনেশিয়াম উপস্থিত থাকে।
15. অন্যান্য প্রাণীর তুলনায় মানুষ এত বুদ্ধিমান কেন?
উঃ। মস্তিষ্কের গঠনের জন্য এবং খাদ্যের মাধ্যমে নুন গ্রহণ করার জন্য।
16. গয়টার বা গলগণ্ড কাকে বলে?
উঃ। থাইরয়েড গ্রন্থির বৃদ্ধি পেলে অস্বাভাবিক ভাবে গলা ফুলে যায় একে গয়টার বা গলগণ্ড বলে।
17. পলিমার কীভাবে তৈরি হয়?
উঃ। অনেক খন্ড খন্ড ছোটো ছোটো যৌগ জুড়ে তৈরি হয় বৃহৎশৃঙ্খল যৌগ বা পলিমার।
18. প্রাকৃতিক পলিমার কী দিয়ে তৈরি হয়?
উঃ। নানা ধরনের শর্করা জাতীয় পলিমার দিয়ে উদ্ভিদ দেহে সুতো বা আঁশ তৈরি হয়। আবার প্রাণীদের মাংসপেশি, লিগামেন্ট বা টেনডন তৈরি হয় প্রোটিন জাতীয় পলিমার দিয়ে।
19. Salary (মাহিনা) কথাটি এসেছে কোথা থেকে?
উঃ। Salt থেকে। প্রাচীন রোমের সেনাবাহিনীকে নুন কেনার জন্য যে অর্থ দেওয়া হতো তাকে বলা হতো Salarium এ থেকে Salary শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে।
20. কারো ঘনঘন বমি ও ডায়ারিয়া হলে কী খাওয়া উচিত ?
উঃ। কিছু সময় অন্তর অল্প করে নুন ও সামান্য চিনি মেশানো জল খাওয়া উচিত।
21. পলিমার কথার অর্থ কী? এটি কোথা থেকে এসেছে?
উঃ। পলি মানে বহু আর মেরোস কথার অর্থ খন্ড। এই শব্দদুটি গ্রিকশব্দ 'পলি' ও 'মেরোস' থেকে এসেছে।
22. শরীরে ভিটামিন-D কী কাজ করে?
উঃ। শরীরে ক্যালশিয়ামকে জমা করার জন্য ভিটামিন D প্রয়োজন।
23. WHO-এর পুরো নাম কী ?
উঃ । World Heath Organisation.
24. আমাদের শরীরের বেশিরভাগ রেচন কীভাবে ঘটে?
উঃ। ঘাম ও মুত্রের মাধ্যমে ঘটে।
25. আমাদের রেচন অঙ্গগুলির নাম লেখো।
উঃ। বৃক্ক ও স্বেদগ্রন্থি।
26. কোনো রংই কৌটো খুলে সরাসরি ব্যবহার করা যায় না কেন ?
উঃ। এখনকার ব্যবহৃত বেশিরভাগ রং এর দুটো আলাদা অংশ থাকে তাদের মেশানোর দরকার হয়। রং এর এই দুটো অংশ হল দ্রাবক অংশ ও রঞ্জক বা পিগমেন্ট অংশ।
27. P.V.C. কী?
উঃ। মজবুত, তাপ ও তড়িতের অন্তরক, জলরোধক, থার্মোপ্লাস্টিক।
28. PET কী ?
উঃ। দীর্ঘস্থায়ী ও মজবুত থার্মোসেটিং প্লাস্টিক।
29. সাবান কী ?
উঃ। সাবান হল কিছু জৈব অ্যাসিডের সোডিয়াম বা পটাশিয়াম যৌগ। যা তৈরি হয় চর্বি বা উদ্ভিজ্জ তেলের সঙ্গে কস্টিক ক্ষারের (NaOH বা KOH) বিক্রিয়া। চর্বি বা উদ্ভিজ্জ তেল + কস্টিক ক্ষারক → সাবান + গ্লিসারিন।
30. ডিটারজেন্ট কী ?
উঃ। পেট্রোলিয়াম বা অন্য উৎস থেকে প্রাপ্ত হাইড্রোকার্বন জাতীয় যৌগের সহিত ঘন সালফিউরিক অ্যাসিডের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন অ্যাসিডের জলে দ্রাব্য যৌগ হলো ডিটারজেন্ট।
31. কয়েকটি সারের নাম লেখো।
উঃ। ইউরিয়া, অ্যামোনিয়াম সালফেট, অ্যামোনিয়াম ফসফেট।
32. কয়েকটি কীটনাশকের নাম লেখো।
উঃ। মিথাইল প্যারাথিন, অলড্রিন ও কার্বরিল ইত্যাদি।
33. আমরা অ্যান্টাসিড খাই কেন?
উঃ। অ্যান্টাসিড হল অম্লনাশক। আমাদের শরীরে পাকস্থলীতে যে অ্যাসিড আছে হজমের গণ্ডগোল হলে বা অন্য কারণে তা বাড়লে তাকে কমাতে আমরা অ্যান্টাসিড খাই। এটি অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে যে জল উৎপন্ন করে তাকে অম্লত্ব বলে।
34. ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণে পেট খারাপ হলে কোন ওষুধ দেওয়া হয়?
উঃ। অ্যান্টিবায়োটিক বা জীবাণুনাশক।
35. বায়োডিগ্রেডেবল বা জৈব ভঙ্গুর কী?
উঃ। যেগুলি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় নষ্ট হয়ে যায় তারা জৈব ভঙ্গুর (বায়োডিগ্রেডেবল)।
36. জৈব অভঙ্গুর (নন-বায়োডিগ্রেডেবল) কী ?
উঃ। যেগুলি প্রকৃতির প্রক্রিয়ায় নষ্ট হয়ে যায় না তারা অভঙ্গুর জৈব পদার্থ।
37. ক্যাডমিয়াম আমাদের কী ক্ষতি করে?
উঃ। হাড়ের জোড়ে ব্যাথা ও মেরুদণ্ডের অস্থি বেঁকে যাওয়া।
38. রং তৈরিতে ব্যবহৃত লেড কী ক্ষতি করে ?
উঃ। এর প্রভাবে আমাদের খাওয়ার ইচ্ছে কমে যাওয়া, বমিভাব, মাথাধরা ইত্যাদি।
39. পারদ কী ক্ষতি করে?
উঃ। মুখ ও জিভের পেশির সাড়া কমে যাওয়া ও বৃক্কের ক্ষতি হওয়া।
40. কাচ কী?
উঃ। কাচ একটা মিশ্রণ যা মূলত চুনাপাথর, সোডাভস্ম ও বালি বা সিলিকা থেকে তৈরি করা হয়।
41. ক্যালশিয়াম আমাদের শরীরে কী কাজ করে ?
উঃ। ক্যালশিয়াম আমাদের শরীরে হাড় ও দাঁতের গঠনে সাহায্য করে ও হৃৎপেশির কাজ নিয়ন্ত্রণ করে।
42. আজ থেকে 25-30 বছর আগে কলকাতার জঞ্জাল কোথায় ফেলা হতো ?
উঃ। আজ থেকে 25-30 বছর আগে কলকাতা শহরের সব জাল ফেলা হতো ধাপার মাঠে।
43. মানুষের দেহের কোন অঙ্গ অম্ল-ক্ষারের ভারসাম্য রক্ষা করে ?
উঃ। বৃক্ক ও পাকস্থলী মানুষের দেহে অম্ল-ক্ষারের ভারসাম্য রক্ষা করে।
⬛ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান -2/3
1. প্রাণীর দেহেও যে অ্যাসিড আছে কয়েকটা উদাহরণ দিয়ে লেখো।
উঃ। একটি ছোটো লাল পিপড়ে কামড়ানোর পর দেখা যায় সেই জায়গাটায় জ্বালা করে। অনেক সময় দেখা যায় একটা বড়ো পিঁপড়ে মরে গেলে তার দেহ থেকে বেরোনো রসও লাল সিমেন্টের মেঝেতে দাগ করে দেয়। এ থেকে বোঝা যায় যে প্রাণীদেহে অ্যাসিড থাকে।
2. জলকে প্রথম প্রকৃতির জারক বলা হয় কেন?
উঃ। বিশুদ্ধ জলের মধ্যে ও আয়নের পরিমাণ এতটাই কম যে কোন নির্দেশক দিয়েই জলের আম্লিক বা ক্ষারীয় ধর্ম ধরা যায় না। তাই জলকে প্রাথমিকভাবে প্রশম প্রকৃতির দ্রাবক বলা হয়।
3. আমরা কেন নানা ধরনের সংশ্লেষিত পদার্থের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়লাম?
উঃ। প্রাকৃতিক জিনিসের থেকে এই সমস্ত নানা ধরনের মানুষের সৃষ্টি করা জিনিসগুলির কার্যকারিতা অনেক বেশি। তাই এদের ব্যবহারও বেশি এবং আমরাও এই সব পদার্থের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি।
4. নতুন ধরনের সংশ্লেষিত তত্ত্ব বা সুতো তৈরি হতে শুরু হল কেন?
উঃ। জামাকাপড় তৈরিতে বহুদিন ধরেই সুতির সুতো ব্যবহার করা হতো। কিন্তু সেগুলি কম টেকসই ও তার সৌন্দর্য বজায় রাখা ছিল কঠিন। যুগান্তকারী আবিষ্কার হিসেবে পলিয়েস্টার, রেয়ন, অ্যাক্রাইলিক এর ব্যবহার শুরু হতেই সেগুলি সুতির সুতোর সঙ্গে মিশিয়ে নতুন ধরনের সুতো তৈরি হতে শুরু করল।
5. সিমেন্টের মধ্যে কী কী পদার্থ রয়েছে ?
উঃ। সিমেন্টের মধ্যে ক্যালশিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, আয়রনের অক্সাইড ও সিলিকেট জাতীয় ধাতুর যৌগ মেশানো থাকে। সিমেন্টের উপাদানগুলোর কিছুটা খনিজ পদার্থ থেকে পাওয়া যেমন জিপসাম, চুন বা চুনাপাথর থেকে পাওয়া ক্যালশিয়াম অক্সাইড, আবার কিছু উপাদান থাকে যা কৃত্রিমভাবে তৈরি ।
6. সিমেন্ট-বালি দিয়ে ইট গাঁথা বা ঢালাই করার পর এতে জল দেওয়া হয় কেন ?
উঃ। জলের সংস্পর্শে সিমেন্টের মধ্যে থাকা ক্যালশিয়াম অক্সাইড, হাইড্রক্সাইডে পরিণত হয় এবং বিভিন্ন সিলিকেট যৌগের সঙ্গে জল যুক্ত হয়। এই সমস্ত রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলিতে তাপ উৎপন্ন হওয়ার ফলে সিমেন্ট ফেটে যায়। তাই ঢালাই এর পরদিন থেকেই তার গায়ে জল দেওয়া হয়।
7. কাচের গুরুত্ব আলোচনা করো।
উঃ। কাচ মানবজীবনে উন্নয়নের ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। রসায়ন, পদার্থবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা, প্রাণীবিদ্যা, চিকিৎসা বিজ্ঞান, জ্যোতির্বিজ্ঞান প্রভৃতি বিজ্ঞান শাখার কাজকর্ম কাচের তৈরি নানা যন্ত্রপাতি ছাড়া এগোতে পারত না। কাচ সভ্যতাকে বহু দূর এগিয়ে দিয়েছে। কাচের তৈরি অপটিক্যাল ফাইবার বর্তমানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। প্লাস্টিকে মোড়া কাচের তন্তু ফাইবার গ্লাস রূপে মূর্তি ও বিভিন্ন ঢালাই করা দ্রব্য প্রস্তুত করতে ব্যবহার করা হয়।
8. লিপিডের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করো।
উঃ। কোশের মধ্যে লিপিডের নানান রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে তাপশক্তি নির্গত হয়। চামড়ার নীচে লিপিডের মোট স্তর। থাকার শীতের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। লিপিডের স্তর হল তাপের কুপরিবাহী। চামড়ার নীচে লিপিডের পুরু স্তর থাকায় তিমি, সিল, সিন্ধুঘোটক, মেরুভালুক ও পেঙ্গুইনরা মেরু অঞ্চলে প্রবল ঠাণ্ডার মধ্যে বেঁচে থাকে।
9. প্রোটিনের কাজ কী কী ?
উঃ । প্রোটিন এমন এক ধরণের যৌগ যেটি বিভিন্ন এককোশী জীব থেকে শুরু করে বৃহৎ প্রাণীদেরও কোশ গঠনে অপরিহার্য। মানুষের দেহের চুল, নখ, চামড়া, পেশি, রক্ত প্রভৃতি প্রোটিন থাকে। বিশেষ বিশেষ প্রোটিন আমাদের রোগ জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা করে, রপ্তের লোহিত কণিকায় থাকা হিমোগ্লোবিন প্রোটিন দেহের সমস্ত জায়গায় অক্সিজেন পৌঁছে দেয়।
10. বৃষ্টির জল কীভাবে আম্লিক হয় ?
উঃ। বায়ুতে দুখকরূপে কার্বন-ডাই-অক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইডের নানা গ্যাস মিশে থাকে। বৃষ্টি হলে ওই গ্যাসগুলি বৃষ্টির জলের মধ্যে মিশে বৃষ্টির সঙ্গে ঝরে পড়ে। পরীক্ষা করলে দেখা যাবে ওই গ্যাসগুলি দ্রবীভূত হওয়ার জন্য বৃষ্টির জল আম্লিক হয়েছে কারণ জলের সঙ্গে বিক্রিয়া করে এরা দ্রবণকে আম্লিক করে দেয়।
1. কীটনাশক কীভাবে পরিবেশের ভারসাম্যকে বিঘ্নিত করে?
উঃ। আমাদের দেশে ব্যবহৃত নরম পানীয়গুলির মধ্যে উদ্বেগজনক পরিমানে কীটনাশক পাওয়া গেছে। এই দীর্ঘস্থায়ী জৈব দূষকগুলি অনাক্রম্যতা কমানো, জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা নষ্ট করে দেওয়া, বিভিন্ন অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির কার্যক্ষমতা হ্রাস, স্নায়বিক অনিয়ম প্রভৃতি নানা পরিবর্তন ঘটিয়ে চলেছে। এছাড়া ফসলের পক্ষে ক্ষতিকারক পোকামাকড় মারার জন্য যে সমস্ত কীটনাশক ব্যবহার করা হয় তা সেইসব পোকামাকড় ছাড়াও মৌমাছি, রেশম মথ প্রভৃতি বহু পরিবেশ বান্ধব জীবকে মেরে ফেলে। এর ফলেই পরিবেশের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়।
2. মানবদেহে একটি নির্দিষ্ট অ্যাসিড-স্কার ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি কেন? এটি কী কী বিষয়ের উপর নির্ভরশীল?
উঃ। মানবদেহে নির্দিষ্ট অ্যাসিড-ক্ষার ভারসাম্য বজায় না থাকলে দেহের নানা অঙ্গ যেমন-দাঁতের এনামেল, অস্থিসন্ধি ইত্যাদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও তাড়াতাড়ি শরীরে বার্ধক্য দেখা দেয়। মানবদেহের প্রত্যেকটি কোশই আরো ভালোভাবে কাজ করে যখন এটি প্রধানত ক্ষারীয় মাধ্যমে থাকে। রক্ত নানা কারণে যখন তীব্র আম্লিক হয়ে ওঠে তখন বৃক্কের মাধ্যমে যেখানে সেখানে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম বা ম্যাগনেসিয়াম খুঁজে পায় তখন সে সেখান থেকে তাকে টেনে নেয়। এই প্রক্রিয়া প্রথমে চুল, ত্বক কিংবা নখ থেকে শুরু হয়ে রক্তে এবং হাড়ে পৌঁছোয়। মানবদেহের অ্যাসিড-ক্ষার ভারসাম্য দুটি বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল (i) নিশ্বাস প্রক্রিয়ায় কতটা কার্বন ডাই অক্সাইড বেরোয় তার ওপর। (ii) দেহে ঘটে চলা নানা রাসায়নিক বিক্রিয়ার পরিবর্তনের হার।
No comments:
Post a Comment