চতুর্থ অধ্যায় "পরিবেশ গঠনে পদার্থের ভূমিকা" প্রশ্ন উত্তর পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করো
👉 ( পরিবেশ গঠনে পদার্থের ভূমিকা প্রশ্ন উত্তর )
সপ্তম শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞান বিষয়ের একটি বিশেষ গুরুত্ব পূর্ণ অধ্যায় হলো, "পরমাণু অনু,ও রাসায়নিক বিক্রিয়া" এই অধ্যায়ের কিছু বিশেষ বিশেষ প্রশ্ন উত্তর করা হয়েছে এই পোস্টটিতে ।
⬛অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান -1
1. বোরনের চিহ্ন কী ?
উঃ । Br.
2. টিনের চিহ্ন কী? এর ল্যাটিন নাম কী?
উঃ । Sn, স্ট্যানাম ।
3. সিসার ল্যাটিন নাম ও চিহ্ন কী ?
উঃ । প্রাম্বাম, Pb
4. কার্বনের নিউট্রনসংখ্যা কত?
উঃ । 61
5. বাইকার্বনেট এর সংকেত কী ?
উঃ । HCO3
6. হাইড্রক্সাইড এর যোজ্যতা কত?
উঃ1
7. অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইডের সংকেত কী ?
উঃ AICI
8. জিঙ্ক ক্লোরাইডের সংকেত কী ?
উঃ ZnCl
9. ম্যাগনেশিয়াম ক্লোরাইডের ক্লোরিনের যোজ্যতা কত?
উঃ 2
10. কার্বন টেট্রাক্লোরাইডের সংকেত কী?
উঃ CCL
11. অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রক্সাইড যৌগে APH এর যোজ্যতা কত?
উঃ 3
12. Zn(NO3), এই যৌগের নাম কী?
উঃ। জিঙ্ক নাইট্রেট।
13. Na, PO এই যৌগের নাম কী?
উঃ । সোডিয়াম ফসফেট।
14.পটাশিয়াম ফ্লুরাইডের যৌগের সংকেত কী ?
উঃ Kf.
15. সংযোজন বিক্রিয়ার উদাহরণ দাও।
উঃ Fe + S → FeS
16. প্রত্যক্ষ সংযোগের একটি উদাহরণ দাও।
উঃ C + O2 CO
17. সালফার টেট্রাফ্লুওরাইড এর সংকেত লেখো।
উঃSF
18. NaF-এর পুরো নাম কী?
উঃ। সোডিয়াম ফুওরাইড।
19. ক্লোরিনের প্রোটন সংখ্যা ও ইলেকট্রন সংখ্যা কত?
উঃ 17, 17
20. সোডিয়াম-এর ইলেকট্রন ও নিউট্রন সংখ্যা কত?
উঃ 11, 12
⬛ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান -2/3
1. চিহ্ন কাকে বলে ?
উঃ। যার দ্বারা মৌলিক পদার্থের নাম সংক্ষেপে প্রকাশ করা হয়ে থাকে তাকে চিহ্ন বলা হয়। অথবা বলা যেতে পারে মৌলের একটি পরমাণুকে সংক্ষেপে যে ইংরেজি বর্ণমালার সাহায্যে প্রকাশ করা হয়, তাকে চিহ্ন বলে।
2. সংকেত কাকে বলে?
উঃ। যার দ্বারা কোনো মৌল বা যৌগের একটি অণুকে চিহ্নের সাহায্যে সংক্ষেপে প্রকাশ করা হয়, তাকে ঐ মৌলের বা যৌগের সংকেত বলে।
3. অণু কী?
উঃ। কোনো মৌলিক বা যৌগিক পদার্থের যে ক্ষুদ্রতম কণাতে ওই পদার্থের সকল ধর্ম থাকে এবং যে কণা স্বাধীন। ভাবে থাকতে পারে তাকে ওই মৌলিক বা যৌগিক পদার্থের অণু বলা হয়।
4. পরমাণু কী?
উঃ। কোনো মৌলের যে ক্ষুদ্রতম কণাতে ওই মৌলের সব ধর্মই বর্তমান এবং যে কণা রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে তাকে ওই মৌলের পরমাণু বলে।
5. কত ধরনের কণা পরমাণুতে থাকে ও কী কী ?
উঃ। তিন রকমের কণা পরমাণুতে থাকে।
এগুলি হল—ইলেকট্রন, প্রোটন, নিউট্রন।
6. ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রনের প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।
উঃ। ইলেকট্রন—এগুলি ঋণাত্মক তড়িৎ আধান যুক্ত কণা। প্রোটন—এগুলি ধনাত্মক আধান যুক্ত কণা। নিউট্রন—এটি নিস্তড়িৎ কণা।
এই কণাগুলি বৈশিষ্ট্যগুলি হল—একটি প্রোটন ও ইলেকট্রনিক তড়িতের পরিমাণ সমান। একটি ধনাত্মক তড়িৎ ও একটি ঋণাত্মক তড়িৎ থাকলে নিস্তড়িৎ অবস্থার সৃষ্টি হয়। প্রোটন ও ইলেকট্রন পরস্পরকে আকর্ষণ করে ইলেকট্রন ও প্রোটনরা পরস্পরকে বিকর্ষণ করে।
7. পারমাণবিক সংখ্যা কাকে বলে?
উঃ। কোনো মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াসে উপস্থিত প্রোটন সংখ্যাকে তার পরমাণু ক্রমাঙ্ক বা তার পারমাণবিক সংখ্যা বলে।
৪. একটি ইলেকট্রনের ভর প্রোটন বা নিউট্রনের ভরের কত ভাগ?
উঃ। একটি ইলেকট্রনের ভর প্রোটন বা নিউটনের ভরের প্রায় 1800 ভাগের এক ভাগ।
9. পরমাণুর ভর বলতে কী বোঝ?
উঃ। প্রোটন ও নিউট্রনের মোট ভরই কোনো পরমাণুর ভর।
10. ভরসংখ্যা বলতে কী বোঝ?
উঃ। কোনো মৌলের পরমাণু নিউক্লিয়াসে উপস্থিত প্রোটন ও নিউট্রনের মোট সংখ্যাই ওই পরমাণুর ভরসংখ্যা।
11. H+ ও H বলতে কী বোঝ?
উঃ। একটি হাইড্রোজেন পরমাণুর একটি ইলেকট্রন বর্জনের ফলে সৃষ্ট মুক্ত হাইড্রোজেন আয়ন । এর মধ্যে একটি প্রোটন আছে। হাইড্রোজেন মৌলের চিহ্ন, এর দ্বারা একটি হাইড্রোজেন পরমাণু বোঝায়। এর একটি প্রোটন ও একটি ইলেকট্রন আছে।
12. F, Br, Ne, U, V এগুলি কোন কোন মৌলের চিহ্ন?
উঃ। F—ফুওরিন, Br - ব্রোমিন, Ne—নিয়ন, U—ইউরেনিয়াম, V ভ্যানাডিয়াম।
13. সোডিয়ামের প্রোটন সংখ্যা, ইলেকট্রন সংখ্যা, নিউট্রন সংখ্যা, পারমাণবিক ক্রমাঙ্ক ও ভর সংখ্যা কত?
উঃ। প্রোটন সংখ্যা−11, ইলেকট্রন সংখ্যা -11, নিউট্রন সংখ্যা – 12, পারমাণবিক ক্রমাঙ্ক—11, ভরসংখ্যা –23
14. কয়েকটি যৌগের সংকেত লেখো।
উঃ। অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড—AICI, কিউপ্রিক ক্লোরাইড—AgCl সিলভার ক্লোরাইড—PHCl, "
15.কোনগুলি বিকারক ও কোনগুলি বিক্রিয়াজাত পদার্থ ?
উঃ। নাইট্রোজেন (N.) এবং হাইড্রোজেন (H.) হল বিকারক এবং অ্যামোনিয়া হল বিক্রিয়াজাত পদার্থ।
16. যোজ্যতা কাকে বলে।
উঃ। দুটি মৌলের পরস্পর যুক্ত হবার ক্ষমতাকে ওই মৌলগুলির যোজন ক্ষমতা বা যোজ্যতা বলে।
17. ক্যাটায়ন কীভাবে উৎপন্ন হয়?
উঃ। মৌলের পরমাণু থেকে এক বা একের বেশি ইলেকট্রন বেরিয়ে গেলে প্রোটন সংখ্যা থেকে ইলেকট্রন সংখ্যা কম হয়ে যায়। তখন ধনাত্মক আধানযুক্ত আয়ন বা ক্যাটায়ন উৎপন্ন হয়।
18. অ্যানায়ন কাকে বলে।
উঃ। পরমাণু এক বা একের বেশি ইলেকট্রন নিয়ে নিলে প্রোটন সংখ্যার থেকে ইলেকট্রন সংখ্যা বেশি হয়ে যাবে। ফলে ধনাত্মক আধান যুক্ত আয়ন তৈরি হবে, একে অ্যানায়ন বলা হয়।
19. রাসায়নিক বিক্রিয়া কয় প্রকার ও কী কী ?
উঃ। রাসায়নিক বিক্রিয়া প্রধানত চার প্রকার (i) প্রত্যক্ষ সংযোগ বিক্রিয়া (ii) বিয়োজন বিক্রিয়া (iii) প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া (iv) বিনিময় বিক্রিয়া।
20. প্রত্যক্ষ সংযোগ বিক্রিয়া কাকে বলে ?
উঃ। যে রাসায়নিক দুই বা তা বেশি মৌল সরাসরি নিজেদের মধ্যে যুক্ত হয়ে নতুন যৌগ গঠন করে, তাকে প্রত্যক্ষ সংযোগ বিক্রিয়া বলে।
20. বিয়োজন বিক্রিয়া কাকে বলে?
উঃ। যে রাসায়নিক বিক্রিয়ার কোনো যৌগ বিয়োজিত হয়ে একাধিক মৌল বা যৌগ পরিণত হয় তাকে বিয়োজন বিক্রিয়া বলে।
21. প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া কাকে বলে?
উঃ। কোনো বিক্রিয়ায় একটা মৌল অন্য মৌলের যৌগ থেকে তাকে সরিয়ে সেই জায়গা নেয়, তাকে প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া বলে। যেমন : Zn + CuCl, → ZnCl2 + Cu.
22. বিনিময় বিক্রিয়া কাকে বলে?
উঃ। যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় দুটি যৌগের উপাদান বা মূলকগুলি পরস্পর স্থান বিনিময় করে দুটি নতুন যৌগ উৎপন্ন করে তাকে বিনিময় বিক্রিয়া বলে।
23. রাসায়নিক সমীকরণ কাকে বলে?
উঃ। আমরা যখন বিক্রিয়ক ও বিক্রিয়াজাত পদার্থের সংকেত ব্যবহার করে রাসায়নিক বিক্রিয়াটিকে সংক্ষেপে প্রকাশ করি তখন তাকে রাসায়নিক সমীকরণ বলে। যেমন কার্বনকে অক্সিজেনে দহন করলে কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন হয়। এই বিক্রিয়াটিকে সমীকরণের সাহায্য দেখলে হবে _ C + O2 = CO
24. পরিবর্তনশীল যোগ্যতা কাকে বলে?
উঃ। কতকগুলি মৌলের একাধিক যোগ্যতা থাকে যাকে পরিবর্তনশীল যোগ্যতা বলে। এই সকল মৌলের যোগ্যতার দুটি স্তর দেখা যায়। যে সব যৌগে মৌলের যোগ্যতা কম সেই যৌগে তাদের নামের শেষে ‘আস' এবং যে যৌগ ওই মৌলেরই যোগ্যতা অপেক্ষকৃত বেশি তাদের নামের শেষে 'ইক' যুক্ত হয়েছে, যেমন— ফেরাস ও ফেরিক যৌগে আয়রনের যোজ্যতা যথাক্রমে 2, 3, 3,1
25. বিক্রিয়ক পদার্থ কাকে বলে?
উঃ। রায়ায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী পদার্থগুলিকে বিক্রিয়ক পদার্থ বলে।
26. বিক্রিয়াজাত পদার্থ বলতে কী বোঝ ?
উঃ। রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ফলে যেসব নতুন ধর্মবিশিষ্ট পদার্থ উৎপন্ন হয়, সেই পদার্থগুলিকে বিক্রিয়াজাত পদার্থ বলে।
27.. মূলক কাদের বলা হয়?
উঃ। বিভিন্ন মৌলের পরমাণু যখন জোটবদ্ধ আয়নরূপে অবস্থান করে তখন তাদের সাধারণভাবে মূলক বলা হয়।
28.. পরমাণুর কেন্দ্রক কাকে বলে?
উঃ। প্রোটন ও নিউটনগুলো পরমাণুর কেন্দ্রে একটা ছোটো জায়গায় জোট বেঁধে থাকে। এই জায়গাটিকে পরমাণুর কেন্দ্রক বা নিউক্লিয়াস বলা হয়।
29. কক্ষপথ কাকে বলে?
উঃ। ইলেকট্রনগুলো নিউক্লিয়াসকে ঘিরে বিভিন্ন পথে ঘুরে বেড়ায়। যে পথগুলোতে ইলেকট্রনগুলো নিউক্লিয়াসে চারদিকে ঘোরে তাদের কক্ষপথ বলে।
30. আয়ন কীভাবে তৈরি হবে?
উঃ। রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ধাতু ও অধাতু জুড়ে যৌগ তৈরি হবার সময় সাধারণত ধাতুর পরিমাণগুলো ইলেকট্রন ছাড়ে আর অধাতুর পরমাণুগুলো ইলেকট্রন গ্রহণ করে। এর ফলেই আয়ন তৈরি হয়ে থাকে।
No comments:
Post a Comment