সপ্তম শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় পরিবেশ গঠনে পদার্থের ভূমিকা প্রশ্ন উত্তর | Chapter -4 Part-1 Poribesh O Bigyan Questions Answers Class 7 | Class 7th Science Questions Answers | ক্লাস সেভেন পরিবেশ ও বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় পরিবেশ গঠনে পদার্থের ভূমিকা প্রশ্ন উত্তর - Psycho Principal

Fresh Topics

Sunday, 22 December 2024

সপ্তম শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় পরিবেশ গঠনে পদার্থের ভূমিকা প্রশ্ন উত্তর | Chapter -4 Part-1 Poribesh O Bigyan Questions Answers Class 7 | Class 7th Science Questions Answers | ক্লাস সেভেন পরিবেশ ও বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় পরিবেশ গঠনে পদার্থের ভূমিকা প্রশ্ন উত্তর

  চতুর্থ অধ্যায় পরিবেশ গঠনে পদার্থের ভূমিকা 

প্রশ্ন উত্তর




চতুর্থ অধ্যায় "পরিবেশ গঠনে পদার্থের ভূমিকা" পার্ট -২ প্রশ্ন উত্তর পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করো

👉 ( পরিবেশ গঠনে পদার্থের ভূমিকা পার্ট -২ প্রশ্ন উত্তর )


সপ্তম শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞান বিষয়ের একটি বিশেষ গুরুত্ব পূর্ণ অধ্যায় হলো, "পরিবেশ গঠনে পদার্থের ভূমিকা" পার্ট -১   এই অধ্যায়ের কিছু বিশেষ বিশেষ প্রশ্ন উত্তর করা হয়েছে এই পোস্টটিতে ।


⬛অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান -1 

1. কয়টি মৌল নানা যৌগের আকারে জীবদেহে থাকে? 

উঃ। 22টি মৌল নানা যৌগের আকারে জীবদেহে থাকে। 


2. কটি মৌল দিয়ে পৃথিবীর বেশিরভাগ জিনিষ তৈরি হয়েছে?

উঃ। প্রায় 72টি মৌল দিয়ে পৃথিবীর বেশিরভাগ জিনিস তৈরি হয়েছে


 3. এমন একধরনের জৈব যৌগের নাম লেখো যা পৃথিবীপৃষ্ঠে যৌগদের মধ্যে পাওয়া যায় না। 

উঃ। গ্লুকোজ। 


4. জীবদেহ গঠনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যৌগের নাম লেখো। 

উঃ। জল।


5. মানুষের দেহে জলের পরিমাণ শতকরা কত? 

উঃ । একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দেহে এই জলের পরিমাণ দেহের ওজনের প্রায় 60 শতাংশ। 


6. জীবদেহে কীসের পরিমাণ বেশি থাকলে জলের পরিমাণ কমে যায়? 

উঃ। ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকলে।


7. শামুক, ঝিনুকদের দেহের বাইরে কী থাকে? 

উঃ। ক্যালশিয়াম কার্বনেটের শক্ত খোলক।


৪. মানবদেহের অতি প্রয়োজনীয় চারটি ধাতুর নাম লেখো। 

উঃ। সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, আয়রন। 


9. মেটে বা লিভারে কীসের যৌগ আছে? 

উঃ। মেটে বা লিভারে আয়রন ঘটিত যৌগ আছে। 


10. ক্যালশিয়াম ট্যাবলেটে কোন্ জৈব যৌগ আছে? 

উঃ। ক্যালশিয়াম কার্বোনেট (CaCO) |


11. ডাক্তাররা ছোটো মাছ খেতে বলেন কেন? 

উঃ। ছোটো মাছের হাড়ে ক্যালশিয়াম ফসফেট যোগ থাকে। 


12. চারটি গুরুত্বপূর্ণ জৈব যৌগের নাম কী কী? 

উঃ। কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, লিপিড, নিউক্লিক অ্যাসিড। 


13. জ্বালানি খাদ্য কী ? 

উঃ। শর্করা।


14. এমন দুটি প্রাণীর নাম করো যাদের চামড়ার নীচে পুরু লিপিডের স্তর দেখা যায়? 

উঃ। তিমি, গন্ডার। 


15. রাতের বেলায় শিকার করতে বেরোয় এমন একটি প্রাণীর নাম লেখো। 

উঃ। পেঁচা।


16. কোনো উদ্ভিদ বা প্রাণীর বংশধররা কেমন দেখতে হয় তা ঠিক করে কে? 

উঃ। নিউক্লিক অ্যাসিড।


17. আমাদের দেহের নানান বিক্রিয়া তাড়াতাড়ি ঘটতে কে সাহায্য করে? 

উঃ। বিভিন্ন উৎসেচক।


18. ভিনিগারের দ্রবণের স্বাদ কেমন? 

উঃ । কষা।


19. ফল ছাড়া এমন কয়েকটি জিনিসের নাম লেখো যাদের স্বাদ টক।

 উঃ। টকে যাওয়া দুধ, ভিনিগার, দই। 


20. অ্যাসিড কথাটা কোথা থেকে এসেছে? 

উঃ । ল্যাটিন শব্দ 'অ্যাসিডাস' থেকে। 


21. আপেলে কোন্ অ্যাসিড থাকে? 

উঃ। ম্যালিক অ্যাসিড।


22. টম্যাটোতে কোন্ অ্যাসিড থাকে? 

উঃ। টম্যাটোতে ম্যালিফ অ্যাসিড, অক্সালিক অ্যাসিড ও সাইট্রিক অ্যাসিড থাকে।


23. দইতে কোন্ অ্যাসিড থাকে? 

উঃ। ল্যাকটিক অ্যাসিড। 


24. জামাকাপড়ে দাগ তোলার জন্য কী ব্যবহার করা হয়? 

উঃ। লেবুর রস।


25. মিউরেটিক অ্যাসিড কোন্ কাজে ব্যবহার হয়? 

উঃ। বাথরুম পরিষ্কারে ব্যবহৃত হয়। 


26. ভিনিগার কোন্ কাজে ব্যবহৃত হয়? 

উঃ। মাছ মাংস সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয়।


27. খাবার সোডার দ্রবণের স্বাদ কেমন? 

উঃ । কষা।


28. মাছ চাষ করতে গেলে পুকুরের জলে কলিচুন মেশানো হয় কেন?

 উঃ। জলের অম্লত্ব কমানোর জন্য জলে কলিচুন মেশানো হয়।


29. ক্ষারক কাকে বলে? 

উঃ। যারা অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া তাদের ক্ষারক বলে।


30. ক্ষার কী? 

উঃ। যে সমস্ত ক্ষারক জলে দ্রবীভূত হয় তাকে ক্ষার বলে।


31. মানুষের পাকস্থলীতে কোন্ অ্যাসিড পাওয়া যায়? 

উঃ। হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড। 


32. হলুদের জল অ্যাসিডে ও ক্ষারকে কী রং হয়? 

উঃ। অ্যাসিডে-বাদামি, ক্ষারকে – গাঢ় হলুদ।


33. কালোজামের রস অ্যাসিডে ও ক্ষারকে কী রং হয়? 

উঃ। অ্যাসিডে – নীল, ক্ষারকে — বেগুনি। 


34. কয়েকটি নির্দেশকের নাম লেখো। 

উঃ। লিটমাস, ফেনলথালিন বা মিথাইল অরেঞ্জ।


35. জলে অ্যাসিড না ক্ষারীয় কোন্ ধর্ম দেখা যায় ?

উঃ। জল প্রশম প্রকৃতির পদার্থ ফলে অ্যাসিড বা ক্ষারীয় কোনো ধর্মই দেখা যায় না। 


36. pH স্কেলের কাজ কী? 

উঃ। কোন দ্রবণ কতটা আম্লিক বা কতটা ক্ষারীয় তা মাপা হয় pH স্কেলের সাহায্যে।


37. প্রশম দ্রবণে pH কত? 

উঃ । 25°C উয়তায় যেমন জলের pH, 


38. কোনো দ্রবণ আম্লিক বা ক্ষারীয় তা কীভাবে বোঝা যাবে ?

উঃ। যে দ্রবণের pH,-এর থেকে কম সেটি আম্লিক প্রকৃতির। যে দ্রবণে pH,-এর থেকে বেশি (14 পর্যন্ত) তা ক্ষারীয় প্রকৃতির। 


39. পিত্তরসের pH এর মান কত? 

উঃ। 8.0 8.601


40. মূত্রের pH কত ? 

উঃ । 4.0-8.0 ।


41. লালারসের pH কত? 

উঃ । 6.02-7.051


42. মানুষের প্রতিদিনের খাবারের কত শতাংশ আম্লিক ও কত শতাংশ ক্ষারীয় ?

উঃ। আম্লিক – 20 শতাংশ, ক্ষারীয় – 80 শতাংশ। 


⬛ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান -2/3

1. অম্লরাজ বা অ্যাকোয়ারিজিয়া কাকে বলে ? এর ব্যবহার লেখো ?

উঃ। তিন আয়তন গাঢ় হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (HCl) এবং এক আয়তন গাঢ় নাইট্রিক অ্যাসিডের (HNO, ) মিশ্রণকে অম্লরাজ বা অ্যাকোয়ারিজিয়া বলে। সোনা (Au), প্লাটিনাম (Pt) এবং ইরিডিয়াম (Ir) প্রভৃতি ধাতু দ্রবীভূত করতে এটি ব্যবহৃত হয়।


2. আমড়া বা তেঁতুল গাছের তলায় বীজ থেকে অন্য গাছের চারা জন্মাতে চায় না কেন?

উঃ। এই গাছগুলির পাতায় অ্যাসিড থাকে। পাতা চিবোলেও টক স্বাদ পাওয়া যায়। ফলে মাটিতে পড়া পাতা থেকে গাছের নীচের মাটির অম্লত্ব বেড়ে যায়। তখন মাটির অম্লত্ব কমানোর জন্য মাটিতে চুন মেশানো হয়। সেইজন্য চারা জন্মায় না। আবার পুকুরে মাছ চাষ করার সময় জলের অম্লত্ব কমানোর জন্য জলের মধ্যে চুন মেশানো হয়। 


3. থাইরয়েড কী? এর সমস্যা কাকে বলে ?

উঃ। আমাদের গলায় স্বরযন্ত্রের ওপরের দুপাশে ছোটো একটা গ্রন্থি আছে। একে থাইরয়েড গ্রন্থি বলে। এই গ্রন্থির কার্যকারিতা আয়োডিনের ওপর নির্ভরশীল। আমাদের শরীরে আয়োডিন কম হলে থাইরয়েড গ্রন্থি বেশি কাজ করে কার্যকারিতা বজায় রাখতে গিয়ে বড়ো হয়ে যায়। তখন অস্বাভাবিক ভাবে গলা ফুলে যায়। একে গয়টার বা গলগন্ড বলে। থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতা কমে গিয়ে মহিলাদের বন্ধ্যাত্ব পর্যন্ত হতে পারে। 


4. আয়োডিন আমাদের শরীরে কী কী ভাবে কাজ করে?

উঃ। মস্তিষ্কের বিকাশে আয়োডিন সাহায্য করে, তাই শিশুদের পক্ষে এটি অপরিহার্য। এছাড়াও আয়োডিনের অভাবে শারীরিক ও মানসিক অবসাদ দেখা দিতে পারে।


5. মানুষ সুস্থ থাকার জন্য কি শুধু প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল? এ বিষয়ে আলোচনা করো।

উঃ। না। মানুষ শুধুমাত্র সুস্থ থাকার জন্য প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল থাকতে পারেনি। এর কারণগুলি হল মানুষের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া, তার জীবনযাত্রার পরিবর্তন ও পুরোনো ওষুধের বিরুদ্ধে রোগসৃষ্টিকারী জীবাণুর প্রতিরোধ গড়ে ওঠা। এর ফলে আরও নতুন নতুন ওষুধ তৈরির প্রয়োজন হচ্ছে। বিজ্ঞানের নানা গবেষণার ফলাফলকে শুধু মানুষ ব্যবহার করতে পারে।


6. পলিমার চারপাশের পরিবেশ কীভাবে নষ্ট করছে? 

উঃ। পরিবেশের চারদিকে পলিমারের তৈরি জিনিসপত্র ছড়িয়ে রয়েছে। পলিমারের জিনিসের কোনো ক্ষয় নেই এর ফলে তারা যেমন জলের গতিপ্রবাহ ও কৃষিকাজের উর্বরতা নষ্ট করছে তেমনি তাদের মধ্যে উপস্থিত অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ বিভিন্ন উৎসের জলের বর্ণ বা গন্ধের পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। নদী বা জলাশয়ে মাছ ও অন্যান্য জলচর প্রাণীর ক্ষতি হচ্ছে।


7. আমাদের চারপাশে শকুনের বিলুপ্তি ঘটার কারণ কী?

উঃ। চাষের কাজে অনিয়ন্ত্রিত কীটনাশক ও গবাদি পশুর রোগনিরাময়ে অতিরিক্ত মাত্রায় ডাইক্লোফেনাক নামক বেদনানাশকের ব্যবহারের ফলে এই পশুরা পরবর্তীকালে যখন মারা যাচ্ছে তার পরবর্তী পর্যায়ের খাদক শকুনের মধ্যে গিয়ে এদের বিলুপ্তি ঘটাচ্ছে। 


৪. পানের দোকানে চুনজল কীভাবে তৈরি হয়? তা কী সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহার করা হয়?

উঃ। দেখতে পাবে বেশ খানিকটা জলের মধ্যে পাথুরে চুন দিলেই কেমনভাবে জলটা টগবগ করে ফুটতে থাকে। একই সঙ্গে কেমন শোঁ-শোঁ করে আওয়াজ হয়। এই চুনজল কিন্তু দোকানের কাকু সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবহার করেন না। বেশ কয়েকদিন রাখার পর তবেই তিনি তা ব্যবহার করতে পারেন।


9. বাড়ির পোষা কুকুর বিড়ালকে কখনও ঘাস খেতে দেখেছ? তারা ঘাস খায় কেন? 

উঃ। হ্যাঁ দেখেছি, কুকুর, বিড়াল প্রভৃতি প্রাণীরা প্রাকৃতিক বা ভেষজ উপায়ে নিজেদের সুস্থ রাখে। এদের শরীর খারাপ করলে এরা ঘাস বা গাছের পাতা খেয়ে বমি করে। ফলে এদের শরীর সুস্থ হয়ে যায়। তাই এরা ঘাস খায়।


10. যে সমস্ত ওষুধের মোড়ক আমরা ছুঁড়ে ফেলে দিই সেগুলির কী হয়?

উঃ। যেসব ওষুধের মোড়ক অথবা ছুঁড়ে ফেলে দিই সেগুলি জৈব অভঙ্গুর পলিমার। এগুলি নষ্ট হয় না ফলে এগুলি মাটিতে পড়ে থেকে মাটির পরিবেশ দূষিত করে।


11. বিভিন্ন রং ও রত্ত্বক কীভাবে মানুষের ক্ষতি করতে পারে? 

উঃ। নানা রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে রং ও রঞ্জক পদার্থ তৈরি করা হয়। এই পদার্থগুলি বিষাক্ত এবং মানবজীবনে ও পরিবেশের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। এর ফলে স্নায়বিক সমস্যা, বিভিন্ন অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির কার্যক্ষমতা হ্রাস, অনাক্রমতা হ্রাস প্রভৃতি হয়।


⬛ রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর:তিটা প্রশ্নের মান -5/7

1. বিভিন্ন ধাতু যেমন লোহা, ক্যালশিয়াম এবং সোডিয়াম ও পটাশিয়াম ধাতুর আয়ন কী কাজে লাগে? 

উঃ । আয়রন (লোহা) ঃ মানুষ সহ বিভিন্ন প্রাণীর রক্ত তৈরি করতে আয়রন খুব দরকার। রক্তের লোহিত কণিকার হিমোগ্লোবিন ফেরাস আয়ন (Fer) ছাড়া কাজই করতে পারে না।

ক্যালশিয়াম : আমাদের দেহে হাড়ের কঙ্কাল আছে বলেই আমরা হাঁটা-চলা, দৌড়ানো, ঝুঁকে-পড়া এসবই করতে পারি। হাড়ের প্রধান উপাদান হল ক্যালশিয়ামের ফসফেট যৌগ। এছাড়াও, কোশের অনেক কাজ ক্যালশিয়াম আয়ন (Ca2+) ছাড়া অসম্ভব।

সোডিয়াম আর পটাশিয়াম : তোমায় পিঁপড়ে কামড়ালে বা সুড়সুড়ি দিলে সেই অনুভূতি তৎক্ষণাৎ সরু সুতোর মতো স্নায়ুর মধ্যে দিয়ে সুষুম্না কাণ্ডে পৌঁছে যায়। এই যে স্নায়ুর মধ্যে দিয়ে সংকেত যাওয়া-আসা এসব ঠিকঠাকভাবে তখন হবে যখন শরীরে ঠিক ঠিক মাত্রায় সোডিয়াম আয়ন (Nat) আর পটাশিয়াম আয়ন (K) থাকবে। তা না থাকলে সে কাজ হবে না। তখন মানুষ হাঁটতে গিয়ে টলে পড়ে যেতে পারে, অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারে।


2. খাবার সোডা জলে মিশিয়ে তা দিয়ে লিখলে কী দেখা যাবে ?

উঃ। তোমার প্রিয় বন্ধুকে একটা গোপন নির্দেশ পাঠাতে চাও, তাহলে খাবার সোডা কিছুটা জলের মধ্যে মেশাও। আগের মতো একটা তুলি তৈরি করে একটা সাদা কাগজে লিখে ফেলো মনের কথাটা। রোদে শুকিয়ে নিলে দেখতে পাবে—সাদা কাগজ সাদাই থাকবে কোনো লেখা তাতে দেখা যাবে না। যে পড়বে তাকে অবশ্য একটা কথা আগে থেকেই শিখিয়ে রাখো যে একটা বীটের টুকরো কেটে কাগজের ওপর ঘষে নিয়ে তবে পড়তে হবে।


3. অ্যাসিড বা ক্ষারক কতটা ক্ষতিকর – আলোচনা করো।

উঃ। দেহের কোথাও অ্যাসিড বা ক্ষারকীয় পদার্থ লাগলে, বিশেষ করে চোখে বা নাকে গেলে, সেই জায়গাটা অনেকটা পরিষ্কার জল দিয়ে বারবার ধুয়ে ফেলা দরকার। রগড়ে ধোবে না বা সাবান দেবে না। তারপর পরিষ্কার কাপড় বা তুলো দিয়ে আলগা করে ঢেকে তৎক্ষণাৎ ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবে। কেউ অ্যাসিড বা ক্ষারক খেয়ে ফেললে কোনোরকম দেরি না করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। দেয়াল চুনকামের সময় কাছে যাবে না। সকলকে সতর্ক করবে যে ক্ষার চোখে পড়লে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।


4. জল জীবদেহ গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ যৌগ’—আলোচনা করো।

উঃ । জীবদেহে গঠনের গুরুত্বপূর্ণ যৌগ হল জল। মানুষের দেহে এই জলের পরিমাণ প্রায় 60 শতাংশ। জল একটি ভাল দ্রাবক। নানান জৈব ও অজৈব পদার্থ জলে দ্রবীভূত হয়। প্রাণরক্ষা করার জন্য অক্সিজেনের পরই গুরুত্বপূর্ণ হল জল। কয়েকদিন জলপান না করলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। কার্বোহাইড্রেট, লিপিড ও প্রোটিন হজম হওয়ার পর তাদের সারাংশ জলের মাধ্যমেই সারা দেহে ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের দেহে উৎপন্ন দূষিত পদার্থগুলি জলের মাধ্যমেই শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। জলে দ্রবীভূত ক্যালশিয়াম আয়ন ও কার্বন ডাই অক্সাইডকে কাজে লাগিয়ে শামুক ও ঝিনুক তাদের দেহের বাইরের শক্ত খোলাটি তৈরি করে। জলের মধ্যে গুলে যাওয়া অক্সিজেন ব্যবহার করে জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীরা বেঁচে থাকে। সূর্যের আলো জলের মধ্যে চলাচল করতে পারায় জলজ উদ্ভিদরা খাদ্য তৈরি করতে পারে।



No comments:

Post a Comment