সপ্তম শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞান বিষয়ের একটি বিশেষ গুরুত্ব পূর্ণ অধ্যায় হলো, "পরিবেশের সজীব উপাদানের গঠনগত বৈচিত্র্য ও কার্যগত প্রক্রিয়া " পার্ট -1 এই অধ্যায়ের কিছু বিশেষ গুরুত্ব পূর্ণ প্রশ্ন উত্তর করা হয়েছে এই পোস্টটিতে ।
⬛ অতি-সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর; প্রতিটা প্রশ্নের মান -1
1. ফল কীভাবে উৎপন্ন হয়?
উঃ। ডিম্বাশয় রূপান্তরিত হয়ে ফল হয়।
2. ফলের ত্বক কীভাবে গঠিত হয়?
উঃ। ডিম্বাশয়ের আবরণীটি ফলের ত্বক গঠন করে।
3. ফলত্বক (Pericarp) কয় প্রকার ও কী কী ?
উঃ । ফলত্বক তিন প্রকার। যেমন—বহিঃত্বক, মধ্যত্বক, অন্তঃত্বক।
4. ফলকে সাধারণভাবে কয় ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী?
উঃ। ফলকে সাধারণত তিন ভাগে ভাগ করা যায়। সরল, যৌগিক ও গুচ্ছিত ফল।
5. ফুলের কোন্ অংশটি থেকে ফল তৈরি হয়?
উঃ। ফুলের ডিম্বাশয় অংশটি ফলে পরিণত হয়।
6. মূলের নীচের দিকে অবস্থিত টুপিকে কী বলে ?
উঃ মূলত বলে।
7. মূলরোম অঞ্চল কোনটি?
উঃ মূলের বর্ধনশীল অঞ্চলের ওপরে রোঁয়াযুক্ত অঞ্চল বলে একে মূলরোম অঞ্চলবলে।
8. স্থানিক মূল কাকে বলে?
উঃ। প্রধান মূলের থেকে অন্যান্য শাখামূল বেরোয়। এই মূলকে স্থানিক মূল বলে।
9. কোন্ উদ্ভিদে পত্রাশয়ী মূল দেখা যায়?
উঃ। পাথরকুচি গাছে পত্রাশ্রয়ী মূল দেখা যায়।
10. কোন্ কোন্ উদ্ভিদে গুচ্ছমূল দেখা যায়?
উঃ। ধান, গম, ভুট্টা, পেঁয়াজ প্রভৃতি উদ্ভিদে গুচ্ছমূল দেখা যায়।
11. কাণ্ডের প্রকৃতি অনুযায়ী উদ্ভিদকে কয়ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী ?
উঃ। কাণ্ডের প্রকৃতি অনুযায়ী উদ্ভিদ কে তিন শ্রেণীতে ভাগ করা যায় (i) বিরুৎ (ii) গুল্ম (iii) বৃক্ষ।
12. নোড কাকে বলে?
উঃ। গাছের কাণ্ডের যে অংশ থেকে তার শাখাগুলি বেরোয় তাকে পর্ব বা নোড বলে।
13. পর্বমধ্য কাকে বলে?
উঃ। দুটি পর্বের মাঝখানে শাখাপ্রশাখা হীন অংশকে পর্বমধ্য বলা হয়।
14. কক্ষ কাকে বলে?
উঃ। পাতা ও কাণ্ডের মাঝে যে কোণিক অবস্থান তৈরি হয় তাকে কক্ষ বা অ্যাপিল বলে।
15. বিটপ কাকে বলে?
উঃ। মাটির ওপরে কাণ্ড শাখাপ্রশাখা, পাতা, ফুল, ফল নিয়ে গাছের যে অংশ তাকে বিটপ বলে।
16. কয়েকটি বৃক্ষ জাতীয় গাছের নাম লেখো।
উঃ। আম, কাঁঠাল, বট, অশ্বত্থ।
17. কয়েকটি গুল্ম জাতীয় গাছের নাম লেখো।
উঃ। জবা, গন্ধরাজ, আকন্দ।
18. কয়েকটি বীরুৎ জাতীয় গাছের নাম লেখো।
উঃ। ধান, গম।
19. আকর্ষ আছে এমন কয়েকটি গাছের নাম লেখো।
উঃ। মটর, লাউ, অপরাজিতা।
20. একটি আদর্শ পাতা কয়টি অংশ নিয়ে গঠিত?
উঃ। একটি আদর্শ পাতা সাধারণত তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। (i) পত্রমূল (ii) পত্রবৃত্ত (iii) ফলক।
21. পত্রমূল কাকে বলে ?
উঃ পাতার যে অংশটি কাণ্ড বা শাখা প্রশাখার পর্বের সঙ্গে যুক্ত থাকে তাকে পত্রমূল বলে।
22. পত্রবৃন্ত কাকে বলে?
উঃ। পাতার গোড়ায় যে সরু ডাঁটির মতো অংশ থাকে পত্রবৃত্ত বা পাতার বোঁটা বলে।
23. ফলক কাকে বলে?
উঃ। পাতার যে পাতলা চ্যাপটা ও প্রসারিত অংশটি থাকে তাকে ফলক বলে।
24. ফুল কাকে বলে?
উঃ। উদ্ভিদের বংশ বিস্তারে সাহায্যকারী পরিবর্তিত কাণ্ডকে ফুল বলে।
25. পুষ্প ও সপুষ্পক উদ্ভিদের মধ্যে সম্পর্ক কী?
উঃ। পুষ্প সপুষ্পক উদ্ভিদের একটি প্রধান অংশ।
26. কীসের মধ্যে ফলের জন্ম হয়?
উঃ। ফুলের মধ্যে ফলের জন্ম হয়।
27. ফুলের জন্ম কীভাবে হয়?
উঃ। সপুষ্পক উদ্ভিদের বিটপটি রূপান্তরিত হয়ে ফুলে পরিণত হয়।
28. ফুলের কটি অংশ কী কী?
উঃ। ফুলের বিভিন্ন অংশ গুলি হল— বৃতি, দলমণ্ডল, পুংকেশর চক্র ও গর্ভকেশর চক্র।
29. ফুল কয় প্রকার ও কী কী ?
উঃ। ফুল দুই প্রকার—সম্পূর্ণ ফুল ও অসম্পূর্ণ ফুল।
⬛ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর:প্রতিটা প্রশ্নের মান -2/3
1. পুষ্পাক্ষ কাকে বলে ?
উঃ। ফুলের স্তবকগুলি যে চ্যাপ্টা ও প্রসারিত চাকতির উপর পর পর সাজানো থাকে তাকে পুষ্পাক্ষ বা থ্যালামাস (Thalamus) বলে।
2. পুষ্পদণ্ড কাকে বলে?
উঃ। পুষ্পগুলি সাধারণভাবে যে একটি লম্বা বা ছোটো দণ্ডের উপর সাজানো থাকে, সেই দণ্ডটিকে পুষ্পদণ্ড বা র্যাচিস (Rachis) বলে।
3. অবৃন্তক ও সবৃন্তক ফুল কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উঃ। যে সব ফুলে বোঁটা নেই তাদের অবৃত্তক ও যাদের বোঁটা আছে তাদের সবৃত্তক ফুল বলে। সবৃন্তক ফুল হল জবা ও অবৃন্তক ফুল হল রজনীগন্ধা।
4. স্তবক কাকে বলে ?
উঃ। একটি ফুল বাইরে থেকে ভেতরের দিকে কতকগুলো অংশ নিয়ে তৈরি। ওই অংশগুলোকে এক একটি স্তবক বলে।
5. বৃতি কাকে বলে ?
উঃ। একটি আদর্শ ফুলের বোঁটার ঠিক ওপরে সবুজ রঙের একটি উলটানো ঘন্টার মতো অংশ আছে। এটি আসলে পাঁচটি ছোটো ছোটো পাতার মতো অংশ জুড়ে তৈরি, এই অংশটিকে ফুলের বৃতি বলে।
6. বৃত্যাংশ কাকে বলে?
উঃ। ফুলের বৃত্তির প্রত্যেকটি অংশকে বৃত্যাংশ বলা হয়। বৃত্যাংশগুলি আলাদা থাকতে পারে আবার জুড়েও যেতে পারে।
7. দলমণ্ডল কাকে বলে?
উঃ। বৃত্তির ভিতরে থাকে ফুলের পাপড়ি। সমস্ত পাপড়ি বা দলগুলো জুড়ে তৈরি হয় দলমণ্ডল। ফুলের পাপড়ি বিভিন্ন বর্ণের হয়। এদের সংখ্যা, গন্ধ, রং নানা ফুলে নানারকম।
8. পুংকেশর কাকে বলে ?
উঃ। ফুলের মধ্যে থাকা একটা সরু সুতোর মতো অংশের মাথায় থাকে একটি থলি একে বলে পরাগধানী। সরু সুতোর মতো অংশ ও তার মাথায় থাকা পরাগধানীকে একসঙ্গে বলে পুংকেশর।
9. গর্ভকেশর কাকে বলে?
উঃ। ফুলের গর্ভাশয়, গর্ভদন্ড ও গর্ভমুন্ড কে একসঙ্গে বলে গর্ভকেশর। সব ফুলের গর্ভকেশর আকারে ও সংখ্যায় এক হয় না।
10. ফুল থেকে কীভাবে ফল ও বীজ তৈরি হয় ?
উঃ। ফুলের পরাগধানীর মধ্যে যে পরাগ থাকে তা গর্ভমুন্ডে পড়ে। তারপর ডিম্বকের সঙ্গে মিলিত হলে ডিম্বাশয় ফলে ও ডিম্বক বীজে পরিণত হয়।
11. ডিম্বক কাকে বলে?
উঃ। গর্ভাশয়কে লম্বালম্বি বা আড়াআড়ি চিরে ফেললে দেখা যাবে তার ভিতরে এক বা একাধিক প্রকোষ্ঠে একেকটি দানার মতো স্ফীত অংশ রয়েছে, একে ডিম্বক বলে।
12. পরাগরেণু কাকে বলে?
উঃ। পরাগধানীর মধ্যে অবস্থিত হলুদ রঙের অসংখ্য গুড়ের গুঁড়ো পদার্থকে পরাগরেণু বলে।
13. সম্পূর্ণ ফুল কাকে বলে?
উঃ। যে সব ফুলে বৃতি, দলমণ্ডল, পুংকেশর ও গর্ভকেশর এই চারটি স্তবকই উপস্থিত থাকে তাকে সম্পূর্ণ ফুল বলে। যেমন—জবা, ধুতুরা।
14. অসম্পূর্ণ ফুল কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উঃ। যে সব ফুলে চারটি স্তবকের এক বা একাধিক স্তবক অনুপস্থিত থাকে তাকে অসম্পূর্ণ ফুল বলে। যেমন কুমড়ো, লাউ।
15. সমাঙ্গ ফুল কাকে বলে? দুটি সমাঙ্গ ফুলের নাম করো।
উঃ। যে সব ফুলের প্রতিটি স্তবকের প্রতিটি অংশের গঠন ও আকৃতি এক রকমের হয়। তাদের সমাঙ্গ ফুল বলে। যেমন-জবা ও ধুতুরা।
16. অসমাঙ্গ ফুল কাকে বলে? দুটি অসমাঙ্গ ফুলের নাম করো।
উঃ। যে সব ফুলের এক বা একাধিক স্তবকের অংশগুলির গঠন ও আকৃতি একই রকমের হয় না, তাদের অসমাঙ্গ ফুল বলে। যেমন— মটর ও অপরাজিতা।
17. আদর্শ ফুল কাকে বলে?
উঃ। বৃত্তযুক্ত যে ফুল পুষ্পাক্ষের উপর বৃতি, দলমণ্ডল, পুংকেশর ও গর্ভকেশর নিয়ে সজ্জিত থাকে তাকে আদর্শ ফুল বলে। যেমন—জবা।
18. পুষ্পপুট কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উঃ। যে সমস্ত ফুলের বৃতি ও দলমণ্ডলকে আলাদা করা যায় না অর্থাৎ বর্ণের দিক থেকে দুটি স্তবকই একই বর্ণের হয় তাকে পুষ্পপুট বা পেরিয়ান্থ (Perianth) বলে। যেমন—রজনীগন্ধা। পুষ্পপুটের এক একটি অংশকে টেপাল বলে।
19. একলিঙ্গ ও উভলিঙ্গ ফুল কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উঃ। যে ফুলে পুংস্তবক বা স্ত্রীস্তবকের যে কোনো একটি স্তবক উপস্থিত থাকে সেই ফুলকে একলিঙ্গ ফুল বলে। যেমন—লাউ, কুমড়ো ফুল। যেসব ফুলে পুংস্তবক ও স্ত্রীস্তবক উভয়ই থাকে তাদের উভলিঙ্গ ফুল বলে। যেমন- জবা ফুল।
20. ক্লীব বা বন্ধ্যা ফুল কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উঃ। অনেক সময় একই উদ্ভিদে স্ত্রী ও পুং পুষ্পের লিঙ্গ ছাড়াই অন্য পুষ্প দেখা যায়, এই লিঙ্গ ছাড়া ফুলকে ক্লীব বা বন্ধ্যা ফুল বলা হয়। যেমন-ডুমুর, বট, কচু ইত্যাদি।
21. এক প্রতিসম ফুল কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উঃ। যে সব ফুলকে কেন্দ্রীয় অক্ষ বরাবর একটি মাত্র তলে ছেদ করলে ফুলটি সমান দু'ভাগে ভাগ হয়ে যায়। তাকে এক প্রতিসম ফুল বলে। যেমন—ডুমুর, বট, কচু ইত্যাদি।
22. বহু প্রতিসম ও অপ্রতিসম ফুল কাকে বলে? উদাহরণ দাও ।
উঃ। যে সব ফুলকে কেন্দ্রীয় অক্ষ বরাবর যে কোনো তলে ছেদ করলে ফুলটি সমান দুভাগে বিভক্ত হয় তাকে বহু প্রতিসম ফুল বলে। যেমন- সরিষা, জবা ইত্যাদি। যে সব ফুলকে কেন্দ্রীয় অক্ষ বরাবর যে কোনো তলে ছেদ করলে সমান দুভাগে ভাগ করা যায় না তাকে অপ্রতিসম ফুল বলে। যেমন- অর্কিড, কলাবতী ইত্যাদি।
23. বকফুলকে 'প্রজাপতি ফুল' বলা হয় কেন ?
উঃ। কুঁড়ি অবস্থায় বকফুল কাস্তের মতো বাঁকানো থাকে। কিন্তু ফুল ফুটলে পাপড়িগুলি প্রজাপতির মতো দেখতে হওয়ায় বকফুলকে ‘প্রজাপতি ফুল' বলা হয়।
24. বীজের মধ্যে অবস্থিত ভ্রূণাক্ষের নীচের অংশ ভূণমূল বৃদ্ধি পেয়ে কী গঠন করে?
উঃ। প্রাথমিক মূল তৈরি করে প্রাথমিক মূল গঠন করে এবং মাটির মধ্যে প্রবেশ করে।
25. একটি আদর্শ প্রধান মূলের কটি অংশ থাকে?
উঃ। একটি আদর্শ প্রধান মূল চারটি অংশ নিয়ে গঠিত (i) মূলত অঞ্চল (ii) বর্ধনশীল অঞ্চল (iii) মূলরোম অঞ্চল ও (iv) স্থায়ী অঞ্চল।
26. ফল কাকে বলে ?
উঃ। নিষেকের পর বীজযুক্ত পরিপক্ক বা পরিণত ডিম্বাশয়কে ফল বলে। (নিয়েক না হলেও ডিম্বাশয় ফলে পরিণত হতে পারে। যেমন—কলা, আঙুর ইত্যাদি।)
27. প্রকৃত ফল কাকে বলে?
উঃ। যে সকল ফল কেবলমাত্র ফুলের ডিম্বাশয়ের পরিবর্তনের ফলে সৃষ্টি হয়, তাদের প্রকৃত ফল বলে। যেমন- আম, জাম, লিচু ইত্যাদি।
28. অপ্রকৃত ফল কাকে বলে?
উঃ। যে ফল ডিম্বাশয়ের সঙ্গে ফুলের অন্যান্য অংশের সমন্বয়ে সৃষ্টি হয় তাকে অপ্রকৃত ফল বলে। যেমন— চালতা, আপেল ইত্যাদি। চালতাতে বৃত্তিও ডিম্বাশয়ের সঙ্গে রুপান্তরিত হয়। আপেলে পুষ্পাক্ষ ডিম্বাশয়ের সঙ্গে রূপান্তরিত হয়ে ফলে পরিণত হয়।
29. সরল ফল কাকে বলে?
উঃ। যেসব ফল এক বা একাধিক যুক্তগর্ভপত্র থেকে উৎপত্তি লাভ করে, তাদের সরল ফল বলে। যেমন- আম, জাম, গম, খেজুর প্রভৃতি।
30. আমকে সরল ফল বলা হয় কেন?
উঃ। আম একটি বোঁটাযুক্ত রসালো ফল। একটি ফুল থেকে একটি মাত্র ফল গঠিত হয় বলে আম একটি সরল ফল।
31. আমের গঠনে কটি অংশ দেখা যায়?
উঃ। আমের গঠনে দুটি অাংশ দেখা যায় (i) পেরিকার্প বা ফলত্বক (ii) বীজ।
32. ফলের অন্তঃত্বক কোনটি ?
উঃ । ফলের অন্তঃত্বক হল কঠিন। একে আমরা আঁটি বলি। এটি বীজকে ঢেকে রাখে।
33. সরল ফলকে কয় ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী ?
উঃ। সরল ফলকে দু'ভাগে ভাগ করা যায়। (i) সরস বা রসালো ফল। যেমন—আম, জাম, লেবু, তাল প্রভৃতি। (ii) নীরস ফল। যেমন— ধান, গম, নারকেল, সুপারি, বাদাম প্রভৃতি।
34. নীরস ফলকে কয় ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী?
উঃ। নীরস ফলকে বিদারী ও অবিদারী—এই দুই ভাগে ভাগ করা যায়। ফল পাকলে যে সমস্ত ফল বিদীর্ণ অর্থাৎ ফেটে গিয়ে বীজ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে তাকে নীরস বিদারী ফল বলে। যেমন—সিম, কড়াইশুঁটি। আর যে সমস্ত ফলের বিদারণ ঘটে না তাকে অবিদারী ফল বলে। যেমন— ধান, গম ইত্যাদি।
35. নীরস ফল কাকে বলে?
উঃ। যে ফলের ফলত্বক পরিণত অবস্থায় শুষ্ক হয়, তাকে নীরস ফল বলে। যেমন-সুপারি।
36. যৌগিক ফল কাকে বলে?
উঃ। একটি পুষ্পবিন্যাসের মধ্যেকার সমস্ত গর্ভাশয়গুলি যখন ফলে রূপান্তরিত হয় তাকে যৌগিক ফল বলে। অর্থাৎ সম্পূর্ণ পুষ্পমারি ফলে পরিণত হলে, সেই ফলকে যৌগিক ফল বলে। যেমন—কাঁঠাল, আনারস প্রভৃতি।
37. রূপান্তরিত কাণ্ড কাকে বলে?
উঃ। নিজেদের সুবিধার জন্য কিছু কিছু গাছ তাদের কাণ্ডগুলোকে পাল্টে ফেলে, এই পালটে যাওয়া কাণ্ডগুলোকে রূপান্তরিত কাণ্ড বলা হয়। যেমন-আলু গাছের কাণ্ড।
38.. রূপান্তরিত কান্ডের মাধ্যমে গাছ কী করে ?
উঃ। রূপান্তরিত কাণ্ডের মাধ্যমে গাছ তার ভবিষ্যতের খাদ্য সঞ্চয় করে রাখে, আত্মরক্ষা করে।
39. লাইকেন কী? এর রঙ কখন বদলে যায়?
উঃ । গাছের গায়ে এক ধরনের সবুজ ছোপ দেখা যায়, একে লাইকেন বলা হয়। বাতাস দূষণমুক্ত থাকলে লাইকেন সবুজ থাকে আর বাতাস দূষিত হলে এর রং বদলে খয়েরি হয়ে যায়।
40. অস্থানিক মূল ককে বলে?
উঃ। যে সমস্ত গাছের কোনো প্রধান মূল নেই, তাদের কান্ডের গোড়া থেকে অনেকগুলো মূল একসঙ্গে গোছা করে বের হয়। কখনো কখনো পাতা বা কাণ্ড থেকেও মূল বের হয়। এদের অস্থানিক মূল বলে। যেমন – ধান, পাথরকুচি।
41. মূলের স্থায়ী অঞ্চল কোনটি ?
উঃ। মূলের রোঁয়া অংশটির ওপরে যে শক্ত অংশের জায়গাটা সেটা হল মূলের স্থায়ী অঞ্চল। এই অঞ্চলের কাজ হল গাছকে মাটির সঙ্গে শক্ত করে আটকে রাখা।
42. মূলের বর্ধনশীল অঞ্চল কোনটি?
উঃ । মূলের টুপির ঠিক ওপরের জায়গা থেকে মূল লম্বায় বাড়তে থাকে এবং মাটির মধ্যে ঢুকে যায়। এই জায়গাটিকে বলা হয় মূলের বেড়ে ওঠার জায়গা বা বর্ধনশীল অঞ্চল।
43. পাতার রং সবুজ কেন?
উঃ। পাতায় সবুজ রঙের এক প্রকার রঞ্জক থাকে একে ক্লোরোফিল বলে। ক্লোরোফিলের জন্যই পাতার রং সবুজ হয়।
44. পাতার শিরাবিন্যাস কাকে বলে?
উঃ। যে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে পাতার ফলকের ওপরে শিরা-উপশিরাগুলি বিন্যস্ত থাকে তাকে শিরাবিন্যাস বলে।
45. জালিকাকার শিরাবিন্যাস কাকে বলে?
উঃ। যে পাতার ফলকে মাঝখানের একটি শিরা থেকে অনেক শিরা উপশিরা বেরিয়ে চার দিকে জালের মতো বিন্যস্ত থাকে, সেই শিরাবিন্যাস কে জালিকাকার শিরাবিন্যাস বলে। যেমন-জবা পাতা।
46. সামন্তরাল শিরাবিন্যাস কাকে বলে?
উঃ। পাতার মাঝখানের শিরা থেকে বেরিয়ে শিরা উপশিরা গুলি যখন ফলকের ওপর সমান্তরাল ভাবে বিস্তৃত থাকে, সেই শিরা বিন্যাসকে সমান্তরাল শিরাবিন্যাস বলে। যেমন-কলা পাতা।
47. একক পত্র কাকে বলে?
উঃ। যে পাতা একটি মাত্র ফলক দ্বারা গঠিত এবং ফলের বীজ সম্পূর্ণ অর্থাৎ কোনো খণ্ড থাকে না, সেই ধরনের পাতাকে একক পত্র বলে। যেমন-অশথ পাতা।
48. যৌগিক পাতা কাকে বলে?
উঃ। যে পাতার ফলকে মাঝখানে শিরা থেকে কতকগুলি আলাদা আলাদা খণ্ডে ভাগ হয়ে যায়। এই ধরনের পাতাকে যৌগিক পত্র বলে। যেমন— তেঁতুল পাতা।
No comments:
Post a Comment