Chapter -6 Part-2 Poribesh O Bigyan Questions Answers Class 7 | Class 7th Science Questions Answers | সপ্তম শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞান ষষ্ঠ অধ্যায় পার্ট-2 প্রশ্ন উত্তর | ক্লাস সেভেন পরিবেশ ও বিজ্ঞান ষষ্ঠ অধ্যায় পরিবেশের সজীব উপাদানের গঠনগত বৈচিত্র্য ও কার্যগত প্রক্রিয়া পার্ট-2 প্রশ্ন উত্তর - Psycho Principal

Fresh Topics

Sunday, 22 December 2024

Chapter -6 Part-2 Poribesh O Bigyan Questions Answers Class 7 | Class 7th Science Questions Answers | সপ্তম শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞান ষষ্ঠ অধ্যায় পার্ট-2 প্রশ্ন উত্তর | ক্লাস সেভেন পরিবেশ ও বিজ্ঞান ষষ্ঠ অধ্যায় পরিবেশের সজীব উপাদানের গঠনগত বৈচিত্র্য ও কার্যগত প্রক্রিয়া পার্ট-2 প্রশ্ন উত্তর

  

পরিবেশ ও বিজ্ঞান ষষ্ঠ অধ্যায়
প্রশ্ন উত্তর








সপ্তম শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞান বিষয়ের একটি বিশেষ গুরুত্ব পূর্ণ অধ্যায় হলো, "পরিবেশের সজীব উপাদানের গঠনগত বৈচিত্র্য ও কার্যগত প্রক্রিয়া " পার্ট -2  এই অধ্যায়ের কিছু বিশেষ গুরুত্ব পূর্ণ প্রশ্ন উত্তর করা হয়েছে এই পোস্টটিতে ।


⬛ অতি-সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর; প্রতিটা প্রশ্নের মান -1 /2

1. বীজ কাকে বলে? 

উঃ। নিষেকের পর ফুলের ডিম্বাশয়ে অবস্থিত ডিম্বকটি পরিবর্তিত হলে যে অংশের সৃষ্টি হয় তাকে বীজ বলে।


2. বীজ ক্যা প্রকার ও কী কী ?

উঃ। বীজ তিন প্রকার। যেমন : একবীজপত্রী বীজ, দ্বিবীজপত্রী বীজ এবং বহুবীজপত্রী বীজ।


 3. একবীজপত্রী (monocotyledon) বীজ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উঃ। বীজে একটি বীজপত্র থাকলে তাকে একবীজপত্রী বীজ বলে। যেমন— ধান, ভুট্টা ইত্যাদি।


4. দ্বিবীজপত্রী (dicotyledon) বীজ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উঃ। বীজে দুটি বীজপত্র থাকলে তাকে দ্বিবীজপত্রী বীজ বলে। যেমন— মটর, ছোলা, কুমড়ো ইত্যাদি।


5. বহুবীজপত্রী (polycotyledon) বীজ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উঃ। বীজে দুই-এর বেশি বীজপত্র থাকলে তাকে বহুবীজপত্রী বীজ বলে। যেমন—পাইন।


6. ডিম্বক কাকে বলে? 

উঃ। অপরিপক্ক ও অপরিণত বীজকে ডিম্বক বলে।


7. ডিম্বকরন্ধ্র কাকে বলে ?

উঃ। ডিম্বনাভির একটু উপরে বীজবহিঃত্বকের গায়ে একটি ছোটো ছিদ্র থাকে। এখান দিয়ে অঙ্কুরোদ্‌গমের সময় ভ্রুণমূল নির্গত হয় তাকে ডিম্বকরন্স বলে।


8. ভূণাক্ষ (embryo axis) কাকে বলে ?

উঃ। বীজপত্র-সংলগ্ন বাঁকা ছোটো দণ্ডাকার অংশটি হল ভ্রূণাক্ষ।


9. ভ্রূণমুকুলের আবরণীকে কী বলে? 

উঃ। ভ্রূণমুকুলের আবরণীকে বলে ভ্রূণমুকুলাবরণী। 


10. ভৃণমূলের আচ্ছাদনকে কী বলে? 

উঃ। ভ্রূণমূলের আচ্ছাদনকে বলে ভ্রূণমূলাবরণী।


11. বীজত্বক (seed coat) কাকে বলে? 

উঃ। বীজের বাইরের খোসাকে বীজত্বক বলে।


12. শাঁস (karnel) বলতে সংযুক্ত বীজের ঠিক কোন্ অংশকে বোঝায় ?

উঃ। শাঁস বলতে সংযুক্ত বীজত্বক ও ফলত্বকের নীচের অংশকে বোঝায়।


13. কোন্ বীজে ফলত্বক ও বীজত্বক জুড়ে যায়? 

উঃ। ভুট্টা বীজে ফলত্বক ও বীজত্বক জুড়ে যায়।


14. কোন্ বীজে স্কুটেলাম থাকে? 

উঃ। ভুট্টাবীজে স্কুটেলাম থাকে।


15. বীজপত্ৰাধিকাণ্ড কাকে বলে?

উঃ। অঙ্কুরোদ্‌গমের সময় ভ্রুণাক্ষ কিছুটা বৃদ্ধি পেলে ভ্রূণমুকুল থেকে পর্বস্থান পর্যন্ত ভ্রূণাক্ষের অংশকে বীজপত্রাধিকাণ্ড (eipcotyle) বলে।


16. বীজপত্রাবকাণ্ড কাকে বলে?

উঃ। ভ্রূণমূল থেকে পর্বস্থান পর্যন্ত ভ্রূণাক্ষের মাঝখানে যে অংশটি তৈরি হয় সেই অংশকে বীজপত্রাবকাণ্ড (hypocotyle) বলে।


17. অঙ্কুরোদ্‌গম (germination) কাকে বলে?

উঃ। উপযুক্ত পরিবেশে সুপ্ত ভ্রূণের সক্রিয় হওয়া এবং বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়ে অঙ্কুরে পরিণত হওয়াকে অঙ্কুরোদ্‌গম বলে। 


18. বীজের অঙ্কুরোদ্‌গমের বাহ্য শর্তগুলি কী কী ?

উঃ। বীজের অঙ্কুরোদ্‌গমের বাহ্য শর্তগুলি হল – উয়তা (Temperature), আর্দ্রতা (Moisture), ও অক্সিজেন


19. বীজের সুপ্ত অবস্থার অর্থ কী?

উঃ। শুকনো বীজকে বাইরে থেকে দেখলে প্রাণহীন বলে মনে হয়। এই অবস্থায় বীজ সুপ্ত থাকে। এটা এক ধরনের ঘুমিয়ে থাকা।


20. ফুলের কোন্ অংশ বীজে পরিণত হয়? 

উঃ। ফুলের স্ত্রী-স্তবকের ডিম্বাশয়ের মধ্যে থাকা ডিম্বকটি বীজে রূপান্তরিত হয়।


21. ফল কাটলে কোন্ ধরনের পতঙ্গ উড়ে আসে ? 

উঃ ফল কাটলে ড্রসোফিলা নামে এক ধরনের ছোটো মাছি উড়ে আসে।


22. জেকবসন অরগ্যান কী ? 

উঃ । এটি সাপের মুখের উপরের তালুতে থাকা একটি বিশেষ অঙ্গ।


23. ফেরোমোন কী? 

উঃ। ফেরোমোন জীবের শরীরে আকা এক ধরনের উদ্‌বায়ী রাসায়নিক পদার্থ।


24. মানুষের দেহে কোথায় কোথায় যক্ষ্মা বাসা বাঁধতে পারে?

উঃ। ফুসফুস, হাড়, অস্ত্র, বৃক্ক প্রভৃতি স্থানে যক্ষ্মার জীবাণু বাসা বাঁধতে পারে। 


25. বদ্ধ নর্দমা বা সেপটিক ট্যাঙ্কে কোন্ গ্যাস জমে থাকে ? 

উঃ । প্রধানতঃ হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস জমে থাকে।



⬛ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :প্রতিটা প্রশ্নের মান -2/3


1. জরায়ুজ অঙ্কুরোদগম কাকে বলে ?

উঃ। ফলের ভেতরে বীজের অঙ্কুরোদ্‌গমকে জরায়ুজ অঙ্কুরোদ্‌গম বলে। সুন্দরী, কেওড়া প্রভৃতি গাছে এই ধরনের অঙ্কুরোদ্‌গম দেখা যায়।


2. ডিম্বনাভি কাকে বলে?

উঃ। মটর বীজের বীজত্বকের উপরে একদিকে ছোটো, গোলাকার এবং কালো বর্ণের একটি দানা দেখা যায়। তাকে ডিম্বকনাভি বলে।


3. অসস্যল বীজ কাকে বলে?

উঃ। যে সকল বীজের বীজপত্রের মধ্যে শিশু উদ্ভিদের খাদ্য সজ্জিত থাকে তাকে বলে অসস্যল বীজ। যেমন- ছোলা, মটর, গুল ইত্যাদি।


4. সমান ( endosperm) বীজ কাকে বলে? 

উঃ। যে সমস্ত বীজে শিশু উদ্ভিদের খাদ্য বীজপত্রের মধ্যে সজ্জিত না থেকে বীজের মধ্যে সস্য নামক বিশেষ অংশে রক্ষিত থাকে, এই ধরনের বীজকে সস্যল বীজ বলে। যেমন— ধান, গম, ভুট্টা।


5. বীজ কী? বীজ থেকে কীভাবে উদ্ভিদের জন্ম হয়?

উঃ। ফলের বীজ এক বা একাধিক বীজত্বক দ্বারা আবৃত ও পরিপক্ক ভ্রুণকে বীজ বলে। অধিকাংশ সপুষ্পক উদ্ভিদের মধ্যে ফলের বীজ নিহিত থাকে। বীজের মধ্যে ভ্রুণ থাকে সুপ্ত অবস্থায়। পরিমিত জল, বায়ু ও উন্নতা জন্ম হয়  পেলে ওই ভ্রূণ জেগে ওঠে এবং শিশু উদ্ভিদের 


6. বীজ ও ফলের সম্পর্ক কী ?

উঃ। পরাগসংযোগের ফলে ডিম্বাশয়স্থিত ডিম্বক যেমন বীজে পরিণত হয় ঠিক তেমনি সমগ্র ডিম্বাশয়টি রূপান্তরিত হয়ে ফল গঠন করে। ডিম্বাশয়ের বিভিন্ন অংশ ফলের বিভিন্ন অংশে পরিণত হয়। অতএব বলা যায় বীজ ও ফলের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ।


7. কোন্ কোন্ প্রাণী পরাগমিলনে সাহায্য করে ?

উঃ। প্রজাপতি, মৌমাছি, বাদুড়, পিঁপড়ে, শামুক, পাখি প্রভৃতি প্রাণী পরাগমিলনে সাহায্য করে।


8. স্বপরাগযোগ কাকে বলে?

উঃ। কোনো ফুলের পরাগরেণু যখন ওই ফুলে অথবা একই গাছের অন্য ফুলের গর্ভমুন্ড পড়ে বা স্থানান্তরিত হয় তখন ওই ঘটনাকে স্বপরাগযোগ (self polination) বলে।


9. ইতরপরাগযোগ কাকে বলে?

উঃ। কোনো পরাগরেণু যখন একইরকম অন্য উদ্ভিদের ফুলের গর্ভমুন্ডে পড়ে বা স্থানান্তরিত হয় তখন ওই ঘটনাকে ইতরপরাগযোগ (cross polination) বলে।


10. অভিস্রবণ কাকে বলে ?

উঃ। দুটি সমপ্রকতির কিন্তু ভিন্ন ঘনত্বের দ্রবণকে একটি অর্ধভেদ্য পর্দার দ্বারা পৃথক করে রাখা হলে যে ভৌত প্রক্রিয়ার দ্বারা অর্ধভেদ্য পর্দার মাধ্যমে দ্রবণে দ্রাবকের অণুদের প্রবেশ করার ঘটনা ঘটে তাকে বলা হয় অভিস্রবণ অসমোসিস (Osmasis)।


11. কোশপর্দাকে কী বলা হয় ?

উঃ। কোশপর্দাকে প্রাথমিক ভাবে অর্ধভেদ্য বলা যায় কারণ এর মধ্যে জলের অণুরা যেতে আসতে পারলেও সব অণু ও আয়নরা পারে না। কোনো কোনো অণু বা আয়নরা চলাচল করতে পারে বলে একে বিভেদমূলক ভেদ্য পর্দা ও বলা হয় ৷


13. আইসোটনিক কাকে বলা হয় ?

উঃ। অভিস্রবণ চাপ সমান এমন দুটো দ্রবণকে যদি অর্ধভেদ্য পর্দা দিয়ে আলাদা করে রাখা হয় তাহলে সামগ্রিকভাবে কোনো ব্যাপন ঘটবে না। এই রকম দ্রবণকে পরস্পর আইসোটনিক বলা হয়।


14. ব্যাপন কাকে বলে।

উঃ। অণুদের অবিশ্রান্ত গতির জন্য গ্যাসীয় অবস্থায় বা দ্রবণে এই বেশি গাঢ়ত্বের অংশ থেকে কম গাঢ়ত্বের অংশে পদার্থের অণুদের ছড়িয়ে পড়ার ঘটনাকে বলা হয় ব্যাপন বা ডিফিউশন।


15. বিজ্ঞানীরা ব্যাপনের পরীক্ষা দেখে কোন্ কোন্ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন ?

উঃ। বিজ্ঞানীরা ব্যাপনের পরীক্ষায় দেখেছেন যে (i) একই উয়তায় গ্যাসীয় অবস্থায় চেয়ে দ্রবণে ব্যাপন ধীরে ঘটে। (ii) একই উয়তায় একই মাধ্যমে হালকা অণুদের চেয়ে ভারী অণুদের ব্যাপন ধীরে ঘটে। (iii) তাপমাত্রা বাড়লে ব্যাপন তাড়াতাড়ি ঘটে।


16. ধূপ জ্বালালে তার সুগন্ধ কি সঙ্গে সঙ্গেই ছড়িয়ে পড়ে? 

উঃ। না। ধূপ জ্বালানোর পর তার সুগন্ধ ঘরে ছড়িয়ে পড়তে অন্তত কয়েক সেকেন্ড সময় লাগে।


17. সন্ধ্যাবেলায় মানুষকে কামড়াতে অ্যানোফিলিস মশকীরা উড়ে আসে কেন?

উঃ। মানুষের গায়ে ঘামের গন্ধের যেসব উদ্বায়ী যৌগ থাকে সেগুলোকে অ্যানোফিলিস মশকী চিনতে পারে। তাই সন্ধ্যেবেলায় তারা সেই ধরনের উৎসের দিকে রক্তপানের উদ্দেশ্যে উড়ে আসে।



⬛ রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর: প্রতিটা প্রশ্নের মান -4/5


1. দৈনন্দিন জীবনে এবং জীবজগতের অন্যত্র ব্যাপনের উদাহরণ দিয়ে আলোচনা করো।

উঃ। দৈনন্দিন জীবনে আমরা দেখেছি পেঁয়াজ কাটলে চোখ জ্বালা করে। ফল কাটলে ছোটো ছোটো মাছিরা এসে ভিড় করে, মৌমাছিরা ফুল ফুটলে উড়ে আসে, রাত্রে বাদুড়রা ফল খেতে উড়ে আসে। এই ঘটনাগুলির প্রতিটি ক্ষেত্রেই পদার্থ থেকে উদ্বায়ী যৌগগুলো বাষ্পীভূত হয়। এইসব যৌগের অণুরা বাতাসের মধ্য দিয়ে ছড়িয়ে পড়ে। এই অণুরা খুব কম পরিমাণে থাকলেও প্রাণীদের ঘ্রাণেন্দ্রিয়ের বিশেষ কিছু প্রোটিনের সঙ্গে এরা যুক্ত হয়। এর ফলে প্রাণীদের মস্তিষ্কে গন্ধের অনুভূতি জাগে, বাতাস বইলে গাছের যৌগের অনুগুলো আরো দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে।


2. বিভিন্ন প্রাণীর ঘ্রানেন্দ্রিয়ের সুক্ষ্মতা বিভিন্ন রকমের হয়’—উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দাও ।

উঃ। ফল কাটা হলে ড্রসোফিলা নামক ছোটো ছোটো মাছি উড়ে আসে, ফলের মিষ্টি গন্ধের মধ্যে যে উদ্বায়ী যৌগগুলি আছে সেগুলি ড্রসোফিলা মাছি ধরতে পারে। আবার যে অ্যানোফিলিস মশা মানুষকে কামড়ায় সে কিন্তু ফল | কাটলে উড়ে আসে না। কারণ ফলে গন্ধের উদ্বায়ী যৌগ তারা চিনতে পারে না।


3. জীবজগতে ফোরোমোনের গুরুত্ব আলোচনা করো।

উঃ। জীবজগতে ফোরোমোনের গুরুত্ব অপরিসীম। পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে কিছু প্রজাতির পুরুষ মথেরা দেহনিঃসৃত ফেরোমোনের গন্ধে কয়েক কিলোমিটার দূর থেকেও উড়ে আসে। অনেক কম সংখ্যক অণু থাকলেও পুরুষ মথ তা এত দূর থেকে ধরতে এবং চিনতে পারে তা কল্পনা করা যায় না।


4. সাপ কেন প্রায়ই জিভ বার করে?

উঃ। বিভিন্ন প্রাণীর দেহ থেকে বেরোনো নানান উদ্বায়ী যৌগ বাতাসের মধ্যে দিয়ে ছড়িয়ে পড়ে। সেইসব যৌগ সাপের জিভে আটকে যায়। সাপের মুখের উপরের তালুতে একটি বিশেষ অঙ্গ থাকে, এর নাম জেকবসন অরগ্যান। সাপ জিভটা মুখে ঢুকিয়ে উপরের তালুতে ঠেকালে তখন সেই গন্ধের অনুগুলো মস্তিষ্কে উদ্দীপনা সৃষ্টি করে। এর সাহায্যে সাপ চারপাশের পরিবেশ সম্বন্ধে জানতে ও বুঝতে পারে। 


5. বাড়িতে গ্যাস লিক করলে কী সাবধানতা নিতে হবে? 

উঃ। বাড়িতে গ্যাস লিক করলে দরজা জানলা খুলে দিয়ে হাওয়া চলাচল করতে দিতে হয়। সেই সময় কোনো আগুন বা বৈদ্যুতিক সুইচ জ্বালাতে বা নেভাতে নেই। কারণ ব্যাপনের ফলে গ্যাসের অণুগুলো ঘরের মধ্যে বেশ কিছু দূর ছড়িয়ে পড়ে। সামান্য স্ফুলিঙ্গও গ্যাসে আগুন ধরে যেতে পারে এবং বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।


6. অনেক সময় বহু নর্দমা বা সেপটিক ট্যাঙ্কে নামলে মানুষের মৃত্যু ঘটে যায় কেন?

উঃ। বন্ধ নর্দমা বা সেপটিক ট্যাঙ্কে বিষাক্ত গ্যাস প্রধানত হাইড্রোজেন সালফাইড, H,S জমে থাকে। তাই সেখানে নামলে প্রশ্বাসের সঙ্গে বিষাক্ত গ্যাস ফুসফুসে ঢোকে এবং অনেক ক্ষেত্রে মানুষের মৃত্যু ঘটায়। বহুক্ষণ খোলা রেখেও গ্যাস বেরিয়ে গেলেও তা নিরাপদ হয় না কারণ হাইড্রোজেন সালফাইড বা HS গ্যাস বাতাসের চেয়ে ভারী বলে ব্যাপন ধীরে হয়। গ্যাস অণুদের ছাড়িয়ে পড়াটা ঘটে আপেক্ষাকৃত ধীরে।


7. বীজের সংজ্ঞা লেখো। একটি করে একবীজপত্রী ও দ্বিবীজপত্রী বীজের নাম লেখো।

উঃ। ফুলের স্ত্রী-স্তবকের গোড়ার দিকের ফোলা অংশটি ডিম্বাশয়। ডিম্বাশয়ের মধ্যে থাকে এক বা একাধিক ডিম্বক। পরাগসংযোগ ও তারপর ধারাবাহিক কতকগুলি জটিল ঘটনার ফলে ডিম্বাশয় ও ডিম্বক উদ্দীপ্ত হয়। এর পর নানারকম পরিবর্তনের মাধ্যমে পরিণত ও পরিপক্ক হয়ে ডিম্বক বীজে পরিণত হয়। সুতরাং পরিণত ও পরিপক্ক ডিম্বকই বীজ। একবীজপত্রী বীজ হল ধান এবং দ্বিবীজপত্রী বীজ হল মটর।


8. বীজত্বক কাকে বলে? এর গঠন কেমন ?

উঃ। বীজের বাইরের খোসাটিকে বীজত্বক বলে। বীজত্বক দুটি স্তরে বিভক্ত। বাইরের স্তরকটি পুরু শক্ত চামড়ার মতো, কিন্তু মসৃণ। একে বীজবহিঃত্বক বা টেস্টা (testa) বলে। ভিতরেরটি অত্যন্ত পাতলা এবং অর্ধস্বচ্ছ। একে এ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর


9. প্রাণীরা কীভাবে পরাগমিলনে সাহায্য করে ?

উঃ। যেসব প্রাণীরা পরাগমিলনে সাহায্য করে তারা একটি ফুলের থেকে পরাগরেণু সেই ফুলে গর্ভমুন্ডে স্থানান্তরিত করে। একটি ফুলের থেকে পরাগরেণু সেই গাছের অন্য ফুলের গর্ভমুন্ডে স্থানান্তরিত করে। একই ফুলের থেকে পরাগরেণু নিয়ে ওই ধরনের অন্য গাছের ফুলের গর্ভমুন্ডে স্থানান্তরিত করে।


10. কী কী কারণে পরাগমিলনে সমস্যা হয় এবং কেন তা বুঝিয়ে লেখো।

উঃ। পোকামারার ওষুধ ব্যবহার, গাছপালা ধ্বংস, পরিবেশের উন্নতা বৃদ্ধি ও পরিবেশের উন্নতা হ্রাস, প্রধানত এই চারটি কারণে পরাগমিলনে সমস্যা দেখা দেয়। (i) বেশি পোকামারার ওষুধ ব্যবহারের ফলে মৌমাছির প্রজাপতি মতো উপকার মারা পড়ছে এদের পতঙ্গে অভাবে পরাগযোগ ব্যহত হয়ে চলেছে। (ii) উয়তার তারতম্যের ফলে ফুল ফোটার সময় পরিবর্তিত হয়ে যায় এর ফলেও পরাগমিলন ব্যাহত হয়। (iii) শিমুল জাতীয় গাছ কেটে ফেলার কারণে কীটপতঙ্গ, পাখি বাদুড়ের মতো পরাগযোগের বাহকের বাসস্থান ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এতে পরাগমিলনে সমস্যা হচ্ছে।



No comments:

Post a Comment