Class 7 Poribesh O Bigyan Questions Answers Chapter -1 Part-4 | Class 7th Science | সপ্তম শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় ভৌত পরিবেশ পার্ট - 4 তড়িৎ প্রশ্ন উত্তর | ক্লাস সেভেন পরিবেশ ও বিজ্ঞান তড়িৎ প্রশ্ন উত্তর - Psycho Principal

Fresh Topics

Sunday, 22 December 2024

Class 7 Poribesh O Bigyan Questions Answers Chapter -1 Part-4 | Class 7th Science | সপ্তম শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় ভৌত পরিবেশ পার্ট - 4 তড়িৎ প্রশ্ন উত্তর | ক্লাস সেভেন পরিবেশ ও বিজ্ঞান তড়িৎ প্রশ্ন উত্তর

  

ভৌত পরিবেশ - তড়িৎ 
প্রশ্ন উত্তর


 

প্রথম অধ্যায় পার্ট - ৫ প্রশ্ন উত্তর পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করো

👉 ( পার্ট -৫ প্রশ্ন উত্তর )


সপ্তম শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞান বিষয়ের একটি বিশেষ গুরুত্ব পূর্ণ অধ্যায় হলো, ভৌত পরিবেশ এবং তার একটি পার্ট হলো "তড়িৎ" । এই অধ্যায়ের পার্ট তড়িৎ থেকে কিছু বিশেষ বিশেষ প্রশ্ন উত্তর করা হয়েছে এই পোস্টটিতে ।


⬛অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান -1 /2

1. একটি সেলের কয়টি প্রান্ত? এতে কী কী চিহ্ন দেখতে পাওয়া যায়?

উঃ। দুটি। একটিতে ‘+’ এবং অপর প্রান্তে ‘–' চিহ্ন থাকে।


2. নির্জন কোশ (Dry Cell) কোথায় ব্যবহৃত হয়? 

উঃ। টর্চলাইট, রেডিযো ইত্যাদি যন্ত্রে। 


3. টর্চের সেলের ভিতর কোন্ শক্তি কোন্ শক্তিতে রূপান্তরিত হয় ?

উঃ। রাসায়নিক শক্তি তড়িৎ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।


4. তড়িৎ এর সাহায্যে চলে এমন কয়েকটি জিনিসের নাম লেখো।

 উঃ। ইলেকট্রিক ফ্যান, বাল্ব, মোটর, টিভি, ফ্রিজ ইত্যাদি।


5. বোতাম সেল কোথায় দেখা যায়? 

উঃ। ইলেকট্রনিক হাতঘড়িতে।


6. ‘সেকেন্ডারি সেল' কাকে বলে? 

উঃ। গাড়ির শক্তিশালী ব্যাটারিতে দুটি বা তার বেশি সেল থাকে। এই ধরনের সেলকে সেকেন্ডারি সেল বলে। 


7. ফিলামেন্ট কী? 

উঃ। বালবের ভিতরে যে অংশটা জ্বলে ওঠে তাকে ফিলামেন্ট বলে।


৪. কয়েকটি সুপরিবাহীর নাম লেখো। 

উঃ। তামার তার, রুপোর তার, স্টিলের বা লোহার তার। 


9. কয়েকটি কুপরিবাহীর নাম লেখো। 

উঃ। প্লাস্টিক, চিনেমাটি, কাঠ প্রভৃতি তড়িৎ এর কুপরিবাহী।


10. তড়িৎ চুম্বকের ব্যবহার বলো। 

উঃ। ইলেকট্রিক কলিং বেল, লাউড স্পিকার।


11. LED পুরো নাম কী ? 

উঃ । Light Emitting Diode.


12. LED-তে কোন্ শক্তি কোন্ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়? 

উঃ। তড়িং শক্তি আলোক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।


13. তড়িৎ প্রবাহ বাড়ালে আলোর জোর বাড়ে না কমে? 

উঃ । আলোর জোর বাড়ে। 


14. তড়িৎ প্রবাহের ফলে কী উৎপন্ন হয় ? 

উঃ । তাপ উৎপন্ন হয়।


15. বালবের ফিলামেন্ট কোন্ ধাতু দ্বারা তৈরি হয়? 

উঃ। টাংস্টেন দিয়ে তৈরি হয়।


16. ক্যালকুলেটার কোন্ শক্তিতে চলে?

উঃ। ক্যালকুলেটার তড়িৎ শক্তিতে চলে। এই শক্তি ক্যালকুলেটার সেল বা ব্যাটারি থেকে পায় ।


17. ফিউজ তার কী ? 

উঃ । যে কোনো বৈদ্যুতিক সার্কিটের নিরাপত্তার জন্য যে তার ব্যবহার করা হয় তা হল ফিউজ তার। 


18. সৌরশক্তিতে চলে এমন কয়েকটি যন্ত্রের নাম লেখো।

উঃ। সোলার কুকার, সোলার টেবিল ফ্যান, সোলার টিউব লাইট ইত্যাদি।


19. কোন্ প্রাণী বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে ? 

উঃ । (1) ইলেকট্রিক ইলমাছ (2) জেলিফিশ। 


20. স্নায়ুকোশ কখন উদ্দীপনা পরিবহন করে?

উঃ। স্নায়ুকোশ তখনই উদ্দীপনা পরিবহন করে যখন রেস্টিং পোটেনশিয়ালের পরিবর্তন ঘটে। 


21. কত খ্রিস্টাব্দে একজন বিজ্ঞানী স্কুইড নিয়ে গবেষণা করেছিলেন?

 উঃ । 1930 খ্রিস্টাব্দে।


22. সুইচ অন করলে কোনো বর্তনী মুক্ত না বদ্ধ হয়? 

উঃ। সুইচ অন করলে বর্তনীটি বন্ধ হয়।


23. ইলেকট্রিক তার প্লাস্টিকের আবরণে ঢাকা থাকে কেন? 

উঃ। ইলেকট্রিক তারের তামা প্লাস্টিক দিয়ে ঢাকা থাকে কারণ ঐ আবরণই তড়িৎপৃষ্ট হওয়া থেকে বাঁচায়।


⬛ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান -2/3

1. প্রাইমারি সেল কাকে বলে ?

উঃ। টর্চের ভিতরে থাকা রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহারের ফলে রাসায়নিক শক্তি বিদ্যুৎ শক্তিতে পরিবর্তিত হয়। এই সেলকে প্রাইমারি সেল বা ডিসপোজেবল সেল বলে।


2. তড়িতের সুপরিবাহী কাকে বলে ?

উঃ। যে সমস্ত বস্তুগুলির মধ্য দিয়ে তড়িৎ যাতায়াত করতে পারে তাকে তড়িৎ এর সুপরিবাহী বলে। যেমন—তামার তার।


3. ইলেকট্রিক সরঞ্ঝামে চিনেমাটি বা প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয় কেন?

 উঃ। যেহেতু প্লাস্টিক বা চিনেমাটি তড়িতের কুপরিবাহী তাই ব্যবহার করা হয়। এতে ইলেকট্রিক সরগ্রাম ধরার জায়গাটিতে ইলেকট্রিক শক লাগার ভয় থাকে না।


5. ইলেকট্রিক মিস্ত্রিরা যখন চালু লাইনে কাজ করেন তখন তারা কাঠের আসবাবপত্রের উপর দাঁড়িয়ে কাজ করেন কেন? 

উঃ। কাঠ বিদ্যুতের কুপরিবাহী। কাঠের ওপর দাঁড়িয়ে চালু লাইনে কাজ করলেও বিদ্যুৎ ইলেকট্রিক মিস্ত্রির শরীরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হতে বাধা পায়। তাই সুরক্ষার জন্যে ইলেকট্রিক মিস্ত্রিরা কাঠের আসবাবের উপর দাঁড়িয়ে চালু লাইনে কাজ করেন।


4. শুষ্ক বায়ু যে তড়িতের কুপরিবাহী তা কীভাবে প্রমাণ করা যায় ?

 উঃ। একটি মৌল, একটি টর্চের বালব আর তিনটে তার নিয়ে AB প্রান্ত তৈরি করে টেস্টার বানানো হল। এখন দেখা গেল টেস্টার বায়ুর মধ্যে রয়েছে এবং টেস্টারের A ও B প্রাপ্ত ও বায়ুকে স্পর্শ করে রয়েছে। কিন্তু বালবটি জ্বলছে না। এর থেকে প্রমাণিত হয় শুষ্ক বায়ু তড়িতের কুপরিবাহী।


5. তড়িৎ চুম্বক কাকে বলে?

উঃ। একটি কাঁচা লোহার দণ্ডের উপর একটি তামার তার পরপর জড়িয়ে দিয়ে তার দুইটির দু-প্রাপ্ত ব্যাটারির সঙ্গে জুড়ে দিলে

 ওই কাঁচা লোহার দণ্ডটি চুম্বকে পরিণত হয়। তড়িৎ প্রবাহ বন্ধ করলে চুম্বকটির চুম্বকত্ব নষ্ট হয়। এই চুম্বককে তড়িৎ চুম্বক বলে। 


6. তড়িৎ প্রবাহের ফলে পরিবাহীতে উৎপন্ন তাপ কি তড়িৎ প্রবাহের অভিমুখের ওপর নির্ভর করে?

উঃ। না। কারণ পরিবাহীর রোধ এবং প্রবাহের সময় স্থির রাখলে পরিবাহীর মধ্য দিয়ে একই প্রবাহমাত্রা যেদিক দিয়ে যাক না কেন উৎপন্ন তাপ একই হবে।


7. ইলেকট্রিক ইস্ত্রি কীভাবে উত্তপ্ত হয় ?

উঃ। এতে নাইক্রোম তার অভ্রের উপর জড়ানো থাকে। এর মধ্যে দিয়ে তড়িৎ প্রবাহিত হলেই, নাইক্রোম তার গরম হয়ে ওঠে।


৪. বদ্ধবর্তনী ও মুক্তবর্তনী বলতে কী বোঝ?

উঃ। বন্ধবর্তনী—তড়িৎ কোশের ধনাত্মক মেরু ও ঋণাত্মক মেরুকে একটি পরিবাহী তার দ্বারা যুক্ত করে প্রাপ্ত বর্তনীকে বদ্ধবর্তনী বলে। মুক্তবর্তনী –তড়িৎকোশ বহিঃবর্তনীতে তড়িৎ সরবরাহ না করলে সেই অবস্থায় বর্তনীকে মুক্তবর্তনী বলে।


9. তড়িৎ প্রবাহের চুম্বকীয় ফল কী?

উঃ। কোনো পরিবাহীর তারের মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ চালিত করলে তারটির চারপাশে একটি চুম্বক ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়। 


10. তড়িৎ প্রবাহের তাপীয় ফল কী? 

উঃ। কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ চললে পরিবাহীটি উষ্ণ হয়ে ওঠে অর্থাৎ পরিবাহীতে তাপ উৎপন্ন হয়। একে তড়িৎ প্রবাহের তাপীয় ফল বলে।


11. ইলেকট্রিক বালব কীভাবে তাপ ও আলো উৎপন্ন করে?

উঃ। বালবের ফিলামেন্ট তৈরি হয় টাংস্টেন ধাতু দিয়ে। ফিলামেন্টে তড়িৎ চলাচল হলেই তার মধ্যে উৎপন্ন হয় তাপ। এই তাপশক্তি আলোক শক্তিতে বদলে গেলে উৎপন্ন হয় আলো।


12. দৈনন্দিন জীবনে অন্তরকের দুটি ব্যবহার উল্লেখ করো। 

উঃ। (1) যেহেতু অন্তরক তড়িৎ পরিবহণ করতে পারে না, তাই ইলেকট্রিক লাইনের তারের চারিদিকে অন্তরক পদার্থের আবরণ দেওয়া হয়ে থাকে যার ফলে তড়িৎ প্রবাহ চলাকালীন ওই তারে হাত দিলে শক খাওয়ার ভয় থাকে না।

(2) ইলেকট্রিক ফ্যান বা লাইটের সুইচ অন্তরক পদার্থ ব্যাকেলাইট দিয়ে তৈরি হয়। ফলে সুইচ অন অফ করার সময় প্রায়শই শক লাগে না।


13. সোলার ক্যালকুলেটার কী? এতে তড়িৎ শক্তি আসে কোথা থেকে?

উঃ। সোলার ক্যালকুলেটার হল এক বিশেষ ধরনের ইলেকট্রিক যন্ত্র। এই যন্ত্র চলে তড়িৎ শক্তি দিয়ে। ওই তড়িৎ শক্তির উৎস কিন্তু বাজারে যে সেল বা ব্যাটারি পাওয়া যায় সেটা নয়। আসলে সোলার ক্যালকুলেটারের তড়িৎ জোগান দেয় সোলার প্যানেলে। কতগুলো সোলার সেল দিয়ে এই প্যানেল তৈরি হয়। সূর্যের আলো ওই প্যানেলের উপর পড়লে এই আলোক শক্তি তড়িৎ শক্তিতে বদলে যায়।


14. ফিউজ তার কী? এটি কী কাজ করে ?

উঃ। যে কোনো বৈদ্যুতিক সার্কিটের নিরাপত্তার জন্য ফিউজ তার ব্যবহার হয়। এই ফিউজের মধ্যে দিয়েই তড়িৎ ওই সার্কিটে প্রবেশ করে। ফিউজ তার খুব উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং গলে যায়। ফলে বর্তনী ছিন্ন হয়ে তড়িৎ প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। তাই সার্কিটের কোনো ক্ষতি হয় না। ফিউজ তার আবার পালটে দেওয়া যায়।


15. জীবের শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়ায় তড়িৎশক্তির প্রভাব আলোচনা করো।

উঃ। তড়িৎ শক্তির ও জীবজগতের সম্পর্ক বেশ গভীর। সমস্ত জীবের দেহের তরলে তড়িৎযুক্ত নানান ধরণের পরমাণু আর পরমাণু জোট থাকে। এই সব তড়িৎযুক্ত কণার জন্য জীবদেহের তরল তড়িৎ পরিবাহী হয়। জেলিফিশ, ইলেকট্রিক ইল প্রভৃতি মাছের দেহে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা আছে। এরা যথেষ্ট তীব্র তড়িৎ তৈরি করতে পারে। হৃৎপিন্ডের পেশিতে থাকে তড়িৎ উদ্দীপনা তৈরির উপাদান। এদের তৈরি তড়িৎ উদ্দীপনা হৃৎস্পন্দন তৈরি করে যা সারা দেহে বিদ্যুৎ তরঙ্গের আকারে ছড়িয়ে পড়ে। মস্তিষ্ক তরঙ্গও তড়িতিয়। মস্তিষ্কের স্নায়ুকোশের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য তড়িৎ উদ্দীপনার সাহায্যেই পরিবাহিত হয়। ফলে আমরা পেশির সংকোচন-প্রসারণ, চলাফেরা নানা কাজ করতে পারি। জীবেরা উত্তেজনায় সাড়া দেয়।


No comments:

Post a Comment