👉( ক্লাস সেভেন বাংলা মাকু - লীলা মজুমদার প্রশ্ন উত্তর Part-2)
সপ্তম শ্রেণীর বাংলা সাজেশন | সপ্তম শ্রেণীর বাংলা মাকু - লীলা মজুমদার প্রশ্ন উত্তর | ক্লাস সেভেন বাংলা মাকু - লীলা মজুমদার গুরুত্ব পূর্ণ প্রশ্ন উত্তর, সহায়িকা | Class 7 Bangla Maku Part-1 Important Questions And Answers | সপ্তম শ্রেণীর বাংলা গুরুত্ব পূর্ণ প্রশ্ন উত্তর | #Class7 Bangla Maku Part-1Questions And Answers #Class 7th Bangla Questions And Answers
⬛ লেখিকা পরিচিতি :
লীলা মজুমদার ১৯০৮ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবা প্রমদারঞ্জন রায়ের লেখা বিখ্যাত বই 'বনের খবর'। জ্যাঠামশাই ছিলেন বিখ্যাত শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী। তাঁর শৈশব কেটেছে শিলং পাহাড়ে। ১৯২০ সাল থেকে তিনি কলকাতায় থাকা শুরু করেন। সাহিত্যচর্চা ছিল তাঁর সারাজীবনের সঙ্গী। ছোটোদের জন্য প্রথম লেখেন 'বদ্যিনাথের বড়ি'। তাঁর অন্যান্য বিখ্যাত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ— 'পদিপিসির বর্মিবাক্স', 'হলদে পাখির পালক', 'টং লিং', ‘মাকু'। দীর্ঘদিন ছোটোদের জন্য 'সন্দেশ' পত্রিকায় তিনি যুগ্ম-সম্পাদক ছিলেন। রবীন্দ্র পুরস্কার', 'আনন্দ পুরস্কার', “ভারতীয় শিশু সাহিত্যের পুরস্কার' এমন বহু পুরস্কারে তিনি সম্মানিত হয়েছেন।
Section-1
⬛ সারসংক্ষেপ :
সোনা-টিয়া দুই বোন। তারা স্কুলে পড়ে। কালিয়ার বনকে তারা ভয় পায় না। তাদের আম্মা তাদের বন সম্পর্কে যতই সাবধান করে, তারা ততই বনের দিকে যেতে চায়। তাদের বাড়িতে তাদের পিসি আসছে, পিসির ছেলের জন্য নতুন পুতুল আসছে। এতে তাদের ভীষণ রাগ হয়। একদিন দুপুরে বাড়িতে তেমন বড়ো কেউ না-থাকায় তারা দুই বোন কালিয়ার বনের উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পড়ে। পথে দেখা হয় এক ঘড়িওয়ালার সাথে। যে তার ঘড়ির যন্ত্র দিয়ে একজন মানুষ বানিয়েছে। তার নাম মাকু। মাকু এখন ঘড়িওয়ালাকেই খুঁজে বেড়াচ্ছে। সে সেই যন্ত্র খুঁজতে তাদের দুই বোনকে যেতে বলে।
⬛অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান -1
১. কোন জায়গা থেকে কেউ আস্ত ফেরে না?
উঃ। কালিয়ার বন থেকে কেউ আস্ত ফেরে না।
২. কালিয়ার বনে কে গোরু খুঁজতে গিয়েছিল?
উঃ। আম্মার মামাতো পিসেমশাই কালিয়ার বনে গোরু খুঁজতে গিয়েছিল।
৩. সোনাদের বাড়িতে কারা আসবে?
উঃ। সোনাদের বাড়িতে সোনার পিসি, পিসেমশাই ও পিসির খোকা আসবে।
৪. ঘড়িওয়ালা কী বানিয়েছে এবং তার নাম কী দিয়েছে?
উঃ। ঘড়িওয়ালা ঘড়ির যন্ত্র দিয়ে একপ্রকার রোবোট বানিয়েছে। তার নাম দিয়েছে মাকু।
৫. মাকুর চাবি দেবার জায়গাটি কেমন?
উঃ। মাকুর চাবি দেবার জায়গাটি ছোটো, মাকুর পিঠের মধ্যিখানে বসানো। কান খুসকি দিয়ে ঘোরাতে হয়।
৬. মোড়ল কী বলেছিল?
উঃ। মোড়ল বলেছিল পিসেমশাইয়ের বাঁচার কথাই ছিল না নেহাত কানের কাছ দিয়ে ঘেঁসে কোনোমতে বেরিয়ে গেছে।
৭. পানুয়া কে?
উঃ। তোতাদের আয়ার ছোটো ভাইয়ের নাম পানুয়া ।
৮. সার্কাসের জাদুকর কী দেখাল?
উঃ। সার্কাসের জাদুকর বাঁশি বাজিয়ে জাদুর রাজকন্যে দেখাল।
৯. আম্মা নিজের চোখে কালিয়ার বনে কী দেখেছিলেন?
উঃ। কালিয়ার বনের ভয়ংকরের গা থেকে গুলি ঠিকরে পড়া আম্মার নিজের চোখে দেখা।
১০. আম্মা কে ?
উঃ। আম্মা সোনাটিয়ার বাপির ধাইমা। বাপি তাঁকে আইমা বলে ডাকেন।
১১. আম্মার উঠতে-বসতে কষ্ট হয় কেন ?
উ। আম্মার পায়ে গুপো, তাই উঠতে-বসতে কষ্ট হয়।
১২. কারা কেন বলেছিল পিসেমশাইকে চুলবুলিতে ধরেছে?
উঃ। গোরু খুঁজতে গিয়ে পিসেমশাই-এর সাতদিন সারা গা চুলকে দাগড়া দাগড়া চাকায় ভরে গিয়েছিল, পাড়াশুদ্ধ লোক বলেছিল তাঁকে চুলবুলিতে ধরেছে।
⬛ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান -2/3
১. কালিয়ার বন সম্পর্কে কী কথা প্রচলিত আছে?
উঃ। কালিয়ার বন সোনা-টিয়াদের গ্রামের প্রান্তে অবস্থিত একটি বন। সেই বন সম্পর্কে অনেক কথা প্রচলিত আছে। সেখানে গেলে কেউ ফেরে না। যারা ফেরে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে।
২. সোনাদের বাড়ি থেকে কালিয়ার বন অবধি যাবার পথের বিবরণ দাও।
উঃ। সোনাদের বাড়ির গলি পেরিয়ে বড়ো রাস্তা, তারপর গির্জা, তারপর গোরস্থান। এই গোরস্থানের শেষে শুনশুনির মাঠ। সেই শুনশুনির মাঠ পেরোলে তবেই কালিয়ার বন।
৩. ঘড়িওয়ালার তৈরি করা যন্ত্র “মাকু” কী কী পারে ?
উঃ। ঘড়িওয়ালার তৈরি করা ‘মাকু” হল যন্ত্রমানব। ঘড়িওয়ালা তাকে ঘড়ির যন্ত্র দিয়ে বানিয়েছে। সে দেখতে মানুষের মতো। সে কথা বলে, গান গায়, নাচে, হাতুড়ি পেটে, দড়ির জট খোলে, পেরেক ঠোকে, ইস্ত্রি চালায়, রান্না করে, কাপড় কাচে, সেলাই করে এবং মানুষের মতোই সমস্ত কাজ করতে সক্ষম। কেবল সে হাসতে বা কাঁদতে পারে না।
৪. কালিয়ার বনে কী কী আছে বলে সোনা-টিয়া বলেছিল ?
উঃ। সোনা ও টিয়া বলেছিল কালিয়ার বনে বড়ো বড়ো লাল-নীল-বেগুনি প্রজাপতি ও কাঠঠোকরা পাখি আছে। আর বাঘ নেই। সাহেব শিকারীরা তাদের মেরে শেষ করে দিয়েছে।
৫. মাকু ঘড়িওয়ালাকে খুঁজছে কেন?
উঃ। মাকু সব করতে পারে। শুধু হাসতে আর কাঁদতে পারে না। তাই সে ঘড়িওয়ালাকে খুঁজছে হাসা আর কাঁদার কল বসিয়ে নেওয়ার জন্য।
Section-2
⬛ সারসংক্ষেপ :
সোনারা কালিয়ার জঙ্গলে ঢুকতে যাবে এমন সময় ঘড়িওয়ালা তাদেরকে ডেকে মাকুর বিষয়ে একটা করে লিফলেট দিল। তা ছাড়া মাকুকে দেখতে কেমন তাও বলে দিল। তারা দুই বোন বনের ভিতরে গিয়ে একটি ছোটো নদীর ধারে উপস্থিত হল। সেখানে জল ও খাবার খেয়ে তারা ঘুমিয়ে পড়ল। ঘুম থেকে উঠে তারা দেখল সার্কাসের এক সং সার্কাসের জন্তুদের জল খাওয়াতে এনেছে। এখানেই তাদের দেখা হয়ে গেল মাকুর সাথে এবং তারা তাদের বন্ধুত্ব হয়ে গেল। মাকু তাদের জঙ্গলের বাইরে সরাইখানাতে খাওয়াতে নিয়ে গেল।
⬛অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান -1
১. মাকুকে দেখতে কেমন?
উঃ। মাকুর মাথায় সুন্দর লালচে চুল। ছাই রঙের চকচকে চোখ আর নাকের উপর বড়ো তিল।
২. সোনা ও টিয়ার বয়স কত?
উঃ। সোনার বয়স ছয় আর টিয়ার বয়স পাঁচ বছর।
৩. মাকুর হাতের পায়ের নখের তলায় কী লাগানো আছে?
উঃ। মাকুর হাতের পায়ের নখের তলায় রাডার যন্ত্র লাগানো আছে।
৪. রাডার যন্ত্র দিয়ে মাকু কী করে?
উঃ। রাডার যন্ত্র দিয়ে মাকু ধাতু খুঁজে বের করে।
৫. ঘড়িওয়ালার দেওয়া হ্যান্ডবিলটা কী রঙের ছিল?
উঃ। ঘড়িওয়ালার দেওয়া হ্যান্ডবিলটা গোলাপি রঙের ছিল।
৬. সোনা ও টিয়াকে কে কোলে করে নিয়ে গেল?
উঃ। সোনা ও টিয়াকে মাকু কোলে করে নিয়ে গেল।
৭. ঘড়িওয়ালা এখন কী নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে?
উঃ। ঘড়িওয়ালা এখন কতগুলো কাপড়, কাগজ আর কাঠ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
৮. অধিকারী মশাই কী না দিয়ে পালিয়ে গেছেন?
উঃ। অধিকারী মশাই মাঠের ভাড়া তাঁবু আর গ্যাসবাতির দাম না দিয়েই পালিয়ে গেছেন।
৯. সার্কাসের সং-এর পোশাকের রং কী ছিল?
উঃ। সার্কাসের সং-এর পোশাকের রং ছিল আধখানা নীল ও আধখানা লাল।
১০. ঘড়িওয়ালার মা কোন্ খাবার ভালো বানাতে?
উঃ। ঘড়িওয়ালার মা খুব ভালো সরুচাকলি বানান। তা একবার খেলে
১১. সোনা ও টিয়া একটু চলেই কোথায় পৌঁছে গেল ?
উঃ। সোনা ও টিয়া একটু চলেই বটতলার সরাইখানায় পৌঁছে গেল।
⬛ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান -2/3
১. কালিয়ার বন কেমন? সংক্ষেপে বনটির বর্ণনা দাও।
উঃ। কালিয়ার বনের গাছগুলি খুব বড়ো বড়ো। মাথার উপর তারা যেন শামিয়ানা খাটিয়ে রেখেছে। পাতার ফাঁক দিয়ে এখানে-ওখানে রোদ এসে পড়ছে। শুকনো পাতা পড়ে পায়ের নীচে গালচে হয়ে গেছে। ছোটো ছোটো ঝোপঝাড়ে নানা রকমের ফুল ফুটেছে। চারিদিকে একটা সবুজ আলো ছড়িয়ে আছে।
২. সার্কাসের দলটিতে কারা ছিল? তারা কে কীভাবে এল?
উঃ। সার্কাসের দলটিতে প্রথমে ছিল দুটি ঘোড়া। তাদের তাড়িয়ে আনল টুপি পরা দুটি বাঁদর, তাদের পিছনে এল গলায় ঘণ্টা বাঁধা একটি ছাগল, তাদের পিছনে মোটা মোটা দুটো ভালুক, ছটি কোঁকড়ালোম ছোটো কুকুর ও সবার শেষে ছিল আধখানা লাল নীল পোশাক পরা একটি সং।
৩. মাকু কী বলে সরাইখানায় যেতে চাইল?
উঃ। মাকু বললো পয়সাও করতে পারি, গোলমাল করতে পারি, হইচইও করতে পারি। এই বলে সে সরাইখানায় খানিকটা হইচই করতে যেতে চাইল। আর ভোলা যায় না।
Section-3
⬛ সারসংক্ষেপঃ
সোনা, টিয়া আর মাকু সং-এর সাথে গিয়ে উঠল হোটেলওয়ালার কাছে। হোটেলের এলাহি ব্যাপার। গাছ থেকে লণ্ঠন ঝুলছে, গুঁড়ির উপর তক্তা ফেলে খাওয়াদাওয়া চলছে। হাতা হাতে হোটেলওয়ালা, মুখ ভরা তার ঝুলো গোঁফ আর থুতনি ঢাকা ছাই রঙের দাড়ি দেখে সোনা আর টিয়ার বড়ো হাসি পেল। হোটেলওয়ালা তাদের সুরুয়া আর শালপাতাতে একতাড়া রুটি এনে দিল, ওরা খেয়ে নিল। হোটেলওয়ালার সুরুয়া অপূর্ব খেতে। হোটেলওয়ালা ওদেরকে একবেলার চাকরিতে রাখলো। তার বদলে তাদের খেতে ও থাকতে দেবে। টিয়া সেসময় মাকুর কথা প্রায় বলে ফেলেছিল দেখে সোনা তাকে থামিয়ে দিল। তারপর সার্কাসের লোকেরা তাদের দড়ির খেলা অভ্যাস করল। তারপর সোনারা শুয়ে পড়ল। পরদিন সকালে মাকুকে দেখতে না-পেয়ে সোনা প্রথমে ঘাবড়ে গিয়েছিল। তারপর দেখল মাকু ঠিকই আছে। সেইদিন সকালে জাদুকর জাদুর খেলা। দেখাতে আসবে। পাছে মাকু পরিকে দেখে আবার কষ্ট পায় তাই সোনা মাকুকে জোর করে হোটেলওয়ালার ফাঁদ পাতা স্থানে খরগোশ পড়েছে কিনা তা দেখতে পাঠিয়ে দিল। ইতিমধ্যে জাদুকর খেলা দেখাতে এল।
⬛অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান -1
১. হোটেলে সোনা ও টিয়া কী কী খেয়েছিল?
উঃ। হোটেলে সোনা ও টিয়া রুটি আর সুরুয়া খেয়েছিল।
২. হোটেলওয়ালার চেহারা কেমন?
উঃ। হোটেলওয়ালার মুখভরা ঝুলো গোঁফ আর থুতনি ছাই রং-এর দাড়িতে ঢাকা। দেখে মনে হয় যেন ধোপার বাড়ি থেকে ফিরেছে।
৩. শোনা ও টিয়ার সাথে যারা হোটেলে খাচ্ছিল তারা কোথাকার লোক?
উঃ। যারা হোটেলে খাচ্ছিল তারা সার্কাসের লোক।
৪. রাতে সোনারা কোথায় ঘুমিয়েছিল?
উঃ। রাতে সোনারা গাছের কোঠরে ঘুমিয়েছিল।
৫. টিয়া আর সোনার কথা কান্না শুনে কারা এসেছিল?
উঃ। কান্না শুনে গাছ বেয়ে মাকু, হোটেলওয়ালা, সং আর সাতজন দড়াবাজির ওস্তাদ এসেছিল।
৬. সোনা ও টিয়া পুতুলদের জন্য কী কী রান্না করেছিল ?
উঃ। সোনা ও টিয়া পুতুলদের জন্য কাদা দিয়ে ভাত বানায় আর গাঁদা ফুলের পাতা দিয়ে মাছ রান্না করে।
৭. মাকু যাতে রাতে পালাতে না পারে তার জন্য সোনা কী করেছিল ?
উঃ। সোনা পুঁটলির মুখের বড়ো সেফটিপিন দিয়ে নিজের ফ্রকের সঙ্গে মাকুর জামার কোণটা এঁটে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল। যাতে মাকু রাতে পালাতে না পারে।
৮. কে কোথায় খরগোশ ধরবার ফাঁদ পেতেছিল?
উঃ। হোটেলওয়ালা বনের মধ্যে বাঁশতলায় খরগোশ ধরবার ফাঁদ পেতেছিল।
৯. খরগোশ দিয়ে কী হবে?
উঃ। খরগোশ দিয়ে কালিয়া হবে।
১০. জাদুকরের পোশাক কেমন ছিল?
উঃ। জাদুকরের মাথায় লম্বা চোঙার মতো টুপি আর গায়ে ছিল চকরা বকরা মাটি অবধি ঢোলা জামা, তার হাতা ঢলঢলে।
⬛ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান -2/3
১. বটতলার হোটেলটি কেমন ছিল?
উঃ। হোটেলটা ছিল একটি গাছ। গাছের ডাল থেকে কয়েকটা লণ্ঠন ঝুলছে। বটগাছের নীচু নীচু ডালে লোকে পা ঝুলিয়ে বসে আছে। গাছ থেকে রাশি রাশি ঝুরি নেমেছে। গাছের গোড়ায় পাথরের উনুনে গনগনে আগুনের উপর মস্ত পিতলের হাঁড়িতে রান্না হচ্ছে। গাছের গুঁড়ির উপর কাঠের তক্তা ফেলে খাওয়াদাওয়া চলছে।
২. সার্কাসের লোকেদের জঙ্গলে থাকতে হয়েছিল কেন?
উঃ। সার্কাসের অধিকারীমশাই সার্কাসের জন্য ঝাড়বাতি কিনে, সকলের জন্য নতুন পোশাক বানিয়ে, চারিদিকে নতুন খেলার বিজ্ঞাপন দিয়ে, খেলা শুরু হবার আগেই কোনো জিনিসের দাম না-দিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। এখন অধিকারীমশাই নিখোঁজ, তাই ওদের নামেই পরোয়ানা বেরিয়েছে। তাই সার্কাসের লোকেরা জঙ্গলে থাকে।
৩. হোটেলওয়ালা সোনা ও টিয়াকে কী কাজ করতে এবং কীভাবে করতে বলেছিল ?
উঃ। হোটেলওয়ালা সোনা ও টিয়াকে খাবার জায়গা করা, বাটি ধুয়ে দেওয়া আর ঝাঁটপাট দেওয়ার কাজ করতে বলেছিল। আর গাছের ঘরে থাকতে এবং গাছের ধারে ছোটো ঝরনায় চান, কাপড় কাচা ও বাসন ধুতে বলেছিল। এর জন্য কোনো পয়সাকড়ি যে লাগবে না সেটাও সে বলেছিল।
৪. গাছের উপর ঘরটি কেমন ছিল?
উঃ। গাছের গায়ে সিঁড়ির মতো খাঁজ কাটা, আট-দশটি ধাপ উঠতেই ডালপালার মধ্যে কাঠের তক্তা দিয়ে তৈরি একটি সুন্দর ঘর। বাতাস বইলে সেটি দোলনার মতো দোলে। সেখানে শুকনো পাতার উপর নীল চাদর বিছানো ছিল।
Section-4
⬛ সারসংক্ষেপঃ
জাদুকর খেলা দেখিয়ে মঞ্চে পরিদের রানিকে নিয়ে এল। তাকে এত সুন্দরী দেখে সোনা আর টিয়া অবাক হয়ে গেল। এরপর ওরা গেল হোটেলওয়ালাকে রান্নায় সাহায্য করতে। সেখানে হোটেলওয়ালার মুখে শুনলো এই জঙ্গলে আগে জনবসতি ছিল। তারা দেখল কীভাবে হোটেলওয়ালা তার দাড়ি, গোঁফ সুরুয়ার হাঁড়িতে ফেলে রান্না করছে। তারপর ওরা সেখান থেকে গেল ঘাসের মাঠে জানোয়ারদের খেলা দেখতে। রাস্তায় মাকুর সাথে দেখা। সে খরগোশ না-পেয়ে ফিরে আসছে। ঘাসের মাঠে গিয়ে তারা জানোয়ারদের খেলা দেখল। সেই খেলা দেখার পর আবার ফিরে আসবার সময় দেখল পুলিশের পোশাক পরা একটা লোক। ওরা লুকিয়ে পালিয়ে এল। এসে দেখে হোটেলওয়ালার কাছেও কালো পোশাক পরা একজন। ওরা চান করে খেয়ে নিল। এরমধ্যে সার্কাসের লোকেরাও এসে উপস্থিত। তারা খেতে বসেছে এমন সময় সং এসে খবর দেয় যে জঙ্গলে পেয়াদা ঢুকেছে। সঙ্গে সঙ্গে সবাই থালা হাতে হাওয়া হয়ে যায়। হোটেলওয়ালা মাকুকে নিয়ে গাছ ঘরে লুকিয়ে পড়ে।
⬛অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান -1
১. পরিদের রানির পরনে কী রঙের পোশাক ছিল ?
উঃ। পরিদের রানির পরনে গোলাপি রঙের পোশাক ছিল।
২. সং সপ্তাহে কতবার পোস্ট অফিসে যায় এবং কেন যায়?
উঃ। সং সপ্তাহে দু-তিনবার পোস্ট অফিসে যায়। সে খোঁজ নেয় তার কাটা লটারির ও টিকিটের কোনো খবর এল কিনা।
৩. হোটেলওয়ালা কী দিয়ে সুরুয়া রান্না করে ?
উঃ। হোটেলওয়ালা তার দাড়ি-গোঁফ দিয়ে সুরুয়া রান্না করে।
৪. ক-টি বাঁদর খেলা দেখাতে এসেছিল?
উঃ। চারটি বাঁদর খেলা দেখাতে এসেছিল।
৫. হোটেলওয়ালার জন্মদিনের ভোজে কী কী রান্না হবে ঠিক হয়েছিল?
উঃ। হোটেলওয়ালার জন্মদিনের ভোজে ভুনি খিচুড়ি, হরিণের মাংসের কোর্মা আর পায়েস রান্না হবে ঠিক হয়েছিল।
৬. হোটেলওয়ালা কীভাবে দাঁড়িগোঁফ শুকিয়েছিল ?
উঃ।হোটেলওয়ালা কাঠের হাতা দিয়ে সুরুয়া থেকে দাড়িগোঁফ তুলে বালতির জলে ধুয়ে, গাছের ডালে শুকোতে দিল।
৭. সং কোন অবস্থায় এসে হাজির হয়েছিল?
উঃ। সং-এর চুল খাড়া, ঠিকরে বেরোনো চোখ, জামাকাপড়ে ধুলোবালি ও শুকনো পাতা লাগা এই অবস্থায় সং এসে হাজির হলো।
৮. জঙ্গলে ওরা সে-দিন ক-জন লোককে দেখেছিল?
উঃ। জঙ্গলে ওরা সে-দিন দুজন নতুন লোককে দেখেছিল।
৯. পুলিশের ভয়ে সোনা ও টিয়াকে নিয়ে হোটেলওয়ালা কোথায় লুকিয়েছিল?
উঃ। পুলিশের ভয়ে সোনা ও টিয়াকে নিয়ে হোটেলওয়ালা গাছ-ঘরে লুকিয়েছিল।
১০. মাঝপথে সোনা ও টিয়ারা কী কাণ্ড দেখল ?
উঃ। মাঝপথে সোনা ও টিয়ারা দেখলো খাকি কোট-পেন্টেলুন পরা একটা লোক কাঁধে থলে ও কোমরে লণ্ঠন বাঁধা, হাতে একটা লম্বা খাম নিয়ে ঝোপেঝাড়ে কাকে যেন খুঁজে বেড়াচ্ছে।
⬛ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান -2/3
১. পরির রানিকে দেখতে কেমন ও তার পরনে কী পোশাক ছিল ?
উঃ। পরির রানির গোলাপি মুখে সুন্দর কালো কালো চোখ। মাথায় সোনালি চুল। আর তার গায়ে রুপোলি রঙের পোশাক।
২. হোটেলওয়ালা কীভারে সুরুয়া রান্না করে ?
উঃ। হোটেলওয়ালা রান্না করার সময় সুরুয়ার মধ্যে তার মুখের দাড়ি-গোঁফ খুলে ফেলে দেয়। সেই সুরুয়াই লোকে স্বর্গের সুরুয়া বলে খায়।
৩. হোটেলওয়ালার জন্মদিনে রান্নার জন্য কে কী নিয়ে এসেছে?
উঃ। হোটেলওয়ালার জন্মদিনে রান্নার জন্য গোয়ালা এক মণ দুধ দিয়ে গেছে, সং পাঁচ সের বাতাসা কিনে এনেছে। রাতে ভুনিখিচুড়ির জন্য সুগন্ধি চাল, পেস্তা, বাদাম, কিশমিশ এনেছে। আর শিকারীরা হরিণের মাংস দিয়ে যাবে বলে গেছে।
৪. বটতলার পিছনে ছোটো নদীটির ধারে কী কী শাকসবজি হয় ?
উঃ। সেখানে ছোটো বুনো মটরশুঁটি, গাছতলায় মিষ্টি শাকালু, পালংশাক, টম্যাটো, ডুমুর গাছে ডুমুর, সজনে গাছে সজনে হয়।
৫. হোটেলওয়ালা কী কারণে সুরুয়াতে দাঁড়ি গোঁফ ফেলে দিয়ে রান্না করে।
উঃ। আগে হোটেলওয়ালার রান্না সুরুয়া মুখে দিলেই লোকে ওয়াক-থু বলে ফেলে দিত আর পয়সা ফেরত চাইত। তারপর আচমকা একদিন তার দাড়িগোঁফ খুলে সুরুয়ার মধ্যে পড়ে গিয়ে রান্না হয়ে গেল। আর সেদিন সবাই সুরুয়া খেয়ে সুখ্যাতি করতে লাগল। সেই থেকে হোটেলওয়ালা রান্নার সময় দাড়িগোঁফ সুরুয়াতে ফেলে দিয়ে রাঁধে।
No comments:
Post a Comment