Class 7th Bangla Maku Part-3 Questions And Answers | ক্লাস সেভেন বাংলা মাকু - লীলা মজুমদার প্রশ্ন উত্তর, সারসংক্ষেপ | মাকু - লীলা মজুমদার প্রশ্ন উত্তর সপ্তম শ্রেণীর বাংলা পার্ট -3 - Psycho Principal

Fresh Topics

Thursday, 19 December 2024

Class 7th Bangla Maku Part-3 Questions And Answers | ক্লাস সেভেন বাংলা মাকু - লীলা মজুমদার প্রশ্ন উত্তর, সারসংক্ষেপ | মাকু - লীলা মজুমদার প্রশ্ন উত্তর সপ্তম শ্রেণীর বাংলা পার্ট -3

  


মাকু - লীলা মজুমদার 
প্রশ্ন উত্তর 




👉(খোকনের প্রথম ছবি প্রশ্ন উত্তর সপ্তম শ্রেণী)


সপ্তম শ্রেণীর বাংলা সাজেশন | সপ্তম শ্রেণীর বাংলা মাকু - লীলা মজুমদার প্রশ্ন উত্তর | ক্লাস সেভেন বাংলা মাকু - লীলা মজুমদার গুরুত্ব পূর্ণ প্রশ্ন উত্তর, সহায়িকা | Class 7 Bangla Maku Part-3 Important Questions And Answers | সপ্তম শ্রেণীর বাংলা গুরুত্ব পূর্ণ প্রশ্ন উত্তর | #Class7 Bangla Maku Part-3 Questions And Answers #Class 7th Bangla  Questions And Answers



Section-8

⬛ সারসংক্ষেপ : 

সোনা-টিয়াও সবার সাথে মাকুকে খুঁজতে বেরোয়। জঙ্গলের মধ্যে তারা গিরগিটি, বাচ্চাশদ্ধ মা খরগোশকে দেখতে পায়। তারপর হঠাৎ তাদের সামনে এসে উপস্থিত হয় মাকু। সোনা আর টিয়া ওকে নিয়ে যেতে চায়। কিন্তু মাকু কিছুতেই যাবে না। সে মানতে চায় না যে ঘড়িওয়ালা তাকে বানিয়েছে। সে নাচ-গান করতে অস্বীকার করে আবার বনে পালিয়ে যায়। সোনা বলে মাকু খেলা না দেখালেও তারা নিজেরাই নাচবে। তারা নিজেদের নাচ অভ্যাস করতে থাকে। তাদের গান শুনে ঝোপ থেকে একটা সাপ বেরিয়ে আসে। তাই দেখে সোনা টিয়ার হাত ধরে দৌড়ে পালায়। আবার তারা বটতলায় এসে সেখানে খেয়েদেয়ে গাছ ঘরে ঢুকে ঘুম লাগায়।


⬛অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান -1

১. নেনো কার নাম ছিল? 

উঃ। সোনাদের পোষা কুকুরের নাম ছিল নেনো।


২. ঝোপের মধ্যে মোট ক-টা খরগোশ ছিল? 

উঃ। ঝোপের মধ্যে মোট তিনটে খরগোশ ছিল।


৩. কে খরগোশ বিক্রি করে অনেক পয়সা রোজগার করে?

উঃ। আম্মার এক ছেলে রঙা, খরগোশ বিক্রি করে অনেক পয়সা রোজগার করে। 


৪. সোনা কাকে নাচতে বারণ করল এবং কেন ? 

উঃ । সোনা বনময়ূরকে নাচতে বারণ করল, পাছে বৃষ্টি নেমে যায়।


৫. সং সোনাকে জাদুকর কী দেবে বলেছিল? 

উঃ। সোনাকে জাদুকর বড়ো প্যাপ্যা পুতুল দেবে বলে সং বলেছিল।


 ৬. বনের মধ্যে গাছের নীচে সোনা ও টিয়া কী করতে লাগল ?

উঃ। বনের মধ্যে গাছের নীচে সোনা ও টিয়া দুজনে ময়লা জামা পরে নাচতে গাইতে লাগল। ছুটতে পারে না।


৭. সাপেরা কীভাবে ছুটতে পারে না? 

উঃ। সাপেরা পাশের দিকে।


৮. ঝোপের মধ্যে থেকে কে বেরিয়ে এসে কী করতে লাগল ?

উঃ। ঝোপের মধ্যে থেকে একটি বড়ো ডোরাকাটা সাপ বেরিয়ে এসে কুণ্ডুলি পাকিয়ে ফণা তুলে দুলতে আরম্ভ করল।


৯. মাকুর চাবি ফুরিয়ে গেলে কী হবে? 

উঃ। মাকুর চাবি ফুরিয়ে গেলে মাকু এলিয়ে পড়বে, তখন তাকে ঘড়িওলার কাছে দিতে হবে।


১০. কেউ তাদের খুঁজতে না আসায় সোনার বুকটা ধড়াস করে উঠেছিল কেন?

উঃ। গতকাল রাতে সোনা টিয়া বাড়ি যায়নি নিজেদের খাবার খায়নি, শোয়নি, জামাকাপড় ছাড়েনি। তবুও কেউ তাদের খুঁজতে না আসায় সোনার ভয়ে বুক ধড়াস করে উঠেছিল।


⬛ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান -2/3

১. মাকুকে না পেয়ে টিয়া সোনাকে কী প্রশ্ন করেছিল ? উত্তরে সোনা কী বলেছিল?

উঃ। বনের ঝোপে ঝাড়ে মাকুকে খুঁজে না পেয়ে টিয়া সোনাকে প্রশ্ন করেছিল যে ষষ্ঠীঠাকরুণ মাকুকে খেয়ে ফেলেছে কিনা। সোনা চটে গিয়ে উত্তরে বলেছিল যে মাকু ক্ষীর দিয়ে তৈরি নয় ও টিন, রবার, স্প্রিং আর প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি ওকে ষষ্ঠীঠাকরুণ তো নয়ই বাঘেও খাবে না।


২. বনের মধ্যে ঠেলেঠুলে ঢুকে সোনা-টিয়া অবাক হয়ে কী দেখল ?

উঃ। বনের মধ্যে ঢুকে সোনা-টিয়া অবাক হয়ে দেখল যে মাঝখানটা একেবারে ফাকা, কচি নরম দুর্বোঘাসে ঢাকা তারই মধ্যে একটি লাল চোখ সাদা ধবধবে মা খরগোশ, দুটো তুলোর মতো বাচ্চা নিয়ে ওদের দিকে চেয়ে থর থর করে কাপছে।


৩. সোনা ও টিয়া বনের মধ্যে নাচার সময় কী হয়েছিল?

উঃ। বনের মধ্যে গাছের নীচে সোনা ও টিয়া দুজনে ময়লা জামা পরে নাচতে গাইতে লাগল। তখন গাছ থেকে টুপটাপ সাদা ফুল পড়তে লাগল, তখন সোনা-টিয়া সেগুলিকে কানের পেছনে গুঁজে রাখল। একজোড়া সবুজ পায়রা উড়ে গাছের ডালে বসলো এবং পাতার আড়াল থেকে কাঠঠোকরারা ঠুনঠুন করে তাল দিতে লাগল। বনময়ূর ঝোপের পাশ থেকে বেরিয়ে এসে পেখম ধরে নাচ করতে লাগল।


৪. বটতলায় সোনা কী করলো?

উঃ। সাপ দেখে দৌড়ে সোনা ও টিয়া বটতলায় পৌঁছে দেখলো উনুনের আঁচ পড়ে এসেছে। উনুনে চাপানো কড়ায় দুধ-ফুটে ঘন হয়ে এসেছে। সোনা তাতে মিছরির ঠোঙা, কিসমিশের কৌটে খালি করে ঢেলে দিল। তারপর কড়াইটাতে ঢাকা দিয়ে দুজনে দুমুঠো খেজুর ও জল খেয়ে নদীতে হাত পা মুখ ধুয়ে গাছ ঘরে উঠে খুব ঘুম দিল।


৫. গাছতলায় কী কী পড়ে রইলো?

উঃ। গাছতলায় গামলা ভরা ভাজা মাছ, বালতি ভরা মশলামাখা মাংস, থলি ভরা বাসমতি চাল পড়ে রইল। উনুন জ্বলে জ্বলে নিভে গেল, কেউ দেখবার রইল না। 


Section-9


⬛ সারসংক্ষেপ : 

ঘুম ভেঙে উঠে ওরা দেখল অনেকে তাদের জন্য অনেক কিছু রেখে গেছে জন্মদিনে সাজবার জন্য। এর মধ্যে জাদুকর উঠে এল গাছে। এসে সোনাকে আর টিয়াকে দুটো খরগোশ-ছানা উপহার দিল। সুন্দর সাদা রং, লাল লাল চোখ। সন্ধেবেলা আবার পরিদের রানিকে সে নাচাবে। সোনা ও টিয়াকে একটা করে প্যাঁ প্যাঁ পুতুলও সে দেবে বলল। ইতিমধ্যে হোটেলওয়ালা এসে বলল মাকুকে পাওয়া গেছে। কিন্তু তার চাবি শেষ, সে আর নড়ছে চড়ছে না। তারপর ঘড়িওয়ালাও এসে দুঃখ করল সঙ্গে চাবি আনেনি বলে। তারপর ওরা সবাই মিলে ঘাসের মাঠের দিকে রওনা হল।


⬛অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান -1

১. মাকু কোথায় আটকা পড়েছিল? 

উঃ। মাকু খরগোশ ধরার ফাঁদে আটকা পড়েছিল। 


২. মাকু নড়ছিল না কেন? 

উঃ। মাকুর চাবি ফুরিয়ে গিয়েছিল বলে সে আর নড়ছিল না।


৩. জাদুকর সোনাদের কী দিয়েছিল? 

উঃ। জাদুকর সোনাদের দুটি খরগোশ-ছানা দিয়েছিল।


৪. সং সোনাদের কী দিয়েছিল? 

উঃ। সং সোনাদের পুঁতি দিয়ে গাঁথা মালা দিয়েছিল।


৫. ঘাস জমিতে কে সোনাদের সাজিয়ে দেবে? 

উঃ। ঘাস জমিতে মেম সোনাদের সাজিয়ে দেবে। 


৬. দুপুরে বেশি ঘুমুলে সোনার কী হয়? 

উঃ। দুপুরে বেশি ঘুমালে সোনার মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।


৭. সঙেদের থলিতে কত পয়সা জমা হয়েছে? 

উঃ। সঙেদের থলিতে দেড় হাজারের বেশি দশ পয়সা জমা হয়েছে।


৮. মাকুকে কোথায় পাওয়া গেলো? তাকে কোথায় রাখা হলো?

উঃ। মাকুকে বাঁশবনেতে পাওয়া গেল সেখানে খরগোশ ধরার ফাঁদে সে আটকে ছিল। এখন তাকে কুকুরদের ঘরে রাখা হয়েছে।


৯. মাকুসার্কাস পার্টিকে কী করে দিতে পারে? 

উঃ। মাকু একটি সোনার খনি। সে সার্কাস পার্টিকে বড়োলোক করে দিতে পারে। 


১০. কোন কাজকে জাদুকর অসভ্যতা বললো? 

উঃ। সোনা ও টিয়ার কানে কানে কথা বলাকে জাদুকর অসভ্যতা বললো।


⬛ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান -2/3

১. জাদুকর সোনা-টিয়াকে কী ধরে দিল?

উঃ। জাদুকর শূন্য থেকে খপখপ করে গোলগাল দুটি সাদা ঘরগোশের বাচ্চা ধরে দিল। তাদের লাল টুকটুকে চোখ, গলায় লাল ফিতেয় ছোটো দুটি ঘন্টি বাঁধা। নড়লে চড়লে সেগুলি টুংটাং করে বাজে।


২. জাদুকরের টাকার ভাবনা ছিল না কেন ?

উঃ। সাড়ে তিন গাঁ থেকে লোক হোটেল মালিকের জন্মদিনে খেলা দেখবে বলে টিকিট কেটেছে। সঙেদের থলিতে দেড় হাজারের বেশি দশ পয়সা জমা হয়েছে। তাই জাদুকরের টাকার ভাবনা নেই।


৩. হলুদ ও সবুজ প্যাকেটগুলিতে কী ছিল ও কী লেখা ছিল? 

উঃ। হলুদ কাগজে মোড়া দুটি ছোটো প্যাকেটে পেনসিল দিয়ে লেখা ছিল—ইতি স্নেহের সং। প্যাকেট দুটিতে ছিল ছোটো ছোটো পুঁতিমুক্তো দিয়ে গাঁথা সুন্দর দুটি সাদা মালা। হলুদ প্যাকেটের নীচে রাখা দুটি সবুজ প্যাকেটে লেখা ছিল জন্মদিনের উপহার ইতি— হোটেলগুলা। তার ভিতরে ছিল সরু লেসের পাড় দেওয়া ছোটো দুটি সাদা রেশমি রুমাল।


৪. মাকুকে কোথায় কীভাবে পাওয়া গেল ? তাকে কেমন সাজানো হয়েছিল?

উঃ। বাঁশবনেতে খরগোশ ধরবার ফাঁদে আটকে মাকু চাবি ফুরিয়ে ফেলেছিল। কল ছাড়িয়ে তাকে কুকুরদের ঘরে রাখা হলো। সঙেরা রং মাখিয়ে মাকুর চেহারা ফিরিয়ে দিল। মেম তাকে নতুন কাপড় চোপড় পরিয়ে দিয়েছে।



Section-10


⬛ সারসংক্ষেপ 

 টিয়া গিয়ে মাকুকে চাবি দিয়ে আবার চালু করল। কিন্তু একে যেন আর আগের মাকু বলে চেনা যায় না। এই মাকু ঘড়িওয়ালার নির্দেশমতো সব কাজ করে। সন্ধে নেমে এল। মেমসাহেব সোনাদের সাজিয়ে দিলেন। গাছতলায় সার্কাস শুরু হল। দড়াবাজির খেলা আর সং-এর কারসাজিতে সব লোক হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ল। তারপর সোনা আর টিয়া গিয়ে নাচল। জাদুকর তার খেলা দেখাল। তারপর এল মাকুর খেলা। তা দেখে সবাই হাঁ হয়ে পড়ল। তারপর জাদুকর মাকুর সাথে পরিদের রানির বিয়ে দিল। সবাই খুব খুশি হল। মালিক হয়েছিল রিং মাস্টার তার উদ্দেশ্যে সবাই সাধুবাদ দিল আর অনেক জিনিস তাকে দিল উপহার হিসেবে দিল।


⬛অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান -1

১. কে মাকুর জন্য চাবি বানিয়েছিল? 

উঃ। টিয়া মাকুর জন্য চাবি বানিয়েছিল। 


২. মাকুকে টিয়া যে চাবি দিয়েছিল তার রং কী? 

উঃ। তার রং ছিল গোলাপি। 


৩. কে সোনা টিয়াদের সাজিয়ে দিল? 

উঃ। মেমসাহেব সোনা-টিয়াদের।


৪. কার সাথে মাকুর বিয়ে হল? 

উঃ। পরিদের রানির সাথে মাকুর বিয়ে হলো।


৫. সার্কাসে কে রিং মাস্টার সাজল? 

উঃ । হোটেলের মালিক সার্কাসে রিং মাস্টার সাজল। 


৬. কে মাকুকে দিয়ে খেলা দেখাল? 

উঃ। ঘড়িওয়ালা মাকুকে দিয়ে খেলা দেখাল।


৭. মাকুর শরীরে কোথায় কল আছে? 

উঃ। মাকুর নাকের কালো তিলের নীচে টেপা কল আছে।


৮. টিয়া মাকুর চাবি কোথায় রেখেছিল? 

উঃ। টিয়া মাকুকে চালু করার চাবি ঝোলার ভিতরে রেখেছিল। 


৯. মাকু কীভাবে গান গেয়ে উঠলো? 

উঃ। মাকু এক হাত কোমরে দিয়ে এক হাত আকাশে উড়িয়ে বিলিতি কায়দায় গান গেয়ে উঠলো। 


১০. মাকু কোন্ গান গাইল? 

উঃ। মাকু “ইয়াঙ্কি ডুডডল ওয়েন্ট টু টাউন রাইডিং অন্-এ পোনি!” গানটা গাইল।


১১. সার্কাসে সবার শেষে কী হল? 

উঃ। সার্কাসে সবার শেষে মাকুর সাথে পরিদের রানির বিয়ে হল। 


১২. শেষ পর্যন্ত বুদ্ধি করে জাদুকর কী করলো? 

উঃ। শেষ পর্যন্ত জাদুকর বুদ্ধি করে বড়ো আলো নিভিয়ে দিল। 


⬛ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান -2/3

১. সোনা ও টিয়া দর্শকের মাঝে কী গান গাইলো ?

উঃ। সোনা ও টিয়া দর্শকের মাঝে বড়ো আলোর নীচে দাঁড়িয়ে একটা নমস্কার করে হাত মেলে “ফুল কলি আসে অলি গুণগুণ গুঞ্জনে” গান গাইলো ও নাচতে লাগলো।


২. দুরের ছাউনিতে কীসের শব্দ শোনা যাচ্ছে? 

উঃ। দূরের ছাউনিতে জানোয়াররা সুদ্ধ হয়ে ওঠার দেখান থেকে কুকুরের ডাক আর মাঝে মাঝে ঘোড়াদের পা ঠোকার শব্দ শোনা যাচ্ছিল।


৩. ঘড়িওলা মুখে চোজ লাগিয়ে কী বললো?

উঃ। ঘড়িওলা মুখে চোঙা লাগিয়ে সবাইকে বললো আজ আমাদের প্রিয় অধিকারীর জন্মদিন উপলক্ষে খেলা শেষ হলো। সবাই সাধু সাধু বলুন।


৪. সং খেলায় কী কী কাণ্ড করলো?

উঃ। সং একগালে চুন আর একগালে কালি মেখে গাধার টুপি পরে একটার পর একটা ডিগবাজি খোলো। দড়াবাজির ছেলেরা যখন দোলনা থেকে লাকিয়ে নীচে নামছিল সে তখন লাকিয়ে উপরে ওঠার চেষ্টা করছিল। তারপর গান শেষ হালে সং পরপর পাঁচটা ডিগবাজি খেয়ে নীচ থেকে এক লাফে দোলনায় উঠে বড়ো করতাল দিয়ে হাততালি দিতে লাগল।


৫. মাতৃ কী কী করল ?

উঃ। ঘড়িওলা মাকুকে যা বললো সে তাই করতে লাগলো। মাকু নাচল গাইল, কাঠের বাক্সে পেরেক ঠুকলো, মোড়লের সাইকেল চালাল, ভাঙা টাইপরাইটার দিয়ে ইংরাজিতে চিঠি লিখল ও ঘড়িওলার সঙ্গে কুস্তি করলো।


৬. মাকুর সঙ্গে পরির রানির বিয়ের ঘটনা লেখো।

উঃ। পরিদের রানির খেলা শেষ হতে তাকে পিঠে নিয়ে দুই বড়ো বড়ো ঘোড়া আলোর নীচে এসে হাঁটু গেড়ে বসলো। অধিকারি পরিদের রানির হাত ধরে নামাল আর ঘড়িওলা মাকুকে রানির সামনে দাঁড় করাল। সং বেতের ঝুড়িতে দু গাছি মোটা গোড়েমালা আর বরের টোপর এনে রাখল। জোরে জোরে বাজনা বাজতে লাগলো, ফুল পড়তে লাগলো। এইভাবে মহা ধুমধামের সঙ্গে মাকু আর পরিদের রানির বিয়ে হয়ে গেল।


Section-11


⬛ সারসংক্ষেপ :

সার্কাস শেষে, সোনা মাকুর মাথায় কান্নার কল লাগাল। সবাই সাধুবাদ দিল। ইতিমধ্যে পোস্টমাস্টার এসে সং-এর লটারিতে পাঁচ হাজার টাকা জেতার খবর দিল। টিয়া ইতিমধ্যে টিকিটের আধখানা খুঁজে পেয়েছিল। সোনা সেটা মালিককে দিল। তারপর তারা খাবার জন্য বটতলায় গেল। সেখানে গিয়ে সবাই আশ্চর্য হলো। সোনাদের মামনি-বাপি- আম্মা-ঠামি সেখানে রয়েছে। ঝোপের মধ্যে থেকে তাদের পুরোনো মাকু বেরিয়ে এল। সোনারা শুনল সে-ই হলো তাদের পিশেমশাই। সোনাদের খুঁজতে বেরিয়ে তিনি তাদের পেয়ে তাদের সাথে মাকু হিসেবে ছিলেন। পিসেমশাই মালিককেও মাফ করেছেন। মালিকই আসলে সার্কাসের অধিকারী। সে বলে সে সব দেনা মিটিয়ে দেবে। তার জন্মদিন উপলক্ষ্যে সে-দিন সবাই ফিস্ট করে। তারপর অনেক রাতে তারা সবাই বাড়ি ফিরে গেল।


⬛অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান -1

১. হোটেল মালিকের আসল পরিচয় কী? 

উঃ। হোটেল মালিকই হলো সার্কাসের নোটো অধিকারী।


২. সং কত টাকা পুরস্কার পেয়েছিল? 

উঃ। সং পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কার পেয়েছিল।


৩. পিয়নের নাম কী ছিল? 

উঃ। পিয়নের নাম ছিল ফেলারাম।


৪. মাকুর আসল পরিচয় কী? 

উঃ। মাকুর আসল পরিচয় হল তিনি সোনা-টিয়ার পিসেমশাই।


৫. সোনার পিসেমশাই জালে কেন এসেছিলেন?

উঃ। সোনার পিসেমশাই নোটো অধিকারী আর ঘড়িওয়ালাকে ধরতে ভালে এসেছিলেন। 


৬. ঘড়িওলা মাকুর কান ধরে প্যাঁচাতে কী হলো?

উঃ। মাকুর সুন্দর লালচে কোকড়া চুলসুদ্ধ মাথার খুলি কট করে বাক্সের ঢাকনির মতো খুলে গেল।


৭. সোনা পুঁটলি খুলে কী কী বের করলো ?

উঃ সোনাা পুঁটলি খুলে ফুটো জ্যামের টিন, কেরোসিন তেল ঢালবার কোঁদল আর বাপির কাজের ঘর থেকে আনা রবারের নল বের করলো।


৮. ঘড়িওলারা দুই ভাই মায়ের কাছে গিয়ে কী কী পেট ভরে খেতে চেয়েছিলো? 

উঃ। চাপড় ঘণ্ট, মোচা চিংড়ি আর দুধপুলি ।


৯. পোস্টমাস্টার কী বলেছিলেন? 

উঃ। পোস্টমাস্টার বলেছিলেন সংবাবু লটারির টিকিট জিতেছেন। আপিসে টিকিট জনা দিলে সং পাঁচ হাজার টাকা পাবেন।


১০. গোলাপি মোড়ক থেকে কী বের হলো?

উঃ। গোলাপি মোড়ক থেকে সোনার মামনির সিঁদুর পরবার রূপোর কাঠি বের হলো।


১১. বটতলায় গাছের ডালে কে বসে তাকে নামাতে বলে চেঁচাচ্ছিলেন?

 উঃ। সোনা টিয়ার ঠামু চেঁচাচ্ছিলেন।


১২. বটতলায় পুলিশ পেয়াদারা কী কাজে সাহায্য করছিলো? 

উঃ। তারা ভজহরি আর বেহারিকে রান্নাবান্না ও খাবার জায়গা করতে সাহায্য করছিলো।


⬛ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান -2/3

১. সোনা কীভাবে মাকুকে কাঁদাল ?

উঃ। সোনা মাকুর কলকব্জার ফাঁকে সবচেয়ে উপরে জ্যামের টিন বসিয়ে তার তলায় কোঁদল দিয়ে মুখে রবারের নল লাগিয়ে নলের অন্য দিকটাকে মাকুর মুন্ডুর ভিতরে দুই চোখের মাঝখানে গুঁজে দিল। তারপর গেলাসের জলটুকু টিনে ঢেলে পট করে খুলির ঢাকনি বন্ধ করেই মাকুর নাকের টিপকল টিপে দিল। সঙ্গে সঙ্গে ঘুম ভেঙে উঠে মাকু কেঁদে ভাসিয়ে দিল।


২. হোটেল মালিক হাসতে হাসতে ও কাঁদতে কাঁদতে কী বলেছিল?

উঃ। সে বলেছিল পুলিসের ভয়ে ছদ্মবেশ ধরে ততদিন হোটেল চালিয়ে যে টাকা জমেছে আর আজ যে পেয়েছে সেই দিয়ে সব ধার শোধ করে জিনিস ছাড়িয়ে নতুন তাঁবুর তলায় নতুন করে সার্কাস খুলবে।


৩. সোনা টিয়ার পিশেমশাই বনে এসেছিলেন কেন?

উঃ। সোনা টিয়ার পিসেমশাই পুলিশের বড়োসাহেব। তিনি নোটোমাস্টার আর ঘড়িওলাকে ধরতে বনে এসেছিলেন। তারা যে এখানে আছে তিনি এখবর জানতেন। সোনা-টিয়ার বাড়ি গিয়ে তিনি শোনেন যে তারা বনে পালিয়েছে। তখন পিসেমশাই আর সোনা-টিয়ার বাবা বনে গিয়ে দেখেন যে তারা নদীর ধারে ঘুমাচ্ছে। তখন বাপিকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে পিসেমশাই সোনা টিয়ার কাছে রইলেন।


৪. পোস্টঅফিসের পিয়ন কীভাবে গর্ত থেকে উঠে এসেছিল?

উঃ। সোনা ও টিয়া পোস্টাপিসের পিওনকে বাঘের গর্তে ফেলেছিল। কারণ তারা তাকে পেয়াদা ভেবেছিল। পিয়ন ধপাস করে গর্তের ভিতরে পড়ে থাকা তিনটে সত্যিকারের পেয়াদার উপর পড়েছিল। অনেক জেরা করবার পর পেয়াদারা ঠেলেঠুলে পিয়নকে গর্তের ওপরে তুলে দিয়েছিল। টা প্রশ্নের মান -2/3

১. সোনা ও টিয়া দর্শকের মাঝে কী গান গাইলো ?

উঃ। সোনা ও টিয়া দর্শকের মাঝে বড়ো আলোর নীচে দাঁড়িয়ে একটা নমস্কার করে হাত মেলে “ফুল কলি আসে অলি গুণগুণ গুঞ্জনে” গান গাইলো ও নাচতে লাগলো।


২. দুরের ছাউনিতে কীসের শব্দ শোনা যাচ্ছে? 

উঃ। দূরের ছাউনিতে জানোয়াররা সুদ্ধ হয়ে ওঠার দেখান থেকে কুকুরের ডাক আর মাঝে মাঝে ঘোড়াদের পা ঠোকার শব্দ শোনা যাচ্ছিল।


৩. ঘড়িওলা মুখে চোজ লাগিয়ে কী বললো?

উঃ। ঘড়িওলা মুখে চোঙা লাগিয়ে সবাইকে বললো আজ আমাদের প্রিয় অধিকারীর জন্মদিন উপলক্ষে খেলা শেষ হলো। সবাই সাধু সাধু বলুন।


৪. সং খেলায় কী কী কাণ্ড করলো?

উঃ। সং একগালে চুন আর একগালে কালি মেখে গাধার টুপি পরে একটার পর একটা ডিগবাজি খোলো। দড়াবাজির ছেলেরা যখন দোলনা থেকে লাকিয়ে নীচে নামছিল সে তখন লাকিয়ে উপরে ওঠার চেষ্টা করছিল। তারপর গান শেষ হালে সং পরপর পাঁচটা ডিগবাজি খেয়ে নীচ থেকে এক লাফে দোলনায় উঠে বড়ো করতাল দিয়ে হাততালি দিতে লাগল।


৫. মাতৃ কী কী করল ?

উঃ। ঘড়িওলা মাকুকে যা বললো সে তাই করতে লাগলো। মাকু নাচল গাইল, কাঠের বাক্সে পেরেক ঠুকলো, মোড়লের সাইকেল চালাল, ভাঙা টাইপরাইটার দিয়ে ইংরাজিতে চিঠি লিখল ও ঘড়িওলার সঙ্গে কুস্তি করলো।


৬. মাকুর সঙ্গে পরির রানির বিয়ের ঘটনা লেখো।

উঃ। পরিদের রানির খেলা শেষ হতে তাকে পিঠে নিয়ে দুই বড়ো বড়ো ঘোড়া আলোর নীচে এসে হাঁটু গেড়ে বসলো। অধিকারি পরিদের রানির হাত ধরে নামাল আর ঘড়িওলা মাকুকে রানির সামনে দাঁড় করাল। সং বেতের ঝুড়িতে দু গাছি মোটা গোড়েমালা আর বরের টোপর এনে রাখল। জোরে জোরে বাজনা বাজতে লাগলো, ফুল পড়তে লাগলো। এইভাবে মহা ধুমধামের সঙ্গে মাকু আর পরিদের রানির বিয়ে হয়ে গেল।


Section-11


⬛ সারসংক্ষেপ :

সার্কাস শেষে, সোনা মাকুর মাথায় কান্নার কল লাগাল। সবাই সাধুবাদ দিল। ইতিমধ্যে পোস্টমাস্টার এসে সং-এর লটারিতে পাঁচ হাজার টাকা জেতার খবর দিল। টিয়া ইতিমধ্যে টিকিটের আধখানা খুঁজে পেয়েছিল। সোনা সেটা মালিককে দিল। তারপর তারা খাবার জন্য বটতলায় গেল। সেখানে গিয়ে সবাই আশ্চর্য হলো। সোনাদের মামনি-বাপি- আম্মা-ঠামি সেখানে রয়েছে। ঝোপের মধ্যে থেকে তাদের পুরোনো মাকু বেরিয়ে এল। সোনারা শুনল সে-ই হলো তাদের পিশেমশাই। সোনাদের খুঁজতে বেরিয়ে তিনি তাদের পেয়ে তাদের সাথে মাকু হিসেবে ছিলেন। পিসেমশাই মালিককেও মাফ করেছেন। মালিকই আসলে সার্কাসের অধিকারী। সে বলে সে সব দেনা মিটিয়ে দেবে। তার জন্মদিন উপলক্ষ্যে সে-দিন সবাই ফিস্ট করে। তারপর অনেক রাতে তারা সবাই বাড়ি ফিরে গেল।


⬛অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান -1

১. হোটেল মালিকের আসল পরিচয় কী? 

উঃ। হোটেল মালিকই হলো সার্কাসের নোটো অধিকারী।


২. সং কত টাকা পুরস্কার পেয়েছিল? 

উঃ। সং পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কার পেয়েছিল।


৩. পিয়নের নাম কী ছিল? 

উঃ। পিয়নের নাম ছিল ফেলারাম।


৪. মাকুর আসল পরিচয় কী? 

উঃ। মাকুর আসল পরিচয় হল তিনি সোনা-টিয়ার পিসেমশাই।


৫. সোনার পিসেমশাই জালে কেন এসেছিলেন?

উঃ। সোনার পিসেমশাই নোটো অধিকারী আর ঘড়িওয়ালাকে ধরতে ভালে এসেছিলেন। 


৬. ঘড়িওলা মাকুর কান ধরে প্যাঁচাতে কী হলো?

উঃ। মাকুর সুন্দর লালচে কোকড়া চুলসুদ্ধ মাথার খুলি কট করে বাক্সের ঢাকনির মতো খুলে গেল।


৭. সোনা পুঁটলি খুলে কী কী বের করলো ?

উঃ সোনাা পুঁটলি খুলে ফুটো জ্যামের টিন, কেরোসিন তেল ঢালবার কোঁদল আর বাপির কাজের ঘর থেকে আনা রবারের নল বের করলো।


৮. ঘড়িওলারা দুই ভাই মায়ের কাছে গিয়ে কী কী পেট ভরে খেতে চেয়েছিলো? 

উঃ। চাপড় ঘণ্ট, মোচা চিংড়ি আর দুধপুলি ।


৯. পোস্টমাস্টার কী বলেছিলেন? 

উঃ। পোস্টমাস্টার বলেছিলেন সংবাবু লটারির টিকিট জিতেছেন। আপিসে টিকিট জনা দিলে সং পাঁচ হাজার টাকা পাবেন।


১০. গোলাপি মোড়ক থেকে কী বের হলো?

উঃ। গোলাপি মোড়ক থেকে সোনার মামনির সিঁদুর পরবার রূপোর কাঠি বের হলো।


১১. বটতলায় গাছের ডালে কে বসে তাকে নামাতে বলে চেঁচাচ্ছিলেন?

 উঃ। সোনা টিয়ার ঠামু চেঁচাচ্ছিলেন।


১২. বটতলায় পুলিশ পেয়াদারা কী কাজে সাহায্য করছিলো? 

উঃ। তারা ভজহরি আর বেহারিকে রান্নাবান্না ও খাবার জায়গা করতে সাহায্য করছিলো।


⬛ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান -2/3

১. সোনা কীভাবে মাকুকে কাঁদাল ?

উঃ। সোনা মাকুর কলকব্জার ফাঁকে সবচেয়ে উপরে জ্যামের টিন বসিয়ে তার তলায় কোঁদল দিয়ে মুখে রবারের নল লাগিয়ে নলের অন্য দিকটাকে মাকুর মুন্ডুর ভিতরে দুই চোখের মাঝখানে গুঁজে দিল। তারপর গেলাসের জলটুকু টিনে ঢেলে পট করে খুলির ঢাকনি বন্ধ করেই মাকুর নাকের টিপকল টিপে দিল। সঙ্গে সঙ্গে ঘুম ভেঙে উঠে মাকু কেঁদে ভাসিয়ে দিল।


২. হোটেল মালিক হাসতে হাসতে ও কাঁদতে কাঁদতে কী বলেছিল?

উঃ। সে বলেছিল পুলিসের ভয়ে ছদ্মবেশ ধরে ততদিন হোটেল চালিয়ে যে টাকা জমেছে আর আজ যে পেয়েছে সেই দিয়ে সব ধার শোধ করে জিনিস ছাড়িয়ে নতুন তাঁবুর তলায় নতুন করে সার্কাস খুলবে।


৩. সোনা টিয়ার পিশেমশাই বনে এসেছিলেন কেন?

উঃ। সোনা টিয়ার পিসেমশাই পুলিশের বড়োসাহেব। তিনি নোটোমাস্টার আর ঘড়িওলাকে ধরতে বনে এসেছিলেন। তারা যে এখানে আছে তিনি এখবর জানতেন। সোনা-টিয়ার বাড়ি গিয়ে তিনি শোনেন যে তারা বনে পালিয়েছে। তখন পিসেমশাই আর সোনা-টিয়ার বাবা বনে গিয়ে দেখেন যে তারা নদীর ধারে ঘুমাচ্ছে। তখন বাপিকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে পিসেমশাই সোনা টিয়ার কাছে রইলেন।


৪. পোস্টঅফিসের পিয়ন কীভাবে গর্ত থেকে উঠে এসেছিল?

উঃ। সোনা ও টিয়া পোস্টাপিসের পিওনকে বাঘের গর্তে ফেলেছিল। কারণ তারা তাকে পেয়াদা ভেবেছিল। পিয়ন ধপাস করে গর্তের ভিতরে পড়ে থাকা তিনটে সত্যিকারের পেয়াদার উপর পড়েছিল। অনেক জেরা করবার পর পেয়াদারা ঠেলেঠুলে পিয়নকে গর্তের ওপরে তুলে দিয়েছিল।

No comments:

Post a Comment