👉(সপ্তম শ্রেণী বাংলা কুতুব মিনানের কথা প্রশ্ন উত্তর সহায়িকা)
সারসংক্ষেপ : খেয়ালখুশিতে যখন কবি রং ছড়িয়ে ছবি আঁকেন তখন তিনটি শালিক ঝগড়া থামায় । চড়ুই পাখি অবাক হয়ে তাকায় । মাছরাঙা পাখি মাছ ধরা ভুলে গিয়ে তার নীল রং ধার দিতে চায় । প্রজাপতির ঝাঁক বারবার চায় তাদের যেন ছবিতে আঁকা হয় । গর্ত থেকে ইঁদুর পিটপিট চোখে চেয়ে আছে । আজ দুপুরে কবিকে পেয়ে রং - তুলিরা বেজায় খুশি । যখন মাঠে চাঁদের দুধের সর পুরু হয়ে জমাট বাঁধে , তখন থেকে কবির ছড়া লেখা শুরু হয় । আবার যেন তারার মালা খুব গোপনে নামছে কাছে । বকুল গাছে জোনাকিরা যেন ‘ অ ’ , ‘ আ ’ লিখছে । এই ছড়াই কবির কাছে আনন্দের , পদক পাওয়ার ।
◾একটি বাক্যে উত্তর দাও :
১. কবি কখন ছবি আঁকেন ?
উত্তর । দুপুর বেলায় কবি ছবি আঁকেন ।
২. কখন তাঁর ছড়া লেখার শুরু ?
উত্তর । বাতাস ঈষৎ কাঁপলেই কবির ছড়া লেখার শুরু
৩. তিনটি শালিক কী করে ?
উত্তর । তিনটি শালিক ঝগড়া থামায় ।
৪. কে অবাক হয়ে তাকায় ?
উত্তর । চড়ুই পাখি অবাক হয়ে তাকায় ।
৫. মাছরাঙা কী চায় ?
উত্তর । মাছরাঙা নীল রং ধার দিতে চায় ।
৬. প্রজাপতিদের ইচ্ছা কী ?
উত্তর । তাদের যেন এঁকে রাখা হয় ।
৭. গর্তে কে থাকে ?
উত্তর । ইঁদুর গর্তে থাকে ।
৮. চাঁদের পুরু দুধের সর কোথায় জমে ?
উত্তর । মাঠে চাঁদের পুরু দুধের সর জমে ।
৯. কারা , কোথায় অ - আ লিখছে ?
উত্তর । জোনাকিরা বকুল গাছে অ - আ লিখছে ।
১০. কবি কোন বিষয়কে ‘ পদক পাওয়া ' মনে করেছেন ?
উত্তর । ছড়া লেখাকে কবি ‘ পদক পাওয়া ’ মনে করেছেন ।
◾দু - তিনটি বাক্যে উত্তর দাও :
১. কবি যখন ছড়া লিখতে শুরু করেন তখন চারপাশের প্রকৃতিতে কী কী পরিবর্তন ঘটে ?
উত্তর । মাঠে যখন চাঁদের দুধের সর পুরু হয়ে জমে যায় , বাতাসে যখন ঈষৎ কাঁপন দেয় , আকাশে তারারা মালার মতো সেজে ওঠে এবং জোনাকিরা গাছে গাছে বসে — তখন কবি ছড়া লিখতে শুরু করেন ।
২. কবি যখন ছবি আঁকেন তখন কী কী ঘটনা ঘটে ?
উত্তর । কবি যখন ছবি আঁকেন তখন তিনটি শালিক ঝগড়া থামায় , চড়ুই পাখি অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে । মাছকে ভুলে মাছরাঙা তার নীল রং ধার দিতে চায় । প্রজাপতি ছবি হতে চায় । গর্ত থেকে ইঁদুর বেরিয়ে পিটপিট চোখে চেয়ে থাকে ।
৩. ‘ তিনটি শালিক ঝগড়া থামায়'— কোন কবির কোন কবিতায় এমন তিন শালিকের প্রসঙ্গ অন্যভাবে আছে ?
উত্তর । ' তিনটি শালিক ঝগড়া করে — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ।
৪. মাছরাঙা পাখি কেমন দেখতে ? সে মৎস্য ভুলে যায় কেন ?
উত্তর।মাছরাঙা পাখির চোখ তীক্ষ্ণ , ক্ষুরধার , লম্বা ঠোঁট এবং গায়ে নীল হলুদ ডোরাকাটা । →→ কারণ কবি ছবি আঁকছেন দেখে সে মৎস্য ভুলে যায় ।
৫. “ রং - তুলিরা বেজায় খুশি আজ দুপুরে আমায় পেয়ে ” – কবির এমন বক্তব্যের কারণ কী ?
উত্তর । কেননা , রং - তুলিরাও যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে । প্রকৃতির নানা ছবি তারা আঁকছে । সেই রং - তুলির আঁকা দেখে শালিক পাখি ঝগড়া থামিয়ে দিয়েছে , চড়ুই অবাক হয়ে দেখছে । মাছরাঙা মাছ শিকার ভুলে গেছে । ইঁদুর গর্ত থেকে বেরিয়ে অবাক হয়ে দেখছে । এ সব দেখে রং - তুলিরাও বেজায় খুশি ।
৬. “ অ ' লিখছে ' আ ' লিখছে " — কারা কীভাবে এমন লিখছে ? তাদের দেখে কী মনে হচ্ছে ?
উত্তর । জোনাকিরা একসঙ্গে মিলিত হয়ে ' অ'- ' আ ' লিখছে । তাদের দেখে যেন তারার মালা মনে হচ্ছে ।
◾ অনধিক দশটি বাক্যে উত্তর দাও :
১. ' এই ছড়াতেই আজ আমাকে তোমার কাছে আনলো হাওয়া'— কাকে উদ্দেশ্য করে কবি একথা বলেছেন ? কবির আঁকা এবং লেখা - র সঙ্গে এই মানুষটির উপস্থিতির সম্পর্ক এবং গুরুত্ব বিচার করো ।
উত্তর । কবি তাঁর প্রিয়তমাকে উদ্দেশ্য করে একথা বলেছেন । কবির আঁকা এবং লেখার সঙ্গে কবির প্রিয়তমার যোগ অবিচ্ছেদ্য । তিনি তার কবিতা লেখার অনুপ্রেরণা । ছবি আঁকার সৃষ্টিসম্ভার । প্রকৃতির নানা অনুষঙ্গে তিনি তাঁর প্রিয়তমার মুখ দেখতে পান । আর সেই প্রতিমা যেন তাঁর ছবিতে এসে ধরা পড়ে । এই প্রিয়তমা তাঁর কবিতার ধরা পড়ে । এভাবেই কবির আঁকা এবং লেখার সঙ্গে এই মানুষটির উপস্থিতির সম্পর্ক যা গুরুত্ব পায় ।
২. এই কবিতায় যে যে উপমা ও তুলনা ব্যবহৃত হয়েছে , সেগুলির ব্যবহারের সার্থকতা বুঝিয়ে দাও ।
উত্তর । এখানে যে সব উপমা এবং তুলনা ব্যবহার করা হয়েছে তা সার্থক । এখানে দেখানো হয়েছে তিনটি শালিক ঝগড়া থামায় । চড়ুই পাখি অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে । মাছ শিকার ভুলে গিয়ে মাছরাঙা নীল রং ধার দিতে চায় , আবার প্রজাপতি যেন ছবিতে স্থান করে নিতে চায় । গর্ত থেকে ইঁদুর বেরিয়ে পিটপিট চোখে তাকিয়ে থাকে । মাঠে চাঁদের দুধের পুর সর জমে যায় এবং বাতাসে সামান্য কম্পন শুরু হলে কবি ছড়া লেখা শুরু করেন । আকাশের তারা যেন মালা হয়ে ধরা দিয়েছে । বকুল গাছে জোনাকিরা যেন অ - আ লিখছে । এইসব উপমা এবং তুলনা কবিতাটিকে সমৃদ্ধ করেছে ।
৩. ছবি আঁকা , ছড়া / কবিতা লেখার মধ্যে তুমি নিজে কোনটা , কেন বেশি পছন্দ করো তা লেখো ।
উত্তর । আমি কবিতা লেখাকে বেশি পছন্দ করি । কারণ , কবিতা লেখার সঙ্গে আমার প্রাণের সংযোগ । কবিতার মধ্যে নিজের অনুভূতিকে প্রকাশ করা যায় । এই অনুভূতির মধ্যে ধরা পড়ে মনের নানা ছবি । এই ছবি হল প্রকৃতির নানা অনুষঙ্গ । আসলে প্রকৃতির নানা অনুষঙ্গের সঙ্গে মিশে যায় মন । বাস্তবের নানা উপকরণের সঙ্গে অন্তঃপ্রকৃতি মিলে গিয়ে একটা নতুন সুর , নতুন ছন্দ সৃষ্টি হয় । যা আমার মনকে আনন্দ দেয় । তাই আমার কবিতা লিখতে অনেক বেশি ভালো লাগে ।
No comments:
Post a Comment