👉(Class 7th Geography Chapter -3 Questions And Answers )
প্রশ্ন: সমাক্ষরেখা কাকে বলে?
উত্তর: ভূগোলকের ওপর একই অক্ষাংশবিশিষ্ট স্থানবিন্দু গুলিকে পরপর যুক্ত করে যে রেখাটির সৃষ্টি হয়, তাকে সমাক্ষরেখা বলে। অর্থাৎ, সমান অক্ষাংশবিশিষ্ট রেখাকে সমাক্ষরেখা বলা হয় এবং একই সমাক্ষরেখার ওপর অবস্থিত প্রতিটি স্থানের অক্ষাংশ একই (সমান)।
প্রশ্ন: দ্রাঘিমারেখার অপর নাম দেশান্তর রেখা কেন?
উত্তর: মূলমধ্যরেখার পূর্বে বা পশ্চিমে কোনো দেশের অবস্থান সহজেই দ্রাঘিমারেখার সাহায্যে নির্ণয় করা যায়। দ্রাঘিমারেখার মানের সাহায্যেই এক দেশ থেকে আর এক দেশের সময়ের পার্থক্য জানা যায়। তাই দ্রাঘিমারেখাকে দেশান্তর রেখা বলে।
প্রশ্ন: ক্ষুদ্রবৃত্ত (Small Circle) কী?
উত্তর: পৃথিবীর ওপর কল্পিত বা ভূগোলকের ওপর অঙ্কিত যে-সকল বৃত্তের কেন্দ্র পৃথিবী বা ভূগোলকের কেন্দ্রের সঙ্গে একই বিন্দুতে অবস্থান করে না সেই সকল বৃত্তকে ক্ষুদ্রবৃত্ত বলে। যেমন- পৃথিবীর বৃত্তাকার অক্ষরেখাগুলির মধ্যে নিরক্ষরেখা (মহাবৃত্ত) বাদে অন্যান্য অক্ষরেখাগুলি ক্ষুদ্রবৃত্ত।
প্রশ্ন: ভারত কেন উত্তর-পূর্ব গোলার্ধের দেশ?
উত্তর: পৃথিবীর মানচিত্র লক্ষ করলে দেখা যাবে ভারতের অক্ষাংশগত বিস্তৃতি দক্ষিণে 8°04′ উত্তর অক্ষাংশ থেকে উত্তরে 37°06′ উত্তর অক্ষাংশ পর্যন্ত অর্থাৎ, অক্ষাংশ অনুযায়ী ভারত উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত। অন্যদিকে, দ্রাঘিমাগত ভারতের বিস্তৃতি 68° পূর্ব থেকে 97° পূর্ব দ্রাঘিমা পর্যন্ত। অর্থাৎ, দ্রাঘিমা অনুযায়ী ভারত পূর্ব গোলার্ধের দেশ। স্বাভাবিকভাবেই তাই ভারত হল উত্তর পূর্ব গোলার্ধের অন্তর্গত একটি দেশ।
প্রশ্ন: রৈখিক দূরত্ব (Linear Distance) কাকে বলে?
উত্তর: কোনো সমতল জায়গায় দুটি স্থানের দূরত্ব সোজাসুজি ফিতে বা দড়ি দিয়ে মাপার পর ওই মাপটিকে সেন্টিমিটার, মিটার, কিলোমিটার ইত্যাদির মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। এইভাবে দূরত্ব প্রকাশ করাকে বলে রৈখিক দূরত্ব (Linear Distance) ।
প্রশ্ন: কৌণিক দূরত্ব (Angular Distance) কাকে বলে?
উত্তর: কোনো স্থান এবং নিরক্ষরেখা বা মূলমধ্যরেখা পৃথিবীর কেন্দ্রে যে কোণ উৎপন্ন করে, তাকে ওই স্থানের কৌণিক দূরত্ব (Angular Distance) বলে।
প্রশ্ন: প্রমাণ দ্রাঘিমা কাকে বলে?
উত্তর: সাধারণত গ্রিনিচের ওপর দিয়ে কল্পিত প্রধান দ্রাঘিমারেখা বা মূলমধ্যরেখা, যার মান 0°, তাকে পৃথিবীর প্রমাণ দ্রাঘিমা বলা হয়। তবে একাধিক দ্রাঘিমাযুক্ত দেশের মধ্যে সময়ের অসুবিধা দূর করার জন্য কোনো একটি বা তার বেশি দ্রাঘিমাকে প্রমাণ দ্রাঘিমা ধরে, সময় গণনা করা হয়। যেমন- ভারতের প্রমাণ দ্রাঘিমা 82°30′ পূর্ব।
No comments:
Post a Comment