Class 7th Geography Chapter -3 Questions And Answers | ক্লাস 7th ভূগোল সহায়িকা | সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর, অশ্ব অক্ষাংশ (Horse Latitude), ঘূর্ণবাত (Cyclone), বায়ুমণ্ডলীয় চাপ (Atmospheric Pressure) কাকে বলে ? - Psycho Principal

Fresh Topics

Monday, 16 December 2024

Class 7th Geography Chapter -3 Questions And Answers | ক্লাস 7th ভূগোল সহায়িকা | সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর, অশ্ব অক্ষাংশ (Horse Latitude), ঘূর্ণবাত (Cyclone), বায়ুমণ্ডলীয় চাপ (Atmospheric Pressure) কাকে বলে ?

 

সপ্তম শ্রেণীর 
ভূগোল


👉(Class 7th Geography Chapter -3 Part-3  Questions And Answers )


প্রশ্ন: অশ্ব অক্ষাংশ (Horse Latitude) 


উত্তর:  সংজ্ঞা: কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয়কে অশ্ব অক্ষাংশ বা Horse Latitude বলা হয়।

অবস্থান: উভয় গোলার্ধে 25°-35° অক্ষাংশের মধ্যে অবস্থিত।

সৃষ্টি: কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয় বরাবর শীতল ও ভারী বায়ু ওপর থেকে নীচে নেমে আসায় ভূপৃষ্ঠের সমান্তরালে কোনো বায়ুপ্রবাহ দেখা যায় না। ফলে এই দুটি বলয়ে শান্ত অবস্থা বিরাজ করে। এ কারণে ষোড়শ শতকে পালতোলা জাহাজগুলি এই শান্তবলয়ে এসে গতিহীন হয়ে পড়ত। ফলে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপ থেকে আসা ঘোড়া ভরতি জাহাজগুলির পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ ও আমেরিকায় যেতে অনেক বেশি সময় লাগত। এই সময় পানীয় জল ও খাবারের সংকট কমাতে এবং জাহাজকে হালকা করার উদ্দেশ্যে নাবিকরা বেশ কিছু ঘোড়া (অশ্ব) সমুদ্রের জলে ফেলে দিত। এ কারণে এই দুই ক্রান্তীয় শান্তবলয় অশ্ব অক্ষাংশ নামে পরিচিত।


প্রশ্ন: ঘূর্ণবাত (Cyclone) 

উত্তর:  সংজ্ঞা: কোনো অল্প পরিসর জায়গায় উয়তা বৃদ্ধির কারণে হঠাৎ করে বায়ুর চাপ কমে গেলে শক্তিশালী নিম্নচাপ কেন্দ্রের সৃষ্টি হয় এবং বাইরের দিকে উচ্চচাপ বিরাজ করে। এই অবস্থায় উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে এই নিম্নচাপ কেন্দ্রের দিকে বায়ু প্রবল গতিতে ছুটে আসে, একে ঘূর্ণবাত বলে।

বৈশিষ্ট্য: ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে নিম্নচাপ ও বাইরে উচ্চচাপ বিরাজ করায় বায়ুপ্রবাহ কেন্দ্রমুখী হয়। ঘূর্ণবাতের বায়ুপ্রবাহ উত্তর-গোলার্ধে ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে (বামদিকে) এবং দক্ষিণ গোলার্ধে ঘড়ির কাঁটার দিকে (ডানদিকে) চক্রাকারে কেন্দ্রে প্রবেশ করে। ঘূর্ণবাত দু-ধরনের হয়, ক্রান্তীয় ও নাতিশীতোয় অঞ্চলের ঘূর্ণবাত। ঘূর্ণবাতের বিস্তার কম অঞ্চল জুড়ে হয়। ঘূর্ণবাতের গড় গতিবেগ প্রায় 160 - 500 কিমি/ঘণ্টা পর্যন্ত হতে পারে। - • ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে শান্ত পরিবেশ থাকে। ঘূর্ণবাত স্বল্পস্থায়ী হয়। • ঘূর্ণবাতের প্রভাবে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হওয়ায় জীবন ও সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।


প্রশ্ন: প্রমাণ চাপ বা বায়ুমণ্ডলের স্বাভাবিক চাপ কাকে বলে ?

উত্তর: ০° উয়তায় 45° অক্ষাংশে সমুদ্রতলে বায়ুর চাপ 76 সেমি পারদস্তম্ভের চাপের সমান। অর্থাৎ, 0° উন্নতায় 45° অক্ষাংশে সমুদ্রপৃষ্ঠে 76 সেমি পারদস্তম্ভ যে চাপ দেয় সেটিই প্রমাণ চাপ বা বায়ুমণ্ডলের স্বাভাবিক চাপ। এর মান প্রতি বর্গসেন্টিমিটারে 1 কিলোগ্রাম বায়ুর ওজন বা 1013.25 মিলিবার।


প্রশ্ন: বায়ুমণ্ডলীয় চাপ (Atmospheric Pressure) কাকে বলে ?

উত্তর:  ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগে অবস্থানরত বায়ুমণ্ডল ভূপৃষ্ঠস্থ কোনো একক ক্ষেত্রফলের ওপর উল্লম্বভাবে যে বল বা চাপ প্রয়োগ করে, তাকেই সেই স্থানের বায়ুমণ্ডলীয় চাপ (Atmospheric Pressure) বলে।


প্রশ্ন: উচ্চচাপ (High Pressure) কাকে বলে ? 

উত্তর: কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলের নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুর চাপ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের বায়ুর চাপ অপেক্ষা বেশি হলে, তখন তাকে বায়ুর উচ্চচাপ অবস্থা বলে। ব্যারোমিটার যন্ত্রে বায়ুচাপের মাত্রা 1013 মিলিবার বা তার বেশি হলে, তবে সেই অবস্থাকে বায়ুর উচ্চচাপ বলা হয়। সমচাপরেখা মানচিত্রে উচ্চচাপ (High Pressure) বোঝাতে 'H' লেখা থাকে।


প্রশ্ন: নিম্নচাপ (Low Pressure) কাকে বলে ? 

উত্তর:  কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলের নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুর চাপ পার্শ্ববর্তী বায়ুর চাপ অপেক্ষা কম হলে, তখন তাকে বায়ুর নিম্নচাপ অবস্থা বলে। ব্যারোমিটার যন্ত্রে বায়ুচাপের মাত্রা 986 মিলিবার বা তার কম হলে, তবে সেই অবস্থাকে বায়ুর নিম্নচাপ বলা হয়। সমচাপ রেখামানচিত্রে নিম্নচাপ (Low Pressure) বোঝাতে 'L' লেখা থাকে।


প্রশ্ন: বায়ু চাপ দেয় কেন ? 

উত্তর: কঠিন তরল বা গ্যাসীয় সব পদার্থ অণু দিয়ে তৈরি। কঠিন বা তরল পদার্থকে আমরা দেখতে পেলেও গ্যাসীয় পদার্থকে আমরা দেখতে পাই না। গ্যাসীয় পদার্থের অণুগুলো ব্রাউনীয় গতিতে" আলগাভাবে বিভিন্ন দিকে ঘুরে বেড়ায় বলে পরস্পরের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। কোনো বস্তুর সঙ্গে বায়ুর এই অণুগুলোর যখন ধাক্কা লাগে তখন চাপ সৃষ্টি হয়। এইভাবে বায়ু চাপ দেয়। আয়তন কমলে বায়ুর অণুগুলির মাঝের দূরত্ব কমে ফলে ঘনত্ব বাড়ে এবং প্রতি সেকেন্ডে অণুগুলোর ধাক্কাও বাড়ে, তাই বায়ুচাপ বেশি হয়। আবার এর বিপরীত ক্ষেত্রে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়।


প্রশ্ন: আমরা বায়ুমণ্ডলীয় চাপ অনুভব করি না কেন? অথবা, বায়ুর চাপ আছে, কিন্তু তুমি সেই প্রচণ্ড চাপ বুঝতে পারছ না কেন ?

উত্তর: ভূপৃষ্ঠের যাবতীয় বস্তুর ওপর বায়ু চাপ দেয়। আমাদের দেহের ওপরেও বায়ু চাপ দেয়, কিন্তু আমরা তা অনুভব করতে পারি না, কারণ আমাদের শরীরের ভেতরে যে বায়ু আছে সেই বায়ুর চাপ বাইরের বায়ুর চাপের সমান। সে-কারণে একটি চাপ অপর চাপটিকে কার্যকর হতে দেয় না। কিন্তু উঁচু পর্বতে আরোহণ করলে দেহ অভ্যন্তরীণ চাপ অপরিবর্তিত থাকলেও বাইরের বায়ুচাপ কমতে থাকে। ফলে নানারকম শারীরিক গোলযোগ; যেমন- শ্বাসকষ্ট, নাক দিয়ে রক্তপাত ইত্যাদি হতে পারে।


প্রশ্ন: ব্যারোমিটার কত ধরনের হয় ?

উত্তর: ব্যারোমিটার প্রধানত দু-ধরনের হয়- ফর্টিন বা পারদ ব্যারোমিটার এবং অ্যানিরয়েড বা নিস্তরল ব্যারোমিটার।


প্রশ্ন: ব্যারোমিটারের দুটি ব্যবহার লেখো।

উত্তর:  ব্যারোমিটারের পাঠ থেকে কোনো স্থানের আবহাওয়ার পূর্বাভাস, যেমন- বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা, ঝড়ের সংকেত, শুষ্ক আবহাওয়া, আবহাওয়ার উন্নতি ইত্যাদি সম্বন্ধে ধারণা পাওয়া যায়। • সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে বিভিন্ন স্থানের উচ্চতা নির্ণয় করা যায়।


প্রশ্ন: ঝড়ের আগে বাতাস প্রবাহিত হয় না কেন? অথবা, ঝড়ের পূর্বে থমথমে আবহাওয়া বিরাজ করে কেন ?

উত্তর:  কোনো স্থানে হঠাৎ স্থানীয় বা আঞ্চলিক কোনো কারণে বায়ু উয় হয়ে পড়লে বায়ু দ্রুত প্রসারিত ও হালকা হয়ে ওপরে উঠে যায় এবং ওই স্থানে বায়ু প্রায় থাকে না বলে গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। চারপাশ থেকে শীতল ভারী বাতাস যতক্ষণ না পর্যন্ত ওই শূন্যস্থান পূরণ করার জন্য ছুটে আসে ততক্ষণ পর্যন্ত ওই অঞ্চলে বাতাস প্রবাহিত না হয়ে থমথমে আবহাওয়া বিরাজ করে এবং শীতল বাতাস আসার সঙ্গে সঙ্গে ঝড় শুরু হয়।

No comments:

Post a Comment