Class 7th Swasthya o Sharir Shikkha Chapter-1 | সপ্তম শ্রেণীর স্বাস্থ্য ও শারীর শিক্ষা প্রথম অধ্যায় শারীরশিক্ষার মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তর - Psycho Principal

Fresh Topics

Thursday, 19 December 2024

Class 7th Swasthya o Sharir Shikkha Chapter-1 | সপ্তম শ্রেণীর স্বাস্থ্য ও শারীর শিক্ষা প্রথম অধ্যায় শারীরশিক্ষার মৌলিক ধারণা প্রশ্ন উত্তর

  

প্রথম অধ্যায় 
শারীরশিক্ষার মৌলিক ধারণা 
প্রশ্ন উত্তর


"দ্বিতীয় অধ্যায় স্বাস্থ্য শিক্ষা" প্রশ্ন উত্তর পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করো

👉 ( দ্বিতীয় অধ্যায় স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রশ্ন উত্তর )


প্রথম অধ্যায় 

শারীরশিক্ষার মৌলিক ধারণা 

প্রশ্ন উত্তর


⬛ সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো : প্রতিটা প্রশ্নের মান -1

1.মোহনবাগান একের পর এক সাহেব ও ফৌজি দলগুলিকে পর্যুদস্ত করে প্রথম আই এফ এ শিল্ড জয়লাভ করেছিল— ১৯২০/১৯১১/২০১১/১৮১১ সালে। 

উঃ। ১৯১১ সালে।


2. ভারত-চিন যুদ্ধ হয়েছিল ১৯৬৪/১৯৬৮/১৯৪৭/১৮৬৭ সালে। 

উঃ। ১৯৬৪ সালে।


3. একটানা লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ১৯৭০-১৯৭৫/১৯৭২-১৯৭৮/১৮১১-১৮১৭/১৯৮০-১৯৮৫ সালে।

উঃ। ১৯৭০-১৯৭৫ সালে।


4.কত সালে অ্যামেচার অ্যাথলিটিক্স ফেডারেশন (AAFI) গঠিত হয়? (ক) ১৯৪৮ (খ) ১৯৪৯ (গ) ১৯৪৬ (ঘ) ১৯৫০। 

উঃ। (গ) ১৯৪৬।


5. অ্যাথলিটিক্স শব্দটি কোথা থেকে এসেছে? (ক) ইথানল (খ) মিথানল (গ) অ্যাথলন (ঘ) এথেন্স।

উঃ। (গ) অ্যাথলন ।


6.মোহনবাগান ক্লাব কত সালে সাহেবদের হারিয়ে শিল্ড চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল? (ক) ১৮১১ (খ) ১৯১১ (গ) ২০১১, (ঘ) ১৯১৬।

উঃ। ১৯১১।


7.১৯৫২ সালে এন. সি. সি.-র কোন্ বিভাগের প্রশিক্ষণ শুরু হয়? (ক) স্থলসেনা (খ) বায়ুসেনা (গ) নৌসেনা (ঘ) পুলিশ। 

উঃ (গ) নৌসেনা।


8. ভারত-চিন যুদ্ধ হয়েছিল কত সালে? (ক) ১৯৬৪ (খ) ১৯৬৮ (গ) ১৯৭১ (ঘ) ১৯৯৮। 

উঃ ১৯৬৪৷


 নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও : প্রতিটা প্রশ্নের মান -১ / 

. কুমোরটুলি কোন্ কোন্ সালে দ্বিতীয় বিভাগ লিগে রানার্স আপ হয়েছিল?

উঃ। ১৯১৭ ও ১৯১৮ সালে পরপর দুই বছর কুমোরটুলি দ্বিতীয় বিভাগ লিগে রানার্স আপ হয়েছিল।


২. সুরেশ চৌধুরী কে ছিলেন?

উঃ। টাঙ্গাইল মহকুমার নাগপুর গ্রামের জমিদার সুরেশ চৌধুরী একজন ফুটবলপ্রেমী ও ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।


৩. সুরেশ চৌধুরী কোন্ ক্লাবকে বড়ো করে গড়ে তোলেন? পরে ক্লাবের নাম কী হয়? 

উঃ। সুরেশ চৌধুরী কুমোরটুলি পার্কের ক্যালকাটা ইউনিয়ন ক্লাবকে বড়ো করে গড়ে তোলেন। পরে ইংরাজিতে এই ক্লাবের নাম রাখা হয় ইস্টবেঙ্গল।


৪. কবে, কোথায় ইস্টবেঙ্গল ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয় ?

উঃ। ১৯২০ সালে রায়বাহাদুর তড়িৎভূষণ রায়ের বাড়িতে এক সভায় ইস্টবেঙ্গল ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়।


৫. ১৯২০ সালে ইস্টবেঙ্গল দলের অধিনায়ক কে ছিলেন?

উঃ। গোষ্ঠপাল।


৬. কত সালে ইস্টবেঙ্গলের তাঁবু তৈরি হয় ?

উঃ। ১৯২৪ সালে ধীরে ধীরে ইস্টবেঙ্গলের তাঁবু তৈরি হয়।


৭. ১৯৩২ সালে ইস্টবেঙ্গল কোন্ সফরে গিয়েছিল ?

উঃ। বর্মা সফরে গিয়েছিল।


৮. ১৯৫৩ সালে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় বছর কেন?

উঃ। ১৯৫৩ সালে প্রথম ভারতীয় দল হিসেবে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব গিয়েছিল ইউরোপ ও সোভিয়েত ইউনিয়নে।


৯. কোন্ দশককে ইস্টবেঙ্গলের সাফল্যের দশক বলা হয়?

উঃ। সত্তরের দশককে ইস্টবেঙ্গলের সাফল্যের দশক ও স্বর্ণযুগ বলা হয়।


১০. ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কবে টানা লিগ চ্যাম্পিয়ান হয়?

উঃ। ১৯৭০ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত টানা লিগ চ্যাম্পিয়ান হয় ইস্টবেঙ্গল ক্লাব।



▨ দু-এক কথায় উত্তর দাও : প্রতিটা প্রশ্নের মান -1/2


1.খেলা কী ? 

উঃ। খেলা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি যা সৃজনশীল ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে মানুষকে আনন্দ প্রদান করে।


2. ড্রিল কাকে বলে ?

উঃ। ড্রিল হলো ছন্দোময়, শৃঙ্খলাবদ্ধ বিভিন্ন সৌন্দর্যমূলক ব্যায়ামের সমষ্টি। এর মূল লক্ষ্য হলো মৌলিক অঙ্গসঞ্চালনগুলির উৎকর্ষতা বৃদ্ধি করা। সামরিক বাহিনীতে এর বিশেষ প্রচলন আছে।


3. প্রত্যক্ষ বিনোদন কাকে বলে?

উঃ। যে সকল কাজে ব্যক্তি প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আনন্দলাভ করে সেই কাজকে প্রত্যক্ষ বিনোদন বলে। যেমন—গান করা, বই পড়া, নাটক করা, খেলাধূলা করা।


4.পরোক্ষ বিনোদন কাকে বলে?

উঃ। যে সকল কাজে ব্যক্তি সরাসরি অংশগ্রহণ না করেও তৃপ্তি পায় সেই কাজকে পরোক্ষ বিনোদন বলে। যেমন—সিনেমা দেখা, নাটক দেখা, খেলা দেখা, ভিডিও গেমস ইত্যাদি।


5. সৃজনশীল বিনোদন বলতে কী বোঝো ?

উঃ। অবসর সময়ে যে সমস্ত কাজে ব্যক্তি নতুন কিছু সৃষ্টি করার চিন্তাভাবনা করে তাকে সৃজনশীল বিনোদন বলে। যেমন-কবিতা লেখা, বাগান তৈরি করা ইত্যাদি।


6.কত সালে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা এন.সি.সি.-তে যোগদানের অধিকার লাভ করে ? 

উঃ। ১৯৪৯ সালে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা এন. সি. সি. তে যোগদানের অধিকার পায়।


7. এন. সি. সি. দিবস হিসাবে কোন্ দিনটিকে পালন করা হয়?

উঃ। প্রতি বছর নভেম্বর মাসের চতুর্থ রবিবারটি এন. সি. সি. দিবস রূপে পালন করা হয়।


8.কবে, কত সালে এন. সি. সি. প্রতিষ্ঠিত হয়?

উঃ। ১৯৪৮ সালের ১৬ই জুলাই এন সি সি প্রতিষ্ঠিত হয়।


9.এন. সি. সি-র পতাকার বর্ণনা দাও।

উঃ। ১৯৫১ সাল পর্যন্ত এন.সি.সি.-র পৃথক পতকা ছিল। ১৯৪৪ সালে এন.সি.সি.-র একটি সমন্বিত পতকা চালু হয়। এই পতাকার রং নীল, লাল, আকাশি। পতাকায় থাকা হালকা নীল রং নৌ-সেনাবাহিনীর প্রতীক, হালকা আকাশি রং বায়ুসেনা বাহিনীর প্রতীক, লাল রং স্থলসেনা বাহিনীর প্রতীক।


⬛অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান -1

১. গতি সঞ্চালনমূলক বিকাশ কাকে বলে ?

উঃ। বিভিন্ন শরীরিক ক্রিয়াকলাপে সীমিত শক্তি ব্যয় করে ত্রুটিহীন অঙ্গসঞ্চালনকে গতি সঞ্চালনমূলক বিকাশ বলে ৷


২. অ্যাথলিট কাকে বলে ?

উঃ। অ্যাথলিটিক্‌স্ শব্দটি গ্রিক শব্দ অ্যাথলন থেকে উৎপন্ন হয়েছে, যার অর্থ প্রতিযোগিতা। এতে অংশগ্রহণকারীদের বলা হয় অ্যাথলিট।


৩. আস্তিন বিনোদন কাকে বলে?

উঃ। যে-সকল কাজ সমাজ স্বীকৃত নয়, কিন্তু ব্যক্তি অংশগ্রহণের মাধ্যমে আনন্দ পায়, তাকে আস্তিন বিনোদন বলে। যেমনঃ-জুয়া খেলা ইত্যাদি। 


৪. বিনোদনের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

উঃ। (i) বিনোদনমূলক ক্রিয়াকর্মগুলো আনন্দদায়ক হবে। 

(ii) বিনোদনমূলক কার্যাবলি সামাজিকভাবে স্বীকৃত হবে। 


৭. এন. সি. সির পরীক্ষা ব্যবস্থা কী?

উঃ। সপ্তম থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা জুনিয়ার বিভাগে যোগদান করতে পারে। তাদের নুন্যতম বয়স হতে হবে ১৩ বছর ৬ মাস থেকে ১৫ বছর। একবছর প্রশিক্ষণের পরে পরীক্ষায় পাশ করলে ‘A’শংসাপত্র পাওয়া যায়। সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে এই শংসাপত্রধারীদের বিশেষ সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের ছাত্রছাত্রীদের জন্য ৩ বছরের সিনিয়ার ডিভিশন কোর্স। এখানে দু-বছর প্রশিক্ষণের পরে ‘B’ শংসাপত্র দেওয়া হয় এবং 'B' (SD wings/SW wings) শংসাপত্র পাশ করার পরের বছর 'C' শংসাপত্রের জন্য পরীক্ষা দেওয়া যায়।


৮. জাতীয় সমর শিক্ষার্থী বাহিনী কী ?

উঃ। সামরিক শিক্ষার নামান্তর জাতীয় সমর শিক্ষার্থী বাহিনী। ইংরেজ আমলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর উন্নতিসাধনে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়।


৯. ভারতীয় জাতীয় সমর শিক্ষার্থী বাহিনী কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ?

উঃ। ১৯৪৮ সালের ১৬ জুলাই প্রতিরক্ষা দফতরের অধীনে এইচ এন কুঁজারা কমিটির সুপারিশ অনুসারে ভারতীয় জাতীয় সমর শিক্ষার্থী বাহিনী প্রতিষ্ঠিত হয়।


⬛ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান -2/3

১. বিনোদনের শ্রেণি বিভাগ করো। এর গুরুত্বগুলি লেখো।

উঃ। বিনোদনকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন- (i) প্রত্যক্ষ বিনোদন, (ii) পরোক্ষ বিনোদন, (iii) সৃজনশীল বিনোদন। বিনোদনের গুরুত্বগুলি হলো— (a) মানুষের জীবনে ক্লান্তি ও একঘেয়েমি দূর করে স্বাভাবিক জীবনযাপনে সাহায্য করে। (b) মানুষের শরীর ও মনকে সতেজ করে তোলে। (c) বিনোদনের মাধ্যমে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের উন্নতি ঘটে। (d) সমাজে উঁচুনীচু সর্বস্তরের মানুষ এতে অংশগ্রহণ করে, ফলে একটি সামাজিক ঐক্য তৈরি হয়। (e) খেলাধূলার মাধ্যমে স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা মানসিক দৃঢ়তা, আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায় কিন্তু স্বার্থপরতা দূর হয়। দৈনন্দিন জীবনের শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তির হাত থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য বিনোদনের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।


২. এন. সি. সি. পরীক্ষার্থীদের কী কী ধরনের কাজে অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে? 

উঃ। এন. সি. সি. পরীক্ষার্থীদের করণীয় কার্যগুলি হল—

(a) নিয়মিত বিদ্যালয় প্রশিক্ষণে যাওয়া (b) বিভিন্ন ধরনের ৭-১০ দিনের আবশ্যিক প্রশিক্ষণ শিবিরে যাওয়া (c) প্রধানমন্ত্রীর র‍্যালিতে অংশ নেওয়া (d) আদর্শ গ্রাম গঠন অভিযানে যাওয়া (e) রাজ্যের প্রজাতন্ত্র দিবসে কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করা (f) বিভিন্ন সমাজসেবা ও স্বাস্থ্য সচেতনতা অভিযানে অংশ নেওয়া (g) দিল্লিতে অনুষ্ঠিত প্রজাতন্ত্র দিবসে কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করা (h) দুঃসাহসিক অভিযান, পর্বতারোহণ অভিযান, হিমালয় অভিযান, প্যারা ট্রেনিং, গ্লাইডিং, সাইকেল অভিযানে অংশ নেওয়া ইত্যাদি।


৩. ড্রিল কী? একে কি শারীরশিক্ষা বলা যায় ?

উঃ। ড্রিল হলো ছন্দোময়, শৃঙ্খলাবদ্ধ বিভিন্ন সৌন্দর্যমূলক ব্যায়ামের সমষ্টি। এর মূল লক্ষ্য হলো মৌলিক অঙ্গসঞ্চালনগুলির উৎকর্ষতা বৃদ্ধি করা। সামরিক বাহিনীতে এর বিশেষ প্রচলন আছে। ড্রিল শুধুমাত্র দেহ ভঙ্গিমা ও সুঅভ্যাস গঠনে সাহায্য করে; কিন্তু এককভাবে ব্যক্তিত্বের সঠিক বিকাশ ঘটায় না। তাই ড্রিলকে শারীরশিক্ষা বলা যায় না। এর বিস্তৃতি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে আবদ্ধ।


৪. টীকা লেখো : খেলা

উঃ । খেলা হলো মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। এটি সৃজনশীল ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে মানুষকে স্বতঃস্ফূর্ত আনন্দ প্রদান করে। খেলার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এটি প্রকৃতিগতভাবে প্রতিযোগিতা বর্জিত এবং কার্যগতভাবে শিশুর সার্বিক বিকাশের পরিপূরক। খেলার জন্য নির্দিষ্ট কোনো নিয়মনীতির প্রয়োজন হয় না। কোনো ব্যক্তি খেলার মধ্যে দিয়ে তার আত্মপ্রকাশ ঘটাতে পারে। শিশুদের দেহ ও মনের বিকাশ ঘটাতে খেলা একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে।



⬛ রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর:তিটা প্রশ্নের মান -5/7

1.শারীরশিক্ষার সামাজিক বিকাশের উদ্দেশ্যগুলি ব্যাখ্যা করো।

উঃ। শারীরশিক্ষার সামাজিক বিকাশের উদ্দেশ্যগুলি হল : শারীরশিক্ষার মাধ্যমে ধনী-দরিদ্র, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের সঙ্গে মেলামেশার সুযোগ হয়, ফলে মানবিক সম্পর্কের উন্নতি হয়। সামাজিকতার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যগুলোর উন্নতি ঘটে, যেমন – (a) বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের উন্নতি। (b) সহযোগিতা ও সহানুভূতির উন্নতি। (c) নিয়মানুবর্তিতা ও শৃঙ্খলাবোধের বিকাশসাধন। (d) সততা, নিরপেক্ষতা, কর্তৃত্বকে সম্মান জানানো, নিষ্ঠা, পারস্পরিক মূল্যবোধ ও নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতনতার উন্নতিসাধন। (e) খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতার উন্নতি। (f) আদর্শ নাগরিক হয়ে ওঠার গুণাবলির বিকাশ।


2.শারীরশিক্ষার সূচিতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ব্যক্তিত্বের কোন্ গুণগুলি বিকাশলাভ করে বর্ণনা করো। 

উঃ। শারীরশিক্ষা হল সাধারণ শিক্ষার একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক বিভিন্ন গুণাবলির উন্নতিসাধন করাই হল শারীরশিক্ষার প্রধান লক্ষ্য। ইহার গুরুত্বগুলি হল – (a) শারীরশিক্ষার দ্বারা আর্থসামাজিক অবস্থানের উন্নতি ঘটে। (b) শারীরশিক্ষা ব্যক্তির সামাজিকতার বিকাশ ঘটায়। ব্যক্তির মানসিকতারও পরিবর্তন ঘটায়। (c) নিয়মিত অনুশীলনের দ্বারা ব্যক্তির শারীরিক সক্ষমতা বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। (d) শারীরশিক্ষা ব্যক্তির মানসিক গুণাবলির বিকাশ ঘটায়। এর ফলে কাজের প্রতি মনসংযোগ বৃদ্ধি পায় ও ব্যক্তি সঠিক সময় সিদ্ধান্ত নিতে পারে। (e) দৈনন্দিন শরীরচর্চার মাধ্যমে ব্যক্তির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের উন্নতি ও ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটে। (1) শারীরশিক্ষার অনুশীলনের ফরে স্নায়ু ও পেশির সমন্বয় ঘটে। (g) শারীরশিক্ষার দ্বারা শারীরিক বিকাশ ঘটে। (h) শারীরশিক্ষার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ গড়ে ওঠে। (i) শারীরশিক্ষার মাধ্যমে সাংস্কৃতিক বিকাশ ঘটে। (j) জাতীয় সংহতির সুদৃঢ়করণ ঘটে। (k) শারীরশিক্ষার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বোঝাপড়ার উন্নতি ঘটে। 


3.শারীরশিক্ষার সক্ষমতা আমাদের কী কাজে লাগে ব্যাখ্যা করো।

উঃ। সাধারণ শিক্ষার একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হল শারীরশিক্ষা। সুস্বাস্থ্যের অন্যতম লক্ষ্য হল শারীরিক সক্ষমতার উন্নতি ঘটানো। নিয়মিত শারীরিক ক্রিয়াকলাপ অনুশীলনে শক্তি, সহনশীলতা, ভারসাম্য ইত্যাদির উন্নতি ঘটে। ফলে ব্যক্তির শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, যা মানুষকে সুস্থভাবে জীবনযাপনে সাহায্য করে। মানুষের শরীর ও মনকে সতেজ করে তোলে। শারীরিক সক্ষমতাই মানুষের জীবনে ক্লান্তি ও একঘেয়েমি দূর করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে মানুষের অংশগ্রহণে শারীরিক সক্ষমতা এক বৃহৎ ভূমিকা পালন করে। 


4.খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করলে সামাজিকতার বিকাশ হয় কীভাবে তা ব্যাখ্যা করো।

উঃ। বর্তমান সমাজের দুর্বল অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থায় অধিকাংশ মানুষ তার শারীরিক ও মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে। ফলে বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে সততা, ন্যায়পরায়ণতা, নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতনতা, ব্যক্তির মূল্যবোধ ইত্যাদি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নিয়মিত শারীরশিক্ষার অনুশীলনই ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক গুণাবলির উন্নতির পাশাপাশি তাকে সামাজিক প্রতিষ্ঠা দিতে পারে ও তার অর্থনৈতিক অবস্থারও উন্নতি ঘটায়। শারীরশিক্ষা ব্যক্তির সামাজিক বোধের বিকাশ ঘটায়। বিভিন্ন পরিবেশের মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করার ফলে ব্যক্তির মধ্যে উচ্চ-নীচ ভেদাভেদ থাকে না। এছাড়া খেলার মাঠে ধর্ম, বর্ণ ও জাতিভেদের কোনো গুরুত্ব না থাকায় ব্যক্তির মানসিকতার পরিবর্তন ঘটে ও শৃঙ্খলাপরায়ণ হয় এবং সমাজে নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হয়।


5.খেলাধূলায় অংশগ্রহণ করলে মানসিক গুণাবলির বিকাশ হয়—ব্যাখ্যা করো। 

উঃ। শারীরশিক্ষা ব্যক্তির মানসিকতার বিকাশ ঘটায়। এর ফলে তার কাজের প্রতি মনঃসযোগ বৃদ্ধি পায় ও ব্যক্তি সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ব্যক্তির মানসিক দৃঢ়তা বৃদ্ধি পায় ও যে-কোনো পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিতে উ পারে এবং সমস্যার সমাধান করতে পারে। নিয়মিত শরীরচর্চা ব্যক্তির মধ্যে সুস্থ মানসিকতা আনে ও তার মানসিক সচেতনতা বৃদ্ধি করে।


6.খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করলে জাতীয় সংহতি কীভাবে গড়ে ওঠে ব্যাখ্যা করো। 

উঃ। বিভিন্ন খেলাধূলা, ব্রতচারী ও দুঃসাহসিক অভিযানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ্যের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। খেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের জয়কে বরণ করে নিতে পারে। তেমনি প্রতিযোগিতায় পরাজিত হয়ে হাসিমুখে সেই পরাজয় মেনে নিতে পারে। এই বিরল দৃষ্টান্ত অন্য কোনো ক্ষেত্রেই দেখা যায় না। শারীরশিক্ষা ও খেলাধূলার যে সকল কার্যক্রম রয়েছে তা থেকে জাতীয় সংহতির বোধ জাগ্রত হয়। (a) যে কোনো দলগত খেলায় দলগঠনের সময় খেলোয়াড়দের গুণগত মান দেখে বাছাই করা হয়। একটি দলে | তাই সমস্ত ধর্মের খেলোয়াড়রাই থাকতে পারে। খেলার মাঠে খেলোয়াড়রা ধর্মীয় বিভেদ ভুলে লক্ষ্যপূরণে এগিয়ে আসে। তাই খেলার মাঠে সর্বধর্মসমন্বয় ঘটার ফলে জাতীয় সংহতি বৃদ্ধি পায়। (b) একটি দলে বিভিন্ন জাতির খেলোয়াড় থাকে। মাঠে খেলার সময় সকল বর্ণের মানুষ একে অপরকে সহযোগিতা করে নির্দিষ্ট লক্ষে এগিয়ে যায়, খেলার মাঠই সকল বর্ণের 'মানুষ' হিসেবে জানতে শেখায়, যা জাতীয় সংহতিকে দৃঢ় করে তোলে। (c) একটি দলীয় খেলায় সমস্ত সদস্যদের সহযোগিতা নিয়েই যৌথভাবে মূল লক্ষ্যপূরণ করতে হয়। এর ফলে খেলোয়াড়েরা সামাজিক ক্ষেত্রে সহযোগি মনোভাব প্রদর্শন করে, দলের মধ্যে ঐক্য তৈরি হয়। এই ঐক্য জাতীয় সংহতির মেরুদণ্ড হিসেবে কাজ করে। (d) খেলাধূলায় দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন আবাসিক শিবির করা হয়ে থাকে। এই শিবিরে বিভিন্ন বর্ণ, ধর্ম ও জাতির খেলোয়াড়েরা একসঙ্গে একই পরিবেশ ও একই কার্যক্রমের মধ্যে থাকে। এর ফলে যে যে অভ্যাস গড়ে ওঠে তা জাতীয় সংহতিকে আরও মজবুত করে। এই শিবিরের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে ভাবের আদানপ্রদান ও সংস্কৃতির যে বিনিময় ঘটে তা জাতীয় সংহতিকে দৃঢ় করে।



No comments:

Post a Comment