তৃতীয় অধ্যায় "প্রাথমিক চিকিৎসা" প্রশ্ন উত্তর পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করো
👉 ( প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশ্ন উত্তর )
⬛ সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো : প্রতিটা প্রশ্নের মান -1
1. প্রকৃত শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমেই ব্যক্তি কীসের অধিকারী হতে পারে—(i) ব্যক্তিত্বের (ii) অস্বাস্থ্যের (iii) সুস্বাস্থ্যের (iv) পূর্ণতার।
উঃ। (iii) সুস্বাস্থ্যের।
2. বংশগতির ধারক ও বাহক হল – (i) সাইটোজোম (ii) জিন (iii) বোধক (iv) ক্লোরোফিল।
উঃ। (ii) জিন।
3. কীসের প্রভাবে দেহে ও মনে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রকার রোগ হয়—(i) স্বাস্থ্যের (ii) মনের (iii) বয়সের (iv) তারুণ্যের।
উঃ। (iii) বয়সের।
4. ব্যক্তির কোন্ জিনিস তার স্বাস্থ্যের উপর বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে- (i) ব্যক্তির মান (ii) জীবনযাত্রা (iii) কলাকৌশল (iv) সৃজনশীলতা।
উঃ। (ii) জীবনযাত্রা।
5. কোন্ পরিবেশ ব্যক্তির স্বাস্থ্যের উপর কু-প্রভাব ফেলে- (i) বিশুদ্ধ (ii) শুদ্ধ (iii) দূষিত (iv) কোনোটাই নয় ।
উঃ। (iii) দূষিত।
6. বিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য কর্মসূচির শ্রেণিবিভাগ হল – (i) চারটি (ii) তিনটি (iii) দুটি (iv) পাঁচটি।
উঃ। (ii) তিনটি ।
7. বিদ্যালয়ে নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলার জায়গা হল- (i) খোলা জায়গায় (ii) যত্রতত্র (iii) ডাস্টবিন (iv) কোনোটাই নয়।
উঃ। (iii) ডাস্টবিন।
8.বিদ্যালয় হল সমাজের (i) বাইরের অংশ (ii) ভিতরের অংশ (iii) ভিতর ও বাইরের অংশ (iv) কোনোটাই নয়। -
উঃ। (ii) ভিতরের অংশ।
9.কোন্ জিনিস দেহ ও মনের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে – (i) খেলা (ii) ব্যায়াম (iii) নৃত্য (iv) অভিনয়।
উঃ। (২) ব্যায়াম।
10. অপুষ্টি, খেলাধুলার দক্ষতা প্রদর্শন ও অর্জনের—(i) পরিপন্থী (ii) অপরিপন্থী (iii) উভয়ই (iv) কোনোটাই নয়।
উঃ। (i) পরিপন্থী।
11. সুষম খাদ্যের অভাবে শরীরের রোগাক্রান্ত অবস্থাকে বলে – (i) পুষ্টি (ii) ক্ষরণ (iii) অপুষ্টি (iv) কোনোটাই নয় ।
উঃ। (iii) অপুষ্টি।
12. দৈহিক মেদ বৃদ্ধির দ্বারা ওজন — (i) বাড়ে (ii) কমে (iii) উচ্চহারে বাড়ে (iv) কোনোটাই নয়।
উঃ। (i) বাড়ে।
13. আমাদের বৃদ্ধি, বিকাশ ও শক্তি উৎপাদনের মূল উৎস হল — (i) প্রোটিন (ii) খাদ্য (iii) শক্তি (iv) ক্ষমতা।
উঃ। (ii) খাদ্য।
14. বিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য কর্মসূচি শিক্ষার অবিচ্ছেদ্য – (i) অঙ্গ (ii) অঙ্গ নয় (iii) উভয়ই (iv) কোনোটাই নয়।
উঃ । (i) অঙ্গ।
⬛অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান -1
1. কোন্ পরিবেশ ব্যক্তির স্বাস্থ্যের উপর কু-প্রভাব ফেলে?
উঃ। দূষিত পরিবেশ ব্যক্তির স্বাস্থ্যের উপর কু-প্রভাব ফেলে।
2. বিদ্যালয় স্বাস্থ্য কর্মসূচির তিনটি ভাগ কী কী?
উঃ। বিদ্যালয় কর্মসূচির তিনটি ভাগ হলো স্বাস্থ্যনির্দেশ; স্বাস্থ্য পরিদর্শন ও স্বাস্থ্য পরিসেবা ।
3.পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করলে কী হয়?
উঃ। পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করলে স্বাভাবিক শারীরবৃত্তিয় ও বিপাকীয় কাজকর্মগুলো সঠিকভাবে হয়। ফলে ব্যক্তি সুস্থ ও স্বাস্থ্যবান হয়ে ওঠে।
4. সকলের জন্য স্বাস্থ্য' এই লক্ষ্য রূপায়িত করতে WHO কী সুপারিশ করেছে?
উঃ। ‘সকলের জন্য স্বাস্থ্য এই লক্ষ্য রূপায়িত করতে WHO দেশের মোট বাজেটের ৫ শতাংশ স্বাস্থ্যখাতে ব্যায় করার সুপারিশ করেছে।
5.যাদের দেহভর সূচক ১৮.৫ কম হয় তাদের কী কী সমস্যা দেখা দেয়?
উঃ। তাদের নিদ্রাহীনতা, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়।
6. মেদবহুল কাদের বলা হয়?
উঃ। যাদের দেহভর সূচক ৩০-এর বেশি থাকে তাদের মেদবহুল বলা হয়।
7. আমাদের খাদ্য কোন্ কোন্ উপাদানগুলির মূল উৎস ?
উঃ। খাদ্য আমাদের বৃদ্ধি, বিকাশ ও শক্তি উৎপাদনের মূল উৎস।
8. মেদ কমাতে হলে প্রতিদিন কত মিনিট করে ঘাম ঝরানো ব্যায়াম করতে হবে?
উঃ। মেদ কমাতে হলে প্রতিদিন ৩০-৪৫ মিনিট করে ঘাম ঝরানো ব্যায়াম করতে হবে।
9.অপুষ্টি কাকে বলে?
উঃ। সুষম খাদ্যের ক্রমাগত অভাবে শরীরের রোগাক্রান্ত অবস্থাকে অপুষ্টি বলে।
10.ওজন কমাবার ক্ষেত্রে পুরুষ ও মহিলাদের কত শতাংশ মেদ কমানো দরকার ?
উঃ। পুরুষদের ক্ষেত্রে ৭% এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে ১২% মেদ কমানো দরকার।
11.খাদ্যের কার্বোহাইড্রেড-এ কত শতাংশ শক্তি থাকে?
উঃ। ৬০-৭০% শক্তি থাকে।
12. কোন্ ধরনের সূচক হলে ব্যাক্তির ওজন স্বাভাবিক ও স্বাস্থ্যকর বলা যাবে?
উঃ। ১৮.৫ থেকে ২৪.৯ এই ধরনের সূচক থাকলে ব্যক্তির ওজন স্বাভাবিক ও স্বাস্থ্যকর বলা হয় ।
13. বয়সের কারণে কীভাবে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে?
উঃ। ২৫ বছর বয়সের পর থেকে প্রতি বছর ১ কিলোগ্রাম শরীরের ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে।
14. ১ পাউন্ড মেদ কমাতে কী করা প্রয়োজন ?
উঃ। ১ পাউন্ড মেদ ঝরাতে অতিরিক্ত ৩৫০০ ক্যালোরি শক্তি খরচ করা প্রয়োজন।
15.কাকে বংশগতির ধারক ও বাহক বলে ?
উঃ। জিন বা ক্রোমোজোম হলো বংশগতির ধারক ও বাহক।
16. যদি কোনো শিক্ষার্থীর দেহভর সূচক ৩০ কিলোগ্রাম / মিটার -এর বেশি হয় তাহলে সে কোন্ শ্রেণিভূক্ত?
উঃ। স্থূলকায় শ্রেণিভূক্ত।
17.একটি আদর্শ খেলার মাঠের পরিমাপ কত?
উঃ। একটি আদর্শ খেলার মাঠ কমপক্ষে ১৩০ মিটার দীর্ঘ ও ১০ মিটার প্রস্থ হবে।
18. দেহভর সূচক কী ?
উঃ। দেহভর সূচক এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে মানবদেহের উচ্চতা ও ওজনের অনুপাতে দেহে উপস্থিত মেদের পরিমাণ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
19. খাদ্যের প্রধান উপাদানগুলি কী কী?
উঃ। কার্বোহাইড্রেড, ফ্যাট, প্রোটিন, খনিজ লবণ।
20.পুষ্টি কাকে বলে? অপুষ্টির কারণগুলি লেখো।
উঃ। সঠিক মাত্রায় পরিমানমতো সুষম খাদ্য গ্রহণ করলে শরীরের যে বৃদ্ধি ঘটে তাকে পুষ্টি বলে। প্রধানত দুটি কারণে অপুষ্টি হয়ে থাকে (a) খাদ্যগ্রহণের অনভ্যাস বা খাদ্যের অভাব (b) পরিবেশ পরিস্থিতি।
21. অ্যাথলিট কাদের বলা হয়?
উঃ। 'অ্যাথলেটিকস' শব্দটি গ্রিক শব্দ 'অ্যাথলন' থেকে এসেছে যার অর্থ প্রতিযোগিতা এবং এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের বলা হয় অ্যাথলিট।
22. মেদ বৃদ্ধি রোধ করে এমন চারটি ব্যায়ামের নাম লেখো।
উঃ। শশঙ্গাসন, ধনুরাসন, সিট আপ, হলাসন।
⬛ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান -2/3
1. স্বাস্থ্যকর পরিবেশ কাকে বলে? স্বাস্থ্যরক্ষা কর্মসূচির দুটি দিক লেখো।
উঃ। যে পরিবেশের মধ্য দিয়ে শিশু তথা ব্যক্তির শারীরিক, মানসিক, প্রাক্ষোভিক, বৌদ্ধিক প্রভৃতি গুণাবলির বিকাশ ঘটে এবং সুস্থ শরীর ও সুস্থ মনে নিরলস, নির্মল, কর্মোচ্ছল সৃজনশীলতার সঙ্গে জীবনযাপন করতে পারে তাকে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বলে। স্বাস্থ্যরক্ষা কর্মসূচির দুটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো— (a) প্রত্যক্ষ দিক—ছাত্রছাত্রীদের রোগ নির্ণয় ও তার প্রতিকার করা (b) পরোক্ষ দিক – স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি ও তা রক্ষা করা। কারণ স্বাস্থ্যকর পরিবেশ শিশুর স্বাস্থ্যরক্ষা, স্বাস্থ্যোন্নতি, শিশুর শারীরিক, মানসিক, সর্বোপরি শিশুর সর্বাঙ্গীণ বিকাশে সাহায্য করা।
2. মেদ ঝরাতে কী কী করতে হবে?
উঃ। মেদ ঝরাতে হলে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে হবে সেগুলি হল— (a) খাদ্যাভ্যাসে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। শিশুদের খিদে পেলে তবেই খেতে দিতে হবে। (b) অধিক পরিমাণে শাকসবজি খেতে হবে। মাছ, মাংস ও স্নেহ জাতীয় খাদ্য কম খেতে হবে। (c) যখন তখন ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। (d) মিষ্টি জাতীয় খাবার, তেল-ঝাল-মশলাযুক্ত খাবার ও ফাস্টফুড খাবার বর্জন করতে হবে। (e) খেলাধুলা, শরীরচর্চায় অংশ নিতে হবে এবং প্রতিদিন ৩০-৪৫ মিনিট ঘাম ঝরানো ব্যায়াম করতে হবে।
3. ধনাত্মক শক্তির ভারসাম্য কাকে বলে ?
উঃ। আমাদের দৈনিক খাদ্য থেকে প্রাপ্ত ক্যালোরির পরিমাণ বেশি হলে অর্থাৎ উদ্বৃত্ত ক্যালোরি আমাদের দেহে জমা হতে থাকলে তাকে আমরা ধনাত্মক শক্তির ভারসাম্য বলে থাকি। এর ফলে দেহের ওজন বৃদ্ধি ঘটে।
4. ঋণাত্মক শক্তির ভারসাম্য কাকে বলে?
উঃ। আমাদের দৈনিক খাদ্য থেকে উৎপন্ন ক্যালোরির পরিমাণ দৈনিক কাজের ফলের ব্যয়িত ক্যালোরির পরিমাণ থেকে কম হলে তাকে বলা হয় ঋণাত্মক শক্তির ভারসাম্য।
5. খেলাধূলার ওপর অপুষ্টির প্রভাব আলোচনা করো।
উঃ। খেলাধূলার ক্ষেত্রে দক্ষতা প্রদর্শন ও অর্জনের ক্ষেত্রে অপুষ্টি বাধা হয়ে দাঁড়ায়। পুষ্টির অভাব থাকলে সাধারণভাবে কোনো ব্যক্তি রোগাক্রান্ত হয়, ফলে সে কোনো কাজেই মনোযোগী হতে পারে না। এছাড়া পুষ্টির অভাবে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে শক্তি উৎপন্ন না হওয়ায় তার মধ্যে শক্তি ও সহনশীলতার অভাব দেখা যায়। ফলে শারীরিক সক্ষমতার অভাবে খেলাধূলার উপযুক্ত দক্ষতা সে দেখাতে পারে না।
6. স্বাস্থ্য পরিসেবা বলতে কী বোঝায়?
উঃ। স্বাস্থ্য পরিসেবা হলো এমন একটি সেবামূলক প্রকল্প যা শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা, স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার, উন্নয়ন প্রভৃতি কর্মসূচি গ্রহণ করে তার বাস্তবায়ণ ঘটায় এবং স্বাস্থ্য সম্বন্ধীয় বৈজ্ঞানিক প্রয়োগ সুবিধার পরিপূর্ণ ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করেন। স্বাস্থ্যরক্ষা ও উন্নয়নের উদ্দেশ্যে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একত্রিত প্রচেষ্টায় ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্য উন্নয়ন করাই স্বাস্থ্য পরিসেবার মূল লক্ষ্য।
7. মানসিক স্বাস্থ্যের উপর ব্যায়ামের দুটি প্রভাব আলোচনা করো।
উঃ। মানসিক স্বাস্থ্যের উপর ব্যায়ামের দুটি প্রভাব হল – (a) উদ্বেগ ও হতাশা কমাতে সাহায্য করে। (b) বিশ্লেষণ শক্তি, মানসিক দৃঢ়তা ইত্যাদি মানসিক গুণাবলির উন্নতি ঘটায়।
8. বিদ্যালয়ের স্বাস্থ্যকর পরিবেশে পাঠাগারের প্রয়োজনীয়তা লেখো।
উঃ। পাঠ্যপুস্তক ছাড়াও নানা বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের বই, ম্যাগাজিন, সংবাদপত্র, প্রভৃতি শিক্ষার্থীদের সহজে সরবরাহ করার জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ে একটি আদর্শ পাঠাগার থাকা উচিত এবং পাঠাগারটি বিদ্যালয়ের মধ্যে একটি নিরিবিলি জায়গায় থাকা প্রয়োজন। পাঠাগারটিতে থাকবে যথেষ্ট খোলামেলা জায়গা, যাতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ব্যাঘাত না ঘটে।
9. চামড়া পরিরোপণ (Skin Grafting) কী ?
উঃ। দাহক্ষতের কারণে চামড়া নষ্ট হয়ে গেলে শুকনো ঘা ঢাকতে চিকিৎসকরা এক বিশেষ পদ্ধতিতে শরীরে নতুন করে চামড়া পরিরোপন করেন। একে চামড়া পরিরোপন বা Skin Grafting বলে।
⬛ রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর:তিটা প্রশ্নের মান -5/7
1. বিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য কর্মসূচির উদ্দেশ্যগুলি লেখো।
উঃ। বিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য কর্মসূচির উদ্দেশ্যগুলি নিম্নরূপে আলোচিত হল—
(a) এই কর্মসূচি শিক্ষার্থীকে স্বাস্থ্যবান, স্বাস্থ্যসচেতন ও আনন্দময় জীবনযাপনে উদ্বুদ্ধ করবে।
(b) বিদ্যালয় স্বাস্থ্য কর্মসূচি শিক্ষার্থীর শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও বৌদ্ধিক বিকাশ ঘটিয়ে শিক্ষার্থীদের সর্বাঙ্গীণ বিকাশ ঘটানো ও সুস্থ সবল রাখতে সাহায্য করবে।
(c) বিদ্যালয় স্বাস্থ্য কর্মসূচির একটি অঙ্গ হল বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা কর্মসূচি। (d) সংক্রামক ব্যাধি যাতে বিদ্যালয় থেকে সমাজে বা সমাজ থেকে বিদ্যালয়ে ছড়িয়ে না পড়ে সে বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতন থাকতে হবে।
2. স্বাস্থ্য নির্দেশ কাকে বলে? এর উল্লেখযোগ্য তিনটি দিক লেখো।
উঃ। কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞানসম্মত স্বাস্থ্যশিক্ষা প্রসার বা শিক্ষার্থীদের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার লক্ষ্যে তাদের স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা, কু-অভ্যাস পরিত্যাগ, বিভিন্ন সংক্রামক। রোগের কারণ অনুসন্ধান, প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ, সুষম খাদ্যগ্রহণ প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সম্পর্কে যে নির্দেশ দেওয়া হয় তাকে স্বাস্থ্য নির্দেশ বলে। এর উল্লেখযোগ্য দিকগুলি হল—
(a) ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন সম্বন্ধে নির্দেশদান। (b) স্বাস্থ্যসম্মত সমাজগঠন সম্পর্কে নির্দেশদান। (c) সুস্বাস্থ্যের জন্য সুষম খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে নির্দেশদান। (d) নেশা সংক্রান্ত দ্রব্যের অপকারিতা সম্পর্কে নির্দেশ। (e) সংক্রামক ব্যাধির কারণ ও তার প্রতিকার সম্বন্ধে নির্দেশ। (1) বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের সম্পর্কে নির্দেশ। (g) হেলথ্ কার্ড ও ফিটনেস কার্ড সম্পর্কে নির্দেশ।
3. স্বাস্থ্য পরিদর্শন কাকে বলে? এর উদ্দেশ্যগুলি লেখো।
উঃ। বিদ্যালয় বা কোনো প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা বা প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের দৈহিক ও মানসিক উভয়প্রকার স্বাস্থ্যের দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিক পরীক্ষা এবং রেকর্ড রাখাকে স্বাস্থ্য পরিদর্শন বলে। এর প্রধান পাঁচটি উপায় হলো-
(a) বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যকর ভৌত পরিবেশ রচনা করা। (b) শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ক পরিদর্শন করা। (c) প্রশাসনিক পরিদর্শন করা। (d) শিক্ষক শিক্ষিকা কর্তৃক প্রাত্যহিক পরিদর্শন করা। (e) চিকিৎসক কর্তৃক পরিদর্শন করা।
4.বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যকর পরিবেশের রূপরেখাগুলি লেখো।
উঃ। (a) বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য যথার্থ ও উপযুক্ত কার্যালয়-এর ব্যবস্থা করতে হবে।
(b) শিক্ষার্থীদের অবসর যাপন ও বিনোদনের জন্য যথার্থ। বিশ্রাম কক্ষের ব্যবস্থা করা হবে। (c) বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মিড-ডে-মিল খাওয়ানোর উপযুক্ত স্থানের সংস্থান রাখতে হবে। (d) বিদ্যালয়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থা ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। (e) বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে বাগান ও কর্মশালা রাখতে হবে। (f) বিদ্যালয়ের নিয়মশৃঙ্খলা ও ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত বজায় রাখতে হবে। (g) শ্রেণিকক্ষের আসবাবপত্র অর্থাৎ বেঞ্চ, ব্ল্যাকবোর্ড ইত্যাদি যথাযথ হতে হবে। (h) বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞানার্জনের জন্য বই, ম্যাগাজিন, সংবাদপত্র সহ একটি আদর্শ পাঠাগার বিদ্যালয় থাকতে হবে। (i) বিদ্যালয়ের সুস্থ পরিবেশ রাখতে ও শারীরশিক্ষা কার্যক্রমের সঠিক রূপায়নের জন্য একটি উপযুক্ত খেলার মাঠ থাকা প্রয়োজন। (j) বিদ্যালয়ে বিশুদ্ধ জলের ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
(k) বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনুযায়ী শৌচাগার নির্মাণ করা অত্যন্ত জরুরি।
5. স্বাস্থ্যকর পরিবেশের উপাদানগুলি তালিকাভূক্ত করো।
উঃ। বিদ্যালয়ের স্বাস্থ্যকর পরিবেশ থাকা অত্যন্ত জরুরী। যা শিশুর স্বাস্থ্যোন্নতির সহায়ক হয়ে অসুবিধা দূর করার বিদ্যালয় ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সুব্যবস্থা, (৮) শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ, (৯) জল ও বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ, (১০) রাজনৈতিক সুস্থতা পরিপুরক হবে। একটি বিদ্যালয়ের স্বাস্থ্যকর পরিবেশের উপাদানগুলি হল – (১) নির্মল বায়ু, (২) পর্যাপ্ত সূর্যালোক, (৩) জীবাণুমুক্ত পরিবেশ, (৪) বিশুদ্ধ পানীয় জল, (৫) স্বাভাবিক জনবসতি, (৬) উপযুক্ত স্যানিটারি ব্যবস্থা, (৭) ও অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা, (১১) খেলার মাঠ ও শরীর চর্চার উপযুক্ত ব্যবস্থা, (১২) বিনোদনমূলক কর্মসূচির ব্যবস্থা ও (১৩) জনঘনত্ব, বিদ্যালয় পার্শ্ববর্তী জনসমাজের শিক্ষা প্রভৃতি।
6. স্বাস্থ্যশিক্ষা কাকে বলে? বিদ্যালয় স্বাস্থ্য কর্মসূচি কয়ভাগে বিভক্ত ও কী কী?
উঃ। মানুষের শারীরিক গঠন ও কার্যকলাপ যা শারীরিক সক্ষমতা, সুস্বাস্থ্য, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, সুষম খাদ্যের ব্যবহার, সংক্রামক রোগের কারণ, অনুসন্ধান প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে যে বিষয় শিক্ষাদান করে থাকে তাকে স্বাস্থ্য শিক্ষা বলে।
বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যকর্মসূচি তিনটি ভাগে বিভক্ত — (a) স্বাস্থ্য নির্দেশ (b) স্বাস্থ্য পরিদর্শন ও স্বাস্থ্যপরিষেবা।
7.স্বাস্থ্য নির্দেশ কী? স্বাস্থ্য নির্দেশের দুটি প্রকৃতি আলোচনা করো।
উঃ। কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞানসম্মত স্বাস্থ্যশিক্ষা প্রসার বা শিক্ষার্থীদের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার লক্ষ্যে তাদের স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা, কু-অভ্যাস পরিত্যাগ, বিভিন্ন সংক্রামক রোগের কারণ অনুসন্ধান, প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ, সুষম খাদ্যগ্রহণ প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সম্পর্কে যে নির্দেশ দেওয়া হয় তাকে স্বাস্থ্য নির্দেশ বলে। স্বাস্থ্য নির্দেশের দুটি প্রকৃতি হল – (a) রীতিবদ্ধ স্বাস্থ্য নির্দেশঃ রীতিবদ্ধ স্বাস্থ্য নির্দেশ হলো নির্দিষ্ট কতকগুলো স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে নির্দেশদান ও শিক্ষাদান। শিক্ষার্থীদের সাধারণ পঠনপাঠন চলার পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষিকারা নানাভাবে শিক্ষার্থীদের এই নির্দেশ দিতে পারেন। যেমন— নিয়মিত দাঁত মাজা, স্নান করা, চুল আঁচড়ানো, ব্যায়াম ও শরীরচর্চা করা, খাওয়ার আগে হাত ধোয়া, চোখ-কান-ত্বকের যত্ন নেওয়া, স্বাস্থ্যবিধান সম্পর্কে পাঠ, নিরাপত্তা শিক্ষা সম্পর্কে পাঠ ইত্যাদি।
(b) প্রথাগত রীতিবহির্ভূত নির্দেশ : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সাক্ষাতের সময় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে নানাভাবে স্বাস্থ্য নির্দেশদানের সুযোগ এসে যায়। এই সময় শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রথাগত রীতিবহির্ভূত নির্দেশদানের মাধ্যমে শিক্ষর্থীদের জীবনশৈলী সম্পর্কিত নির্দেশ, সু-অভ্যাস গঠন সম্পর্কে নির্দেশ বা নেশা সংক্রান্ত দ্রব্যের অপকারিতা সম্বন্ধে নির্দেশ ইত্যাদি দিতে পারেন।
8. শিক্ষায়তনে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ কোন্ কোন্ বিষয়গুলির উপর নির্ভরশীল? যে-কোনো দুটি বিষয় আলোচনা করো।
উঃ। শিক্ষায়তনে স্বাস্থকর পরিবেশ তৈরি কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভরশীল। সেগুলি হল – (a) প্রতিষ্ঠানের অবস্থান (b) আকৃতি ও আয়তন (c) ভবন ও শ্রেণিকক্ষ (d) বিপন্মুক্ত ব্যবস্থাদি (e) পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা।
(a) প্রতিষ্ঠানের অবস্থান : শিক্ষায়তনের অবস্থান যতটা সম্ভব শান্ত ও কোলাহলমুক্ত রাস্তার ধারে হওয়া উচিত। যাতে যোগাযোগ ও যাতায়াতের সুবিধা হয়। ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক শিক্ষিকাগণ সময়মতো বিদ্যালয়ে আসতে পারেন এবং পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে নিজেদের কাজ করতে পারেন। পরিবেশ শান্ত হলে পঠনপাঠন প্রক্রিয়া মনোযোগ সহকারে সম্পন্ন করা যায়।
(b) আকৃতি ও আয়তন : শিক্ষায়তনের আকৃতি ও আয়তন, ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অন্যান্য শিক্ষাকর্মী সদস্য সংখ্যার অনুপাতে হওয়া বাঞ্ছনীয়। যাতে সকলেই সুস্থতার সঙ্গে থাকতে পারে এবং ভবনটিতে যথেষ্ট পরিমাণে আলো বাতাস প্রবেশ করতে পারে।
9. দেহভর সূচকের সীমাবদ্ধতা ও প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে লেখো।
উঃ। দেহবদ্ধ সূচক এর সীমাবদ্ধতা হল দেহে মেদের পরিমাণ সম্পর্কে বর্ণনা দিতে পারলেও মেদ পরিমাপ করতে পারে না। দেহভর সূচকের প্রয়োজনীয়তাগুলি হল— (i) বর্তমানে চিকিৎসাবিদ্যায় দেহভর সূচকের গুরুত্ব অপরিসীম। (ii) উচ্চতা অনুসারে ওজন কম বা বেশি হলে তা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ সম্ভব হয়। (iii) সহজে ও দ্রুততার সঙ্গে দেহের মেদ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। (iv) বিনা খরচে ঘরে বসেই দেহভর পরিমাপ করা যায়। (v) ব্যক্তি কোন শ্রেণিভুক্ত তা জানা যায় এবং সেই অনুযায়ী সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে শরীরচর্চা বা অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা সহজ হয়।
10. কোন্ কোন্ গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোন-এর অভাবে বিপাকক্রিয়ার ব্যাঘাত ঘটে? ওজন কমাবার নীতিগুলো আলোচনা করো।
উঃ। থাইরয়েড ও পিট্যুইটারি গ্রন্থি থেকে উপযুক্ত হরমোন নিঃসৃত না হলে বিপাকক্রিয়ার ব্যাঘাত ঘটে। ওজন কমানোর নীতিগুলি হল—
(i) পুরুষদের ক্ষেত্রে ৭% ও মহিলাদের ক্ষেত্রে ১২% মেদ কমানো সম্ভব।
(ii) সপ্তাহে ৪ পাউন্ডের বেশি ফ্যাট কমানো উচিত নয়, যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। (iii) প্রতিদিন খাদ্য থেকে ক্যালোরি গ্রহণের পরিমাণ এবং কাজের মাধ্যমে ক্যালোরি খরচের পরিমাণ লিপিবদ্ধ করে রাখা উচিত।
(iv) ব্যবহারিক জীবনে পরিবর্তন আনতে হবে এবং ঠান্ডা পানীয়, ফ্যাট, শর্করাজাতীয় খাদ্য গ্রহণ কমাতে হবে।
11.অপুষ্টিজনিত রোগগুলির নাম লেখো। এর প্রতিকারের জন্য কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত?
উঃ। জীবের যথাযথ বৃদ্ধি ও পুষ্টির জন্য সকলপ্রকার পরিপোষকই সঠিকমাত্রায় গ্রহণ করা উচিত। পুষ্টি ও সুষম খাদ্যের অভাবে নানাবিধ রোগ হতে পারে। সাধারণত পুষ্টির অভাবে মানুষের রাতকানা, শ্বাসকষ্ট, বেরিবেরি, স্কার্ভি, রিকেট, চর্মরোগ ইত্যাদি রোগ হতে পারে। সর্বোপরি যথার্থ পুষ্টির অভাবে প্রতিটি মানুষের দুর্বলতা বৃদ্ধি পায়।
প্রতিকারের ব্যবস্থা : অপুষ্টি থেকে মানুষকে মুক্ত করতে গেলে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত, কারণ স্বাস্থ্যই সম্পদ। অপুষ্টির প্রতিকারের জন্য নিম্নলিখিত ব্যবস্থাগুলি গ্রহণ করা উচিত—
(a) খাদ্যদ্রব্য মানুষের জীবনের ভিত্তি ও প্রধান অবলম্বন, তাই নিয়মিত সঠিক অনুপাতে খাদ্যগ্রহণ করা উচিত।
(b) খাদ্যগ্রহণ করলেই হবে না, সেই খাদ্য শরীর গ্রহণ করতে পারছে কিনা তা লক্ষ রাখতে হবে। (c) মিষ্টি, ভাজা ও মশলাজাতীয় খাদ্য যতটা কম খাওয়া যায় ততই ভালো।
(d) খাওয়ার সময় ও খাওয়ার ঠিক পরে জলপান না করে এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর পরে জলপান করা উচিত।
(e) রাত্রে বেশি দেরি না করে শুয়ে পড়া ও সকালে সূর্য ওঠার পূর্বে শয্যাত্যাগ করা প্রয়োজন।
(f) খালি পেটে চা-কফিজাতীয় পানীয় গ্রহণ করা অনুচিত।
12.ব্যায়াম কীভাবে মানুষকে স্বাস্থ্যবান করে তোলে। শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর ব্যায়ামের প্রভাবগুলি আলোচনা করো।
উঃ। নিয়মিত ব্যায়াম দেহ ও মনের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে যা স্বাস্থ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। ব্যায়াম ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়িয়ে ও রোগাক্রমণের সম্ভাবনা কমিয়ে তাকে স্বাস্থ্যবান করে তোলে। নিয়মিত ব্যায়াম ও শারীরিক ক্রিয়াকলাপ স্বাস্থ্যের উপর বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে। ব্যায়াম দেহ ও মনের সমন্বয় সাধন করে। এর দ্বারা ব্যক্তির পেশিসমূহের আয়তন ও শক্তি বৃদ্ধি পায় ফলে ব্যক্তি সুঠাম ও শক্তিশালী দেহের অধিকারী হয়। শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর এর প্রভাবগুলি হলো — (i) হৃৎপিণ্ডের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। (ii) বিশ্রামকালীন হৃদস্পন্দনের হার কম হয়। (iii) ফুসফুসের আয়তন ও কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। (iv) ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। (v) স্থূলকায় ব্যক্তির ফ্যাট কমাতে সাহায্য, (vi) ওজন নিয়ন্ত্রণ করে। (vii) শক্তি সহনশীলতা, নমনীয়তা, গতিভারসাম্য ইত্যাদির উন্নতি হয়। (viii) রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। (ix) শারীরিক কাঠামোকে শক্তিশালী করে তোলে।
No comments:
Post a Comment