⬛ সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো : প্রতিটা প্রশ্নের মান -1
1. সবুজ সংকেত পরিবর্তিত হয়ে হলুদ আলো দেখা গেলে গাড়ির চালককে কী করতে হবে—(i) গাড়ির গতি বাড়াতে হবে (ii) গতি নিয়ন্ত্রণ করে 'Stop' রেখার পিছনে দাঁড়াতে হবে। (iii) গাড়ি চালানোর জন্য প্রস্তুত হতে হবে। (iv) কোনোটাই নয়।
উঃ। (i) গতি নিয়ন্ত্রণ করে 'Stop' রেখার পিছনে দাঁড়াতে হবে।
2. নিরাপত্তার ক্ষেত্রে দায়িত্ববোধ ও নিষ্ঠার প্রতীক হল – (i) শুধু পুলিশ (ii) কমিশনার (iii) ট্রাফিক পুলিশ - (iv) সার্জেন্ট।
উঃ। (iii) ট্রাফিক পুলিশ।
3. স্টপ লাইন দেখা যায়—(i) ক্রসিংবিহীন রাস্তায় (ii) ক্রসিং রাস্তায় (iii)ওভারক্রসিং রাস্তায় (iv) কোনোটাই নয়।
উঃ। (ii) ক্রসিং রাস্তায়।
4. প্রধান রাস্তার মাঝখান দিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে সাদা দাগ দেওয়া থাকে। এই দাগকে― (i) নিম্নরেখা (ii) উচ্চরেখা (iii) মধ্যরেখা (iv) কোনোটাই নয়।
উঃ। (i) মধ্যরেখা।
5.রাস্তার সামনে বাঁক থাকলে কীসের দাগ দেওয়া হয়—(i) টার্নিং (ii) ক্রসিং (iii) জেব্রা ক্রসিং (iv) কোনোটাই নয় ৷
উঃ। (i) টার্নিং।
6.ট্রাফিক পুলিশ সেদিকের রাস্তায় কোন্ সংকেত তুলে ধরলে সেই রাস্তা দিয়ে সমস্ত যানবাহন বন্ধ থাকবে—(i)Start (ii) থামুন (iii) আহাদ যান (iv) কিছুই না।
উঃ। (ii) থামুন।
7.পিছনের গাড়িকে আগে যেতে দেবার জন্য কোন্ সংকেত ব্যবহার করা হয়। – (i) Stow Dow Signal (ii) ট্রাফিক সিগন্যাল (iii) পাসিং সিগন্যাল (iv) কিছুই নয়।
উঃ। (iii) পাসিং সিগন্যাল।
8.রাস্তা চলাচলের সময় ছাত্রছাত্রীদের কীসের বৃদ্ধি ঘটাতে হবে—(i) সমতা (ii) দক্ষতা (iii) ধৈর্যতা (iv) হৃদ্যতা।
উঃ। (ii) দক্ষতা।
9.মাটির তলা দিয়ে যাতায়াতের জন্য যে পথ থাকে তাকে—(i) ফুটব্রিজ (ii) আন্ডারপাস (iii) জেব্রা ক্রসিং (iv) এদের কোনোটিই নয়।
উঃ। (ii) আন্ডারপাস।
10.জেব্রা ক্রসিং-এর আগে একটি মোটা লাইন রং করা থাকে তাকে বলে—(i) হলুদ লাইন (ii) ওয়ে লাইন (iii) স্টপ লাইন (iv) পার্কিং নিষিদ্ধ লাইন।
উঃ। (iii) স্টপ লাইন।
11.পথচারীদের রাস্তা পার হবার উপর সাদা ও কালো রঙের যে সমান্তরাল লাইন থাকে তাকে বলে – (i) স্টপ লাইন (ii) বর্ডার লাইন (iii) গিভ ওয়েলাইন (iv) জেব্রা ক্রসিং লাইন।
উঃ । (iv) জেব্রা ক্রসিং লাইন।
12. নিরাপত্তার ক্ষেত্রে তির চিহ্ন বিশিষ্ট সবুজ সংকেত কেবল মাত্র — (i) গাড়ি পিছিয়ে যাওয়া (ii) গাড়ি এগিয়ে যাওয়া (iii) গাড়ি থেমে যাওয়া (iv) কোনোটিই নয়। উঃ। (ii) গাড়ি এগিয়ে যাওয়া।
⬛অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান -1
1. Right Turn Signal কাকে বলে ?
উঃ । গাড়ি ডান দিকে ঘোরানোর জন্য যে সবুজ সংকেতটি ব্যবহার করা হয় তাকে Right Turn Signal বলে।
২. Stop Signal কাকে বলে ?
উঃ। গাড়ি দাঁড় করানোর জন্য বা থামাবার জন্য যে রেড সিগন্যালটি ব্যবহার করা হয় তাকে Stop Signal বলে।
৩. পরিযান চিহ্ন বলতে কী বোঝ ?
উঃ। ইংরেজিতে Traffic Signal চিহ্নকে বাংলায় পরিযান চিহ্ন বলে।
৪. কারা শহরে বা নগরে দুর্ঘটনার হাত থেকে যানবাহন ও ব্যক্তিকে বাঁচানোর চেষ্টা করে?
উঃ। ট্রাফিক পুলিশরা শহরে বা নগরে দুর্ঘটনার হাত থেকে যানবাহন ও ব্যক্তিকে বাঁচানোর চেষ্টা করে।
৫. প্রতি বছর কবে পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ পালন করা হয় ?
উঃ। প্রতি বছর জানুয়ারি মাসের প্রথম সোমবার থেকে পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ পালন করা হয়।
৬. ট্রাফিক পুলিশ কী ব্যবহার করে গতিশীল গাড়িকে থামাবার চেষ্টা করেন ?
উঃ। ট্রাফিক পুলিশ বাঁশি বাজিয়ে ব্যবহার করে গতিশীল গাড়িকে থামাবার চেষ্টা করেন।
৭. পথ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কাকে আমরা আমাদের জীবনরক্ষক, বন্ধু ও সহায়ক বলতে পারি।
উঃ। পথ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিশদের আমরা আমাদের জীবনরক্ষক, বন্ধু ও সহায়ক বলতে পারি।
৮. লাল আলো দেখলে 'Stop' রেখার সামনে না পিছনে অপেক্ষা করতে হবে?
উঃ। ‘Stop' রেখার পিছনে অপেক্ষা করতে হবে।
৯. Passing Signal কাকে বলে?
উঃ। যে-সমস্ত পিছনের গাড়িকে আগে দেবার জন্য যে সবুজ সংকেতটি ব্যবহার করা হয় তাকে Passing Signal বলে।
১০. বিভাজন রেখা কাকে বলে ?
উঃ। যে-সমস্ত দ্বিমুখী রাস্তার মাঝখানে একটি দাগ দেখতে পাওয়া যায় সেই রেখা সাদা বা হলুদ রঙের হয় তাকে বিভাজন রেখা বা মধ্যবর্তী রেখা বলে ।
১২. পার্কিং নিউজ লাইন কী ?
উঃ। এটি একটি গোটা একধারা হলুদ লাইন কার্ডের সাথে রং করা থাকে। একটি 'নো-পার্কিং' সাইন এই লাইনের সঙ্গে থাকে যা পার্কিং নিষিদ্ধ অঞ্চলকে চিহ্নিত করে।
১৩. বর্ডার বা ধারের লাইন কাকে বলে ?
উঃ। বর্ডার বা ধারের লাইন হলো রাস্তার ধারের একধারা লাইন। ড্রাইভাররা যতদূর সাবধানে চালাতে পারে এগুলি তার সীমা নির্ধারণ করে।
১৪. গাড়ি চালকদের হাতের কোন্ কোন্ সিগন্যাল মেনে চলতে হয়?
উঃ (i) Right Turn Signal (ii) Left Turn Signal (iii) Stop Signal (iv) Stow Dow Signal (v) Passing Signal.
১৫. পরিবেশের উপর ট্রাফিকের কু-প্রভাবগুলি কী কী ?
উঃ। (1) সুরক্ষা (ii) শব্দ (iii) জ্যাম এবং ভিড় (iv) বায়ুদূষণ (v) সৌন্দর্যের অবনতি।
১৬. রাস্তা বা আবহাওয়া কী কী ভাবে দুর্ঘটনার কারণ হয়ে ওঠে?
উঃ। রাস্তা : গর্ত, ভাঙা রাস্তা, অবৈধ স্পিড ব্রেকার, সঠিক চিহ্ন না থাকা, কম আলো এগুলি গাড়ি চালকের অজান্তে দুর্ঘটনা ডেকে আনে। আবহাওয়া ঃ কুয়াশা, বরফ, বর্ষণ, হাওয়া, ঝড় ইত্যাদি প্রাকৃতিক অবস্থা অনেক সময় দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
১৭. দুর্ঘটনার সতর্কতা অবলম্বনে কী কী করা উচিত?
উঃ । (i) সড়ক সুরক্ষা সম্বন্ধে শিক্ষা ও জনজাগরণ (ii) আইনকে মান্যতা দিতে বাধ্য করা (iii) বাহনের নকশা বা রাস্তার পরিকাঠামো সুরক্ষিতভাবে নির্মাণ করা।
১৮. রাস্তায় ডবল সাদা বা হলুদ লাইন কী নির্দেশ করে ?
উঃ। যে সমস্ত রাস্তায় ভারী এবং দ্রুতগতির যান চলাচল করে সেখানে হলুদ রঙের দুটি সমান্তরাল নিরবচ্ছিন্ন দাগ আঁকা থাকে। ট্রাফিক প্রবাহকে এই লাইন পার হতে দেওয়া হয় না।
⬛ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান -2/3
১. পথ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে পথরেখা কে মূলত কয়টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে ও কী কী ?
উঃ। পথরেখাকে ছটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা :- (i) স্টপলাইন বা গাড়ি থামাবার দাগ। (ii) পথচারীদের রাস্তা পার হবার স্থান। (iii) মধ্যরেখা ব্যবহার করা। (iv) গাড়ি পার্কিং-এর নির্দিষ্ট দাগ। (v) টার্নিং-এর দাগ। (vi) লেন ব্যবহার করা। এছাড়াও পথচারীদের রাস্তা পার হবার জন্য জেব্রা ক্রসিং, ফুটব্রিজ, ও আন্ডারপাস ব্যবহার করা হয়।
২. পরিযান চিহ্নের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা করো।
উঃ। কৈশোর অতিক্রান্ত হবার আগেই পরিযান চিহ্ন সম্বন্ধে জ্ঞজ্ঞান শিক্ষার্থীর চলাফেরায় নিরাপত্তা বৃদ্ধি করবে ও যানবাহনের গতিবেগ, বিভিন্ন ধরনের পরিযান চিহ্ন সম্পর্কে সহজ ধারণা দেবে। এর পাশাপাশি সঠিকভাবে ও দক্ষতার সাথে রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করবে।
৩. রক্ষীবিহীন লেভেল ক্রসিং পারাপারে কী কী সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়?
উঃ। রক্ষীবিহীন লেভেল ক্রসিং পারাপার করার সময়, বিশেষত গাড়ি চালিয়ে পার করার সময় সাবধান হওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। রক্ষীযুক্ত লেভেল ক্রসিং-এ যখন লাল আলো দেখা যাবে (লাল পথচারীর চিহ্নসহ) তখন আপনার স্টপ লাইন পার করা বা পেরিয়ে যাওয়া উচিত নয়। সেই সঙ্গে কোনো অ্যালার্মের শব্দ শোনা গেলে বা গেট নামানো হলে পার হবেন না। যদি অন্য আরেকটি ট্রেন আসে তাহলে অ্যালার্মের শব্দ পরিবর্তন হতে পারে। যদি কোনো লাইট, অ্যালার্ম বা গেট না থাকে তাহলে উভয় দিকে দেখে এবং কোনো শব্দ হচ্ছে কিনা শুনে পার হতে হবে।
৪. অ্যাম্বার আলোর সতর্কীকরণ সম্পর্কে যা জানো লেখো।
উঃ। অ্যাম্বার আলো হল সতর্কীকরণ সংকেত। সবুজ সংকেত পরিবর্তিত হয়ে অ্যাম্বার আলো দেখা গেলে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করে 'Stop' রেখার পিছনে দাঁড়াতে হবে। লাল সংকেত পরিবর্তিত হয়ে অ্যাম্বার আলো দেখা গেলে গাড়ি চালানোর জন্য প্রস্তুত হতে হবে। অর্থাৎ তখন সবুজ সংকেতের পূর্বে অ্যাম্বার আলোটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
৫. বিভাজন রেখা বা মধ্যবর্তীরেখা কাকে বলে?
উঃ। সমস্ত দ্বিমুখী রাস্তার মাঝখানে একটি দাগ দেখতে পাওয়া যায়। এই দাগ বা রেখা সাদা বা হলুদ রং-এর হয়ে থাকে। এই দাগটির মূল উদ্দেশ্য হলো একটি রাস্তাকে দুটি অংশে বিভক্ত করা। বিভাজন রেখার মধ্য দিয়ে রাস্তার দুই ধারে গমনপথ ও আগমন পথের নির্দিষ্টকরণ হলো পথ নিরাপত্তার অন্যতম শর্ত। বিপরীতমুখী যানবাহনের সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা এড়ানোর জন্যই এই বিভাজনরেখা রাস্তায় দেখা যায়।
৬. লেন ব্যবস্থা কী ?
উঃ। প্রতিটি রাস্তায় বিভিন্ন ধরণের হালকা, ভারী ও মিশ্রগতির যানবাহন দেখতে পাওয়া যায়। এই যানবাহনগুলি যদি সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা ছাড়া রাস্তায় চলাচল করে তাহলে তার অবশ্যম্ভাবী পরিণাম হবে যানজট, দুর্ঘটনা এবং ভোগান্তি। এই অসুবিধা দূর করার উদ্দেশ্য রাস্তার প্রতিটি ভাগে সাদা রং-এর বিচ্ছিন্ন দাগ দেখতে পাওয়া যায়। এগুলি রাস্তার প্রতিটি ভাগকে রাস্তার পরিসর অনুযায়ী দুই বা ততোধিক ছোটো ছোটো অংশে বিভক্ত করে। একেই লেন ব্যবস্থা বলা হয়।
⬛ রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর:তিটা প্রশ্নের মান -5
১. ট্রাফিক পুলিশের নিরাপত্তা সম্পর্কে যা জানো লেখো।
উঃ। ট্রাফিক পুলিশ হল – যথেষ্ট দায়িত্ববোধ ও নিষ্ঠার প্রতীক। প্রচণ্ড গরম, বর্ষা, শীত সমস্ত কিছু উপেক্ষা করে ট্রাফিক পুলিশ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে যাত্রী-নিয়ন্ত্রণ ও যানবাহন নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করে চলেছেন। দুর্ঘটনার হাত থেকে যানবাহন ও ব্যক্তিকে বাঁচানোর চেষ্টা তাঁরা করে থাকেন। দুর্ঘটনা ঘটে গেলে মুহূর্তে আহত ব্যক্তির সেবা করা, প্রয়োজনে হাসপাতালে পাঠাবার ব্যবস্থা করা ও সমগ্র দুর্ঘটনাপূর্ণ স্থানটিকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার প্রাণপণ চেষ্টা করেন ট্রাফিক পুলিশ। যে-সকল গাড়িচালক ও পথচারী পথ চলার নিয়মকানুন অমান্য করেন তাদের ট্রাফিক পুলিশ কঠোর শাস্তি দেন। এমন কি অসহায়, দুঃস্থ, বৃদ্ধ, বৃদ্ধাকে কিংবা অ্যাম্বুল্যান্স জাতীয় গাড়িকে আগে পার করানোর ব্যবস্থা করেন।
২. পথ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিশের নির্দেশগুলি লেখো।
উঃ। (i) ট্রাফিক পুলিশ যেদিকের রাস্তায় Stop তুলে ধরে সেই রাস্তা দিয়ে সমস্ত যানবাহন | বন্ধ থাকবে। এক্ষেত্রে ট্রাফিকের সামনের ও পিছনের রাস্তা দিয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করবে না। কিন্তু ডান দিক ও বাঁদিক দিয়ে গাড়ি যাতায়াত করতে পারে। কিছুক্ষণ পর ট্রাফিক পুলিশ তার অবস্থান পরিবর্তন করবে। ফলে বন্ধ থাকা রাস্তাটি খুলে যাবে ও খোলা রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যাবে। (ii) জেব্রা ক্রসিং এ লাল আলোর মানুষ ক্রসিং-এর মাধ্যমে রাস্তা পার হতে নিষেধ করছে। আলোটি নিভে গেলে যানবাহন থেমে গেলে রাস্তা পার হওয়া উচিত।(iii) আলোর সংকেত-কে মেনে গাড়িগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
৩. রাতে সাইকেল চালাতে হলে চালকের কী কী করনীয় তা বর্ণনা করো।
উঃ। রাতের সাইকেল আরোহীকে হালকা রঙের পোশাক বা ফ্লুরোসেন্ট পোশাক পরতে হবে যাতে সড়কের অন্যান্য ব্যবহারকারীরা দিনের আলোতে এবং কম আলোতে দেখতে পান।
রাতে সাইকেলে সামনে সাদা এবং পিছনে লাল লাইট থাকা প্রয়োজন। সেটাতে একটি লাল রিয়ার রিফ্লেক্টেরও লাগাতে হবে (এবং অ্যাম্বার প্যাডের রিফ্লেক্টর)। সাদা সামনের রিফ্লেক্টর এবং স্পোক রিফ্লেক্টরও দৃশ্যমান থাকতে সাহায্য করবে। ফ্ল্যাশিং লাইট লাগানো যায়। কিন্তু যে-সমস্ত সাইকেল চালকরা রাস্তার আলো নেই এমন এলাকায় সাইকেল চালাচ্ছে, তাদের একটি অবিরত জ্বলছে এমন সামনের লাইট ব্যবহার করার সুপারিশ করা হয়। • রাতে সামনের এবং পিছনের লাইট বাধ্যতামূলক ভাবে জ্বালিয়ে রাখতে হবে এবং লাল রিয়ার রিয়েক্টর ব্যবহার করতে হবে।
৪. লেভেল ক্রসিং-এ দুর্ঘটনা কী কারণে ঘটে থাকে?
উঃ। সারা বিশ্বে রক্ষীবিহীন লেভেল ক্রসিং বিপদের একটি কারণ। বর্তমানে ভারতীয় রেলওয়েতে মোট ৩২৬৯৪ সংখ্যক লেভেল ক্রসিং আছে, যার মধ্যে ১৪৮৫৩ রক্ষীবিহীন যেখানে প্রধানত সড়ক ব্যবহারকারীদের অপর্যাপ্ত সাবধানতা অবলম্বন করার কারণে দুর্ঘটনা ঘটে। তাঁরাই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন যাঁরা বাধ্যতামূলক সাইনবোর্ড, সিগন্যাল এবং প্রাথমিক ট্রাফিক নিরাপত্তা নিয়ম পালন করতে ব্যর্থ হন। রক্ষীযুক্ত লেভেল ক্রসিং-এর মাত্র ৫৪% ইন্টারলকড অর্থাৎ নিরাপত্তার একটি অতিরিক্ত স্তর হিসাবে গেট সিগন্যাল সুরক্ষিত। রেলওয়ের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি রিপোর্ট অনুযায়ী রক্ষীবিহীন লেভেল ক্রসিং-এর কারণে ৫৯% মৃত্যু ঘটে। এই অননুমোদিত চলাচলের কারণে দিনে কমপক্ষে একটি মৃত্যু ঘটে। আর এটা ঘটে সচেতনতা বৃদ্ধির সমস্ত চিরাচরিত প্রথা ব্যবহার করা সত্ত্বেও। এটা সেই সমস্ত মানুষদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতি অবহেলা প্রদর্শন যারা গাড়ি চালিয়ে, সাইকেল চালিয়ে বা হেঁটে পারাপার করেন।
৫. সড়ক দুর্ঘটনার কারণগুলি আলোচনা করো।
উঃ। প্রয়োজনে সকলকেই সড়ক পথে যাতায়াত করতেই হয়। তাই পথচারীদের সড়ক দুর্ঘটনা কখনই কাম্য নয়। দুঃখের কথা এই যে আমরা ভুল থেকে শিক্ষাগ্রহণ করি না। পথচারীদের সুরক্ষাবিধি জানা সত্বেও তার প্রতি উদাসীনতার জন্যই দুর্ঘটনা ঘটে যায়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতে প্রতি মিনিটে একটি করে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে, আর প্রতি চার মিনিটে একটি করে সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যাচ্ছে। (i) অতিরিক্ত গতি (ii) মদ্যপান করে গাড়ি চালানো। (iii) চালকের অমনোযোগ, (iv) রেড লাইট এর নির্দেশ। (v) সিট বেল্ট বা হেলমেট ব্যবহার না করা—এই ভুল আচরণগুলিই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটার অন্যতম কারণ।
(i) অতিরিক্ত গতি ঃ অন্যকে পিছনে ফেলে দুরন্ত গতিতে এগিয়ে যাওয়ার প্রবণতায় দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়। আর এই উচ্চগতির দুর্ঘটনায় আহতের জখম হওয়ার মাত্রা অনেক বাড়িয়ে দেয়, এমনকি মৃত্যুও ডেকে আনতে পারে। উচ্চগতির জন্য গাড়ি পিছলে যাওয়ার বা নিয়ন্ত্রণের ভুলে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়।
(ii) মদ্যপান করে গাড়ি চালানো : মদ্যপান মানুষের মনঃসংযোগ নষ্ট করে দেয়। হাত-পা কাজ করতে বেশি সময় নেয়। ঘুম ঘুম ভাবের জন্য দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পায়। এছাড়া শরীরকে উত্তেজিত করে তোলে। আর এসব কারণেই দুর্ঘটনা ঘটে তা মারাত্মক আকার নেয়।
(iii) সিট বেল্ট ও হেলমেট ব্যবহার না করা : চারচাকার চালকের জন্য সিট বেল্ট এবং দু-চাকার চালকের জন্য হেলমেট বাধ্যতামূলক। নতুবা জরিমানা অবধারিত। সমীক্ষায় দেখা যায় সিট বেল্ট ও হেলমেট ব্যবহারকারীর কোনো কারণে দুর্ঘটনার সময় আঘাত খুবই কম লাগে। তাই এ ব্যাপারে সচেতন হওয়া বাঞ্ছনীয়। বিশেষ করে দু-চাকায় অতিরিক্ত যাত্রী থাকলে সকলেরই হেলমেট ব্যবহার করা উচিত।
(iv) চালকের অমনোযোগ : চালকের অমনোযোগ বড়ো দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। ইদানিং | এই অমনোযোগের অন্যতম কারণ হলো গাড়ি চালানোর সময় মোবাইলে কথা বলা। এর ফলে মস্তিষ্কের বেশি অংশ ফোনে কাজ করে, আর অল্প অংশ কাজ করে গাড়ির নিয়ন্ত্রণে। এর ফলে বিচার ক্ষমতা ব্যাহত করে সংঘাতের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
(v) রেড লাইট এর নির্দেশ না মানা : সময় বাঁচাবার জন্য রেড লাইটের পরোয়া না করে অধৈর্য্য মানুষ দ্রুত এগিয়ে যেতে চায়। অনেকের ধারণা রেড লাইটে দাঁড়ানো মানেই সময় এবং জ্বালানি অপচয়। এই ধারণাটাই ভুল, উলটে সড়ক ব্যবহারকারীর জীবন বিপন্ন হতে পারে, অন্য চালকদের অনুপ্রাণিত করে ক্রসিং-এ একটা যানজটের সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।
No comments:
Post a Comment