নবম অধ্যায়
প্রশ্ন উত্তর
❐ অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :
১. স্বাধীন ভারতের জন্ম করে হয় ?
উঃ । ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীন ভারতের জন্ম হয় ।
২. ভারতবর্ষে ঔপনিবেশিক শাসন কত বছর ছিল ?
উঃ । ভারতবর্ষে ১৯০ বছর ঔপনিবেশিক শাসন ছিল ।
৩. সংবিধানটি কোথায় গৃহীত হয় ?
উঃ । সংবিধানটি গণপরিষদে গৃহীত হয় ।
৪. সংবিধানটি কবে কার্যকর হয় ?
উঃ । সংবিধানটি ২৬ জানুয়ারি , ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে কার্যকর হয় ।
৫. গণপরিষদ কবে গঠিত হয় ?
উঃ । গণপরিষদ ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে গঠিত হয় ।
৬. গণপরিষদের স্থায়ী সভাপতি কে ছিলেন ?
উঃ । গণপরিষদের স্থায়ী সভাপতি ছিলেন ড . রাজেন্দ্রপ্রসাদ ।
৭. সংবিধানের খসড়া কমিটির সদস্যসংখ্যা কত জন ছিল ?
উঃ । সংবিধানের খসড়া কমিটির সদস্যসংখ্যা ছিল ৭ জন ।
৮. স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন ?
উঃ । স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু ।
৯. প্রস্তাবনা কী ?
উঃ । সংবিধানের আদর্শ ও উদ্দেশ্য যেখানে বলা হয়েছে সেইটিই প্রস্তাবনা ।
১০. সাধারণতন্ত্র দিবস কবে পালিত হয় ?
উঃ । ২৬ জানুয়ারি , ১৯৫০ খ্রিঃ সাধারণতন্ত্র দিবস পালন হয় ।
১১. বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো সংবিধান কোনটি ?
উঃ । ভারতের সংবিধানই বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো সংবিধান ।
১২. যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা কোথায় আছে ?
উঃ । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা আছে ।
১৩. মন্ত্রীসভাপরিচালিত শাসনব্যবস্থা কোথায় আছে ?
উঃ । ইংল্যান্ডে মন্ত্রীসভা পরিচালিত শাসনব্যবস্থা আছে ।
১৪. ভারতবর্ষ ছাড়াও আর কোথায় নির্দেশমূলক নীতি দেখা যায় ?
উঃ । আয়ারল্যান্ডের সংবিধানে ।
১৫. ‘ ধর্মনিরপেক্ষ ' কথাটি সংবিধানে কবে যুক্ত হয় ?
উঃ । ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে ৪২ তম সংবিধান সংশোধনীতে ধর্মনিরপেক্ষ কথাটি সংবিধানে যুক্ত হয় ।
১৬. ‘ সমাজতান্ত্রিক ' শব্দটি কবে যুক্ত হয় ?
উঃ । ১৯৭৬ খ্রিঃ ৪২ তম সংবিধান সংশোধনীতে সমাজতান্ত্রিক শব্দটি যুক্ত হয় ।
১৭. রাষ্ট্রপতি কত বছরের জন্য নির্বাচিত হন ?
উঃ । রাষ্ট্রপতি ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত হন ।
১৮. উপরাষ্ট্রপতির কার্যকাল কত দিনের ?
উঃ । উপরাষ্ট্রপতির কার্যকাল ৫ বছরের ।
১৯. কেন্দ্রীয় আইনসভার কটি কক্ষ ?
উঃ । কেন্দ্রীয় আইনসভার দুটি কক্ষ ।
২০. কতজন সদস্য নিয়ে রাজ্যসভা গঠিত ?
উঃ । ২৫০ জন সদস্য নিয়ে রাজ্য সভা গঠিত ।
২১. কেন্দ্রীয় আইনসভা কী নিয়ে গঠিত ?
উঃ । রাষ্ট্রপতি ও দুই কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা নিয়ে কেন্দ্রীয় আইনসভা গঠিত ।
২২. রাজ্যসভায় কতজন ভারতীয় নাগরিককে রাষ্ট্রপতি নির্ধারিত করেন ?
উঃ । ১২ জন ভারতীয় নাগরিককে ।
২৩. রাজ্যসভায় নির্বাচিত সদস্যের বয়সসীমা কত ?
উঃ । অন্তত ৩০ বছর বয়স্ক ব্যক্তিই এই পদের যোগ্য ।
২৪. রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর বয়সসীমা কত ?
উঃ । পদপ্রার্থীকে অন্তত ৩৫ বছর বয়স্ক হতে হবে ।
২৫. উপরাষ্ট্রপতির পদপ্রার্থীর বয়সসীমা কত ?
উঃ । পদপ্রার্থীকে অন্তত ৩৫ বছর বয়স্ক হতে হবে ।
২৬. ভারতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ কোন্টি ?
উঃ । ভারতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ হলো লোকসভা ।
২৭. বর্তমানে লোকসভার সদস্য সংখ্যা কত ?
উঃ । বর্তমানে লোকসভার সদস্যসংখ্যা ৫৫২ জন ।
২৮. রাষ্ট্রের প্রকৃত পরিচালক কে ?
উঃ । প্রধানমন্ত্রী হলেন রাষ্ট্রের প্রকৃত পরিচালক ।
২৯. লোকসভায় সভাপতিত্ব করেন কে ?
উঃ । লোকসভায় সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ।
৩০. রাজ্যের আইনসভার উচ্চকক্ষের কী নাম ?
উঃ । রাজ্য আইনসভার উচ্চকক্ষ হলো বিধান পরিষদ ।
৩১. রাজ্য আইনসভার নিম্নকক্ষের কী নাম ?
উঃ । রাজ্য আইনসভার নিম্নকক্ষকে বিধানসভা বলা হয় ।
৩২. রাজ্যপাল কার দ্বারা নিযুক্ত হন ?
উঃ । রাজ্যপাল রাষ্ট্রপতি দ্বারা নিযুক্ত হন ।
৩৩. রাজ্যের নিয়মতান্ত্রিক প্রধান কে ?
উঃ । রাজ্যের নিয়মতান্ত্রিক প্রধান হলেন রাজ্যপাল ।
৩৪. পশ্চিমবঙ্গের বিধানপরিষদ কবে বিলুপ্ত হয় ?
উঃ । পশ্চিমবঙ্গের বিধান পরিষদ ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে বিলুপ্ত হয় ।
৩৫. পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী কে ছিলেন ?
উঃ । পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন শ্রী প্রফুল্ল ঘোষ ।
৩৬. পশ্চিমবঙ্গের স্থানীয় স্বায়ত্ত্বশাসনের কটি বিভাগ ?
উঃ । পশ্চিমবঙ্গের স্থানীয় স্বায়ত্ত্বশাসনের দুটি বিভাগ , গ্রামীন ও পৌর ।
৩৭. গ্রামীণ স্বায়ত্বশাসন ব্যবস্থার কী নাম ?
উঃ । পঞ্চায়েত ব্যবস্থা নামে এটি পরিচিত ।
৩৮. পঞ্চায়েত ব্যবস্থার স্তর কটি ?
উঃ । পঞ্চায়েত ব্যবস্থার তিনটি স্তর ।
৩৯. পঞ্চায়েত ব্যবস্থার স্তরগুলি ক্রমান্বয়ে লেখো ।
উঃ । গ্রাম পঞ্চায়েত , পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ ।
৪০. গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যের কী যোগ্যতা থাকবে ?
উঃ । গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যকে পঞ্চায়েত অধীনস্থ ভোটার হতে হবে ।
৪১. গ্রাম পঞ্চায়েতের সভায় কে সভাপতিত্ব করেন ?
উঃ । গ্রাম পঞ্চায়েতের সভায় সভাপতিত্ব করেন গ্রাম প্রধান ।
৪২. পঞ্চায়েত সমিতি কীভাবে গঠন হয় ?
উঃ । কয়েকটি গ্রাম নিয়ে যে ব্লক তৈরি হয় , বুকের নামে পঞ্চায়েত সমিতির নামকরণ হয় ।
৪৩. পশ্চিমবঙ্গের কটি জেলায় জেলা পরিষদ আছে ?
উঃ । ১৭ টি জেলায় জেলা পরিষদ আছে ।
৪৪. জেলা পরিষদের সভা কতদিন অন্তর ডাকতে হয় ?
উঃ । জেলা পরিষদের সভা তিনমাস অন্তর ডাকতে হয় ।
৪৫. ভারতে প্রথম কবে ও কার সময়ে পৌরশাসন ব্যবস্থা চালু হয় ?
উঃ । ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে লর্ড রিপনের সময় ভারতে পৌরশাসন ব্যবস্থা চালু হয় ।
৪৬. পশ্চিমবঙ্গে কবে পৌরবিল তৈরি হয় ?
উঃ । ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গে পৌরবিল তৈরি হয় ।
৪৭. পশ্চিমবঙ্গে কবে পৌরআইন তৈরি হয় ?
উঃ । ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গে পৌরআইন তৈরি হয় ।
৪৮ , পারিবারিক হিংসাবোধ আইন কবে চালু হয় ?
উঃ । ২০০৫ সাল থেকে ।
৪৯. ‘ পুনা চুক্তি ’ কবে ও কাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় ?
উঃ । ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে গান্ধিজি ও আম্বেদকারের মধ্যে ‘ পুনা চুক্তি ’ স্বাক্ষরিত হয় ?
৫০. ভারতের নাগরিকদের কটি মৌলিক কর্তব্য ?
উঃ । ১০ টি মৌলিক কর্তব্য আছে ।
৫১. কার নেতৃত্বে ভারতের সংবিধান রচিত হয় ?
উঃ । ডঃ বি . আর . আম্বেদকরের নেতৃত্বে ভারতের সংবিধান রচিত হয় ।
.৫২ . সাধারণতন্ত্র দিবস কবে পালিত হয় ?
উঃ । ২৬ জানুয়ারি ভারতে সাধারণতন্ত্র দিবস পালিত হয় ।
❐ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :
১. ভারতবর্ষে সংবিধান রচনার দাবি ওঠে কেন ?
উঃ । ভারতবর্ষ যখন ব্রিটিশ শাসনের অধীনে ছিল তখন ব্রিটিশ সরকারের আইন অনুযায়ী ভারত শাসন করা হতো । সেখানে ভারতীয়দের চাওয়া পাওয়ার কোনো প্রতিফলন ঘটত না । এই কারণে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার পর থেকে জাতীয় নেতৃবৃন্দ ভারতীয়দের জন্য একটি সংবিধান রচনার দাবি তুলতে থাকেন । কিন্তু ব্রিটিশ সরকার শাসনতান্ত্রিক সংস্কারের মাধ্যমে ভারতবাসীর কিছু কিছু দাবি মেনে নিলেও প্রশাসনের মূল নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে রাখেন । তবে আন্দোলনের চাপে ভারতবাসীর জন্য স্বাধীনতা ও সংবিধানের দাবিকে মেনে নিয়ে ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে একটি সংবিধান সভা গঠনের প্রস্তাব গ্রহণ করেন , যে সভার কাজ হবে ভারতের জন্য একটি সংবিধান রচনা করা । ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে গঠিত গণপরিষদের স্থায়ী সভাপতি নির্বাচিত হন ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ । বি . আর আম্বেদকারের নেতৃত্বে গঠিত সাতজনের একটি খসড়া কমিটি সংবিধান রচনার কাজটি করে ।
২. ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘ সমাজতান্ত্রিক ’ শব্দটি কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে ? উঃ । সমাজতন্ত্র বলতে সাধারণত উৎপাদনের উপকরণগুলির ওপর রাষ্ট্র তথা সমাজের মালিকানা ও উৎপাদিত সম্পদের সমান ভাগকে বোঝায় । কিন্তু ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনায় সমাজতান্ত্রিক শব্দটিকে অন্য অর্থে বোঝানো হয়েছে । যেখানে মিশ্র অর্থনীতির মাধ্যমে অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিমালিকানা নির্ভর অর্থনীতির মাধ্যমে সমাজতান্ত্রিক ধাঁচের সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে ।
৩. গণতন্ত্র কী ? ভারতীয় সংবিধানে ‘ গণতন্ত্র ' বলতে কী বোঝানো হয়েছে ?
উঃ । গণতন্ত্র বলতে সামাজিক , অর্থনৈতিক , রাজনৈতিক প্রভৃতি ক্ষেত্রে সমতা প্রতিষ্ঠা বোঝায় । ভারতীয় সংবিধানে ‘ গণতন্ত্র ’ বলতে মূলত প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকারের কথা বোঝানো হয়েছে । সেক্ষেত্রে ভোট দিয়ে কেন্দ্র ও প্রদেশগুলির আইনসভার এবং বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসনমূলক প্রতিষ্ঠানে প্রতিনিধি নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে ।
৪. ভারতের রাষ্ট্রপতির নির্বাচন সম্পর্কে যা জানো লেখো ।
উঃ । ভারতের রাষ্ট্রপতি হলেন রাষ্ট্রপ্রধান । তিনি জাতির প্রতিনিধিত্ব করেন । ভারতের রাষ্ট্রপতি এক বিশেষ পদ্ধতিতে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হন । একই ব্যক্তি একাধিকবার রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হতে পারেন । রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীকে কমপক্ষে ৩৫ বছর বয়স্ক হতে হবে । ভারতীয় নাগরিকত্ব , রাজ্যসভার সদস্য হবার যোগ্যতা তাঁর থাকা দরকার । সরকারি কোনো লাভজনক পদে তিনি থাকতে পারবেন না ।
৫. কেন্দ্রীয় আইনসভার গঠন ও কাজের বিবরণ দাও ।
উঃ । রাষ্ট্রপতি ও দুই কক্ষ বিশিষ্ট একটি আইনসভা নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় আইনসভা বা সংসদ গঠিত । কেন্দ্রীয় আইনসভার উচ্চকক্ষকে বলা হয় রাজ্যসভা । ভারতীয় সংবিধান অনুসারে অনধিক ২৫০ জন সদস্য নিয়ে রাজ্যসভা গঠিত হয় । ভারতীয় সংসদের নিম্নকক্ষের নাম লোকসভা । সার্বিক প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকারের ভিত্তিতে প্রত্যক্ষভাবে জনগণের দ্বারা লোকসভার সদস্যরা নির্বাচিত হন । কেন্দ্রীয় আইনসভা আইন রচনা , সংবিধান সংশোধন , করের হার নির্দিষ্ট করা প্রভৃতি নানা কাজ করে থাকেন ।
৬. গ্রাম পঞ্চায়েত ব্যবস্থার বিবরণ দাও ।
উঃ । পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ব্যবস্থার সর্বনিম্ন কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ স্তর হলো গ্রাম পঞ্চায়েত । গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থীকে অবশ্যই পঞ্চায়েত অধীনস্থ ভোটার হতে হয় । পঞ্চায়েত সদস্যরা সার্বিক প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকারের ভিত্তিতে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হন । বর্তমানে প্রধান ও উপপ্রধান পদটি ১/৩ মহিলা সদস্য ও জনসংখ্যার অনুপাতে তফশিলি জাতি ও | উপজাতির জন্য সংরক্ষিত হয়েছে ।
৭. পঞ্চায়েত সমিতির গঠন ও কাজ বর্ণনা করো ।
উঃ । পঞ্চায়েত ব্যবস্থার দ্বিতীয় স্তরে রয়েছে পঞ্চায়েত সমিতি । কয়েকটি গ্রাম নিয়ে ব্লক ও ব্লকের নাম অনুযায়ী পঞ্চায়েত সমিতির নামকরণ হয় । ব্লকে উন্নয়নের সার্বিক দায়িত্ব এই সমিতির । পঞ্চায়েত সমিতিতে তফশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের এবং কোনো মহিলা সদস্য না থাকলে সরকার তাঁদের মধ্যে থেকে দু - একজন সদস্যকে নিয়োগ করেন ।
৮. জেলা পরিষদের গঠন ও কার্যকালের বিবরণ দাও ।
উঃ । পশ্চিমবঙ্গের ১৯ টি জেলার মধ্যে কলকাতা ও দার্জিলিং বাদে সব জেলারই জেলা পরিষদ আছে । জেলা পরিষদের প্রার্থী হওয়ার জন্য কোনো প্রার্থীকে গ্রাম পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীর সমতুল্য যোগ্যতা থাকা বাঞ্ছনীয় । জেলা পরিষদদের কার্যকালের মেয়াদ ৫ বছর । সভাপতি ছাড়াও সহসভাপতি ও অন্যান্য সদস্যবৃন্দ সভার কাজ পরিচালনা করেন ।
৯. পৌরসভার বিবরণ দাও ।
উঃ । স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থার অন্যতম অঙ্গ পৌরসভা । রাজ্যসরকার প্রতিটি পৌর অঞ্চলকে কয়েকটি ওয়ার্ডে ভাগ করেন । ওয়ার্ডের প্রতিনিধি হলেন কাউন্সিলার । কাউন্সিলার রূপে নির্বাচিত হবার যোগ্যতা গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যেরই মতো । কাউন্সিলার পরিষদই হলো পৌরসভা । পৌরসভায় কাউন্সিলর পরিষদ নিজেদের মধ্যেই একজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইসচেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ।
১০. পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার বিবরণ দাও ।
উঃ । ১৯৬৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য আইনসভার ক্ষেত্রে বিধান পরিষদকে বিলুপ্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে এরপর থেকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য আইনসভায় কেবল বিধানসভা রয়েছে । প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকারের ভিত্তিতে বিধানসভার সব সদস্য বা বিধায়কগণ নির্বাচিত হন । কোনো কোনো বিধানসভায় রাজ্যপালের ইচ্ছা অনুযায়ী একজন ইঙ্গ - ভারতীয় সদস্য মনোনীত হতে পারেন । বিধানসভার সদস্যদের মেয়াদ সাধারণত পাঁচ বছর ।
১১. রাজ্যের আইনসভার বিবরণ দাও ।
উঃ । ভারতের সংবিধান অনুযায়ী প্রতিটি অঙ্গরাজ্যেই একটি করে আইনসভা রয়েছে । কোনো কোনো রাজ্যের আইনসভা এককক্ষবিশিষ্ট আবার কোনো রাজ্যের আইনসভা দ্বিকক্ষবিশিষ্ট । দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার উচ্চকক্ষ হলো বিধান পরিষদ ও নিম্নকক্ষ বিধানসভা । পশ্চিমবঙ্গের আইনসভা এককক্ষবিশিষ্ট বিধানসভা নিয়ে গঠিত । রাজ্যপাল , বিধানসভা এবং বিধানপরিষদ অথবা কেবল রাজ্যপাল ও বিধানসভা নিয়ে রাজ্য আইনসভা গঠিত হয় ।
১২. ভারতের উপরাষ্ট্রপতি সম্পর্কে কী জানা যায় ?
উঃ । পদমর্যাদার নিরিখে রাষ্ট্রপতির পরেই উপরাষ্ট্রপতির স্থান । উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হতে গেলে কমপক্ষে ৩৫ বছর বয়স্ক নাগরিক এবং রাজ্যসভার সদস্য হওয়ার মতো যোগ্যতা থাকতে হবে । উপরাষ্ট্রপতিও এক বিশেষ পদ্ধতিতে নির্বাচিত হন । উপরাষ্ট্রপতি রাজ্যসভার সভাপতিত্ব করেন । তাঁর কার্যকলাপ হয় সাধারণত পাঁচ বছর ।
১৩. ভারতের সংবিধানে গণতান্ত্রিক শব্দটির তাৎপর্য কী ?
উঃ । গণতন্ত্র বলতে বোঝায় সামাজিক , আর্থিক , রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সমতা প্রতিষ্ঠার কথা বোঝায় । কিন্তু ভারতীয় সংবিধানে ' গণতান্ত্রিক ' শব্দটিতে সার্বিক প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকারের কথা বলা হয়েছে । সেক্ষেত্রে ভোটদান মারফত কেন্দ্র ও প্রাদেশিক আইনসভায় এবং বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসনমূলক প্রতিষ্ঠানে প্রতিনিধি নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে । ( গ ) ভারতকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র বলা হয়েছে কেন ? উঃ । ‘ ধর্মনিরপেক্ষ ’ বলতে বোঝায় ভারত রাষ্ট্রের নিজস্ব কোনো ধর্ম নেই । বিশেষ কোনো ধর্মের পক্ষে বা বিপক্ষে কথা বলা বা বিরোধিতা করা কোনোটিই ভারত রাষ্ট্র করবে না । ভারত রাষ্ট্রের মধ্যে প্রতিটি নাগরিক অন্যের ধর্মবিশ্বাসকে আঘাত না করে তাঁর নিজের বিশ্বাসমতো ধর্মাচরণ করতে পারবেন ।
১৪. মহাত্মা গান্ধি দলিতদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কী কী উদ্যোগ নিয়েছিলেন ?
উঃ । মহাত্মা গান্ধি ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে অসহযোগ প্রস্তাবে অস্পৃশ্যতা দূরীকরণকে স্বরাজ অর্জনের জরুরি শর্ত বলে মনে করেন । অসহযোগ আন্দোলন বন্ধ হবার পর গান্ধিজির এই আন্দোলনের প্রতি কারোরই বিশেষ আগ্রহ ছিল না । গান্ধিজি প্রধানত হিন্দু মন্দিরে হরিজনদের প্রবেশ করতে পারার অধিকার নিয়ে আন্দোলন করেন । ফলে ধর্মীয় অধিকার পেলেও মার্থিক , রাজনৈতিক অধিকার থেকে হরিজনরা বঞ্চিত ছিলেন ।
১৫. ভারতের সংবিধানে নাগরিকদের কী কী মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে ?
উঃ । ভারতের সংবিধানে নাগরিকদের ছয়টি মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে । এইসব অধিকারগুলি হলো : সাম্যের অধিকার , স্বাধীনতার অধিকার , শোষণের বিরুদ্ধে অধিকার , ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার , শিক্ষা ও সংস্কৃতির অধিকার , সাংবিধানিক প্রতিবিধানের অধিকার । কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের কোনো আইন ভারতের নাগরিকদের মৌলিক | অধিকারগুলি ক্ষুণ্ণ করতে পারে না ।
❐ রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর:
১. ভারতের সংবিধানে লিপিবদ্ধ মৌলিক কর্তব্যগুলি কী কী ?
উ: ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে সংবিধান সংশোধনে ভারতীয় নাগরিকদের ১০ টি মৌলিক কর্তব্য স্থির হয়েছে । ( ১ ) সংবিধান , সংবিধানের আদর্শ , বিভিন্ন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান , জাতীয় পতাকা ও জাতীয় স্তোত্রের প্রতি সম্মান দেখানো । ( ২ ) স্বাধীনতা সংগ্রামের মহৎ আদর্শের প্রতি সংরক্ষণ ও অনুসরণ । ( ৩ ) ভারতের সার্বভৌমত্ব , ঐক্য ও সংহতিকে অক্ষুণ্ণ রাখা ও তা রক্ষা করা । ( ৪ ) দেশের প্রতিরক্ষায় অংশগ্রহণ , সেবামূলক কাজের আহ্বানে সাড়া দিয়ে যোগ দেওয়া । ( ৫ ) ধর্মীয় , ভাষাগত ও আঞ্চলিক বা শ্রেণিগত বিভিন্নতার উর্দ্ধে সকল ভারতীয়র মধ্যে ঐক্য ও সৌভ্রাতৃত্ববোধ গড়ে তোলা । নারীর মর্যাদাহানিকর আচরণ ত্যাগ করা ।
( ৬ ) ভারতের সমন্বয়বাদী , মিশ্র সংস্কৃতির উত্তরাধিকারকে সম্মান ও রক্ষা করা । ( ৭ ) বন্যপ্রাণী ও প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা করা এবং সমস্ত প্রাণীদের প্রতি মমত্ববোধ তৈরি করা । ( ৮ ) প্রত্যেক নাগরিকের তরফে বৈজ্ঞানিক মানসিকতা , মানবতাবোধ , অনুসন্ধান ও সংস্কারের মানসিকতাকে গ্রহণ করা ও তার দ্বারা চালিত হওয়া । ( ৯ ) জাতীয় সম্পত্তি রক্ষা ও হিংসা ত্যাগ করা । ( ১০ ) ব্যক্তিগত ও যৌথ প্রচেষ্টা দ্বারা সার্বিক উন্নতির লক্ষ্যে চলা । ( ১১ ) বাবা - মা অভিভাবকদের কর্তব্য হলো তাঁদের ৬ থেকে ১৪ বছর বয়স্ক সন্তান বা পোষ্যের শিক্ষার যথোচিত ব্যবস্থা করা ।
২. রাজ্যপালের শাসন ক্ষমতার বিবরণ দাও ।
উঃ । রাজ্যের শাসনব্যবস্থায় সবার উপরে রয়েছেন রাজ্যপাল । যদিও তিনি নিয়মতান্ত্রিক বা নামমাত্র প্রধান । রাজ্যপাল কেন্দ্রীয় সরকারের সুপারিশে রাষ্ট্রপতি দ্বারা পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হন । সংবিধান অনুসারে রাজ্যপাল পদের নিযুক্ত ব্যক্তিকে ৩৫ বছর বয়স্ক ও ভারতীয় নাগরিক হতে হবে । তিনি কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের অধীনে চাকরি বা কোনো লাভজনক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না । কোনো রাজ্যের রাজ্যপাল সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়োগ করেন । এবং মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শে অন্যান্য মন্ত্রীদের নিয়োগ করেন । এছাড়া রাজ্যের বিভিন্ন উচ্চপদস্থ ও সম্মানিত পদে ব্যক্তিদের তিনি নিয়োগ করেন । কোনো রাজ্যে বিধান পরিষদ থাকলে রাজ্যের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্য থেকে কয়েকজনকে রাজ্যপাল সেখানে নিয়োগ করেন ।
৩. লোকসভার বিবরণ দাও ।
উঃ । ভারতীয় সংসদের নিম্নকক্ষের নাম লোকসভা । প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকারের ভিত্তিতে প্রত্যক্ষভাবে জনগণের দ্বারা লোকসভার প্রায় সকল সদস্য নির্বাচিত হন । কেবল রাষ্ট্রপতি দুজন সদস্যকে মনোনীত করতে পারেন । বর্তমানে লোকসভার সদস্য সংখ্যা ৫৫২ করা হয়েছে । লোকসভার সদস্য পদে প্রার্থী হতে গেলে একজন ব্যক্তির বয়স কমপক্ষে ২৫ বছর ও তাকে ভারতীয় নাগরিক হতে হবে । ওই ব্যক্তি কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের অধীনে চাকুরিরত থাকতে পারবেন না । সাধারণত পাঁচ বছরের জন্য লোকসভার সদস্যরা নির্বাচিত হন । লোকসভায় সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ বা স্পিকার । অধ্যক্ষের অবর্তমানে উপাধ্যক্ষ বা ডেপুটি স্পিকার সভার কাজ পরিচলনা করেন । অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ উভয়েই লোকসভার সদস্যদের মধ্য থেকে এবং সদস্যদের দ্বারা নির্বাচিত হন ।
৪. ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনাটি ব্যাখ্যা করো । প্রস্তাবনায় বর্ণিত সাধারণতন্ত্র শব্দটি কীভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে বলে তোমার মনে হয় ?
উঃ । ভারতীয় সংবিধানের একটি প্রস্তাবনা আছে । এই প্রস্তাবনায় সংবিধানের আদর্শ ও উদ্দেশ্য ঘোষণা করা হয়েছে । প্রস্তাবনাকে ‘ সংবিধানের বিবেক ' বা সংবিধানের আত্মা বলা হয় । সংবিধানের মূল প্রস্তাবনায় ভারতকে একটি ‘ সার্বভৌম , গণতান্ত্রিক , প্রজাতন্ত্র ’ বলা হয়েছে । ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে সংবিধানের ৪২ তম সংশোধনী অনুযায়ী ' সমাজতান্ত্রিক ’ ও ‘ ধর্মনিরপেক্ষ শব্দ দুটি যোগ করে ভারতকে ' সার্বভৌম সমাজতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক সাধারণতন্ত্র ' বলে উল্লেখ হয়েছে । এই শব্দগুলির প্রত্যেকটির গভীর তাৎপর্য আছে । ‘ সার্বভৌম ’ বলতে বোঝায় ভারতবর্ষ অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে চরম ও চূড়ান্ত ক্ষমতার অধিকারী । ‘ সমাজতন্ত্র ' বলতে উৎপাদনের উপকরণগুলির ওপর রাষ্ট্র তথা সমাজের মালিকানা প্রতিষ্ঠা এবং উৎপাদিত সম্পদের সমান ভাগ বোঝায় । কিন্তু ভারতীয় সংবিধানে ‘ সমাজতান্ত্রিক ' শব্দটিতে মিশ্র অর্থনীতি অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় ব্যক্তি মালিকানা নির্ভর অর্থনীতির মাধ্যমে সমাজতান্ত্রিক ধাঁচের সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে ।
‘ ধর্মনিরপেক্ষ ’ বলতে রাষ্ট্র কোনো বিশেষ ধর্মের পক্ষে বা বিপক্ষে কথা বলবে না । প্রতিটি নাগরিক তার বিশ্বাস অনুসারে ধর্মাচরণ করতে পারবে । ব্যাপক অর্থে ‘ গণতন্ত্র ’ বলতে সামাজিক - অর্থনৈতিক , রাজনৈতিক প্রভৃতি ক্ষেত্রে সমতা প্রতিষ্ঠা বোঝায় । কিন্তু ভারতীয় সংবিধানে গণতন্ত্র বলতে মূলত প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকার বোঝানো হয়েছে । যেখানে ভোটের দ্বারা কেন্দ্র ও প্রদেশগুলির আইনসভায় প্রতিনিধি নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে । ‘ সাধারণতন্ত্র ’ বলতে বোঝায় বংশানুক্রমিকভাবে কোনো রাজা বা রানি নয় । রাষ্ট্রের শীর্ষস্থানে থাকা রাষ্ট্রপতি জনগণের দ্বারা পরোক্ষভাবে নির্বাচিত হন । ভারতীয় শাসনতন্ত্রের উৎস ও রক্ষক হলেন স্বয়ং ভারতীয় জনগণ । তাই ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে ‘ সাধারণতন্ত্র ' শব্দটি উপযুক্তভাবে এবং সর্বত্রভাবে ব্যবহার হয়েছে ।
৫. ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাজকর্ম বিষয়ে আলোচনা করো । যথাক্রমে রাষ্ট্র ও রাজ্যের পরিচালনায় এঁদের ভূমিকা কী ?
উঃ । প্রধানমন্ত্রী কাজ : ভারতীয় সংসদীয় শাসনব্যবস্থায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী হলেন প্রধানমন্ত্রী । তিনিই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধান ব্যক্তি । রাষ্ট্রপতি সাংবিধানিক প্রধান ঠিকই । কিন্তু প্রধানমন্ত্রীই প্রকৃত পরিচালক । লোকসভায় নির্বাচিত সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা বা নেত্রী প্রধানমন্ত্রীরূপে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নির্বাচিত হন । কোনো দল কিংবা জোট নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে রাষ্ট্রপতি বিবেচনার দ্বারা লোকসভার সদস্যদের মধ্যে কাউকে প্রধানমন্ত্রীরূপে নিয়োগ করতে পারেন । তবে কিছুদিনের মধ্যেই তাকে লোকসভার অধিকাংশ সদস্যের সমর্থন অর্জন করতে হয় । প্রধানমন্ত্রীর হাতে একাধিক দপ্তর থাকতে পারে । রাষ্ট্রপতি তাঁর পরামর্শেই অন্যান্য মন্ত্রীদের নিয়োগ করেন । প্রধানমন্ত্রী হলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম ।
মুখ্যমন্ত্রীর কাজ : ভারতে কেন্দ্রের ন্যায় রাজ্যেও সংসদীয় শাসনব্যবস্থা চালু আছে । সেই সরকারের প্রধান হলেন মুখ্যমন্ত্রী । রাজ্যপালকে সাহায্য ও পরামর্শ দেবার জন্য রাজ্যে একটি মন্ত্রীসভা থাকবে । মন্ত্রীসভার প্রধান হলেন মুখ্যমন্ত্রী । রাজ্যের বিধানসভার নির্বাচনের পর সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বা জোটের নেতা বা নেত্রীকে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীরূপে নিযুক্ত করেন । মূখ্যমন্ত্রীর পরামর্শমতো রাজ্যপাল অন্যান্য মন্ত্রীদের নিয়োগ করেন । মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর মন্ত্রীসভা তাঁদের কাজের জন্য বিধানসভার নিকট দায়বদ্ধ থাকেন ।
No comments:
Post a Comment