প্রশ্ন উত্তর দাঁড়াও শক্তি চট্টোপাধ্যায় | অষ্টম শ্রেণী বাংলা প্রশ্ন উত্তর | Class 8th questions and answers class 8th - Psycho Principal

Fresh Topics

Thursday, 26 December 2024

প্রশ্ন উত্তর দাঁড়াও শক্তি চট্টোপাধ্যায় | অষ্টম শ্রেণী বাংলা প্রশ্ন উত্তর | Class 8th questions and answers class 8th

 

দাঁড়াও
শক্তি চট্টোপাধ্যায়





👉(পল্লী সমাজ প্রশ্ন উত্তর)


 লেখক পরিচিতিঃ

আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রতিভাধর ও প্রধান কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় । সাহিত্যের প্রায় সবকটি শাখায় তাঁর দক্ষতা ছিল অসামান্য । তিনি ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বহডু গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । গ্রামের পাঠশালায় পড়ার পাঠ শেষ করে তিনি কলকাতায় চলে আসেন এবং প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে পড়াশুনা করেন । তাঁর প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ হলো ‘ হে প্রেম ' , ' হে নৈঃশব্দ ' । এছাড়াও ' ধর্মে আছি জিরাফেও আছি ’ , ‘ হেমন্তের অরণ্যে ' , ' আমি পোস্টম্যান ' , ' সোনার মাছি খুন করেছি , ‘ যেতে পারি কিন্তু কেন যাবো ? ’ উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ । ' অবনী বাড়ি আছো ? ’ , ‘ কুয়োতলা ’ তাঁর লেখা দুটি বিখ্যাত উপন্যাস । তিনি আনন্দ পুরস্কার এবং সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন । ১৯৯৫ সালে শান্তিনিকেতনে কবির জীবনাবসান হয় । 


সারমর্মঃ

লেখক শক্তি চট্টোপাধ্যায় কলম ধরেছিলেন মানুষের জন্যে । তিনি মন খুলে উদাত্ত স্বরে মানুষকে ঢাক দিয়েছেন , সবাই এসে মানুষের পাশে দাঁড়াক । আজকের মানুষের বড়ো কষ্ট , শোকতাপে জর্জরিত মানুষ কাঁদছে , যে প্রকৃত মানুষ সে যেন সেই দুঃখী মানুষের পাশে এসে দাঁড়ায় । হাতের পাঁচ আঙ্গুল যেমন সমান নয় তেমনি সকল মানুষ সমান নয় । তাই মানুষ হয়ে আর একদল মানুষ অপরের ক্ষতি করার জন্য ফাঁদ পাতছে । ফাঁদে পড়া মানুষগুলোকে বাঁচানোর জন্য কবি চান পাখির মতো ডানা দিয়ে আগলে ওই মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতে । আজকের মানুষ বড়ো একলা সুখ বা দুঃখ সৰেতেই সে একাকী , একাকীত্ব মানুষের কাছে অভিশাপ , কবি বলেছেন একজন সত্যিকারের মানুষ হলে তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াও । সকাল থেকে দুপুর বিকাল গড়িয়ে রাত , সব সময় মানুষ ভাবছে এই বুঝি পাশে কেউ স্নেহের হাত রাখলো । সব সময় সে তোমাকে ভাবছে । এই একলা সব মানুষগুলোর পাশে তুমি একটু দাঁড়াও । তুমি কীভাবে এই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবে সেই পথ তোমাকেই খুঁজে নিতে হবে । ভালোবেসে দাঁড়াও , সুখ - দুঃখের সাগরে ভেসে এসে দাঁড়াও । যেমন ভাবে পারো তেমনি ভাবে দাঁড়াও । মানুষ বড়ো কাঁদছে , তাদের ক্রন্দনরোলে পৃথিবী মুখরিত হচ্ছে । তুমি তো মানুষ , মানুষ হলে মানুষের হাত ছেড়ো না , মানুষ বড়ো একলা তুমি তাঁর পাশে এসে দাঁড়াও । 


নামকরণঃ

সাহিত্যে নামকরণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় , বিশেষ করে কবিতার নামকরণ । আধুনিক কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় মানুষের কবি । সুখে - দুঃখে সবসময় তিনি মানুষের পাশে থাকতে চান । কবি উদার আহ্বান জানান আমাদের , আমরা যারা নিজেদের মানুষ ভাবি , তাঁদের কাছে আজকের মানুষ বড়ো দুঃখী , বড়ো একলা , বড়ো অসহায় । যেমন করেই হোক মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে । একাকী মানুষ দিনরাত একজন মানুষের কথা ভাবে তার মতো করে । এই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারা সবচেয়ে বড়ো মানবিক ধর্ম । দিন গড়িয়ে গেছে । মানুষ যত সরল ছিল হয়েছে তত জটিল । তাই মানুষ একলা , বড়ো দুঃখী , কবির কাতর আবেদন এই সময় মানুষের পাশে যেমন করে হোক দাঁড়াতে হবে । কীভাবে তুমি আসবে তা তোমাকেই ঠিক করতে হবে । ভালোবেসে স্নেহের দুই হাত মেলে তাদের জড়িয়ে ধরতে হবে । তবেই মানবিক ধর্ম সফল হবে । গোটা কবিতা জুড়ে কবি আবেদন রেখেছেন মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে । তাই কবিতার ‘ দাঁড়াও ’ নামকরণ সার্থক হয়েছে বলে মনে হয় ।


সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর 

১. ‘ দাঁড়াও ' কবিতায় কবি মানুষকে কী কী করতে বলেছেন ? 

উঃ । কবিতায় মানুষ বড়ো কাঁদছে বলে কবি বলেছেন , পাশাপাশি তিনি এও বলেছেন যে মানুষই ফাঁদ পাতছে । 


২. ' তোমার মতো মনে পড়ছে ' — কখন কবির মনে পড়েছে ? 

উঃ । কবির সকাল থেকে সন্ধে আর রাতের বেলা অর্থাৎ সবসময় মনে পড়ছে । 


৩. কবি কী হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন ? 

উঃ । কবি মানুষকে মানুষ হয়ে পাশে দাঁড়াতে বলেছেন এবং পাখির মতো মানুষের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন । 


৪. কৰি কী কী ভাবে মানুষকে দাঁড়াতে বলেছেন ? 

উ: কবি এসে দাঁড়াতে বলেছেন এবং ভেসে দাঁড়াতে বলেছেন পাশাপাশি তিনি মানুষের পাশে ভালোবেসেও দাঁড়াতে বলেছেন । 


৫. মানুষ কীভাবে রয়েছে ? 

উঃ । মানুষ বড়ো একলা হয়ে পড়েছে , তাই কবি এমন মানুষ চেয়েছেন যে এই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারবে । 


৬. মানুষ একলা কেন ? 

উঃ । ব্যস্ততম জগতে সবাই ছুটছে । কেউ কারো কথা মনে করছে না যারা গতি হারিয়ে ব্যস্ত জগতের এর সাথে তাল মেলাতে পারছে না — তারাই একলা হয়ে পড়ছে । 


৭. ‘ তোমাকে সেই সকাল থেকে তোমার মতো মনে পড়ছে — তুমি তাহার পাশে দাঁড়াও । এর অন্তর্হিত অর্থ লেখো । 

উঃ । কবি সেই প্রকৃত মানুষকে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খুঁজে চলেছেন । কবির স্মৃতিতে সেই মানুষ এবং তার মানবিকতার ছোঁয়া এখনও গভীর ছায়া ফেলে রয়েছে । তাকে খুঁজে এনে তাকে জাগ্রত করতে হবে । এখানে তুমি বলতে কবি সেই মানুষের মানবিকতাবোধ ও চেতনাকে বোঝাতে চেয়েছেন । একাকী অসহায় মানুষের পাশে মানবিক ভাবনা নিয়েই দাঁড়াতে হবে । প্রয়োজনে মানুষকে সহমর্মিতা জানাতে হবে এবং সহযোগিতা করতে হবে । 


৮. শক্তি চট্টোপাধ্যায় কোথায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন ? 

উ: শক্তি চট্টোপাধ্যায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগণার বহুভু গ্রামে । 


৯. তাঁর লেখা একটি উপন্যাসের নাম লেখো । 

উঃ । তার লেখা একটি উপন্যাস হলো ‘ কুয়োতলা ' । 


২. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও 

২.১ ' মতো ' শব্দ ব্যবহার করা হয় কখন ? তোমার যুক্তির পক্ষে দুটি উদাহরণ দাও । 

উঃ । কারোর সাথে তুলনা বোঝাতে ‘ মতো ' কথাটি ব্যবহার করা হয় । 

উদাহরণ – 

( ১ ) আমি তোমার মতো ভালো ছাত্র নই ।

 ( ২ ) মানুষের মতো মানুষ হও 


২.২ কবি পাখির মতো পাশে দাঁড়াতে বলেছেন কেন ? 

উ: । পাখি স্বাধীন সুখ - দুঃখ তার গায়ে লাগে না । তাই পাখির মতো স্বাধীনভাবে , দৃঢ় মনোভাব নিয়ে কবি মানুষের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন । পাখির মিষ্টি ডাকে যেমন মন ভরে ওঠে তেমনই দুঃখের দিনে পাশে দাঁড়ানো মানুষের আশ্বাসও যেন মনে আশার সঞ্চার করে । 


২.৩ মানুষই ফাঁদ পাতছে – কবি কেন একথা বলেছেন ? ' মানুষ ' শব্দের সঙ্গে ' ই ' ধ্বনি যোগ করেছেন কেন ? —তোমার কী মনে হয় ? 

উঃ । লোভ মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি তাই মানুষই মানুষকে ঠকায় । ঠকাবার জন্য নানা প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁদ পাতে । মানুষের সীমাহীন আকাঙ্খা ও লোভ তার মানসিকতার পরিবর্তন ঘটায় । সে ভুল পথে অন্যকে ঠকিয়ে সুখ ভোগ করতে চায় । তাই কবি বলেছেন মানুষই ফাঁদ পাতে বা ছলচাতুরী করে । পৃথিবীতে দুই ধরনের মানুষ দেখা যায় । একদল বিবেকবান , মনুষ্যত্ববোধসম্পন্ন ও অন্য দল লোভী ও চতুর । তারা সব সময় চাতুরির দ্বারা মানুষকে ঠকিয়ে লাভবান হতে চায় । এই শ্রেণির মানুষকে বোঝাতেই কবি ‘ ই ’ প্রত্যয়টি যোগ করেছেন বলে আমার মনে হয় । 


২.৪ তোমার মতো মনে পড়ছে – এই পক্তির অন্তর্নিহিত অর্থ কী ? 

উঃ । এই পঙক্তিটি কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ‘ দাঁড়াও ' কবিতাটি থেকে নেওয়া হয়েছে । একজন মানুষ যেমন করে অপর মানুষকে কাছে পেতে চায় , মানুষ যেমন করে তার পাশে অন্যজনকে জানে তেমনটা বোঝাতে উপরের উক্তিটি করা হয়েছে । বর্তমান সমাজের মানবিক অবক্ষয় কবিকে ব্যথিত করে তুলেছে । মানুষের এই দুর্দিনে তাই সবসময় কবি পরিপূর্ণ সহযোগী এক প্রকৃত মানুষের সন্ধান করেছেন । তাই এই সৎ মানুষের কথা কবির মনে পড়েছে । 


২.৫ ' এসে দাঁড়াও ভেসে দাঁড়াও এবং ভালোবেসে দাঁড়াও ' — এই পত্তিটির বিশেষত্ব কোথায় ? এই ধরনের দুটি বাক্য তুমি তৈরি করো । 

উঃ । পঙক্তিটিতে , ধ্বনির দ্বারা একটি কাব্যসৌন্দর্য প্রকাশ করার চেষ্টা রয়েছে । ' ‘ দাঁড়াও ’ এবং ‘ সে ’ অক্ষরটি পর পর তিনবার ব্যবহার করার ফলে এই পঙক্তিটিতে এই শব্দটিই বেশি গুরুত্ব পেয়েছে । মানুষ অসহায় অবস্থায় রয়েছে তাদের দুঃখ কষ্টের সীমা পরিসীমা নেই । এদের পাশে দাঁড়াতে হবে , যেভাবে পারবে সেইভাবে দাঁড়াতে হবে এটাই মূল কথা । এই অর্থ বোঝাতে কবি উপরের শব্দগুলি ব্যবহার করেছেন । মানুষকে ভালোবেসে তার পাশে দাঁড়ানোটাই মানুষের মানবিক কর্তব্য । কবি সেটাই করতে বলেছেন ।

( ১ ) দেশকে ভালোবাসো , দেশের মঙ্গল তোমার মঙ্গল ।

 ( ২ ) দেশ ডুবছে অন্ধকারে দেশের পাশে দাঁড়াও । 

( ৩ ) মানুষ অন্ধকারের ঘূর্ণিস্রোতে ভেসে যাচ্ছে , যেভাবে পারো ভেসে এসে তাকে সাহায্য করো ।


৩. ' মানুষ বড়ো ছে — কী কারণে কবি এই কথা বলেছেন ? 

উঃ । আজকের পৃথিবী বড়ো মাটিল , বড়ো কঠিন । এত দ্রুত তার পরিবর্তন হচ্ছে যে মানুষ তাল মেলাতে পারছে না , অভাব , দারিদ্রতা , কর্মহীনতা মানুষের সহজ সরল সামাজিক জীবনের পরিবেশকে বিষিয়ে তুলছে । আধুনিক সভ্যতার নিমর্মতায় মানুষ ক্রমশ বিচ্ছিন্ন ও অসহায় হয়ে পড়ছে । স্বভাবতই এই অসহায় মানুষ একটু সহানুভূতি পাবার আশায় সে ব্যাকুল ও বড়ো দুঃখী । তাই সে কাঁদছে । 


8. মানুষ বড়ো একলা তুমি তাহার পাশে এসে দাঁড়াও । —পত্তিটিকে তিনবার ব্যবহার করার কারণ কী হতে পারে বলে মনে হয় ?

 উঃ । কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় রচিত ' দাঁড়াও ' কবিতাটিতে কবি বলতে চেয়েছেন যে নানা শোষণে , দুঃখে কষ্টে মানুষ ক্রমশই নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ছে । তার দুঃখের কথা শোনার বা সান্ত্বনা দেবার মতো কেউ আর নেই । তাই কবি বলেছেন সেই একাকী মানুষের পাশে দাঁড়ানোটাই আজ সব থেকে বেশি প্রয়োজন । 

( ১ ) মানুষ মানুষকে ঠকাবার জন্য ফাঁদ পাতছে ফাঁদে পড়া অসহায় মানুষ কাউকে বিশ্বাস করতে পারছে না অর্থাৎ সে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ও একলা হয়ে পড়ছে ।

 ( ২ ) একাকী মানুষ প্রিয়জনকে পাশে পেতে চায় । তা না পেলে আরও বেশি করে হতাশা ও নিঃসঙ্গতায় ভোগে । 

( ৩ ) মানুষ প্রগতির সাথে পা মেলাতে না পেরে হতভম্ব হয়ে পড়েছে , কি করবে বুঝে উঠতে না পেরে সবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে । তাই একলা হয়ে পড়ে সে কাঁদছে । 


৫. কবিতাটির নাম ' দাঁড়াও ' কতটা সার্থক ? কবিতাটির নাম ‘ মানুষ বড়ো কাঁদছে হতে পারে কি তোমার উত্তরের ক্ষেত্রে মুক্তি দাও ।

 উঃ । কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় ‘ দাঁড়াও ' কবিতাটির ক্ষেত্রে মূল ভাববস্তুকে মনে রেখে একটি ব্যাল্গুনধর্মী নামকরণ করেছেন ‘ দাঁড়াও ’ শব্দের এক অর্থ হয় থমকে দাঁড়াও । কোনো কাজ করা থেকে বিরত হও । এখানে সেই অর্থে ' দাঁড়াও ’ কথা ব্যবহার করা হয়নি । ' পাঁড়াও ' অর্থে কবি বলতে চেয়েছেন নানা শোষণে দুঃখ কষ্টে জর্জরিত মানুষের কাছে এবং তার পাশে দাঁড়াতে । এই একলা মানুষের পাশে দাঁড়ানো সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ । এই গুরুত্বের কারণেই কবি ‘ দাঁড়াও ’ শব্দটি কবিতায় তিনবার উচ্চারণ করেছেন । এই অর্থে নামকরণ সার্থক হয়েছে । অন্যদিক দিয়ে বলা চলে গোটা কবিতা জুড়ে মানুষ নানাভাবে অসহায় অবস্থায় পড়ে মধ্যে কেঁদে চলেছে । তাই ‘ মানুষ বড়ো বাঁদছে । এই নামকরণটিও একেবারে অযৌক্তিক হতো না । 


৬. কবি কাকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে অনুরোধ করেছেন বলে তোমার মনে হয় ? 

উঃ । যে প্রকৃত মানুষ , যার হৃদয় অন্যের জন্য কেঁদে ওঠে । অন্যের সুখে যে সুখী হয় সেই ধরনের মানসিকতা সম্পন্ন মানুষের কথা কবি বলেছেন । তাদের কাছে কবির অনুরোধ মানুষের পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্য । অসহায় মানুষ বড়ো একলা হয়ে পড়েছে । তার পাশে দাঁড়িয়ে তাকে জীবন যুদ্ধে পথ চলার শিক্ষা দেবে এবং দুঃখে তাদের সান্ত্বনা দেবে । এরকম একজন মানুষকে কবি পাশে দাঁড়াতে বলেছেন । 


৭. কবিতাটি চলিত বাংলায় লেখা শুধু একটি শব্দ সাধু ভাষা । শব্দটি খুঁজে বার করো এবং শব্দটিকে এভাবে ব্যবহার করেছেন কেন কৰি ? 

উঃ । শব্দটি হলো — তাহার । কবি মানুষকে সম্মান দিতে চেয়েছেন । কেন অসংখ্য মানুষজন অসহায় — এই অসহায়তা বোঝাতে ‘ তাহার ' কথাটি কবি ব্যবহার করেছেন ।

No comments:

Post a Comment