শিকল পরার গান কাজী নজরুল ইসলাম প্রশ্ন উত্তর | অষ্টম শ্রেণী বাংলা প্রশ্ন উত্তর | Class 8th questions and answers class 8th - Psycho Principal

Fresh Topics

Sunday, 29 December 2024

শিকল পরার গান কাজী নজরুল ইসলাম প্রশ্ন উত্তর | অষ্টম শ্রেণী বাংলা প্রশ্ন উত্তর | Class 8th questions and answers class 8th

 

শিকল পরার গান 
কাজী নজরুল ইসলাম 




👉(প্রশ্ন উত্তর হরিচরণ বন্দোপাধ্যায়  হীরেন্দ্রনাথ দত্ত)



কবি পরিচিতিঃ 

বাংলা সাহিত্যের বিদ্রোহী কবি রূপে সমাদৃত কাজী নজরুল ইসলাম । বর্ধমান | জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে ১৮৯৯ সালের ২৪ মে তিনি জন্মগ্রহন করেন । তাঁর পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ । তাঁর প্রথম রচনা ' বাউন্ডুলের আত্মকাহিনি ' গল্প । ১৯১৯ সালে তাঁর প্রথম প্রকাশিত কবিতা ' মুক্তি ' প্রকাশিত হয় । ১৯২১ সালে যুগান্তকারী ‘ বিদ্রোহী ' কবিতা প্রকাশিত হলে সমগ্র বাংলায় আলোড়ন সৃষ্টি হয় । মানবতার কবি নজরুল ইংরেজের শোষণ , সামাজিক অসাম্য , ধর্মীয় ভণ্ডামি এবং কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তাঁর সাহিত্যকেই অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছেন । হিন্দু ও মুসলিম ঐতিহ্যের মেলবন্ধনে তিনি সর্বদাই সচেষ্ট ছিলেন । তিনি গীতিকার ও সুরকার রূপেও নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন । তিনি শ্যামাসংগীত , গজল , দেশাত্মবোধক , ইসলামি প্রভৃতি নানা ধরনের গান রচনা করেন । তাঁর উল্লেখযোগ্য বইগুলি হলো — অগ্নিবীণা , দোলনচাঁপা , বিষের বাঁশি , সর্বহারা , চক্রবাক , শেষ সওগাত , সন্ধ্যামালতী ( গীতিকাব্য ) প্রভৃতি । ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট ৭৭ বছর বয়সে কবির জীবনাবসান হয় । 


সারমর্মঃ 

ইংরেজ শাসনে অত্যাচারিত ও জর্জরিত দেশবাসীকে অভয় দিয়ে কবি বলেছেন আমাদের শিকল পরাটা একটা ছলনা মাত্র । এই শিকল না পরেই তোমাদের ( তোদের ) নিষ্ক্রিয় করাই আমাদের উদ্দেশ্য । বন্দি হতে এই বন্ধ কারাগারে আমাদের আসা নয় , অত্যাচারীদের ভিতর থেকে শেষ করতে এবং যারা এই বন্ধনকে ভয় পাচ্ছে তাদের বন্ধন ভয়কে ঘোচাতেই এখানে আসা । বাঁধনে আবদ্ধ হয়েই বন্ধন ভয়কে দূর করতে হবে । যে পায়ে আজ শিকল পরানো আছে , সেই পা হয়ে উঠবে শিকল ভাঙার কল । অত্যাচারীরা সমগ্র বিশ্বকে বন্দি করে এনে কারাগারে বন্ধ করে রাখছে । তারা ভাবছে যে তারা ভয় দেখিয়ে বিধাতার শক্তিকে খর্ব করতে পারবে । যারা এইভাবে ভূতের মতন মানুষকে আতঙ্কগ্রস্ত করে রেখেছে , তাদের সর্বনাশ করার জন্যে বলহীনদের বিজয়মন্ত্র গ্রহণ করতে হবে । এই মন্ত্রের দ্বারা ভয়কে জয় করতে হবে । অত্যাচারীরা ভয় দেখিয়ে শাসন করছে । ওরা পুরুষোচিত জয়কে দেখতে পাচ্ছে না । সেই ভয় নামক অস্ত্রকেই ধ্বংস করতে হবে । তার অবসান ঘটাতে হবে । মুখে হাসি নিয়ে গলায় ফাঁসি পরে মৃত্যুকেও জয় করা যায় , এমন সংকল্প নিতে হবে । এ শব্দ কান্নার নয় , এই শিকলের শব্দ হয়ে উঠবে মুক্তির পথ প্রদর্শকের বন্দনা । আরাধনা হোক মনের সভ্যতার , স্বাধীনতার মুক্তির পথপ্রদর্শকের । আরাধনা হোক মনের সত্যতার , স্বাধীনতার আকাঙ্খার । যারা আজ লাঞ্ছিত হচ্ছে , তারা ঘুরে দাঁড়িয়ে অত্যাচারীদের আঘাত করতে পারে । স্বাধীনতাকামী মানুষদের অস্থি দিয়ে আবার রচিত হবে বজ্র । সেই বজ্রানলে অত্যাচারী ইংরেজরা ধ্বংস হয়ে যাবে বলেই কবি বিশ্বাস করেন । 


নামকরণঃ

কাজী নজরুল ইসলামের কবিতার সাধারণ বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করেই শিকল পরার গান ' কবিতাটি লেখা । পাঁচটি স্তবকে বিন্যস্ত কবিতাটিতে প্রথম স্তবকে কবি বলেছেন যে , শিকল পরাটা শুধুমাত্র একটা হল । এই শিকল পরে অত্যাচারীদের বিকল করাই এর আসল উদ্দেশ্য । দ্বিতীয় স্তবকে তিনি বলেছেন যে বন্ধ কারাগারে বন্দি হতে নয় , অত্যাচারীদের ভিতর থেকে ক্ষয় করতেই এখানে আসা । বাঁধন দিয়ে যতই আবদ্ধ করা হবে , ততই বাঁধনের ভয় কমতে থাকবে । যে পায়ে আজ শিকল বাঁধা , সেই পা দিয়েই শিকল ভাঙা হবে । তৃতীয় স্তবকে কবি বলেছেন , ছোটো ছোটো কারাগারের মধ্যে মানুষকে বন্দি করে যারা বিশ্বকে গ্রাস করছে তারা ভাবছে যে তারা বিধাতাকেও ভয় দেখাতে পারবে । - যারা ভয় দেখাচ্ছে তাদের বিতাড়ণের জন্যে বিজয়মন্ত্র গাওয়া হবে । চতুর্থ স্তবকে কবি অত্যাচারীদের মূল অস্ত্র ভয়ের উপরেই আঘাত হানতে বলেছেন । শেষ স্তবকে এসে তিনি বলেছেন যে শিকলের শব্দের মধ্যে বন্দিদের কান্না নয় , মুক্তির অগ্রদূতের চরণ বন্দনা ধ্বনিত হচ্ছে । যারা লাঞ্ছিত হয়েছে তাঁরাই অত্যাচারকে লাঞ্ছিত করবে । দধিচির মতো আবার অস্থি দিয়ে বজ্র নির্মাণ করে অত্যাচারীকে আঘাত হানতে হবে । কবিতাটিতে কবি বিষয়বস্তুর সাথে কাব্যিক ছন্দ ও লয় - এর মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন । কবিতাটির রচনা কৌশল গানের কথার মতোই । আর কবিতার বিষয়বস্তুতে বারবার শৃঙ্খলের বন্ধন ধ্বনিত হয়েছে । তাই কবিতাটির নাম ' শিকল পরার গান ' যথার্থ হয়েছে ।


অতি - সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর : 

১. শিকল পরার গান ' কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের অংশ ? 

উঃ । ' শিকল পরার গান ' কবিতাটি ‘ বিষের বাঁশি ' কাব্যগ্রন্থের অংশ । 


২. শিকল তোদের করব রে বিকল ’ - কাদের কথা বলা হয়েছে ? 

উঃ । এখানে অত্যাচারীদের অর্থাৎ ইংরেজদের কথা বলা হয়েছে । 


৩. ওরে ক্ষয় করতে আসা ' — কী ক্ষয় করার কথা বলা হয়েছে ? 

উঃ । বাঁধন - ভয়কে ক্ষয় করার কথা বলা হয়েছে ।


৪. ' শিকলডাঙা কল ' বলতে কী বোঝানো হয়েছে ? 

উঃ । স্বাধীনতাকামী মানুষদের শিকল দ্বারা আবদ্ধ পা - কে শিকলভাঙার কল বলা হয়েছে । 


৫. ' বন্ধ ঘরের বন্ধনী ' — বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে ?

 উঃ । ' বন্ধ ঘরের বন্ধনী ' বলতে কারাগারকে বোঝানো হয়েছে । 


৬. ‘ হ্রাস দেখিয়ে করবে ভাবছ — কী করার কথা ভাবা হয়েছে ? 

উঃ । ত্রাস দেখিয়ে বিধাতার শক্তিকে হ্রাস করার কথা ভাবা হয়েছে । 


৭. ‘ ভয় দেখানো ভূত ' কারা ? 

উঃ । অত্যাচারী ইংরেজদেরই এখানে ' ভয় দেখানো ভূত ' বলা হয়েছে । 


৮. কীভাবে এই ' ভূত ' - দের সর্বনাশ করা যাবে ? 

উঃ । মাভৈঃ বিজয়মন্ত্র দিয়ে এই ভূতদের সর্বনাশ করা যাবে । 


৯. কীভাবে মৃত্যু - জয়ের ফল আনা হবে ? 

উঃ । ফাঁসি পরে মৃত্যুজয়ের ফল আনা হবে । 


১০. ' মুক্তিপথের অগ্রদূতের চরণ বন্দনা ' করতে কী করা উচিত নয় ? 

উঃ । মুক্তিপথের অগ্রদূতের চরণ বন্দনা ' করতে ক্রন্দন করা উচিত নয় । 


সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর 

১. অস্থি দিয়ে কেন বজ্রানল জ্বলবে নিজের ভাষায় লেখো । 

উঃ । পুরাণ অনুসারে ঋবি দখিচি অসুর বধের জন্য নিজের প্রাণ ত্যাগ করেছিলেন । তাঁর অস্থি দিয়ে যে বজ্র নির্মাণ হয়েছিল তা দিয়েই অসুর নিধন সম্ভব হয়েছিল । বিপ্লবীরাও পরাধীনতা নামক অসুরের বিনাশের জন্য নিজেদের জীবনপণ করেছেন । তাদের জীবনের এই বলিদান আপামর জনগণের মধ্যে যে চেতনা , বজ্রসম ত্যাগ ও শক্তি জাগিয়ে তুলবে তা হয়ে উঠবে বজ্রের ন্যায় এবং তার দ্বারা বজ্রানল জ্বলে উঠবে এবং তা দিয়েই ধ্বংস করা হবে ওই অত্যাচারীদের । 


২. ' সেই ভয় দেখানো ভূতের মোরা করব সর্বনাশকারা ভয় দেখানো ভূত ? কারা তাদের কীভাবে সর্বনাশ করবে ? 

উঃ । কবি নজরুল ইসলাম তাঁর ' শিকল পরার গান ' কবিতায় ভারতে শাসন করা অত্যাচারী ইংরেজ জাতিকে ভয় দেখানো ভূত বলেছেন । এই ইংরেজ শাসকরা অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে সারা বিশ্বকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছে । দত্ত ও অহংকারের চূড়ায় বসে তারা ভাবছে বিধাতার শক্তি ও ইচ্ছাকে তারা হ্রাস করে দেবে । এই ভয় বা ত্রাস সৃষ্টি করা শাসক তথা ইংরেজদের অত্যাচারিত স্বাধীনতাকামী মানুষের দল সর্বনাশ করবে , এটা তাদের পণ । এই মুক্তিকামী মানুষের দল মাভৈঃ বাণী অর্থাৎ অভয় প্রদান করবে । বিজয় আনার মন্ত্রে শপথ নেওয়া এই অত্যাচারিত মানুষেরা বলহীনকে শক্তি ও সাহস জোগাবে । যার দ্বারা বলীয়ান হয়ে মানুষ এই ত্রাসের শাসনের অবসান ঘটাবে । 


৩. ‘ ভয় দেখিয়ে করছ শাসন ' — কাদের কথা বলা হয়েছে ? তাদের বিরুদ্ধে মানুষের কী করার কথা কবি বলেছেন ? 

উঃ । সাম্রাজ্যবাদী শাসক ইংরেজরা সমগ্র ভারতকে পদানত করেছে ভয় দেখিয়ে , অত্যাচার করে । তাদের শাসনের চাপ সমগ্র ভারতের মানুষের ওপর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসেছে । শাসক হিসেবে ভারতবাসীর মন জয় করতে তারা চায় নি তাদের সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের দিকেও তারা দেখেনি , শুধুমাত্র শাসন ও শোষণের দ্বারা তারা ভারতবাসীকে পদানত করতে । চেয়েছিল । কবি বলেছেন এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে দেশের মুক্তিকামী মানুষেরা রুখে দাঁড়াতে চায় । যে ভয় দেখিয়ে শাসকের দল মানুষকে পদানত করতে চেয়েছে মানুষ সেই ভয়েরই টুটি অর্থাৎ গলা টিপে ধরবে । ভয়ের লয় অর্থাৎ ধ্বংস বা বিনাশ করে ছাড়বে । যদি শাসক দল মৃত্যুদণ্ড দেয় , ফাঁসির দড়ি পড়ে স্বাধীনতা সংগ্রামীরা হেসে উঠবে , মৃত্যুকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে তাকে জয় করবে ।


অ্যাডভান্স প্রশ্ন উত্তর 

১.১. কবি কাজী নজরুল ইসলাম কোথায় জন্মগ্রহণ করেন ? 

উঃ । কবি কাজী নজরুল ইসলাম বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । 


১.২ তিনি কী কী গানের রচয়িতা ? 

উঃ । তিনি শ্যামাসঙ্গীত , গজল , দেশাত্মবোধক , ইসলামি প্রভৃতি নানা ধরনের গানের রচয়িতা । 


২. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর একটি বাক্যে দাও : 

২.১ ' শিকল পরার ছল ' বলতে কবি প্রকৃতপক্ষে কী বোঝাতে চেয়েছেন ? 

উঃ । ' শিকল পরার ছল ’ বলতে বন্ধনে আবদ্ধ হওয়াটা যে একটা অভিনয় , ছলনা এমনটাই কবি বোঝাতে চেয়েছেন । 


২.২ ক্ষয় করতে আসা মোদের সবার বাঁধন ভয় ' ।— ' বাঁধন - ভয় ক্ষয় করতে কারা , কোথায় এসেছেন ?

 উঃ । বাঁধন - ভয় ক্ষয় করতে স্বাধীনতাকামী মানুষেরা কারাগারে এসেছেন । 


২.৩ মুক্তিপথের অগ্রদূতের চরণ - বন্দনা কীভাবে রচিত হয় ?

 উঃ । কান্না দিয়ে নয় , শিকলের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে তার ঝংকারের শব্দ দিয়ে মুক্তিপথের অগ্রদূতের চরণ বন্দনা করা হয় । 


২.৪ ‘ মোদের অস্থি দিয়েই জ্বলবে দেশে আবার বজ্রানল ' — পংক্তিটিতে ‘ আবার ’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে কেন ?

 উঃ । পৌরাণিক যুগে যেমন ঋষি দধিচির অস্থি দিয়ে বজ্র নির্মাণ করা হয়েছিল তেমনই আবার স্বাধীনতাকামী মানুষদের অস্থি দিয়ে বজ্র তৈরি হবে । তাঁদের আত্মত্যাগেই দেশের স্বাদীনতা আসবে । একথা বোঝাতেই কবি ‘ আবার ’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন ।


 ৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :

 ৩.১ স্বাধীনতাকামী মানুষের মুক্তির বাসনা কীভাবে শিকল পরার গান কবিতায় ধরা পড়েছে - তা আলোচনা করো । 

উঃ । ‘ বিষের বাঁশি ’ কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া ' শিকল পরার গান ' কবিতায় বারবার ধ্বনিত হয়েছে মুক্তির বাসনা । মুক্তির জন্যে মানুষের বলিদানকে তার দুর্বলতা নয় , তার সবলতা রূপেই দেখানো হয়েছে কবিতাটিতে । যে অত্যাচারীরা শিকল পরিয়ে স্বাধীনতাকামী মানুষদের বন্দি করেছে , তারা সেই বন্দিত্বকেই অস্বীকার করে বারবার উচ্চকণ্ঠে গর্জে উঠেছে ।

 কবিতাটিতে বন্দিত্ব একটি প্রহসনে পরিণত হয়েছে । অর্থাৎ বন্দি হওয়াটাই স্বাধীনতাকামী মানুষের একটা ছলনা মাত্র । ভারতমাতার বন্ধনের কাছে যে এ বন্ধন কিছুই না , সেটাই দেখানো হয়েছে । যাঁরা বন্দি হয়ে কারাগারে আসছেন তাঁরা সর্বদা এই প্রচেষ্টাই করেছেন যে যতটা সম্ভব এই বন্ধনের ভয় থেকে সকলকে মুক্ত করা যায় । কারণ যারা ভয়কে জয় করতে পারে তারা অত্যাচারের জবাব দিতে ও পারে । যে পায়ে অত্যাচারীরা শিকল বেঁধেছে , একদিন সেই পা দিয়েই শিকল চূর্ণ হবে , এটাই মানুষের ধারণা । যারা সমগ্র জগৎ - এর সবাইকে অত্যাচারের কারাগারে বন্দি করেছে , যারা ভাবছে ভয় দেখিয়ে বিধাতার শক্তিকেও অগ্রাহ্য করবে সেই বর্বর জাতিদের শেষ করতে হলে , সকলকে বিজয়মন্ত্রে দীক্ষিত হতে হবে । বলহীনকে ভয় মুক্ত হয়ে সফল হতে হবে । যে ভয়কে আশ্রয় করে অত্যাচারীরা অত্যাচার করছে সেই ভয়কেই সবার আগে ধ্বংস করতে হবে । 

ওই ভয়ানক অত্যাচারীদের অত্যাচারকে দুর্বলতায় পরিণত করতে হবে । মৃত্যুকে জয় করতে হবে ফাঁসি গ্রহণ করে । অর্থাৎ ' হাসি হাসি পরব ফাঁসি ' - র মতো স্বাধীনতাকামী মানুষ মৃত্যুকে উপহাস করে মৃত্যুর পরেও অমর হয়ে থাকবে । যে শিকলের শব্দ ধ্বনিত হচ্ছে কারাগারের দিকে দিকে সেখানে কান্না নয় , আরাধনা করা উচিত মুক্তির পথের অগ্রদূতদের । মুক্তির বাসনায় আজ লাঞ্ছিতরাই অত্যাচারীদের জবাব দিতে পারছে । আবার এই বিপ্লবীদের অস্থি দিয়ে নতুন করে নির্মাণ হোক বজ্রের , মুক্তির তীব্র বাসনা এভাবেই বারবার ধরা পড়েছে আলোচ্য কবিতায় ।

No comments:

Post a Comment