👉(হাওয়ার গান প্রশ্ন উত্তর অষ্টম শ্রেণী)
লেখক পরিচিতিঃ
জগদীশচন্দ্র বসু ছিলেন বিশিষ্ট পদার্থবিদ ও জীববিজ্ঞানী । বিজ্ঞানসাধক ও বহু প্রতিভার অধিকারী জগদীশচন্দ্র বসু জন্মগ্রহণ করেন ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে অধুনা বাংলাদেশের অন্তর্গত বিক্রমপুরে । তাঁর বাল্যশিক্ষা শুরু হয় ফরিদপুর গ্রামে । ১৮৭০ সালে তিনি কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলে ভরতি হন । সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে বি.এ. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং ইংল্যান্ড যাত্রা করেন । এই বিশিষ্ট সাহিত্য অনুরাগী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশেষ অন্তরঙ্গ ছিলেন । তিনি ১৩২৩-১০২৫ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সভাপতি ছিলেন । ১৮৯৬ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে নানাবিধ বৈজ্ঞানিক গবেষণা স্বরূপ ডি.এস.সি. উপাধিতে ভূষিত করেন । ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি বসু বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন । আমৃত্যু সেখানেই তিনি গবেষণা চালিয়েছিলেন । তাঁর রচিত বাংলা রচনাগুলি ' অব্যক্ত ' গ্রন্থে সংকলিত হয়ে ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয় । বাংলায় লেখা তাঁর চিঠিপত্রগুলি পত্রাবলী নামে ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয় । ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে এই বিজ্ঞানসাধক পরলোকগমন করেন ।
সারসংক্ষেপঃ
গাছ কোনো কথা বলে না কিন্তু গাছের সুন্দর জগৎ ও জীবন রয়েছে । তাদের মধ্যে সুখ , দুঃখ , আনন্দ , রোগ সবকিছুর অনুভূতি রয়েছে যা আমরা আগে বুঝতাম না । দুঃখ , কষ্টে পড়ে তারা অনেক সময় চুরিও করে । গাছের কোনো গতি দেখা যায় না , তা বলে এরা নির্জীব নয় । এরা ডালপালা মেলে কত সুন্দরভাবে নিজেদের ছড়িয়ে দেয় । বীজগুলি হচ্ছে গাছের ডিম এর মধ্যে গাছের শিশু ঘুমিয়ে থাকে । মাটির উত্তাপ , জল পেলে বীজ থেকে শিশুর জন্ম নেয় । বীজের উপর ঢাকনা থাকে সেটা খুবই কঠিন , আকৃতিও নানা ধরনের হয় । বট একটি বিশাল বৃক্ষ অথচ তার বীজ অতি ক্ষুদ্র । এই ক্ষুদ্র বীজের মধ্যে লুকিয়ে আছে এক বিশাল শক্তি । ঝড়ঝাপটা ও পাখিদের মলের সাথে গাছের বীজ দূর - দূরান্তে ছড়িয়ে পড়ে । প্রত্যেক বীজ থেকে যে গাছ জন্মাবে এমন কোনো কথা নেই । অঙ্কুর বের হতে গেলে চাই উত্তাপ , জল ও মাটি । বীজ যেখানে পড়ে সেখানে অনেক দিন পর্যন্ত ঘুমিয়ে থাকে । বেড়ে উঠবার মতো উপযুক্ত স্থান যতদিন না পায় ততদিন বীজের বাইরের কঠিন ঢাকনা গাছের শিশুটিকে নানা বিপদ থেকে রক্ষা করে । গাছের বীজ বিভিন্ন সময় পাকে । আম , লিচু বৈশাখে পাকে , ধান , যব পাকে আশ্বিন - কার্তিক মাসে । বীজগুলি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে প্রবল বাতাসের বেগে কোথায় উড়ে যায় কে বলতে পারে । তারা দীর্ঘদিন আমাদের চোখের বাইরে থাকতে পারে । কিন্তু বিধাতাপুরুষের চোখের বাইরে যেতে পারে না । পৃথিবী তাকে কোলে তুলে মাটির নীচে নিরাপদ আশ্রয় দেয় , ঝড়বৃষ্টি থেকে রক্ষা করে , বীজটি নিরাপদে ঘুমিয়ে থাকে ।
নামকরণঃ
প্রবন্ধের নামকরণ তার বিষয়ের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে করা হয়ে থাকে । আচার্য জগদীশচন্দ্র তাঁর গবেষণা দ্বারা প্রমাণ করেছিলেন যে গাছেরও প্রাণ আছে । এই প্রবন্ধে লেখক গাছের মধ্যে প্রাণের লক্ষণ , অন্যান্য জীবের সঙ্গে তার সাদৃশ্য , বীজ থেকে গাছ জন্ম নেওয়ার যে পরিবেশ , এই সব নানা বিষয় আলোচনা করেছেন । সমগ্র রচনাটি জুড়েই রয়েছে গাছ সম্পর্কে আলোচনা । বিষয়বস্তুর বক্তব্য অনুযায়ী রচনার নামকরণ হয়েছে ' গাছের কথা ' । তাই নামকরণটি যথার্থ হয়েছে বলা চলে ।
অতি - সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
১. সাহিত্য ছাড়া আর কোন্ কোন্ বিষয়ে লেখকের দক্ষতা ছিল ?
উঃ । লেখক জগদীশচন্দ্র একজন বিখ্যাত বিজ্ঞানী , জীববিজ্ঞানী ও পদার্থবিদ ছিলেন ।
২. লেখক কার অন্তরঙ্গ ছিলেন ?
উঃ । লেখক বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের অন্তরঙ্গ ছিলেন ।
৩. মা কীভাবে সন্তানকে রক্ষা করেন ?
উঃ । মা নিজের জীবন দিয়ে সন্তানের জীবন রক্ষা করেন ।
৪. গাছের জীবন কেমন বলে লেখক বলেছেন ?
উঃ । লেখক বলেছেন গাছের জীবন মানুষের ছায়ামাত্র ।
৫. মানুষের সর্বোচ্চ গুণ কী ?
উঃ । মানুষের সর্বোচ্চ গুণ হলো স্বার্থত্যাগ ।
৬. শুল্ক ভাল এবং জীবিত ডালের মধ্যে কী পার্থক্য রয়েছে ?
উঃ । শুষ্ক ডালে গতি নেই , জীবিত ডালে গতি আছে ।
৭. ডিমে জীবন কী অবস্থায় থাকে ?
উঃ । ডিমে জীবনের কোনো চিহ্ন দেখা যায় না , ডিমে জীবন ঘুমিয়ে থাকে ।
৮. কোথায় বীজ নিরাপদে নিদ্রা যায় ?
উঃ । বীজের উপর কঠিন ঢাকনা থাকে , তার মধ্যে বীজ নিরাপদে নিদ্রা যায় ।
৯. বীজ দেখে গাছ কতো বড়ো হবে বলা যায় কি ? উদাহরণ দাও !
উঃ । না , তা বলা যায় না । কারণ ছোট্ট সরিষার মতো বীজ থেকে প্রকান্ড বড়ো গাছের জন্ম হয় ।
১০. বৃক্ষশিশু কীভাবে জন্ম নেয় ?
উঃ । মাটি , উত্তাপ ও জল পেলে বীজ বেরিয়ে থেকে বৃক্ষশিশু জন্ম নেয় ।
১১. ‘ এই প্রকারে জনমানবশূন্য দ্বীপে গাছ জন্মে থাকে ’ এটি কীভাবে সম্ভব হয় ?
উঃ । পাখিরা ফল খেয়ে দূর দেশে বীজ নিয়ে যায় । এইভাবে জনমানবশূন্য দ্বীপে গাছ জন্মায় ।
১২. শিমূল ফল কীভাবে ফাটে এবং ফাটলে কী হয় ?
উঃ । শিমুল ফল রৌদ্রে ফেটে যায় এবং তার মধ্যে থেকে বীজ বেরিয়ে তুলোর সঙ্গে উড়তে থাকে ।
১৩. কঠিন পাথরের উপর বীজ পড়লে কী হয় ?
উঃ । কঠিন পাথরের উপর বীজ পড়লে সেখানে তার অঙ্কুর বার হতে পারে না ।
১৪. ডিম উত্তাপ পেলে কী হয় ?
উঃ । উত্তাপ পেলে ডিম থেকে পাখির ছানা জন্ম নেয় ।
১৫. আশ্বিন মাসের শেষে কী হয় ? তাতে পাতা ও ডালের কী হয়ে থাকে ?
উঃ । আশ্বিন মাসের শেষে বড়ো ঝড় হয় । সেই ঝড়ে পাতা ও ছোটো ছোটো ডাল ছিঁড়ে চারিদিকে পড়তে থাকে ।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
১.১ জগদীশচন্দ্র বসুর লেখা একটি বইয়ের নাম লেখো ।
উঃ । জগদীশচন্দ্র বসুর লেখা একটি বই হলো ‘ অব্যক্ত ' ।
১.২ জগদীশচন্দ্র বসু কী আবিষ্কার করেছিলেন ?
উঃ । জগদীশচন্দ্র বসু আবিষ্কার করেন ‘ গাছের প্রাণ আছে ।
২. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর একটি বাক্যে লেখো :
২.১ লেখক কবে থেকে গাছেদের কথা বুঝতে পারেন ?
উঃ । যেদিন থেকে লেখক গাছ , পাখি , কীটপতঙ্গদের ভালোবাসতে শিখেছেন , সেই দিন থেকে তিনি গাছেদের ভাষা বুঝতে শিখেছেন ।
২.২ ইহাদের মধ্যেও তাহার কিছু কিছু দেখা যায় ।'— কী দেখা যায় ?
উঃ । মানুষের মধ্যে যে সমস্ত সদ্গুণ আছে , গাছেদের মধ্যেও তার কিছু কিছু দেখা যায় ।
২.৩ জীবিতের লক্ষণ কী তা লেখক অনুসরণে উল্লেখ করো ।
উঃ । জীবিতের মূল লক্ষণ হলো গতি । যে বস্তু জীবিত তা ক্রমশই বাড়তে থাকে ।
২.৪ ' বৃক্ষশিশু নিরাপদে নিদ্রা যায় ।'— বৃক্ষশিশু কোথায় নিদ্রা যায় ?
উঃ । বীজের উপর এক কঠিন আবরণ বা ঢাকনা থাকে , তার মধ্যে বৃক্ষশিশু নিরাপদে নিদ্রা যায় ।
২.৫ অঙ্কুর বের হবার জন্য কী কী প্রয়োজন ?
উঃ । অঙ্কুর বের হবার জন্য জল , মাটি , ও উত্তাপ প্রয়োজন ।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
৩.১ ' আগে এসব কিছুই জানিতাম না ।'— কোন বিষয়টি লেখকের কাছে অজানা ছিল ?
উঃ । গাছ কোনো কথা বলে না , গাছের আবার জীবন আছে । আমাদের মতো গাছ খাদ্যগ্রহণ করে , দিনে দিনে বাড়ে । এসব কথা আগে লেখক জগদীশচন্দ্র বসুর অজানা ছিল ।
৩.২ ইহাদের মধ্যেও তাহার কিছু কিছু দেখা যায় ।'— কাদের কথা বলা হয়েছে ? তাদের মধ্যে কী লক্ষ্য করা যায় ?
উঃ । এখানে গাছেদের কথা বলা হয়েছে । মানুষের মধ্যে যেমন সদ্গুণ আছে তেমনি গাছের মধ্যেও তা আছে । বৃক্ষদের মধ্যে একে অন্যকে সাহায্য করতে দেখা যায় । একে অপরের সাথে বন্ধুত্ব হয় । তাছাড়া মানুষের মধ্যে যে সর্বোচ্চ গুণ স্বার্থত্যাগ তাও গাছের মধ্যে দেখা যায় । মা যেমন নিজের জীবন দিয়ে সন্তানের জীবন রক্ষা করেন । তেমনই সন্তানের জন্য নিজের জীবনদান উদ্ভিদের মধ্যেও সচরাচর দেখা যায় ।
৩.৩ ‘ গাছের জীবন মানুষের ছায়ামাত্র ।'— লেখকের এমন উক্তি অবতারণার কারণ বিশ্লেষণ করো ।
উঃ । লেখক জগদীশচন্দ্ৰ গাছকে ভালবাসতে শিখে অনুভব করেছেন যে গাছের জীবন অনেকটা মানুষের মতো । মানুষ যেমন সন্তানকে জীবন দিয়ে রক্ষা করে , গাছ তেমনি তার জীবন দিয়ে সন্তানকে রক্ষা করে । গতি যেমন মানুষের জীবন , গতি তেমন গাছেরও জীবন , গাছ তার ডালপালা বহু দূর বিস্তার করে । খাদ্যের অভাবে , পানীয় জল ও উত্তাপের অভাবে তার মৃত্যু ঘটে । বৃক্ষদের মধ্যে একে অপরকে সাহায্য করতে দেখা যায় । তাদের একে অপরের সাথে বন্ধুত্বও হয় । এছাড়া মানুষের সর্ব্বোচ্চ গুণ স্বার্থত্যাগ তাও গাছেদের জীবনে দেখা যায় । তাই লেখক বলেছেন গাছের জীবন মানুষের ছায়ামাত্র ।
৩.৪ জীবনের ধর্ম কীভাবে রচনাংশটিতে আলোচিত ও ব্যাখ্যাত হয়েছে তা বিশ্লেষণ করো ।
উঃ । ‘ গাছের কথা ’ প্রবন্ধে লেখক জগদীশচন্দ্র অত্যন্ত সুন্দরভাবে গাছেদের জীবনধারণ প্রণালীর ব্যাখ্যা দিয়েছেন । তিনি বলেছেন গতি ও বৃদ্ধি হলো জীবনের ধর্ম । এই ধর্ম মানুষ ও অন্যান্য প্রাণী ছাড়া গাছের মধ্যেও দেখা যায় । জীবিত বস্তুতে গতি দেখা যায় , জীবিত বস্তু বাড়তে থাকে , ডিমে জীবন ঘুমিয়ে থাকে । তাপ পেলে ডিম থেকে ছানা জন্মায় , বীজগুলিও সেই রকম গাছের ডিম । তার মধ্যে গাছের শিশু ঘুমিয়ে থাকে । গাছের বীজ ঝড়বৃষ্টি , পাখির মলের মাধ্যমে দূরদূরান্তে ছড়িয়ে পড়ে । প্রত্যেক বীজ থেকেই যে গাছ জন্মাবে তা নয় , কোনো বীজ কঠিন পাথর বা অন্য জিনিসে পড়লে সেখান থেকে তার অঙ্কুর বের হতে পারে না । তবে বীজ যেখানেই পড়ুক না কেন শক্ত খোলে সেই বীজ নিরাপদে থেকেই তার জীবনধর্ম বজায় রাখে । জন্মলাভের পর জীবের গতি ও বৃদ্ধি লক্ষ করা যায় । কিন্তু প্রাণীদের মতো গাছের গতি হঠাৎ দেখা যায় না । তবুও উদাহরণ হিসেবে লেখক লতার ঘুরে ঘুরে গাছকে জড়ানোর কথা বলেছেন । এছাড়াও বেঁচে থাকতে গেলে যে সংগ্রাম করতে হয় তা প্রাণী ও উদ্ভিদ উভয়েরই জীবনের ধর্ম । এই প্রসঙ্গে লেখক একটি গাছ ও মরা ডালের প্রসঙ্গ এনে বলেছেন যে এদের মধ্যে প্রভেদ হলো গাছটি বাড়ছে আর মরা ডালটা ক্ষয় হয়ে চলেছে । একটি জীবন আছে অন্যটিতে নেই । জীবনের ধর্মই হলো চলা ।
৩.৫ ' নানা উপায়ে গাছের বীজ ছড়াইয়া যায় ।'— উপায়গুলি পাঠ্যাংশ অনুসরণে আলোচনা করো ।
উঃ । নানা উপায়ে গাছের বীজ ছড়িয়ে যায় । পাখিরা ফল খেয়ে দূরদেশে বীজ নিয়ে যায় । এইভাবে জনমানব শূন্য - দ্বীপে গাছ জন্মায় । অনেক বীজ বাতাসে উড়ে অনেক দূরদেশে চলে যায় । শিমুল গাছের ফল রৌদ্রে ফেটে তার মধ্যে থাকা বীজ তুলার সঙ্গে উড়ে দূর - দূরান্তে ছড়িয়ে পড়ে । ঝরা পাতা ও ছোটো ছোটো ডাল ছিঁড়ে যেভাবে চারিদিকে পড়তে থাকে এইভাবে গাছের বীজগুলি ছড়িয়ে পড়তে থাকে ।
৩.৬ লেখক তাঁর ছেলেবেলার কথা পাঠ্যাংশে কীভাবে স্মরণ করেছেন , তা আলোচনা করো ।
উঃ । গাছের বীজ বাতাসে কীভাবে দেশ দেশান্তরে ছড়িয়ে পড়ে সেই কথার প্রসঙ্গে লেখক জগদীশচন্দ্র নিজের ছেলে বেলার কথা স্মরণ করেছেন । আগে যখন একা মাঠে কিংবা পাহাড়ে বেড়াতে যেতেন তখন সব খালি খালি লাগত লেখকের । তারপর পাখি , গাছ , কীটপতঙ্গদের যখন তিনি ভালোবাসতে শিখেছেন তখন থেকে গাছেদের ভালোবাসতেও তাদের মনের কথা তিনি বুঝতে শিখেছেন । গাছেরা খায় দিনদিন বাড়ে । এই কথা ছেলেবেলায় লেখক জানতেন না । শিমুল গাছের বীজ ফেটে চারিদিক ছড়িয়ে যায় , ছেলেবেলায় লেখক এই বীজের পিছনে ছুটে বেড়াতেন । এইভাবে পাঠ্যাংশে লেখক তাঁর ছেলেবেলার কথা স্মরণ করেছেন ।
No comments:
Post a Comment