ক্লাস ফাইভ পরিবেশ দশম অধ্যায় পরিবেশ ও আকাশ প্রশ্ন উত্তর | পঞ্চম শ্রেণীর পরিবেশ সহায়িকা | Chapter -10 Poribesh Questions And Answers Class 5th - Psycho Principal

Fresh Topics

Saturday, 11 January 2025

ক্লাস ফাইভ পরিবেশ দশম অধ্যায় পরিবেশ ও আকাশ প্রশ্ন উত্তর | পঞ্চম শ্রেণীর পরিবেশ সহায়িকা | Chapter -10 Poribesh Questions And Answers Class 5th

  

দশম অধ্যায়
প্রশ্ন উত্তর


একাদশ অধ্যায় "মানবাধিকার ও মূল্যবোধ" প্রশ্ন উত্তর পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করো

👉 ( একাদশ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর )


⬛ সত্য / মিথ্যা নির্বাচন করো: প্রতিটা প্রশ্নের মান -1

1. আলোর পথে বাধার সৃষ্টি হলে ছায়ার সৃষ্টি হয়।

➤➣সত্য / মিথ্যা


2. সূর্য ও চাঁদের মধ্যে পৃথিবী চলে এলে সূর্যগ্রহণ হয় ৷

➤➣সত্য / মিথ্যা


3. মেঘের ছায়া পৃথিবীতে পড়লেও সূর্যগ্রহণ হয়। 

➤➣সত্য / মিথ্যা


4. সূর্য পৃথিবীর অনেক কাছে থাকায় সূর্যের তাপ এত বেশি মনে হয়।

➤➣সত্য / মিথ্যা


5. প্রত্যেক অমাবস্যা তিথিতে সূর্যগ্রহণ হয় ।

➤➣সত্য / মিথ্যা


6. খণ্ডগ্রাস সূর্যগ্রহণে পৃথিবী সম্পূর্ণ অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায় ।

➤➣সত্য / মিথ্যা


 7. পৃথিবীর ওপর যেখানে চাঁদের প্রচ্ছায়া পড়ে, সেখানে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ হয়।

➤➣সত্য / মিথ্যা


৪. প্রত্যেক পূর্ণিমা তিথিতে চন্দ্রগ্রহণ হয়।

➤➣সত্য / মিথ্যা


9. চন্দ্রগ্রহণে চাঁদের ওপর পৃথিবীর ছায়া পড়ে।

➤➣সত্য / মিথ্যা


10. পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণে চাঁদকে পুরোপুরি গোল থালার মতো দেখায়।

➤➣সত্য / মিথ্যা


11. পৃথিবীর ও চাঁদের কক্ষপথ একই ।

➤➣সত্য / মিথ্যা


12. পৃথিবী নিজ অক্ষের চারদিকে পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে ঘোরে।

➤➣সত্য / মিথ্যা


13. পৃথিবীর আহ্নিক গতির ফলে ঋতু পরিবর্তন হয় ।

➤➣সত্য / মিথ্যা


14. চাঁদ একপাক ঘুরলে পৃথিবী ঘুরবে প্রায় 12 ভাগের 1 ভাগ।

➤➣সত্য / মিথ্যা


15. পৃথিবীতে তিনভাগ জল ও একভাগ স্থল।

➤➣সত্য / মিথ্যা


16. অমাবস্যায় পূর্ণিমার তুলনায় প্রবল জোয়ারের সৃষ্টি হয়।

➤➣সত্য / মিথ্যা


17. সূর্য এখনও আরও 50 লক্ষ বছর ধরে শক্তি ছড়াবে।

➤➣সত্য / মিথ্যা


18. বড়ো বড়ো বন ও প্রাণীদের দেহ মাটির তলায় চাপা পড়ে কয়লা ও পেট্রোলিয়াম তৈরি হয় ।

➤➣সত্য / মিথ্যা


19. সূর্যের জ্বালানি কোনোদিনও শেষ হবে না ।

➤➣সত্য / মিথ্যা


উত্তর : 1.সত্য 2.মিথ্যা 3.মিথ্যা 4.সত্য 5.সত্য 6.মিথ্যা 7.মিথ্যা 8.মিথ্যা 9.সত্য 10.মিথ্যা 11.মিথ্যা 12.সত্য 13.মিথ্যা 14.সত্য 15.সত্য 16.সত্য 17.মিথ্যা 18.সত্য 19.মিথ্যা


⬛  একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাও: প্রতিটা প্রশ্নের মান -1


1. পৃথিবী কতক্ষণে নিজ অক্ষকে কেন্দ্র করে ঘোরে ?

উত্তর: 24 ঘণ্টায়।


2. পৃথিবীর আবর্তন গতির ফলে কী হয় ?

উত্তর:পৃথিবীর আবর্তন গতির ফলে দিন ও রাত হয় । 


3. চাঁদ কত সময়ে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে ?

উত্তর: চাঁদ 29 দিন 12 ঘণ্টায় পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে ।


4. সূর্যগ্রহণ কখন হয় ?

উত্তর: সূর্য, চাঁদ ও পৃথিবী একই সরলরেখায় অবস্থান করলে চাঁদের ছায়া পৃথিবীর ওপর পড়ে ও সেই স্থানে তখন সূর্যগ্রহণ হয় ।


5. সূর্যগ্রহণ কতক্ষণ থাকে ?

উত্তর:পৃথিবী ও সূর্যের সংযোগী সরলরেখা থেকে চাঁদ সরে গেলে আবার সূর্যকে দেখা যায় ।


6. প্রত্যেক অমাবস্যায় সূর্যগ্রহণ হয় না কেন ?

উত্তর প্রত্যেক অমাবস্যায় সূর্য, চাঁদ ও পৃথিবী এক সরলরেখায় আসে না।


7. অমাবস্যা কখন হয় ?

উত্তর: চাঁদ, সূর্য ও পৃথিবীর মাঝখানে চলে এলে অমাবস্যা হয়।


8. সূর্যগ্রহণ কত প্রকার ?

 উত্তর: সূর্যগ্রহণ তিনপ্রকার:  i.পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ,

 ii. খণ্ডগ্রাস সূর্যগ্রহণ ও বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ। 


9. সূর্যগ্রহণের সময় কত রকমের ঘটনা ঘটে ?

উত্তর: i.  পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ, ii.  খণ্ডগ্রাস সূর্যগ্রহণ, iii. গ্রহণ দেখা যাবে না, iv বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ।


10. পূর্ণিমা কখন হয় ?

উত্তর: পৃথিবী সূর্য ও চন্দ্রের মাঝখানে অবস্থান করলে পূর্ণিমা হয় ।


11. চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের কোনো অংশই পৃথিবী থেকে দেখা না-গেলে তাকে কী বলে ? 

উত্তর: চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের কোনো অংশই পৃথিবী থেকে দেখা না-গেলে তাকে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ বলে।


12. চন্দ্রগ্রহণে পৃথিবীর কোনদিকে চাঁদ ও সূর্য অবস্থান করে ? 

উত্তর: চন্দ্রগ্রহণের সময় পৃথিবীর একদিকে চাঁদ ও বিপরীত দিকে সূর্য থাকে ।


13. পৃথিবী নিজ অক্ষের চারদিকে না-ঘুরলে কী হত ? 

উত্তর: পৃথিবীতে দিনরাত্রি হত না।


14. পৃথিবীর বার্ষিক গতির জন্য কী হয় ?

উত্তর: পৃথিবীর বার্ষিক গতির জন্য ঋতু পরিবর্তন হয়।


15. পৃথিবীর কক্ষপথ কাকে বলে ?

উত্তর: পৃথিবী যে উপবৃত্তাকার পথে সূর্যের চারদিকে ঘোরে, তাকে পৃথিবীর কক্ষপথ বলে ৷


16. পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরছে কে প্রমাণ করেন ? 

উত্তর: গ্যালিলিয়ো গ্যালিলি প্রমাণ করেন পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরছে।


17. পৃথিবীর কক্ষপথের আকৃতি কেমন ?

উত্তর: পৃথিবীর কক্ষপথের আকৃতি উপবৃত্তাকার। 


18. অধিবর্ষের দিনসংখ্যা কত ?

উত্তর: অধিবর্ষের দিনসংখ্যা 366 দিন।


19. মূলত জোয়ারভাটা কীসের টানে হয় ? 

উত্তর: মূলত চন্দ্রের আকর্ষণে জোয়ারভাটা হয় ।


20. পৃথিবীর যে-দিকটি চাঁদের সামনে আসে সেখানে কী হয় ?

উত্তর:পৃথিবীর যে-দিকটি চাঁদের সামনে আসে সেখানে মুখ্য জোয়ার হয়।


21. অমাবস্যা ও পূর্ণিমার মধ্যে জোয়ারের কোনটিতে প্রবল সৃষ্টি  হয় ?

উত্তর: অমাবস্যাতে প্রবল জোয়ারের সৃষ্টি হয়।


22. জোয়ারভাটা হয় এমন একটি নদীর নাম লেখো ।

উত্তর:  হলদি নদীতে জোয়ারভাটা হয়।


23. জোয়ারভাটা হয় না এমন একটি নদীর নাম লেখো । 

উত্তর: কেলেঘাই নদীতে জোয়ারভাটা হয় না।


24. একবার মুখ্য জোয়ারের কতক্ষণ পর আবার সেখানে মুখ্য জোয়ার হয় ?

উত্তর:  একবার মুখ্য জোয়ারের 24 ঘণ্টা 52 মিনিট পর আবার সেখানে পরবর্তী মুখ্য জোয়ার হয়।


25. গৌণ জোয়ারের মূল কারণ কী ?

উত্তর: গৌণ জোয়ারের মূল কারণ পৃথিবীর ঘূর্ণন।


26. জোয়ারভাটার ক্ষেত্রে সূর্যের তুলনায় চাঁদের আকর্ষণ বেশি কার্যকারী কেন ? 

উত্তর: চাঁদ সূর্যের তুলনায় পৃথিবীর অনেক কাছে অবস্থানকরায় চাঁদের আকর্ষণেই মূলত জোয়ারভাটা ঘটে । 


27. পৃথিবী ও চাঁদ কোথা থেকে সৃষ্টি হয়েছে ?

 উত্তর:  পৃথিবী ও চাঁদ সূর্য থেকে সৃষ্টি হয়েছে।


28. পৃথিবী থেকে সূর্য ছাড়া অন্যান্য তারাগুলিকে খুব ছোটো দেখায় কেন ?

উত্তর:  অন্যান্য তারাগুলি পৃথিবী থেকে সূর্যের তুলনায় অনেক দূরে অবস্থান করায় অত ছোটো দেখায়।


 29. প্রক্সিমা সেনটাউরি থেকে পৃথিবীতে আলো আসতে কত সময় লাগে ?

উত্তর:  প্রক্সিমা সেনটাউরি থেকে পৃথিবীতে আলো আসতে প্রায় 4 বছর লাগে ।


30. জোয়ারের জল উঠে আসছে চাঁদের টানে। এর থেকে আমরা কী বুঝতে পারি ? 

উত্তর: জোয়ারের জল উঠে আসছে চাঁদের টানে এর থেকে বোঝা যায় চাঁদের শক্তি আছে।


31. চাঁদ কোথা থেকে শক্তি পায় ? 

উত্তর:  চাঁদ সূর্য থেকে শক্তি পায়।


32. সূর্যের মতো একটি তারার নাম লেখো ।

উত্তর:  সূর্যের মতো একটি তারার নাম আলফা সেনটাউরি ।


33. কোন্ অতিকায় প্রাণী পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে ?

উত্তর:  ডাইনোসর পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। 


34. তারা বা নক্ষত্র কী ?

উত্তর:  প্রচণ্ড উত্তপ্ত বস্তু যার নিজস্ব আলো আছে এবং যা হাইড্রোজেন বা হিলিয়াম গ্যাস দিয়ে তৈরি, তাকে তারা বলে ।


35. সূর্য বাদে অন্য কোনো তারার মৃত্যু হলে পৃথিবীর কী হবে ? 

উত্তর সূর্য বাদে অন্য কোনো তারার মৃত্যু হলে পৃথিবীর ওপর তার কোনো প্রভাব পড়বে না ।


36. ধূমকেতু কাকে বলে ?

উত্তর: ধূমকেতু হল হালকাভাবে আবদ্ধ বরফ ও মিথেন, অ্যামোনিয়া, কার্বন ডাইঅক্সাইড প্রভৃতি দ্বারা গঠিত বস্তুপিণ্ড।


37. ধূমকেতু দেখতে কেমন ?

উত্তর:  সূর্যের নিকটতম অবস্থানে অনেকটা ঝাঁটার মতো দেখতে।


38. বৃহস্পতি গ্রহের ওপর এলে ধূমকেতুকে কোন্ ধূমকেতু পড়েছিল ?

উত্তর:1914 খ্রিস্টাব্দে বৃহস্পতি গ্রহের ওপর শ্যুমেকার- লেভি ধূমকেতুটি পড়েছিল।


39. বৃহস্পতি গ্রহের ওপর পড়া ধূমকেতুর এরূপ নামকরণ কেন হয় ?

উত্তর: দু-জন বিজ্ঞানী শ্যুমেকার ও লেভি আগে থেকেই বলেছিলেন বৃহস্পতি গ্রহের ওপর একটি ধূমকেতু আছড়ে পড়বে। তাঁদের নাম অনুসারে ধূমকেতুটির নাম হয় শ্যুমেকার-লেভি।


40. উল্কা কী ?

উত্তর:যেসব ধূমকেতু পৃথিবীর কক্ষপথকে ছেদ করে ভূপৃষ্ঠে পাথুরে লোহার পিণ্ডের আকারে এসে পড়ে, তাদের উল্কা বলে ।


41. মহাকাশ বিজ্ঞানী কাদের বলে ?

উত্তর: মহাকাশ নিয়ে যাঁরা গবেষণা করেন তাঁদের মহাকাশ বিজ্ঞানী বলে ।


⬛ দু-তিনটি বাক্যে উত্তর দাও: প্রতিটা প্রশ্নের মান -2


1. পৃথিবী ও চাঁদ কীভাবে, কার চারদিকে ঘোরে ? 

উত্তর:পৃথিবী নিজ কক্ষপথে সূর্যের চারদিকে ঘোরে এবং চাঁদ নিজ কক্ষপথে পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে। পৃথিবীর সূর্যের চারিদিকে প্রদক্ষিণ করতে সময় লাগে 365 দিন। চাঁদের পৃথিবীর চারদিকে প্রদক্ষিণ করতে সময় লাগে 29 দিন 12 ঘণ্টা। 


2. সূর্যগ্রহণ কীভাবে হয় ?

উত্তর পৃথিবী সূর্যকে ও চাঁদ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করতে করতে যদি সূর্য, চাঁদ ও পৃথিবী একই সরলরেখায় চলে আসে, তখন পৃথিবীর ওপর চাঁদের ছায়া পড়ে এবং সেই অংশে তখন সূর্যগ্রহণ হয় ।


3. পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ বলতে কী বোঝায় ?

 উত্তর: সূর্যগ্রহণের সময় পৃথিবীর যে-অংশে চাঁদের ছায়া পড়ায় সূর্যকে একেবারেই দেখা যায় না, সেই অংশে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ হয়। পৃথিবীর এই অংশটি কিছুক্ষণের জন্য অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।


4. খণ্ডগ্রাস সূর্যগ্রহণ কাকে বলে ? 

উত্তর: পৃথিবীর ওপর যেখানে চাঁদের প্রচ্ছায়া পড়ে, সেখান থেকে সূর্যকে আংশিক দেখা যায়। একে খণ্ডগ্রাস সূর্যগ্রহণ বলে ।


5. বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ কী ?

উত্তর: যে-সূর্যগ্রহণে চাঁদ সূর্যের ঠিক মাঝখানে এসে পড়ে এবং সূর্যকে অনেকটা জ্বলন্ত আংটির মতো মনে হয়, একে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ বলে ।


6. প্রত্যেক অমাবস্যাতে সূর্যগ্রহণ হয় না কেন ? 

উত্তর:পৃথিবীর ও চাঁদের কক্ষতল এক নয়। তাই প্রত্যেক অমাবস্যায় সূর্য, চাঁদ, পৃথিবী এক সরলরেখায় আসে না, তাই সব অমাবস্যায় সূর্যগ্রহণও হয় না ।


7. পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ কাকে বলে ? 

উত্তর: চন্দ্রগ্রহণের সময় পৃথিবীর ছায়ায় পুরো চাঁদ ঢেকে গিজা গেলে, কিছুক্ষণের জন্য চারদিক অন্ধকার হয়ে যায়, একে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ বলে।


8. খণ্ডগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ কাকে বলে ? 

উত্তর: চন্দ্রগ্রহণের সময় পৃথিবীর ছায়ায় চাঁদের আংশিক ঢাকা পড়লে তাকে খণ্ডগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ বলে ।


9. প্রত্যেক পূর্ণিমায় চন্দ্রগ্রহণ হয় কি ?

উত্তর:না, চাঁদ ও পৃথিবীর কক্ষতল ভিন্ন হওয়ায় প্রত্যেক পূর্ণিমায় সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ এক সরলরেখায় আসে না, তাই সব পূর্ণিমায় চন্দ্রগ্রহণ হয় না। 


10. বার্ষিক গতি কাকে বলে ?

 উত্তর: নিজ অক্ষের চারদিকে ঘুরতে ঘুরতে পৃথিবী উপবৃত্তাকার পথে সূর্যের চারদিকেও প্রদক্ষিণ করে। পৃথিবীর এই গতিকে বার্ষিক গতি বলে। বার্ষিক গতির ফলে পৃথিবীতে ঋতু পরিবর্তন হয়।


11. সৌরবছর কী ?

উত্তর: পৃথিবী উপবৃত্তাকার কক্ষপথে সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে 365 দিন 5 ঘণ্টা 48 মিনিট 46 সেকেন্ড সময় নেয়। পরিক্রমণের এই সময়কালকে সৌরবছর বলে।


12. আহ্নিক গতি কাকে বলে ? 

উত্তর: নিজ অক্ষের চারদিকে একপাক ঘুরতে পৃথিবী প্রায় 24 ঘণ্টা সময় নেয়, পৃথিবীর এই ঘূর্ণনকে আহ্নিক গতি বলে। আহ্নিক গতির ফলে পৃথিবীতে দিনরাত্রি হয়।


13. জোয়ারভাটা কাকে বলে ? 

উত্তর: সমুদ্র ও নদীর জলরাশি প্রতিদিন নিয়মিতভাবে নির্দিষ্ট সময় অন্তর ধীরে ধীরে ফুলে ওঠে, কিছুক্ষণ পর তা আবার নেমে যায়। জলরাশির এরূপ ফুলে ওঠাকে জোয়ার ও নেমে যাওয়াকে ভাটা বলে।


14. জোয়ারভাটা কেন হয় ?

উত্তর:সমগ্র পৃথিবীর তিনভাগ জল ও একভাগ স্থল। এই বিশাল জলারশির ওপর চন্দ্র ও সূর্যের মিলিত আকর্ষণের ফলে জোয়ারভাটা হয়। এ ছাড়া পৃথিবীর ঘূর্ণন গতির ফলেও জোয়ারভাটার সৃষ্টি হয়।


15. গৌণ জোয়ার কাকে বলে ?

উত্তর: পৃথিবীর যে-অংশে মুখ্য জোয়ার হয়, ঠিক তার বিপরীত অংশে পৃথিবীর আবর্তন গতি দ্বারা সৃষ্ট বল চাঁদের আকর্ষণ বলের তুলনায় বেশি কার্যকারী হয়, ফলে ওইস্থানেও জোয়ার-এর সৃষ্টি হয়, একে বলে গৌণ জোয়ার। গৌণ জোয়ারে জল খুব অল্প বাড়ে।


16. জোয়ারভাটার দুটি সুবিধা লেখো।

উত্তর:  জোয়ারভাটার দুটি সুবিধা হল - 

➣জলবিদ্যুৎ উৎপাদন : জোয়ারভাটার সময় প্রবল জলপ্রবাহকে কাজে লাগিয়ে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।

➣ জাহাজ চলাচল : জোয়ারের সময় নদীর মোহানায় বেশি জল প্রবেশ করায় বড়ো বড়ো জাহাজ সমুদ্র থেকে নদীতে প্রবেশ করে।


17.অমাবস্যা ও পূর্ণিমায় জোয়ার বেশি হয় কেন ? 

উত্তর: অমাবস্যায় পৃথিবী ও সূর্যের মাঝে থাকে চাঁদ । ফলে চাঁদ ও সূর্যের মিলিত আকর্ষণে প্রবল জোয়ার সৃষ্টি হয় আবার পূর্ণিমাতে চাঁদ ও সূর্যের মাঝে থাকে পৃথিবী, ফলে একদিকে চাঁদ ও একদিকে সূর্যের আকর্ষণে পৃথিবীর জলরাশি দু-দিকে ফুলে ওঠে ও জোয়ারের সৃষ্টি হয়।


18. ষাঁড়াফাঁড়ি বান কাকে বলে ? 

উত্তর: জোয়ারের জল নদীতে প্রবেশ করলে যে-বান আসে, তার ফলে কখনো-কখনো নদীর জল 7-8 মিটার উঁচুতে উঠে যায়। এরূপ ভয়াবহ বানকে পশ্চিমবঙ্গে ষাঁড়াঘাঁড়ি বান বলে। হুগলি নদীতে মাঝে মাঝে এই বান দেখা যায়।


19. পূর্ণিমার ভরা কোটাল কাকে বলে ? 

উত্তর: পূর্ণিমা তিথিতে পৃথিবী, চাঁদ ও সূর্যের মাঝে অবস্থান করে। তখন পৃথিবীর জলরাশিকে একদিকে চাঁদ ও অন্যদিকে সূর্য আকর্ষণ করে। এর ফলে উভয়দিকে যে জোয়ারের সৃষ্টি হয়, তাকে পূর্ণিমার ভরা কোটাল বলে।


20. আকাশে একটি তারার মৃত্যু হলে পরিণতি কী হবে ?

উত্তর:  সূর্যের মতোই সব তারার মৃত্যু আছে। আকাশে তারার সংখ্যা অসংখ্য। প্রতিদিন এরূপ অনেক তারার জন্ম-মৃত্যু হয়। কিন্তু এর ফলে পৃথিবীর কোনো ক্ষতি হয় না, বা পৃথিবীতে এর কোনো প্রভাব পড়ে না।


21. উল্কা পৃথিবীতে পড়লে পরিণতি কী হবে ? 

উত্তর:  উল্কা পৃথিবীতে আসার আগেই বায়ুর ঘর্ষণে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। ফলে উল্কার আকার ছোটো হয়ে যায়। তাই পৃথিবীতে এসে পড়লে খুব একটা ক্ষতি হয় না ৷


No comments:

Post a Comment