আকাশের দুই বন্ধ প্রশ্ন উত্তর পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা | ক্লাস ফাইভ বাংলা আকাশের দুই বন্ধ প্রশ্ন উত্তর, সহায়িকা | Class 5 Bangla Aakasher Dui Bandhu Questions Answers - Psycho Principal

Fresh Topics

Thursday, 9 January 2025

আকাশের দুই বন্ধ প্রশ্ন উত্তর পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা | ক্লাস ফাইভ বাংলা আকাশের দুই বন্ধ প্রশ্ন উত্তর, সহায়িকা | Class 5 Bangla Aakasher Dui Bandhu Questions Answers

  



আকাশের দুই বন্ধ 
প্রশ্ন উত্তর 




পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা বোম্বাগড়ের রাজা  প্রশ্ন উত্তর পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করো


পঞ্চম  শ্রেণীর বাংলা সাজেশন |পঞ্চম  শ্রেণীর বাংলা আকাশের দুই বন্ধ   প্রশ্ন উত্তর | ক্লাস পঞ্চম  বাংলা আকাশের দুই বন্ধ  গুরুত্ব পূর্ণ প্রশ্ন উত্তর, সহায়িকা | Class 5 Bangla  Aakasher Dui Bandhu Important Questions And Answers | পঞ্চম  শ্রেণীর বাংলা গুরুত্ব পূর্ণ প্রশ্ন উত্তর | #Class5 Bangla  Aakasher Dui Bandhu Questions And Answers #Class 5th Bangla  Questions And Answers


⬛ লেখক পরিচিতিঃ 

প্রখ্যাত সাহিত্যিক শৈলেন ঘোষ ১৯২৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। কৈশোরে ছোটোদের পত্রিকা 'মাস পয়লায় তাঁর লেখা প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়। তাঁর রচিত অরুণ বরুণ কিরণমালা' শিশু নাটকটি সংগীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার লাভ করে। তাঁর রচিত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হল 'আমার নাম টায়রা' ‘গল্পের মিনারে পাখি' 'ভূতের নাম আঙ্কুশ', 'টুই টুই' ইত্যাদি। এছাড়া ছোটোদের জন্য অজস্র গল্প, ছড়া, নাটক তিনি রচনা করেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গল্প সংকলন—হাসি ঝলমল মজা', 'স্বপ্ন দেখি রূপকথায়' 'ভালোবাসি পশুপাখি' ‘গল্পের রং রকম রকম’। তিনি ‘মিতুল নামে পুতুলটি' উপন্যাসের জন্য জাতীয় পুরস্কারে সম্মানিত হন। ২০১৬ সালে লেখকের জীবনাবসান হয়।


 ঘুড়ি সম্পর্কে দু-একটি কথা— পাখি নয় ঘুড়ি :

 আকাশে উড়তে পারে এমনই এক কাগজের খেলনা হল ঘুড়ি। মানুষের তো ডানা নেই, কিন্তু তারই বানানো কাগজের এই পাখি তার ওড়ার স্বপ্নকে সত্যি করে তোলে। ঘুড়ির ইতিহাস অনেক পুরোনো। পৃথিবীর সব দেশেই ঘুড়ি বানানো এবং ওড়ানো নিয়ে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষার চল রয়েছে। আমাদের দেশেরই বিভিন্ন রাজ্যে ঘুড়ির নানারকম নাম, যেমন—রাজস্থানে পতং, তামিলনাড়ুতে পত্তম, হিন্দি ভাষায় ঘুড্ডি, আর ইংরেজিতে ঘুড়িকে বলা হয় কাইট (kite) ।


⬛ রচনা পরিচয় : 

গল্পটা দুটি ঘুড়ির, একটি ঘুড়ি পেটকাটা আর একটা চাঁদিয়াল। তারা মানুষের হাতের সুতোর টানে আকাশে ওড়ে। আকাশ তাদের বড়ো বন্ধু। তারা চিরকালই আকাশে থাকতে চায়। কিন্তু সুতোর টানের জন্য পারে না। বারবার নেমে আসতে হয়। একদিন তারা দুজনে একসাথে সেই সুতো ছিঁড়ে তাদের প্রিয় বন্ধু আকাশের মাঝে উড়ে যায়। গল্পটি যেহেতু দুটি ঘুড়ি ও আকাশের বন্ধুত্বকে কেন্দ্র করে রচিত, তাই গল্পটির নামকরণ 'আকাশের দুই বন্ধু' সার্থক। পাঠ্য গল্পটি তাঁর 'স্বপ্ন দেখি রূপকথায়' বই থেকে নেওয়া হয়েছে।


⬛ সারসংক্ষেপ : 

দুটি ঘুড়ির একটি পেটকাটা অন্যটি চাঁদিয়াল। তারা একে অন্যের সাথে প্যাঁচ খেলে। মানুষরা তাদের দিয়ে প্যাঁচ খেলায়। ওদের প্রাণ নেই, ভালোবাসা নেই, প্যাঁচ খেলা হয়ে গেলে যে হেরে গেল সে যে কোথায় গিয়ে পড়ল তার খবর কেউ রাখে না। একদিন এক উৎসব আসে, গোটা আকাশ ঘুড়িতে ভরে যায়। পেটকাটা আর চাঁদিয়ালও আকাশে ওড়ে। এবার তাদের দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়ে যায়। আকাশে উড়তে উড়তে তারা গল্প করে। তাদের সুখ-দুঃখ, আনন্দ, সব ভাগ করে নিতে থাকে, এমন সময় মাটি থেকে মানুষেরা তাদের সুতোর টানে একে অন্যের সাথে প্যাঁচ খেলাতে থাকে। এইবার তারা ঠিক করে যে কোনো একজন অন্য আরেকজনকে হারিয়ে দেবে না। তারা একে অন্যকে সুতোতে জড়িয়ে ভালো করে ধরে। মাটিতে তখন তাদের ঘিরে উল্লাস চরমে ওঠে। কিন্তু হঠাৎ মানুষদের অবাক করে দিয়ে তারা দুজনেই সুতো ছিঁড়ে আকাশে উড়ে যেতে থাকে। ক্রমশ ভাসতে ভাসতে তারা দুজনেই আকাশে হারিয়ে যেতে থাকে। তারা কোথায় যাচ্ছে কেউ জানে না, কেবল মাত্র আকাশ জানে। কারণ আকাশই যে ওদের বন্ধু।


⬛  শূন্যস্থান পূরণ করো :


1. ওঁদের আকাশে উড়িয়ে ------ যুদ্ধ হবে। 

উঃ। প্যাচখেলার।


2. ------চাইছে মায়ের কাছে? 

উঃ।  খাবার।


3.এমনি করে রোজ পৃথিবী ------ হচ্ছে।

 উঃ।  নতুন।


4. ------- নিয়ে কে আর দয়া দেখায়। 

উঃ।  আবর্জনা।


5. কিন্তু একদিন------আসেই। 

উঃ।  উৎসব।


6.এবার বোধ হয় ------- খেলা শুরু হবে। 

উঃ।  প্যাঁচের।


7. আমরাতো - ওদের হাতের -------। 

উঃ। গোলাম।


8.ওদের হাতের ওই ------- আমাদের ভাগ্য। 

উঃ। সুতো।


9. তার পরেই সেই ------- ঘটনা ঘটে গেল।

উঃ। আশ্চর্য।


 সঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে বাক্যটি পুনরায় লেখো : 

1.গল্পে একটি ঘুড়ি চাঁদিয়াল ও অন্যটি (মোমবাতি / পেটকাটা / মুখপোড়া)।

উঃ। গল্পে একটি ঘুড়ি চাঁদিয়াল ও অন্যটি – পেটকাটা। 


2. ঘুড়ি আকাশে উড়িয়ে মানুষে (খেলা করে / আনন্দ করে / প্যাঁচ খেলে)। 

উঃ। ঘুড়ি আকাশে উড়িয়ে মানুষ—প্যাচ খেলে। 


3. ঘুড়ির সাথে সুতো বাঁধা থাকে (বুক ফুটো করে / মাথা ফুটো করে / পেট ফুটো করে ।

উঃ। ঘুড়ির সাথে সুতো বাঁধা থাকে—বুক ফুটো করে ।


4. ঘুড়ির সুতো বাঁধা থাকে (হাতের / লাটাই / ছাদ) এর সাথে। 

উঃ। ঘুড়ির সুতো বাঁধা থাকে লাটাই-এর সাথে। 


5. পেটকাটাও দেখে যেন (মিটমিটিয়ে / চোখ মটকিয়ে/ পিটপিটিয়ে) চাঁদিয়ালকে। 

উঃ। পেটকাটাও দেখে যেন পিটপিটিয়ে চাঁদিয়ালকে।


 এলোমেলো শব্দগুলিকে সাজিয়ে অর্থপূর্ণ বাক্য তৈরি করো : 

1. রং তাদের ছড়ানো বাহার কী গায়ের। 

উঃ। বাহার-ছড়ানো কী তাদের গায়ের রং।


2. নেই প্রাণও ওদের নেই ভালোবাসাও। 

উঃ। ওদের প্রাণও নেই, ভালোবাসাও নেই।


3.কেউ ফিরিয়ে না তাকে দেখবে চোখ তখন। 

উঃ। তখন কেউ চোখ ফিরিয়ে দেখবে না 


4. আর উৎসবে দুটো পাক আকাশে খায় ঘুড়ি ওই সেই। 

উঃ। আর সেই উৎসবে ওই দুটো ঘুড়ি পাক খায় আকাশে।


5. আছে ঝরনা, পাহাড় নাকি আছে অনেক। 

উঃ। নাকি অনেক পাহাড় আছে, ঝরনা আছে।


6. হত আমাদের আকাশটি ঘর-বাড়ি যদি। 

উঃ । আকাশটা যদি আমাদের ঘর-বাড়ি হত।


7. দিকে এল সে খেয়ে চাঁদিয়ালের তিরবেগে। 

উঃ। তিরবেগে সে ধেয়ে এল, চাঁদিয়ালের দিকে।


8. দুজনে টান আমরা প্রাণপণে মারি আয়। 

উঃ। আয়, আমরা প্রাণপণে টান মারি দুজনে।


9.করছে মানুষগুলো নীচের কেমন দ্যাখ উল্লাস। 

উঃ। দ্যাখ নীচের মানুষগুলো কেমন উল্লাস করছে। 


10. বন্ধু যে না কেন আকাশ ওদেরও। 

উঃ। কেন না, আকাশ যে ওদেরও বন্ধু।


⬛ জাতি-সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :


১. ঘুড়ি কী? 

উঃ। সুতোর সাহায্যে আকাশে ওড়ানো যায় এমনই এক কাগজের খেলনা হল ঘুড়ি।


২. ঘুড়িরা কাদের হাতের গোলাম? 

উঃ। ঘুড়িরা মানুষের হাতের গোলাম।


৩. ঘুড়ি দিয়ে মানুষ কী করে? 

উঃ। ঘুড়ি দিয়ে মানুষ আকাশে প্যাঁচের লড়াই খেলে। 


৪. ইংরেজিতে ঘুড়িকে কী বলা হয়? 

উঃ। কাইট (Kite)।


৬. কী থেকে গাছ জন্ম নেয়?

 উঃ। বীজ থেকে গাছ জন্ম নেয়।


৭. ঘুড়ি কীসের তৈরি হয়? 

উঃ। ঘুড়ি কাগজের তৈরি হয়। 


৮. কাঁপকাঠি কাকে বলে? 

উঃ। ঘুড়ির বুকের কাঠিকে কাপকাঠি বলে।


৯. আকাশের দুই বন্ধুর নাম কী? 

উঃ । আকাশের দুটি বন্ধু হল দুটি ঘুড়ি— পেটকাটা ও চাঁদিয়াল।


১০. কখন ঘুড়িদের ধরার সাধ্য কারও থাকবে না? 

উঃ । যদি তারা একসঙ্গে সুতো উপড়ে আকাশে ভেসে যেতে পারে তখন তাদের ধরার সাধ্য কারও থাকবে না।


১১. কোন্ উৎসবে ঘুড়ি ওড়ে ?

উঃ। বিশ্বকর্মা পুজো ও সরস্বতী পুজোতে ঘুড়ি ওড়ে।


১২. আকাশ থেকে চাঁদিয়ালের কী দেখতে সুন্দর লাগে? 

উঃ । আকাশ থেকে চাঁদিয়ালের নদী দেখতে সুন্দর লাগে।


১৩. নদীর চেয়েও বড়ো কী? 

উঃ। নদীর চেয়েও বড়ো সাগর।


⬛ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :


১. ঘুড়ির উৎসবে কীভাবে ঘুড়ি দুটি ওড়ে ?

উঃ। উৎসবের দিন বাজনা বাজে, মাঠে, ছাদে, পথে, প্রান্তরে ঘুড়ির উৎসবে আকাশ উপচে পড়ে। সেই উৎসবে ঘুড়ি আকাশে পাক খায়। এ বাড়ির ছাদ, ও বাড়ির ফাঁকা জমি থেকে চাঁদিয়াল আর পেটকাটা ঘুড়ি দুটি ওড়ে। ঘুড়ি দুটির বুক ফুটো করে সুতো বাঁধা হয়েছে, সেই বাঁধা সুতো লাটাই ঘুরে খুলছে আর ওদের হাওয়ায় ভাসিয়ে দিচ্ছে। আর ঘুড়ি দুটি ভাসতে ভাসতে উড়ে যাচ্ছে।


২. ভোকাট্টা কী ?

উঃ। ভোকাট্টা হল মানুষের তৈরি একটি উল্লাসিত হওয়ার শব্দ। মানুষ আকাশে ঘুড়ির প্যাচ খেলার সময় যার ঘুড়ি অন্যের ঘুড়িকে কেটে দেয় সে তখন যুদ্ধ জেতার আনন্দে ভোকাট্টা বলে চিৎকার করে ওঠে।


৩. পেটকাটা ও চাঁদিয়াল ঘুড়ি দুটি নিজেদের কী দুঃখের কথা বলছিল? 

উঃ। চাঁদিয়াল ঘুড়িটি পেটকাটাকে বলছিল যে আকাশে প্যাঁচের লড়াই এর পরই কেউ একজন ভোকাট্টা হয়ে হারিয়ে যাবে। তখন কে যে বিপদে পড়বে তা কেউ জানে না। আকাশটা যদি তাদের ঘর-বাড়ি হত তাহলে তারা শুধুই উড়তে পারত। এর উত্তরে পেটকাটা বলে যে তারা বড়ো অসহায়, মানুষের হাতের সুতো যেভাবে তাদের চালায় তারা সেভাবেই চলে। তারা মানুষের হাতের গোলাম।


৪. ঘুড়িদুটি মুক্ত হবার জন্য কী উপায় ভেবেছিল?

উঃ। আকাশের দুই বন্ধু' গল্পে পেটকাটা ও চাঁদিয়াল ঘুড়ি দুটি বুঝেছিল মানুষের হাতের ওই সুতোই তাদের ভাগ্য। তাই তারা প্যাচের সময় জট পাকিয়ে সুতো ছিঁড়ে ফেলতে চেয়েছিল। একসঙ্গে দুজনে উড়ে যেতে চেয়েছিল আকাশে। ভেবেছিল এতেই তারা রক্ষা পেয়ে যাবে, আকাশ তাদের সহায় হবে। তখন এই দুই মুক্তি পাওয়া বন্ধুকে ধরার সাধ্য কারোর থাকবে না।


৫. ‘সে তখন একটা আবর্জনা'—কার কথা বলা হয়েছে? কীভাবে সে আবর্জনা হয়ে যায় ?

উঃ। এখানে কেটে যাওয়া ঘুড়ির কথা বলা হয়েছে। ঘুড়ি কাগজের তৈরি একটি খেলনা, তাদের প্রাণ নেই। কে তাদের বানিয়েছে কেউ তার খবর রাখে না। দোকান থেকে তাদের কিনে আনা হয় উৎসবের দিনে ওড়ানোর জন্য। লাট খেতে খেতে তারা আকাশে লড়াই করে তারপর ভোকাট্টা হয়ে কেউ গাছে, ইলেকট্রিকের তারে, কারও বাড়ির ছাদে অথবা নদীর জলে লুটিয়ে পড়ে। নদীর জলে পড়ে বুকের কাপকাঠি ভেঙে সে তখন একটা ফাটা কাগজের টুকরো হয়ে আবর্জনা হয়ে যায়। 


৬. বিপদ এলে কীভাবে রক্ষা পেতে হয় বলে ঘুড়ি দুটি মনে করেছিল ?

উঃ। পেটকাটা ও চাঁদিয়াল ঘুড়ি দুটি বুঝেছিল বিপদ এলে ভয় পেতে নেই। একসঙ্গে লড়াই না করলে বিপদ থেকে নিস্তার পাওয়া যায় না। তাই মানুষের প্যাঁচে ফেলার খেলায় তারা একসঙ্গে লড়াই করেছিল। 


৭. চাঁদিয়াল ঘুড়িটি পৃথিবীর কী কী বিষয় কার কাছে জেনেছিল ?

উঃ। চাঁদিয়াল ঘুড়িটিকে যে ছেলেটি ওড়াচ্ছে তার ভাই যখন মাস্টারমশাইয়ের কাছে পড়ছিল, তখন ঘুড়িটি পৃথিবীর কথা শুনেছে। সে শুনেছে পৃথিবীটা খুবই সুন্দর। সেখানে অনেক পাহাড়, ঝরনা, গাছ, ফুল আছে। আবার কোথাও আছে শুধুই ঠান্ডা বরফ। 


৮. তারপরেই সেই আশ্চর্য ঘটনা ঘটে গেল'— আশ্চর্য ঘটনাটি কী লেখো। এই ঘটনায় কারা হেরে গেল আর কারা জিতল ? 

উঃ। আশ্চর্য ঘটনাটি হল ঘুড়ির প্যাচের লড়াই এর সময় সুতো ছিঁড়ে সত্যি সত্যি চাঁদিয়াল আর পেটকাটা দুটি ঘুড়ি একসঙ্গে উড়ে গেল খুশিতে মাথা নাড়তে নাড়তে। দুটি বন্ধু যখন আকাশে উড়ে গেল তখন ঘুড়ি ওড়াতে থাকা দুটি দলই হতভম্ব হয়ে আকাশের দিকে চেয়ে রইল। এই ঘটনায় ঘুড়ি ওড়ানো দুটি মানুষের দলই হেরে গেল। আর জিতে গেল দুই বন্ধু ঘুড়ি  পেটকাটা আর চাঁদিয়াল   


৯. ‘এমনি করে পৃথিবী রোজ নতুন হচ্ছে– লেখক কীভাবে পৃথিবী নতুন হচ্ছে বলে লিখে

উঃ। লেখক গল্পে বলেছেন যে একটি বীজ মাটিতে পড়ে তার থেকে নতুন গাছ জন্ম নেয় আমরা সেটা দেখেছি। ছোট ধীরে ধীরে সবুজ পাতা মেলে, তাতে ফুলের কুঁড়ি দেখা দেয় ফুলও ফোটে আবার পাখির বাসায় না । ডি দেয় ডিম ফোটে, পাখির ছানারা কিচির মিচির করে ডাক দেয়। হাঁ করে মায়ের কাছে খাবার চায়। একদিন তার রড়ো হয়ে আকাশে ডানা মেলে ওড়ে, একটি সুন্দর পাখি হয়ে ওঠে। আমরা তাদের চোখ মেলে অবাক হয়ে দেখি আর মনে মনে বাঃ বলে তারিফ করি। এভাবেই রোজ অসংখ্য প্রাণ জন্ম নেয়। নতুন ভালোবাসা ও বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে, এভাবেই রোজ পৃথিবী নতুন করে গড়ে ওঠে।


⬛  নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো : 

1. গল্পে প্রকৃতির বৈচিত্র্যময়, সুন্দর রূপ কীভাবে ফুটে উঠেছে?

উঃ। ‘আকাশের দুই বন্ধু' গল্পটিতে লেখক দুটি ঘুড়ির বলা কথার মধ্য দিয়ে প্রকৃতির এক বৈচিত্র্যময় রূপ ফুটিয়ে তুলেছেন। যেখানে বলা হয়েছে—পৃথিবীটা খুবই সুন্দর। এখানে পাহাড়, ঝরনা, গাছ ও ফুল আছে। কোথাও আবার বরফও আছে। বীজ মাটিতে পুঁতলে, তার থেকে যেমন সুন্দর গাছ জন্মায়, গাছটি ধীরে ধীরে সবুজ পাতা ছড়িয়ে হাওয়ায় দোলে। ফুলের কুঁড়ি উঁকি মারে, ফুল ফোটে। প্রকৃতিতে ঘটা এই সব ঘটনার বর্ণনাতেই গল্পে প্রকৃতির বৈচিত্র্যময় রূপ ফুটে উঠেছে।


2. পেটকাটা ও চাঁদিয়ালের কীভাবে দেখা হয়েছিল? তাদের বন্ধুত্বই বা কীভাবে গড়ে উঠল ?

উঃ। এ বাড়ির ছাদ আর ও বাড়ির একফালি ফাঁকা জমি থেকে পেটকাটা ও চাঁদিয়াল ঘুড়ি দুটিকে ওড়ানো হয়েছিল। হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে ওদের দেখা হয়েছিল। দুই ঘুড়ির দুই মালিকের লাটাই থেকে সুতো ছাড়ার খেলায় তারা উঠে চলেছে। আরও উপরে উঠতে উঠতে ওরা ঘুরে ঘুরে দেখছে একে অপরকে। তারা আড়চোখে দেখতে থাকে, দেখতে দেখতে তারা দুলছে আর ভাবছে, তারা যেন কত দিনের বন্ধু।


3. বন্ধুত্বকে অটুট রাখতে তারা কী সিদ্ধান্ত নিয়েছিল?

উঃ। বন্ধুত্বকে অটুট রাখতে ঘুড়ি দুটি নিজেরা নিজেদের সুতোয় দুজনে জড়িয়ে জট পাকিয়ে নিয়ে প্যাচের সময় সুতো ছিঁড়ে ফেলে আকাশে উড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ভেবেছিল এতেই তারা রক্ষা পাবে।


4.  তাদের পরিকল্পনা শেষ পর্যন্ত কীভাবে সফল হল ?

উঃ। ঘুড়ি দুটি নিজেদের সুতো জড়িয়ে প্রাণপণ টানাটানি করতে গিয়ে দুজনের বাঁধন আরও শক্ত হয়ে গেল। ফলে দুজনেই সুতো ছিঁড়ে সত্যি সত্যি উড়ে গেল। খুশিতে মাথা নাড়তে নাড়তে দুই বন্ধু একসঙ্গে আকাশে উড়ে গেল। 


5. গল্পে আকাশ কীভাবে দুটি বন্ধু-ঘুড়ির বন্ধু হয়ে উঠল ?

উঃ। আকাশে কোনো লড়াই নেই, কোনো বাধা নেই। নিজেদের মতো ভাসতে পারা যায়। তাই আকাশ উপড়ে যাওয়া ঘুড়ি দুটিরও বন্ধু হয়ে উঠল।


No comments:

Post a Comment