পঞ্চম শ্রেণী বাংলা মধু আনতে বাঘের মুখে প্রশ্ন উত্তর | ক্লাস ফাইভ বাংলা সহায়িকা, মধু আনতে বাঘের মুখে প্রশ্ন উত্তর, সারসংক্ষেপ | Class 5 Bangla Madhu Ante Bagher Mukhe Questions Answers - Psycho Principal

Fresh Topics

Wednesday, 8 January 2025

পঞ্চম শ্রেণী বাংলা মধু আনতে বাঘের মুখে প্রশ্ন উত্তর | ক্লাস ফাইভ বাংলা সহায়িকা, মধু আনতে বাঘের মুখে প্রশ্ন উত্তর, সারসংক্ষেপ | Class 5 Bangla Madhu Ante Bagher Mukhe Questions Answers

  

মধু আনতে বাঘের মুখে
প্রশ্ন উত্তর




পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা মায়াতরু প্রশ্ন উত্তর পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করো


পঞ্চম  শ্রেণীর বাংলা সাজেশন |পঞ্চম  শ্রেণীর বাংলা কবিতা - ঝড় প্রশ্ন উত্তর | ক্লাস পঞ্চম  বাংলা কবিতা - ঝড় গুরুত্ব পূর্ণ প্রশ্ন উত্তর, সহায়িকা | Class 5 Bangla Madhu Ante Bagher Mukhe Important Questions And Answers | পঞ্চম  শ্রেণীর বাংলা গুরুত্ব পূর্ণ প্রশ্ন উত্তর | #Class5 Bangla Madhu Ante Bagher Mukhe Questions And Answers #Class 5th Bangla  Questions And Answers



⬛ লেখক পরিচিতি : 

শিবশঙ্কর মিত্র ১৯০৯ সালে বাংলাদেশের খুলনা জেলার বেলফুলি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর লেখার প্রিয় বিষয় হল সুন্দরবন। সারা জীবনে বহু বই তিনি লিখেছেন এবং সুন্দরবনে গিয়ে বহু সময় কাটিয়েছেন। ১৯৬২ সালে ভারত সরকার তাঁর লেখা 'সুন্দরবন' বইটির জন্য তাঁকে শ্রেষ্ঠ শিশু সাহিত্যের পুরস্কার দেন। সুন্দরবন নিয়ে তাঁর লেখা অন্যান্য বইগুলি হল 'বনবিবি, ‘রয়েল বেঙ্গলের আত্মকথা', 'বিচিত্র এই সুন্দরবন', 'সুন্দরবনের আর্জান সর্দার' ইত্যাদি। সুন্দরবন প্রিয় এই মানুষটি ১৯৯২ সালে লেখক প্রয়াত হন। পাঠ্যাংশটি শিবশঙ্কর মিত্রের 'সুন্দরবন সমগ্র' বই থেকে নেওয়া হয়েছে।


 সুন্দরবন সম্পর্কে কয়েকটি কথা : 

বাংলাদেশ আর পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণে বিস্তীর্ণ অংশ জুড়ে সুন্দরবনের অবস্থান। বিরল জীববৈচিত্র্য, বিচিত্র গাছগাছালি, নৈসর্গিক দৃশ্যাবলি, নদী-খাঁড়ি-জলপথ, সর্বোপরি রাজকীয় বাংলার বাঘ সুন্দরবনের ঐতিহ্য। প্রাকৃতিক ভাবে গড়ে ওঠা ও সংরক্ষিত অবস্থায় টিকে থাকা পৃথিবীর একক বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল ও অভয়ারণ্যের অনন্য দৃষ্টান্ত সুন্দরবন। এ কারণে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক পরিষদ (UNESCO) ১১১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর সুন্দরবনকে ‘World Heritage' বা 'বিশ্ব ঐতিহ্য' বলে ঘোষণা করে। পশ্চিমবাংলার দক্ষিণপ্রান্তে বঙ্গোপসাগরের পাড়ে এই অরণ্যের অজস্র জলাভূমি ও মোহনা পরিযায়ী পাখিদের বিচরণক্ষেত্র। পর্যটন, বিজ্ঞান, গবেষণা, তথ্য ও তত্ত্বের ভাণ্ডার এই ঐতিহ্যবাহী অরণ্যভূমি আমাদের গর্ব। প্রাকৃতিক বিপর্যয়, জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্যের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতার অভাব আর চিরসঙ্গী দারিদ্র্যের কারণে সুন্দরবন ও তার জীববৈচিত্র্য ক্রমশ বিপন্ন হওয়ার পথে। সুন্দরবনের মিষ্টি মধু বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। এপ্রিল আর মে মাস সুন্দরবনের মধু সংগ্রহের সেরা সময়। যারা এই মধু সংগ্রহ করে, তাদের মউলি বলে। সুন্দরবনে খলসি, গেওয়া, কেওড়া, গরান ইত্যাদি গাছে মৌচাক দেখা যায়। সেখান থেকে মউলিরা মধু ও মোম সংগ্রহ করে তাঁদের জীবিকা নির্বাহ করেন।


⬛ সারসংক্ষেপ : 

আর্জান, ধনাই আর কফিল মধু কাটতে জঙ্গলে গিয়েছে। মধু কাটার তিনটি স্তর আছে। তাতে তিনজন লোক চাই। একজন গাছে উঠে মধু কাটবে, একজন বাঁশের মাথায় আগুন জ্বেলে ধোঁয়া দিয়ে মৌমাছি তাড়াবে। আর একজন চাকের নীচে ধামা ধরে দাঁড়াবে যাতে মধু এবং চাক ধামাতেই পড়ে। ধনাই এদের মধ্যে মৌচাক কাটে। যে কেউ মৌচাক কাটতে পারে না। লোকে বলে মন্ত্র জেনে মৌমাছিকে ভুল পথে চালাতে হয়। ধনাই নিজে বলে সে মন্ত্র জানে, কিন্তু লোকে তা বিশ্বাস করে না। তারা বলে ধনাই মামু গোঁয়ার। শীতের শেষে সুন্দরবনে নানা গাছে ফুল ধরেছে। গরান গাছে হলদে রং-এর ছোটো ফুল ধরে। 

সকাল থেকে ধনাইরা বেশ কয়েকটা চাক পেয়েছে। তাদের মনে খুব আনন্দ। তারা আরও চাক খুঁজতে থাকে। একটা ট্যাক পেরিয়ে ধনাই মৌচাক দেখতে পায়। কিন্তু তারপর সে বুঝতে পারে যে সেখানে মধু নেই। আজান তাও সেই চাকে এক থাবা কাদা ছুঁড়ে মারে। মধুতো পড়ল না উলটে কয়েকটা মৌমাছি তাদের তাড়া করে। ওরা সেখান থেকে সরে পড়ে। ধনাই খানিকটা এগিয়ে গেছে। সে একটা ‘শিষে’ পার হবার পরিকল্পনা করতে থাকে। কিন্তু সে ওদের সাড়া পাচ্ছে না কেন ভেবে পেছনে তাকাবার চেষ্টা করল। সেই অবকাশ ধনাই পেল না। একটা বিরাট বাঘ হুংকার দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল তার উপর। সেই হুংকারে থরথর করে বন কেঁপে উঠল। হুংকার শুনে কফিল ও আর্জানের নড়বার কোনো শক্তি রইল না। কিন্তু বাঘটা লক্ষভ্রষ্ট হয়ে পড়ে তবলা গাছের উপর। ধনাইকে ডিঙিয়ে বাঘের মাথা গাছে ঠোক্কর খায় প্রবল বেগে। সেখান থেকে বাঘটি শিষের মধ্যে। গিয়ে পড়ে। বাঘের লেজের বাড়ি লাগে ধনাই-এর। তাতে তার মাথার মধু ভর্তি কলশ গিয়ে পড়ে বাঘের মাথায়, মধু ছড়িয়ে যায় বাঘের সারা মুখে। আর বাঘ চোখমুখ কুঁচকে বেজায় ফঁ্যোৎ ফঁ্যোৎ করতে থাকে।


⬛  সঠিক বাক্যের পাশে 'ঠিক' এবং ভুল বাক্যের পাশে 'ভুল' লেখো :  প্রতিটা প্রশ্নের মান -1 


1. আর্জান জঙ্গলে যেতে সবসময় রাজি। 

উঃ। ঠিক। 


2.মধু কাঠতে তিনজন লোক লাগে। 

উঃ। ঠিক।


3. আর্জান মধু কাটে। 

উঃ। ভুল।


4.কফিল গরান গাছে মৌচাক দেখতে পায়। 

উঃ। ভুল। 


5.বাঘ ধনাইকে লক্ষ করে লাফ দেয়। 

উঃ। ঠিক।


6. ধনাই বাঘের গায়ে ধাক্কা খায়। 

উঃ। ভুল।


7. আর্জান মধুর কলস মাথায় নিয়েছে। 

উঃ। ভুল।


8. ধনাই চাকে কাদা ছুঁড়ে মারে। 

উঃ। ভুল।


9. বাঘ তবলা গাছে ধাক্কা খায়। 

উঃ । ঠিক।


10. মধুর কলশ বাঘের মাথায় ভেঙে পড়ে। 

উঃ। ঠিক।


⬛ সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে বাক্যটি আবার লেখো : প্রতিটা প্রশ্নের মান -1 

1. মধু কাটতে (চার/তিন/দুই) জন লোক লাগে। 

উঃ। মধু কাটতে তিন জন লোক লাগে। 


2. মৌচাক কাটতে (কায়দা/মন্ত্র/নিয়ম) জানা লোক চাই। 

উঃ। মৌচাক কাটতে মন্ত্র জানা লোক চাই।


3.গরান গাছের ফুল (লাল/সাদা/হলদে রঙের। 

উঃ। গরান গাছের ফুল হলদে রঙের।


4.তিনজনে (জাহাজ/নৌকা/ডিঙি) করে অনেক ভিতরে গিয়ে উঠল। 

উঃ। তিনজনে ডিঙি করে অনেক ভিতরে গিয়ে উঠল।


5.ধনাইয়ের মাথায় (চট/মধুর কলস / কাস্তে) রয়েছে। 

উঃ। ধনাইয়ের মাথায় মধুর কলস রয়েছে।


6. ধনাই চাক দেখতে পায় (গরান/গেঁওয়া/সুন্দরি) গাছে। 

উঃ। ধনাই চাক দেখতে পার গান


7. আর্জান চাকেতে (বালি/কাদা/ঢিল) ছুঁড়ে মারে। 

উঃ। আর্জান চাকেতে কাদা ছুঁড়ে মারে। 


8.বাঘ (ধনাই/কফিল/আান) কে লক্ষ্য করে ঝাঁপ দিল। 

উঃ। বাঘ ধনাইকে লক্ষ্য করে ঝাঁপ দিল।


9. বাঘ গিয়ে পড়ল (নদী/শিষ/গর্ত)-এর ভেতর। 

উঃ। বাঘ গিয়ে পড়ল শিষ-এর ভিতর। 


10. কলস ভেঙে পড়ল (বাঘের/ধনাই-এর/আর্জান-এর) মাথার উপর। 

উঃ। কলস ভেঙে পড়ল বাঘের মাথার উপর।


⬛ অতি-সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর; প্রতিটা প্রশ্নের মান -1 

১. কে বনে যেতে সব সময় তৈরি ? 

উঃ । আজান বনে যেতে সব সময় তৈরি।


২. কে প্রথম চাকটা দেখতে পেয়েছিল? 

উঃ। ধনাই প্রথম চাকটা দেখতে পেয়েছিল। 


৩. চাকটা কোন গাছে হয়েছিল? 

উঃ। চাকটা গরান গাছে হয়েছিল।


৪. ধনাই চাকটা দেখে কী সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিল? 

উঃ। ধনাই চাকটা দেখে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিল যে সেটিতে মধু নেই।


৫. কোন্ কোন্ গাছে সাধারণত মৌচাক দেখা যায়? 

উঃ। গরান, খলসি, গর্জন গাছে মৌচাক দেখা যায়।


৬. ধনাইরা কীভাবে ডাঙায় গিয়ে উঠল? 

উঃ। ধনাইরা ডিঙিতে করে দূর বনের ভিতর ডাঙায় গিয়ে উঠল।


৭. সারা বনে কী ছড়িয়ে আছে? 

উঃ। সারা বনে শুলো বা শ্বাসমূল ছড়িয়ে আছে। 


৮. মৌচাকে মধু আছে কিনা দেখার জন্য আর্জান কী করেছিল?

উঃ। মধু আছে কিনা দেখার জন্য আর্জান মৌচাকে এক থাবা কাদা ছুঁড়ে মেরেছিল।


৯. 'শিষে' কী ?

উঃ। শিষে হল সুন্দর বনের ভেতরে তিন চার হাত চওড়া ছোটো সবু খাদ।


১০. সুন্দরবন অভয়ারণ্যের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া একটি নদীর নাম লেখো।

উঃ মাতলা।


১১. কীভাবে ধনাই 'শিষে' পেরোনোর পরিকল্পনা করেছিল? 

উঃ। একটি তবলা গাছ ধরে ধনাই শিষে পেরোনোর পরিকল্পনা করেছিল।


১২. বাঘ কীভাবে ধনাই-এর উপর ঝাপিয়ে পড়ল? 

উঃ। বাঘ বিকট হুংকার দিয়ে ধনাই-এর উপর ঝাপিয়ে পড়ল।


১৩. বাঘ কোন গাছে ধাক্কা খেয়ে কোথায় গিয়ে পড়ল?

উঃ। বাঘ তবলা গাছে ধাক্কা খেয়ে শিষের ভিতর গিয়ে পড়ল। 


১৪. সামনে একটা ট্যাক বা ত্রিভুজ খণ্ড কীভাবে তৈরি হয়েছে?

উঃ। দুটো ছোটো নদী মিশে যাবার ফলে সামনে একটা ত্রিভুজ খণ্ড তৈরি হয়েছে। 


১৫. ধনাই-এর মাথা থেকে কীভাবে মধুর কলশ পড়ে গেল ?

উঃ। সপাং করে বাঘের ল্যাজের বাড়ি খেয়ে ধনাই এর মাথা থেকে মধুর কলশ পড়ে গেল।


 ১৬. বাঘ ফঁ্যোৎ ফোৎ করতে লাগল কেন ?

উঃ। কলশ ভেঙে মধু বাঘের সারা মুখে নাকে ছড়িয়ে পড়ায় বাঘ ফোৎ ফোৎ করতে লাগল।


 ১৭. মৌমাছিকে কীভাবে ভাড়াতে হয়?

উঃ। লম্বা কাঁচা বাঁশের মাথায় মশাল জ্বেলে ধোঁয়া দিয়ে মৌমাছি তাড়াতে হয়। 


১৮. যারা মধু সংগ্রহ করে তাদের কী বলে ?

উঃ। যারা মধু সংগ্রহ করে তাদের মউলি' বলে।


19.'বাংলার বাঘ' নামে কে পরিচিত ?

উঃ। স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় 'বাংলার বাঘ' নামে পরিচিত। 


20. ‘বাঘা যতীন' নামে কে পরিচিত?

উঃ। বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বাঘা যতীন নামে পরিচিত। 


21. ধনাই কীসের মন্ত্র জানে ?

উঃ। ধনাই মৌমাছিকে ভুল পথে চালিত করার মন্ত্র জানে।


22.গরান গাছের ফুল দেখতে কেমন ? 

উঃ। গরান গাছের ফুল দেখতে ছোটো ছোটো ও হলুদ রঙের।


23. ডিঙি করে মধু সংগ্রহ করতে কে কে গিয়েছিল?

উঃ। ধনাই, কফিল ও আর্জান ডিঙি করে মধু সংগ্রহ  করতে গিয়েছিল।



⬛ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :প্রতিটা প্রশ্নের মান -2/3

১. ‘মধু কাটতে তিনজন লোক চাই'—তিনজন লোক মধু কাটতে কী কী কাজ করে ?

উঃ। তিনজন লোকের মধ্যে একজন চট মুড়ি দিয়ে গাছে উঠে কাস্তে দিয়ে চাক কাটে। দ্বিতীয়জন লম্বা কাঁচা বাঁশের মাথায় মশাল জ্বেলে ধোঁয়া দিয়ে মৌমাছি তাড়ায়।' . আর তৃতীয়জন একটা বড়ো ধামা নিয়ে চাকের নীচে দাঁড়ায় যাতে চাক কাটা হলে সেগুলি মাটিতে না পড়ে ধামার মধ্যে পড়ে।


২. কোথায় ধনাই মধুর চাক দেখতে পেল? মধুর চাক খোঁজবার পন্থাটি কী? 

উঃ। ট্যাকের দিকে সামনেই একটা গরান গাছ আর তার ওপাশে হেঁদো বনের ঝোপ। সেই গরান গাই পেল।

মধুর চাক খোঁজবার পন্থাটি   মৌমাছি ফুল থেকে মধু নিয়ে কোনদিকে ছুটে চলেছে তা লক্ষ করা এবং তার পিছু পিছু সেদিকে যাওয়া।


৩. যে-সে কিন্তু মৌচাক কাটতে পারে না'- সবাই মৌচাক কাটতে পারে না কেন ? 

উঃ। সুন্দরবনের লোকেরা বলে মৌচাক কাটতে হলে মন্ত্র জানা চাই। মন্ত্র দিয়ে মৌমাছিকে ভুল পথে চালিত করতে   হয়, না হলে লক্ষ লক্ষ মৌমাছি ছেকে ধরে যে মৌচাক কাটছে তাকে কামড়ে শেষ করে দেবে।


4. বসন্তকালে সুন্দরবনের দৃশ্যটি কেমন তা নিজের ভাষায় পাঁচটি বাক্যে লেখো।

উঃ। বসন্তকালে সুন্দরবনে গরান গাছে হলদে রঙের ছোটো ছোটো ফুল ধরে। সকাল থেকে ফুলের গন্ধে, মৌমাছির গুঞ্জনে বন মেতে ওঠে। চারদিকে হলুদ রঙের ছোঁয়া লেগে থাকে। ঝিরিঝিরি বসন্তের হাওয়া বনের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলে। দলে দলে মধু শিকারির দল বনে-জঙ্গলে মধুর চাক খুঁজে বেড়ায়।


5. যদি তুমি কখনও সুন্দরবনে মধু সংগ্রহ করতে যাও, তবে কাকে কাকে সঙ্গে নেবে? জিনিসপত্রই বা কী কী নিয়ে যাবে? 

উঃ। আমি যদি কখনও সুন্দরবনে মধু সংগ্রহ করতে যাই সঙ্গে আমার বন্ধু রাহুল ও গৌরবকে নেব। আর সঙ্গে নেব মশাল, ধামা, চট, কাস্তে, কলশি ও


6. 'সুন্দরবনে মধু সংগ্রহ করতে যাওয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কাজ'—এই বিষয়ে পাঁচটি বাক্য লেখো।

উঃ। সুন্দরবনের জলে কুমির, কামট প্রভৃতি প্রাণী থাকে। সুন্দরবনের জঙ্গলে মানুষখেকো বাঘ আছে। মাটির ওপরে শ্বাসমূল বেরিয়ে থাকায় সেখানে চলতে গেলে পা ফেলার অসুবিধে হয়। জঙ্গলের গাছে ও মাটিতে বিভিন্ন বিষাক্ত সাপের উপদ্রব। এছাড়াও আছে ডাকাতদলের উপদ্রব।


7. টীকা লেখো : 'ট্যাক', 'শিষে'।

উঃ। ট্যাক—দুটো নদীর মেশবার ফলে যে ত্রিভুজ খন্ড তৈরি হয় সেই ধরনের ত্রিভুজ আকারের জমির মাথাকে ট্যাক বলে। 

শিষে—সুন্দরবনের জঙ্গলে একপ্রকার ছোটো সরু খাদ দেখা যায় একে শিষে বলে। এগুলি তিন চার হাত বা তার বেশিও চওড়া হতে পারে।


8. মধুর চাক খুঁজে পাওয়ার পন্থাটি কী?

উঃ। মধুর চাক খুঁজে পাওয়ার পন্থাটি হল মৌমাছি ফুল থেকে মধু নিয়ে কোনদিকে। চলেছে তা লক্ষ করা এবং তার পিছু পিছু ছুটে যাওয়া।


9. কফিল ও আজানকে পেছনে ফিরে ডাকার সময় ধনাই কী দেখেছিল?

উঃ। কফিল ও আর্জানকে পেছনে ফিরে ডাকার সময় ধনাই দেখল বিকট হুংকার দিয়ে বাঘ তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল।


10. বাঘটা শিষের ভিতর পড়ে গেল কীভাবে? 

উঃ। বাঘটা ধনাই-এর ওপর ঝাঁপাতে গিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পড়ল তবলা গাছের ওপর। গাছটাতে ঠোক্কর লেগে মাথায় আঘাত পেয়ে বাঘটা উলটে পড়ল শিষের ভিতরে।


11. ধনাই কীভাবে বাঘের হাত থেকে বেঁচে গেল ?

উঃ। বাঘটি তবলা গাছে দুর্দান্ত ঠোক্কর খেয়ে মাথায় আঘাত পেয়ে শিষের মধ্যে পড়ে গেল এবং বাঘের লেজের আঘাতে ধনাইয়ের মাথার মধু ভর্তি কলশিটা ভেঙে পড়ল বাঘের মাথার ওপর। বাঘের সারা মুখে নাকে মধু ছিটকে পড়ল। মুখে মধু পড়তেই হতভম্ব হয়ে গিয়ে বাঘ চোখমুখ কুচকে ফোৎ ফঁ্যোৎ শব্দ করতে লাগল। এর ফলেই ধনাই বাঘের হাত থেকে বেঁচে গেল।

No comments:

Post a Comment