পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা মিষ্টি প্রশ্ন উত্তর পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করো
পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা সাজেশন |পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা তালনবমি প্রশ্ন উত্তর | ক্লাস পঞ্চম বাংলা তালনবমি গুরুত্ব পূর্ণ প্রশ্ন উত্তর, সহায়িকা | Class 5 Bangla Talnabami Important Questions And Answers | পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা গুরুত্ব পূর্ণ প্রশ্ন উত্তর | #Class5 Bangla Talnabami Questions And Answers #Class 5th Bangla Questions And Answers
⬛ লেখক পরিচিতি:
>প্রখ্যাত সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮৯৪ সালে চব্বিশ পরগনা | জেলার বনগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সারা জীবনে বহু কালজয়ী গল্প ও উপন্যাস তিনি রচনা করেছেন। তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য বই হল – 'পথের পাঁচালি', 'আরণ্যক', 'অপরাজিত', 'দেবযান', 'ইছামতী' 'আদর্শ হিন্দু হোটেল', 'দৃষ্টিপ্রদীপ', 'কিন্নরদল' ইত্যাদি। কিশোরদের জন্য রচিত অভিযান বিষয়ক রচনা—চাঁদের পাহাড়' প্রতিটি বাঙালির অবশ্যপাঠ্য। ১৯৫০ সালে এই সাহিত্যিকের জীবনাবসান হয়। তার মৃত্যুর পরে ১৯৫১ সালে তাঁকে 'রবীন্দ্র পুরস্কার প্রদান করা হয়।
⬛ রচনা পরিচিতি:
তালনবমী' একটি পুণ্যতিথি। যা গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে আজও খুবই সমাদৃত। এই উৎসবে গ্রামের মানুষরা অংশগ্রহণ করে ও তালের খাবার দাবার তৈরি করে। রচনাটিতে এই তালনবমী ব্রত এবং তার সাথে জড়িত গ্রামের একটি দরিদ্র বাচ্চা ছেলের নিমন্ত্রণ পাওয়ার আশা আকাঙ্ক্ষার কথা বলা হয়েছে। যেহেতু গল্পটি তালনবমী এবং তার সাথে সম্পর্কিত উৎসবকে কেন্দ্র করে রচিত তাই গল্পটির নামকরণ 'তালনবমী' সার্থক। পাঠ্য গল্পটি লেখকের 'তালনবমী' নামক বই থেকে নেওয়া হয়েছে।
⬛ সারসংক্ষেপ :
গ্রামের একটি হতদরিদ্র পরিবারের ছেলে গোপাল। ভালোভাবে দুবেলা খাবার জোটে না। এরই মাঝে সে খবর পায় তাদের গ্রামের জটি পিসিমার বাড়িতে তালনবমীর অনুষ্ঠান হবে। সেখানে গোটা গ্রামের লোকেদের নিমন্ত্রণ করে খাওয়ানো হবে। সেই নিমন্ত্রণ খাবার আশায় ছেলেটি অপেক্ষা করে। বর্ষার ভোরে সাপখোপের ভয় সত্ত্বেও সে গিয়ে দুটো তাল কুড়িয়ে এনে পিসিমার হাতে দিয়ে আসে, তার বদলে পয়সাও নেয় না। অবশেষে সেই তালনবমীর দিন এগিয়ে আসে। তার আগের দিন সে স্বপ্ন দেখে সেই বাড়িতে তাঁরা নিমন্ত্রণ খেতে গেছে। সবাই তাকে বসিয়ে আদর করে মুগের ডাল, কাকুড়ের ডালনা, তিলপিটুলি, পায়েস ও তালের বড়া খাওয়াচ্ছে। সে যে তাল দিয়ে পয়সা নেয়নি সে কথাও তারা সবাইকে বলছে। পরের দিন বাদলা দিনের আবহাওয়ায় সকাল থেকে সে বাড়ির সামনের একটা কাঠের গুঁড়ির উপর ঠায় বসে থাকে, নিমন্ত্রণের আশায়। তাদের বাড়ির সামনে দিয়ে গ্রামের লোকেরা একে একে সেখান দিয়ে যেতে থাকে। সে কেবল বসে থাকে। ক্রমে ক্রমে তার চোখে জল এসে যায়। তার ঝাপসা দৃষ্টির সামনে দিয়ে একে একে সবাই চলে যেতে থাকে।
⬛ শূন্যস্থান পূরণ করো :
1. আজ দিন — --- ধরে বর্ষা নেমেছে।
উঃ। পনেরো।
2. - ----বয়সে নেপালের চেয়ে বড়ো।
উঃ। চুনি।
3. ------ তাল পাবেন, দেখে নেবেন আপনি।
উঃ। মিশকালো।
4. পুবদিকের ----- জানলার কপাট ।
উঃ। দড়িবাঁধা।
5.------ নুয়ে পড়েছে বাদলা হাওয়ায়।
উঃ। বাঁশঝাড়।
6.পুরোনো জ্বলে তত ------ নেই ওদের।
উঃ। আমোদ।
7. বড়ো ------ গাছটায় জোনাকির ঝাঁক জ্বলচে।
উঃ। বকুল।
8. ----- গুড়ের পায়েসের সুগন্ধ বাতাসে।
উঃ। খেজুর।
9. বাদলের সজল হাওয়ায় গা ------- করে।
উঃ। শিরশির।
10. সংসারের ------ দেখে গোপালের চোখে জল এসে পড়ল।
উঃ। অবিচার।
11. লাবণ্যদি হেসে হেসে বলছে, ----- আর নিবি ?
উঃ। তালপিটুলি।
⬛ সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে বাক্যটি আবার লেখো :
1. ক্ষুদিরাম ভট্ট্চাজ ছিল ( ছুতোর / কুমোর / পুরোহিত)।
উঃ। ক্ষুদিরাম ভট্চাজ ছিল পুরোহিত।
2.ক্ষুদিরামের ছেলে (দুটি / তিনটি / একটি)।
উঃ। ক্ষুদিরামের ছেলে দুটি।
3. তালনবমী ছিল (বুধবার / সোমবার / মঙ্গলবার)।
উঃ। তালনবমী ছিল মঙ্গলবার।
4. অন্ধকারে চলাফেরা করা ভালো নয়— (বর্ষাকালে / শীতকালে / শরৎকালে)।
উঃ। অন্ধকারে চলাফেরা করা ভালো নয় বর্ষাকালে।
5. সন্ধেবেলা দুই ভাই গিয়েছিল (তাল কুড়োতে / মাছ ধরতে / খেলতে)।
উঃ। সন্ধেবেলা দুই ভাই গিয়েছিল মাছ ধরতে।
6. দীনু ভট্চাযের ছেলের নাম (মানু/চুনি/কুড়োরাম)।
উঃ। দীনু ভট্ট্চাযের ছেলের নাম কুড়োরাম।
⬛ এলোমেলো শব্দগুলিকে সাজিয়ে অর্থপূর্ণ বাক্য তৈরি করো :
1.হাঁড়ি আজ ক্ষুদিরাম ভটচাজের বাড়ি দুদিন চড়েনি।
উঃ। ক্ষুদিরাম ভটচাজের বাড়ি আজ দুদিন হাঁড়ি চড়েনি।
2. পাবে পুরে দুবেলা খেতে পেট ছেলেপুলেরা।
উঃ। ছেলেপুলেরা দুবেলা পেটপুরে খেতে পাবে।
3. বাড়ি দরকার যদি কেনে ওদের তালের হবে তাল।
উঃ। ওদের বাড়ি তালের দরকার হবে, যদি তাল কেনে।
4. তাহলে নেমন্তন্ন দেখিস আমাদের করবে এখন।
উঃ। তাহলে আমাদের নেমন্তন্ন করবে, দেখিস এখন।
5. গোপাল ভাবলে কবে করে একবার তালনবমী জিগ্যেস।
উঃ। গোপাল একবার ভাবলে, তালনবমী কবে জিগ্যেস করে।
>6. না বোঝা আছে মেঘ করে তাই যাচ্ছে।
উঃ। মেঘ করে আছে তাই বোঝা যাচ্ছে না।
7. হল চাওয়াই কেবল কিন্তু তার পথ সার।
উঃ। কিন্তু তার কেবল পথ চাওয়াই সার হল।
⬛ অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর ঃ
১. 'তালনবমী' গল্পে কতদিন ধরে বর্ষা নামার কথা বলা হয়েছে?
উঃ। 'তালনবমী' গল্পে পনেরো দিন ধরে বিরামহীন বর্ষা নামার কথা বলা হয়েছে।
২. নেপাল ও গোপালের মধ্যে কার বয়স কত?
উঃ। নেপাল ও গোপালের মধ্যে নেপালের বয়স বারো আর গোপালের বয়স দশ বছর।
৩. নেপাল কোথা থেকে তাল কুড়িয়ে এনে গ্রামে বিক্রি করে ?
উঃ। নেপাল তালদিঘির ধার থেকে তাল কুড়িয়ে এনে গ্রামে বিক্রি করে।
৪. তারা দুই ভাই সন্ধেবেলা কী করতে গিয়েছিল?
উঃ। তারা দুই ভাই সন্ধেবেলা মাছ ধরতে গিয়েছিল।
৫. কাদের বাড়িতে তালনবমীতে লোকজন খাওয়ানো হবে?
উঃ। জটি পিসিমাদের বাড়িতে তালনবমীতে লোকজন খাওয়ানো হবে।
৬. তালনবমী ব্রতে কী খাবার তৈরি করা হয়?
উঃ । তালনবমীর ব্রতের দিন তালের বড়া তৈরি করা হয়।
৭. তালনবমীর ব্রত কী বার ছিল?
উঃ। তালনবমীর ব্রত মঙ্গলবার ছিল।
৮. 'তালনবমী' ছাড়াও বাঙালির আর কোন্ পার্বণে তালের তৈরি খাবার খাওয়ার প্রচলন রয়েছে?
উঃ। জন্মাষ্টমী পার্বণে তালের তৈরি খাবার খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।
৯. নেপাল জটি পিসিমাকে তালের কী দর দিয়েছিল?
উঃ। নেপাল জটি পিসিমাকে পয়সায় তিনটি করে তাল দেবে বলেছিল।
১০. গোপাল কেন তার দাদাকে তালের পয়সা নিতে বারণ করেছিল ?
উঃ। গোপালের আশা ছিল তালের পয়সা না নিলে তারা নিমন্ত্রণ পাবে।
১১. গোপাল কটা ভাল নিয়ে জটি পিসিমাকে দিয়ে এসেছিল?
উঃ গোপাল দুটি তাল নিয়ে জটি পিসিমাকে দিয়ে এসেছিল।
১২. তালদিঘির ধারে বর্ষাকালে কীসের ভয় আছে?
উঃ। তালদিঘির ধারে বর্ষাকালে সাপের ভয় আছে।
১৩. ভোরবেলা কে লাঙল কাঁধে মাঠে যাচ্ছিল ?
উঃ। ভোরবেলা উত্তরপাড়ার গনেশ কাওরা লাঙল কাঁধে মাঠে যাচ্ছিল।
১৪. জটি পিসিমার বড়ো মেয়ের নাম কী?
উঃ। জটি পিসিমার বড়ো মেয়ের নাম লাবণ্য।
১৫. ব্যাঙেরা আজকাল আর তেমন ভাবে ডাকে না কেন ?
উঃ। পুরোনো জলে ব্যাঙেরা তেমন আমোদ পায় না বলে ডাকে না।
১৬. কার উপর গোপাল হঠাৎ রেগে গিয়েছিল?
উঃ। কুড়োরামের উপর গোপাল হঠাৎ রেগে গিয়েছিল।
১৭. 'তালনবমী' গল্পে সানু ও পাঁচুর বাবার নাম লেখো।
উঃ। সানুর বাবার নাম রাখাল রায় আর পাঁচুর বাবা হলেন কালীবর বায়ুজ্যে।
১৮. গোপালের সজল দৃষ্টির সামনে কারা জটি পিসিমার বাড়ির দিকে চলে গেল?
উঃ। পাড়ার হারু জিতেন, দেবেন, গুটকে, তাদের বাপ কাকাদের সঙ্গে একে একে জটি পিসিমার বাড়ির দিকে চলে গেল।
⬛ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :
১. ক্ষুদিরাম ভট্টাচার্য কে? কীভাবে তার সংসার চলে?
উঃ। ক্ষুদিরাম ভট্টাচার্য সামান্য আয়ের গৃহস্থ। জমিজমার সামান্য কিছু আয় এবং দুচার ঘর শিষ্য-যজমানের বাড়ি ঘুরে। অতিকষ্টে তার সংসার চলে। এই পনেরো দিন ধরে চলা ভীষণ বর্ষায় তার ঘরে দুদিন হাঁড়ি চড়েনি।
২. ‘মাছ ধরতে'—কারা কখন মাছ ধরতে গিয়েছিল? কী কী মাছ তারা ধরেছিল?
উঃ। নেপাল ও গোপাল সন্ধেবেলা মাছ ধরতে গিয়েছিল। দুটো গুটি আর একটা ছোটো বেলে মাছ তারা ধরেছিল।
৩. নেপাল জুটি পিসিমার বাড়ি গিয়েছিল কেন?
উঃ। নেপাল যখন শুনল জটি পিসিমার বাড়িতে তালনবমীর ব্রত হবে তখন সে জানতে গেল পিসিমার তালের প্রয়োজন কিনা এবং তিনি তাল কিনবেন কিনা। কারণ এ গ্রামে তালগাছ নেই। মাঠের তালদিঘির ধার থেকে তাল কুড়িয়ে এনে নেপাল গ্রামে বিক্রি করে।
৪. জটি পিসিমা কেমন তাল চেয়েছিলেন? নেপাল কত দাম বলেছিল?
উঃ। জটি পিসিমা কালো হেঁড়ে তাল চেয়েছিলেন। নেপাল এক পয়সায় দুটো তাল বেচত। কিন্তু পিসিমাকে সে এক পয়সায় তিনটি তাল দিতে চেয়েছিল।
৫. 'তোমার জন্য তাল এনিচি পিসিমা – কে কোথা থেকে কীভাবে তাল এনেছিল?
উঃ। খুব ভোরবেলা বাড়ির সবাই যখন ঘুমিয়ে তখন গোপাল গ্রামের পাশে তালদিঘির ধারে গিয়ে তালের বনে ঢুকে তাল খুঁজতে লাগল। সে দেখল একটি মাত্র কুচকুচে কালো তাল জলের ধারে পড়ে আছে। সেটা কুড়িয়ে নিয়ে আসার সময় আরও তিনটি তাল সে দেখতে পেল। কিন্তু সে ছোটো, তাই বয়ে আনার সাধ্য না থাকায় সে দুটি মাত্র তাল নিয়ে জটি পিসিমার বাড়ি পৌঁছে দিয়েছিল।
৬. ওরা দুই ভাই সংসারের উপর বিরক্ত হয়ে উঠেছে ওরা দুই ভাই কারা ? সংসারের ওপর তারা বিরক্ত কেন?
উঃ। তাদের বাবার ক্ষুদিরাম ভট্টাচার্য দরিদ্র গৃহস্থ ভীষণ বর্ষায় তাদের ঘরে যজমান বাড়ি থেকে পাওয়া সামান্য ধান ফুরিয়ে গেছে। দুদিন তাদের বাড়িতে হাঁড়ি চড়েনি। কদিন ধরে পেট ভরে খেতে না পেয়ে ওরা দুই ভাই সংসারের উপর বিরক্ত হয়ে উঠেছে।
৭. ঘুমের মধ্যে ওসব কী হিজিবিজি স্বপ্ন সে দেখছিল? – কে স্বপ্ন দেখছিল? তার স্বপ্নে দেখা গল্পটি নিজের ভাষায় লেখো।
উঃ। ‘তালনবমী' গল্পে ক্ষুদিরাম ভট্টাচার্যের ছেলে গোপাল স্বপ্ন দেখছিল। গোপাল স্বপ্নে দেখে ছিল জটি পিসিমা তাকে আদর করে কাঁকুড়ের ডালনা, মুগের ডাল খাওয়াচ্ছেন। জটি পিসিমার মেয়ে লাবণ্যদি থালায় করে তিলপিটুলি ভাজা এনে খোকা কখানা নিবি তিলপিটুলি বলে তার পাতে থালা উপুড় করে ঢেলে দিচ্ছে। তারপর জটি পিসিমা পায়েস আর তালের বড়া দিলেন এবং বললেন তোর দেওয়া তালেই পায়েস হল। বাতাসে খেজুর গুড়ের পায়েস আর তরকারির চমৎকার সুগন্ধ ভাসছে। গোপাল খুশি মনে বসে বসে শুধু খেয়েই যাচ্ছে।
৮. ঘন বর্ষার দুপুরে গোপাল কী দেখল?
উঃ। ঘন বর্ষার দুপুরে গোপাল দেখল নারকেল গাছের মাথা থেকে পাতা বেয়ে জল ঝরে পড়ছে, বাদলার হাওয়ায় বাঁশঝাড় নুয়ে পড়ছে আর বকুলতলার ডোবায় কটকটে ব্যাঙের দল ডাকছে।
৯. তালনবমীর সকালে গোপাল সারাদিন কী করল ?
উঃ। তালনবমীর সকালে গোপাল ঘুম থেকে উঠে দরজার সামনে একটা কাঠের গুঁড়ির ওপর ঠায় বসে রইল। ঘন মেঘাচ্ছন্ন বর্ষার দিনে কতটা বেলা হয়েছে তা সে বুঝতে পারল না। বাদলের সজল হাওয়ায় তার গা শিরশির করতে লাগল। সে আশায় বসে রইল কিন্তু জটি পিসিমাদের বাড়ি থেকে নিমন্ত্রণ আর এল না।
১০. গোপালের চোখে কেন জল এসে পড়ল ?
উঃ। এত আশা এত পরিশ্রম করেও তালনবমীর নিমন্ত্রণ গোপাল পেল না আর গ্রামের প্রায় সবাই পেল। এই দেখে অভিমানে ও সংসারের অবিচারের কথা ভেবেই গোপালের চোখে জল এসে গেল।
⬛ নির্দেশ অনুসারে উত্তর দাও :
১. এই গল্পটা কোন্ ঋতুর তা বোঝার অনেকগুলো সূত্র গল্পটার মধ্যে ছড়ানো আছে। আছে মাসের নাম, ব্রতের নাম ইত্যাদি। এছাড়া কোন্ কোন্ সূত্র তুমি নিজে খুঁজে পাও লেখো।
উঃ। আউশ ধান। পাকা তাল। বর্ষাকাল। পুরোনো জল।
২. এ গল্পে দাদা একসময় ছোটো ভাইকে বলেছে 'একটা বোকা'। তোমার কি সত্যি মনে হচ্ছে ভাইটা বোকামিই করেছে? ছোটোভাই যার নাম গোপাল, সে যদি তোমার বন্ধু হত তবে তুমি তাকে কী করতে বলতে ?
উঃ। হ্যাঁ। গোপাল বোকামিই করেছে। সে যদি আমার বন্ধু হত তবে আমি তাকে তালের পরিবর্তে পয়সা নিতে বলতাম।
৩. কী ধরনের বৃষ্টি তোমার পছন্দ এবং কেন তা বুঝিয়ে লেখো।
উঃ। আমার ঝমঝমে বৃষ্টি পছন্দ। এই ধরনের বৃষ্টিতে আমার ভিজতে ভালো লাগে। এই ধরনের বৃষ্টি দীর্ঘস্থায়ী হয় না।
4. 'পথের পাঁচালী' বইটির লেখক কে?
উঃ। ‘পথের পাঁচালী' বইটির লেখক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
5. তাঁর লেখা ছোটোদের দুটি বইয়ের নাম লেখো।
উঃ। তাঁর লেখা দুটি ছোটোদের বইয়ের নাম হল 'চাঁদের পাহাড়' ও 'হীরা-মাণিক জ্বলে'।
6. কত সালে তাঁকে রবীন্দ্র পুরস্কার প্রদান করা হয়?
উঃ। ১৯৫১ সালে তাঁর মৃত্যুর পরে তাঁকে ‘রবীন্দ্র পুরস্কার' দেওয়া হয়।
7. ভরা বর্ষায় ক্ষুদিরাম ভট্চাজের দিন কীভাবে কাটে?
উঃ। ক্ষুদিরাম ভট্টাচার্য গরিব গৃহস্থ, কষ্ট করে সংসার চলে। ভরা বর্ষায় যজমানের বাড়ি থেকে যে কটা ধান এসেছিল তাও ফুরিয়ে যাওয়ায় দুদিন ধরে অনাহারে তাদের দিন কাটছে।
8. চুনির মা জটি পিসিমার বাড়ি গিয়েছিল কেন?
উঃ। চুনির মা জটি পিসিমার বাড়ি ডাল ভাঙতে গিয়েছিল।
9. জটি পিসিমার বাড়িতে কী বারে, কেন তালের প্রয়োজন হয়েছিল?
উঃ। জটি পিসিমার বাড়িতে মঙ্গলবারে তালনবমী ব্রত থাকায় তালের প্রয়োজন হয়েছিল।
10. কে, কীভাবে জটি পিসিমাকে তাল জোগাড় করে এনে দিয়েছিল ?
উঃ। ক্ষুদিরাম ভট্টাচার্যের ছেলে গোপাল বর্ষার ভোরে দিঘির ধারে তালপুকুরের তালের বন থেকে তাল কুড়িয়ে এনে জটি পিসিমাকে দিয়েছিল।
11. জটি পিসিমার ভালো নামটি কী?
উঃ। জটি পিসিমার ভালো নাম হরিমতী।
12. বর্ষারাতে গোপালের দেখা স্বপ্ন কী ভাবে মিথ্যা হয়ে গেল, তা গল্প অনুসরণে লেখো।
উঃ। তালনবমীর দিন সকাল থেকে গোপাল দরজার সামনে কাঠের গুড়ির উপর ঠায় বসে রইল। তার সামনে দিয়ে গ্রামের সবাই নিমন্ত্রণ খেতে গেল। গোপাল বসেই রইল, কিন্তু জটি পিসিমার বাড়ি থেকে কোনো নিমন্ত্রণ এল না। এই ভাবে বর্ষার রাতে গোপালের দেখা স্বপ্ন মিথ্যা হয়ে গেল।
No comments:
Post a Comment