অধ্যায় মানবদেহ
প্রশ্ন উত্তর
দ্বিতীয় অধ্যায় ভৌত পরিবেশ - মাটি, জল, জীববৈচিত্র্য প্রশ্ন উত্তর পড়তে নিচের লিঙ্ক এ ক্লিক করো👇
👉 ( ভৌত পরিবেশ )
❐ আতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর :
1. চামড়া বা ত্বক কী ?
উ: দেহ বা শরীরের বাইরের আবরণকে চামড়া বা ত্বক বলে ।
2. চামড়ার বেশি ব্যবহারে পরিবেশের কী ক্ষতি হয় ?
উ: পরিবেশদূষণ ( জল ও বায়ু ) হয় ।
3.চামড়া বা ত্বকের প্রধান কাজ কী ?
উ: দেহকে বাইরের আঘাত থেকে রক্ষা করা এবং সুরক্ষা দেওয়া ।
4. চামড়ার ভিতরের দিকে থাকা নলাকার রক্তবাহ গুলিকে কী বলে ?
উ: ধর্মনি ।
5. সূর্যের কোন্ অদৃশ্য রশ্মি আমাদের ত্বকের ক্ষতি করে ?
উ: অতিবেগুনি রশ্মি ।
6. গন্ডারের চামড়া দিয়ে পূর্বে কী কী বানানো হত ?
উ: বর্ম বা যুদ্ধের পোশাক ও ঢাল ।
7. ত্বকের ক - টি স্তর রয়েছে ?
উ: ত্বকের দুটি স্তর রয়েছে , ওপরের রক্তবিহীন স্তর ও নীচের রক্তবাহযুক্ত স্তর ।
৪. বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের চামড়ার কী পরিবর্তন হয় ?
উ: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীর বাড়লে চামড়াও বাড়ে ।
9. কীসের জন্য চামড়ার রং কালো হয় ?
উ: মেলানিন রঞ্জকের জন্য ।
10.সূর্যালোকের প্রভাবে দেহে কী কী তৈরি হয় ?
উ: মেলানিন ও ভিটামিন- D।
11. অনেক সময় বয়সকালে কালো চামড়ার অনেক জায়গায় সাদা হয়ে যায় কেন ?
উ: অপুষ্টি বা অসুখের কারণে শরীরের ওইসব জায়গায় মেলানিন তৈরি না - হওয়ায় সেই জায়গাগুলি সাদা হয়ে যায় ।
12. ঘামে কী কী থাকে ?
উ: ঘামে নুন ও শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর কিছু বর্জ্য পদার্থ থাকে ।
13. সাপের চামড়া বা ত্বক কী দিয়ে ঢাকা থাকে?
উ: সাপের চামড়া বা ত্বক আঁশ দিয়ে ঢাকা থাকে ।
14. লোমের মতো কিছু ছোটো ছোটো পালক কাদের দেখা যায় ?
উ: মুরগি , হাঁস ও অন্যান্য পাখিদের গায়ে লোমের মতো কিছু ছোটো ছোটো পালক দেখা যায় ।
15. বয়স বাড়লে চুল সাদা হয়ে যায় কেন ?
উ: বয়স বাড়লে মেলানিন তৈরি কমে যায় , তাই চুল সাদা হয়ে যায় ।
16. গন্ডারের খড়্গ আসলে কী ?
উ: গন্ডারের খড়্গ আসলে জমাটবাঁধা চুল ।
17. নতুন নখ গজাতে কত সময় লাগতে পারে ?
উ: নতুন নখ গজাতে দু - মাস সময় লাগতে পারে ।
18. বিড়ালের নখগুলি এমনিতে দেখা যায় না কেন ?
উ: বিড়ালের নখগুলি থাবার মধ্যে লুকোনো থাকে বলে দেখা যায় না ।
19. চারটি পাখির নাম লেখো যাদের ধারালো নখ আছে ।
উ: প্যাঁচা , ইগল , মাছরাঙা , চিল ।
20. ত্বক - চুল - নখের যত্ন কীভাবে নিতে হয় ?
উ: সাবান ও জল দিয়ে পরিষ্কার করে , তেল ও ক্রিম লাগিয়ে ত্বক - চুল - নখের যত্ন নিতে হয় ।
21. পশুপাখির ধারালো নখকে কী বলে ?
উ: পশুপাখির ধারালো নখকে নখর বলে ।
22.মেরুদণ্ড কী দিয়ে গঠিত ?
উ: মেরুদণ্ড কশেরুকা দিয়ে গঠিত ।
23.হাড়গুলি অস্থিসন্ধিতে কী দিয়ে লাগানো থাকে ?
উ: হাড়গুলি অস্থিসন্ধিতে লিগামেন্ট দিয়ে লাগানো থাকে ।
24. অস্থিসন্ধির তরল কমে গেলে কী হয় ?
উ: অস্থিসন্ধির তরল কমে গেলে হাড়ে হাড়ে ঘষা লাগে ও নড়াচড়া করতে অসুবিধা হয় ।
25. পায়ের একটি হাড়ের নাম লেখো ।
উ: টিবিয়া ।
26. কাজ করায় হাড়কে সাহায্য করে কে ?
উ: পেশি ।
27. কোন্ প্রাণীর মুখের পেশির জোর খুব বেশি ?
উ: বাঘের ।
28. হৃৎপিণ্ডের প্রধান কাজ কী ?
উ: অনবরত পাম্প করে সারা শরীরে রক্ত ছড়িয়ে দেওয়া ।
29. রক্তের মাধ্যমে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এমন দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদার্থের নাম লেখো ।
উ: অক্সিজেন ও পুষ্টি পদার্থ ।
30. প্রথম তৈরি হওয়া মজবুত স্টেথোস্কোপ কীসের সিমোন তৈরি ছিল ?
উ: কাঠের ।
31. হাঁচির সঙ্গে কোন্ জীবাণু বাতাসে ছড়িয়ে যেতে পারে ?
উ: হাঁচির সঙ্গে ইনফ্লুয়েঞ্জার জীবাণু বাতাসে ছড়িয়ে যেতে পারে ।
32. জীবাণু কাকে বলে ?
উ: জলে , স্থলে , বাতাসে , প্রায় সব জায়গায় অবস্থান কারী অতি ছোটো বা আণুবীক্ষণিক জীবদের জীবাণু বলে ।
33. , বংশগত রোগ নয় এমন দুটি রোগের নাম লেখো ।
উ: যক্ষ্মা ও কলেরা ।
34. যক্ষ্মা রোগের জীবাণু কোথায় থাকে ?
উ: যক্ষ্মা রোগের জীবাণু বাতাসে , রোগাক্রান্ত ব্যক্তির থুতুতে থাকে ।
35. DOTS- এর পুরো অর্থটি লেখো ।
উ: ডাইরেক্টলিঅবসার্ভড ট্রিটমেন্ট শর্ট কোর্স । ( Directly Observed Treatment Short Course ) |
36. কী করলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা আরও জোরদার হয় ?
উ: টিকা নিলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা আরও জোরদার হয় ।
37. ORS কখন খাওয়া উচিত ?
উ: কলেরা বা ডায়ারিয়া রোগে বারে বারে পাতলা পায়খানা ও বমি হলে ORS খাওয়া উচিত ।
38. ORS- এর পুরো কথা কী ?
উ: ORS- এর পুরো কথাটি হল ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন ( Oral Rehydration Solution ) ।
বাংলা প্রশ্ন উত্তর পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করো
👉 ( পাহাড়িয়া বর্ষার সুরে প্রশ্ন উত্তর )
❐ দু - তিনটি বাক্যে উত্তর দাও :
1. চামড়াকে শরীরের বর্ম বলা হয় কেন ?
উ: চামড়ার ব্যবহার কমানোর কারণ : অত্যধিক চামড়ার ব্যবহারে পশুপাখি যথেষ্ট মারা পড়ে , তাদের সংখ্যা কমে যায় । চামড়ার , বেশি ব্যবহারে পরিবেশ দূষিত হয় , জল ও বায়ুদূষণ ঘটে । চামড়ার কারখানা থেকে বাতাসে দুর্গন্ধ ছড়ায় , তাই আস্তে আস্তে চামড়ার ব্যবহার কমানো হচ্ছে ।
2. শরীরের কোনো অংশে আঘাত লাগলে বা পুড়ে গেলে কী করা উচিত ?
উ: পড়ে ছড়ে গেলে বা আঘাত লাগলে সেখানে ঠান্ডা জল বা বরফ দিতে হবে । পুড়ে গেলে ওই স্থান ঠান্ডা জলে কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখলে জ্বালাভাব কমে যায় । চামড়ার নীচের স্তর গরম হয়ে বাড়তে না - পারলে , জলীয় তরল বেরোবে না , ফোসকাও পড়বে না । বেশি পুড়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ডাক্তারের পরামর্শমতো চিকিৎসা করতে হবে ।
3. বয়সকালে চামড়া কুঁচকে যায় কেন ?
উ: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীর বাড়লে চামড়াও বাড়ে , বৃদ্ধ বয়সে শরীর না - বেড়ে ছোটো হতে শুরু করে । শরীর ছোটো হলেও আগেকার বেড়ে - যাওয়া চামড়া আর কমে না , তখনই চামড়া কুঁচকে যায় ।
4. শরীরের অনেক জায়গায় চামড়া একদম সাদা হয়ে যায় কেন ? ত্বকে উৎপন্ন ভিটামিন- D শিশুদের কোন্ রোগ প্রতিরোধ করে ?
উ: প্রোটিনের অভাবে ত্বকে মেলানিন রঞ্জক তৈরি হয় না । অনেকসময় অপুষ্টি ও অসুখের ফলে মেলানিন তৈরি না - হলে , শরীরের ওই জায়গার চামড়া সাদা হয় । ত্বকে উৎপন্ন ভিটামিন- D শিশুদের রিকেট রোগ প্রতিরোধ করে ।
5. অতিরিক্ত ঘাম হলে কী খাওয়া ভালো এবং কেন ?
উ: অতিরিক্ত ঘাম হলে নুনজল খাওয়া ভালো , কারণ গরমের প্রভাবে অতিরিক্ত ঘাম শরীর থেকে বেরিয়ে ডি গেলে তার সঙ্গে জল ও নুন বেরিয়ে যায় । বেশি নুন বেরিয়ে গেলে মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হওয়ার ঘটনাও ঘটতে পারে , সেজন্য নুনজল খাওয়া উচিত ।
6. লোম , চুল , পালক চামড়ার কোন স্তর থেকে বের হয় ? এদের প্রধান কাজ কী ?
উ: লোম , চুল , পালক চামড়ার ভিতরের স্তর থেকে বের হয় । এদের প্রধান কাজ চামড়াকে প্রথম ধাক্কা বা আঘাত থেকে বাঁচানো ।
7. নখের কাজ দু - চার কথায় লেখো ।
উ: নখের কাজ :
i.নখ আঙুলের ডগার নরম অংশকে রক্ষা করে ।
ii.নখ শিকার ধরতে ও আত্মরক্ষায় সাহায্য করে ।
iii. নখের সাহায্যে আমরা ছোটো ছোটো জিনিস সহজে ধরতে পারি বা মাটি থেকে খুঁটে তুলতে পারি ।
8. নখ দেখে রক্তাল্পতা হয়েছে কিনা কীভাবে বোঝা যাবে ?
উ: নখ দেখে যদি মনে হয় নখ ফ্যাকাশে হয়ে গেছে ও ফেটে ফেটে গেছে , © নখের মাঝখানটা চামচের মতো বেঁকে গেলে রক্তাল্পতা হয়েছে বোঝা যাবে ।
9. শিকারি পাখিদের নখ কেমন হয় ? এটি তাদের কীভাবে সাহায্য করে ?
উ: শিকারি পাখিদের ( যেমন— প্যাঁচা , ইগল , চিল ইত্যাদি ) নখ শক্ত , ছুঁচোলো এবং বাঁকানো হয় । বেশিরভাগ পাখির নখ তাদের শিকার ধরতে এবং ওড়ার সময় নানান জিনিস ধরে নিয়ে যেতে সাহায্য করে ।
10. শিশুর দেহে হাড়ের সংখ্যা বেশি কিন্তু বড়োদের দেহে হাড়ের সংখ্যা কম হয় কেন ?
উ: জন্মের সময় শিশুর দেহে হাড়ের সংখ্যা 270 টিরও বেশি ( 305 টি ) হয় , কিন্তু শিশুর বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অনেক হাড় একে অপরের সঙ্গে জুড়ে যায় । এর ফলে বড়োদের দেহে হাড়ের সংখ্যা কমে যায় ( 206 টি ) ।
11. মানুষের কঙ্কালে কোন্ কোন্ হাড় থাকে ? অথবা , কোন কোন অংশের হাড় নিয়ে মানুষের কঙ্কাল গঠিত হয় ?
উ: মানুষের কঙ্কালে মাথার হাড় বা করোটি , মেরুদণ্ডের হাড় — ভার্টিব্রা , পাঁজরের হাড় , কাঁধের হাড় , উরঃফলক , শ্রোণিচক্রের হাড় এবং দু - হাত ও দু পায়ের হাড় থাকে ।
12. অস্থিসন্ধির কাজ কী ? এতে অবস্থিত তরল কোন কাজে সাহায্য করে ?
উ: অস্থিসন্ধির কাজ : অস্থিগুলিকে নমনীয় করে দেহ সঞ্চালনে ও চলন - গমনে সাহায্য করা । হাত মুঠো করতে ; মাথা - ঘাড় ঘোরাতে ; হাত - পা ভাঁজ করতে অস্থিসন্ধি আমাদের সাহায্য করে । এতে অবস্থিত সাইনোভিয়াল তরল হাড়ে হাড়ে ঘষা লাগা থেকে এবং নড়াচড়া করতে সাহায্য করে ।
13. পেশি কী ?
উ: বিভিন্ন প্রোটিনতন্ত্র ও কোশ দিয়ে গঠিত যে সংকোচনশীল কলা সমান্তরালে থেকে প্রাণীদের চলন - গমন ও বিভিন্ন অঙ্গের কাজে সাহায্য করে , তাকে পেশি বলে ।
14. পেশি কত প্রকার ও কী কী ?
উ: পেশি তিনপ্রকার হয় অস্থিপেশি বা কঙ্কাল পেশি বা ঐচ্ছিক পেশি ; ® অনৈচ্ছিক বা অরেখ পেশি এবং © হৃদ্পেশি ।
15. মানবদেহে পেশির কাজগুলি লেখো ।
উ: মানবদেহে পেশির কাজ : কঙ্কালপেশি বা অস্থিপেশি হাড়ের সঙ্গে যুক্ত থেকে অন্তঃকঙ্কাল গঠনে সাহায্য করে ; চলাফেরা , ভার তোলা , দৌড়োনো , শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়া , খেলাধুলা , লেখার কাজ ছাড়াও আরও নানান কাজে পেশি আমাদের সাহায্য করে । হৃদপেশি , হৃৎপিণ্ডের সংকোচন প্রসারণে সাহায্য করে ।
16. ধমনি কী ?
উ: ধমনি হল দেহের ভিতরের দিকে থাকা রক্তবাহ যারা হৃৎপিণ্ড থেকে বের হয়ে বিশুদ্ধ বা অক্সিজেনযুক্ত রক্ত দেহের সবদিকে ছড়িয়ে দেয় ।
17.শিরা কী ?
উ: দেহের ভিতরের দিকে থাকা কালচে রঙের যেসব রক্তবাহগুলি দূষিত রক্তকে দেহের নানান স্থান থেকে হৃৎপিণ্ডে ফিরিয়ে নিয়ে আসে , তাদের শিরা বলে ।
18. স্টেথোস্কোপ কী ? স্টেথোস্কোপ কী কী অংশ নিয়ে গঠিত ?
উ: যে - যন্ত্রের সাহায্যে হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন শোনা যায় , হৃৎস্পন্দনের হার ও রক্তচাপ সম্বন্ধে ধারণা করা যায় , তাকে স্টেথোস্কোপ বলে ।
19. প্রথম তৈরি হওয়া কাগজের স্টেথোস্কোপের কী অসুবিধা ছিল ?
উ: প্রথম তৈরি হওয়া কাগজের নল দিয়ে বানানো স্টেথোস্কোপ দিয়ে বুকের ভিতরের হৃৎপিণ্ডের ধুকপুক শব্দ ভালোভাবে শোনা যেত না । কাগজের নল খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যেত ।
20 বায়ুবাহিত কয়েকটি রোগের নাম লেখো ।
উ: বায়ুবাহিত কয়েকটি রোগ হল — অ্যানথ্রাক্স , চিকেন পক্স , ইনফ্লুয়েঞ্জা , মিজল্স , স্মল পক্স , যক্ষ্মা ইত্যাদি ।
21. টিকা দেওয়ার উদ্দেশ্য কী ?
উ:এটি একটি ফানেলাকার বক্ষাংশ ও রবারের নল বা টিউব ও তারসঙ্গে কানে লাগানো দুটি শাখা নিয়ে গঠিত । ডিত্তর টিকাদানের মাধ্যমে দেহে অ্যান্টিবডি উৎপন্ন হয় , যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে । টিকাদানের মাধ্যমে দেহে কৃত্রিম সক্রিয় অনাক্রম্যতা ( রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ) গড়ে ওঠে ।
22 . জলবাহিত কয়েকটি রোগের নাম লেখো ।
উ: কলেরা , ডায়ারিয়া , টাইফয়েড , আমাশয় ইত্যাদি হল কয়েকটি জলবাহিত রোগ ।
❐ পাঁচ - ছ'টি বাক্যে উত্তর দাও :
1. চামড়া বা ত্বকের গুরুত্ব লেখো । অথবা , ত্বকের বিভিন্ন রকম কাজের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও ।
উ: চামড়া বা ত্বকের গুরুত্ব , চামড়া বা ত্বক দেহের বর্মরূপে আমাদের নানারকম বাহ্যিক আঘাত থেকে রক্ষা করে । দেহের ভিতরে থাকা মাংসপেশি , নার্ভ ও অন্যান্য অঙ্গগুলিকে রক্ষা করে । ত্বকে তৈরি হওয়া মেলানিন সূর্যের অদৃশ্য অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব থেকে রক্ষা করে ত্বকের ক্যানসার প্রতিরোধ করে । ত্বক রোগজীবাণুর সংক্রমণ থেকে দেহকে রক্ষা করে , রোগজীবাণুকে দেহের ভিতরে প্রবেশ করতে বাধা দেয় । ← ত্বক আমাদের বিভিন্ন অনুভূতি গ্রহণে সাহায্য করে । ত্বকের ঘর্মগ্রন্থি থেকে নিঃসৃত ঘামের মাধ্যমে শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর বর্জ্য পদার্থ বেরিয়ে যায় এবং দেহ শীতল হয় ।
2. যক্ষ্মা রোগের লক্ষণগুলি সংক্ষেপে আলোচনা করো । অথবা , কীভাবে বোঝা যায় যক্ষ্মা হয়েছে ?
উ: যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হলে প্রথমদিকে বিকেলে জ্বর হয় । রাতে শ্বাসকষ্ট হয় এবং প্রচুর ঘাম দেয় । খাবারে অরুচি ও বুকে ব্যথা হয় । সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর টানা কফ উঠতে থাকে । অসুখ বাড়লে কাশির সঙ্গে কাঁচা রক্ত ওঠে আর দেহের ওজন ক্রমশ কমতে থাকে ।
3. ( ORS ( ও আর এস ) কী কাজে লাগে ? কীভাবে এটি তৈরি করা যায়- ছবি ও লেখাসহ একটি পোস্টার তৈরি করো ।
উ: ORS- এর প্রয়োজনীয়তা : কলেরা ও ডায়ারিয়া আক্রান্ত রোগীর দেহ থেকে প্রচুর পরিমাণে লবণ ও জল বেরিয়ে দেহ জলশূন্য হয়ে যাওয়ায় এই ঘাটতি মেটাতে জলের সঙ্গে নুন ও চিনি মিশিয়ে ORS দ্রবণ তৈরি করে রোগীকে খাওয়ানো দরকার । ORS প্রস্তুত পদ্ধতি : পরিষ্কার পাত্রে এক গ্লাস জল নিয়ে কুড়ি মিনিট ফুটিয়ে ঠান্ডা করা হল । এরপর তাতে এক চামচ চিনি ও এক চিমটে নুন ( সোডিয়াম ক্লোরাইড ) মিশিয়ে দেওয়া হল । স্বাদ আনার জন্য এই মিশ্রণে সামান্য খাবার সোডা বা লেবুর রস মেশানো যেতে পারে ।
No comments:
Post a Comment