ভৌত পরিবেশ
মাটি , জল, জীববৈচিত্র্য
প্রশ্ন উত্তর
❐ আতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর:
1. ভূপৃষ্ঠের কোন উপাদান থেকে গাছপালা খাদ্য সংগ্রহ করে ?
উ: মাটি থেকে ।
2. মাটির কণার মধ্যে পরিবেশের আর কোন উপাদান মিশে থাকে ?
উ: বায়ু ও জল ।
3. কোন্ মাটি শুকিয়ে গুঁড়ো করলে ময়দার মতো হয়ে যায় ?
উ: এঁটেল মাটি ।
4. বেলে মাটিতে কোন্ কণার পরিমাণ বেশি ?
উ: বালিকণা ।
5. কোন্ মাটিতে বালি ও কাদা প্রায় সমান পরিমাণে থাকে ?
উ: দোআঁশ মাটিতে ।
6. লেন্স কী কাজে লাগে ?
উ: ছোটো জিনিসকে বড়ো করে দেখার কাজে লাগে ।
7. কোন্ মাটি বেশি জল শোষণ করে কিন্তু জল ধরে রাখতে পারে না ?
উ: বেলেমাটি ।
৪. মাটির দুটি স্বাভাবিক উপাদানের নাম লেখো ।
উ: মাটির দুটি স্বাভাবিক উপাদান হল — বালি ও কাদা ।
9. মাটির মৃত জৈব উপাদানকে ভাঙতে সাহায্য করে কারা ?
উ: মাটিতে থাকা ছোটো ছোটো জীব ও জীবাণুরা ।
10. কী প্রয়োগ করলে মাটি উর্বর হয় ?
উ: জৈবসার প্রয়োগ করলে
11. দুটি জৈবসারের উদাহরণ দাও ।
উ: হাড়গুঁড়ো ও কম্পোস্ট সার ।
12. দুটি রাসায়নিক সারের নাম লেখো ।
উ: সুপার ফসফেট ও ইউরিয়া ।
13. কোন্ ধরনের সার দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে মাটির উর্বরতা কমে যায় ?
উ: রাসায়নিক সার ।
14. সারের মধ্যে থাকা কোন তিনটি উপাদান গাছের পক্ষে সবথেকে প্রয়োজনীয় ?
উ: নাইট্রোজেন , ফসফরাস ও পটাশিয়াম ।
15. পাহাড়ে কোন সময় শাকসবজি চাষ হয় ?
উ: মে - জুন মাসে ।
16. পাথর কীভাবে ফেটে গুঁড়ো হয় ?
উ: ভূমিকম্পে , সূর্যের তাপে , প্রবল বৃষ্টিপাতে পাথর ফেটে গুঁড়ো হয় ।
17. ধান ও শাকসবজি চাষে কতটা মাটি লাগে ?
উ: ধান ও শাকসবজি চাষে এক - দেড় ফুট গভীর মাটি লাগে ।
18. কোন ধরনের গাছ মাটি তৈরিতে সাহায্য করে ?
উ: মস ও ফার্ন ।
19. ভূমিক্ষয় কাকে বলে ?
উ: প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে বা নানান ভৌত উপায়ে এবং মানুষের নানান কাজের ফলে মাটির স্থানচ্যুত হওয়ার ঘটনাকে ভূমিক্ষয় বলে ।
20. ধস কী ?
উ: পাহাড়ি অঞ্চলে বা পুকুর , নদীর পাড়ে বা রাস্তায় নানা কারণে মাটির খসে পড়া বা পাথর সহ মাটি খসে পড়ার ঘটনাকে ধস বলে ।
21. পাহাড়ে ধস নামার দুটি কারণ উল্লেখ করো ।
উ: ভূমিকম্প ও বৃষ্টিপাত ।
22. ভূমিক্ষয় রোধের একটি সহজ উপায় উল্লেখ করো ।
উ: ভূমিক্ষয় রোধের একটি সহজ উপায় গাছ লাগানো বা বৃক্ষরোপণ করা ।
23. ভূমিক্ষয় ঘটায় এমন দুটি পদার্থের নাম লেখো ।
উ: পলিথিন , প্লাস্টিক ।
24. কয়েক ধরনের জলাশয়ের নাম লেখো ।
উ: কয়েক ধরনের জলাশয়গুলি হল — ডোবা , পুকুর , খাল , বিল , ঝিল , ঝোরা , ভেড়ি , বাঁওড় , নয়ানজুলি , হ্রদ প্রভৃতি ।
25. বাঁওড় কী ?
উ: নদী বাঁকের খানিকটা অংশ বা জায়গা মূল নদী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বদ্ধ জলাশয়ে পরিণত হলে , তাকে বাঁওড় বলে ।
26. পাহাড়ি অঞ্চলে জলস্রোতকে কী বলে ?
উ: ঝরনা ।
27. পাহাড়ি অঞ্চলের ছোটো ছোটো ঝরনাগুলিকে কী বলে ?
উ: ঝোরা ।
28. রাস্তার ধারে থাকা লম্বা জলাশয়গুলিকে কী বলে ?
উ: নয়ানজুলি ।
29. কোন্ পাখি ঠোঁটে করে জল থেকে মাছ ধরে , আর কোন্ পাখি জল ছুঁয়ে নখে করে মাছ নিয়ে উড়ে যায় ?
উ: মাছরাঙা ঠোঁটে করে জল থেকে মাছ ধরে আর চিল জল ছুঁয়ে নখে করে মাছ নিয়ে উড়ে যায় ।
30. শহরে পানীয় জলের প্রধান উৎস কী ?
উ: শহরে পানীয় জলের প্রধান উৎস হল জলাধার ( ট্যাংক ) থেকে পাইপের মাধ্যমে সরবরাহ করা জল ।
31. জলের কল অযথা খুলে রাখা ঠিক নয় কেন ?
উ: জলের কল অযথা খুলে রাখলে জলের অপচয় করা হবে ।
32. স্রোতযুক্ত জলাশয়ের দু - একটি উদাহরণ দাও ।
উ: নদী , নালা , ঝরনা ইত্যাদি ।
33. স্রোতবিহীন জলাশয় বা স্থিরজলের উদাহরণ লেখো ।
উ: পুকুর , ডোবা , বিল ইত্যাদি ।
34. জলাশয় কীভাবে সৃষ্টি হয় ?
উ: বৃষ্টির জল নীচু জায়গাগুলিতে জমা হলে জলাশয় সৃষ্টি হয় ।
35. নয়ানজুলিতে স্রোেত কোন্ সময় দেখা যায় ?
উ: বর্ষাকালে ।
36. ড্রেনের নোংরা জল পুকুরে জমলেও পুকুরের জল তত নোংরা হয় না কেন ?
উ: পুকুরের জলে বাতাসের অক্সিজেন মিশে থাকে । এই অক্সিজেন , জলে থাকা নোংরার সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে সেগুলি ভেঙে দেয় । আর মাছ ও অন্যান্য জলজ জীব নোংরা কিছুটা খেয়েও নেয় , ফলে পুকুরের জল তত নোংরা হয় না ।
37. পুকুরের নোংরা জল পরিষ্কারের একটি উপায় লেখো ।
উ: পুকুরের নোংরা জলের মধ্যে ফটকিরি বা পটাশিয়াম পারমাঙ্গানেট জাতীয় রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে দিলে জল পরিষ্কার হয় ।
38. একটি রাসায়নিক বিক্রিয়ার উদাহরণ দাও ।
উ: দুধের মধ্যে লেবুর রস দিলে ছানা উৎপন্ন হয়— এটি রাসায়নিক বিক্রিয়া ।
39. প্রাকৃতিক উপায়ে জলশোধনের একটি উদাহরণ দাও ।
উ: বাতাসের অক্সিজেনের সাহায্যে নোংরা ময়লা ভেঙে ফেলার পদ্ধতি হল প্রাকৃতিক উপায়ে জলশোধন ।
40. কাপড়ের দাগ তুলতে কোন্ কোন্ পদার্থ ব্যবহার করা যেতে পারে ?
উ: লেবুর রস , ব্লিচিং পাউডার ইত্যাদি ।
41. জলে ভাসে এমন দু - একটি গাছের নাম লেখো ।
উ: কচুরিপানা ও ছোটোপানা ।
42. মূল আছে এমন দুটি জলজ উদ্ভিদের নাম লেখো ।
উ: শালুক , পদ্ম ।
43. ঢেঁকিশাক কী ?
উ: একধরনের জলজ ফার্ন জাতীয় অপুষ্পক উদ্ভিদ ।
44. পুকুরপাড়ে ঝাড় হয়ে বেড়ে ওঠে এমন দুটি গাছের উদাহরণ দাও ।
উ: কলা গাছ ও বাঁশ গাছ ।
45. পানীয় জলের জন্য ব্যবহৃত পুকুরের পাড় কেমন ছিল ?
উ: পানীয় জলের জন্য ব্যবহৃত পুকুরের পাড় উঁচু করে বাঁধানো হত ।
46. কোন অঞ্চলের মাটির নীচের জল নোনতা ?
উ: সুন্দরবন অঞ্চলের মাটির নীচের জল নোনতা ।
47. পুকুরের সঙ্গে অনেক নালা যুক্ত করা হয় কেন ?
উ: বর্ষাকালে নালা দিয়ে পুকুরে জল এসে তা ভরতি করে সেজন্য পুকুরে অনেক নালা যোগ করা হয় ।
48. টিউবওয়েলের জল নষ্ট বন্ধ করার সহজ উপায় কী ?
উ: টিউবওয়েলের জল সরাসরি ব্যবহার না করে গ্লাসে বা বোতলে ভরে পান করা এবং বালতিতে ভরে অন্য কাজ করা ।
49. মাটির নীচের জল কীভাবে তুলে আনা হয় ?
উ: টিউবওয়েল বা ডিপ টিউবওয়েলের সাহায্যে মাটির নীচ থেকে জল তোলা হয় ।
50. কোন্ কাজে বৃষ্টির জল ব্যবহার করা উচিত নয় ?
উ: রান্নার কাজে ও পানীয় হিসেবে বৃষ্টির জল ব্যবহার করা উচিত নয় ।
51. বৃষ্টির জলের নোংরাকে কীভাবে দূর করা সম্ভব ?
উ: বৃষ্টির জল ধরে রাখার পর তাতে নোংরা থাকলে কাপড় বা গামছা দু - তিন ভাঁজ করে ভালো করে জলকে ছেঁকে নিলে পরিষ্কার জল পাওয়া যায় ।
52. বৃষ্টির জল কীভাবে নষ্ট হয় ?
উ: বর্ষাকালে বৃষ্টির জলে মাটি ভিজে কিছুটা জল শুষে নেয় এবং তা চুঁইয়ে গিয়ে মাটির ভেতরে প্রবেশ করে কিন্তু বেশিরভাগটাই সূর্যের তাপে বাষ্প হয়ে যায় ।
53. একটি সাধারণ মাপের বালতিতে কত লিটার জল ধরে ?
উ: ছ - সাত লিটার ।
54. মাটির নীচের কম গভীরের জল পান করা উচিত নয় কেন ?
উ: কম গভীরের জলে জীবাণু বা নোংরা থাকে ।
55. জলাভূমিতে কী কী শাক পাওয়া যায় ?
উ: কলমি শাক , ঢেঁকি শাক , কচু শাক ইত্যাদি পাওয়া যায় ।
56. জলাভূমিতে সন্ধের সময় কী দেখা যায় ?
উ: সন্ধের দিকে শেয়াল , বেজি , ভোঁদড় দেখা যায় ।
57. জলাভূমিতে কী কী মাছ ছিল ?
উ: শোল , মাগুর , শিঙি , কই , পাঁকাল , চিংড়ি , বোয়াল প্রভৃতি মাছ ছিল ।
58 , জলাভূমিতে কী কী পাখি দেখা যায় ?
উ: বক , মাছরাঙা , পানকৌড়ি , চিল , শামুকখোল , ডাহুক , কাদাখোঁচা ইত্যাদি পাখি দেখা যায় ।
59. নোংরা জলে মাছ চাষের সবথেকে বড়ো জায়গা কোনটি ?
উ: পূর্ব কলকাতার জলাভূমি ।
60. জীবজগতের প্রধান উপাদান দুটি কী কী ?
উ: উদ্ভিদ ও প্রাণী ।
61. পূর্ব কলকাতার জলাভূমিতে কোন্ কোন্ প্রাণী দেখা যায় ?
উ: পূর্ব কলকাতার জলাভূমিতে নানারকম মাছ , সাপ , শামুক , ব্যাং , বেজি , শেয়াল , মেছোবিড়াল , কচ্ছপ , ভোঁদড় এবং নানারকম পাখি দেখা যায় ।
62. কী কী নিয়ে আমাদের এই জীবজগৎ গঠিত হয়েছে ?
উ: উদ্ভিদ ও প্রাণী নিয়ে আমাদের এই জীবজগৎ গঠিত হয়েছে ।
63. প্রাণীজগতের মধ্যে সাধারণত কী কী প্রাণী থাকে ?
উ: প্রাণীজগতের মধ্যে সাধারণত পোকামাকড় , ছাগল , গোরু , ভেড়া , খরগোশ , হরিণ , বাঘ , সিংহ , নেকড়ে ইত্যাদি প্রাণীরা থাকে ।
64. মানুষ সব ধরনের খাবার খায় , এজন্য মানুষকে কোন্ ধরনের জীব বলা হয় ?
উ: সব ধরনের খাবার খাওয়ার জন্য মানুষকে সর্বভুক প্রাণী বলা হয় ।
65. ‘ পরিযায়ী ’ শব্দের অর্থ কী ?
উ: ‘ পরিযায়ী ’ শব্দের অর্থ হল বসবাসের জন্য অন্যত্র গমনশীল ।
66. পরিযায়ী পাখিরা কোথা থেকে আমাদের দেশে আসে ?
উ: বেশি শীতের দেশ থেকে আমাদের দেশে আসে ।
67. কোথায় পরিযায়ী পাখিরা বেড়াতে আসে ?
উ: সাঁতরাগাছির ঝিলে পরিযায়ী পাখিরা বেড়াতে আসে ।
68. জলদাপাড়ার জঙ্গলে কোন্ কোন্ প্রাণী দেখতে পাওয়া যায় ?
উ: জলদাপাড়ার জঙ্গলে লাল মোরগ ও ভারতীয় বাইসন ( গাউর ) দেখতে পাওয়া যায় ।
69. ভারতীয় বাইসনকে আর কী নামে ডাকা হয় ?
উ: ভারতীয় বাইসনকে গাউর নামে ডাকা হয় ।
70. ফার্ন কী ?
উ: এক ধরনের উন্নত মানের অপুষ্পক উদ্ভিদ । ঢেঁকি শাক , সুসনি শাক জাতীয় উদ্ভিদ হল ফার্ন প্রকৃতির ।
71. জলাভূমির ধারে বেড়ে ওঠে এমন ওষধি গুণযুক্ত দুটি গাছের নাম লেখো ।
উ: হেলেঞ্চা ও কুলেখাড়া ।
বাংলা বিষয়ের প্রশ্ন উত্তর পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করো
72. গাছ চেনা সহজ কেন ?
উ: গাছপালা এক জায়গায় স্থির থাকে , তাই এর বিভিন্ন অংশ অনেকক্ষণ ধরে দেখে নিয়ে সহজেই চেনা যায় ।
73. গন্ধগোকুল কী ?
উ: হুলোবেড়ালের মতো দেখতে , গায়ের রং কালো , কুকুরের মতো সরু মুখ এবং লম্বা ও লোমশ ল্যাজবিশিষ্ট যে - প্রাণীগুলি ঝোপজঙ্গলের মধ্যে বাস করে , সেই প্রাণীগুলিই ভামবেড়াল বা গন্ধগোকুল ।
74. ঝোপঝাড় বা জঙ্গলে থাকে এমন কয়েকটি বন্যপ্রাণীর নাম লেখো ।
উ: গিরগিটি , সাপ , বেজি ইত্যাদি ।
75. ইঁদুর , টিকটিকি পোষা জীব নয় কেন ?
উ: ইঁদুর , টিকটিকি খাবারের খোঁজে বাড়িতে আসে । এরা বাড়িতে বসবাস করে , কিন্তু কখনও পোষ মানে না , তাই এরা বন্যপ্রাণী , পোষা জীব নয় ।
76. কোন্ প্রাণীর গা - ভরতি শুঁয়ো থাকে ?
উ: শুঁয়োপোকার গা - ভরতি শুঁয়ো থাকে ।
77. কোন্ মেরুদণ্ডী প্রাণীর পা নেই ?
উ: সাপের পা নেই ।
78. কোন্ অমেরুদণ্ডী প্রাণীর দেহে অসংখ্য পা আছে ?
উ: কেন্নোর ।
79. জলে বাস করে এমন দুটি অমেরুদণ্ডী প্রাণীর নাম লেখো ।
উ: গুগলি ও ঝিনুক ।
৪০ , জলে থাকে এমন দুটি মেরুদণ্ডী প্রাণীর উদাহরণ দাও ।
উ: কচ্ছপ ও মাছ ।
81. আঁশযুক্ত চারটি মাছের নাম লেখো ।
উ: রুই মাছ , কাতলা মা ছ , পুঁটি মাছ , ইলিশ মাছ ।
82. কয়েকটি আঁশবিহীন মাছের উদাহরণ দাও ।
উ: ট্যাংরা , মাগুর ইত্যাদি ।
83. এমন দুটি মাছের নাম লেখো যাদের দেহের বাইরে শক্ত কাঁটা থাকে ।
উ: ট্যাংরা মাছ ও শিঙি মাছ ।
84. কয়েকটি লতানো গাছ বা আকর্ষযুক্ত গাছের মি লেখো ।
উ: লাউ , কুমড়ো , করলা , মটরশুঁটি ইত্যাদি ।
85. কয়েকটি শক্ত কাঠযুক্ত গাছের নাম লেখো ।
উ: বট , আম , জাম , নারকেল , শাল হল শক্ত কাঠযুক্ত গাছ ।
86. দুটি শিকারি মাছের নাম লেখো ।
উ: শোল মাছ ও বোয়াল মাছ ।
87. দুটি ছোটো আকৃতির মাছের উদাহরণ দাও ।
উ: পুঁটি মাছ ও মৌরলা মাছ ।
88. রাক্ষুসে মাছ বা শিকারি মাছ কাকে বলে ?
উ: যে - সমস্ত মাছ অন্য মাছ বা প্রাণীদের খায় , তাদের শিকারি মাছ বলে । যেমন — শোল মাছ ।
89. এখন কোন্ কোন্ মাছের চাষ করা হয় ?
উ: রুই , কাতলা , গ্রাসকার্প , সিলভার কার্প প্রভৃতি মাছের চাষ করা হয় ।
90. শোল , শাল , ল্যাটা , বোয়াল মাছকে শিকারি মাছ বলে কেন ?
উ: শোল , শাল , বোয়াল মাছ জলের অন্যান্য চাষ করা মাছেদের বাচ্চা ও ডিম খেয়ে নষ্ট করে দেয় , তাই এদের শিকারি বা রাক্ষুসে মাছ বলে ।
91. কয়েকটি ওষধি গাছের নাম বলো ।
উ: সর্পগন্ধা , মুক্তোঝুরি , নিম , হলুদ , কালমেঘ ইত্যাদি ।
92. পরিবেশে দুর্গন্ধ ছড়াতে বাধা দেয় এবং দূষণ রোধ করে এমন দুটি পাখির নাম লেখো ।
উ: শকুন ও কাক ।
93. সর্পগন্ধা গাছ থেকে কী ওষুধ তৈরি হয় ?
উ: সর্পগন্ধা গাছ থেকে উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ওষুধ তৈরি হয় ।
94. জীববৈচিত্র্য কাকে বলে ?
উ: আমাদের চারপাশে বা পরিবেশে যতরকমের উদ্ভিদ ও প্রাণী আমরা দেখতে পাই তার সবকিছুকেই একত্রে বলে জীববৈচিত্র্য ।
95. শিকারি মাছগুলিকে মেরে ফেলা হয় কেন ?
উ: শিকারি মাছগুলি ( শোল , শাল , বোয়াল ইত্যাদি ) চাষ করা মাছেদের বাচ্চা ও ডিম খেয়ে নেয় , তাই এদের মেরে ফেলা হয় ।
❐ দু - তিনটি বাক্যে উত্তর দাও :
1. টিউবওয়েল বসানোর সময় মাটি খুঁড়লে কী কী পাওয়া যায় ?
উ: টিউবওয়েল বসানোর সময় মাটি খুঁড়লে জল - সহ নানারকম নীচের দিকে থাকা মাটি , যেমন- কাকর মাটি , বালিমাটি , মিহিমাটি প্রভৃতি পাওয়া যায় ।
2. মাটির উপাদানগুলির নাম লেখো ।
উ: মাটির উপাদানগুলি হল — মাটির কণা ( বালি , কাদা , পলি ) , জৈব পদার্থ , খনিজ পদার্থ বা অজৈব পদার্থ , জল , বায়ু , মাটির মধ্যে থাকা জীবকুল ( যেমন— কেঁচো ) ইত্যাদি ।
3. মাটি কত রকমের হয় ও কী কী ?
উ: উপাদান অনুযায়ী মাটি প্রধানত তিনপ্রকার , যথা— ↑ এঁটেল মাটি , দোআঁশ মাটি ও ও বেলে মাটি । এ ছাড়া পলিমাটি ও বোঁদমাটি ।
4. মাটির অস্বাভাবিক উপাদান কাকে বলে ?
উ: যেসব উপাদান মাটিতে মিশে যেতে পারে না , মিশলেও মাটির গুণাগুণ নষ্ট করে , তাদের মাটির অস্বাভাবিক উপাদান বলে । যেমন — পলিথিন , প্লাস্টিক , রবার , অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ইত্যাদি ।
5. সিমেন্ট তৈরির ইতিহাস লেখো । অথবা , সিমেন্টের ব্যবহার কবে থেকে শুরু হয়েছে লেখো ।
উ: প্রায় 200 বছর আগে প্রথম সিমেন্ট তৈরি হয় । তবে আমাদের দেশে আজ থেকে প্রায় 120 বছর আগে সিমেন্ট তৈরি হয় এবং প্রায় 70-80 বছর আগে সিমেন্টের ব্যবহার ব্যাপকভাবে শুরু হয় ।
6. দোআঁশ মাটি জলে গুললে সহজে থিতিয়ে পড়ে না কেন ?
উ: দোআঁশ মাটিতে কাদা , পলি , বালির সঙ্গে নানান ধরনের জৈব - অজৈব পদার্থ , এমনকি কিছু অস্বাভাবিক উপাদানও মিশে থাকে । এসব উপাদানের কিছু জলে ভাসে আবার কিছুটা অর্ধেক জলে ডুবে থাকে । সেজন্য দোআঁশ মাটি জলে গুললে তা সহজে থিতিয়ে পড়ে না ।
7. সার কত প্রকার হয় ও কী কী ?
উ: সার তিনপ্রকার হয় , যথা— জৈবসার , অজৈবসার বা রাসায়নিক সার ও জীবসার ।
৪ . জৈবসার কী ? কম্পোস্ট সার কাকে বলে ?
উ: জীবজাত উপাদান বা প্রকৃতিজাত উপাদান থেকে বিভিন্ন জীবের বিয়োজন ক্রিয়ায় যে - সার তৈরি হয় , তাকে জৈবসার বলে । যেমন— গোবরসার , পচাপাতা সার , হাড়গুঁড়ো প্রভৃতি । শাকসবজি , ফলমূলের খোসা , পচা পাতা , বিভিন্ন প্রাণীর মলমূত্র প্রভৃতি মিলেমিশে যে - সার তৈরি হয় , তাকে কম্পোস্ট সার বলে ।
9. রাসায়নিক সার কাকে বলে ? উদাহরণ দাও ।
উ. রাসায়নিক সার : কৃত্রিম উপায়ে , কারখানা বা পরীক্ষাগারে নানান রাসায়নিক বা খনিজ লবণ নির্দিষ্ট অনুপাতে মিশিয়ে উদ্ভিদের পুষ্টি - বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানে ভরপুর যে - সার তৈরি করা হয় , তাকে রাসায়নিক সার বলে । যেমন — সুপার ফসফেট , ইউরিয়া , নাইট্রোজেন সার ইত্যাদি ।
10. বায়ু ও জল থেকে উদ্ভিদ তার প্রয়োজনীয় কোন কোন উপাদান সংগ্রহ করে ?
উ: বায়ু থেকে খাবার তৈরির জন্য কার্বন ডাইঅক্সাইড আর শ্বাসকার্য চালানোর জন্য অক্সিজেন গ্রহণ করে , আর জল থেকে খনির্জ লবণ গ্রহণ করে ।
11. মাটির সজীব জৈব উপাদান বলতে কী বোঝো ?
উ: মাটির সজীব জৈব উপাদান বলতে মাটির মধ্যে থাকা নানারকম ছোটো ছোটো জীব ও জীবাণুকে বোঝায় । এরা মাটির জটিল মৃত উপাদানকে ভেঙে সরল উপাদানে পরিণত করে এবং বিভিন্ন জটিল জৈববস্তুকে ভেঙে কম্পোস্ট সার তৈরিতে সাহায্য করে । যেমন — কেঁচো , কিছু ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া ।
12 , রোয়ার সময় বা বীজবপনের সময় অনুযায়ী ধান কত রকম হয় ও কী কী ?
উ: ধানরোয়া বা বীজবপনের সময় অনুযায়ী ধান তিন রকমের হয়— আউশ , আমন ও বোরো ।
13. ধান ও শাকসবজি চাষে কতটা মাটি লাগে ? র
ধান ও শাকসবজি চাষে এক - দেড় ফুট গভীর মাটি লাগে । পাহাড়ের ঢালে সিঁড়ির মতো ধাপে ধাপে জমি তৈরি করা হয় , সেই জমিতে জল আটকে ধান চাষ ( ধাপ চাষ ) করা হয় ।
14.ভূমিক্ষয় কাকে বলে ?
উ: প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে বা নানান ভৌত উপায়ে এবং মানুষের নানান কাজের ফলে মাটির স্থানচ্যুত হওয়ার ঘটনাকে ভূমিক্ষয় বলে ।
15.ধস কী ?
উ: পাহাড়ি অঞ্চলে বা পুকুর , নদীর পাড়ে বা রাস্তায় নানা কারণে মাটির খসে পড়া বা পাথরসহ মাটি খসে পড়ার ঘটনাকে ধস বলে ।
16. হাড়ে ধস নামার দুটি কারণ উল্লেখ করো ।
উ: ভূমিকম্প ও বৃষ্টিপাত ।
17. ভূমিক্ষয় রোধের একটি সহজ উপায় উল্লেখ করো ।
উ: ভূমিক্ষয় রোধের একটি সহজ উপায় গাছ লাগানো বা ভূমিক্ষয় ঘটায় এমন দুটি পদার্থের নাম লেখো ।
ডিত্তর পলিথিন , প্লাস্টিক । এ জলাশয় মানচিত্রে কী কী জিনিস দেখানো হয় ও উিত্তর জলাশয় মানচিত্রে পুকুর ( সাধারণ বা পাড়বাঁধানো ) , বিল , নদী , নালা , বাঁওড় , নয়ানজুলি , ভেড়ি , খাল , তাদের চারপাশে রাস্তাঘাট , বাড়িঘর , গাছপালা সবই দূরত্ব ও দিক - সহ দেখানো হয় ।
18.পাহাড়ে জলাশয়ের স্রোেত বেশি কেন ? সমতলে কখন জলাশয়ে স্রোেত দেখা যায় ?
উ: পাহাড়ে মাটির ঢাল বেশি , ভূমিভাগ উঁচু - নীচু , ফলে জল যখন উঁচু থেকে নীচুতে নেমে আসে তখন জলাশয়ের স্রোত বেশি হয় । সমতলে বর্ষাকালে বা জোরে বাতাস বইলে জলাশয়ে স্রোত দেখা যায় ।
No comments:
Post a Comment