⬛ শুদ্ধ ও অশুদ্ধ নির্বাচন করো : প্রতিটি প্রশ্নের মান -১
1. দামোদর যেখানে গঙ্গায় মিশেছে, সেটি হুগলি নদী।
➤➣শুদ্ধ / অশুদ্ধ
2. চিত্তরঞ্জনে ঢেউখেলানো ভূমির মাঝে উঁচু টিলা দেখা যায় ।
➤➣শুদ্ধ / অশুদ্ধ
3. পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চলে লালচে মাটি দেখা যায়।
➤➣শুদ্ধ / অশুদ্ধ
4. বাঁকুড়ার পূর্ব এবং পশ্চিম দিকের জমি বেশ উর্বর।
➤➣শুদ্ধ / অশুদ্ধ
5. রূপনারায়ণ নদী গেঁওখালিতে হলদি নদীতে মিশেছে।
➤➣শুদ্ধ / অশুদ্ধ
6. পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চলের নদীগুলি বর্ষার জলে পুষ্ট।
➤➣শুদ্ধ / অশুদ্ধ
7. পশ্চিমবঙ্গের রাঢ় অঞ্চলের কিছুটা অংশে এঁটেল মাটি লক্ষ করা যায়।
➤➣শুদ্ধ / অশুদ্ধ
৪. গঙ্গা একটি অনিত্যবহ নদী।
➤➣শুদ্ধ / অশুদ্ধ
9. বরফগলা জল পর্বতের ঢাল বেয়ে নীচে নেমে আসে।
➤➣শুদ্ধ / অশুদ্ধ
10. জলপাইগুড়ি জেলার ওপর দিয়ে তিস্তা নদী প্রবাহিত হয়।
➤➣শুদ্ধ / অশুদ্ধ
11. গঙ্গোত্রী হিমবাহের গোমুখ গুহা থেকে সিন্ধু নদের উৎপত্তি।
➤➣শুদ্ধ / অশুদ্ধ
12. গঙ্গানদী দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে।
➤➣শুদ্ধ / অশুদ্ধ
13. দুই নদীর পলি জমে বদ্বীপ অঞ্চল সৃষ্টি হয়।
➤➣শুদ্ধ / অশুদ্ধ
14. হরপ্পা সভ্যতায় পোড়া ইট দিয়ে বাড়ি বানানো হত ।
➤➣শুদ্ধ / অশুদ্ধ
15. সুন্দরী গাছ সুন্দরবনের সবচেয়ে বিখ্যাত গাছ ।
➤➣শুদ্ধ / অশুদ্ধ
16. মাতলা সুন্দরবনের একটি নদীর নাম।
➤➣শুদ্ধ / অশুদ্ধ
17. সুন্দরবনের সব নদী আরবসাগরে পড়েছে।
➤➣শুদ্ধ / অশুদ্ধ
18. পশ্চিমবঙ্গে 102টি দ্বীপ আছে।
➤➣শুদ্ধ / অশুদ্ধ
19. তিস্তা বরফগলা জলের নদী।
➤➣শুদ্ধ / অশুদ্ধ
20. রায়ডাক দক্ষিণবঙ্গের একটি নদী।
➤➣শুদ্ধ / অশুদ্ধ
21. জলপাইগুড়িতে সিংগালিলা পর্বতশ্রেণি আছে।
➤➣শুদ্ধ / অশুদ্ধ
22. পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে উঁচু পর্বতশৃঙ্গ সান্দাকফু ।
➤➣শুদ্ধ / অশুদ্ধ
23. তোর্সা নদীর জন্ম দার্জিলিং জেলার ডাওহিলে ।
➤➣শুদ্ধ / অশুদ্ধ
24. মালদা জেলার উত্তর-দক্ষিণে গঙ্গা বয়ে গেছে।
➤➣শুদ্ধ / অশুদ্ধ
25. মহানন্দা নদীর পশ্চিম দিকের ভূমি শক্ত, অনুর্বর।
➤➣শুদ্ধ / অশুদ্ধ
26. মহানন্দা নদীর পশ্চিম দিককে দু-ভাগ করেছে কালিন্দী নদী ।
➤➣শুদ্ধ / অশুদ্ধ
27. দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটকে ‘আমের শহর' বলা হয়।
➤➣শুদ্ধ / অশুদ্ধ
28. হুগলি জেলায় বোটানিক্যাল গার্ডেন অবস্থিত।
➤➣শুদ্ধ / অশুদ্ধ
29. দ্বারকেশ্বর নদীর তীরে অবস্থিত আরামবাগ।
➤➣শুদ্ধ / অশুদ্ধ
30. সমভূমি অঞ্চলে সিঁড়ির মতো জমি তৈরি করে ধান চাষ করা হয়।
➤➣শুদ্ধ / অশুদ্ধ
উত্তর: 1. শুদ্ধ 2.শুদ্ধ 3.শুদ্ধ 4.অশুদ্ধ 5.অশুদ্ধ 6.শুদ্ধ 7.শুদ্ধ 8.অশুদ্ধ 9. শুদ্ধ 10.শুদ্ধ 11.অশুদ্ধ 12.শুদ্ধ 13.শুদ্ধ 14.শুদ্ধ 15.শুদ্ধ 16.শুদ্ধ 17.অশুদ্ধ 18.শুদ্ধ 19.শুদ্ধ 20.অশুদ্ধ 21.অশুদ্ধ 22.শুদ্ধ 23.অশুদ্ধ 24.অশুদ্ধ 25.অশুদ্ধ 26.শুদ্ধ 27.অশুদ্ধ 28.অশুদ্ধ 29.শুদ্ধ 30.অশুদ্ধ
⬛ একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাও : প্রতিটি প্রশ্নের মান -১
1. বর্ধমানের মাটির রং লাল কেন ?
উত্তর লোহার অক্সাইড মেশানো থাকে বলে ।
2. লালমাটি দেখা যায় এমন দুটি অঞ্চলের নাম কী ?
উত্তর: বাঁকুড়া, বীরভূম।
3. শাল গাছের জঙ্গলে কী কী বন্যপ্রাণী দেখা যায় ?
উত্তর: ভিত্তর হাতি, বন্যশূকর, খরগোশ ইত্যাদি দেখা যায়।
4.ল্যাটেরাইট মৃত্তিকা উর্বর না অনুর্বর ?
উত্তর অনুর্বর।
5. দ্বারকেশ্বর ও শিলাবতী নদী কোথায় মিলিত হয়েছে ?
উত্তর: ডিত্তর পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে।
6. হুগলির কাছাকাছি দামোদর থেকে কোন্ নদী বেরিয়েছে ?
উত্তর: মুণ্ডেশ্বরী।
7. বীরভূমে অবস্থিত নদী দুটির নাম লেখো ৷
উত্তর: ময়ূরাক্ষী ও অজয় নদী।
৪. গঙ্গানদীর উৎপত্তিস্থল কোথায় ?
উত্তর: উত্তরাখণ্ড রাজ্যের গোমুখ থেকে ।
9. গঙ্গানদীর প্রধান শাখার নাম কী ?
উত্তর: পদ্মা।
10. পদ্মা নদী কোন্ দিকে প্রবাহিত হয়েছে ?
উত্তর: দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে বাংলাদেশে প্রবাহিত হয়েছে।
11. ভাগীরথী, হুগলি নদীর পশ্চিম দিকে প্রবাহিত নদীর নাম কী ?
উত্তর: অজয়, দামোদর।
12. দুটি বরফগলা জলে পুষ্ট নদীর নাম লেখো ।
উত্তর: গঙ্গা, ইছামতী।
13. বেথুয়াডহরির বন কোন জেলায় অবস্থিত ?
উত্তর: নদিয়া জেলায়।
14. বেথুয়াডহরির বনে কী কী গাছ দেখা যায় ?
উত্তর: শাল, সেগুন, মেহগনি, শিশু, রাধাচূড়া, কদম গাছ দেখা যায়।
15. পারমাদানের বনখণ্ড কোন জেলায় দেখা যায় ?
উত্তর: উত্তর 24 পরগনা জেলায় ।
16. সুন্দরবনের দুটি নদীর নাম কী ?
উত্তর: মাতলা, কালিন্দী ।
17. হিমালয়ের পাদদেশের নীচু জমিকে কী বলে ?
উত্তর: তরাই-ডুয়ার্স অঞ্চল বলে ।
18. তরাই অঞ্চলের মৃত্তিকা কেমন ?
উত্তর: বালির ভাগ বেশি, কাদার ভাগ কম।
19. কুলিক পাখিরালয় কোথায় অবস্থিত ?
উত্তর: রায়গঞ্জে।
20. উত্তরবঙ্গের দুটি শহরের নাম লেখো ।
উত্তর: জলপাইগুড়ি, ইংলিশবাজার।
21. পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড়ো শহর ও রাজধানীর নাম কী ?
উত্তর: কলকাতা।
22. বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় কোথায় অবস্থিত ?
উত্তর: পশ্চিম মেদিনীপুরে।
23. বার্ন স্ট্যান্ডার্ড কোম্পানি কোন্ জেলায় অবস্থিত ?
উত্তর: হাওড়া জেলা।
24. জাতীয় চিড়িয়াখানা অবস্থিত ?
উত্তর: আলিপুরে।
25. বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কোথায় অবস্থিত ?
উত্তর: বোলপুর শহরে।
26. তারকেশ্বর শহর কীসের জন্য বিখ্যাত ?
উত্তর: তীর্থক্ষেত্র ও হিমঘরের জন্য।
27. নদীতীরের কোন সভ্যতার কথা তুমি জান বা পড়েছ ?
উত্তর: হরপ্পা সভ্যতা।
28. নবদ্বীপ শহর প্রসিদ্ধ কেন ?
উত্তর: চৈতন্যদেবের জন্মস্থান ও তাঁতশিল্পকেন্দ্র-এর জন্য প্রসিদ্ধ।
⬛ দু-তিনটি বাক্যে উত্তর দাও : প্রতিটি প্রশ্নের মান -2
1.পশ্চিমবঙ্গের নদীগুলি উত্তর থেকে দক্ষিণে বা পশ্চিম থেকে পূর্বে বয়ে যায় কেন ?
উত্তর: পশ্চিমবঙ্গের জমির ঢাল উত্তর থেকে দক্ষিণে এবং পশ্চিম থেকে পূর্বে। সেই কারণে পশ্চিমবঙ্গের নদী- গুলি উত্তর থেকে দক্ষিণে বা পশ্চিম থেকে পূর্বে বয়ে যায়।
2. জল কেন উঁচু থেকে নীচুর দিকে গড়িয়ে চলে ?
উত্তর: জলের সমোচ্চশীলতা ধর্মের জন্য জল সবসময় উঁচু থেকে নীচুর দিকে গড়িয়ে চলে।
3. পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমের অঞ্চলগুলি মালভূমি অঞ্চল হওয়ার কারণ কী ?
উত্তর: পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমের অঞ্চলগুলি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে 300 মিটার উঁচু, ঢেউখেলানো, বহুদূর বিস্তৃত ঢালযুক্ত ভূভাগ, তাই ওই অঞ্চলগুলি মালভূমি অঞ্চলের অন্তর্গত, যেমন—পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম ।
4. মালভূমি অঞ্চলের মাটি কেমন ?
ডিত্তর এই অঞ্চলের মাটি কাঁকর ও পাথর মেশানো, অনুর্বর । মাটিতে লোহার অক্সাইড মেশানো থাকে, তাই এই মাটির রং লাল।
5. পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চল কতটা বিস্তৃত ?
উত্তর: পুরুলিয়ার সমস্ত অঞ্চল, বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরের পশ্চিম দিকের পুরো অংশ, বীরভূম ও বর্ধমানের পশ্চিম দিকের অংশ নিয়ে পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চল বিস্তৃত।
6. পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চলের কয়েকটি জলাধারের নাম লেখো।
উত্তর: পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চলের কয়েকটি জলাধারের নাম হল— কংসাবতী জলাধার, ও পাঞ্চেৎ জলাধার, 3 মাইথন জলাধার।
7.রাঢ় অঞ্চল কাকে বলে?
উত্তর: পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমের মালভূমির পূর্ব সীমানা থেকে গঙ্গার বদ্বীপের সীমানা পর্যন্ত বিস্তৃত সামান্য ঢেউখেলানো বিস্তৃত সমভূমি অঞ্চলকে রাঢ় অঞ্চল বলে।
৪. রাঢ় অঞ্চলের মৃত্তিকা সম্বন্ধে কী জান লেখো।
উত্তর: পুরোনো পলিমাটি দিয়ে গঠিত এই অঞ্চলে ল্যাটেরাইট জাতীয় লালমাটি দেখা যায়। এই মাটির স্তর অগভীর ও মাটির জলধারণ ক্ষমতা কম ।
9. রাঢ় অঞ্চলের নদনদীগুলির নাম লেখো ।
উত্তর: রাঢ় অঞ্চলের নদনদীগুলি হল— দ্বারকেশ্বর, শিলাবতী, দামোদর, কাঁসাই, ময়ূরাক্ষী, অজয় ইত্যাদি।
10. রাঢ় অঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য শহরের নাম লেখো।
উত্তর: রাঢ় অঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য শহর হল— বোলপুর, @ সিউড়ি, ও বিষ্ণুপুর, @ বাঁকুড়া।
11. পড়জল মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর:এই মৃত্তিকায় ফসফরাস ও পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি। এই মাটির জলধারণ ক্ষমতা বেশি, তাই এই মাটি উর্বর।
12. কৃয়মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্য লেখো ।
উত্তর: এই মৃত্তিকা লাভা ও ব্যাসল্ট শিলার ক্ষয়ের ফলে সৃষ্টি হয়। এই মাটির জলধারণ ক্ষমতা বেশি। লোহাচূর্ণ ও পটাশসমৃদ্ধ হওয়ায় এর রং কালো ও উর্বর হয়।
13. ল্যাটেরাইট মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো ।
উত্তর: এই মাটিতে লোহার ভাগ বেশি থাকায় এই মাটির রং লাল । এই মৃত্তিকার জলধারণ ক্ষমতা কম, তাই এই মাটি অনুর্বর ।
14. গঙ্গা কোথায় দুটি শাখায় বিভক্ত হয়েছে ? শাখা দুটির নাম কী ?
উত্তর:পশ্চিমবঙ্গের মুরশিদাবাদ জেলার মিঠিপুরের কাছে দুটি ভাগে বিভক্ত হয়েছে, শাখা দুটির নাম হল- পদ্মা ও ভাগীরথী।
15. লবণাক্ত মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো ।
উত্তর: এই মৃত্তিকাতে জোয়ারের প্রভাব থাকায় এটি লবণাক্ত প্রকৃতির। এই মাটি পলি ও জৈব পদার্থসমৃদ্ধ। সুন্দরবন অঞ্চলে এই মৃত্তিকা দেখা যায়।
16. পশ্চিমবঙ্গের প্রধান নদীর নাম কী ? এই নদী কোথা থেকে সৃষ্টি হয়েছে ? পূর্ব হিমালয় থেকে সৃষ্ট নদীগুলির নাম কী ?
উত্তর:পশ্চিমবঙ্গের প্রধান নদী হল গঙ্গা। গঙ্গানদী হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহের গোমুখ নামে তুষার গুহা থেকে উৎপন্ন হয়েছে। পূর্ব হিমালয় থেকে উৎপন্ন তিনটি নদীর নাম— তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকা ।
17. গাঙ্গেয় বদ্বীপ কাকে বলে ? গাঙ্গেয় বদ্বীপের একটি উদাহরণ দাও ।
উত্তর: ভাগীরথী ও পদ্মার মাঝে অবস্থিত ভূখণ্ড দুই নদীর পলি দ্বারা তৈরি হয়েছে। এই ভূখণ্ডকে বলে গাঙ্গেয় বদ্বীপ। গাঙ্গেয় বদ্বীপের একটি উদাহরণ হল সুন্দরবন।
18. বেথুয়াডহরির বনে কী কী গাছ ও কী কী প্রাণী দেখা যায়, এ সম্পর্কে তুমি কী জানো লেখো।
উত্তর:বেথুয়াডহরির বনে শাল, সেগুন, মেহগনি, কদম, রাধাচূড়া প্রভৃতি গাছ দেখা যায়। এ ছাড়া এই বনে হরিণ ও কাঠবিড়ালি দেখা যায় ।
19. সুন্দরবনের অবস্থান সম্পর্কে তুমি কী জানো লেখো। সুন্দরবনের নাম সুন্দরবন হয়েছে কেন ?
উত্তর:দক্ষিণ ও উত্তর 24 পরগনা জেলার 15টি থানা নিয়ে সুন্দরবন অঞ্চল গঠিত। সুন্দরী গাছের বনভূমি থাকায় এই অঞ্চলের নাম সুন্দরবন হয়েছে।
20. ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ পশ্চিমবঙ্গের কোথায় দেখা যায় ? দুটি ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদের নাম লেখো ।
উত্তর: পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন অঞ্চলে ম্যানগ্রোভ জাতীয় উদ্ভিদ দেখা যায়। দুটি ম্যানগ্রোভ জাতীয় উদ্ভিদ হল— সুন্দরী ও গরান ।
21. সুন্দরবন অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলির নাম লেখো।
উত্তর:সুন্দরবন অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শহর ও বাণিজ্য কেন্দ্রগুলি হল— কাকদ্বীপ, জয়নগর, ক্যানিং, গোসাবা, বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ ইত্যাদি।
22. সুন্দরবনের লোহাচারার মতো দ্বীপ ডুবছে কেন ?
উত্তর: পৃথিবীর উয়তা বাড়ায় মেরু অঞ্চলের বরফ গলছে, ফলে সমুদ্র জলতলের উচ্চতা বাড়ছে ও ডুবতে বসেছে লোহাচারার মতো দ্বীপ।
23. পাহাড় ও পর্বতের মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখো ।
উত্তর:1000 মিটারের চেয়ে নীচু এবং অল্প দূরে ছড়ানো শিলাস্তূপকে পাহাড় বলে। কিন্তু 1000 মিটারের চেয়ে বেশি উঁচু এবং অনেক দূর ছড়ানো শিলাস্তূপকে পর্বত বলে। পাহাড়ের চূড়ায় বরফ পড়ে না, কিন্তু পর্বতের চূড়ায় বরফ পড়ে।
24. পশ্চিমবঙ্গের পার্বত্য অঞ্চলের মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে কী জান তা লেখো ।
উত্তর: দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়ি জেলার পার্বত্য অঞ্চলে পাথর ও কাঁকরমিশ্রিত বাদামি রঙের অনুর্বর মৃত্তিকার পাতলা স্তর দেখা যায়। ঝরাপাতা পচে এই মৃত্তিকায় সৃষ্টি হয়, ফলে জৈব পদার্থের পরিমাণ বেশি থাকে। এই মৃত্তিকায় অম্লত্বের পরিমাণ বেশি থাকে।
25. পশ্চিমবঙ্গের পার্বত্য অঞ্চলে কী কী উদ্ভিদ দেখা যায় ?
উত্তর:পশ্চিমবঙ্গের পার্বত্য অঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টিপাত ও ঠান্ডা আবহাওয়ার জন্য নানা ধরনের উদ্ভিদ জন্মায়। 1000 মিটার উচ্চতায় শাল, শিমুল, কদম প্রভৃতি গাছ জন্মায়। 1000-2000 মিটার উচ্চতায় বার্চ, পিপুল, বাঁশ এবং আরও বেশি উচ্চতায় ওক, লরেল, রডো- ডেন্ড্রন প্রভৃতি গাছ জন্মায়।
26. দার্জিলিং জেলার জলবায়ু সম্পর্কে লেখো।
উত্তর: দার্জিলিং অঞ্চলে সারাবছর শীতকাল। জানুয়ারি মাসের গড় তাপমাত্রা 4° সেলসিয়াস। তাপমাত্রা কমে গিয়ে দার্জিলিং শহরের আশেপাশে বরফ পড়ে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে মে থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত অবিশ্রান্ত বৃষ্টিপাত হয়, বছরে গড়ে 3,400 মিলিলিটার।
27. দার্জিলিং জেলার গুরুত্ব লেখো ।
উত্তর: দার্জিলিং জেলার গুরুত্বপূর্ণ শহর হল দার্জিলিং । এখানে ঘুম স্টেশন, টয়ট্রেন, রোপওয়ে, টাইগার হিল দেখা যায়। বরফে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বত দেখা যায়। পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে খুব গুরুত্বপূর্ণ শহর। তা ছাড়া দার্জিলিং-এর চা স্বাদ ও সুগন্ধের জন্য বিখ্যাত।
28. হাওড়া জেলা সম্পর্কে লেখো।
উত্তর: হাওড়া জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর হল হাওড়া। এই শহরে রবীন্দ্রসেতু ও বিদ্যাসাগর সেতু এবং বোটানিক্যাল গার্ডেন বিখ্যাত। এই শহরে বার্ন স্ট্যান্ডার্ড কোম্পানি আছে।
29. কলকাতায় কী কী অবস্থিত ?
উত্তর: কলকাতা জেলার রাজধানী শহর কলকাতা। এখানে মিউজিয়াম, পাতালরেল, বিমানবন্দর, মেডিকেল কলেজ, চিড়িয়াখানা, বিশ্ববিদ্যালয়, ইডেন গার্ডেন, ইকো পার্ক ইত্যাদি আছে।
30. উত্তরবঙ্গের জঙ্গলের বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো যেগুলি পশ্চিম দিকে গেলে দেখা যায় না ?
উত্তর:উত্তরবঙ্গের জঙ্গলে ঘন গাছপালা থাকার জন্য খুব বৃষ্টি হয়, বছরের বেশিরভাগ সময় স্যাঁতসেঁতে ভাব থাকে। সূর্যের আলো এই অঞ্চলে বিশেষ ঢোকে না। বিশেষ কিছু গাছপালা আর বন্যপ্রাণী এই জঙ্গলে দেখা যায়, যাদের পশ্চিম দিকে গেলে দেখা যায় না ৷
31. বিষ্ণুপুর শহরকে কেন্দ্র করে কোন্ কোন্ সংস্কৃতির বিস্তার ঘটেছে ?
উত্তর: বিষ্ণুপুর শহরকে কেন্দ্র করে ধ্রুপদি সংগীতশিক্ষার কেন্দ্র, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ গড়ে উঠেছে। বালুচর ও শাড়ি ও রেশমের বস্ত্রশিল্পের বিস্তার ঘটেছে। শাঁখ ও পোড়ামাটির কাজ এখানকার অন্যতম শিল্প । টেরাকোটার কাজ বিখ্যাত শিল্প ও সংস্কৃতির পরিচয় বহন করে।
32. পশ্চিমবঙ্গের কোন্ কোন্ শহর কৃষিবাণিজ্যের জন্য বিখ্যাত ?
উত্তর: কাটোয়া, বালুরঘাট, আরামবাগ, তারকেশ্বর ইত্যাদি শহর কৃষিবাণিজ্যের জন্য বিখ্যাত ।
33. ভারতের তিনটি কয়লাখনি অঞ্চলের নাম লেখো ।
উত্তর: ঝাড়খণ্ডের ঝরিয়া, পশ্চিমবঙ্গের রানিগঞ্জ, ছত্তিশগড়ের কোরবা।
34. কয়লা থেকে কীভাবে তাপবিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদিত হয় ?
উত্তর: কয়লা পোড়ালে যে-তাপশক্তি উৎপন্ন হয়, তার সাহায্যে জলকে বাষ্পে পরিণত করা হয় এবং ওই বাষ্পের সাহায্যে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়।
35. পশ্চিমবঙ্গের তিনটি তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের নাম লেখো।
উত্তর: দুর্গাপুর, ব্যান্ডেল, কোলাঘাট ।
36. প্রকৃতিতে কী কী সম্পদ পাওয়া যায় ?
উিত্তর প্রকৃতি থেকে আমরা আলো, বাতাস, জল, তাপ, খনিজ সম্পদ, বনজ সম্পদ ইত্যাদি পেয়ে থাকি।
⬛পাঁচ-ছ'টি বাক্যে উত্তর দাও : প্রতিটি প্রশ্নের মান - 3
1. গাঙ্গেয় বদ্বীপে অবস্থিত দুটি শিল্পাঞ্চলের নাম লেখো। এই শিল্পাঞ্চলগুলি কীজন্য বিখ্যাত ?
উত্তর: গাঙ্গেয় বদ্বীপে অবস্থিত দুটি শিল্পাঞ্চল হল— 1 হুগলি শিল্পাঞ্চল ও হলদিয়া শিল্পাঞ্চল। হুগলি শিল্পাঞ্চলের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, মোটরগাড়ি নির্মাণ শিল্প। এ ছাড়াও অন্যান্য শিল্পও আছে।
হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য শিল্পগুলি হল- পেট্রোলিয়াম শোধনাগার, রাসায়নিক সার কারখানা, সাবান কারখানা, কীটনাশক ওষুধ কারখানা ইত্যাদি। এই সমস্ত শিল্পগুলির জন্য হলদিয়া ও হুগলি শিল্পাঞ্চল বিখ্যাত ।
2. সুন্দরবন অঞ্চলের প্রাকৃতিক উদ্ভিদ ও কৃষিকাজের বিবরণ ব্যাখ্যা করো ৷
উত্তর: সুন্দরবন অঞ্চলের শতকরা 40 ভাগ বনভূমি । এই অঞ্চলের মাটি লবণাক্ত বলে ম্যানগ্রোভ অরণ্যের সৃষ্টি হয়েছে। এই অরণ্যে সুন্দরী, গরান, গেঁওয়া প্রভৃতি গাছ দেখা যায় । এখানকার অধিকাংশ লোকই কৃষিজীবী। প্রধান শস্য হল ধান। বেশিরভাগ জমিতে ধান ও পাট চাষ হয় । সুন্দরবন অঞ্চলে প্রচুর তরমুজের চাষ হয় । বর্তমানে তুলো, সূর্যমুখী, চিনাবাদামের চাষ হচ্ছে।
3.সুন্দরবন অবলুপ্তির কারণ কী ?
উত্তর: সমুদ্র জলতল থেকে সুন্দরবনের উচ্চতা 2-3 মিটার। বর্তমানে গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর জন্য মেরুপ্রদেশের বরফ গলছে, ফলে সমুদ্র জলতলের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই কয়েক বছরের মধ্যে সুন্দরবনের অবলুপ্তি ঘটবে। তা ছাড়া চোরাশিকারিরা বাঘ, হরিণ ইত্যাদি শিকার করছে, বনের কাঠ কেটে নিচ্ছে, ফলে সুন্দরবনে বাঘ ও হরিণের সংখ্যা কমে যাচ্ছে, বনজ উদ্ভিদের পরিমাণ কমছে। এইসব কারণে সুন্দরবনের অবলুপ্তি ঘটছে।
No comments:
Post a Comment