"বুনো হাঁস" গল্পের প্রশ্ন উত্তর পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করো
দারোগাবাবু এবং হাবু
⬛ কবি পরিচিতি :
বাংলার শিশু সাহিত্যে বিশেষ করে ছোটোদের জন্য লেখা ছড়া-কবিতার জগতে ভবানীপ্রসাদ মজুমদার একজন সুপরিচিত কবি। তাঁর জন্ম ১৯৫৩ সালে। তাঁর লেখাগুলি মজাদার কথার মোড়কে হলেও তাতে শিশুদের শেখার জন্য অনেক বিষয় রয়েছে। তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলির মধ্যে রয়েছে ‘মজার ছড়া', 'নাম তার সুকুমার', প্রভৃতি। সাহিত্যসৃষ্টির স্বীকৃতি হিসেবে তিনি পেয়েছেন ‘সুকুমার রায় শতবার্ষিকী পুরস্কার', ‘সতজিৎ রায় পুরস্কার', ‘শিশুসাহিত্য পরিষদ পুরস্কার', পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি প্রদত্ত ‘অভিজ্ঞান স্মারক’, ‘ছড়া সাহিত্য পুরস্কার' ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় শতাধিক। পুরস্কার। এখনও পর্যন্ত সহজ কথায়, সরল ছন্দে, বিচিত্র বিষয়ে ষোলো হাজারেরও বেশি ছড়া তিনি লিখেছেন।
⬛ কবিতা পরিচিতি:
কবিতাটিতে হাবু নামের একজন ব্যক্তি এবং থানার দারোগাবাবুর মধ্যে কথোপকথন হয়েছে। হাবু থানায় গিয়েছে নালিশ জানাতে, আর তার সমস্যা শুনে দারোগাবাবু যে বিধান দিয়েছেন সেটিই হল কবিতাটির মূল বিষয়। যেহেতু কবিতাটিতে হাবু এবং দারোগাবাবুর কথা রয়েছে তাই এর নামকরণ দারোগাবাবু এবং হাবু' যথার্থ হয়েছে।
⬛ সারমর্ম :
এই কবিতায় কবি একটি মজাদার ঘটনা চিত্রিত করেছেন। হাবু নামের একটি ছেলে একদিন ভোরে থানায় গিয়ে নালিশ জানায় যে তারা চার ভাই একটা ঘরে থাকে। সেখানে তার থাকতে খুব অসুবিধে হচ্ছে কারণ তার বড়দা ঘরের মধ্যে সাতটা বিড়াল পোষেন, মেজদা পোষেন আটটা কুকুর আর সেজদা একটু পাগল, সে ঘরের মধ্যে দশটা ছাগল বেঁধে রাখে। এই সব প্রাণীদের গন্ধে তার প্রাণ ওষ্ঠাগত। এর একটা বিধান সে চায় তাই সে থানায় এসেছে। দারোগাবাবু শুনে বলেন যে তারা যেন সর্বদা তাদের ঘরের দরজা জানালাগুলো খুলে রাখে। শুনে হাবু অসহায় বোধ করে এবং করুণ সুরে বলে ওঠে যে তাহলে তার পোষা দেড়শো পায়রা সব উড়ে যাবে।
⬛ বাক্য বাড়াও : প্রতিটা প্রশ্নের মান -1
1. হাবু গিয়েছিল। (কোথায় ? কখন?)
উঃ। হাবু ভোরবেলা থানায় গিয়েছিল।
2. বড়দা পোষেন বেড়াল। (কয়টি? কেমন)
উঃ। বড়দা ছোটো-বড়ো সাতটি বেড়াল পোষেন।
3. হাবু ভগবানকে ডাকে। (কেন? কখন?)
উঃ। হাবু দুঃখে সারা দিন-রাত ভগবানকে ডাকে।
4. দারোগাবাবু বলেন ঘরের জানলা-দরজা খুলে রাখতে। (কাকে?)
উঃ। দারোগাবাবু হাবুকে বলেন ঘরের জানলা-দরজা খুলে রাখতে।
5. হাবুর পায়রা উড়ে যাবে। (কয়টি?)
উঃ। হাবুর দেড়শো পায়রা উড়ে যাবে।
1. ছোটোদের জন্য ছড়া কবিতা লিখেছেন, এমন দুজন কবির নাম লেখো।
উঃ। ছোটোদের জন্য ছড়া কবিতা লিখেছেন এমন দুজন কবি হলেনসুকুমার রায় ও অন্নদাশঙ্কর রায়।
2. তোমার পাঠ্য কবিতাটির কবি কে?
উঃ। আমার পাঠ্য কবিতাটির কবি হলেন ভবানীপ্রসাদ মজুমদার।
3. তাঁর লেখা দুটি বইয়ের নাম লেখো।
উঃ। তাঁর লেখা দুটি বইয়ের নাম হল 'মজার ছড়া' ও 'নাম তার সুকুমার'।
4. হাবু কখন, কোথায় গিয়ে নালিশ জানিয়েছিল?
উঃ। হাবু ভোরবেলা থানায় গিয়ে নালিশ জানিয়েছিল।
5. হাবুরা মোট কয় ভাই? তারা কীভাবে থাকত ?
উঃ। হাবুরা মোট চার ভাই। তারা চার ভাই একসাথে একটি ঘরে থাকত।
6. হাবুর বড়দা কী পোষেন ?
উঃ। হাবুর বড়দা সাতটা ছোটো-বড়ো বিড়াল পোষেন।
7. বারণ করা সত্ত্বেও হাবুর মেজদা কী পোষেন ?
উঃ। বারণ করা সত্ত্বেও হাবুর মেজদা আটটা কুকুর পোষেন।
8. ‘তোমরা কি সব ভুলো – কে, কাকে ভুলো বলেছে?
উঃ। দারোগাবাবু হাবুকে ভুলো বলেছে।
9. হাবুর কোন্ দাদাকে হাবু পাগল বলে উল্লেখ করেছে?
উঃ। হাবুর, সেজদাকে হাবু পাগল বলে উল্লেখ করেছে।
10. কে কো কেঁদে কেঁদে মরছে?
উঃ। দাদাদের পোষা প্রাণীর গন্ধে হাবুর প্রাণ ওষ্ঠাগত, তাই হাবু কেঁদে কেঁদে মরছে।
11.দুঃখ পেয়ে হাবু কী করত?
উঃ। দুঃখ পেয়ে হাবু সারা দিন রাত ভগবানকে ডাকত।
12. হাবু ও তার দাদাদের মিলিয়ে মোট পোষা প্রাণীর সংখ্যা কত ?
উঃ। হাবু ও তার দাদাদের মিলিয়ে মোট পোষা প্রাণীর সংখ্যা একশো পঁচাত্তরটি ।
13. ভবানীপ্রসাদ মজুমদার কতগুলি ছড়া লিখেছেন ?
উঃ। তিনি এখনও পর্যন্ত প্রায় ষোলো হাজারের বেশি ছড়া লিখেছেন।
1.হাবু কোথায় গিয়ে কার কাছে নালিশ জানিয়েছিল ?
উঃ। হাবু থানায় গিয়ে দারোগাবাবুর কাছে নালিশ জানিয়েছিল।
2. হাবুর বড়দা, মেজদা ও সেজদা ঘরে কী কী পোষেন ?
উঃ। হাবুর বড়দা, মেজদা ও সেজদা ঘরে বিড়াল, কুকুর ও ছাগল পোষেন।
3. হাবুর করুণ অবস্থার জন্য সে নিজেও কীভাবে দায়ী ছিল বলে তোমার মনে হয় ?
উঃ। হাবু তার পোষা পায়রা উড়ে যাবার ভয়ে দরজা-জানলা খুলত না, তাই ঘরে বিশ্রী গন্ধ হত। তার এই অবস্থার জন্য সে নিজেও দায়ী ছিল।
4. দারোগাবাবু হাবুকে যে পরামর্শ দিলেন সেটি তার পছন্দ হল না কেন ?
উঃ। পরামর্শটি হাবুর পছন্দ না হওয়ার কারণ হল দারোগাবাবু বলেছিলেন গন্ধ লাগলে ঘরের দরজা জানালা খুলে দিতে। সেই পরামর্শমতো দরজা-জানলা খুলে দিলে তার নিজের দেড়শো পোষা পায়রা উড়ে যাবে।
5.দারোগাবাবুর কাছে হাবু তার যে দুঃখের বিবরণ দিয়েছিল, তা নিজের ভাষায় লেখো।
উঃ। হাবুরা একটা ঘরে চার ভাই মিলে থাকে। তার বড়দা সাতটা বিড়াল, মেজদা আটটা কুকুর ও সেজদা দশটা ছাগল পোষেন। সেই গন্ধে তার ঘরে থাকতে খুব কষ্ট হয়। এর একটা বিহিত দরকার। আর সে ঘরের দরজা-জানালা খুলতে পারে না। কারণ তা হলে তার পোষা দেড়শো পায়রা উড়ে যাবে।
6. তোমার পোষা বা তুমি পুষতে চাও এমন কোনো প্রাণীর ছবি আঁকো বা তার সম্পর্কে বন্ধুকে লেখো।
উঃ। ছবিটি নিজে আঁকো। সৌরভ, আমি একটি কুকুর পুষতে চাই। কুকুরটি পাগ বা স্পিৎজ প্রজাতির হলে ভালো হয়। গায়ের রঙটা বেশ কালোর দিকে হলে আরও ভালো। কুকুরটাকে নিয়ে আমি রোজ সকালে মাঠে বেড়াতে যাব। বাড়িতে থাকলে কুকুরটার সাথে খেলব এবং তার নাম দেব রকি। কুকুরটাকে স্নান করাব ও যত্ন করব। রাতে তাকে সঙ্গে নিয়ে ঘুমোব। কুকুরটি হবে আমার খুব ভালো বন্ধু।
7. দারোগাবাবু হাবুকে কী পরামর্শ দিয়েছিলেন ?
উঃ। দারোগাবাবু হাবুকে ঘরের সব জানালা দরজাগুলো সবসময় খুলে রাখতে পরামর্শ দিয়েছিলেন।
8. বললে করুণ সুরে'— কে করুণ সুরে কী বলেছিল ?
উঃ। হাবু করুণ সুরে দারোগাবাবুকে বলেছিল সব দরজা জানালা খুলে রাখলে তার নিজের দেড়শো পোষা পায়রা উড়ে যাবে।
9. শুনেই হাবু বেজায় কাবু’– হাবুর কাবু হওয়ার কারণ কী?
উঃ। হাবুকে দারোগাবাবু পরামর্শ দিয়েছিলেন সবসময় ঘরের জানলা দরজা খুলে রাখতে এতে ঘরে গন্ধ হবে না। কিন্তু দাদাদের পোষা প্রাণীর গন্ধে তার প্রাণ ওষ্ঠাগত হলেও সে নিজে যে দেড়শো পায়রা পোষে সেই খবর হাবু দারোগাবাবুকে জানায়নি। তাই দরজা-জানালা খুলে রাখলে তার সব পায়রা উড়ে যাবে এই ভেবেই হাবু কাবু হয়ে পড়েছিল।
No comments:
Post a Comment