👉( বিমলার অভিমান প্রশ্ন উত্তর )
⬛ কবি পরিচিতি :
কবি আল মাহমুদ ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকেই তাঁর কবিতা ও গল্প 'দৈনিক সত্যযুগ' পত্রিকায় ছাপা হয়। যখন তিনি দশম শ্রেণির ছাত্র তখন বাংলাদেশে ভাষা-বিদ্রোহ শুরু হলে তিনি তাতে সক্রিয়ভাবে যোগদান করেন। তিনি “দৈনিক গণকণ্ঠ কাগজের সম্পাদক ছিলেন। তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য কবিতার বইগুলি হল 'লোক-লোকান্তর', কলের কলস', ‘সোনালি কাবিন' 'মায়াবি পর্দা দুলে ওঠে' ইত্যাদি। তিনি বাংলাদেশের বিখ্যাত কবি, সে দেশের বাংলা আকাদেমি, একুশে পদক সহ বহু পুরস্কারে তিনি সম্মানিত হয়েছেন। এই কবিতাটি তাঁর 'পাখির কাছে ফুলের কাছে' কবিতার বই থেকে নেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালে ঢাকায় কবি প্রয়াত হন।
⬛ সারমর্ম:
কবি রাতের বেলা নারকেল গাছের লম্বা মাথার উপর ডাবের মতো ঠান্ডা গোলগাল চাঁদ দেখে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েন। তখন ঝিমধরা শহরটা থরথর করে কাঁপছিল। মিনারটাকে দেখে কবির মনে হয়, যেন কেউ দাঁড়িয়ে আছে, পাথরঘাটার গির্জেটাকে মনে হয় যেন লাল পাথরের ঢেউ। দরগাতলা পেরোতেই কবি যেই বাঁয়ে মোড় নেবেন তখন এক পাহাড় কবিকে আয় আয় বলে ডাক দেয়।
সেখান থেকে এগোতেই তিনি দেখেন জোনাকিদের দরবার বসেছে লালদিঘির পাড়ে। কবিকে দেখে দিঘির কালো জল ডাক দেয়, বলে তার পকেট থেকে পদ্য লেখার খাতা বার করতে, আজ রাতে রক্তজবার ঝোপের কাছে কাব্য হবে। দিঘির এই কথায় ফুল ও পাখিরা সবাই কলরব করে হেসে ওঠে। অগত্যা কবি ছড়ার বই খুলে বসে পাখির কাছে ফুলের কাছে, নিজের মনের কথা বলতে থাকেন।
⬛ সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো : প্রতিটা প্রশ্নের মান -1
১. জোনাকি এক ধরনের (পাখি/মাছ/পোকা/ খেলনা)।
উঃ। জোনাকি এক ধরনের পোকা।
২. ‘মোড়’ বলতে বোঝানো হয় (গোল/বাঁক/যোগ/ চওড়া)।
উঃ। ‘মোড়’ বলতে বোঝানো হয় বাঁক।
৩. ‘দরবার' শব্দটির অর্থ হল (দরজা/সভা/ দরগা / দোকান)।
উঃ। ‘দরবার' শব্দটির অর্থ হল সভা।
৪. প্রকৃতির সুন্দর চেহারা যে অংশটিতে ফুটে উঠেছে সেটি হল – (কাব্য হবে/মোড় ফিরেছি/কালো জল/ডাবের মতো চাঁদ উঠেছে)।
উঃ। প্রকৃতির সুন্দর চেহারা যে অংশটিতে ফুটে উঠেছে সেটি হল ডাবের মতো চাঁদ উঠেছে।
5. ডাবের মতো চাঁদটি হল (লম্বা/গোলগাল / চৌকো / বেঁটে)।
উঃ। ডাবের মতো চাঁদটি হল গোলগাল।
6. গির্জেটা ছিল (লাল/সাদা/নীল/সবুজ) পাথরের।
উঃ। গির্জেটা ছিল লাল পাথরের।
7. কবিকে ডাক দিল একটা (মাঠ/পুকুর/পাহাড় / জঙ্গল)।
উঃ। কবিকে ডাক দিল একটা পাহাড়।
8. দরবার বসেছে (পাখিদের / জোনাকিদের / ফুলেদের/পতঙ্গদের)।
উঃ। দরবার বসেছে জোনাকিদের।
9.সেদিন কাব্য হবে (রক্তজবার / ফণীমনসার / আকন্দর/গোলাপের) ঝোপের কাছে।
উঃ। সেদিন কাব্য হবে রক্তজবার ঝোপের কাছে।
10. দরগাতলা পার হয়ে যেই মোড় ফিরেছি (ডায়ে/বাঁয়ে/পাশে/ওধারে)।
উঃ। দরগাতলা পার হয়ে যেই মোড় ফিরেছি বাঁয়ে।
⬛এলোমেলো শব্দগুলিকে সাজিয়ে অর্থপূর্ণ বাক্য তৈরি করো :
1. মতো উঠেছে ও ডাবের চাঁদ ঠান্ডা গোলগাল।
উঃ। ডাবের মতো চাঁদ উঠেছে ঠান্ডা ও গোলগাল।
2. গির্জেটা লাল ঢেউ পাথরঘাটার কি পাথরের?
উঃ। পাথরঘাটার গির্জেটা কি লাল পাথরের ঢেউ?
3. আস্তে পেরিয়ে ঘর ছিটকিনিটা খুলে গেলাম।
উঃ। ছিটকিনিটা আস্তে খুলে পেরিয়ে গেলাম ঘর।
4. এক পাহাড় দিল আয় কোত্থেকে উটকো ডাক আয়।
উঃ। কোত্থেকে এক উটকো পাহাড় ডাক দিল আয় আয়।
5. দেখি বসেছে এগিয়ে জোনাকিদের দরবার।
উঃ। এগিয়ে দেখি জোনাকিদের দরবার বসেছে।
6. এসো সবাই ঘুমোনোর বলল আমরা না দল।
উঃ। বলল, এসো, আমরা সবাই না ঘুমোনোর দল।
7. ঝোপের কাব্য আজ রক্তজবার কাছে হবে।
উঃ। রক্তজবার ঝোপের কাছে কাব্য হবে আজ।
8.হবে কবে কলরব কাব্য কাব্য জুড়ল।
উঃ। কাব্য হবে, কাব্য কবে জুড়ল কলরব।
9.কাছে, কাছে, কথা পাখির ফুলের মনের কই।
উঃ। পাখির কাছে, ফুলের কাছে মনের কথা কই।
⬛ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর : প্রতিটা প্রশ্নের মান -2/3
১. ঘর থেকে বেরিয়ে কবি শহরটাকে কীভাবে দেখলেন?
উঃ। কবি দেখলেন যে এই ঝিমধরা মস্ত শহরটা যেন থরথর করে কাঁপছে।
২.মিনারটিকে দেখে কবির কী মনে হয়েছিল ?
উঃ। মিনারটিকে দেখে কবির মনে হয়েছিল কেউ যেন দাঁড়িয়ে আছে।
৩. কাকে দেখে কবির 'লাল পাথরের ঢেউ' বলে মনে হয়েছিল ?
উঃ। পাথরঘাটার গির্জেটাকে কবির লাল পাথরের ঢেউ বলে মনে হয়েছিল।
৪. কী পার হয়ে কবি বায়ে মোড় ফিরলেন ?
উঃ। দরগাতলা পার হয়ে কবি বাঁয়ে মোড় ফিরলেন।
৫. কবিকে কে আয় আয়' করে ডাকল?
উঃ। ‘আয় আয়’ করে কবিকেউটকো অর্থাৎ..... একটি পাহাড় ডাকল।
৬. চাঁদ কোথায় উঠেছে ও তাকে দেখতে কেমন ?
উঃ। চাঁদ নারকেল গাছের লম্বা মাথাতে উঠেছে এবং তাকে দেখতে ঠান্ডা অর্থাৎ স্নিগ্ধ ও গোলগাল।
৬. লালদিঘির পাড়ে কী বসেছিল?
উঃ। লালদিঘির পাড়ে জোনাকিদের দরবার বসেছিল।
৭. কবিকে দেখে কে ডাক দিল?
উঃ। কবিকে দেখে দিঘির কালো জল ডাক দিল।
৮. কবিকে দিঘির জল কোন্ দলে ফেলল ?
উঃ । কবিকে দিঘির জল না ঘুমোনোর দলে ফেলল।
৯. সবাই কৰিকে কোথায় কাব্য করতে বলল?
উঃ। সবাই কবিকে রক্তজবার ঝোপের কাছে কাব্য করতে বলল।
১০. দিঘির কথায় কারা হেসে উঠল?
উঃ। দিঘির কথায় ফুল ও পাখিরা হেসে উঠল এবং কলরব করতে লাগল।
১১. কবি কাদের কাছে কীভাবে মনের কথা বলতে লাগলেন ?
উঃ। কবি পকেট থেকে ছড়ার বই বের করে ফুল ও পাখির কাছে মনের কথা বলতে লাগলেন।
12. কবি আল মাহমুদ কোন্ দেশের মানুষ ?
উঃ । কবি আল মাহমুদ' বাংলাদেশের কুমিল্লা শহরের মানুষ।
13. তিনি কোন্ বিখ্যাত আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন?
উঃ। তিনি বাংলাদেশের ভাষা-বিদ্রোহ আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন।
14. তাঁর লেখা একটি বিখ্যাত বইয়ের নাম লেখো।
উঃ। তাঁর লেখা একটি বিখ্যাত বই হল বাংলা ।
১. কবি ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েছিলেন কেন?
উঃ। কবি এক রাতে দেখলেন নারকেল গাছের লম্বা মাথায় ডাবের মতো ঠান্ডা ও গোলগাল টা উঠেছে তা দেখতে পেয়ে ঘর থেকে তিনি বেরিয়ে পড়েছিলেন।
২. কৰি কেন ছিটকিনিটি আস্তে খুলে ঘর থেকে বেরিয়ে এলেন?
উঃ। রাতের বেলা চারিদিক নিস্তব্ধ। সবাই তখন ঘুমোচ্ছে, পাছে শব্দ হলে সবার ঘুম ভেঙে যায়। এটি কবি ছিটকিনিটি আস্তে খুলে ঘর থেকে বেরিয়ে এলেন।
৩. বাইরে বেরিয়ে এসে কবি শহরকে কেমন অবস্থায় দেখলেন ?
উঃ। বাইরে বেরিয়ে এসে কবির এই শহরকে দেখে মনে হল ঝিমধরা অবস্থায় মস্ত শহরটি যেন থরথর করে কাঁপছে।
৪. শহরে নেই, অথচ কবির মনে হল তিনি দেখছেন, এমন কোন্ কোন্ জিনিসের কথা কবিতায় রয়েছে?
উঃ। পাহাড়, জোনাকি এগুলি শহরে নেই। তবুও কবির মনে হয়েছে এগুলি তিনি দেখছেন।
৫. সেই রাতে জেগে থাকার দলে কারা কারা ছিল? তারা কবির কাছে কী আবদার জানিয়েছিল?
উঃ। সেই রাতে জেগে থাকার দলে ছিল পাহাড়, জোনাকি, দিঘির কালো জল, ফুল, পাখি। তারা কবির কাছে কবিতা শোনার আবদার জানিয়েছিল।
৬. তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে কবি কী করলেন?
উঃ। তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে কবি পকেট থেকে ছড়ার বই খুললেন এবং পাখির কাছে ও ফুলের কাছে মনের কথা বলতে লাগলেন।
৭. রক্তজবার ঝোপের কাছে কাব্যের যে আসর বসেছিল, সেই পরিবেশটি কেমন, তা নিজের ভাষায় লেখো।
উঃ। রক্তজবার ঝোপের কাছে লালদিঘিটা পার হয়ে এগিয়ে জোনাকিদের দরবার বসেছিল। সেখানে কলকলিয়ে দিঘির কালো জল কবিকে বলল, এসো এখানে সবাই না ঘুমিয়ে রয়েছে। দিঘির সেই কথায় হেসে উঠল সব ফুল পাখিরা। সমস্ত শহর যখন ঝিমধরা অবস্থায় থরথর করে কাঁপছে তখন কবি এদের সঙ্গে রাত জেগে ছড়ার বই খুলে নিজের মনের কথা বলতে শুরু করলেন।
No comments:
Post a Comment