⬛ সত্য / মিথ্যা নির্বাচন করো: প্রতিটা প্রশ্নের মান -1
1. মানুষ হল সর্বভুক প্রাণী ।
➤➣সত্য / মিথ্যা
2. ধান কাটার কাজে হারভেস্টার সাহায্য করলেও ধান ঝাড়াই-এ এর কোনো ভূমিকা নেই ৷
➤➣সত্য / মিথ্যা
3. আজ থেকে প্রায় 30-40 বছর আগে আমাদের দেশে চাষবাসের ক্ষেত্রে রাসায়নিক সার আর কীটনাশকের ব্যবহার বাড়তে শুরু করে।
➤➣সত্য / মিথ্যা
4. খাদ্যশস্যের ব্যাপক উৎপাদন বৃদ্ধি হল সবুজ বিপ্লব ।
➤➣সত্য / মিথ্যা
5. শীতকালে পাট চাষ করা হয়।
➤➣সত্য / মিথ্যা
6. দার্জিলিং- -এর প্রধান ফসল হল স্কোয়াশ।
➤➣সত্য / মিথ্যা
7. তরাই অঞ্চলে পর্বতের পাদদেশে ধান চাষ হয় ৷
➤➣সত্য / মিথ্যা
৪. ভাগীরথী নদীর জল জমিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য ডিভিসি তৈরি হয়েছিল।
➤➣সত্য / মিথ্যা
9. হুগলি জেলার পশ্চিমদিক আর হাওড়া জেলার পূর্বদিক খুবই বন্যাপ্রবণ।
➤➣সত্য / মিথ্যা
10. পশ্চিমের পাহাড়ি কাঁকুরে লাল মাটি অঞ্চলে নানারকম ডাল চাষ ভালো হয়।
➤➣সত্য / মিথ্যা
11. তরাই অঞ্চলে আতা, লেবু, আম, বেল ইত্যাদি ফল
ভালো হয়।
➤➣সত্য / মিথ্যা
12. দামোদর আর মুণ্ডেশ্বরী নদীর থেকে দূরে গেলে সবজি চাষ বেশি হয়।
➤➣সত্য / মিথ্যা
13. সমুদ্রের খুব কাছের মাটিতে নুন কম থাকে।
➤➣সত্য / মিথ্যা
14. দিঘার দিকটায় খুব কাজুবাদাম চাষ হয়।
➤➣সত্য / মিথ্যা
15. রুই, মৃগেল ও কাতলা ভেড়িতেই বেশি চাষ হয় ।
➤➣সত্য / মিথ্যা
16. সার্ডিন, চাঁদা, ভোলা এসব সমুদ্রের মাছ।
➤➣সত্য / মিথ্যা
17. পুঁটি, রুই, মৃগেল, কাতলা প্রভৃতি জিয়ল মাছ ।
➤➣সত্য / মিথ্যা
18. রুই, কাতলা, মৃগেল, কালবোস পোনা জাতীয় মাছ ৷
➤➣সত্য / মিথ্যা
19. এখন ন্যাদোশ, খরশুলা, সরপুঁটি মাছ খুব পাওয়া যায় ।
➤➣সত্য / মিথ্যা
20. রুই-কাতলা মাছ শোল-বোয়ালের বাচ্চাদের খেয়ে নেয়।
➤➣সত্য / মিথ্যা
21. বড়ো ফাঁদির জাল ব্যবহার করলে মৌরলা মাছ ধরা পড়ে।
➤➣সত্য / মিথ্যা
22. কৃষিকাজ শেখার আগে থেকে মানুষ মাছ ধরেছে।
➤➣সত্য / মিথ্যা
23. ঘুনি দিয়ে রুই, কাতলা মাছ ধরা হয়।
➤➣সত্য / মিথ্যা
24. পোলোর মধ্যে হাত ঢুকিয়ে মাছ ধরা হয় ।
➤➣সত্য / মিথ্যা
25. ঘুনি, পোলো, ছিপ সবই লোহা দিয়ে তৈরি।
➤➣সত্য / মিথ্যা
উত্তর: 1.সত্য 2.মিথ্যা 3.মিথ্যা 4.সত্য 5.মিথ্যা 6.মিথ্যা 7.মিথ্যা 8.মিথ্যা 9.সত্য 10.সত্য 11.মিথ্যা 12.মিথ্যা 13.মিথ্যা 14.সত্য 15.মিথ্যা 16.সত্য 17.মিথ্যা 18.সত্য 19.মিথ্যা 20.মিথ্যা 21.মিথ্যা 22.সত্য 23.সত্য 24.মিথ্যা 25.মিথ্যা
⬛একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাও: প্রতিটা প্রশ্নের মান -1
1. কী করে চাষ করলে বেশি শস্য পাওয়া যায় ?
উত্তর: ভালো করে মাটি খুঁড়ে চাষ করলে বেশি শস্য পাওয়া যায়।
2. পাওয়ার টিলার ছাড়া আর কোন যন্ত্র জমি চষতে পারে ?
উত্তর: পাওয়ার টিলার ছাড়া ট্র্যাক্টর জমি চযতে পারে।
3. হারভেস্টার যন্ত্রের সাহায্যে কৃষির কী কী কাজ হয়ে থাকে ?
উত্তর: হারভেস্টার যন্ত্রের সাহায্যে ধান কাটা, খড় থেকে ধান আলাদা করা এবং ঝাড়াই ধান এক জায়গায় জড়ো করা ইত্যাদি কাজ হয়ে থাকে।
4. ফসলের গাছ থেকে শস্যকে আলাদা করার দুটি আধুনিক যন্ত্রের নাম লেখো ।
উত্তর: ফসলের গাছ থেকে শস্যকে আলাদা করার দুটি আধুনিক যন্ত্র হল—কম্বাইন ও মাড়াইকল ।
5. কাদের বুদ্ধিতে প্রথমে চাষ শুরু হয়েছিল ?
উত্তর: মেয়েদের বুদ্ধিতে প্রথমে চাষ শুরু হয়েছিল।
6. মানুষে টানা লাঙল কী কী দিয়ে তৈরি করা হত ?
উত্তর:মানুষে টানা লাঙল কাঠ ও লোহার ফলা দিয়ে তৈরি করা হত।
7. এখন কীভাবে লাঙল টানা হয় ?
উত্তর:এখন মানুষ গোরু, মহিষ, ঘোড়া প্রভৃতিকে পোষ মানিয়ে তাদের দিয়ে লাঙল চালায়।
৪. আগেকার দিনে পুরুষেরা কী কাজ করত ?
উত্তর:চাষের কাজ শুরু হওয়ার আগে পুরুষরা শিকার করত, বনের ফল-পাতা সংগ্রহ করে নিয়ে আসত।
9. চাষ-আবাদ শুরুর দিকে জমিতে সার হিসেবে কী ব্যবহার করা হত ?
উত্তর: গোবর সার ব্যবহার করা হত।
10. আজ থেকে কত বছর আগে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার শুরু হয় ?
উত্তর আজ থেকে 40-45 বছর আগে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার শুরু হয়।
11. রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করলে কী ক্ষতি হয় ?
উত্তর রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করলে জমিতে থাকা বন্ধু পোকারা মরে যাবে।
12. জমির বন্ধু বা কৃষকের বন্ধুর একটি উদাহরণ দাও ।
উত্তর:কেঁচো হল জমির বন্ধু।
13. শীতকালে চাষ হয় এমন দুটি ফসলের নাম লেখো ।
উত্তর: আলু ও কপি।
14. গরমের সময়ে চাষ হয় এমন দুটি ফসলের নাম লেখো।
উত্তর: ঝিঙে ও পটোল ।
15. আগেকার দিনে কত রকম ধান চাষ করা হত ও কী কী ?
উত্তর: আউশ ধান ও আমন ধান ৷
16. কোন্ ধানের গাছগুলি বড়ো এবং নীচু জমিতে চাষ। যা হয় ?
উত্তর: আমন ধানের গাছগুলি বড়ো এবং নীচু জমিতে চাষ হয়।
17. আগেকার দিনে ধান ঝাড়ার জন্য ব্যবহৃত ধান- ঝাড়ন কী দিয়ে তৈরি করা হত ?
উত্তর:চেরা বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হত।
18. পাহাড়ি ঢালু কাঁকুরে মাটিতে ধান ছাড়া আর কী কী চাষ করা হয় ?
উত্তর: ডাল, ভুট্টা, বাদাম ইত্যাদি ।
19. স্কোয়াশ গাছ কী রকম ?
উত্তর: স্কোয়াশ এক ধরনের লতানো গাছ, যা ঝিঙে গাছের মতো দেখতে। এই গাছের ফল খেতে অনেকটা পেঁপের মতো।
20. দার্জিলিং-এর পাহাড়ে উৎপন্ন হয় এমন একটি শীতকালীন ফলের নাম লেখো।
উত্তর: দার্জিলিং-এর পাহাড়ে উৎপন্ন হয় এমন একটি শীতকালীন ফলের নাম হল কমলালেবু।
21. তরাই অঞ্চল কাকে বলে ?
উত্তর: হিমালয়ের পাদদেশের পলি-বালিযুক্ত স্যাঁতসেঁতে সমভূমিকে তরাই অঞ্চল বলে।
22. তরাই-এর সমতলের পরিবেশ কেমন ?
উত্তর:তরাইয়ের সমতলের জমি ঢালু। এই জমিতে জল দাঁড়ায় না। এখানকার আবহাওয়া খুব গরমও নয় এবং বৃষ্টিপাত মাঝারি ধরনের।
23. দার্জিলিং-এর চায়ের স্বাদ ও গন্ধ আলাদা কেন ?
উত্তর: দার্জিলিং-এর আবহাওয়ার জন্য চায়ের স্বাদ ও গন্ধ আলাদা হয়।
24. তরাই-এর কী কী ফল বিখ্যাত ?
উত্তর তরাই-এর আনারস ও কলা খুব বিখ্যাত ।
25. তরাই-এর বৃষ্টি কেমন ?
উত্তর: তরাই-এর বৃষ্টির পরিমাণ উত্তরের পর্বতের চেয়ে কম কিন্তু দক্ষিণবঙ্গের চেয়ে বেশি, অর্থাৎ এখানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ মাঝারি ।
26. মালদা ও দিনাজপুরের একটি বিখ্যাত ফলের নাম লেখো।
উত্তর: মালদা ও দিনাজপুরের একটি বিখ্যাত ফল হল ফজলি আম ।
27. অনুর্বর অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ চাষযোগ্য গাছের নাম লেখো ।
উত্তর: অনুর্বর অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ চাষযোগ্য গাছের নাম হল তুঁত গাছ ।
28. ভাগীরথীর পূর্বদিকের জমি কেমন ?
উত্তর: ভাগীরথীর পূর্বদিকের জমি পুরো সমতল ।
29. আলু গাছের পাতা কেমন ?
উত্তর: ছোটো ছোটো সবুজ পাতা, যা চা-গাছের চেয়েও ছোটো ।
30. আলুর পাতা দিয়ে কী তৈরি করা হয় ?
উত্তর: আলুর পাতা দিয়ে জমির সার তৈরি করা হয়।
31. গাঙ্গেয় বদ্বীপ অঞ্চলে কেমন ধরনের ধানের চাষ বেশি হয় ?
উত্তর: গাঙ্গেয় বদ্বীপ অঞ্চলে উচ্চফলনশীল ধানের চাষ বেশি হয়।
32. গঙ্গার পশ্চিমদিকের দামোদরের কাছের সমতল অঞ্চল কী নামে পরিচিত ?
উত্তর: গঙ্গার পশ্চিমদিকের দামোদরের কাছের সমতল অঞ্চল রাঢ় অঞ্চল নামে পরিচিত।
33. ডিভিসি-র পুরো কথাটি কী ?
উত্তর:ডিভিসি-র পুরো কথাটি হল— দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন।
34. পশ্চিমবঙ্গের রাঢ় অঞ্চলের একটি নদীর উদাহরণ দাও।
উত্তর: পশ্চিমবঙ্গের রাঢ় অঞ্চলের একটি নদী দামোদর।
35. ডিভিসি কী কারণে গঠন করা হয়েছিল ?
উত্তর: ডিভিসি গঠন করার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল বন্যা বন্ধ করা।
36. ডিভিসি কোন্ নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ?
উত্তর: ডিভিসি দামোদর নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে।
37. ডিভিসি গঠনের মাধ্যমে বর্ষার জল পুরোটা আটকে রাখা যায় না কেন ?
উত্তর:ডিভিসি গঠনের মাধ্যমে যতগুলি জলাধার তৈরি করার কথা ছিল ততগুলি করা সম্ভব হয়নি বলেই বর্ষার জল পুরোটা আটকে রাখা যায় না।
38. ডিভিসির ছাড়া জলে কোন্ অঞ্চলে খুব বন্যা হয় ?
উত্তর: হুগলি জেলার পশ্চিমদিকে আর হাওড়া জেলার পূর্বদিকে খুব বন্যা হয়।
39. গঙ্গার কোন্ দিকে বেশি সবজি চাষ হয় ?
উত্তর: গঙ্গার পূর্বদিকে বেশি সবজি চাষ হয়। তবে পশ্চিম- দিকের কয়েক কিমি জায়গাতেও সবজি চাষ হয় ।
40. নারকেল ও সুপারি গাছ কোন্ অঞ্চলে বেশি দেখা যায় ?
উত্তর: পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিকে নারকেল, সুপারি গাছ বেশি দেখা যায় ।
41. ফুটি, তরমুজ কোন্ মাটিতে ভালো হয় ?
উত্তর: পলিমাটির ওপর ফুটি, তরমুজ বেশি ভালো হয়।
42. কোথায় ফুলের চাষ বেশি হয় ?
উত্তর: শহরের কাছাকাছি অঞ্চলে ফুলের চাষ বেশি হয়।
43. পশ্চিমের পাহাড়ি অঞ্চলে বৃষ্টিপাত কেমন হয় ?
উত্তর: পশ্চিমের পাহাড়ি অঞ্চলে খুব কম বৃষ্টিপাত হয়।
44. কোন্ কোন্ ফসল চাষে কম জল লাগে ?
উত্তর: মটর, অড়হর, মশুর, বিউলি, বরবটি, শিম, ভুট্টা ও বাদাম চাষে জল কম লাগে।
45. কাঁকুরে লালমাটি অঞ্চলে ফলে এমন কয়েকটি ফলের নাম লেখো ।
উত্তর:কাঁকুরে লালমাটি অঞ্চলে আতা, মুসম্বি, লেবু, আম, বেল ইত্যাদি ফল ভালো হয়।
46. দক্ষিণের নোনা জমিতে কৃষিকাজ ছাড়া আর কী চাষ হয় ?
উত্তর:দক্ষিণের নোনা জমিতে কৃষিকাজ ছাড়া মাছ চাষও হয়।
47. সমুদ্রের খুব কাছের মাটি কৃষির পক্ষে কেমন ?
উত্তর: সমুদ্রের খুব কাছের মাটি কৃষির পক্ষে ভালো নয়, কারণ এই মাটিতে নুন বেশি পরিমাণে থাকে।
48. দক্ষিণের নোনা জমিতে কী রকম ধানের চাষ হয় ?
উত্তর: দক্ষিণের নোনা জমিতে আমন ধানের চাষ কম হয়, কিন্তু কয়েকটি উচ্চ ফলনশীল ধানের চাষ বেশি হয়।
49. দক্ষিণের নোনা জমিতে কোন্ কোন্ ফসল ফলে ?
উত্তর:দক্ষিণের নোনা জমিতে লংকা, সূর্যমুখী, ভুট্টা, খেসারি ইত্যাদি যথেষ্ট ফলে। এ ছাড়া শাকসবজিও যথেষ্ট হয়।
50. দক্ষিণের নোনা মাটিতে ভালো ফলে এমন দুটি ফলের নাম বলো।
উত্তর: দক্ষিণের নোনা মাটিতে নারকেল, সবেদা ইত্যাদি খুব ভালো ফলে।
51. ভেড়ি কী ?
উত্তর: ভেড়ি হল মানুষের তৈরি বদ্ধ জলাশয়, যাতে জল ধরে রেখে মাছ চাষ করা হয়।
52. উপকূল অঞ্চলের মানুষ কোথায় মাছ ধরতে যান ?
উত্তর উপকূল অঞ্চলের মানুষ সমুদ্রে মাছ ধরতে যান ।
53. গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য কোন জলযান ব্যবহার করা হয় ?
উত্তর গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য ট্রলার ব্যবহার করা হয়।
54. সমুদ্র থেকে পাওয়া যায় এমন কয়েকটি মাছের নাম করো ।
উত্তর: ইলিশ, সার্ডিন, চাঁদা, ভোলা, লোটে, পমফ্রেট, বম্বেডাক প্রভৃতি মাছ পাওয়া যায় ।
55. হলদিয়া ও দিঘা কোন্ উপকূলে অবস্থিত ?
উত্তর: হলদিয়া ও দিঘা বঙ্গোপসাগরের উপকূলে অবস্থিত।
56. জিয়ল মাছ কাকে বলে ?
উত্তর:যেসব মাছ কাদাময় কালো জলে বাস করতে পছন্দ করে এবং কম পরিমাণ অক্সিজেনযুক্ত জলে বসবাস করতে পারে, তাদের জিয়ল মাছ বলে।
57. কোন্ কোন্ মাছ ধানখেতে বেশিদিন বেঁচে থাকত ?
উত্তর:কই, চ্যাং, ল্যাটা, শিঙি, মাগুর, শোল প্রভৃতি মাছ ধানখেতে বেশিদিন বেঁচে থাকত।
58. ধানখেতে থাকা মাছের বাচ্চাদের কোন প্রাণীরা খেয়ে নিত ?
উত্তর:ধানখেতে থাকা মাছের বাচ্চাদের কোলাব্যাং, জলঢোঁড়া সাপ খেয়ে নিত।
59. ধানখেতে বর্তমানে আর মাছ পাওয়া যায় না কেন ?
উত্তর:ধান চাষের জমিতে প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক সার আর কীটনাশক ছড়ানোর ফলে বর্তমানে আর ধানখেতে মাছ পাওয়া যায় না ।
60. কয়েকটি মিষ্টি জলের মাছের নাম লেখো ৷
উত্তর: কয়েকটি মিষ্টি জলের মাছ হল—রুই, কাতলা, কালবোস, মৃগেল, বাটা, সিলভার কার্প, মৌরলা, পুঁটি ইত্যাদি।
61. কয়েকটি সম্পূর্ণ বা পুরোপুরি নোনা জলের মাছের নাম লেখো।
উত্তর:পমফ্রেট, সার্ডিন, হাঙর, কড প্রভৃতি সম্পূর্ণ নোনাজলের মাছ।
62. বেশি কাঁটাযুক্ত দুটি মাছের নাম লেখো ।
উত্তর: বেশি কাঁটা থাকে এমন দুটি মাছ হল—ইলিশ ও ফলুই মাছ ।
63. নিশ্চিহ্ন হওয়ার মুখে এমন দুটি মাছের নাম লেখো।
উত্তর: সরপুঁটি, ন্যাদোশ প্রভৃতি মাছ নিশ্চিহ্ন হওয়ার মুখে।
64. কোন্ ধরনের মাছ হাটেবাজারে কেনাবেচা করা চলবে না ?
উত্তর: ন্যাদোশ, সরপুঁটি, খরশুলা মাছ হাটেবাজারে কেনাবেচা করা চলবে না, কারণ এরা লুপ্তপ্রায়।
65. বড়ো ফাঁদির জাল ব্যবহার করা উচিত কেন ?
উত্তর:বড়ো ফাঁদির জাল ব্যবহার করলে মৌরলা জাতীয় ছোটো ছোটো লুপ্তপ্রায় মাছ তাতে ধরা পড়বে না, ফলে সেগুলি বেঁচে যাবে ও অবলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা পাবে।
66. জলের মধ্যে গাছ থাকলে তাতে কী কী মাছ থাকে ?
উত্তর: জলের মধ্যে গাছ থাকলে তাতে কই, খলসে, ন্যাদোশ জাতীয় মাছ থাকে। এ ছাড়া বেলে, মাগুর, শিঙিদেরও সেখানে রাখা যায়।
67. জলের পরিবেশ ঠিক রাখতে গেলে সব মাছকেই বাঁচানো দরকার কেন ?
উত্তর: জলের পরিবেশ ঠিক রাখতে গেলে সব মাছকেই বাঁচানো দরকার, নইলে খাদ্যশৃঙ্খলটাই ভেঙে পড়বে।
68. কয়েকটি বৃহৎ মাংসাশী মাছের নাম লেখো। অথবা, রুই-কাতলার পোনা খেয়ে শেষ করে দেয় কোন্ মাছ ?
উত্তর: শাল, শোল, বোয়াল, ভেটকি, চিতল ইত্যাদি হল বৃহৎ মাংসাশী মাছ বা রাক্ষুসে মাছ।
69. জাল কী কী কাজে লাগে ?
উত্তর:মাছ ধরতে গেলে জাল লাগে। এ ছাড়া মাছ ঠিকঠাক বাড়ছে কি না তা দেখতেও জাল লাগে ।
70. মাছ ধরার কয়েকটি জিনিসের নাম লেখো।
উত্তর: ঘুনি, পোলো বা ফলুই, ছিপ ইত্যাদি হল মাছ ধরার কয়েকটি জিনিস।
71. ঘুনি কী ?
উত্তর:বর্ষাকালে স্রোতযুক্ত জলের মুখে বাঁশের শলা দিয়ে তৈরি যে-বাক্স আকৃতির খাঁচার সাহায্যে ছোটো ছোটো মাছ ধরা হয়, তাকে ঘুনি বলে ।
72. পোলো কী ?
উত্তর: ডোবা, পুকুর বা অল্প জলে মাছ ধরার জন্য চেরা বাঁশ দিয়ে তৈরি যে-বিশেষ খাঁচা তৈরি করে মাছকে তার মধ্যে ঘিরে হাত ঢুকিয়ে মাছ ধরা হয়, তাকে পোলো বলে ।
73. পুকুরপাড়ে বসে মাছ ধরার জন্য কোন্ কোন্ কৌশল ব্যবহার করা যেতে পারে ?
উত্তর: পুকুরপাড়ে বসে মাছ ধরার জন্য বড়শি বা ছিপ ব্যবহার করা যেতে পারে, এ ছাড়া জাল ফেলেও মাছ ধরা যেতে পারে।
⬛ দু-তিনটি বাক্যে উত্তর দাও:
1. হারভেস্টারের কাজ কী ?
উত্তর:হারভেস্টার একটি অত্যাধুনিক যন্ত্র। এই যন্ত্রের সাহায্যে একইসঙ্গে ধান কাটা, মাড়াই, ধান ঝাড়া ও ঝাড়া ধানকে একজায়গায় জড়ো করে সহজেই রাখা যায়। ফসল তোলার ক্ষেত্রে খুব কম সময়ে ও কম পরিশ্রমে হারভেস্টার এই কাজগুলি করে।
2. শস্য উৎপাদন করে বা চাষবাস থেকে আগেকার মানুষ কী সুবিধা পেয়েছিল ?
উত্তর: চাষবাসের সুবিধাঃ চাষবাসের ফলে উৎপন্ন ফসল যেমন খাওয়া যায় • তেমনই ভবিষ্যতের জন্যও তা সঞ্চয় করে রাখা যায় । গবাদিপশু, যেমন— গোরু, মহিষ, ঘোড়া প্রভৃতি প্রাণীদের খড় খাইয়ে পোষা যেত এবং তাদের দিয়ে চাষের কাজে প্রভূত সুবিধা পাওয়া যেত।
3. মেয়েদের বুদ্ধিতে কীভাবে চাষ শুরু হল ?
উত্তর: মেয়েরা ঘরের কাজ সামলাতে সামলাতে একদিন দেখল বীজ পড়া জায়গা থেকে কচি কচি গাছ বেরোচ্ছে। তারা তখন ভাবল গাছ লাগিয়ে যত্ন করে বড়ো করা দরকার। তাহলে খাওয়ার শস্য পাওয়া যাবে। এভাবে মেয়েদের বুদ্ধিতে চাষ শুরু হল।
4.সার কী ?
উত্তর: যেসব জৈব ও অজৈব পদার্থ মাটিতে থেকে অথবা বাইরে থেকে আলাদা করে প্রয়োগ করে উদ্ভিদের পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি মিটিয়ে উদ্ভিদের বৃদ্ধি ঘটায় এবং ফসলের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে, তাকে সার বলে।
5. সার কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর:সার সাধারণত তিন প্রকার, যথা— (a) জৈবসার, (b) অজৈব সার বা রাসায়নিক সার এবং (c) অণুজীব সার।
6. রাসায়নিক সার কাকে বলে ? উদাহরণ দাও ।
উত্তর: কৃত্রিম উপায়ে কলকারখানাতে যেসব সার প্রস্তুত হয় এবং যা শস্যের ফলন ব্যাপক হারে বাড়ানোর জন্য প্রয়োগ করা হয়, তাকে রাসায়নিক সার বলে। উদাহরণ: ইউরিয়া, সুপার ফসফেট, পটাশ ইত্যাদি।
7. জৈবসার কাকে বলে ? উদাহরণ দাও ।
উত্তর: উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহাবশেষ, বর্জ্যপদার্থ, আণুবীক্ষণিক জীব ইত্যাদি পচে যে-সারে পরিণত হয়, তাকে জৈবসার বলে।
উদাহরণ: সবুজ সার, খামারের সার, গোবর সার ইত্যাদি।
8. বর্তমানে চাষিরা প্রাকৃতিক কীটনাশক ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছেন কেন ?
উত্তর: রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহারে মানুষের স্বাস্থ্যের যেমন ক্ষতি হয় তেমনই পরিবেশেরও ক্ষতি হয়, তাই চাষি এখন প্রাকৃতিক কীটনাশক ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছে।
9. মৌমাছি ও রেশমপোকাকে অর্থকরী পোকা বলার কারণ কী ?
উত্তর: মৌমাছি মৌচাক বানায়, যা থেকে আমরা মধু, মোম ইত্যাদি পাই, আবার রেশমপোকা রেশমগুটি তৈরি করে, যা থেকে আমরা রেশম পাই, তাই মৌমাছি ও রেশমপোকাকে অর্থকরী পোকা বলে ।
10. কোন ঘটনাকে ভারতের সবুজ বিপ্লব বলা হয় ?
উত্তর:স্বাধীনতার পর ভারতবর্ষে ছয়-এর দশকে উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে কৃষিক্ষেত্রে ফসল উৎপাদনের ব্যাপক উন্নতি ঘটেছিল, ফলে জমিতে সার- কীটনাশকের ব্যবহার বাড়ল। কিছু অব্যবহৃত জমিতেও চাষের কাজ শুরু হল। ফলে প্রচুর পরিমাণে ফসল উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে আমরা খাদ্যের ব্যাপারে স্বাবলম্বী হলাম। এই ঘটনাকে ভারতের সবুজ বিপ্লব বলে ।
11. ধাপ চাষ কোথায় করা হয় ? এই পদ্ধতিতে কোন্ কোন্ ফসলের চাষ করা হয় ?
উত্তর: ধাপ চাষ পাহাড়ের ঢালু জমিতে সিঁড়ির মতো ধাপে ধাপে মাটি কেটে করা হয়। এই পদ্ধতিতে ধান চাষ কম করা হলেও শাকসবজি, ভুট্টা, গম, আলু, ডাল ইত্যাদি চাষ করা হয়।
12. চা চাষের জন্য কেমন জলবায়ু দরকার ?
উত্তর: চা-চাষের জন্য পাহাড়ি ঢালু জমি ভালো। চা চাষের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাত দরকার হয়, কিন্তু জমিতে জল জমে থাকা চলে না। মাটি একটু আম্লিক হলে ভালো হয়। এ ছাড়া সারাবছর ঠান্ডা আবহাওয়া থাকা দরকার। পর্বতের পাদদেশের বিস্তীর্ণ ঢালু জমি যেখানে জল দাঁড়ায় না এবং আবহাওয়া ঠান্ডা কিংবা নাতিশীতোয় এরকম অঞ্চলে (তরাই) প্রচুর চা চাষ হয় ।
13. তরাই অঞ্চলে কৃষিজ ফসলের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও ।
উত্তর: তরাই পর্বতের পাদদেশের ঠান্ডা আবহাওয়ায় চা -এর চাষ হয়। আর পলিজমা উর্বর সমভূমি অঞ্চলে ধান, পাট, গম, বাদাম ও নানারকম সবজির চাষ হয়। এ ছাড়া ফলের মধ্যে প্রচুর আনারস ও কলা চাষ হয় ।
14. শহরের কাছাকাছি অঞ্চলে ফুলের চাষ বেশি হয়। এবং বাজারও বেশিরভাগ শহরে হয় কেন ?
উত্তর: শহরের কাছাকাছি অঞ্চলে ফুলের চাষ বেশি হয়, কারণ শহরে ফুলের চাহিদা বেশি, এবং সেই তুলনায় বাজারদরও বেশি হয়।ফুল খুব তাড়াতাড়ি শুকিয়ে ও পচে নষ্ট হয়ে যায়। শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় সহজেই তা বাজারে আনা সম্ভব হয়। এ ছাড়া শহরেই ফুলের বাজার হওয়ায় শহরের কাছাকাছি অঞ্চলে ফুলের চাষ হয়।
15. কাঁকুরে লালমাটি অঞ্চলে ইদানীং ধান চাষ কিছুটা বাড়ার কারণ কী ?
উত্তর: কাঁকুরে লালমাটি অঞ্চলে মানুষ উঁচু জায়গার মাটি কেটে ঢালের দিকে দিচ্ছে। এর ফলে ছোটো ছোটো চাষের জমি তৈরি হচ্ছে। জমির চারপাশে আল দিয়ে বর্ষার জল আটকে রেখে উচ্চ ফলনশীল ধান চাষ হচ্ছে, তাই ইদানীং কাঁকুরে লালমাটি অঞ্চলে ধান চাষ কিছুটা বেড়েছে ।
16. দক্ষিণের নোনা জমির কৃষিকাজের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও ।
উত্তর:দক্ষিণের নোনা জমিতে মাটি চাষের পক্ষে খুব ভালো না হলেও এখানে বর্তমানে উচ্চফলনশীল ধান, নারকেল খুব চাষ হয়। এ ছাড়া সবেদা, পেয়ারা, তরমুজ, পান চাষ হয়। এই অঞ্চলে লংকা, সূর্যমুখী, ভুট্টা, খেসারি এবং নানান শাকসবজিও চাষ হয়। দিঘার দিকে কাজুবাদাম চাষ হয়।
18. আগে দক্ষিণের নোনা জমিতে কেমন ধরনের ধান চাষ হত ? এখন সেখানে কি ধরনের ধান চাষ হয় ?
উত্তর: আগে দক্ষিণের নোনা জমিতে দেশি আমন ধানের চাষ হত। এখন সেখানে উচ্চফলনশীল ধান চাষ হয় ।
19. বর্ষাকালে মাছ পুকুর থেকে কোথায় কীভাবে চলে আসে ?
উত্তর: বর্ষাকালে মাছ পুকুর থেকে মাঠে চলে আসে। বর্ষাকালে খুব বৃষ্টি হলে মাঠ থেকে পুকুরে জল ঢোকে। স্রোতের উলটো দিকে সাঁতার কেটে মাছ পুকুর থেকে মাঠে চলে যায়। এভাবে আগে ধানখেত মাছে ভরে যেত ।
20. পোনা মাছ কাকে বলে ? উদাহরণ দাও ।
উত্তর: মিষ্টি জলে বসবাসকারী যেসব অস্থিযুক্ত মাছের মাথায় আঁশ থাকে না, অতিরিক্ত শ্বাসযন্ত্র ও চোয়ালে দাঁত থাকে না, তবে পেটের ভেতর পটকা থাকে, তাদের পোনা বা কার্প বলে ।
উদাহরণ: রুই, কাতলা, মৃগেল ইত্যাদি ।
No comments:
Post a Comment