সপ্তম অধ্যায় "পরিবেশ , খনিজ ও শক্তি সম্পদ" প্রশ্ন উত্তর পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করো
👉( সপ্তম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর )
⬛ সত্য / মিথ্যা নির্বাচন করো: প্রতিটা প্রশ্নের মান -1
1. লালপান্ডা দার্জিলিং-সিকিমের বনে দেখা যায় ।
➤➣সত্য / মিথ্যা
2. ওক, ফার, বার্চ, রডোডেন্ড্রন পার্বত্য অঞ্চলের গাছ ।
➤➣সত্য / মিথ্যা
3. মেছোবিড়াল, ভোঁদড়, কুমির সুন্দরবনের নদী, খাঁড়ি ও তার আশেপাশে দেখা যায় ।
➤➣সত্য / মিথ্যা
4. পলাশ, ইউক্যালিপ্টাস প্রভৃতি গাছ পশ্চিমের লাল কাঁকুরে মাটিতে ভালো হয় ৷
➤➣সত্য / মিথ্যা
5. বন থেকে কাঠ, কাগজ পাওয়া গেলেও ওষুধ পাওয়া সম্ভব নয়।
➤➣সত্য / মিথ্যা
6. অল্প কিছুদিন আগে স্থলের বেশিরভাগটাই ছিল বন ।
➤➣সত্য / মিথ্যা
7. বনভূমি বাড়লে পশুরা বারবারই লোকালয়ে চলে আসবে।
➤➣সত্য / মিথ্যা
৪. চাষ করতে শেখার আগে মানুষ গাছপালা কাটত ৷
➤➣সত্য / মিথ্যা
9. গাছের মূল থেকে অক্সিজেন পাওয়া যায় ।
➤➣সত্য / মিথ্যা
10. সুন্দরবনের মানুষ, বাঘের জন্যেই গাছ কাটতে ভয়
পায়।
➤➣সত্য / মিথ্যা
11. গন্ডারের খড়্গেগের ভেষজ গুণ থাকার জন্য সেটি খুব কত দামি।
➤➣সত্য / মিথ্যা
12. হাতির দাঁত পাওয়ার লোভে তাদের মারা হয় ।
➤➣সত্য / মিথ্যা
13. বাঘ-সহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী হত্যা করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ ।
➤➣সত্য / মিথ্যা
উত্তর: 1.সত্য 2.সত্য 3.সত্য 4.সত্য 5.মিথ্যা 6.সত্য 7.মিথ্যা 8.মিথ্যা 9.মিথ্যা 10.সত্য 11.মিথ্যা 12.সত্য 13.সত্য
⬛ একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাও: প্রতিটা প্রশ্নের মান -1
1. বনের পতঙ্গ প্রাণী কোনগুলি ?
উত্তর: মৌমাছি ও প্রজাপতি হল বনের পতঙ্গ প্রাণী ।
2. বনে প্রাপ্ত কাঠ উৎপাদনকারী দুটি গাছের নাম লেখো ৷
উত্তর: শাল ও সেগুন।
3. উঁচু পার্বত্য অঞ্চলের বনে পাওয়া যায় এমন দুটি গাছের নাম লেখো ।
উত্তর: ওক, রডোডেন্ড্রন। এ ছাড়া পাইন গাছ ।
4. গাছের কোন্ কোন্ অংশ ওষুধ তৈরিতে কাজে লাগে ?
উত্তর: গাছের পাতা, লতা, মূল, ছাল প্রায় সব অংশই ওষুধ তৈরিতে কাজে লাগে। যেমন—সিঙ্কোনা গাছের ছাল থেকে ম্যালেরিয়ার ওষুধ তৈরি হয়।
5. দার্জিলিং-এর পার্বত্য অঞ্চলের একটি বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীর নাম লেখো ৷
উত্তর: লাল পান্ডা।
6. থালা, বাটি গাছের কোন অংশ থেকে তৈরি হয় ?
উত্তর:গাছের (শাল, পলাশ) পাতা দিয়ে থালা, বাটি তৈরি করা হয়।
7. দুটি লম্বা গাছের নাম লেখো ।
উত্তর: দুটি লম্বা গাছের নাম হল নারকেল ও ইউক্যালিপ্টাস ।
8. আমাদের রাজ্যে কোন্ বনে বাঘ আছে ?
উত্তর:সুন্দরবনে বাঘ আছে।
9. দড়ি তৈরিতে ব্যবহার করা যায় এমন দুটি গাছের নাম লেখো ।
উত্তর: পার্ট ও নারকেল।
10. সবসময় সবুজ থাকে এমন দুটি গাছের নাম লেখো ।
উত্তর: আম গাছ ও বকুল গাছ ।
11. বছরে অন্তত একবার সব পাতা ঝরিয়ে দেয় এমন দুটি গাছের উদাহরণ দাও ।
উত্তর:আমড়া ও নিম ।
12. মানুষ কেন গাছ কাটতে শুরু করল ?
উত্তর: চাষবাস শেখার ফলে ও চাষের জমি তৈরি করার জন্য মানুষ গাছ কাটতে শুরু করল।
13. চাষের জমি বাড়াবার দরকার হল কেন ?
উত্তর: অধিক লোকসংখ্যার জন্য খাবারের চাহিদা মেটাতে চাষের জমি বাড়াবার দরকার হয়ে পড়ল।
15.হাতি-বনগুলির গুরুত্ব ছিল কেন ?
উত্তর: হাতি-বনগুলি রাজার দখলে ছিল। বনের হাতি রাজার সেনাবাহিনীতে কাজে লাগত। ভারতে যুদ্ধের কাজে হাতি খুব ব্যবহার করা হত। তাই হাতি-বনগুলির খুব গুরুত্ব ছিল।
15. শহরের বাতাসে ধুলো-ধোঁয়া বেড়ে যাওয়ার কারণ কী ?
উত্তর: শহরে বনভূমি বা গাছপালা নেই বললেই চলে, উপরন্তু কলকারখানার সংখ্যা বেশি। এ ছাড়াও যানবাহন থেকে ধুলো-ধোঁয়া বেরোয়, সেজন্য শহরের বাতাসে ধুলো-ধোঁয়া বেশি ।
16. শ্বাসকষ্টের অসুখ কোথায় বেশি হয় ?
উত্তর: শ্বাসকষ্টের অসুখ শহরের লোকেদের বেশি হয়।
17. বনের মধ্যে থাকা আমবাগান ও পুকুরটির নাম কী ?
উত্তর: বনের মধ্যে থাকা আমবাগানটির নাম বিশালাক্ষীর আমবাগান ও পুকুরটির নাম বিশালাক্ষীর পুকুর।
18. দৌলত মাজারের বনে কোন গাছ নেই ?
উত্তর: আম গাছ।
19. ‘মাজার’ শব্দটির অর্থ কী ?
উত্তর: ‘মাজার' শব্দটির অর্থ পির সাহেবের কবরস্থান।
20. দৌলত মাজারের বনে কী কী গাছ আছে ?
উত্তর: দৌলত মাজারের বনে শাল, শিশু, গামার প্রভৃতি গাছ আছে।
21.কোনো এলাকা জনবসতিপূর্ণ হলে তাকে কী বলে ?
উত্তর: কোনো এলাকা জনবসতিপূর্ণ হলে তাকে জনবসতিপূর্ণ এলাকা বলে ।
22. সামাজিক বনসৃজনের উদ্দেশ্য কী ?
উত্তর: পরিবেশগত সামাজিক এবং গ্রাম্য জীবনের উন্নয়ন ঘটানোই হল সামাজিক বনসৃজনের উদ্দেশ্য।
23. কত খ্রিস্টাব্দে ভারতবর্ষে সামাজিক বনসৃজন চালু হয় ?
উত্তর:1976 খ্রিস্টাব্দে ভারতবর্ষে সামাজিক বনসৃজন চালু হয়।
24. সামাজিক বনসৃজনে রোপণ করা হয় এমন কয়েকটি গাছের নাম লেখো ।
উত্তর:ইউক্যালিপ্টাস, আকাশমণি, বাবলা, ছাতিম, ঝাউ, মহানিম ইত্যাদি গাছ সামাজিক বনসৃজনে রোপণ করা হয়।
25. সুন্দরবন কী জন্য বিখ্যাত ?
উত্তর: সুন্দরবন রয়াল বেঙ্গল টাইগারের জন্য বিখ্যাত।
26. বাঘ বন থেকে বেরিয়ে আসে কেন ?
উত্তর:বনের গাছপালা কেটে দিলে বা বনে খাবারের অভাব ঘটলে বাঘ বন থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে চলে আসে ।
27. মানুষ বাঘ মেরেছে কেন ?
উত্তর: বাঘকে ভয় পেয়ে, বাঘের আক্রমণ থেকে নিজেকে ও অন্যদেরকে বাঁচাতে এবং নিজের বীরত্ব দেখাতে গিয়ে মানুষ অকারণে বাঘ মেরেছে।
18. একটি লুপ্ত বা হারিয়ে যাওয়া পাখির নাম লেখো ।
উত্তর: ডোডো হল একটি লুপ্ত বা হারিয়ে যাওয়া পাখি ।
29. পশ্চিমবঙ্গের কোন্ বনে বাঘ আছে ?
উত্তর পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনে ও বক্সা টাইগার রিজার্ভে বাঘ আছে।
30. লুপ্তপ্রায় বন্য পশুপাখিদের কোথায় দেখার ব্যবস্থা আছে ?
উত্তর:চিড়িয়াখানায় লুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণীদের দেখার ব্যবস্থা আছে।
31. দুটি লুপ্তপ্রায় পাখির উদাহরণ দাও।
উত্তর শকুন ও গ্রেট ইন্ডিয়ান বাস্টার্ড।
⬛ দু-তিনটি বাক্যে উত্তর দাও।
1. বনভূমি বলতে কী বোঝো ?
উত্তর: যে-ঘন বিস্তীর্ণ অঞ্চলে সাধারণত মানুষজন থাকে না, তবে বৈচিত্র্যপূর্ণ প্রচুর গাছপালা, পশুপাখি ও কীটপতঙ্গ দেখা যায়, সেই অঞ্চলকে বনভূমি বলে।
2. বনে জন্মায়, বড়ো হয় এমন কতগুলি বৃক্ষজাতীয উদ্ভিদের নাম লেখো।
উত্তর: বনের কতগুলি বৃক্ষজাতীয় উদ্ভিদ হল – আমলকী, অর্জুন, শাল, শিশু, কদম, ছাতিম, পলাশ, বাবলা, মহুয়া, জারুল, সেগুন, এ ছাড়া পাহাড়ি অঞ্চলের বনে পাইন, ফার, রডোডেন্ড্রন প্রভৃতি গাছ জন্মায় ।
3. বনের কতগুলি ওষুধি গাছপালার নাম লেখো।
উত্তর: বনের কতগুলি ওষধি গাছপালা হল – সিঙ্কোনা, সর্পগন্ধা, নিম, কালমেঘ, বাসক, থানকুনি, ঘৃতকুমারী ইত্যাদি।
4. বনের কয়েকটি কীটপতঙ্গের নাম লেখো।
উত্তর বনে পাওয়া যায় এমন কয়েকটি কীটপতঙ্গ হল— ফড়িং, মৌমাছি, পিঁপড়ে, প্রজাপতি, মাকড়সা, বোলতা ইত্যাদি।
5. পাহাড়ি অঞ্চলের বনে দেখা যায় এমন কয়েকটি প্রাণী ও উদ্ভিদের নাম লেখো ।
উত্তর: পাহাড়ি অঞ্চলের বন্য প্রাণী: পাহাড়ি অঞ্চল বিশেষত উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে তুষার চিতা, চিতাবাঘ, ভালুক, লাল পান্ডা, পাহাড়ি ছাগল প্রভৃতি প্রাণী দেখা যায় । পাহাড়ি অঞ্চলের বন্য উদ্ভিদ : পাইন, দেবদারু, ওক, ফার, বার্চ, রডোডেন্ড্রন প্রভৃতি উদ্ভিদ দেখা যায়।
6. সুন্দরী, হেতাল, গরান প্রভৃতি গাছ কোথাকার বনে দেখা যায় ? ওখানকার কয়েকটি বিশেষ প্রোণীর নাম লেখো।
উত্তর: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অরণ্যে দেখা যায়। ওখানকার কয়েকটি বিশেষ প্রাণী হল—রয়াল বেঙ্গল টাইগার, কুমির, ভোঁদড়, বানর, মেছোবিড়াল, হরিণ ইত্যাদি।
7. বন কমতে থাকায় কী কী অসুবিধা দেখা গেল ?
উত্তর: বন কমতে থাকায় শহরের বাতাস ধোঁয়া-ধুলোয় ভরে গেল, গাছের পাতা ধুলোয় ঢেকে গেল । বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গেল এবং মানুষের শ্বাসকষ্টের অসুখ দেখা দিল, ফলে মানুষের মৃত্যুহার বেড়ে গেল ।
8. কীভাবে কাঠ উৎপাদনকারী গাছের চাষ শুরু হল ?
উত্তর: কাঠের দাম বেড়ে যাওয়ায় ছোটো ছোটো গাছ কাটা বন্ধ হল। মানুষ পুকুরপাড়ে, বাড়ির পাশে, চাষের জমিতে শাল, সেগুন ইত্যাদি গাছ লাগানো শুরু করল। এইভাবে কাঠ উৎপাদনকারী গাছের চাষ শুরু হল ।
9. বনভূমি কমে যাওয়ায় বনের পশুরা কেমন আচরণ করছে ?
উত্তর: বনের গাছপালা যথেচ্ছ হারে কাটার ফলে বনভূমি কমে গিয়ে বন্যপ্রাণীদের বাসস্থান ও খাদ্যের অভাব প্রকট থেকে প্রকটতর হয়ে উঠছে। তাই বনের পশুরা লোকালয়ে চলে এসে ঘরবাড়ি ভাঙছে, জমির ফসল নষ্ট করছে (যেমন—হাতি); লোকালয় থেকে হাঁস, মুরগি, গবাদিপশু ধরে নিয়ে যাচ্ছে (যেমন— চিতাবাঘ)। ফলে মানুষের সঙ্গে পশুদের সংঘাতে পশুরা মারা পড়ছে।
10. বিশালাক্ষীর আমবাগানে কেবল আমের গাছ আছে কেন ?
উত্তর: বড়ো আম গাছে অনেক আম ফলে এবং তা বিক্রি করে লাভ হয়। এ ছাড়া আম কাঠ বেঁকে যায়, তাই কাঠের জন্য অন্যান্য সব গাছ কাটা হলেও আম গাছ কাটা হত না। সেজন্য ফলের বাগানে শুধু আম গাছ থেকে গেছে।
11.
উত্তর: বনের পরিবেশ থেকে যে-সকল জীবের অদূরভবিষ্যতে বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যাদের সংখ্যা দ্রুত কমেছে এবং যাদের সংরক্ষণ না-করলে একসময় পৃথিবী থেকে অবলুপ্ত হয়ে যাবে, তাদের বিপন্ন প্রজাতি বা লুপ্তপ্রায় প্রজাতি বলে। যেমন—রয়াল বেঙ্গল টাইগার, একশৃঙ্গ গন্ডার, লাল পান্ডা ইত্যাদি।
12. বন্যপ্রাণী সুরক্ষা কী ?
উত্তর: বন্যপ্রাণীদের নিরাপদ আশ্রয় বা বাসস্থান ও খাদ্যের জোগানকে স্বাভাবিকভাবে বজায় রেখে তাদের নিরাপদে বংশবৃদ্ধি করতে সাহায্য করার পাশাপাশি তাদের নানান আক্রমণ ও চোরাশিকার থেকে বাঁচানো বা রক্ষা করাই বন্যপ্রাণী সুরক্ষা।
13. বাঘ লুপ্ত হয়ে গেলে পরিবেশের কী ক্ষতি হবে ?
উত্তর: বাঘ পৃথিবী থেকে লুপ্ত হয়ে গেলে বাঘের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত তৃণভোজীপ্রাণীদের সংখ্যা বেড়ে যাবে। সংখ্যায় বেড়ে যাওয়া তৃণভোজীরা বনের গাছপালা যথেচ্ছ পরিমাণে খেয়ে ধ্বংস করে ফেলবে, ফলে বনের গাছপালা কমে যাওয়ার কারণে পরিবেশের ভয়ানক ক্ষতি ঘনিয়ে আসবে।
No comments:
Post a Comment