⬛ সত্য / মিথ্যা নির্বাচন করো: প্রতিটা প্রশ্নের মান -1
1. কয়লাখনির ভিতরে ইলেকট্রিকের আলো থাকে ।
➤➣সত্য / মিথ্যা
2. কয়লাখনির মেঝে ও দেয়াল কংক্রিটের তৈরি হয়।
➤➣সত্য / মিথ্যা
3. আসানসোল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় একশো মিটার উঁচুতে অবস্থিত ।
➤➣সত্য / মিথ্যা
4. বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া জেলার প্রায় আড়াই হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে কয়লাখনি অঞ্চল আছে।
➤➣সত্য / মিথ্যা
5. খুব গভীরে তৈরি হওয়া কয়লা পোড়ালে ছাই কম উৎপন্ন হয়।
➤➣সত্য / মিথ্যা
6. উৎকৃষ্ট মানের কয়লাতে কার্বনের পরিমাণ কম থাকে।
➤➣সত্য / মিথ্যা
7. গাছপালার সার অংশটিই অধিক চাপ ও তাপে উৎকৃষ্ট মানের কয়লা তৈরি করে।
➤➣সত্য / মিথ্যা
৪. কয়লাখনির সুড়ঙ্গের ভিতরে শ্বাসকষ্ট হলে নাইট্রোজেন পাঠানো হয় ।
➤➣সত্য / মিথ্যা
9. কয়লার ধোঁয়াতে খুব গলা জ্বালা করে ।
➤➣সত্য / মিথ্যা
10. অ্যাসিড বৃষ্টির ফলে মাটি আম্লিক হয়ে যায় ।
➤➣সত্য / মিথ্যা
11. তামা ও দস্তার অক্সাইড বৃষ্টির জলের সঙ্গে মিশে অ্যাসিড বৃষ্টি ঘটায়।
➤➣সত্য / মিথ্যা
12. নদীর পাড়ের নীচ থেকে যথেচ্ছ বালি তুলে নিলে মাটি ধসে যেতে পারে।
➤➣সত্য / মিথ্যা
13. খনি অঞ্চলে গাছপালা থাকলে ধসের সম্ভাবনা কমে।
➤➣সত্য / মিথ্যা
14. ধসের ঘটনা ঘটলে মাটি শক্ত হয়ে যায়।
➤➣সত্য / মিথ্যা
15. কয়লা তোলার পর খনি মাটি ও জল দিয়ে বোজানো হয়।
➤➣সত্য / মিথ্যা
16. কয়লা গুঁড়োর সঙ্গে মাটি মিশিয়ে তৈরি গুল রান্নার জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
➤➣সত্য / মিথ্যা
17. মাটির নীচে থাকা পেট্রোলিয়াম আগে ফুরোবে তারপর কয়লাও হয়তো ফুরিয়ে যাবে।
➤➣সত্য / মিথ্যা
18. সূর্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন এখনও তেমন প্রচলিত নয়।
➤➣সত্য / মিথ্যা
19. অপ্রচলিত শক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রথমে একটু বেশি খরচ হয়।
➤➣সত্য / মিথ্যা
উত্তর : 1.সত্য 2.মিথ্যা 3.সত্য 4.মিথ্যা 5.সত্য 6.মিথ্যা 7.সত্য 8.মিথ্যা 9.মিথ্যা 10.সত্য 11.মিথ্যা 12.সত্য 13.সত্য 14.মিথ্যা 15.মিথ্যা 16.সত্য 17.সত্য 18.সত্য 19.সত্য
⬛ একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাও: প্রতিটা প্রশ্নের মান -1
1. কয়লাখনির খুব গভীর সুড়ঙ্গে যেতে কারা পথ দেখান ?
উত্তর: গাইডরা।
2. কয়লা তুলতে মোটামুটি কতটা গভীরে নামতে হয় ?
উত্তর: প্রায় পাঁচশো মিটারেরও বেশি গভীরে নামতে হয়।
3. আসানসোল-রানিগঞ্জ-এর কোন্ কোন্ দিকে কয়লাখনিগুলি ছড়ানো আছে ?
উত্তর: আসানসোল-রানিগঞ্জ-এর উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ- মালা পশ্চিমে কয়লা খনিগুলি ছড়ানো আছে।
4. কয়লা সৃষ্টি হতে কতদিন সময় লাগে ?
উত্তর: কয়লা সৃষ্টি হতে কয়েক হাজার বছর সময় লাগে ।
5. গাছপালার কাঠ অংশ কীসের কারণে কয়লাতে পরিণত হয় ?
উত্তর:গাছপালার কাঠ অংশ বা সার অংশ ভূগর্ভের চাপ ও প্রচণ্ড তাপে কয়লাতে পরিণত হয়।
6. কয়লা পুড়ে কী কী সৃষ্টি হয় ?
উত্তর: তাপ, ছাই, ধোঁয়া প্রভৃতি সৃষ্টি হয়।
7. কয়লাখনির সুড়ঙ্গে কোন্ যন্ত্রের সাহায্যে সবকিছু মেপে নিয়ন্ত্রণ করা হয় ?
উত্তর কয়লাখনির সুড়ঙ্গে কম্পিউটার যন্ত্রের সাহায্যে সবকিছু মেপে নিয়ন্ত্রণ করা হয় ৷
৪. কয়লার ধোঁয়াতে শরীরের কোন্ অঙ্গ খুব ক্ষতিগ্রস্ত হয় ?
উত্তর:চোখ ।
9. কয়লার ধোঁয়ায় থাকা সবথেকে বিপজ্জনক গ্যাসটির নাম কী ?
উত্তর: কার্বন মনোক্সাইড।
10. ধস কী ?
উত্তর:পাহাড়ি অঞ্চলে বা খনি অঞ্চলে বিভিন্ন কারণে ভূমিকম্প, মাধ্যাকর্ষণ, অপরিকল্পিত খনন, ভূপৃষ্ঠের আলগা অঞ্চল হঠাৎ ভূগর্ভে ঢুকে যাওয়ার মতো ঘটনাকে ধস বলে ।
11. কয়লা তুলে নেওয়ার পর কী করা উচিত ?
উত্তর কয়লা তুলে নেওয়ার পর গর্তগুলি বালি, মাটি দিয়ে ভরাট করা উচিত।
12. ধস নামলে কী ক্ষতি হয় ?
উত্তর: ধসের ফলে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট নষ্ট হয়। গাছপালা, বাড়িঘর ধসে পড়ে মানুষ ও অন্যান্য জীবের মৃত্যুও ঘটে।
13. পেট্রোলিয়াম থেকে কী কী ব্যবহার্য বস্তু পাওয়া যায় ?
উত্তর: পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিন, ন্যাপথা ইত্যাদি।
14. পেট্রোলিয়াম কোথায় পাওয়া যায় ? দেখতে কেমন ?
উত্তর:পেট্রোলিয়াম মাটির তলায় পাওয়া যায়। দেখতে থকথকে কাদার মতন।
15. বেশি-গরম আগুন তৈরি হয় এমন একটি কয়লার নাম লেখো ।
উত্তর: অ্যানথ্রাসাইট কয়লা ।
16. পেট্রোলিয়াম কী ?
উত্তর:পেট্রোলিয়াম হল মাটির নীচে থাকা থকথকে কাদার মতো এক ধরনের পদার্থ, যা জীবজন্তুর দেহ থেকে তৈরি হয়।
17. পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিনে চলে এমন একটি করে ইঞ্জিনের নাম লেখো ।
উত্তর: পেট্রোলে চলে মোটর সাইকেলের ইঞ্জিন, ডিজেলে চলে বাসগাড়ির ইঞ্জিন ও কেরোসিনে চলে ডায়নামো।
18. বিদ্যুৎ দিয়ে চলে এমন একটি যানবাহনের নাম লেখো ।
উত্তর: রেলগাড়ি।
19. কম কার্বনযুক্ত কয়লার একটি ব্যবহার উল্লেখ করো ।
উত্তর: কম কার্বনযুক্ত কয়লা রান্নার কাজে আগুন জ্বালাতে ব্যবহার করা হয়।
20. কয়লা ছাড়া আর কীভাবে বিদ্যুৎ তৈরি হয় ?
উত্তর: জলকে কাজে লাগিয়ে জলবিদ্যুৎ তৈরি করা হয়, বায়ুশক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ তৈরি করা হয় এবং সূর্যের আলোকে কাজে লাগিয়ে সৌরবিদ্যুৎ তৈরি করা হয়।
21. ভুটানের জলবিদ্যুৎকেন্দ্রটি কোন্ নদীর ওপর আছে ?
উত্তর:জলঢাকা নদীর ওপর।
22. ভুটানের কোন্ জায়গায় জলবিদ্যুৎকেন্দ্রটি আছে ?
উত্তর: ভুটানের ঝালং-এ জলবিদ্যুৎকেন্দ্রটি আছে।
23. জলবিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রের মস্ত পাখার মতো কি দেখতে যন্ত্রটির নাম কী ?
উত্তর: টারবাইন।
24. বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত একটি যন্ত্রের নাম বলো যার সাহায্যে অনেক আলো জ্বালানো যায় ৷
উত্তর: জেনারেটর।
25. জেনারেটর কীসের শক্তিতে চলে ?
উত্তর: ডিজেল বা কেরোসিনের শক্তিতে চলে।
26. পাহাড়ি নদীর তীব্র স্রোত কোন্ শক্তি উৎপাদনের উপযোগী ?
উত্তর: জলবিদ্যুৎশক্তি।
27. সমস্ত শক্তির প্রধান উৎস কী ?
উত্তর: সূর্য।
28. সূর্যের আলোকে কাজে লাগানোর জন্য কোন যন্ত্র তৈরি করা হয়েছে ?
উত্তর:সোলার প্যানেল।
29. পর্বতের মাথায় বরফ তৈরি হচ্ছে কেন ?
উত্তর:সূর্যের তাপে জল বাষ্পীভূত হয়ে উপরে উঠে যায়। ওপরে গিয়ে তা ঠান্ডা হয়ে পর্বতের মাথায় বরফ আকারে জমা হয়।
30. সূর্যের তাপ ছাড়া কী হত না ?
উত্তর: সূর্যের তাপ ছাড়া বরফ পড়ত না, আবার সূর্যের তাপ ছাড়া বরফ গলতও না।
31. জৈব বর্জ্যপদার্থ বেশি পাওয়া সত্ত্বেও, তা থেকে উৎপন্ন জৈবগ্যাস অপ্রচলিত কেন ?
উত্তর: জৈব বর্জ্যপদার্থ থেকে জৈবগ্যাস প্রস্তুত করতে প্রাথমিকভাবে বেশি খরচ হয়, তাই এটি অপ্রচলিত ।
32. কয়েকটি অপ্রচলিত শক্তি উৎসের নাম লেখো ।
উত্তর:সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, জৈবশক্তি, জোয়ারভাটার শক্তি ।
33. প্রচলিত শক্তি, কিন্তু পরিবেশদূষণ ঘটায় না এমন একটি উদাহরণ দাও ।
উত্তর: জলবিদ্যুৎ শক্তি ।
34. জীবের বর্জ্যপদার্থ থেকে পাওয়া শক্তিটি কোন্ ধরনের শক্তি ?
উত্তর:অপ্রচলিত শক্তি ।
⬛ দু-তিনটি বাক্যে উত্তর দাও: প্রতিটা প্রশ্নের মান -2
1. খনিজ সম্পদ কাকে বলে ? পশ্চিমবঙ্গের প্রধান খনিজ সম্পদ কী ?
উত্তর: মাটির নীচে খনন করে যেসব সম্পদ আহরণ বা উত্তোলন করা হয়, তাকে খনিজ সম্পদ বলে। যেমন—আকরিক লোহা, কয়লা, জিংক, তামা ইত্যাদি। পশ্চিমবঙ্গের প্রধান খনিজ সম্পদ হল কয়লা ।
2. কয়লা কীভাবে সৃষ্টি হয় ?
উত্তর:কোটি কোটি বছর ধরে ভূমিকম্প বা অন্যান্য কারণে গাছপালা মাটির নীচে চাপা পড়ে পরবর্তীকালে ভূগর্ভের প্রচণ্ড তাপ ও চাপে, গাছপালার সার অংশের মধ্যেকার কার্বন রূপান্তরিত ও জমাট বেঁধে কয়লাতে পরিণত হয়। প্রাণীদের হাড় থেকেও কয়লা তৈরি হয়।
3. কয়লাখনির সুড়ঙ্গপথ কেমন হয় ? কয়লাখনির মধ্যেকার পরিবেশ কেমন ?
উত্তর:গভীর কয়লাখনির সুড়ঙ্গপথের চারিদিকেই কালো কয়লা। কয়লাখনির ছাদ, দেয়াল, মেঝে সবই কয়লার তৈরি। সেখানে ইলেকট্রিকের আলো থাকলেও তার জ্যোতি কম। মাঝে মাঝে জল চুঁইয়ে পড়ে সেজন্য হাঁটা পথটাও কাদা-কাদা মতো। সুড়ঙ্গপথে গাইডরা পথ দেখিয়ে নিয়ে যান।
4. পশ্চিমবঙ্গের চারটি কয়লা উত্তোলক জেলার নাম লেখো।
উত্তর:পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম ও পুরুলিয়া জেলায় কয়লা উত্তোলন করা হয়।
5. কাঠকয়লা কীভাবে সৃষ্টি হয় ?
উত্তর: জ্বলন্ত কাঠে জল ঢাললে তা নিভে যায়। কিন্তু ওর মধ্যে জ্বালানি থেকে যায়। এভাবে কাঠকয়লা পাওয়া যায়। আবার জ্বলন্ত কাঠকে বস্তা চাপা দিয়ে নেভালেও কাঠকয়লা পাওয়া যায়।
6. কয়লাখনির সুড়ঙ্গে শ্রমিকদের শ্বাসকষ্ট হয় কি ? শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা হলে কীভাবে তার সমাধান করা হয় ?
উত্তর:কয়লাখনির সুড়ঙ্গে শ্রমিকদের শ্বাসকষ্ট হয় না। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা হলে কম্পিউটারের সাহায্যে মাপামাপি করে অক্সিজেন পাঠানো হয়। খনিতে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গেলে অ্যালার্ম বেজে ওঠে তখন আবার অক্সিজেন পাঠিয়ে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার সমাধান করা হয়।
No comments:
Post a Comment