মন ভালো করা প্রশ্ন উত্তর ষষ্ঠ শ্রেণী || Class -6 Bangla Mon Bhalo Kara Questions And Answers - Psycho Principal

Fresh Topics

Thursday, 2 January 2025

মন ভালো করা প্রশ্ন উত্তর ষষ্ঠ শ্রেণী || Class -6 Bangla Mon Bhalo Kara Questions And Answers

  

মন ভালো করা
প্রশ্ন উত্তর




মেনি কবিতার প্রশ্ন উত্তর পড়তে নিচের লিঙ্ক এ ক্লিক করো

👉 ( মেনি প্রশ্ন উত্তর )




◼️কবি পরিচিতি;

১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দের ২৫ নভেম্বর দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বহডুতে শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম হয়। পঞ্চাশের দশকে তিনি কৃত্তিবাস পত্রিকার উল্লেখযোগ্য কবি ছিলেন। তিনি ‘রূপচাঁদ পক্ষী' ছদ্মনামে কলকাতা বিষয়ে ফিচার লিখতেন। ‘স্ফুলিঙ্গ সমাদ্দার' নামেও তিনি নানা পত্রপত্রিকায় গদ্যরচনা করতেন। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ হল— হে প্রেম, হে নৈঃশব্দ্য (১৯৬১)। তাঁর অন্যান্য বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ হল—যেতে পারি কিন্তু কেন যাবো, সোনার মাছি খুন করেছি, হেমন্তের অরণ্যে আমি পোস্টম্যান, প্রভু নষ্ট হয়ে যাই, পাড়ের কাঁথা মাটির বাড়ি


◼️নাম করণ;

এই কবিতায় কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় মাছরাঙা পাখির গায়ে রঙের সঙ্গে মন-ভালো করা রোদের আশ্চর্য মিল লক্ষ করে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তাঁর মনে এই প্রশ্নই বারবার উঠে এসেছে যে, কেন মন ভালো করা রোদ্দুরের রং মাছরাঙাটির গায়ের রং-এর মতো! মাছরাঙার ছোটোবড়ো রঙিন উজ্জ্বল পালকের গায়ে আলো পড়ে যখন রঙিন হয়ে ওঠে, তখন কবি যেমন খুশি হন, তেমনই রোদের দিকে তাকিয়েও তাঁর মন আনন্দে ভরে ওঠে। তাই কবিতায় নাম হিসেবে ‘মন-ভালো করা' নামটি সার্থক হয়েছে।


◼️সারমর্ম;

‘মন-ভালো-করা' কবিতাটিতে কবির মনে প্রশ্ন জেগেছে, তাঁর মন-ভালো করে দেওয়া উজ্জ্বল রোদের সঙ্গে মাছরাঙার গায়ের রঙের এত মিল কীভাবে হওয়া সম্ভব? আকাশের গায়ের নীলের সঙ্গে মাছরাঙার পালকের ছোটোবড়ো নীল রঙের আঁকিবুকি যেমন মিলে যায়, তেমনই আকাশের কোথাও হালকা, কোথাও বা গাঢ় নীল রং ও মাছরাঙার রঙিন পালকের সঙ্গে তুলনীয়।

 দিনের বিভিন্ন সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রোদ্দুর যেমন লাল, হলুদ ইত্যাদি নানারকম রং ধারণ করে, মাছরাঙা পাখির গায়েও তেমনি লাল, সবুজ, — এমন নানান রং দেখা যায়। কবির বারবার মনে হতে থাকে, যেভাবে মাছরাঙা পাখিটির রঙিন গায়ে আলো পড়ে পিছলে যায়, ঠিক তেমনই অল্প হাওয়ায় পাতা সরে যায়। সেই হাওয়ার ছোঁয়া যেন লাগে মাছরাঙার শরীরেও। কবির শুধুই মনে হয়, মন- ভালো করা এই রোদ্দুর বেশ মাছরাঙার পায়ের মতো এত বর্ণময়, এত সুন্দর।


◼️নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:


১. ‘মন-ভালো-করা' কবিতাটিতে কোন্ পাখির উল্লেখ রয়েছে?

উত্তর: ‘মন-ভালো-করা' কবিতাটিতে মাছরাঙার উল্লেখ রয়েছে।


২. ‘মন-ভালো-করা' কবিতায় কাকে 'মন-ভালো-করা' বলা হয়েছে?

উত্তর: ‘মন-ভালো-করা” কবিতায় রোদ্দুরকে ‘মন ভালো-করা' বলা হয়েছে।


৩. ‘মন-ভালো-করা' কবিতাটি কার লেখা ?

উত্তর: ‘মন-ভালো-করা' কবিতাটি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের লেখা


৪. শক্তি চট্টোপাধ্যায় কী কী পুরস্কার পেয়েছেন ?

উত্তর: শক্তি চট্টোপাধ্যায় ‘আনন্দ পুরস্কার’ এবং ‘সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার' পেয়েছেন।


৫. হাওয়া-বাতাসে কী হয় ?

উত্তর: হাওয়া-বাতাসে পাতা নড়ে ওঠে, মাছরাঙার পালক হাওয়ায় উড়তে থাকে ।


৬. ‘মন-ভালো-করা' কবিতায় বনের কী কী রঙের কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: বনের লাল, হলুদ ও সবুজ রঙের কথা এই কবিতায় বলা হয়েছে।


◼️নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো। 


১. কবিতায় কবিমনে কোন্ কোন্ প্রশ্ন জেগেছে তা নিজের ভাষায় লেখো ।

উত্তর: কবির মনে প্রশ্ন জেগেছে, মন ভালো করা রোদ্দুরের রং কেন মাছরাঙার গায়ের মতন। তাঁর আরও মনে হয়েছে, রোদ্দুরের রং যেমন কখনও উজ্জ্বল, কখনও-বা নরম, ঠিক তেমনই মাছরাঙার গায়ের রংও কোথাও উজ্জ্বল, কোথাও বা ফিকে। তাই তাঁর মনে বারবার প্রশ্ন জেগেছে, মাছরাঙার গায়ের রঙের সঙ্গে রোদ্দুরের রঙের এই মিলের কারণ কী।


২. মন-ভালো-করা রোদ্দুরকে কবি কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?

উত্তর: মন-ভালো-করা রোদ্দুরকে কবি মাছরাঙা পাখির গায়ের রঙের সঙ্গে তুলনা করেছেন।


৩. মাছরাঙা পাখির রং কবির চোখে কীভাবে ধরা পড়েছে?

উত্তর: কবির চোখে মাছরাঙা পাখির রং তার সবটুকু সৌন্দর্য নিয়ে ধরা পড়েছে। সেই রং কখনও উজ্জ্বল, কখনও-বা ফিকে | কবি দেখেছেন লাল, নীল, হলুদ, সবুজে বাহারি হয়ে উঠেছে মাছরাঙা পাখি।


৪. গাছের ডালে বসা মাছরাঙা পাখিটি কীভাবে কবিকল্পনাকে প্রভাবিত করেছে তা বুঝিয়ে দাও ।

উত্তর: গাছের ডালে বসা মাছরাঙা পাখিটির গায়ের রং কবির কল্পনায় হয়ে উঠেছে মন ভালো-করা রোদ্দুরের মতো। তাঁর মনে হয়েছে, নীল আকাশের গায়ে ক্ষণে ক্ষণে ফুটে ওঠা রকমারি রঙের সঙ্গে মাছরাঙা পাখিটির গায়ের লাল, নীল, হলুদ, সবুজ রঙের বাহার মিলে যায়। রোদ যেমন কখনও উজ্জ্বল, কখনও ফিকে, ঠিক তেমনই মাছরাঙা পাখিটির গায়ের রংও কোথাও গাঢ়, কোথাও বা হালকা। এভাবেই কবির কল্পনায় মাছরাঙা পাখির গায়ের রং রোদের সঙ্গে তুলনীয় হয়ে উঠেছে।


◼️নীচের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাভিত্তিক প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:

১. “ দীর্ঘ নীল-নীলান্ত / কেন ওর রং খর ও শান্ত” – বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তর: কবি রোদ্দুরকে তুলনা করেছেন মাছরাঙা পাখির গায়ের রঙের সঙ্গে। মাছরাঙার রঙিন পালকের আকার যেমন সমান নয়, তেমনই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রোদের তাপও কমে-বাড়ে। আলো আর ছায়া প্রতি মুহূর্তে বদলে যেতে থাকে। আবার দুপুরের প্রখর রোদ বিকেলে নরম হয়ে আসে। কবি ‘হ্রস্ব’, ‘দীর্ঘ’, ‘খর’, ‘শান্ত’– এই শব্দগুলির মাধ্যমে রোদ্দুরের বিভিন্ন অবস্থাকে বুঝিয়েছেন।


২. 'লাল হরিদ্রা সবুজাভ বন' বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন ?

উত্তর: ‘মন-ভালো-করা' কবিতায় কবি রোদ্দুরের নানান রং কল্পনা করেছেন। আর সেই রঙিন রোদের সঙ্গে তিনি মাছরাঙার গায়ের মিল খুঁজে পেয়েছেন। ভোর বা বিকেলের লাল আলো, দুপুরের প্রখর হলুদ আলো, কখনও-বা গাছগাছালির ফাঁক দিয়ে এসে পড়া রোদ্দুরের সবুজাভ রং, কবিকে মাছরাঙা পাখির রঙিন পালকের কথাই মনে করিয়ে দিয়েছে।


৩. ‘মন-ভালো-করা' কবিতাটির মাধ্যমে কবি ঠিক কী বলতে চেয়েছেন ?


উত্তর: আলোচ্য কবিতায় কবি তাঁর মন ভালো করে দেওয়া রোদ্দুরের একটি সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন। রোদ্দুরকে দেখেই কবির মাছরাঙার শরীর ও তার নানা রঙের কথা মনে হয়েছে। এই মনে হওয়ার কারণ রোদ্দুর ও মাছরাঙার গায়ের রঙের আশ্চর্য মিল। মাছরাঙার দেহে যেমন ছোটোবড়ো নানা রঙের পালক মিলে এক অপূর্ব সৌন্দর্য সৃষ্টি করেছে, ঠিক একই ছন্দ কবি খুঁজে পেয়েছেন রোদ্দুরের কমাবাড়ার মধ্যেও। মাছরাঙার গায়ের রং যেমন কোথাও হালকা, কোথাও বা গাঢ়, রোদ্দুরও ঠিক তেমনই কখনও তীব্র ও উজ্জ্বল, কখনও-বা শান্ত ও স্নিগ্ধ। 

রোদ্দুর যেন রঙের বাহারেও মাছরাঙার সঙ্গে পাল্লা দেয়। তাই কবির চিন্তায় মাছরাঙা পাখির রং আর রোদ্দুর মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়ে কবির মনকে ভালো লাগায় পরিপূর্ণ করে তোলে।



No comments:

Post a Comment